Ajker Patrika

বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাঠকবন্ধুর উদ্যোগ

জীবন কুমার সরকার
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৪১
কর্মশালায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সনদ দেন আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সনদ দেন আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান।

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা–এসব কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। তবে এই যাত্রা সহজ নয়; এর জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত প্রস্তুতি, সঠিক তথ্য ও যথাযথ দিকনির্দেশনা।

এই লক্ষ্য সামনে রেখে সম্প্রতি ‘ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপ’ শিরোনামে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করেন পাঠকবন্ধুর আন্তর্জাতিক শাখার সদস্যরা।

১০ দিনব্যাপী এই কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় ছয় শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীন, মিসরে অধ্যয়নরত ৬ শিক্ষার্থী।

সনদ প্রদান ও পরামর্শ সভা

কর্মশালা শেষে ২১ ফেব্রুয়ারি বনশ্রীতে আজকের পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন তিনি।

কর্মশালার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘দেশে হোক বা বিদেশে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে আমরা কাজ করতে চাই, সে কাজটিই করবে পাঠকবন্ধু।’

কর্মশালার মূল বিষয়

এই কর্মশালায় বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া, স্কলারশিপের সুযোগ, ভাষাগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার গঠনের কৌশল। অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞদের কাছ থেকে বাস্তবধর্মী প্রস্তুতির ধারণাও লাভ করেন।

ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কর্মশালায় অংশ নেওয়া নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ছিল। এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে ব্যাংক সলভেন্সি, এসওপি লেখা, রিকমেন্ডেশন লেটার, ভিসা ইন্টারভিউ-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ হয়েছে।’

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সামসুন নাহার পিংকি বলেন, ‘ওয়ার্কশপে অংশ নিয়ে খুব ভালো লেগেছে। বিদেশে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার যাত্রায় এটি খুব সহায়ক হবে।’

জীবন কুমার সরকার, শ্রেয়া ঘোষ, সাদমান পাশা, মো. আলী ইমাম, খায়রুল ইসলাম, এস এম ফখরুল ইসলাম
জীবন কুমার সরকার, শ্রেয়া ঘোষ, সাদমান পাশা, মো. আলী ইমাম, খায়রুল ইসলাম, এস এম ফখরুল ইসলাম

ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মোত্তাকিয়া নিশাত বলেন, ‘বিদেশে পড়ার স্বপ্ন অনেকের থাকলেও এটি বাস্তবায়ন করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এই কর্মশালা সেই চ্যালেঞ্জ সহজ করতে সহায়ক হয়েছে।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান এবং সহযোগিতায় ছিলেন সহসম্পাদক ইলিয়াস শান্ত।

প্রশিক্ষকদের অভিজ্ঞতা

ওভারসিজ এডুকেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডেন্স ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষক ছিলেন চীনের ন্যানজিং ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক খায়রুল ইসলাম, আমেরিকার হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজের শিক্ষার্থী ডিন’স স্কলার শ্রেয়া ঘোষ, মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এস এম ফখরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের শিক্ষার্থী সাদমান পাশা, চীনের চাংশা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী জীবন কুমার সরকার এবং সাংহাই ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকসের শিক্ষার্থী মো. আলী ইমাম।

খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘এই কর্মশালা উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে।’

শ্রেয়া ঘোষ বলেন, ‘কর্মশালাটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস গঠনের দিক থেকে এটি অত্যন্ত কার্যকর।’

ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদমান পাশা বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ভাষা দক্ষতা, বিশেষত আইইএলটিএসের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজি ও আইইএলটিএস নিয়ে ভয় পান। কর্মশালায় তাঁদের এই ভীতি দূর করার চেষ্টা করেছি।’

পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কর্মশালার আয়োজন করতে চাই। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি আরও সহজ এবং উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ সুগম করতে আমরা অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। অফলাইনেও আমাদের এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত