Ajker Patrika

এশিয়ার সেরা ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে

মুসাররাত আবির
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন

‘সেরা’ বিষয়টি সব সময় ভালো অনুভূতি দেয়। শিক্ষার্থীরাও তাই ভবিষ্যতে সফল হতে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে চান স্বাভাবিকভাবে। আমেরিকা বা ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে পিছিয়ে নেই এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এই অঞ্চলের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আজকের এই আয়োজন। লিখেছেন মুসাররাত আবির

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন

১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করা হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাকাশ গবেষণায় এই বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে।

বৃত্তি

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সিএসসি ও ইয়েনচিং একাডেমি বৃত্তি। আর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য বেইজিং সরকারি বৃত্তি।

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর

১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়।বর্তমানে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, স্মার্ট সিটি ডিজাইন এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর গবেষণা চালাচ্ছে। তারা বিভিন্ন দেশে গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ প্রকল্প পরিচালনা করছে।

বৃত্তি

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রিসার্চ বৃত্তি। আর স্নাতক পর্যায়ে ভালো করলে প্রতি সেমিস্টারে দেওয়া হয় মেরিট বৃত্তি।

ন্যাংইয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিঙ্গাপুর
ন্যাংইয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিঙ্গাপুর

ন্যাংইয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিঙ্গাপুর

১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতে বেশ বিখ্যাত। ন্যাংইয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় টেকসই শক্তি, রোবোটিকস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এর ক্যাম্পাসে রয়েছে আধুনিক গবেষণাগার এবং বিনোদনের নানান সুযোগ-সুবিধা।

বৃত্তি

স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যাংইয়াং রিসার্চ বৃত্তি। স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যাংইয়াং বৃত্তি।

ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়, চীন
ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়, চীন

ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়, চীন

১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় চীনের আইভি লিগ বলে খ্যাত সি৯ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে এর অবস্থান ৩৯তম। ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন প্রায় চার হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। এখানে স্নাতকের প্রথম দুই বছর সাধারণ শিক্ষা নিতে হবে। পরবর্তী দুই বা তিন বছরে নিজের পছন্দের বিষয়ে পড়তে হবে।

বৃত্তি

চীনা সরকারি বৃত্তি, সাংহাই সরকারি বৃত্তি এবং ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি দেওয়া হয়।

হংকং ইউনিভার্সিটি, হংকং
হংকং ইউনিভার্সিটি, হংকং

হংকং ইউনিভার্সিটি, হংকং

এটি হংকংয়ের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের ৯৬টি দেশ থেকে ৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছেন। এখানকার শিক্ষার্থীরা অ্যাপল, আইবিএম, গুগল কিংবা গোল্ডম্যান স্যাকসের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ স্থানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। টানা ১১ বছর ধরে এখানে স্নাতক কর্মসংস্থানের হার ৯৯ দশমিক ৪ শতাংশ।

বৃত্তি

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে হংকং পিএইচডি ফেলোশিপ এবং যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় অসাধারণ ফল করেন, শুধু তাঁদের জন্য হংকং ইউনিভার্সিটি ভর্তি বৃত্তি।

পড়ার যোগ্যতা

চীন

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক করতে হলে এইচএসসি বা এ লেভেলে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ নম্বর কিংবা জিপিএ ৪ স্কেলে জিপিএ ৩ দশমিক ৫ পেতে হবে। স্নাতকোত্তর করার জন্য স্নাতকে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ দশমিক ৪ থাকতে হবে।

চীনা ভাষার দক্ষতা প্রমাণের জন্য এইচএসকে লেভেল ৫ বা ৬ সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ দশমিক ৫ বা টোয়েফল স্কোর থাকবে হবে ন্যূনতম ৯০।

যে বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান, সে বিষয়ে নিজের ক্যারিয়ার চিন্তা নিয়ে ৫০০ থেকে ৮০০ শব্দের রচনা লিখতে হবে। এ ছাড়া থাকতে হবে ২টি রেকমেন্ডেশন লেটার। মেডিসিন বা আইনের মতো বিষয়ে পড়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। স্নাতকোত্তর করার জন্য রিসার্চ প্রপোজাল জমা দিতে হবে।

হংকং

হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক করতে হলে এইচএসসি বা এ লেভেলে ন্যূনতম ৯০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ৩ দশমিক ২ থাকতে হবে। স্যাট বা এসিটিতে ভালো ফল করতে হবে। আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৭ কিংবা টোয়েফল স্কোর থাকতে হবে ন্যূনতম ১০০। সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে হবে। এ ছাড়া ২টি রেকমেন্ডেশন লেটারসহ স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকের জন্য এইচএসসি বা এ লেভেলে ন্যূনতম ৯০ শতাংশ

নম্বর পেতে হবে। স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ দশমিক ২ থাকতে হবে। স্যাট স্কোর ১৩৫০ এর বেশি বা এসিটি স্কোর ৩০ এর বেশি হতে হবে। আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ দশমিক ৫ বা টোয়েফল স্কোর ন্যূনতম ৯২ হতে হবে। এর বাইরে নেতৃত্বের গুণাবলি এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের উল্লেখ থাকতে হবে। লাগবে রেকমেন্ডেশন লেটার। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত