
তিতুমীর কলেজে বই বিনিময়
জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এ জন্যই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে পাঠকবন্ধু। সংগঠনটির সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার বন্ধুরা বই বিনিময় ও বই আড্ডার আয়োজন করেছিলেন।
তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার হলরুমে ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার এই বই বিনিময় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঠকবন্ধুর তিতুমীর কলেজ শাখার অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব শফিক খান এবং স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর তাকি বিন মহসিন। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আরিফুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, রীমা আক্তার, কাজী সাঈদ বিন রাবি, রাহাদুল হাসান রাতুল, সানজিদা আক্তার সৌরভী ও আল-আমিন হোসেন।
এ সময় বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে বই পড়ার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন। শেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বই বিনিময় করেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনে বইয়ের সঙ্গে যেমন পাঠকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তেমনি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য থাকতে হবে সদিচ্ছা।’
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠকের পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়। আধুনিক যন্ত্রের প্রভাব থেকে বেরিয়ে পাঠকেরা ছাপা কাগজের বইয়ের প্রতি আগ্রহী হন।’
এদিন আয়োজন শেষে পাঠকবন্ধুরা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উপস্থিত বন্ধুদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করবে। বর্তমানে সবাই তো আমরা অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছি, সেখানে সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই।’
চট্টগ্রাম কলেজে বই আড্ডা
এদিকে পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার উদ্যোগেও বই আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বই আড্ডার আলোচ্য বই হিসেবে জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি নির্বাচন করা হয়। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হুমাইরা খানম জেরীনের সঞ্চালনায় কলেজ শাখার পাঠকবন্ধুরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর রাহমান জিকুর সভাপতিত্বে বই আড্ডায় পাঠকবন্ধুরা নিজেদের পঠিত বইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন।
বই আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠকবন্ধু মরিয়ম খানম সেতু। তিনি বলেন, ‘আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এ বইয়ের লেখায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে। অধিকার আদায়ের এই সংগ্রামের পথ ছিল অত্যন্ত কঠিন। বইয়ের আলোচনায় আন্দোলনে যুক্ত প্রত্যেক মানুষের এমন কঠিন আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে। আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রত্যেক সদস্যের চিন্তায় পরিবারের সদস্যদের উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠার কথাও উঠে এসেছে বইটিতে।’
আড্ডায় পাঠকবন্ধু তৈয়বা খানম বলেন, এ বইয়ে যেমন আন্দোলনে যোগ দেওয়া স্বামীর অপেক্ষারত স্ত্রীর সততার কথা আছে, একই সঙ্গে আছে আন্দোলনরত প্রিয়জনকে ভুলে অন্যজনের সঙ্গে স্বপ্ন গড়ার বেদনার কথাও। এখানে সংগ্রামী মানুষের এই প্রিয়জন হারানোর বেদনা ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। সবকিছুর পরও যোদ্ধারা ভাষার অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল। এই অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁরা জীবন বাজি রেখেছিলেন, আলিঙ্গন করেছেন মৃত্যুকে।
বই আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক এহছানুল করিম। এ ছাড়া সদস্য তানজিনা আক্তার চৈতী, তানজিয়াতুন নিসা, রফিক উল্লাহ, সাআদ মাহ্দি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আড্ডার সমাপনী বক্তব্যে এস এম রাহমান জিকু বলেন, জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি মূলত মানবমনে বারুদ জ্বেলেছে। ফুটে উঠেছে কালে কালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে।

তিতুমীর কলেজে বই বিনিময়
জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এ জন্যই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে পাঠকবন্ধু। সংগঠনটির সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার বন্ধুরা বই বিনিময় ও বই আড্ডার আয়োজন করেছিলেন।
তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার হলরুমে ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার এই বই বিনিময় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঠকবন্ধুর তিতুমীর কলেজ শাখার অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব শফিক খান এবং স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর তাকি বিন মহসিন। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আরিফুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, রীমা আক্তার, কাজী সাঈদ বিন রাবি, রাহাদুল হাসান রাতুল, সানজিদা আক্তার সৌরভী ও আল-আমিন হোসেন।
এ সময় বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে বই পড়ার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন। শেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বই বিনিময় করেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনে বইয়ের সঙ্গে যেমন পাঠকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তেমনি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য থাকতে হবে সদিচ্ছা।’
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠকের পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়। আধুনিক যন্ত্রের প্রভাব থেকে বেরিয়ে পাঠকেরা ছাপা কাগজের বইয়ের প্রতি আগ্রহী হন।’
এদিন আয়োজন শেষে পাঠকবন্ধুরা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উপস্থিত বন্ধুদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করবে। বর্তমানে সবাই তো আমরা অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছি, সেখানে সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই।’
চট্টগ্রাম কলেজে বই আড্ডা
এদিকে পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার উদ্যোগেও বই আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বই আড্ডার আলোচ্য বই হিসেবে জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি নির্বাচন করা হয়। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হুমাইরা খানম জেরীনের সঞ্চালনায় কলেজ শাখার পাঠকবন্ধুরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর রাহমান জিকুর সভাপতিত্বে বই আড্ডায় পাঠকবন্ধুরা নিজেদের পঠিত বইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন।
বই আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠকবন্ধু মরিয়ম খানম সেতু। তিনি বলেন, ‘আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এ বইয়ের লেখায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে। অধিকার আদায়ের এই সংগ্রামের পথ ছিল অত্যন্ত কঠিন। বইয়ের আলোচনায় আন্দোলনে যুক্ত প্রত্যেক মানুষের এমন কঠিন আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে। আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রত্যেক সদস্যের চিন্তায় পরিবারের সদস্যদের উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠার কথাও উঠে এসেছে বইটিতে।’
আড্ডায় পাঠকবন্ধু তৈয়বা খানম বলেন, এ বইয়ে যেমন আন্দোলনে যোগ দেওয়া স্বামীর অপেক্ষারত স্ত্রীর সততার কথা আছে, একই সঙ্গে আছে আন্দোলনরত প্রিয়জনকে ভুলে অন্যজনের সঙ্গে স্বপ্ন গড়ার বেদনার কথাও। এখানে সংগ্রামী মানুষের এই প্রিয়জন হারানোর বেদনা ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। সবকিছুর পরও যোদ্ধারা ভাষার অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল। এই অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁরা জীবন বাজি রেখেছিলেন, আলিঙ্গন করেছেন মৃত্যুকে।
বই আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক এহছানুল করিম। এ ছাড়া সদস্য তানজিনা আক্তার চৈতী, তানজিয়াতুন নিসা, রফিক উল্লাহ, সাআদ মাহ্দি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আড্ডার সমাপনী বক্তব্যে এস এম রাহমান জিকু বলেন, জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি মূলত মানবমনে বারুদ জ্বেলেছে। ফুটে উঠেছে কালে কালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে।

তিতুমীর কলেজে বই বিনিময়
জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এ জন্যই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে পাঠকবন্ধু। সংগঠনটির সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার বন্ধুরা বই বিনিময় ও বই আড্ডার আয়োজন করেছিলেন।
তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার হলরুমে ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার এই বই বিনিময় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঠকবন্ধুর তিতুমীর কলেজ শাখার অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব শফিক খান এবং স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর তাকি বিন মহসিন। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আরিফুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, রীমা আক্তার, কাজী সাঈদ বিন রাবি, রাহাদুল হাসান রাতুল, সানজিদা আক্তার সৌরভী ও আল-আমিন হোসেন।
এ সময় বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে বই পড়ার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন। শেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বই বিনিময় করেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনে বইয়ের সঙ্গে যেমন পাঠকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তেমনি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য থাকতে হবে সদিচ্ছা।’
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠকের পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়। আধুনিক যন্ত্রের প্রভাব থেকে বেরিয়ে পাঠকেরা ছাপা কাগজের বইয়ের প্রতি আগ্রহী হন।’
এদিন আয়োজন শেষে পাঠকবন্ধুরা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উপস্থিত বন্ধুদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করবে। বর্তমানে সবাই তো আমরা অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছি, সেখানে সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই।’
চট্টগ্রাম কলেজে বই আড্ডা
এদিকে পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার উদ্যোগেও বই আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বই আড্ডার আলোচ্য বই হিসেবে জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি নির্বাচন করা হয়। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হুমাইরা খানম জেরীনের সঞ্চালনায় কলেজ শাখার পাঠকবন্ধুরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর রাহমান জিকুর সভাপতিত্বে বই আড্ডায় পাঠকবন্ধুরা নিজেদের পঠিত বইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন।
বই আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠকবন্ধু মরিয়ম খানম সেতু। তিনি বলেন, ‘আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এ বইয়ের লেখায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে। অধিকার আদায়ের এই সংগ্রামের পথ ছিল অত্যন্ত কঠিন। বইয়ের আলোচনায় আন্দোলনে যুক্ত প্রত্যেক মানুষের এমন কঠিন আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে। আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রত্যেক সদস্যের চিন্তায় পরিবারের সদস্যদের উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠার কথাও উঠে এসেছে বইটিতে।’
আড্ডায় পাঠকবন্ধু তৈয়বা খানম বলেন, এ বইয়ে যেমন আন্দোলনে যোগ দেওয়া স্বামীর অপেক্ষারত স্ত্রীর সততার কথা আছে, একই সঙ্গে আছে আন্দোলনরত প্রিয়জনকে ভুলে অন্যজনের সঙ্গে স্বপ্ন গড়ার বেদনার কথাও। এখানে সংগ্রামী মানুষের এই প্রিয়জন হারানোর বেদনা ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। সবকিছুর পরও যোদ্ধারা ভাষার অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল। এই অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁরা জীবন বাজি রেখেছিলেন, আলিঙ্গন করেছেন মৃত্যুকে।
বই আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক এহছানুল করিম। এ ছাড়া সদস্য তানজিনা আক্তার চৈতী, তানজিয়াতুন নিসা, রফিক উল্লাহ, সাআদ মাহ্দি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আড্ডার সমাপনী বক্তব্যে এস এম রাহমান জিকু বলেন, জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি মূলত মানবমনে বারুদ জ্বেলেছে। ফুটে উঠেছে কালে কালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে।

তিতুমীর কলেজে বই বিনিময়
জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এ জন্যই তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে পাঠকবন্ধু। সংগঠনটির সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার বন্ধুরা বই বিনিময় ও বই আড্ডার আয়োজন করেছিলেন।
তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার হলরুমে ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার এই বই বিনিময় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঠকবন্ধুর তিতুমীর কলেজ শাখার অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব শফিক খান এবং স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর তাকি বিন মহসিন। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আরিফুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, রীমা আক্তার, কাজী সাঈদ বিন রাবি, রাহাদুল হাসান রাতুল, সানজিদা আক্তার সৌরভী ও আল-আমিন হোসেন।
এ সময় বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে বই পড়ার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা করেন। শেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বই বিনিময় করেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক মিয়া আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনে বইয়ের সঙ্গে যেমন পাঠকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তেমনি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য থাকতে হবে সদিচ্ছা।’
সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠকের পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়। আধুনিক যন্ত্রের প্রভাব থেকে বেরিয়ে পাঠকেরা ছাপা কাগজের বইয়ের প্রতি আগ্রহী হন।’
এদিন আয়োজন শেষে পাঠকবন্ধুরা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উপস্থিত বন্ধুদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করবে। বর্তমানে সবাই তো আমরা অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছি, সেখানে সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই।’
চট্টগ্রাম কলেজে বই আড্ডা
এদিকে পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার উদ্যোগেও বই আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বই আড্ডার আলোচ্য বই হিসেবে জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি নির্বাচন করা হয়। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হুমাইরা খানম জেরীনের সঞ্চালনায় কলেজ শাখার পাঠকবন্ধুরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর রাহমান জিকুর সভাপতিত্বে বই আড্ডায় পাঠকবন্ধুরা নিজেদের পঠিত বইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন।
বই আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠকবন্ধু মরিয়ম খানম সেতু। তিনি বলেন, ‘আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এ বইয়ের লেখায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে। অধিকার আদায়ের এই সংগ্রামের পথ ছিল অত্যন্ত কঠিন। বইয়ের আলোচনায় আন্দোলনে যুক্ত প্রত্যেক মানুষের এমন কঠিন আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে। আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রত্যেক সদস্যের চিন্তায় পরিবারের সদস্যদের উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠার কথাও উঠে এসেছে বইটিতে।’
আড্ডায় পাঠকবন্ধু তৈয়বা খানম বলেন, এ বইয়ে যেমন আন্দোলনে যোগ দেওয়া স্বামীর অপেক্ষারত স্ত্রীর সততার কথা আছে, একই সঙ্গে আছে আন্দোলনরত প্রিয়জনকে ভুলে অন্যজনের সঙ্গে স্বপ্ন গড়ার বেদনার কথাও। এখানে সংগ্রামী মানুষের এই প্রিয়জন হারানোর বেদনা ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। সবকিছুর পরও যোদ্ধারা ভাষার অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল। এই অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁরা জীবন বাজি রেখেছিলেন, আলিঙ্গন করেছেন মৃত্যুকে।
বই আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার আহ্বায়ক এহছানুল করিম। এ ছাড়া সদস্য তানজিনা আক্তার চৈতী, তানজিয়াতুন নিসা, রফিক উল্লাহ, সাআদ মাহ্দি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আড্ডার সমাপনী বক্তব্যে এস এম রাহমান জিকু বলেন, জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি মূলত মানবমনে বারুদ জ্বেলেছে। ফুটে উঠেছে কালে কালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
৩৯ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
৪৩ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেশরিফুল ইসলাম শুভ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে, এ ভয় শুধু তুমি একা পাচ্ছ না; সব পরীক্ষার্থীই কম-বেশি একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তোমার আগে যেসব সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা চান্স পেয়েছেন, তাঁরাও এই একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে গেছেন।
৬ পেপারের প্রস্তুতি
সাধারণত শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষা বা কলেজে একটি বিষয়ের একটি পত্রের পরীক্ষা দিয়ে থাকে (যেমন: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র)। আর এ একটি পত্রের প্রস্তুতিই যেখানে বেশ কঠিন, সেখানে ৬টি পত্রের প্রস্তুতি নেওয়াটা নিশ্চয়ই আরও কঠিন। আর তাই এই কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমেই অসংখ্য পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে অল্পসংখ্যককে বুয়েটে পড়াশোনার জন্য নির্বাচন করা হয়।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মূল কৌশল
তোমার হাতে যখন আর অল্প ক’দিন বাকি আছে, তখন শেষ মুহূর্তে নিজের প্রস্তুতিকে শাণিত করতে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, একাডেমিক থেকে অ্যাডমিশন পর্যন্ত শেখা টপিকগুলো ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে। আর তা করতে হবে তোমার নিজস্ব নোটখাতা থেকে। যদি নিজের ভালোভাবে নোট করা না থাকে তবে যে বইগুলো পড়েছ, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। থিওরির ক্ষেত্রে ডিটেইলস প্রতিপাদন বা লাইন বাই লাইন সব পড়ার দরকার নেই; বরং মূল আইডিয়াগুলো পরিষ্কারভাবে মাথায় রাখতে হবে। আর ম্যাথের ক্ষেত্রে সব ধরনের সূত্র ও প্রশ্নের টাইপ ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।
প্রস্তুতি যেভাবে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবে
দেখো, শুধু রিভিশন করলেই আত্মবিশ্বাস আসবে না। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য অবশ্যই ফাইনাল মডেল টেস্ট দিতে হবে। ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ মিলিয়ে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে এবং তাতে ধীরে ধীরে উন্নতি করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে যাতায়াতে সময় অপচয় হলে বা সুবিধামতো টাইম শিডিউল না পেলে চাইলে অনলাইনেও মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পার। বর্তমানে শিখোসহ বেশ কয়েকটি অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মডেল টেস্টে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে
কয়েকটি ফুল মডেল টেস্ট (বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ) দেওয়ার পর তুমি বুঝতে পারবে, কিছু টপিক তুমি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে উত্তর করতে পারছ। আবার কিছু টপিক থেকে প্রশ্ন এলে তোমার উত্তর করতে কষ্ট হচ্ছে বা মনে থাকছে না। বেছে বেছে সে টপিকগুলো ভালো করে আবার ঝালাই করে নিতে হবে।
মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় বিশেষভাবে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখবে। যেমন: স্পিড মেইনটেইন করা; রিভিশন দেওয়া ও সিলি মিসটেক কমানো।
আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার অভ্যাস করতে হবে
বুয়েট অ্যাডমিশন টেস্টের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাইম শর্টেজ। ৩ ঘণ্টায় ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় চেষ্টা করবে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে লেখা শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে। এতে এক্সাম ডে-তে টাইম ম্যানেজ করা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি শেষে ১০-১৫ মিনিট সময় রাখতে হবে রিভিশনের জন্য। অনেক সময় মেন্টাল প্রেশারের কারণে ছোটখাটো ক্যালকুলেশন মিসটেক হয়ে যায়, যা শেষে রিভিশন দেওয়ার সময় ধরতে পারলে ওভারঅল নম্বর তথা ফলাফল অনেক ভালো হয়।
মডেল টেস্টের খাতাগুলোও রিভিশন দাও
মডেল টেস্ট দিতে গেলে দেখবে, অসংখ্য ছোট ছোট ভুল তোমার নম্বর কমিয়ে দিচ্ছে। আমার পরামর্শ হলো, পরীক্ষার আগের কয়েক দিন গত দুই বছরে তুমি যেসব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছো, সেগুলোর মধ্যে যেসব খাতা তোমার কাছে আছে, সেগুলো একবার করে দেখে যাও। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ভুলের কারণে নম্বর কাটা গেছে, সেগুলোর দিকে ৩০ সেকেন্ড করে ফোকাস করো। এতে ভুলের ব্যাপারে তোমার সেনসিটিভিটি বাড়বে এবং ছোট ছোট ভুল অনেক কমে যাবে।
সবশেষে বলব, প্রস্তুতি যেমনই হোক না কেন, বিশ্বাস রাখবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা হবে তোমার জীবনের বেস্ট পরীক্ষা। আর এক্সাম চলাকালে যদি কোনো প্রশ্ন না পার, তখন ঘাবড়ে যাবে না; বরং ভাববে এটা শুধু আমি না, বাকিরাও সম্ভবত পারছে না। তাই ভয় না পেয়ে যেগুলো পারছ, সেগুলো ভালোভাবে করার চেষ্টা করো। তাহলেই তোমার এক্সাম ভালো হবে। আজ আর বেশি কিছু বলব না। শেষ মুহূর্তে নিজের বেস্ট এফোর্টটা দাও। ইনশা আল্লাহ, তোমার পরীক্ষা অনেক ভালো হবে।
শিক্ষার্থী, ইইই বিভাগ, ১৪ ব্যাচ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে, এ ভয় শুধু তুমি একা পাচ্ছ না; সব পরীক্ষার্থীই কম-বেশি একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তোমার আগে যেসব সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা চান্স পেয়েছেন, তাঁরাও এই একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে গেছেন।
৬ পেপারের প্রস্তুতি
সাধারণত শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষা বা কলেজে একটি বিষয়ের একটি পত্রের পরীক্ষা দিয়ে থাকে (যেমন: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র)। আর এ একটি পত্রের প্রস্তুতিই যেখানে বেশ কঠিন, সেখানে ৬টি পত্রের প্রস্তুতি নেওয়াটা নিশ্চয়ই আরও কঠিন। আর তাই এই কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমেই অসংখ্য পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে অল্পসংখ্যককে বুয়েটে পড়াশোনার জন্য নির্বাচন করা হয়।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মূল কৌশল
তোমার হাতে যখন আর অল্প ক’দিন বাকি আছে, তখন শেষ মুহূর্তে নিজের প্রস্তুতিকে শাণিত করতে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, একাডেমিক থেকে অ্যাডমিশন পর্যন্ত শেখা টপিকগুলো ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে। আর তা করতে হবে তোমার নিজস্ব নোটখাতা থেকে। যদি নিজের ভালোভাবে নোট করা না থাকে তবে যে বইগুলো পড়েছ, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। থিওরির ক্ষেত্রে ডিটেইলস প্রতিপাদন বা লাইন বাই লাইন সব পড়ার দরকার নেই; বরং মূল আইডিয়াগুলো পরিষ্কারভাবে মাথায় রাখতে হবে। আর ম্যাথের ক্ষেত্রে সব ধরনের সূত্র ও প্রশ্নের টাইপ ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।
প্রস্তুতি যেভাবে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবে
দেখো, শুধু রিভিশন করলেই আত্মবিশ্বাস আসবে না। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য অবশ্যই ফাইনাল মডেল টেস্ট দিতে হবে। ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ মিলিয়ে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে এবং তাতে ধীরে ধীরে উন্নতি করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে যাতায়াতে সময় অপচয় হলে বা সুবিধামতো টাইম শিডিউল না পেলে চাইলে অনলাইনেও মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পার। বর্তমানে শিখোসহ বেশ কয়েকটি অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মডেল টেস্টে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে
কয়েকটি ফুল মডেল টেস্ট (বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ) দেওয়ার পর তুমি বুঝতে পারবে, কিছু টপিক তুমি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে উত্তর করতে পারছ। আবার কিছু টপিক থেকে প্রশ্ন এলে তোমার উত্তর করতে কষ্ট হচ্ছে বা মনে থাকছে না। বেছে বেছে সে টপিকগুলো ভালো করে আবার ঝালাই করে নিতে হবে।
মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় বিশেষভাবে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখবে। যেমন: স্পিড মেইনটেইন করা; রিভিশন দেওয়া ও সিলি মিসটেক কমানো।
আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার অভ্যাস করতে হবে
বুয়েট অ্যাডমিশন টেস্টের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাইম শর্টেজ। ৩ ঘণ্টায় ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় চেষ্টা করবে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে লেখা শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে। এতে এক্সাম ডে-তে টাইম ম্যানেজ করা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি শেষে ১০-১৫ মিনিট সময় রাখতে হবে রিভিশনের জন্য। অনেক সময় মেন্টাল প্রেশারের কারণে ছোটখাটো ক্যালকুলেশন মিসটেক হয়ে যায়, যা শেষে রিভিশন দেওয়ার সময় ধরতে পারলে ওভারঅল নম্বর তথা ফলাফল অনেক ভালো হয়।
মডেল টেস্টের খাতাগুলোও রিভিশন দাও
মডেল টেস্ট দিতে গেলে দেখবে, অসংখ্য ছোট ছোট ভুল তোমার নম্বর কমিয়ে দিচ্ছে। আমার পরামর্শ হলো, পরীক্ষার আগের কয়েক দিন গত দুই বছরে তুমি যেসব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছো, সেগুলোর মধ্যে যেসব খাতা তোমার কাছে আছে, সেগুলো একবার করে দেখে যাও। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ভুলের কারণে নম্বর কাটা গেছে, সেগুলোর দিকে ৩০ সেকেন্ড করে ফোকাস করো। এতে ভুলের ব্যাপারে তোমার সেনসিটিভিটি বাড়বে এবং ছোট ছোট ভুল অনেক কমে যাবে।
সবশেষে বলব, প্রস্তুতি যেমনই হোক না কেন, বিশ্বাস রাখবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা হবে তোমার জীবনের বেস্ট পরীক্ষা। আর এক্সাম চলাকালে যদি কোনো প্রশ্ন না পার, তখন ঘাবড়ে যাবে না; বরং ভাববে এটা শুধু আমি না, বাকিরাও সম্ভবত পারছে না। তাই ভয় না পেয়ে যেগুলো পারছ, সেগুলো ভালোভাবে করার চেষ্টা করো। তাহলেই তোমার এক্সাম ভালো হবে। আজ আর বেশি কিছু বলব না। শেষ মুহূর্তে নিজের বেস্ট এফোর্টটা দাও। ইনশা আল্লাহ, তোমার পরীক্ষা অনেক ভালো হবে।
শিক্ষার্থী, ইইই বিভাগ, ১৪ ব্যাচ

একটা সময় ইন্টারনেট ছিল না। তখন মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল বই পড়া। কিন্তু ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে মানুষের বিনোদনের ধারণায় বদল এসেছে। এখন সবকিছুই যেন হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমনির্ভর। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমতে শুরু করেছে। এ রকম একসময়ে রাজধানীর তিতুমীর কলেজ এবং চ
০৩ অক্টোবর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
৪৩ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেমো. ফাহিম ফরহাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে। পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসে, ততই ভর্তি-ইচ্ছুকদের মনে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা, বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পিত কৌশল অনুসরণ করলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
বাংলা
বাংলার ক্ষেত্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র বইয়ের গদ্য, পদ্য, উপন্যাস ও নাটক নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রতিবছর বাংলা পাঠ্যবইয়ের কবি-লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ এবং গদ্য-পদ্যের লাইন থেকে প্রশ্ন আসে। বাংলা ব্যাকরণের সমাস, সন্ধি, শব্দধ্বনি, বাক্য, পদ, ণ-ত্ব বিধান-ষ-ত্ব বিধান এবং মুখস্থ অংশ (বিপরীত শব্দ, পারিভাষিক শব্দ, বাগধারা) গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। যদি কেউ জাবির নৃবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই বাংলায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
ইংরেজি
ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজি। প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় শুধু ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে। জাবির ‘বি’ ইউনিটে প্যাসেজ থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে বাসায় প্যাসেজ অনুশীলন করা জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্র পাঠ্যবইয়ের প্যাসেজ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই সেগুলোও পড়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ইংরেজি গ্রামারের পার্টস অব স্পিচ, সেন্টেন্স, নেরেশন, টেন্স, ভয়েস এ টপিকগুলো গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে এবং ইংরেজি সাহিত্যিক পদ থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।
সাধারণ গণিত
জাবির ‘বি’ ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ রয়েছে। তাই ‘বি’ ইউনিটে সাধারণ গণিত থেকেও ২০টি প্রশ্ন আসে। তবে ভয়ের কিছু নেই। সাধারণ গণিত থেকে আসা প্রশ্নগুলো সহজ এবং মৌলিক ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণ গণিতে বীজগণিত (সাধারণ সূত্র, ফাংশন, সেট, সম্ভাবনা, সমীকরণ, উৎপাদক), পাটিগণিত (ধারা, ল সা গু-গ সা গু, গড়, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, লাভ-ক্ষতি-মুনাফা) এবং জ্যামিতি (সাধারণ ধারণা, ক্ষেত্রফল, পিথাগোরাস, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত) গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ
সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথমত সাময়িক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের জন্য নদী-নালা, বাংলাদেশের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ সাল, বিভিন্ন সংস্থা, পূর্বনাম, পূর্ণরূপ, সদর দপ্তর-ভাষা-মুদ্রা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংসদ ও সরকারব্যবস্থা, সংবিধান—এ টপিকগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অত্যাবশ্যক তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে।
বাজারে যৌক্তিক বিশ্লেষণ বিষয়টির জন্য কিছু বই পাওয়া যায়। সেসব বই থেকে ঘড়ির সময়, বার, দিন, মাস, বছর নির্ণয়, দূরত্ব, নৌকা স্রোত, সংখ্যা সিরিজ, রক্তের সম্পর্ক, প্রতিবিম্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ—এ টপিকগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেহেতু পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নেতিবাচক নম্বর কাটা হবে, তাই মনোযোগসহকারে সঠিক উত্তর চিহ্নিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা তীব্র, তাই সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়া যাবে না, পরিশ্রম একদিন ফলপ্রসূ হবেই।
শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে। পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসে, ততই ভর্তি-ইচ্ছুকদের মনে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা, বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পিত কৌশল অনুসরণ করলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
বাংলা
বাংলার ক্ষেত্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র বইয়ের গদ্য, পদ্য, উপন্যাস ও নাটক নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রতিবছর বাংলা পাঠ্যবইয়ের কবি-লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ এবং গদ্য-পদ্যের লাইন থেকে প্রশ্ন আসে। বাংলা ব্যাকরণের সমাস, সন্ধি, শব্দধ্বনি, বাক্য, পদ, ণ-ত্ব বিধান-ষ-ত্ব বিধান এবং মুখস্থ অংশ (বিপরীত শব্দ, পারিভাষিক শব্দ, বাগধারা) গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। যদি কেউ জাবির নৃবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই বাংলায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
ইংরেজি
ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজি। প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় শুধু ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে। জাবির ‘বি’ ইউনিটে প্যাসেজ থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে বাসায় প্যাসেজ অনুশীলন করা জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্র পাঠ্যবইয়ের প্যাসেজ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই সেগুলোও পড়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ইংরেজি গ্রামারের পার্টস অব স্পিচ, সেন্টেন্স, নেরেশন, টেন্স, ভয়েস এ টপিকগুলো গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে এবং ইংরেজি সাহিত্যিক পদ থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।
সাধারণ গণিত
জাবির ‘বি’ ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ রয়েছে। তাই ‘বি’ ইউনিটে সাধারণ গণিত থেকেও ২০টি প্রশ্ন আসে। তবে ভয়ের কিছু নেই। সাধারণ গণিত থেকে আসা প্রশ্নগুলো সহজ এবং মৌলিক ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণ গণিতে বীজগণিত (সাধারণ সূত্র, ফাংশন, সেট, সম্ভাবনা, সমীকরণ, উৎপাদক), পাটিগণিত (ধারা, ল সা গু-গ সা গু, গড়, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, লাভ-ক্ষতি-মুনাফা) এবং জ্যামিতি (সাধারণ ধারণা, ক্ষেত্রফল, পিথাগোরাস, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত) গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ
সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথমত সাময়িক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের জন্য নদী-নালা, বাংলাদেশের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ সাল, বিভিন্ন সংস্থা, পূর্বনাম, পূর্ণরূপ, সদর দপ্তর-ভাষা-মুদ্রা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংসদ ও সরকারব্যবস্থা, সংবিধান—এ টপিকগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অত্যাবশ্যক তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে।
বাজারে যৌক্তিক বিশ্লেষণ বিষয়টির জন্য কিছু বই পাওয়া যায়। সেসব বই থেকে ঘড়ির সময়, বার, দিন, মাস, বছর নির্ণয়, দূরত্ব, নৌকা স্রোত, সংখ্যা সিরিজ, রক্তের সম্পর্ক, প্রতিবিম্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ—এ টপিকগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেহেতু পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নেতিবাচক নম্বর কাটা হবে, তাই মনোযোগসহকারে সঠিক উত্তর চিহ্নিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা তীব্র, তাই সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়া যাবে না, পরিশ্রম একদিন ফলপ্রসূ হবেই।
শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

একটা সময় ইন্টারনেট ছিল না। তখন মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল বই পড়া। কিন্তু ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে মানুষের বিনোদনের ধারণায় বদল এসেছে। এখন সবকিছুই যেন হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমনির্ভর। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমতে শুরু করেছে। এ রকম একসময়ে রাজধানীর তিতুমীর কলেজ এবং চ
০৩ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
৩৯ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটিতে অর্থায়ন করবে দেশের সরকার। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি উন্মুক্ত।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ও বিশ্বখ্যাত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মোনাশ ইউনিভার্সিটি অন্যতম। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অবস্থিত। গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিত রয়েছে। কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ধারাবাহিকভাবে স্থান করে নিচ্ছে।
আর্থিক সুবিধা
এই বৃত্তিটি যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত একটি সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রদত্ত এ স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব খরচই বহন করা হয়। এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে এবং মাসিক স্টাইপেন্ড বা ভাতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মিলবে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের বিমান টিকিট, নতুন দেশে গিয়ে বসবাস শুরুর জন্য রিলোকেশন অ্যালাউয়েন্স, নিয়মিত লিভিং অ্যালাউয়েন্স, বই ও কোর্স উপকরণের খরচ এবং স্বাস্থ্যসেবা ভাতা।
বৃত্তির ধরন
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ। এর মধ্যে রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম স্কলারশিপ অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অর্থায়নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়। এই বৃত্তির মোট মূল্য সর্বোচ্চ প্রায় ৩২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। একই পরিসরে মোনাশ গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা ডিগ্রির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রয়েছে ম্যাক্সওয়েল কিং পিএইচডি স্কলারশিপ, যা পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে সহায়তা করে। এই বৃত্তির আর্থিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬০০ ডলার। প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন অনুষদে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় মোনাশ সিলভার জুবিলি পিএইচডি স্কলারশিপ। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ডলার। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য রয়েছে রেডন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ। এই বৃত্তির মূল্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার।
আবেদনের যোগ্যতা
দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। এই স্কলারশিপ মূলত প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফল, গবেষণাকর্ম এবং পূর্ববর্তী গবেষণা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ থাকা বাধ্যতামূলক।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
আর্টস, ডিজাইন ও আর্কিটেকচার; হিউম্যানিটিজ এবং সোশ্যাল সায়েন্সেস; বিজনেস; এডুকেশন; ইঞ্জিনিয়ারিং; ইনফরমেশন টেকনোলজি; মেডিসিন; নার্সিং; হেলথ সায়েন্সেস; ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস এবং ল। এ বিষয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
৩১ মার্চ, ২০২৬।

অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটিতে অর্থায়ন করবে দেশের সরকার। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি উন্মুক্ত।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ও বিশ্বখ্যাত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মোনাশ ইউনিভার্সিটি অন্যতম। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অবস্থিত। গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিত রয়েছে। কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ধারাবাহিকভাবে স্থান করে নিচ্ছে।
আর্থিক সুবিধা
এই বৃত্তিটি যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত একটি সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রদত্ত এ স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব খরচই বহন করা হয়। এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে এবং মাসিক স্টাইপেন্ড বা ভাতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মিলবে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের বিমান টিকিট, নতুন দেশে গিয়ে বসবাস শুরুর জন্য রিলোকেশন অ্যালাউয়েন্স, নিয়মিত লিভিং অ্যালাউয়েন্স, বই ও কোর্স উপকরণের খরচ এবং স্বাস্থ্যসেবা ভাতা।
বৃত্তির ধরন
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ। এর মধ্যে রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম স্কলারশিপ অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অর্থায়নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়। এই বৃত্তির মোট মূল্য সর্বোচ্চ প্রায় ৩২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। একই পরিসরে মোনাশ গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা ডিগ্রির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রয়েছে ম্যাক্সওয়েল কিং পিএইচডি স্কলারশিপ, যা পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে সহায়তা করে। এই বৃত্তির আর্থিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬০০ ডলার। প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন অনুষদে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় মোনাশ সিলভার জুবিলি পিএইচডি স্কলারশিপ। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ডলার। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য রয়েছে রেডন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ। এই বৃত্তির মূল্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার।
আবেদনের যোগ্যতা
দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। এই স্কলারশিপ মূলত প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফল, গবেষণাকর্ম এবং পূর্ববর্তী গবেষণা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ থাকা বাধ্যতামূলক।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
আর্টস, ডিজাইন ও আর্কিটেকচার; হিউম্যানিটিজ এবং সোশ্যাল সায়েন্সেস; বিজনেস; এডুকেশন; ইঞ্জিনিয়ারিং; ইনফরমেশন টেকনোলজি; মেডিসিন; নার্সিং; হেলথ সায়েন্সেস; ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস এবং ল। এ বিষয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
৩১ মার্চ, ২০২৬।

একটা সময় ইন্টারনেট ছিল না। তখন মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল বই পড়া। কিন্তু ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে মানুষের বিনোদনের ধারণায় বদল এসেছে। এখন সবকিছুই যেন হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমনির্ভর। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমতে শুরু করেছে। এ রকম একসময়ে রাজধানীর তিতুমীর কলেজ এবং চ
০৩ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
৩৯ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
৪৩ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

একটা সময় ইন্টারনেট ছিল না। তখন মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল বই পড়া। কিন্তু ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে মানুষের বিনোদনের ধারণায় বদল এসেছে। এখন সবকিছুই যেন হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমনির্ভর। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমতে শুরু করেছে। এ রকম একসময়ে রাজধানীর তিতুমীর কলেজ এবং চ
০৩ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
৩৯ মিনিট আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
৪৩ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগে