Ajker Patrika

স্থাপত্যবিদ্যায় সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়

সাদিয়া আফরিন হীরা
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৪৩
স্থাপত্যবিদ্যায় সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়

স্থাপত্যবিদ্যায় কোথায় পড়বেন? সে প্রশ্নের উত্তর হলো, বিশ্বসেরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ানো হয় এ বিষয়টি। পছন্দমতো যেকোনো একটিতে ভর্তি হয়ে গেলেই হয়। কিন্তু সেরাদের সেরা বাছতে গেলে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসবে সামনে। লিখেছেন সাদিয়া আফরিন হীরা

১. ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) 
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন শহরে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল)। এর ‘বার্টলেট স্কুল অব আর্কিটেকচার’ স্থাপত্যকলার অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ। স্থাপত্যকলাবিষয়ক কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে এর অবস্থান ১ নম্বরে। ১৮৪১ সাল থেকে ইউসিএলে স্থাপত্যকলা পড়ানো হয়। বিশ্বমানের গ্রুপ টিউটোরিয়াল, কর্মশালা, লিখিত ও নকশাভিত্তিক পোর্টফলিও, বিতর্ক সেশন ও সেমিনারগুলোই এই প্রতিষ্ঠানটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। 

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি২. ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
এমআইটির স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিং স্কুলটির আছে আলাদা মর্যাদা। র‍্যাঙ্কিংয়ে এর অবস্থান ২। প্রতিবছর এর ৫৫ জন অভিজ্ঞ ফ্যাকাল্টি মেম্বার ১০০টির বেশি কোর্স অফার করেন। প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য এখানে আছেন ১ জন শিক্ষক। এখানে স্থাপত্য নকশা, স্থাপত্যকলার ইতিহাস, থিওরি অব আর্কিটেকচার আর্ট ডিজাইন, আর্ট কালচার টেকনোলজি, বিল্ডিং ডিজাইন, অত্যাধুনিক সব টেকনোলজির সুবিধাসহ স্বনামধন্য শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে স্থাপত্যকলা পড়ানো হয়। 

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ডেলফ্ট৩. টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ডেলফ্ট 
নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় ও পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয় হলো ১৮৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ডেলফ্ট। র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩ নম্বর স্থানে আছে এটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ডেলফ্ট শহরে। এখানে আর্কিটেকচার, আরবানিজম ও বিল্ডিং সায়েন্সের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমনভাবে স্থাপত্যের কোর্স ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তাঁদের স্থাপত্যকলার নকশা করতে পারেন।  

সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ৪. সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি 
সুইজারল্যান্ডের সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ইটিএইচ জুরিখ নামেও পরিচিত। এর ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচার বেশ পুরোনো ও প্রসিদ্ধ এবং বিশ্বে এর অবস্থান ৪। এই বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি টিয়ার্ড মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা। এতে শিক্ষার্থীরা চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের মূল লক্ষ্যই হলো পরিবর্তনশীল প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মানানসই বাসযোগ্য শহর, বাসস্থান ও ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন করার জন্য ভবিষ্যৎ স্থপতিদের তৈরি করা।  

ম্যানচেস্টার স্কুল অব আর্কিটেকচার ৫. ম্যানচেস্টার স্কুল অব আর্কিটেকচার 
ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ম্যানচেস্টার স্কুল অব আর্কিটেকচার। র‍্যাঙ্কিংয়ে এর অবস্থান ৫। ১৯৯৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৮০টিরও বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। এখানে বিশেষজ্ঞ আছেন প্রায় ১০০ জন। তাঁদের কোর্সগুলো আর্কিটেক্টস রেজিস্ট্রেশন বোর্ড, ইনস্টিটিউশন ফর ব্রিটিশ আর্কিটেক্টস ও ল্যান্ডস্কেপ ইনস্টিটিউটের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে স্বীকৃত। ফলে শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষকদের কাছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থাপত্যকলা শিখতে পারেন। 

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ৬. হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি 
এটি যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজে অবস্থিত দেশটির প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। এর গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ডিজাইনও বেশ খ্যাতিসম্পন্ন। যার কিউএস র‍্যাঙ্কিং ৬। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, আরবান ডিজাইন, রিয়েল স্টেট, ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিংসহ আরও অনেক কোর্স অফার করা হয়। স্থাপত্য বিভাগের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত আছে ডিজাইন স্টুডিও, থিওরি অ্যান্ড ভিজুয়াল স্টাডিজ, হিস্ট্রি, টেকনোলজি, প্রফেশনাল প্র্যাকটিসসহ আরও অনেক বিষয়। 

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর ৭. ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর 
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচার এশিয়ার মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণায় নেতৃত্বস্থানীয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘এশিয়ার জন্য স্থাপত্য’ প্রতিপাদ্যে মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্থপতি হিসেবে গড়ে তুলছে। প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী মোট ৬টি প্রোগ্রামে স্থাপত্যকলায় পড়ার সুযোগ পান এখানে। শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশে কীভাবে স্থাপত্য পুরকৌশলের জ্ঞান প্রয়োগ করতে হবে তার বাস্তবসম্মত শিক্ষা দিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থাপত্য অনুষদ। 
 
ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়  ৮. ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়  
চীনের বেইজিং শহরে অবস্থিত ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস তার স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের সুন্দরতম ক্যাম্পাস হিসেবে ফোর্বসের তালিকায়ও জায়গা করে নিয়েছে এটি। ১৯৮৮ সালে সিনহুয়া স্কুল অব আর্কিটেকচার আলাদাভাবে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এখানে ৪টি বিভাগ, ৯টি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৩টি প্রফেশনাল প্র্যাকটিক্যাল সাইট ও ৩টি ল্যাব আছে। শিক্ষার্থীদের স্থাপত্যের বিজ্ঞানভিত্তিক কৌশল শেখানোর মাধ্যমে আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে যোগ্য করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য।  

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বাকর্লি ৯. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বাকর্লি 
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বাকর্লি বিশ্বের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচার র‍্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ৯। গবেষণার মাধ্যমে হিস্ট্রি অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড আরবানিজম, বিল্ডিং সায়েন্স, স্ট্রাকচার অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনকে আরও উন্নত করা যায় তা শিক্ষার্থীদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শেখানো হয় এখানে।  

পলিটেকনিকো দ্য মিলানো ১০. পলিটেকনিকো দ্য মিলানো 
১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতালির সবচেয়ে বড় টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। এর প্রধান ক্যাম্পাস 
মিলানে অবস্থিত। মিলান ছাড়া আরও পাঁচটি শহরে এর স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস আছে। কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে এর অবস্থান ১০। সমৃদ্ধ স্থাপত্যকলার ইতিহাসের পাশাপাশি সময়োপযোগী আধুনিক কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের যোগ্য স্থপতি হিসেবে গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সেরাদের কাতারে ফেলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত