Ajker Patrika

উচ্চতর রবীন্দ্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে

রাহুল শর্মা
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ১৬
উচ্চতর রবীন্দ্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে

দেশের ৩৫তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ’ আইন পাস হয় জাতীয় সংসদে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুরে ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল পাঠদান কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের। বর্তমানে পাঁচটি বিভাগে ৮৩৪ জন শিক্ষার্থী, ২৫ জন শিক্ষক ও ১৮০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠার প্রায় অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব ভবন নির্মিত হয়নি। রয়েছে আরও কিছু সমস্যা। এসব বিষয়ে কথা বলেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ আজম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাহুল শর্মা। 

প্রশ্ন: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস হয়নি—এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই? 
শাহ আজম: ভাড়া করা ভবনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মানানসই নয়। তার পরও নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই বাস্তবতা আমাদের মানতেই হবে। 

প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরিতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন?
শাহ আজম: আমি দায়িত্ব নিয়েছি ২০২১ সালের শেষে। দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন কার্যক্রমকে আমার অগ্রাধিকার তালিকার ১ নম্বরে রেখেছি। ইতিমধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে জমা দিয়েছি। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেটি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অচিরেই এটি অনুমোদন হয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী পরিষদে (একনেক) উপস্থাপিত হবে। একনেকে অনুমোদনের পর স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রশ্ন: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রবীন্দ্রনাথ স্মরণে বিশেষ কোনো আয়োজন থাকছে?
শাহ আজম: প্রতিটি দিনই আমাদের কাছে রবীন্দ্রময়। রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও দর্শনকে ধারণ করেই আমাদের পথচলা। সাধারণত আমাদের সব আয়োজনেই একটি রাবীন্দ্রিক আবহ থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে বছরব্যাপী বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়। এবার আমরাও রবীন্দ্র মেলার আয়োজন করব। শিক্ষার্থীরা তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মকেই উপস্থাপন করবে।

ড. মো. শাহ আজম, উপাচার্য, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গবেষণা হচ্ছে কি?
শাহ আজম: বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণার সুযোগ তৈরি হয়। আর এসব গবেষণা তত্ত্বাবধানের জন্য প্রয়োজন জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক। বাস্তবতা হলো, মফস্বলে এসে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকেরা চাকরি করতে আগ্রহী হন না। রবীন্দ্র গবেষণায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এটা বড় প্রতিবন্ধকতা। তার পরও আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক রবীন্দ্রচর্চার সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত আছে। পরিকল্পনা রয়েছে উচ্চতর রবীন্দ্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের। এর মাধ্যমে রবীন্দ্র গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে। সম্প্রতি আমরা একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স করেছিলাম। সেখানে রবীন্দ্রভারতী ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্য এসেছিলেন। কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের দুই শতাধিক গবেষক তাঁদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া সেখানে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে অনেক গবেষণা অভিসন্দর্ভ উপস্থাপিত হয়েছে।

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে চান?
শাহ আজম: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই—এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের বর্তমান কার্যক্রমে এর ছাপ আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তো বটেই, এর সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির যে বিবিধ মাত্রা রয়েছে, সেগুলো যুক্ত করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এতে ভবিষ্যতের চাহিদা যেন পূরণ হয়, সে বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

‘তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু, দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ