Ajker Patrika

নিরবচ্ছিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পেরেছি

এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪, ১০: ০৩
নিরবচ্ছিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পেরেছি

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ।

প্রশ্ন: একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য আপনি, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি আনন্দের ছিল। এই সুযোগ আমার জন্য একটা পরীক্ষা। সুযোগ তখনই আসে, যখন কারও ওপর আস্থা রাখা হয়। আমার ওপর বিশ্বাস রেখে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাই আমার লক্ষ্য।

প্রশ্ন: এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস হয়নি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জের বিষয়।
উত্তর: অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস পাওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ।  চাঁদপুরে চারতলা-পাঁচতলা বিল্ডিংগুলোর রুম ছোট হওয়ায় ক্লাসরুম, কমনরুম, অফিস রুম করার উপযুক্ত ছিল না। আবার অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে রাজি হয়নি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমার মনে হয়েছিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হলে আমাদের যে ৯০টি আসন রয়েছে, সেগুলো ফাঁকা থাকবে। ওই ৯০ জন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়া থেকে বঞ্চিত হবে এবং তারা বিশ্বজনীন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। তাই দ্রুত এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি।

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ কী?
উত্তর: শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রথম শর্ত হলো নিরবচ্ছিন্ন একাডেমিক পরিবেশ। যেখানে কোনো শ্রেণি কার্যক্রম বাদ যাবে না, যেখানে কোনো পরীক্ষা বাদ যাবে না। এই নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ আমি নিশ্চিত করতে পেরেছি, যা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখানকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। আমি বলেছি, সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সে যেন ৩৯টি করে ক্লাস হয়। শিক্ষকেরা তা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী ভালোভাবে গড়ে উঠুক। নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস চলমান রাখতে আমরা একাডেমিক ভবন-১-এর পাশাপাশি আরও একটি ভবন ভাড়া নিয়েছি। একাডেমিক ভবন-২ হিসেবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি আছে, যেখানে পর্যাপ্ত বই রাখা হয়েছে। সব বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাব আছে।

আইসিটি, সিএসইর পাশাপাশি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহার করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাবের পাশাপাশি রয়েছে রসায়ন ল্যাব, পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব। আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো আন্তর্জাতিক সেমিনার, প্রতিযোগিতায় যেতে চাইলে আমি তাদের যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা আইডিয়া কনটেস্টে সাফল্য এনেছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন: বর্তমান প্রশাসনের হাত ধরে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমে কতটা অগ্রগতি হয়েছে?
উত্তর: আমি নিজে গবেষণায় আছি এবং থাকব। গবেষণায় সাধারণত তিনটি ধাপ রয়েছে। আমাদের একদম নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বলে আমরা গবেষণা কার্যক্রমের প্রথম

ধাপে রয়েছি। অর্থাৎ সাহিত্য পর্যালোচনা ধাপে রয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বই পড়ছে। তাতে নিজেরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে। তখন তারা গবেষণার কার্যক্রম সম্পর্কে বুঝতে শেখে। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার আইডিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। বর্তমানে আমাদের কোনো শিক্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে ইচ্ছুক হলে এবং পেপার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রণোদনা চাইলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সহায়তা করি। চাঁবিপ্রবি শিক্ষকেরা গবেষণাপত্র লিখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রকাশ করছেন।

প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখবে?
উত্তর: আমার টার্গেট বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করানো, যাতে শিক্ষার্থীরা পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যায়।

প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?
উত্তর: স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ হচ্ছে—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি। আমাদের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে, সব স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। স্মার্ট সিটিজেন মানে দক্ষ মানবসম্পদ। এই দক্ষ মানবসম্পদ নেতৃত্ব দেবে স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এই দুটোর সমন্বয়ে তৈরি হবে স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি। ফলে বলতে পারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশের একটি অংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছেন, তাঁরা গবেষণার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন। 

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
উত্তর: দক্ষতা উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামসহ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। আমরা সীমাবদ্ধতার ভেতরে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ প্রশাসক হয়েও আপনার জীবনযাপন সাদামাটা... 
উত্তর: বিলাসিতার মধ্যে কোনো সৃষ্টি নেই। যে দেশগুলো বিলাসী বেশি, সেই দেশগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি জমিতে কৃষিকাজ করে কায়িক পরিশ্রম করি। ফলে আমি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারছি। কায়িক পরিশ্রম করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়, শরীর রোগমুক্ত থাকে। এ জন্য আমি নিজে কৃষিকাজ করি। আর আমি বিলাসিতা পছন্দ করি না। মানুষের শরীর তৈরি হয়েছে পরিশ্রমের জন্য।

প্রশ্ন: একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে কীভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছেন?
উত্তর: আমরা বেশির ভাগ জিনিস গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট মাধ্যমে কিনে থাকি। ফলে এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকে না। আর নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছি। কারণ অনিয়মের মাধ্যমে অদক্ষ জনশক্তি নিলে কখনো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব নয়। শিক্ষকতা হলো একটি মহান পেশা। আমি এই পেশাকে কলুষিত করতে চাই না। আর চাঁদপুর হলো আমার মাতৃভূমির একটা অংশ। তাই এই অংশটার সমস্যা হোক তা আমি মানুষ হিসেবে মেনে নিতে পারি  না। স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়াবেই।

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী? 
উত্তর: মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার স্বপ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার যা করণীয় তার সর্বোচ্চ করব। আমার বিশ্বাস, পরবর্তী সময়ে যে প্রশাসন আসবে, সঠিকভাবে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। আমার প্রত্যাশা, একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। 

প্রশ্ন: তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর: তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। মুঠোফোনে বন্দী হয়ে না থেকে তাদের মাঠে যেতে হবে, খেলাধুলা করে শারীরিকভাবে কার্যক্ষম হতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মানসিক শক্তি আসবে, হতাশা কমবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় প্রার্থীরা

সোহানুর রহমান, জবি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।

ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’

ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’

ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

জবি প্রতিনিধি 
‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।

‎‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।

‎‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।

‎‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷

‎মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।

‎পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।

‎বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।

‎এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান।

অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস পর্বের সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস একটি প্রাণবন্ত গেমিং অঙ্গনে রূপ নেয়। অনলাইন বাছাইপর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে লড়ে। চার ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ‘ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এই বিভাগে ‘লোয়ার-ব্র্যাকেট’ থেকে উঠে এসে গ্র্যান্ড ফাইনালে ‘ন্যাক্সার ই-স্পোর্টস’কে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ‘অলস্টারস’ দল।

‘মোবাইল লিজেন্ডস ব্যাং ব্যাং’ (MLBB) বিভাগে ‘ভাইপার স্ট্রাইকার্স’, ‘এফসি ২৫’ বিভাগে নিও এবং ‘ই-ফুটবল’ একক বিভাগে শাওন শান্ত ও দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এছাড়া এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, ই-স্পোর্টস ক্লাব ও পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনজনকে সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

বক্তারা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা এই আয়োজনের পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও ব্যাপক প্রসারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এবারের আয়োজনে ইকুইপমেন্ট স্পন্সর ছিল কিয়ানস কালেক্টিবলস, টেক স্পন্সর এমএসআই এবং বেসিক স্পন্সর হিসেবে ছিল সিটি ব্যাংক। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার হিসেবে ছিল লিঙ্ক থ্রি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল ডেইলি সান, দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি নিউজ এবং ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল কিশোর আলো।

উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খানসহ অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. রইছ ও সম্পাদক ড. ইমরানুল

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৫
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।

‎সকল পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

‎ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সহসভাপতি পদে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খাঁন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকা ডেইজী, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারেক মুহাম্মদ শামসুল আরেফীন এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।

‎নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমদ ইহসানুল কবীর, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়শা জাহান এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক বিন আতিক।

‎নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড. ইমরানুল হক বলেন, এককভাবে নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আগামী বছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত