আনিসুল ইসলাম নাঈম

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন। ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বনে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির স্লেভারি স্টাডিজে। তাঁর সাফল্যের গল্প শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
শৈশব ও পড়াশোনা
রনির জন্ম কুমিল্লার কালীবাজার ইউনিয়নের হাতীগাড়া গ্রামে। রনির প্রাথমিকের পাঠ শুরু গ্রামের হাতীগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। কুমিল্লার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও কুমিল্লা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন রনি। ছেলেবেলায় ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ গ্রামীণ খেলায় আগ্রহ ছিল তাঁর। কলেজে থাকাকালীন সামাজিক সংগঠন ‘বন্ধু সমাজ’ ও ‘হ্যান্ডস ফর হিউমিনিটি’ নামের দুটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি ও কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে
দায়িত্ব পালন করেন।
স্বপ্নযাত্রা
রনির স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও স্বপ্নের পিছু ছাড়েননি তিনি। ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন ধানমন্ডির আবাহনী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। কিন্তু আবাসিক হলবিহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রনির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাসিক খরচ ও প্র্যাকটিসের শিডিউল ঠিক রাখা কঠিন ছিল। তাই তখনই শেষ হয়ে যায় রনির ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়ালেখায়ও মন বসছিল না তাঁর। নতুন ভাবনা ধরা দেয় বিদেশে উচ্চশিক্ষার। মনস্থির করেন যেকোনোভাবে হোক বিদেশ পাড়ি জমাবেন তিনি।
সিদ্ধান্ত নিলেন জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন করবেন। তিন-চার মাসের আইএলটিএস প্রিপারেশন নিয়ে স্কোর ওঠালেন ৫.৫। এরপর জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন শুরু করেন। রনির আবেদন জার্নির সাথি ছিলেন তাঁর বিভাগের বন্ধু আরিফ। তাঁর সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ও আইএলটিএস স্কোর ৬.০ থাকায় রনির আগেই জার্মানি থেকে অফার লেটার চলে আসে।
রনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার না পেয়ে জার্মানির আশা ছেড়ে দিই। আরিফ চলে যায় জার্মানিতে। শেষে বাংলা বিভাগ থেকেই ব্যাচেলর শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা থেমে থাকেনি। পড়ালেখার পাশাপাশি চলে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন। পড়াশোনার খরচ জোগাড়ে পার্টটাইম চাকরি করি। নিজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এর মাঝেই চলত বিদেশের প্রস্তুতি।’
যেভাবে ইউনিভার্সিটি অব বনে
জার্মানিতে টিউশন ফি না থাকলেও জার্মান অ্যাম্বাসি ফেস করার প্রক্রিয়া দীর্ঘ। ২০২২ সালে জার্মান অ্যাম্বাসিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখেন রনি। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ হয় তাঁর। জার্মানিতে রনির দ্বিতীয় মাস্টার্স করার পরিকল্পনা আগে থেকে ছিল। তবে জবিতে বাংলায় পড়ার কারণে জার্মানিতে মাস্টার্সে আবেদনের জন্য রিলেটেড সাবজেক্ট পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। তা ছাড়া তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৭। আবার আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর তুলতে পারেনি।
জানতে চাইলে রনি বলেন, ‘সিজিপিএ ২.৯৭ ও আইইএলটিএস ৬.০ দিয়ে জার্মানির ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করি। এর মধ্যে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শেষ মুহূর্তে এসে অফার লেটার পাই। পুরো আবেদন প্রক্রিয়ায় এক বড় ভাই সব সময় পাশে ছিলেন। অফার লেটার পাওয়ার পর তিনি অনেক খুশি হন। আমার তখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো ছিল না।’
পাহাড়সম বাধা
বন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন রনি। টিউশন ফি না থাকলেও ১১,৯০৪ ইউরো জার্মানিতে পাঠিয়ে দিতে হয়। পরবর্তী সময়ে জার্মানি পৌঁছালে ধাপে ধাপে তা ফেরত দেওয়া হয়। তবে কারও ভিসা না হলে, সেই টাকা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকার জন্য তিনি প্রথমে তাঁর পরিবারকে জানান। রনি বলেন, ‘বাড়িতে তখন লাখ খানেক টাকাও নেই। অথচ প্রয়োজন প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় পরিবারের জমি বিক্রির কথাও ওঠে। আম্মা আমাদের আত্মীয়দের কাছে টাকা ধার চাওয়া শুরু করেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের থেকে ধার করে শেষ পর্যন্ত টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হই।’
তিনি বলেন, ‘আবেদনের ২৪ মাস পর ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট জার্মান অ্যাম্বাসি ডকুমেন্টস সাবমিট করতে বলে। কয়েক দিন পর অ্যাম্বাসিতে ইন্টারভিউর জন্য ডাক আসে। ইন্টারভিউ খুব স্বাভাবিক ছিল। সাধারণ বিষয় ছাড়া জটিল কোনো প্রশ্ন করেনি। ৩ সেপ্টেম্বর ইন্টারভিউয়ের পর ২৯ সেপ্টেম্বরে গিয়ে পাসপোর্ট কালেকশন করি এবং আলহামদুলিল্লাহ জার্মান ভিসা পাই।’
যেভাবে আবেদন
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের আগে নিজের স্টাডি ফিল্ড-সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করা জরুরি। এ জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো DAAD.DE। এ ছাড়া mygermanuniversity ওয়েবসাইটিও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট খোঁজার পর দেখতে হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন করা যায়, নাকি UniAssist এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। UniAssist হলো একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন গ্রহণ করে। জার্মানিতে সামার ও উইন্টার মৌসুমে আবেদন করা যায়।
সুযোগ-সুবিধা
ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো ট্রান্সপোর্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড দিয়ে যেকোনো শিক্ষার্থী পুরো জার্মানি ঘুরতে পারবেন। শুধু বন বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জার্মানির সব শিক্ষার্থীর জন্য এ সুযোগটি রয়েছে। তা ছাড়া জিমনেসিয়াম, খেলাধুলা কিংবা জার্মান ভাষা শেখানোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। জার্মানিতে যেকোনো শিক্ষার্থীর পড়ালেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ রয়েছে।
নতুনদের পরামর্শ
ইউনিভার্সিটি অব বনে পড়াশোনা করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালোভাবে রিসার্চ করতে হবে। নিজের স্টাডি ফিল্ডের সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো সাবজেক্ট পেলে সে সাবজেক্টে পড়তে হলে কী কী শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন সেগুলো দেখে নিতে হবে। সেভাবে নিজের অ্যাকাডেমিক প্রোফাইলটি সাজাতে হবে। প্রোফাইল সাজানো হলে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন নয়, আরও ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পাওয়া সম্ভব।

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন। ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বনে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির স্লেভারি স্টাডিজে। তাঁর সাফল্যের গল্প শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
শৈশব ও পড়াশোনা
রনির জন্ম কুমিল্লার কালীবাজার ইউনিয়নের হাতীগাড়া গ্রামে। রনির প্রাথমিকের পাঠ শুরু গ্রামের হাতীগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। কুমিল্লার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও কুমিল্লা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন রনি। ছেলেবেলায় ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ গ্রামীণ খেলায় আগ্রহ ছিল তাঁর। কলেজে থাকাকালীন সামাজিক সংগঠন ‘বন্ধু সমাজ’ ও ‘হ্যান্ডস ফর হিউমিনিটি’ নামের দুটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি ও কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে
দায়িত্ব পালন করেন।
স্বপ্নযাত্রা
রনির স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও স্বপ্নের পিছু ছাড়েননি তিনি। ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন ধানমন্ডির আবাহনী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। কিন্তু আবাসিক হলবিহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রনির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাসিক খরচ ও প্র্যাকটিসের শিডিউল ঠিক রাখা কঠিন ছিল। তাই তখনই শেষ হয়ে যায় রনির ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়ালেখায়ও মন বসছিল না তাঁর। নতুন ভাবনা ধরা দেয় বিদেশে উচ্চশিক্ষার। মনস্থির করেন যেকোনোভাবে হোক বিদেশ পাড়ি জমাবেন তিনি।
সিদ্ধান্ত নিলেন জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন করবেন। তিন-চার মাসের আইএলটিএস প্রিপারেশন নিয়ে স্কোর ওঠালেন ৫.৫। এরপর জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন শুরু করেন। রনির আবেদন জার্নির সাথি ছিলেন তাঁর বিভাগের বন্ধু আরিফ। তাঁর সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ও আইএলটিএস স্কোর ৬.০ থাকায় রনির আগেই জার্মানি থেকে অফার লেটার চলে আসে।
রনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার না পেয়ে জার্মানির আশা ছেড়ে দিই। আরিফ চলে যায় জার্মানিতে। শেষে বাংলা বিভাগ থেকেই ব্যাচেলর শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা থেমে থাকেনি। পড়ালেখার পাশাপাশি চলে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন। পড়াশোনার খরচ জোগাড়ে পার্টটাইম চাকরি করি। নিজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এর মাঝেই চলত বিদেশের প্রস্তুতি।’
যেভাবে ইউনিভার্সিটি অব বনে
জার্মানিতে টিউশন ফি না থাকলেও জার্মান অ্যাম্বাসি ফেস করার প্রক্রিয়া দীর্ঘ। ২০২২ সালে জার্মান অ্যাম্বাসিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখেন রনি। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ হয় তাঁর। জার্মানিতে রনির দ্বিতীয় মাস্টার্স করার পরিকল্পনা আগে থেকে ছিল। তবে জবিতে বাংলায় পড়ার কারণে জার্মানিতে মাস্টার্সে আবেদনের জন্য রিলেটেড সাবজেক্ট পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। তা ছাড়া তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৭। আবার আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর তুলতে পারেনি।
জানতে চাইলে রনি বলেন, ‘সিজিপিএ ২.৯৭ ও আইইএলটিএস ৬.০ দিয়ে জার্মানির ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করি। এর মধ্যে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শেষ মুহূর্তে এসে অফার লেটার পাই। পুরো আবেদন প্রক্রিয়ায় এক বড় ভাই সব সময় পাশে ছিলেন। অফার লেটার পাওয়ার পর তিনি অনেক খুশি হন। আমার তখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো ছিল না।’
পাহাড়সম বাধা
বন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন রনি। টিউশন ফি না থাকলেও ১১,৯০৪ ইউরো জার্মানিতে পাঠিয়ে দিতে হয়। পরবর্তী সময়ে জার্মানি পৌঁছালে ধাপে ধাপে তা ফেরত দেওয়া হয়। তবে কারও ভিসা না হলে, সেই টাকা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকার জন্য তিনি প্রথমে তাঁর পরিবারকে জানান। রনি বলেন, ‘বাড়িতে তখন লাখ খানেক টাকাও নেই। অথচ প্রয়োজন প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় পরিবারের জমি বিক্রির কথাও ওঠে। আম্মা আমাদের আত্মীয়দের কাছে টাকা ধার চাওয়া শুরু করেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের থেকে ধার করে শেষ পর্যন্ত টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হই।’
তিনি বলেন, ‘আবেদনের ২৪ মাস পর ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট জার্মান অ্যাম্বাসি ডকুমেন্টস সাবমিট করতে বলে। কয়েক দিন পর অ্যাম্বাসিতে ইন্টারভিউর জন্য ডাক আসে। ইন্টারভিউ খুব স্বাভাবিক ছিল। সাধারণ বিষয় ছাড়া জটিল কোনো প্রশ্ন করেনি। ৩ সেপ্টেম্বর ইন্টারভিউয়ের পর ২৯ সেপ্টেম্বরে গিয়ে পাসপোর্ট কালেকশন করি এবং আলহামদুলিল্লাহ জার্মান ভিসা পাই।’
যেভাবে আবেদন
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের আগে নিজের স্টাডি ফিল্ড-সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করা জরুরি। এ জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো DAAD.DE। এ ছাড়া mygermanuniversity ওয়েবসাইটিও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট খোঁজার পর দেখতে হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন করা যায়, নাকি UniAssist এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। UniAssist হলো একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন গ্রহণ করে। জার্মানিতে সামার ও উইন্টার মৌসুমে আবেদন করা যায়।
সুযোগ-সুবিধা
ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো ট্রান্সপোর্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড দিয়ে যেকোনো শিক্ষার্থী পুরো জার্মানি ঘুরতে পারবেন। শুধু বন বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জার্মানির সব শিক্ষার্থীর জন্য এ সুযোগটি রয়েছে। তা ছাড়া জিমনেসিয়াম, খেলাধুলা কিংবা জার্মান ভাষা শেখানোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। জার্মানিতে যেকোনো শিক্ষার্থীর পড়ালেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ রয়েছে।
নতুনদের পরামর্শ
ইউনিভার্সিটি অব বনে পড়াশোনা করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালোভাবে রিসার্চ করতে হবে। নিজের স্টাডি ফিল্ডের সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো সাবজেক্ট পেলে সে সাবজেক্টে পড়তে হলে কী কী শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন সেগুলো দেখে নিতে হবে। সেভাবে নিজের অ্যাকাডেমিক প্রোফাইলটি সাজাতে হবে। প্রোফাইল সাজানো হলে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন নয়, আরও ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পাওয়া সম্ভব।
আনিসুল ইসলাম নাঈম

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন। ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বনে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির স্লেভারি স্টাডিজে। তাঁর সাফল্যের গল্প শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
শৈশব ও পড়াশোনা
রনির জন্ম কুমিল্লার কালীবাজার ইউনিয়নের হাতীগাড়া গ্রামে। রনির প্রাথমিকের পাঠ শুরু গ্রামের হাতীগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। কুমিল্লার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও কুমিল্লা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন রনি। ছেলেবেলায় ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ গ্রামীণ খেলায় আগ্রহ ছিল তাঁর। কলেজে থাকাকালীন সামাজিক সংগঠন ‘বন্ধু সমাজ’ ও ‘হ্যান্ডস ফর হিউমিনিটি’ নামের দুটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি ও কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে
দায়িত্ব পালন করেন।
স্বপ্নযাত্রা
রনির স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও স্বপ্নের পিছু ছাড়েননি তিনি। ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন ধানমন্ডির আবাহনী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। কিন্তু আবাসিক হলবিহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রনির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাসিক খরচ ও প্র্যাকটিসের শিডিউল ঠিক রাখা কঠিন ছিল। তাই তখনই শেষ হয়ে যায় রনির ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়ালেখায়ও মন বসছিল না তাঁর। নতুন ভাবনা ধরা দেয় বিদেশে উচ্চশিক্ষার। মনস্থির করেন যেকোনোভাবে হোক বিদেশ পাড়ি জমাবেন তিনি।
সিদ্ধান্ত নিলেন জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন করবেন। তিন-চার মাসের আইএলটিএস প্রিপারেশন নিয়ে স্কোর ওঠালেন ৫.৫। এরপর জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন শুরু করেন। রনির আবেদন জার্নির সাথি ছিলেন তাঁর বিভাগের বন্ধু আরিফ। তাঁর সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ও আইএলটিএস স্কোর ৬.০ থাকায় রনির আগেই জার্মানি থেকে অফার লেটার চলে আসে।
রনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার না পেয়ে জার্মানির আশা ছেড়ে দিই। আরিফ চলে যায় জার্মানিতে। শেষে বাংলা বিভাগ থেকেই ব্যাচেলর শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা থেমে থাকেনি। পড়ালেখার পাশাপাশি চলে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন। পড়াশোনার খরচ জোগাড়ে পার্টটাইম চাকরি করি। নিজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এর মাঝেই চলত বিদেশের প্রস্তুতি।’
যেভাবে ইউনিভার্সিটি অব বনে
জার্মানিতে টিউশন ফি না থাকলেও জার্মান অ্যাম্বাসি ফেস করার প্রক্রিয়া দীর্ঘ। ২০২২ সালে জার্মান অ্যাম্বাসিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখেন রনি। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ হয় তাঁর। জার্মানিতে রনির দ্বিতীয় মাস্টার্স করার পরিকল্পনা আগে থেকে ছিল। তবে জবিতে বাংলায় পড়ার কারণে জার্মানিতে মাস্টার্সে আবেদনের জন্য রিলেটেড সাবজেক্ট পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। তা ছাড়া তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৭। আবার আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর তুলতে পারেনি।
জানতে চাইলে রনি বলেন, ‘সিজিপিএ ২.৯৭ ও আইইএলটিএস ৬.০ দিয়ে জার্মানির ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করি। এর মধ্যে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শেষ মুহূর্তে এসে অফার লেটার পাই। পুরো আবেদন প্রক্রিয়ায় এক বড় ভাই সব সময় পাশে ছিলেন। অফার লেটার পাওয়ার পর তিনি অনেক খুশি হন। আমার তখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো ছিল না।’
পাহাড়সম বাধা
বন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন রনি। টিউশন ফি না থাকলেও ১১,৯০৪ ইউরো জার্মানিতে পাঠিয়ে দিতে হয়। পরবর্তী সময়ে জার্মানি পৌঁছালে ধাপে ধাপে তা ফেরত দেওয়া হয়। তবে কারও ভিসা না হলে, সেই টাকা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকার জন্য তিনি প্রথমে তাঁর পরিবারকে জানান। রনি বলেন, ‘বাড়িতে তখন লাখ খানেক টাকাও নেই। অথচ প্রয়োজন প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় পরিবারের জমি বিক্রির কথাও ওঠে। আম্মা আমাদের আত্মীয়দের কাছে টাকা ধার চাওয়া শুরু করেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের থেকে ধার করে শেষ পর্যন্ত টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হই।’
তিনি বলেন, ‘আবেদনের ২৪ মাস পর ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট জার্মান অ্যাম্বাসি ডকুমেন্টস সাবমিট করতে বলে। কয়েক দিন পর অ্যাম্বাসিতে ইন্টারভিউর জন্য ডাক আসে। ইন্টারভিউ খুব স্বাভাবিক ছিল। সাধারণ বিষয় ছাড়া জটিল কোনো প্রশ্ন করেনি। ৩ সেপ্টেম্বর ইন্টারভিউয়ের পর ২৯ সেপ্টেম্বরে গিয়ে পাসপোর্ট কালেকশন করি এবং আলহামদুলিল্লাহ জার্মান ভিসা পাই।’
যেভাবে আবেদন
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের আগে নিজের স্টাডি ফিল্ড-সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করা জরুরি। এ জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো DAAD.DE। এ ছাড়া mygermanuniversity ওয়েবসাইটিও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট খোঁজার পর দেখতে হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন করা যায়, নাকি UniAssist এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। UniAssist হলো একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন গ্রহণ করে। জার্মানিতে সামার ও উইন্টার মৌসুমে আবেদন করা যায়।
সুযোগ-সুবিধা
ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো ট্রান্সপোর্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড দিয়ে যেকোনো শিক্ষার্থী পুরো জার্মানি ঘুরতে পারবেন। শুধু বন বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জার্মানির সব শিক্ষার্থীর জন্য এ সুযোগটি রয়েছে। তা ছাড়া জিমনেসিয়াম, খেলাধুলা কিংবা জার্মান ভাষা শেখানোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। জার্মানিতে যেকোনো শিক্ষার্থীর পড়ালেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ রয়েছে।
নতুনদের পরামর্শ
ইউনিভার্সিটি অব বনে পড়াশোনা করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালোভাবে রিসার্চ করতে হবে। নিজের স্টাডি ফিল্ডের সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো সাবজেক্ট পেলে সে সাবজেক্টে পড়তে হলে কী কী শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন সেগুলো দেখে নিতে হবে। সেভাবে নিজের অ্যাকাডেমিক প্রোফাইলটি সাজাতে হবে। প্রোফাইল সাজানো হলে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন নয়, আরও ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পাওয়া সম্ভব।

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন। ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বনে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির স্লেভারি স্টাডিজে। তাঁর সাফল্যের গল্প শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
শৈশব ও পড়াশোনা
রনির জন্ম কুমিল্লার কালীবাজার ইউনিয়নের হাতীগাড়া গ্রামে। রনির প্রাথমিকের পাঠ শুরু গ্রামের হাতীগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। কুমিল্লার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও কুমিল্লা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন রনি। ছেলেবেলায় ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ গ্রামীণ খেলায় আগ্রহ ছিল তাঁর। কলেজে থাকাকালীন সামাজিক সংগঠন ‘বন্ধু সমাজ’ ও ‘হ্যান্ডস ফর হিউমিনিটি’ নামের দুটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি ও কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে
দায়িত্ব পালন করেন।
স্বপ্নযাত্রা
রনির স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও স্বপ্নের পিছু ছাড়েননি তিনি। ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন ধানমন্ডির আবাহনী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। কিন্তু আবাসিক হলবিহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রনির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাসিক খরচ ও প্র্যাকটিসের শিডিউল ঠিক রাখা কঠিন ছিল। তাই তখনই শেষ হয়ে যায় রনির ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়ালেখায়ও মন বসছিল না তাঁর। নতুন ভাবনা ধরা দেয় বিদেশে উচ্চশিক্ষার। মনস্থির করেন যেকোনোভাবে হোক বিদেশ পাড়ি জমাবেন তিনি।
সিদ্ধান্ত নিলেন জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন করবেন। তিন-চার মাসের আইএলটিএস প্রিপারেশন নিয়ে স্কোর ওঠালেন ৫.৫। এরপর জার্মানিতে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন শুরু করেন। রনির আবেদন জার্নির সাথি ছিলেন তাঁর বিভাগের বন্ধু আরিফ। তাঁর সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ও আইএলটিএস স্কোর ৬.০ থাকায় রনির আগেই জার্মানি থেকে অফার লেটার চলে আসে।
রনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার না পেয়ে জার্মানির আশা ছেড়ে দিই। আরিফ চলে যায় জার্মানিতে। শেষে বাংলা বিভাগ থেকেই ব্যাচেলর শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা থেমে থাকেনি। পড়ালেখার পাশাপাশি চলে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন। পড়াশোনার খরচ জোগাড়ে পার্টটাইম চাকরি করি। নিজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এর মাঝেই চলত বিদেশের প্রস্তুতি।’
যেভাবে ইউনিভার্সিটি অব বনে
জার্মানিতে টিউশন ফি না থাকলেও জার্মান অ্যাম্বাসি ফেস করার প্রক্রিয়া দীর্ঘ। ২০২২ সালে জার্মান অ্যাম্বাসিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখেন রনি। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ হয় তাঁর। জার্মানিতে রনির দ্বিতীয় মাস্টার্স করার পরিকল্পনা আগে থেকে ছিল। তবে জবিতে বাংলায় পড়ার কারণে জার্মানিতে মাস্টার্সে আবেদনের জন্য রিলেটেড সাবজেক্ট পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। তা ছাড়া তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৭। আবার আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর তুলতে পারেনি।
জানতে চাইলে রনি বলেন, ‘সিজিপিএ ২.৯৭ ও আইইএলটিএস ৬.০ দিয়ে জার্মানির ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করি। এর মধ্যে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শেষ মুহূর্তে এসে অফার লেটার পাই। পুরো আবেদন প্রক্রিয়ায় এক বড় ভাই সব সময় পাশে ছিলেন। অফার লেটার পাওয়ার পর তিনি অনেক খুশি হন। আমার তখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো ছিল না।’
পাহাড়সম বাধা
বন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন রনি। টিউশন ফি না থাকলেও ১১,৯০৪ ইউরো জার্মানিতে পাঠিয়ে দিতে হয়। পরবর্তী সময়ে জার্মানি পৌঁছালে ধাপে ধাপে তা ফেরত দেওয়া হয়। তবে কারও ভিসা না হলে, সেই টাকা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকার জন্য তিনি প্রথমে তাঁর পরিবারকে জানান। রনি বলেন, ‘বাড়িতে তখন লাখ খানেক টাকাও নেই। অথচ প্রয়োজন প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় পরিবারের জমি বিক্রির কথাও ওঠে। আম্মা আমাদের আত্মীয়দের কাছে টাকা ধার চাওয়া শুরু করেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের থেকে ধার করে শেষ পর্যন্ত টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হই।’
তিনি বলেন, ‘আবেদনের ২৪ মাস পর ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট জার্মান অ্যাম্বাসি ডকুমেন্টস সাবমিট করতে বলে। কয়েক দিন পর অ্যাম্বাসিতে ইন্টারভিউর জন্য ডাক আসে। ইন্টারভিউ খুব স্বাভাবিক ছিল। সাধারণ বিষয় ছাড়া জটিল কোনো প্রশ্ন করেনি। ৩ সেপ্টেম্বর ইন্টারভিউয়ের পর ২৯ সেপ্টেম্বরে গিয়ে পাসপোর্ট কালেকশন করি এবং আলহামদুলিল্লাহ জার্মান ভিসা পাই।’
যেভাবে আবেদন
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের আগে নিজের স্টাডি ফিল্ড-সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করা জরুরি। এ জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো DAAD.DE। এ ছাড়া mygermanuniversity ওয়েবসাইটিও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট খোঁজার পর দেখতে হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন করা যায়, নাকি UniAssist এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। UniAssist হলো একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন গ্রহণ করে। জার্মানিতে সামার ও উইন্টার মৌসুমে আবেদন করা যায়।
সুযোগ-সুবিধা
ইউনিভার্সিটি অব বন থেকে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো ট্রান্সপোর্টেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড দিয়ে যেকোনো শিক্ষার্থী পুরো জার্মানি ঘুরতে পারবেন। শুধু বন বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জার্মানির সব শিক্ষার্থীর জন্য এ সুযোগটি রয়েছে। তা ছাড়া জিমনেসিয়াম, খেলাধুলা কিংবা জার্মান ভাষা শেখানোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। জার্মানিতে যেকোনো শিক্ষার্থীর পড়ালেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ রয়েছে।
নতুনদের পরামর্শ
ইউনিভার্সিটি অব বনে পড়াশোনা করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালোভাবে রিসার্চ করতে হবে। নিজের স্টাডি ফিল্ডের সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো সাবজেক্ট পেলে সে সাবজেক্টে পড়তে হলে কী কী শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন সেগুলো দেখে নিতে হবে। সেভাবে নিজের অ্যাকাডেমিক প্রোফাইলটি সাজাতে হবে। প্রোফাইল সাজানো হলে শুধু ইউনিভার্সিটি অব বন নয়, আরও ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পাওয়া সম্ভব।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
৬ ঘণ্টা আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এখন একেবারে দোরগোড়ায়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর এই শেষ মুহূর্তে সঠিক কৌশল নির্ধারণ করাই পারে একজন শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে। এ সময়ে নতুন করে কিছু পড়ার চেয়ে আগে শেখা বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৭ ঘণ্টা আগে
Please block my card immediately. দয়া করে আমার কার্ডটি দ্রুত ব্লক করুন। How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই।
৭ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।
শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।
শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এখন একেবারে দোরগোড়ায়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর এই শেষ মুহূর্তে সঠিক কৌশল নির্ধারণ করাই পারে একজন শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে। এ সময়ে নতুন করে কিছু পড়ার চেয়ে আগে শেখা বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৭ ঘণ্টা আগে
Please block my card immediately. দয়া করে আমার কার্ডটি দ্রুত ব্লক করুন। How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই।
৭ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেমো. ফাহিম ফরহাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এখন একেবারে দোরগোড়ায়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর এই শেষ মুহূর্তে সঠিক কৌশল নির্ধারণ করাই পারে একজন শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে। এ সময়ে নতুন করে কিছু পড়ার চেয়ে আগে শেখা বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ধরন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। তাই সামান্য কৌশলগত পরিবর্তনই এনে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
বাংলা: ‘সি’ ইউনিটে বাংলা থেকে ২০টি প্রশ্ন থাকে। তাই প্রথমেই এইচএসসি বাংলা পাঠ্যবই ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। বিশেষ করে উপন্যাস ও নাটক, গল্প ও কবিতা, শব্দার্থ ও উদ্ধৃতি, লেখক ও পাঠ পরিচিতির দিকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
বাংলা ব্যাকরণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বানান ও উচ্চারণ, সমাস, কারক, ধ্বনি, পুরুষ ও সংখ্যাবাচক শব্দ—এসব বিষয় ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। পাশাপাশি মুখস্থভিত্তিক অংশ যেমন সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, বাগধারা এবং পারিভাষিক শব্দ নিয়মিত রিভিশন দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সাহিত্য ও সাহিত্যযুগ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই এই অংশটি অবহেলা করা যাবে না।
ভর্তি প্রস্তুতির সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছেই প্রশ্নব্যাংক থাকে। প্রতিদিন সেখান থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান করা এবং ব্যাকরণ বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলো ঝালিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। শেষ সময়ে অফলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ না থাকলে অনলাইনে বিভিন্ন অনুশীলনী পরীক্ষা দেওয়া যেতে পারে। এতে নিজের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা সহজ হয়, প্রস্তুতি আরও দৃঢ় হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
ইংরেজি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজিতে ভালো করা অনিবার্য। ইংরেজিতে কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পেলে মোট স্কোর ভালো হলেও অনেক বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায় না। যেমন আইন ও বিচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইংরেজি বিষয়ে ভর্তির জন্য আলাদাভাবে ইংরেজিতে অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর অর্জন করতে হয়। তাই ইংরেজি গ্রামারে—পার্টস অব স্পিচ, ভয়েস, আর্টিকেল, সাবজেক্ট-ভার্ব অ্যাগ্রিমেন্ট এবং রাইট ফরম অব ভার্ব—ভালো দখল থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্য, এনালজি, অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিশন এবং সিনোনিম -অ্যান্টোনিমের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। বাজারে ভর্তি পরীক্ষার উপযোগী ইংরেজির বেশ কিছু ভালো বই রয়েছে, সেগুলো থেকে নিয়মিত প্রশ্ন সমাধান করা উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যেমন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে, গ্রামার থেকে তুলনামূলকভাবে কম প্রশ্ন এসেছে এবং প্যাসেজ থেকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে। সাধারণত এক বা দুটি প্যাসেজ দেওয়া থাকে এবং সেখান থেকেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই প্যাসেজ অনুশীলনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা হওয়ায় শেষ মুহূর্তে ইংরেজিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
সাধারণ জ্ঞান ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সাধারণ জ্ঞান ও বিভাগ-সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ের প্রশ্ন ইংরেজিতে ছিল। সাধারণ জ্ঞানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকের (ইতিহাস, অর্থনীতি, নোবেল পুরস্কার, নদ-নদী, বিশ্বযুদ্ধ, সভ্যতা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, বিভিন্ন জায়গার পূর্বনাম, খেলাধুলা) প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
বিভাগ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ‘সি’ ইউনিটে যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর বিভিন্ন টপিক থেকে প্রশ্ন আসে। সি ইউনিটে বিষয় রয়েছে ৯টি; আইন ও বিচার (বাংলাদেশের সংবিধান, জাতীয় সংসদ, সাংবিধানিক সংস্থা), জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ (বাংলাদেশের গণমাধ্যম, উল্লেখযোগ্য পত্রপত্রিকা, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও কনভেনশন, প্রণালি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেশের পরিচিতি), ইতিহাস (সভ্যতা, বিশ্বের প্রথম, প্রাচীন ও বর্তমান নাম, বিপ্লব, বিশ্বযুদ্ধ, আলোচিত যুদ্ধ), প্রত্নতত্ত্ব (বাংলার দর্শনীয় স্থান-স্থাপত্য, প্রাচীন মসজিদ-মন্দির-দুর্গ, গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল), বাংলা (বাংলা ভাষার ইতিহাস, গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক ও রচনা), দর্শন (বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি, উক্তি-সম্পর্কিত প্রশ্ন), ইংরেজি এবং তুলনামূলক সাহিত্য (ইংরেজি সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য যুগ, সাহিত্যিক পরিভাষা) এসব টপিক থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি হলো সময়, ধৈর্য ও কৌশলের একত্রীকরণ। সঠিক কৌশলে প্রস্তুতি নিলে অপ্রয়োজনীয় ভয় অনেকটাই কমে যায়। শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পুনরায় দেখে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার হলে ঘাবড়ানো নয়, আত্মবিশ্বাসী হওয়ায় পার্থক্য গড়ে তুলবে। শেষ পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হবে, পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না।
শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এখন একেবারে দোরগোড়ায়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর এই শেষ মুহূর্তে সঠিক কৌশল নির্ধারণ করাই পারে একজন শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে। এ সময়ে নতুন করে কিছু পড়ার চেয়ে আগে শেখা বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ধরন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। তাই সামান্য কৌশলগত পরিবর্তনই এনে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
বাংলা: ‘সি’ ইউনিটে বাংলা থেকে ২০টি প্রশ্ন থাকে। তাই প্রথমেই এইচএসসি বাংলা পাঠ্যবই ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। বিশেষ করে উপন্যাস ও নাটক, গল্প ও কবিতা, শব্দার্থ ও উদ্ধৃতি, লেখক ও পাঠ পরিচিতির দিকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
বাংলা ব্যাকরণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বানান ও উচ্চারণ, সমাস, কারক, ধ্বনি, পুরুষ ও সংখ্যাবাচক শব্দ—এসব বিষয় ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। পাশাপাশি মুখস্থভিত্তিক অংশ যেমন সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, বাগধারা এবং পারিভাষিক শব্দ নিয়মিত রিভিশন দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সাহিত্য ও সাহিত্যযুগ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই এই অংশটি অবহেলা করা যাবে না।
ভর্তি প্রস্তুতির সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছেই প্রশ্নব্যাংক থাকে। প্রতিদিন সেখান থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান করা এবং ব্যাকরণ বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলো ঝালিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। শেষ সময়ে অফলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ না থাকলে অনলাইনে বিভিন্ন অনুশীলনী পরীক্ষা দেওয়া যেতে পারে। এতে নিজের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা সহজ হয়, প্রস্তুতি আরও দৃঢ় হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
ইংরেজি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজিতে ভালো করা অনিবার্য। ইংরেজিতে কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পেলে মোট স্কোর ভালো হলেও অনেক বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায় না। যেমন আইন ও বিচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইংরেজি বিষয়ে ভর্তির জন্য আলাদাভাবে ইংরেজিতে অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর অর্জন করতে হয়। তাই ইংরেজি গ্রামারে—পার্টস অব স্পিচ, ভয়েস, আর্টিকেল, সাবজেক্ট-ভার্ব অ্যাগ্রিমেন্ট এবং রাইট ফরম অব ভার্ব—ভালো দখল থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্য, এনালজি, অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিশন এবং সিনোনিম -অ্যান্টোনিমের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। বাজারে ভর্তি পরীক্ষার উপযোগী ইংরেজির বেশ কিছু ভালো বই রয়েছে, সেগুলো থেকে নিয়মিত প্রশ্ন সমাধান করা উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যেমন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে, গ্রামার থেকে তুলনামূলকভাবে কম প্রশ্ন এসেছে এবং প্যাসেজ থেকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে। সাধারণত এক বা দুটি প্যাসেজ দেওয়া থাকে এবং সেখান থেকেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই প্যাসেজ অনুশীলনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা হওয়ায় শেষ মুহূর্তে ইংরেজিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
সাধারণ জ্ঞান ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সাধারণ জ্ঞান ও বিভাগ-সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ের প্রশ্ন ইংরেজিতে ছিল। সাধারণ জ্ঞানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকের (ইতিহাস, অর্থনীতি, নোবেল পুরস্কার, নদ-নদী, বিশ্বযুদ্ধ, সভ্যতা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, বিভিন্ন জায়গার পূর্বনাম, খেলাধুলা) প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
বিভাগ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ‘সি’ ইউনিটে যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর বিভিন্ন টপিক থেকে প্রশ্ন আসে। সি ইউনিটে বিষয় রয়েছে ৯টি; আইন ও বিচার (বাংলাদেশের সংবিধান, জাতীয় সংসদ, সাংবিধানিক সংস্থা), জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ (বাংলাদেশের গণমাধ্যম, উল্লেখযোগ্য পত্রপত্রিকা, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও কনভেনশন, প্রণালি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেশের পরিচিতি), ইতিহাস (সভ্যতা, বিশ্বের প্রথম, প্রাচীন ও বর্তমান নাম, বিপ্লব, বিশ্বযুদ্ধ, আলোচিত যুদ্ধ), প্রত্নতত্ত্ব (বাংলার দর্শনীয় স্থান-স্থাপত্য, প্রাচীন মসজিদ-মন্দির-দুর্গ, গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল), বাংলা (বাংলা ভাষার ইতিহাস, গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক ও রচনা), দর্শন (বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি, উক্তি-সম্পর্কিত প্রশ্ন), ইংরেজি এবং তুলনামূলক সাহিত্য (ইংরেজি সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য যুগ, সাহিত্যিক পরিভাষা) এসব টপিক থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি হলো সময়, ধৈর্য ও কৌশলের একত্রীকরণ। সঠিক কৌশলে প্রস্তুতি নিলে অপ্রয়োজনীয় ভয় অনেকটাই কমে যায়। শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পুনরায় দেখে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার হলে ঘাবড়ানো নয়, আত্মবিশ্বাসী হওয়ায় পার্থক্য গড়ে তুলবে। শেষ পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হবে, পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না।
শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
৬ ঘণ্টা আগে
Please block my card immediately. দয়া করে আমার কার্ডটি দ্রুত ব্লক করুন। How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই।
৭ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

আজ থাকছে আরও ৮টি প্রয়োজনীয় ইংরেজি বাক্য—

আজ থাকছে আরও ৮টি প্রয়োজনীয় ইংরেজি বাক্য—

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
৬ ঘণ্টা আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এখন একেবারে দোরগোড়ায়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর এই শেষ মুহূর্তে সঠিক কৌশল নির্ধারণ করাই পারে একজন শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে। এ সময়ে নতুন করে কিছু পড়ার চেয়ে আগে শেখা বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৭ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

রাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
৬ ঘণ্টা আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এখন একেবারে দোরগোড়ায়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর এই শেষ মুহূর্তে সঠিক কৌশল নির্ধারণ করাই পারে একজন শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে। এ সময়ে নতুন করে কিছু পড়ার চেয়ে আগে শেখা বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৭ ঘণ্টা আগে
Please block my card immediately. দয়া করে আমার কার্ডটি দ্রুত ব্লক করুন। How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই।
৭ ঘণ্টা আগে