Ajker Patrika

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের ইয়ুথ বোর্ডে প্রথম বাংলাদেশি শ্রেয়া ঘোষ

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের ইয়ুথ বোর্ডে প্রথম বাংলাদেশি শ্রেয়া ঘোষ

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কিডসরাইটসের বৈশ্বিক উদ্যোগ স্টেট অব ইয়ুথের ইয়ুথ বোর্ডে প্রথম জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের শ্রেয়া ঘোষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো তরুণের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার শেষে সাতজনকে বেছে নেওয়া হয়। ২০২৫-২৬ সেশনের এই তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হয়েছেন শ্রেয়া ঘোষ।

কিডসরাইটস শিশু অধিকার সুরক্ষায় কাজ করলেও তাদের স্টেট অব ইয়ুথ তরুণদের ক্ষমতায়নে কাজ করে। ১২ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের নেতৃত্ব গঠনই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এসডিজিভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তরুণদের যুক্ত করাই এর প্রধান উদ্দেশ্য।

২০১৯ সালে মেক্সিকোয় নোবেল পিস লরিয়েটস সম্মেলনে উদ্যোগটির সূচনা হয়। পরে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। তরুণদের দল বা কমিউনিটিকে বলা হয় ‘চ্যাপ্টার’। এসব চ্যাপ্টার সম্পূর্ণ তরুণদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। স্থানীয় সমস্যা নির্ধারণ, ক্যাম্পেইন ও জনসচেতনতামূলক উদ্যোগেই তারা পরিবর্তনের পথে এগোয়।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৫টি দেশে স্টেট অব ইয়ুথের ৩৫৫টি চ্যাপ্টার সক্রিয় ছিল। তবে প্রতিদিনই স্টেট অব ইয়ুথের এই মুভমেন্ট আরও বিস্তৃত হচ্ছে।

শ্রেয়ার পথচলা

২০২১ সালে শ্রেয়া প্রথম আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। তখন তিনি কিডসরাইটসের চ্যাপ্টার লিডার হিসেবে কাজ করছিলেন। শিশু অধিকার, শিক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার সময় একে একে যুক্ত হন ৫০টির বেশি সংগঠনের সঙ্গে। এ সময়ে তিনি অর্জন করেছেন দুই শতাধিক পুরস্কার। শ্রেয়ার ভাষায়, ‘অ্যাপ্লিকেশনে সবচেয়ে জরুরি ছিল—ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখার দক্ষতা।’

কাজ ও ভূমিকা

শ্রেয়া প্রতিষ্ঠা করেন শ্রেয়াস লার্নিং ক্লাসরুম, যেখানে ১ হাজার ৫০০ তরুণ ও শিশু শিক্ষা পায়। ইউনিসেফের শিশু সংসদে তাঁর রয়েছে নীতিনির্ধারণী আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। স্টেট অব ইয়ুথের বৈশ্বিক উদ্যোগেও তিনি নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। শিশু অধিকার প্রচারণা ও কমিউনিটি উদ্যোগেও তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। তরুণদের সমস্যা তুলে ধরতেও তিনি ইউ-রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন।

শিক্ষাজীবন

শ্রেয়া পড়েছেন শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ থেকে মর্যাদাপূর্ণ ডিনস স্কলারশিপ পান।

স্বপ্ন ও প্রত্যয়

বাংলাদেশের তরুণদের নিয়ে শ্রেয়ার ভাবনা খুব আশাব্যঞ্জক। তাঁর ভাষায়, ‘তরুণেরা নিজেরাই নেতৃত্ব দেবে, পরিবর্তন আনবে। আমরা দেখাতে চাই, বাংলাদেশের তরুণেরা পিছিয়ে নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...