নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। প্যানেলটির জিএস (নারী) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বর্জনের ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকার রায়ের প্রতিফলন ঘটছে না। এসবের প্রতিবাদে আমরা বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি।’
আজ বৃহস্পতিবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেয় ছাত্রদলের প্যানেল।
বৈশাখী আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল রাত থেকেই আশঙ্কা করছিলাম এই নির্বাচন হবে একটি পাতানো নির্বাচন। যখন আমরা দেখলাম যে জামায়াতের একজন নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আনা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যে আমাদের নিজেদের আমরা নির্দলীয় কোনো নির্দলীয় ম্যাটেরিয়ালসগুলো আনব, তারপরেও যখন এটা করেছে, আমরা তখন থেকেই আশঙ্কা করছি এই নির্বাচন হবে পাতানো নির্বাচন। তো আজকে যখন আমরা নির্বাচনের দিন আসলাম, আমরা বেশ কিছু অসংগতি লক্ষ্য করলাম।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমত, কোনো হলে এমন কালি দেওয়া হয়নি যেটা নির্বাচনের জন্য যেটা দেওয়া হয়। প্রত্যেকটা হলের যে কালিগুলো দেওয়া হয়েছে ভোটের পর, সেগুলো মুছে গেছে। আপনারা দেখবেন, আমাদের কারও আঙুলে কালি নেই। আমরা কিন্তু ভোট দিয়েছি।
এরপরে, তাজউদ্দীন হলে আমাদের ভিপি প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং তাঁর সঙ্গে প্রচুর মিসবিহেভ করা হয়েছে। তাজউদ্দীন হলের আরও একটা অসংগতি হচ্ছে সেখানে ভোটার লিস্টে কোনো ছবি নেই। ছবি না থাকার কারণে সেখানে নির্বাচন দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
২১ নম্বর হলে ছেলেদের মব সৃষ্টি করা হয়। মেয়েদের জাহানারা ইমাম হলে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পাওয়া যায়। সেখানেও একটি মব সৃষ্টি করা হয়। এবং এই যে অভিযোগটা এসেছে, কিন্তু শিবির প্যানেলের বিরুদ্ধে।’
জিএস প্রার্থী তানজিলা বলেন, ‘শিবিরের যে ক্যান্ডিডেট আছে মেঘলা, তিনি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের কার্ড নিয়ে সবগুলো হলের একদম রেস্ট্রিক্টেড জোনেও প্রবেশ করছেন। যেখানে অন্য কাউকে, অন্য কাউকে, স্পেশালি আমাদের যে প্যানেল আছে, তাদের কাউকে কিন্তু প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শিবির নেত্রী মেঘলাকে বাধা দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। অভিযোগ এসেছে যে মেঘলার কারচুপির কারণে একটি হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়েছে। ডেইলি সমকালে এই নিউজ এসেছে। অন্য ক্যান্ডিডেটরাও এই কমপ্লেন করেছে, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
ছাত্রদল সমর্থিত এই জিএস প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমরা যে কারণে, যে আশঙ্কার কারণে জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন চাইনি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং আমরা সবাই মিলে প্রশ্ন তুলেছিলাম এটা বন্ধ করতে হবে এবং প্রশাসন বন্ধ করেছিল, সেই একই জামায়াত নেতার ব্যালট দিয়ে নির্বাচন কিন্তু গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেখেছি একটি হলে যে ব্যালট পেপার আছে, সেই ব্যালট পেপারের মধ্যে কার্যকরী সদস্যদের তিনজন ভোট দেওয়ার কথা, কিন্তু সেখানে লেখা আছে একজনকে ভোট দিন। তাহলে এই ব্যালট পেপারের মধ্যে পার্থক্যটা কেন থাকবে? যদি ব্যালট পেপারে কোনো অসংগতি না থাকে, সব হলে আমাদের যে পোলিং এজেন্ট আছে, তাদের থাকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা দেখেছি সকাল আটটা থেকে শিবির, শিবিরের যে পোলিং এজেন্ট আছে, তাদের কিন্তু নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।’
অপরদিকে ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছেপেছে? আমাদের প্রশ্ন, জামায়াত নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো ব্যালট ১০-২০ শতাংশ এক্সট্রা শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা? হলগুলোতে আমাদের প্রার্থী এজেন্টদের যে বাধা দেওয়া হয়েছে, ওই জাল ব্যালট দিয়ে ভোট কাস্ট করা হয়েছে কিনা? আমরা লক্ষ্য করেছি মেয়েদের হলগুলোতে আইডি কার্ড চেঞ্জ করে করে একই মেয়ে বারবার ভোট দিতে গেছে। কিন্তু প্রশাসন সে ক্ষেত্রে নীরব থেকেছে। আমাদের যারা ক্যান্ডিডেট আছি, তাঁদের বিরুদ্ধে শিবিরপন্থী সাংবাদিকেরাও কিন্তু খুব খারাপ আচরণ করেছে। মব সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের যে নির্বাচন, সেটা টোটালি ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটা একটা পরিপূর্ণ কারচুপির নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচন। আমরা দাবি করেছিলাম জামায়াত নেতার ছাপানো ব্যালট বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে। উপাচার্য ও রিটার্নিং অফিসার আমাদের দাবি মানেন নাই। তারা যে কারণে জামায়াত নেতার সাপ্লাই করা ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা বন্ধ করেছে, সেই একই কারণে জামায়াতের সাপ্লাই করা ব্যালটে ফেয়ার ইলেকশন হচ্ছে না। আমরা আমরা দাবি করেছি একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকে ডাইরেক্ট টেলিকাস্টসহ ভিডিও ক্যামেরা সাপ্লাই দিয়ে সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে শিবিরকে পুরো ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।’

জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। প্যানেলটির জিএস (নারী) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বর্জনের ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকার রায়ের প্রতিফলন ঘটছে না। এসবের প্রতিবাদে আমরা বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি।’
আজ বৃহস্পতিবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেয় ছাত্রদলের প্যানেল।
বৈশাখী আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল রাত থেকেই আশঙ্কা করছিলাম এই নির্বাচন হবে একটি পাতানো নির্বাচন। যখন আমরা দেখলাম যে জামায়াতের একজন নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আনা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যে আমাদের নিজেদের আমরা নির্দলীয় কোনো নির্দলীয় ম্যাটেরিয়ালসগুলো আনব, তারপরেও যখন এটা করেছে, আমরা তখন থেকেই আশঙ্কা করছি এই নির্বাচন হবে পাতানো নির্বাচন। তো আজকে যখন আমরা নির্বাচনের দিন আসলাম, আমরা বেশ কিছু অসংগতি লক্ষ্য করলাম।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমত, কোনো হলে এমন কালি দেওয়া হয়নি যেটা নির্বাচনের জন্য যেটা দেওয়া হয়। প্রত্যেকটা হলের যে কালিগুলো দেওয়া হয়েছে ভোটের পর, সেগুলো মুছে গেছে। আপনারা দেখবেন, আমাদের কারও আঙুলে কালি নেই। আমরা কিন্তু ভোট দিয়েছি।
এরপরে, তাজউদ্দীন হলে আমাদের ভিপি প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং তাঁর সঙ্গে প্রচুর মিসবিহেভ করা হয়েছে। তাজউদ্দীন হলের আরও একটা অসংগতি হচ্ছে সেখানে ভোটার লিস্টে কোনো ছবি নেই। ছবি না থাকার কারণে সেখানে নির্বাচন দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
২১ নম্বর হলে ছেলেদের মব সৃষ্টি করা হয়। মেয়েদের জাহানারা ইমাম হলে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পাওয়া যায়। সেখানেও একটি মব সৃষ্টি করা হয়। এবং এই যে অভিযোগটা এসেছে, কিন্তু শিবির প্যানেলের বিরুদ্ধে।’
জিএস প্রার্থী তানজিলা বলেন, ‘শিবিরের যে ক্যান্ডিডেট আছে মেঘলা, তিনি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের কার্ড নিয়ে সবগুলো হলের একদম রেস্ট্রিক্টেড জোনেও প্রবেশ করছেন। যেখানে অন্য কাউকে, অন্য কাউকে, স্পেশালি আমাদের যে প্যানেল আছে, তাদের কাউকে কিন্তু প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শিবির নেত্রী মেঘলাকে বাধা দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। অভিযোগ এসেছে যে মেঘলার কারচুপির কারণে একটি হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়েছে। ডেইলি সমকালে এই নিউজ এসেছে। অন্য ক্যান্ডিডেটরাও এই কমপ্লেন করেছে, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
ছাত্রদল সমর্থিত এই জিএস প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমরা যে কারণে, যে আশঙ্কার কারণে জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন চাইনি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং আমরা সবাই মিলে প্রশ্ন তুলেছিলাম এটা বন্ধ করতে হবে এবং প্রশাসন বন্ধ করেছিল, সেই একই জামায়াত নেতার ব্যালট দিয়ে নির্বাচন কিন্তু গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেখেছি একটি হলে যে ব্যালট পেপার আছে, সেই ব্যালট পেপারের মধ্যে কার্যকরী সদস্যদের তিনজন ভোট দেওয়ার কথা, কিন্তু সেখানে লেখা আছে একজনকে ভোট দিন। তাহলে এই ব্যালট পেপারের মধ্যে পার্থক্যটা কেন থাকবে? যদি ব্যালট পেপারে কোনো অসংগতি না থাকে, সব হলে আমাদের যে পোলিং এজেন্ট আছে, তাদের থাকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা দেখেছি সকাল আটটা থেকে শিবির, শিবিরের যে পোলিং এজেন্ট আছে, তাদের কিন্তু নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।’
অপরদিকে ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছেপেছে? আমাদের প্রশ্ন, জামায়াত নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো ব্যালট ১০-২০ শতাংশ এক্সট্রা শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা? হলগুলোতে আমাদের প্রার্থী এজেন্টদের যে বাধা দেওয়া হয়েছে, ওই জাল ব্যালট দিয়ে ভোট কাস্ট করা হয়েছে কিনা? আমরা লক্ষ্য করেছি মেয়েদের হলগুলোতে আইডি কার্ড চেঞ্জ করে করে একই মেয়ে বারবার ভোট দিতে গেছে। কিন্তু প্রশাসন সে ক্ষেত্রে নীরব থেকেছে। আমাদের যারা ক্যান্ডিডেট আছি, তাঁদের বিরুদ্ধে শিবিরপন্থী সাংবাদিকেরাও কিন্তু খুব খারাপ আচরণ করেছে। মব সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের যে নির্বাচন, সেটা টোটালি ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটা একটা পরিপূর্ণ কারচুপির নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচন। আমরা দাবি করেছিলাম জামায়াত নেতার ছাপানো ব্যালট বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে। উপাচার্য ও রিটার্নিং অফিসার আমাদের দাবি মানেন নাই। তারা যে কারণে জামায়াত নেতার সাপ্লাই করা ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা বন্ধ করেছে, সেই একই কারণে জামায়াতের সাপ্লাই করা ব্যালটে ফেয়ার ইলেকশন হচ্ছে না। আমরা আমরা দাবি করেছি একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকে ডাইরেক্ট টেলিকাস্টসহ ভিডিও ক্যামেরা সাপ্লাই দিয়ে সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে শিবিরকে পুরো ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। প্যানেলটির জিএস (নারী) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বর্জনের ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকার রায়ের প্রতিফলন ঘটছে না। এসবের প্রতিবাদে আমরা বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি।’
আজ বৃহস্পতিবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেয় ছাত্রদলের প্যানেল।
বৈশাখী আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল রাত থেকেই আশঙ্কা করছিলাম এই নির্বাচন হবে একটি পাতানো নির্বাচন। যখন আমরা দেখলাম যে জামায়াতের একজন নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আনা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যে আমাদের নিজেদের আমরা নির্দলীয় কোনো নির্দলীয় ম্যাটেরিয়ালসগুলো আনব, তারপরেও যখন এটা করেছে, আমরা তখন থেকেই আশঙ্কা করছি এই নির্বাচন হবে পাতানো নির্বাচন। তো আজকে যখন আমরা নির্বাচনের দিন আসলাম, আমরা বেশ কিছু অসংগতি লক্ষ্য করলাম।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমত, কোনো হলে এমন কালি দেওয়া হয়নি যেটা নির্বাচনের জন্য যেটা দেওয়া হয়। প্রত্যেকটা হলের যে কালিগুলো দেওয়া হয়েছে ভোটের পর, সেগুলো মুছে গেছে। আপনারা দেখবেন, আমাদের কারও আঙুলে কালি নেই। আমরা কিন্তু ভোট দিয়েছি।
এরপরে, তাজউদ্দীন হলে আমাদের ভিপি প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং তাঁর সঙ্গে প্রচুর মিসবিহেভ করা হয়েছে। তাজউদ্দীন হলের আরও একটা অসংগতি হচ্ছে সেখানে ভোটার লিস্টে কোনো ছবি নেই। ছবি না থাকার কারণে সেখানে নির্বাচন দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
২১ নম্বর হলে ছেলেদের মব সৃষ্টি করা হয়। মেয়েদের জাহানারা ইমাম হলে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পাওয়া যায়। সেখানেও একটি মব সৃষ্টি করা হয়। এবং এই যে অভিযোগটা এসেছে, কিন্তু শিবির প্যানেলের বিরুদ্ধে।’
জিএস প্রার্থী তানজিলা বলেন, ‘শিবিরের যে ক্যান্ডিডেট আছে মেঘলা, তিনি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের কার্ড নিয়ে সবগুলো হলের একদম রেস্ট্রিক্টেড জোনেও প্রবেশ করছেন। যেখানে অন্য কাউকে, অন্য কাউকে, স্পেশালি আমাদের যে প্যানেল আছে, তাদের কাউকে কিন্তু প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শিবির নেত্রী মেঘলাকে বাধা দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। অভিযোগ এসেছে যে মেঘলার কারচুপির কারণে একটি হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়েছে। ডেইলি সমকালে এই নিউজ এসেছে। অন্য ক্যান্ডিডেটরাও এই কমপ্লেন করেছে, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
ছাত্রদল সমর্থিত এই জিএস প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমরা যে কারণে, যে আশঙ্কার কারণে জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন চাইনি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং আমরা সবাই মিলে প্রশ্ন তুলেছিলাম এটা বন্ধ করতে হবে এবং প্রশাসন বন্ধ করেছিল, সেই একই জামায়াত নেতার ব্যালট দিয়ে নির্বাচন কিন্তু গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেখেছি একটি হলে যে ব্যালট পেপার আছে, সেই ব্যালট পেপারের মধ্যে কার্যকরী সদস্যদের তিনজন ভোট দেওয়ার কথা, কিন্তু সেখানে লেখা আছে একজনকে ভোট দিন। তাহলে এই ব্যালট পেপারের মধ্যে পার্থক্যটা কেন থাকবে? যদি ব্যালট পেপারে কোনো অসংগতি না থাকে, সব হলে আমাদের যে পোলিং এজেন্ট আছে, তাদের থাকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা দেখেছি সকাল আটটা থেকে শিবির, শিবিরের যে পোলিং এজেন্ট আছে, তাদের কিন্তু নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।’
অপরদিকে ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছেপেছে? আমাদের প্রশ্ন, জামায়াত নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো ব্যালট ১০-২০ শতাংশ এক্সট্রা শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা? হলগুলোতে আমাদের প্রার্থী এজেন্টদের যে বাধা দেওয়া হয়েছে, ওই জাল ব্যালট দিয়ে ভোট কাস্ট করা হয়েছে কিনা? আমরা লক্ষ্য করেছি মেয়েদের হলগুলোতে আইডি কার্ড চেঞ্জ করে করে একই মেয়ে বারবার ভোট দিতে গেছে। কিন্তু প্রশাসন সে ক্ষেত্রে নীরব থেকেছে। আমাদের যারা ক্যান্ডিডেট আছি, তাঁদের বিরুদ্ধে শিবিরপন্থী সাংবাদিকেরাও কিন্তু খুব খারাপ আচরণ করেছে। মব সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের যে নির্বাচন, সেটা টোটালি ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটা একটা পরিপূর্ণ কারচুপির নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচন। আমরা দাবি করেছিলাম জামায়াত নেতার ছাপানো ব্যালট বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে। উপাচার্য ও রিটার্নিং অফিসার আমাদের দাবি মানেন নাই। তারা যে কারণে জামায়াত নেতার সাপ্লাই করা ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা বন্ধ করেছে, সেই একই কারণে জামায়াতের সাপ্লাই করা ব্যালটে ফেয়ার ইলেকশন হচ্ছে না। আমরা আমরা দাবি করেছি একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকে ডাইরেক্ট টেলিকাস্টসহ ভিডিও ক্যামেরা সাপ্লাই দিয়ে সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে শিবিরকে পুরো ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।’

জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। প্যানেলটির জিএস (নারী) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বর্জনের ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকার রায়ের প্রতিফলন ঘটছে না। এসবের প্রতিবাদে আমরা বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি।’
আজ বৃহস্পতিবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেয় ছাত্রদলের প্যানেল।
বৈশাখী আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল রাত থেকেই আশঙ্কা করছিলাম এই নির্বাচন হবে একটি পাতানো নির্বাচন। যখন আমরা দেখলাম যে জামায়াতের একজন নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আনা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যে আমাদের নিজেদের আমরা নির্দলীয় কোনো নির্দলীয় ম্যাটেরিয়ালসগুলো আনব, তারপরেও যখন এটা করেছে, আমরা তখন থেকেই আশঙ্কা করছি এই নির্বাচন হবে পাতানো নির্বাচন। তো আজকে যখন আমরা নির্বাচনের দিন আসলাম, আমরা বেশ কিছু অসংগতি লক্ষ্য করলাম।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমত, কোনো হলে এমন কালি দেওয়া হয়নি যেটা নির্বাচনের জন্য যেটা দেওয়া হয়। প্রত্যেকটা হলের যে কালিগুলো দেওয়া হয়েছে ভোটের পর, সেগুলো মুছে গেছে। আপনারা দেখবেন, আমাদের কারও আঙুলে কালি নেই। আমরা কিন্তু ভোট দিয়েছি।
এরপরে, তাজউদ্দীন হলে আমাদের ভিপি প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং তাঁর সঙ্গে প্রচুর মিসবিহেভ করা হয়েছে। তাজউদ্দীন হলের আরও একটা অসংগতি হচ্ছে সেখানে ভোটার লিস্টে কোনো ছবি নেই। ছবি না থাকার কারণে সেখানে নির্বাচন দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
২১ নম্বর হলে ছেলেদের মব সৃষ্টি করা হয়। মেয়েদের জাহানারা ইমাম হলে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পাওয়া যায়। সেখানেও একটি মব সৃষ্টি করা হয়। এবং এই যে অভিযোগটা এসেছে, কিন্তু শিবির প্যানেলের বিরুদ্ধে।’
জিএস প্রার্থী তানজিলা বলেন, ‘শিবিরের যে ক্যান্ডিডেট আছে মেঘলা, তিনি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের কার্ড নিয়ে সবগুলো হলের একদম রেস্ট্রিক্টেড জোনেও প্রবেশ করছেন। যেখানে অন্য কাউকে, অন্য কাউকে, স্পেশালি আমাদের যে প্যানেল আছে, তাদের কাউকে কিন্তু প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শিবির নেত্রী মেঘলাকে বাধা দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। অভিযোগ এসেছে যে মেঘলার কারচুপির কারণে একটি হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়েছে। ডেইলি সমকালে এই নিউজ এসেছে। অন্য ক্যান্ডিডেটরাও এই কমপ্লেন করেছে, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
ছাত্রদল সমর্থিত এই জিএস প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমরা যে কারণে, যে আশঙ্কার কারণে জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন চাইনি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং আমরা সবাই মিলে প্রশ্ন তুলেছিলাম এটা বন্ধ করতে হবে এবং প্রশাসন বন্ধ করেছিল, সেই একই জামায়াত নেতার ব্যালট দিয়ে নির্বাচন কিন্তু গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেখেছি একটি হলে যে ব্যালট পেপার আছে, সেই ব্যালট পেপারের মধ্যে কার্যকরী সদস্যদের তিনজন ভোট দেওয়ার কথা, কিন্তু সেখানে লেখা আছে একজনকে ভোট দিন। তাহলে এই ব্যালট পেপারের মধ্যে পার্থক্যটা কেন থাকবে? যদি ব্যালট পেপারে কোনো অসংগতি না থাকে, সব হলে আমাদের যে পোলিং এজেন্ট আছে, তাদের থাকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা দেখেছি সকাল আটটা থেকে শিবির, শিবিরের যে পোলিং এজেন্ট আছে, তাদের কিন্তু নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।’
অপরদিকে ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছেপেছে? আমাদের প্রশ্ন, জামায়াত নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো ব্যালট ১০-২০ শতাংশ এক্সট্রা শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা? হলগুলোতে আমাদের প্রার্থী এজেন্টদের যে বাধা দেওয়া হয়েছে, ওই জাল ব্যালট দিয়ে ভোট কাস্ট করা হয়েছে কিনা? আমরা লক্ষ্য করেছি মেয়েদের হলগুলোতে আইডি কার্ড চেঞ্জ করে করে একই মেয়ে বারবার ভোট দিতে গেছে। কিন্তু প্রশাসন সে ক্ষেত্রে নীরব থেকেছে। আমাদের যারা ক্যান্ডিডেট আছি, তাঁদের বিরুদ্ধে শিবিরপন্থী সাংবাদিকেরাও কিন্তু খুব খারাপ আচরণ করেছে। মব সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের যে নির্বাচন, সেটা টোটালি ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটা একটা পরিপূর্ণ কারচুপির নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচন। আমরা দাবি করেছিলাম জামায়াত নেতার ছাপানো ব্যালট বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে। উপাচার্য ও রিটার্নিং অফিসার আমাদের দাবি মানেন নাই। তারা যে কারণে জামায়াত নেতার সাপ্লাই করা ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা বন্ধ করেছে, সেই একই কারণে জামায়াতের সাপ্লাই করা ব্যালটে ফেয়ার ইলেকশন হচ্ছে না। আমরা আমরা দাবি করেছি একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকে ডাইরেক্ট টেলিকাস্টসহ ভিডিও ক্যামেরা সাপ্লাই দিয়ে সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে শিবিরকে পুরো ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
৮ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। প্যানেলটির জিএস (নারী) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বর্জনের ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকার রায়ের প্রতিফলন ঘটছে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
৮ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে।
৯ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। প্যানেলটির জিএস (নারী) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বর্জনের ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকার রায়ের প্রতিফলন ঘটছে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে।
৯ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খান, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিশেষ সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক এবং বিশেষ সহকারী মো. মাজেদ-উল-হক এবং প্রভাষক ও বিশেষ সহকারী এস এম আবদুল্লাহ শাফি।
অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত ও প্রতিযোগিতামূলক গেমিং অঙ্গনে। পাবজি মোবাইল প্রতিযোগিতার অনলাইন কোয়ালিফায়ার পর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ৩২টি দল সেমিফাইনালে এবং পরবর্তী সময়ে ১৬টি দল ক্যাম্পাস ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত দিনে অনুষ্ঠিত চারটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ভ্যালোরান্ট বিভাগে অনলাইন লোয়ার-ব্র্যাকেট পর্ব ও ক্যাম্পাসে ল্যান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। লোয়ার-ব্র্যাকেট থেকে উঠে এসে অলস্টারস দল গ্র্যান্ড ফাইনালে ন্যাক্সআর ই-স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়। তিন ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ পর্যন্ত অলস্টারস চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে।
এ ছাড়া উৎসবে মোবাইল লেজেন্ডস: ব্যাঙ ব্যাঙ (এমএলবিবি), এফসি ২৫ এবং ই-ফুটবল প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এমএলবিবি বিভাগে ভাইপার স্ট্রাইকার্স, এফসি ২৫ বিভাগে নিও, ই-ফুটবল একক বিভাগে শাওন শান্ত এবং দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। বক্তারা আয়োজনের ব্যাপ্তি, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তিনজন সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, এআইইউবি ই-স্পোর্টস ক্লাব ও এআইইউবি পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খান, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিশেষ সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক এবং বিশেষ সহকারী মো. মাজেদ-উল-হক এবং প্রভাষক ও বিশেষ সহকারী এস এম আবদুল্লাহ শাফি।
অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত ও প্রতিযোগিতামূলক গেমিং অঙ্গনে। পাবজি মোবাইল প্রতিযোগিতার অনলাইন কোয়ালিফায়ার পর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ৩২টি দল সেমিফাইনালে এবং পরবর্তী সময়ে ১৬টি দল ক্যাম্পাস ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত দিনে অনুষ্ঠিত চারটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ভ্যালোরান্ট বিভাগে অনলাইন লোয়ার-ব্র্যাকেট পর্ব ও ক্যাম্পাসে ল্যান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। লোয়ার-ব্র্যাকেট থেকে উঠে এসে অলস্টারস দল গ্র্যান্ড ফাইনালে ন্যাক্সআর ই-স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়। তিন ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ পর্যন্ত অলস্টারস চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে।
এ ছাড়া উৎসবে মোবাইল লেজেন্ডস: ব্যাঙ ব্যাঙ (এমএলবিবি), এফসি ২৫ এবং ই-ফুটবল প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এমএলবিবি বিভাগে ভাইপার স্ট্রাইকার্স, এফসি ২৫ বিভাগে নিও, ই-ফুটবল একক বিভাগে শাওন শান্ত এবং দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। বক্তারা আয়োজনের ব্যাপ্তি, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তিনজন সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, এআইইউবি ই-স্পোর্টস ক্লাব ও এআইইউবি পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। প্যানেলটির জিএস (নারী) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বর্জনের ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকার রায়ের প্রতিফলন ঘটছে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
৮ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে।
৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক


নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। একদিকে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ, অন্যদিকে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার দৃঢ়সংকল্প। বাস্তবতা ও স্বপ্নের এ মিশ্রণই নতুন বছরে তাঁদের প্রত্যাশাকে করে তোলে গভীর ও অর্থবহ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেই ভাবনা ও প্রত্যাশার কথাই তুলে ধরছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব আল হাসান।

ক্যাম্পাস হোক রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত
মো. আশিক মাহমুদ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর আমার কাছে শুধু সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের সুযোগ। আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা হবে রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত; যেখানে জ্ঞানচর্চাই হবে মুখ্য। ক্লাসরুমে ফিরে আসুক শিক্ষার প্রকৃত জৌলুশ ও গুণগত মান। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতে, যেন যোগ্যতার ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত কর্মজীবনের পথে এগোতে পারি। একই সঙ্গে জাগতিক সাফল্যের ভিড়ে হারিয়ে না গিয়ে মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠাই হোক নতুন বছরের লক্ষ্য।

সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক
রাইসা আমিন, শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর মানে আমার কাছে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ। আমি প্রত্যাশা করি, শিক্ষাঙ্গন হবে আরও প্রাণবন্ত, গবেষণামুখী এবং সহমর্মিতায় পরিপূর্ণ। পড়াশোনার পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা বাড়ুক। মতের ভিন্নতা থাকলেও পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় থাকুক—মতভেদ হোক, কিন্তু বিভেদ নয়। সহপাঠীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। ব্যক্তিগত জীবনে সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং লক্ষ্যভিত্তিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চাই।

তরুণ প্রজন্মের অন্তরে এক অদম্য আশার স্রোত
মো. মাহামুদুল হাসান, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছরের সূচনায় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অন্তরে জেগে উঠেছে এক অদম্য আশার স্রোত। আর্থসামাজিক অস্থিরতা, বেকারত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রযুক্তির অগ্রগতি; বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইনের মতো ক্ষেত্র—আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। প্রতিহিংসা নয়, বরং ন্যায়ভিত্তিক ও স্বনির্ভর সমাজ গঠনের স্বপ্নই আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ যুবশক্তির হাত ধরে বাংলাদেশ পৌঁছাবে নতুন উচ্চতায়।

গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাক
মেহরাজ হোসেন, শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর একদিকে যেমন বিদায়ের বার্তা দেয়, অন্যদিকে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দেয়। সাম্প্রতিক আন্দোলনের ইতিবাচক প্রভাবে ক্যাম্পাসগুলোতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন, র্যাগিং ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান—সবই শিক্ষার্থীদের সচেতনতার প্রতিফলন। নতুন বছরে প্রত্যাশা, ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও এগিয়ে যাবে জ্ঞান ও গবেষণায়। গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে আন্তর্জাতিক পরিসরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করাই হোক আমাদের যৌথ লক্ষ্য।

নিজেকে মানবিক ও সচেতন করে গড়ে তুলতে চাই
সমাপ্তি খান, শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর আমাদের কাছে নতুন স্বপ্নের পাশাপাশি নতুন দায়বদ্ধতার সময়। এটি শুধু ক্যালেন্ডারের পরিবর্তন নয়; বরং নিজের সঙ্গে নতুন করে অঙ্গীকার করার মুহূর্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি চাই নিজেকে আরও দায়িত্বশীল, মানবিক এবং সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা, দক্ষতা অর্জন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা জরুরি বলে আমি মনে করি। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও আমরা স্বপ্ন দেখতে ছাড়িনি। আমাদের প্রত্যাশা, একটি কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা, নিরাপদ ক্যাম্পাসজীবন এবং ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যৎ। নতুন বছর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাহস জোগাক।

নবসূর্যের নিঃশব্দ প্রতিশ্রুতি
উম্মে হাবিবা নিশাত, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ
নতুন বছর আমার কাছে নিঃশব্দ এক প্রতিশ্রুতি—ধীরে বাঁচার সাহস ও গভীরভাবে অনুভব করার শক্তি। চাই সম্পর্কগুলো হোক বোঝাপড়ার জায়গা, নীরবতাগুলো হোক হৃদয়ের ভাষা। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপে ধৈর্য ও কোমলতা বজায় রাখতে চাই। অল্পতেই সুখ খুঁজে পাওয়ার প্রজ্ঞা এবং নিজের ভেতরের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে নতুনভাবে জেগে ওঠার প্রত্যয়—এই হোক নতুন বছরের সঙ্গী। নবসূর্যের মতো নীরব অথচ উজ্জ্বল হোক আগামীর দিনগুলো।


নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। একদিকে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ, অন্যদিকে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার দৃঢ়সংকল্প। বাস্তবতা ও স্বপ্নের এ মিশ্রণই নতুন বছরে তাঁদের প্রত্যাশাকে করে তোলে গভীর ও অর্থবহ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেই ভাবনা ও প্রত্যাশার কথাই তুলে ধরছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব আল হাসান।

ক্যাম্পাস হোক রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত
মো. আশিক মাহমুদ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর আমার কাছে শুধু সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের সুযোগ। আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা হবে রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত; যেখানে জ্ঞানচর্চাই হবে মুখ্য। ক্লাসরুমে ফিরে আসুক শিক্ষার প্রকৃত জৌলুশ ও গুণগত মান। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতে, যেন যোগ্যতার ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত কর্মজীবনের পথে এগোতে পারি। একই সঙ্গে জাগতিক সাফল্যের ভিড়ে হারিয়ে না গিয়ে মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠাই হোক নতুন বছরের লক্ষ্য।

সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক
রাইসা আমিন, শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর মানে আমার কাছে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ। আমি প্রত্যাশা করি, শিক্ষাঙ্গন হবে আরও প্রাণবন্ত, গবেষণামুখী এবং সহমর্মিতায় পরিপূর্ণ। পড়াশোনার পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা বাড়ুক। মতের ভিন্নতা থাকলেও পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় থাকুক—মতভেদ হোক, কিন্তু বিভেদ নয়। সহপাঠীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। ব্যক্তিগত জীবনে সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং লক্ষ্যভিত্তিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চাই।

তরুণ প্রজন্মের অন্তরে এক অদম্য আশার স্রোত
মো. মাহামুদুল হাসান, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছরের সূচনায় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অন্তরে জেগে উঠেছে এক অদম্য আশার স্রোত। আর্থসামাজিক অস্থিরতা, বেকারত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রযুক্তির অগ্রগতি; বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইনের মতো ক্ষেত্র—আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। প্রতিহিংসা নয়, বরং ন্যায়ভিত্তিক ও স্বনির্ভর সমাজ গঠনের স্বপ্নই আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ যুবশক্তির হাত ধরে বাংলাদেশ পৌঁছাবে নতুন উচ্চতায়।

গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাক
মেহরাজ হোসেন, শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর একদিকে যেমন বিদায়ের বার্তা দেয়, অন্যদিকে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দেয়। সাম্প্রতিক আন্দোলনের ইতিবাচক প্রভাবে ক্যাম্পাসগুলোতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন, র্যাগিং ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান—সবই শিক্ষার্থীদের সচেতনতার প্রতিফলন। নতুন বছরে প্রত্যাশা, ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও এগিয়ে যাবে জ্ঞান ও গবেষণায়। গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে আন্তর্জাতিক পরিসরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করাই হোক আমাদের যৌথ লক্ষ্য।

নিজেকে মানবিক ও সচেতন করে গড়ে তুলতে চাই
সমাপ্তি খান, শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর আমাদের কাছে নতুন স্বপ্নের পাশাপাশি নতুন দায়বদ্ধতার সময়। এটি শুধু ক্যালেন্ডারের পরিবর্তন নয়; বরং নিজের সঙ্গে নতুন করে অঙ্গীকার করার মুহূর্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি চাই নিজেকে আরও দায়িত্বশীল, মানবিক এবং সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা, দক্ষতা অর্জন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা জরুরি বলে আমি মনে করি। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও আমরা স্বপ্ন দেখতে ছাড়িনি। আমাদের প্রত্যাশা, একটি কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা, নিরাপদ ক্যাম্পাসজীবন এবং ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যৎ। নতুন বছর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাহস জোগাক।

নবসূর্যের নিঃশব্দ প্রতিশ্রুতি
উম্মে হাবিবা নিশাত, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ
নতুন বছর আমার কাছে নিঃশব্দ এক প্রতিশ্রুতি—ধীরে বাঁচার সাহস ও গভীরভাবে অনুভব করার শক্তি। চাই সম্পর্কগুলো হোক বোঝাপড়ার জায়গা, নীরবতাগুলো হোক হৃদয়ের ভাষা। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপে ধৈর্য ও কোমলতা বজায় রাখতে চাই। অল্পতেই সুখ খুঁজে পাওয়ার প্রজ্ঞা এবং নিজের ভেতরের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে নতুনভাবে জেগে ওঠার প্রত্যয়—এই হোক নতুন বছরের সঙ্গী। নবসূর্যের মতো নীরব অথচ উজ্জ্বল হোক আগামীর দিনগুলো।

জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। প্যানেলটির জিএস (নারী) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বর্জনের ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে ইউনিভার্সিটি প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের সত্যিকার রায়ের প্রতিফলন ঘটছে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
৮ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে