
বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৬ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৬ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৬ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
৩ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৬ ঘণ্টা আগে