এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ

প্রশ্ন: একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য আপনি, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি আনন্দের ছিল। এই সুযোগ আমার জন্য একটা পরীক্ষা। সুযোগ তখনই আসে, যখন কারও ওপর আস্থা রাখা হয়। আমার ওপর বিশ্বাস রেখে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাই আমার লক্ষ্য।
প্রশ্ন: এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস হয়নি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জের বিষয়।
উত্তর: অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস পাওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চাঁদপুরে চারতলা-পাঁচতলা বিল্ডিংগুলোর রুম ছোট হওয়ায় ক্লাসরুম, কমনরুম, অফিস রুম করার উপযুক্ত ছিল না। আবার অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে রাজি হয়নি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমার মনে হয়েছিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হলে আমাদের যে ৯০টি আসন রয়েছে, সেগুলো ফাঁকা থাকবে। ওই ৯০ জন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়া থেকে বঞ্চিত হবে এবং তারা বিশ্বজনীন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। তাই দ্রুত এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ কী?
উত্তর: শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রথম শর্ত হলো নিরবচ্ছিন্ন একাডেমিক পরিবেশ। যেখানে কোনো শ্রেণি কার্যক্রম বাদ যাবে না, যেখানে কোনো পরীক্ষা বাদ যাবে না। এই নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ আমি নিশ্চিত করতে পেরেছি, যা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখানকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। আমি বলেছি, সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সে যেন ৩৯টি করে ক্লাস হয়। শিক্ষকেরা তা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী ভালোভাবে গড়ে উঠুক। নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস চলমান রাখতে আমরা একাডেমিক ভবন-১-এর পাশাপাশি আরও একটি ভবন ভাড়া নিয়েছি। একাডেমিক ভবন-২ হিসেবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি আছে, যেখানে পর্যাপ্ত বই রাখা হয়েছে। সব বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাব আছে।
আইসিটি, সিএসইর পাশাপাশি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহার করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাবের পাশাপাশি রয়েছে রসায়ন ল্যাব, পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব। আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো আন্তর্জাতিক সেমিনার, প্রতিযোগিতায় যেতে চাইলে আমি তাদের যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা আইডিয়া কনটেস্টে সাফল্য এনেছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: বর্তমান প্রশাসনের হাত ধরে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমে কতটা অগ্রগতি হয়েছে?
উত্তর: আমি নিজে গবেষণায় আছি এবং থাকব। গবেষণায় সাধারণত তিনটি ধাপ রয়েছে। আমাদের একদম নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বলে আমরা গবেষণা কার্যক্রমের প্রথম
ধাপে রয়েছি। অর্থাৎ সাহিত্য পর্যালোচনা ধাপে রয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বই পড়ছে। তাতে নিজেরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে। তখন তারা গবেষণার কার্যক্রম সম্পর্কে বুঝতে শেখে। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার আইডিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। বর্তমানে আমাদের কোনো শিক্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে ইচ্ছুক হলে এবং পেপার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রণোদনা চাইলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সহায়তা করি। চাঁবিপ্রবি শিক্ষকেরা গবেষণাপত্র লিখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রকাশ করছেন।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখবে?
উত্তর: আমার টার্গেট বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করানো, যাতে শিক্ষার্থীরা পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যায়।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?
উত্তর: স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ হচ্ছে—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি। আমাদের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে, সব স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। স্মার্ট সিটিজেন মানে দক্ষ মানবসম্পদ। এই দক্ষ মানবসম্পদ নেতৃত্ব দেবে স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এই দুটোর সমন্বয়ে তৈরি হবে স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি। ফলে বলতে পারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশের একটি অংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছেন, তাঁরা গবেষণার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
উত্তর: দক্ষতা উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামসহ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। আমরা সীমাবদ্ধতার ভেতরে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ প্রশাসক হয়েও আপনার জীবনযাপন সাদামাটা...
উত্তর: বিলাসিতার মধ্যে কোনো সৃষ্টি নেই। যে দেশগুলো বিলাসী বেশি, সেই দেশগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি জমিতে কৃষিকাজ করে কায়িক পরিশ্রম করি। ফলে আমি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারছি। কায়িক পরিশ্রম করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়, শরীর রোগমুক্ত থাকে। এ জন্য আমি নিজে কৃষিকাজ করি। আর আমি বিলাসিতা পছন্দ করি না। মানুষের শরীর তৈরি হয়েছে পরিশ্রমের জন্য।
প্রশ্ন: একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে কীভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছেন?
উত্তর: আমরা বেশির ভাগ জিনিস গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট মাধ্যমে কিনে থাকি। ফলে এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকে না। আর নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছি। কারণ অনিয়মের মাধ্যমে অদক্ষ জনশক্তি নিলে কখনো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব নয়। শিক্ষকতা হলো একটি মহান পেশা। আমি এই পেশাকে কলুষিত করতে চাই না। আর চাঁদপুর হলো আমার মাতৃভূমির একটা অংশ। তাই এই অংশটার সমস্যা হোক তা আমি মানুষ হিসেবে মেনে নিতে পারি না। স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়াবেই।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
উত্তর: মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার স্বপ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার যা করণীয় তার সর্বোচ্চ করব। আমার বিশ্বাস, পরবর্তী সময়ে যে প্রশাসন আসবে, সঠিকভাবে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। আমার প্রত্যাশা, একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
প্রশ্ন: তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর: তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। মুঠোফোনে বন্দী হয়ে না থেকে তাদের মাঠে যেতে হবে, খেলাধুলা করে শারীরিকভাবে কার্যক্ষম হতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মানসিক শক্তি আসবে, হতাশা কমবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

প্রশ্ন: একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য আপনি, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি আনন্দের ছিল। এই সুযোগ আমার জন্য একটা পরীক্ষা। সুযোগ তখনই আসে, যখন কারও ওপর আস্থা রাখা হয়। আমার ওপর বিশ্বাস রেখে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাই আমার লক্ষ্য।
প্রশ্ন: এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস হয়নি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জের বিষয়।
উত্তর: অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস পাওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চাঁদপুরে চারতলা-পাঁচতলা বিল্ডিংগুলোর রুম ছোট হওয়ায় ক্লাসরুম, কমনরুম, অফিস রুম করার উপযুক্ত ছিল না। আবার অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে রাজি হয়নি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমার মনে হয়েছিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হলে আমাদের যে ৯০টি আসন রয়েছে, সেগুলো ফাঁকা থাকবে। ওই ৯০ জন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়া থেকে বঞ্চিত হবে এবং তারা বিশ্বজনীন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। তাই দ্রুত এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ কী?
উত্তর: শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রথম শর্ত হলো নিরবচ্ছিন্ন একাডেমিক পরিবেশ। যেখানে কোনো শ্রেণি কার্যক্রম বাদ যাবে না, যেখানে কোনো পরীক্ষা বাদ যাবে না। এই নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ আমি নিশ্চিত করতে পেরেছি, যা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখানকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। আমি বলেছি, সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সে যেন ৩৯টি করে ক্লাস হয়। শিক্ষকেরা তা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী ভালোভাবে গড়ে উঠুক। নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস চলমান রাখতে আমরা একাডেমিক ভবন-১-এর পাশাপাশি আরও একটি ভবন ভাড়া নিয়েছি। একাডেমিক ভবন-২ হিসেবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি আছে, যেখানে পর্যাপ্ত বই রাখা হয়েছে। সব বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাব আছে।
আইসিটি, সিএসইর পাশাপাশি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহার করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাবের পাশাপাশি রয়েছে রসায়ন ল্যাব, পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব। আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো আন্তর্জাতিক সেমিনার, প্রতিযোগিতায় যেতে চাইলে আমি তাদের যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা আইডিয়া কনটেস্টে সাফল্য এনেছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: বর্তমান প্রশাসনের হাত ধরে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমে কতটা অগ্রগতি হয়েছে?
উত্তর: আমি নিজে গবেষণায় আছি এবং থাকব। গবেষণায় সাধারণত তিনটি ধাপ রয়েছে। আমাদের একদম নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বলে আমরা গবেষণা কার্যক্রমের প্রথম
ধাপে রয়েছি। অর্থাৎ সাহিত্য পর্যালোচনা ধাপে রয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বই পড়ছে। তাতে নিজেরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে। তখন তারা গবেষণার কার্যক্রম সম্পর্কে বুঝতে শেখে। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার আইডিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। বর্তমানে আমাদের কোনো শিক্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে ইচ্ছুক হলে এবং পেপার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রণোদনা চাইলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সহায়তা করি। চাঁবিপ্রবি শিক্ষকেরা গবেষণাপত্র লিখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রকাশ করছেন।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখবে?
উত্তর: আমার টার্গেট বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করানো, যাতে শিক্ষার্থীরা পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যায়।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?
উত্তর: স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ হচ্ছে—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি। আমাদের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে, সব স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। স্মার্ট সিটিজেন মানে দক্ষ মানবসম্পদ। এই দক্ষ মানবসম্পদ নেতৃত্ব দেবে স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এই দুটোর সমন্বয়ে তৈরি হবে স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি। ফলে বলতে পারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশের একটি অংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছেন, তাঁরা গবেষণার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
উত্তর: দক্ষতা উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামসহ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। আমরা সীমাবদ্ধতার ভেতরে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ প্রশাসক হয়েও আপনার জীবনযাপন সাদামাটা...
উত্তর: বিলাসিতার মধ্যে কোনো সৃষ্টি নেই। যে দেশগুলো বিলাসী বেশি, সেই দেশগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি জমিতে কৃষিকাজ করে কায়িক পরিশ্রম করি। ফলে আমি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারছি। কায়িক পরিশ্রম করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়, শরীর রোগমুক্ত থাকে। এ জন্য আমি নিজে কৃষিকাজ করি। আর আমি বিলাসিতা পছন্দ করি না। মানুষের শরীর তৈরি হয়েছে পরিশ্রমের জন্য।
প্রশ্ন: একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে কীভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছেন?
উত্তর: আমরা বেশির ভাগ জিনিস গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট মাধ্যমে কিনে থাকি। ফলে এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকে না। আর নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছি। কারণ অনিয়মের মাধ্যমে অদক্ষ জনশক্তি নিলে কখনো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব নয়। শিক্ষকতা হলো একটি মহান পেশা। আমি এই পেশাকে কলুষিত করতে চাই না। আর চাঁদপুর হলো আমার মাতৃভূমির একটা অংশ। তাই এই অংশটার সমস্যা হোক তা আমি মানুষ হিসেবে মেনে নিতে পারি না। স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়াবেই।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
উত্তর: মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার স্বপ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার যা করণীয় তার সর্বোচ্চ করব। আমার বিশ্বাস, পরবর্তী সময়ে যে প্রশাসন আসবে, সঠিকভাবে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। আমার প্রত্যাশা, একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
প্রশ্ন: তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর: তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। মুঠোফোনে বন্দী হয়ে না থেকে তাদের মাঠে যেতে হবে, খেলাধুলা করে শারীরিকভাবে কার্যক্ষম হতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মানসিক শক্তি আসবে, হতাশা কমবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।
এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ

প্রশ্ন: একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য আপনি, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি আনন্দের ছিল। এই সুযোগ আমার জন্য একটা পরীক্ষা। সুযোগ তখনই আসে, যখন কারও ওপর আস্থা রাখা হয়। আমার ওপর বিশ্বাস রেখে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাই আমার লক্ষ্য।
প্রশ্ন: এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস হয়নি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জের বিষয়।
উত্তর: অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস পাওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চাঁদপুরে চারতলা-পাঁচতলা বিল্ডিংগুলোর রুম ছোট হওয়ায় ক্লাসরুম, কমনরুম, অফিস রুম করার উপযুক্ত ছিল না। আবার অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে রাজি হয়নি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমার মনে হয়েছিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হলে আমাদের যে ৯০টি আসন রয়েছে, সেগুলো ফাঁকা থাকবে। ওই ৯০ জন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়া থেকে বঞ্চিত হবে এবং তারা বিশ্বজনীন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। তাই দ্রুত এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ কী?
উত্তর: শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রথম শর্ত হলো নিরবচ্ছিন্ন একাডেমিক পরিবেশ। যেখানে কোনো শ্রেণি কার্যক্রম বাদ যাবে না, যেখানে কোনো পরীক্ষা বাদ যাবে না। এই নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ আমি নিশ্চিত করতে পেরেছি, যা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখানকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। আমি বলেছি, সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সে যেন ৩৯টি করে ক্লাস হয়। শিক্ষকেরা তা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী ভালোভাবে গড়ে উঠুক। নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস চলমান রাখতে আমরা একাডেমিক ভবন-১-এর পাশাপাশি আরও একটি ভবন ভাড়া নিয়েছি। একাডেমিক ভবন-২ হিসেবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি আছে, যেখানে পর্যাপ্ত বই রাখা হয়েছে। সব বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাব আছে।
আইসিটি, সিএসইর পাশাপাশি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহার করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাবের পাশাপাশি রয়েছে রসায়ন ল্যাব, পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব। আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো আন্তর্জাতিক সেমিনার, প্রতিযোগিতায় যেতে চাইলে আমি তাদের যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা আইডিয়া কনটেস্টে সাফল্য এনেছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: বর্তমান প্রশাসনের হাত ধরে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমে কতটা অগ্রগতি হয়েছে?
উত্তর: আমি নিজে গবেষণায় আছি এবং থাকব। গবেষণায় সাধারণত তিনটি ধাপ রয়েছে। আমাদের একদম নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বলে আমরা গবেষণা কার্যক্রমের প্রথম
ধাপে রয়েছি। অর্থাৎ সাহিত্য পর্যালোচনা ধাপে রয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বই পড়ছে। তাতে নিজেরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে। তখন তারা গবেষণার কার্যক্রম সম্পর্কে বুঝতে শেখে। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার আইডিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। বর্তমানে আমাদের কোনো শিক্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে ইচ্ছুক হলে এবং পেপার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রণোদনা চাইলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সহায়তা করি। চাঁবিপ্রবি শিক্ষকেরা গবেষণাপত্র লিখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রকাশ করছেন।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখবে?
উত্তর: আমার টার্গেট বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করানো, যাতে শিক্ষার্থীরা পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যায়।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?
উত্তর: স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ হচ্ছে—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি। আমাদের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে, সব স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। স্মার্ট সিটিজেন মানে দক্ষ মানবসম্পদ। এই দক্ষ মানবসম্পদ নেতৃত্ব দেবে স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এই দুটোর সমন্বয়ে তৈরি হবে স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি। ফলে বলতে পারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশের একটি অংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছেন, তাঁরা গবেষণার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
উত্তর: দক্ষতা উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামসহ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। আমরা সীমাবদ্ধতার ভেতরে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ প্রশাসক হয়েও আপনার জীবনযাপন সাদামাটা...
উত্তর: বিলাসিতার মধ্যে কোনো সৃষ্টি নেই। যে দেশগুলো বিলাসী বেশি, সেই দেশগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি জমিতে কৃষিকাজ করে কায়িক পরিশ্রম করি। ফলে আমি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারছি। কায়িক পরিশ্রম করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়, শরীর রোগমুক্ত থাকে। এ জন্য আমি নিজে কৃষিকাজ করি। আর আমি বিলাসিতা পছন্দ করি না। মানুষের শরীর তৈরি হয়েছে পরিশ্রমের জন্য।
প্রশ্ন: একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে কীভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছেন?
উত্তর: আমরা বেশির ভাগ জিনিস গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট মাধ্যমে কিনে থাকি। ফলে এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকে না। আর নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছি। কারণ অনিয়মের মাধ্যমে অদক্ষ জনশক্তি নিলে কখনো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব নয়। শিক্ষকতা হলো একটি মহান পেশা। আমি এই পেশাকে কলুষিত করতে চাই না। আর চাঁদপুর হলো আমার মাতৃভূমির একটা অংশ। তাই এই অংশটার সমস্যা হোক তা আমি মানুষ হিসেবে মেনে নিতে পারি না। স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়াবেই।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
উত্তর: মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার স্বপ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার যা করণীয় তার সর্বোচ্চ করব। আমার বিশ্বাস, পরবর্তী সময়ে যে প্রশাসন আসবে, সঠিকভাবে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। আমার প্রত্যাশা, একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
প্রশ্ন: তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর: তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। মুঠোফোনে বন্দী হয়ে না থেকে তাদের মাঠে যেতে হবে, খেলাধুলা করে শারীরিকভাবে কার্যক্ষম হতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মানসিক শক্তি আসবে, হতাশা কমবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

প্রশ্ন: একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য আপনি, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি আনন্দের ছিল। এই সুযোগ আমার জন্য একটা পরীক্ষা। সুযোগ তখনই আসে, যখন কারও ওপর আস্থা রাখা হয়। আমার ওপর বিশ্বাস রেখে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাই আমার লক্ষ্য।
প্রশ্ন: এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস হয়নি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জের বিষয়।
উত্তর: অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস পাওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চাঁদপুরে চারতলা-পাঁচতলা বিল্ডিংগুলোর রুম ছোট হওয়ায় ক্লাসরুম, কমনরুম, অফিস রুম করার উপযুক্ত ছিল না। আবার অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে রাজি হয়নি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমার মনে হয়েছিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হলে আমাদের যে ৯০টি আসন রয়েছে, সেগুলো ফাঁকা থাকবে। ওই ৯০ জন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়া থেকে বঞ্চিত হবে এবং তারা বিশ্বজনীন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। তাই দ্রুত এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ কী?
উত্তর: শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রথম শর্ত হলো নিরবচ্ছিন্ন একাডেমিক পরিবেশ। যেখানে কোনো শ্রেণি কার্যক্রম বাদ যাবে না, যেখানে কোনো পরীক্ষা বাদ যাবে না। এই নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ আমি নিশ্চিত করতে পেরেছি, যা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখানকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। আমি বলেছি, সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সে যেন ৩৯টি করে ক্লাস হয়। শিক্ষকেরা তা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী ভালোভাবে গড়ে উঠুক। নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস চলমান রাখতে আমরা একাডেমিক ভবন-১-এর পাশাপাশি আরও একটি ভবন ভাড়া নিয়েছি। একাডেমিক ভবন-২ হিসেবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি আছে, যেখানে পর্যাপ্ত বই রাখা হয়েছে। সব বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাব আছে।
আইসিটি, সিএসইর পাশাপাশি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহার করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাবের পাশাপাশি রয়েছে রসায়ন ল্যাব, পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব। আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো আন্তর্জাতিক সেমিনার, প্রতিযোগিতায় যেতে চাইলে আমি তাদের যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা আইডিয়া কনটেস্টে সাফল্য এনেছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: বর্তমান প্রশাসনের হাত ধরে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমে কতটা অগ্রগতি হয়েছে?
উত্তর: আমি নিজে গবেষণায় আছি এবং থাকব। গবেষণায় সাধারণত তিনটি ধাপ রয়েছে। আমাদের একদম নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বলে আমরা গবেষণা কার্যক্রমের প্রথম
ধাপে রয়েছি। অর্থাৎ সাহিত্য পর্যালোচনা ধাপে রয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বই পড়ছে। তাতে নিজেরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে। তখন তারা গবেষণার কার্যক্রম সম্পর্কে বুঝতে শেখে। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার আইডিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। বর্তমানে আমাদের কোনো শিক্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে ইচ্ছুক হলে এবং পেপার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রণোদনা চাইলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সহায়তা করি। চাঁবিপ্রবি শিক্ষকেরা গবেষণাপত্র লিখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রকাশ করছেন।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখবে?
উত্তর: আমার টার্গেট বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করানো, যাতে শিক্ষার্থীরা পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যায়।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?
উত্তর: স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ হচ্ছে—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি। আমাদের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে, সব স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। স্মার্ট সিটিজেন মানে দক্ষ মানবসম্পদ। এই দক্ষ মানবসম্পদ নেতৃত্ব দেবে স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এই দুটোর সমন্বয়ে তৈরি হবে স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি। ফলে বলতে পারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশের একটি অংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছেন, তাঁরা গবেষণার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
উত্তর: দক্ষতা উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামসহ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। আমরা সীমাবদ্ধতার ভেতরে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ প্রশাসক হয়েও আপনার জীবনযাপন সাদামাটা...
উত্তর: বিলাসিতার মধ্যে কোনো সৃষ্টি নেই। যে দেশগুলো বিলাসী বেশি, সেই দেশগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি জমিতে কৃষিকাজ করে কায়িক পরিশ্রম করি। ফলে আমি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারছি। কায়িক পরিশ্রম করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়, শরীর রোগমুক্ত থাকে। এ জন্য আমি নিজে কৃষিকাজ করি। আর আমি বিলাসিতা পছন্দ করি না। মানুষের শরীর তৈরি হয়েছে পরিশ্রমের জন্য।
প্রশ্ন: একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে কীভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছেন?
উত্তর: আমরা বেশির ভাগ জিনিস গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট মাধ্যমে কিনে থাকি। ফলে এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকে না। আর নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছি। কারণ অনিয়মের মাধ্যমে অদক্ষ জনশক্তি নিলে কখনো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব নয়। শিক্ষকতা হলো একটি মহান পেশা। আমি এই পেশাকে কলুষিত করতে চাই না। আর চাঁদপুর হলো আমার মাতৃভূমির একটা অংশ। তাই এই অংশটার সমস্যা হোক তা আমি মানুষ হিসেবে মেনে নিতে পারি না। স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়াবেই।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
উত্তর: মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার স্বপ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার যা করণীয় তার সর্বোচ্চ করব। আমার বিশ্বাস, পরবর্তী সময়ে যে প্রশাসন আসবে, সঠিকভাবে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। আমার প্রত্যাশা, একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
প্রশ্ন: তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর: তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। মুঠোফোনে বন্দী হয়ে না থেকে তাদের মাঠে যেতে হবে, খেলাধুলা করে শারীরিকভাবে কার্যক্ষম হতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মানসিক শক্তি আসবে, হতাশা কমবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১৬ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৭ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৪ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ।
০৩ মার্চ ২০২৪
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৭ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৪ ঘণ্টা আগেশেফাক মাহমুদ, বুটেক্স

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ।
০৩ মার্চ ২০২৪
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১৬ মিনিট আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৭ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ।
০৩ মার্চ ২০২৪
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১৬ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৪ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ।
০৩ মার্চ ২০২৪
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১৬ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৫ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৭ ঘণ্টা আগে