
বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি, যা বিসিএস ২০০ নম্বর ও ব্যাংকে ১০০ নম্বর। এ কারণে বিসিএস ও ব্যাংকে প্রিলিমিনারি-লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্নাতকের শুরু থেকে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন প্রস্তুতি
মৌলিক বিষয়াবলি যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন পর্যায়। এই সময় বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার, ভোকাবুলারি, অনুবাদ, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে যেন পরে বেশি সময় না দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা টিউশনি করায়, তাঁদের মৌলিক বিষয়াবলির জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে হয় না। ভোকাবুলারি ও অনুবাদ নিয়মিত পড়বেন। ইংরেজি গ্রামার, ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং, বাংলা গ্রামারসহ নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই সপ্তাহে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে। অবসর সময়ে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে অংশ নোট করে ফেলবেন।
বাংলা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য (বিসিএস ২০ নম্বর, ব্যাংক ১০/১২ নম্বর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য অংশটি নোট করে পড়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনে (বিসিএস) সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বাজারের যেকোনো বই ও ডাইজেস্ট অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ব্যাকরণ অংশে ভাষা, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি-প্রত্যয়, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, সমাস, কারক, লিঙ্গ, বচন, সন্ধি, বিভক্তি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, ছদ্মনাম, গ্রন্থের প্রধান চরিত্র, উক্তি, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ইংরেজিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক সহজ। এর জন্য আগে আপনার গ্রামারের বেসিক ঠিক করতে হবে। যাঁদের বেসিক ভালো, তাঁদের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। বেসিক ভালো না হলে গ্রামারের নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে। ইংরেজি ভোকাবুলারি অংশে জোর দিন। ব্যাংক প্রিলিতে ইংরেজি লিটারেচার থেকে তেমন প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলিতে ১৫ নম্বর থাকে। এই অংশ নোট করে পড়া উত্তম। এতে আপনি ১৫-এর মধ্যে ১০-১২ নম্বর তুলতে পারবেন। সাধারণত ইংরেজি অংশে Parts of speech, Number Gender, Right from a verb, Subject verb agreement, Tense, Conditional sentence, Correction, Synonym Antonym, Analogy, phrase and idiom, Spelling, Preposition ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: ম্যাথ নিয়ে যাঁদের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স আছে, তাঁরা আগে সেটা দূর করুন। ম্যাথে দুর্বল এই কনসেপ্ট আপনি মাথায় ঢুকিয়ে ফেললে যতই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যান, ম্যাথে ভুল করবেন। প্রিলির সময় থেকেই ম্যাথের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকালীন এ জন্য উত্তম। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই দুটিকে পুরোপুরি আয়ত্তে রাখতে হবে। বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্ন এই দুটি বই থেকে কমন পাওয়া যায়। বাজারের যেকোনো একটি গণিত বই সঙ্গে পড়লেই ব্যাংক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন মনে হলেও এড়িয়ে যাবেন না। রিটেনের কথা ভেবে প্রস্তুতি নেবেন। ব্যাংক প্রস্তুতিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও ম্যাথ সমাধান করতে হবে। এতে ব্যাংক ম্যাথের লিখিত প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।
আমি ব্যাংক, বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ বাদে প্রথমে বাকি সব এমসিকিউ খুব দ্রুত উত্তর করি। অবশিষ্ট সময় ম্যাথে ব্যয় করি। ব্যাংকের ম্যাথ বাদে প্রায় ৮০টি প্রশ্ন উত্তর করি ৪০ মিনিটে। বাকি ২০ মিনিটে ম্যাথ (২০)টি করি। কারণ, ম্যাথ বাদে বাকিগুলো চিন্তা করে উত্তর করার সুযোগ নেই। বিসিএস পরীক্ষায় ম্যাথ ১৫ নম্বর ১৫ মিনিটে উত্তর করি। পরীক্ষার শেষের দিকে ম্যাথ উত্তর করা ভালো। ম্যাথ প্রশ্ন থেকে সমাধান না করতে পারলে চারটি অপশন থেকে প্রশ্ন উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
ব্যাংক পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন না এলেও বিসিএস প্রিলি (১৫ নম্বর) ও লিখিত (৫০ নম্বর) পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের সিলেবাস মিলিয়ে পড়বেন এবং বাজারের প্রচলিত বইগুলো সমাধান করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দেবেন। তাতে প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসঙ্গে হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বিগত দিনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পড়লেই বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ২০-২৫টি প্রশ্ন পারবেন। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় বিষয়াবলির ১৯৫২-১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ১৯৭১-৭৫, বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক তথ্য-বাজেট, ভ্যাট, জিডিপি, জিএনপি, মাথাপিছু আয়, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি ইত্যাদি। ব্যাংকিং ও বিমাবিষয়ক তথ্য—বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন দেশের আইনসভা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নাম, নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় বিষয়, জাতীয় প্রতীক, খেলাধুলা, নোবেল পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য, আদমশুমারি, অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ বিভিন্ন জরিপের ফলাফল—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি যেকোনো বই থেকে বিষয় ধরে ধরে পড়ে ফেলবেন। চলমান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংস্থা-সম্পর্কিত তথ্যাবলি (সংস্থার বর্তমান সদস্য ও প্রধান কর্মকর্তা, সদর দপ্তর, প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)—এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও আইসিটি: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য বিগত বিসিএস ও ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করলে কাজে দেবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বইটিও পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত একটি গাইড পড়ে ফেলতে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার আগে প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস ও প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে নেবেন। এই অংশের জন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, ইন্টারনেট, ই কমার্স, এম এস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, ডেটা কোডিং, ল্যান, ম্যান, ওয়্যান, অপারেটিং সিস্টেম, এএলইউ, হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, কম্পিউটার ও আইসিটির ইতিহাস—এই বিষয়গুলো পড়তে হবে।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। পাশাপাশি যেকোনো প্রচলিত গাইডবই অনুসরণ করতে পারেন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন: নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সুশাসন অংশ থেকে একটু কৌশলী প্রশ্ন থাকে। তাই দ্বিধা থাকলে উত্তর না দাগানোই ভালো। তবে এইচএসসির পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো পড়লেই ভালো কমন পাবেন।
পরীক্ষা দেওয়ার আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে প্রশ্ন ও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করুন। গণিত ও ইংরেজিতে জোর দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।
অনুলিখন: জেলি খাতুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।
সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।
সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’
পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।
বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।
এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’
পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।
বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।
এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৭ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি।
এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।
তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি।
এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।
তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডার পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক থেকে। বিসিএস ও ব্যাংকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
৭ ঘণ্টা আগে