Ajker Patrika

প্রার্থীদের করণীয়

সহায়িকা ডেস্ক
প্রার্থীদের করণীয়

ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে পরীক্ষার সময়সূচি-সংক্রান্ত প্রার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করণীয় কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সেই করণীয়গুলো এখানে তুলে ধরা হলো। 

সকাল ৮.৩০-৯.২৫
প্রার্থীরা নির্ধারিত পরীক্ষার হলে নিজ নিজ কক্ষে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট আসন গ্রহণ করবেন। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় প্রার্থীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। 

সকাল ৯.৩০-৯.৫৫
প্রার্থীদের মধ্যে উত্তরপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের ৪টি সেট (১, ২, ৩ ও ৪) থাকবে। প্রার্থীরা উত্তরপত্রে নিজ জেলা ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখবেন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সংশ্লিষ্ট বৃত্তগুলো কালো কালির বলপয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করবেন। প্রার্থীরা হাজিরা তালিকায় স্বাক্ষর করবেন। এ সময় প্রবেশপত্র টেবিলের ওপর খুলে রাখতে হবে। প্রবেশপত্রের ছবি এবং স্বাক্ষরের সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখা হবে, গরমিল পাওয়া গেলে বহিষ্কারসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সকাল ১০টা
প্রার্থীদের মধ্যে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের অনুরূপ প্রশ্নপত্রেরও ৪টি সেট (১, ২, ৩     ও ৪) থাকবে। প্রার্থী যে সেট     নম্বরের উত্তরপত্র পাবেন, তাঁকে     সেই সেট নম্বরের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। উত্তরপত্রের সেট নম্বর এবং প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এক ও     অভিন্ন হতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রার্থীরা উত্তর দেওয়া শুরু করবেন। 

দুপুর ১২টা
পরীক্ষা শেষ হবে। প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে অবস্থান করবেন। পরিদর্শক উত্তরপত্র সংগ্রহ করবেন। উত্তরপত্র সংগ্রহ করে বুঝে নেওয়ার পর প্রার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করবেন। প্রার্থীরা প্রশ্নপত্র সঙ্গেনিয়ে যাবেন। 
 
সূত্র: পিএসসির বিজ্ঞপ্তি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন দিনে ৫ পরীক্ষা বিপাকে শিক্ষার্থীরা

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের স্থগিত ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর
  • একই দিন এমআইএসটির ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটেরও পরীক্ষা আছে
  • ২৬ ডিসেম্বর হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা
  • অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ডিসেম্বর
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

তিন দিনের ব্যবধানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, একই সময়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পড়ায় অনেকে বাধ্য হয়ে একটি বা একাধিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হারাতে পারেন।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায়। একই দিনে সকালে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভর্তি পরীক্ষা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এটি বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা না হলেও একই দিনে এমআইএসটির ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা থাকায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সকালে এমআইএসটির পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনেকের পক্ষেই কঠিন হবে। এই দিনে এমআইএসটির আর্কিটেকচার বিভাগের বিকেলের শিফটে যাঁদের পরীক্ষা রয়েছে, তাঁদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

এর আগের দিন ২৬ ডিসেম্বর হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা। এই দিনে বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগেও ভর্তি পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষাই বিজ্ঞান বিভাগের হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পরপর দুই দিনে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ ছাড়া ২৮ ডিসেম্বর হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-জেইউ ভর্তি পরীক্ষা। এতে বিজ্ঞান বিভাগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, টানা তিন দিন পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা তাঁদের ওপর বাড়তি মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি করবে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থী মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘একই দিনে একাধিক ভর্তি পরীক্ষা কোনোভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ আগে থেকে নির্ধারিত ছিল, তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।’

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বলেন, ‘অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে আমাদের তেমন সমস্যা নেই। শুধু এমআইএসটির পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কাজ করেছি।’

উল্লেখ্য, জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণার কারণে ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষ ২৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের স্থগিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ইউনিটের ঢাকার বাইরের যেসব পরীক্ষার্থীর আগামী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আছে এবং যাদের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে, সেসব শিক্ষার্থী আজ ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ২৩ ডিসেম্বর রাত ১২টার মধ্যে ঢাকায় কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইন আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের কপি আপলোড করতে হবে।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ

জাবি প্রতিনিধি 
আজ সকাল ৯টায় পরীক্ষায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল ৯টায় পরীক্ষায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক অনুষদ, আইন অনুষদ ও তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) পরীক্ষা দিয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলো।

এবার সাত ইউনিটের ১ হাজার ৮৪২টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী। এতে একটি আসনের জন্য ১১৯ শিক্ষার্থী লড়াই করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমকে সভাপতি করে ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৫০ জন পুলিশ, ৬০ জন আনসার, ট্রাফিক পুলিশ এবং গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। যেকোনো ধরনের জরুরি চিকিৎসাব্যবস্থার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল টিম মোতায়েন থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

উচ্চশিক্ষা কোনো বিশেষ শ্রেণির জন্য নয়, এটি সবার অধিকার

অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান আইনবিদ ও গ্রন্থপ্রণেতা ড. এ বি এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর নেতৃত্বে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য ছিল, উচ্চশিক্ষা সবার জন্য সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা। আজ স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, গবেষণা, উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিক সংযোগ এবং নেতৃত্বগুণের বিকাশ—সব ক্ষেত্রে ডিআইইউ ধারাবাহিক অগ্রগতি অর্জন করছে। প্রতিষ্ঠাকালীন ভিশন, আধুনিক উদ্যোগ, আন্তর্জাতিক এমওইউ, শিক্ষার্থীবান্ধব নীতি এবং আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তানজিল কাজী

তানজিল কাজী

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাকালীন ভিশন কী ছিল এবং তা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে?

ডিআইইউ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল একটি স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে। সেটি হলো উচ্চশিক্ষা সব শিক্ষার্থীর জন্য সহজলভ্য করা, বিশেষ করে প্রান্তিক ও দূরবর্তী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত ছিল। সেই বাস্তবতায় ১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হওয়ার পর দু-তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করে। এগুলোর মধ্যে একটি ডিআইইউ। শুরু থেকে লক্ষ্য ছিল মানসম্মত শিক্ষা, সহজলভ্য টিউশন ফি এবং গবেষণার সুযোগ নিশ্চিত করা। বর্তমানে হাজারো শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ শেষে দেশের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখছেন। এটাই আমাদের প্রতিষ্ঠাকালীন ভিশন বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ডিআইইউর বিশেষত্ব কী?

ডিআইইউর শক্তি হলো সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মনোভাব, যেখানে শিক্ষার সুযোগ সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক। আমরা শুরু থেকে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতের চেষ্টা করেছি। তুলনামূলক কম টিউশন ফি এবং মেধা ও আর্থিক প্রয়োজনভিত্তিক বৃত্তি ডিআইইউকে শিক্ষার্থীবান্ধব করেছে। এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ডিআইইউকে অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করেছে।

শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কোন বিষয়ে বেশি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে তা গুরুত্ব দিচ্ছে?

জ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে শিক্ষার্থীদের আগ্রহও বদলে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বেশি আগ্রহ প্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবনকেন্দ্রিক বিষয়ে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ডিআইইউ একাডেমিক অবকাঠামো, ল্যাব সুবিধা, আইসিটি সাপোর্ট এবং শিল্প একাডেমিক সংযোগ জোরদার করছে। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য বাস্তবসম্মত প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাঠ্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ?

পাঠ্যক্রমের মানই উচ্চশিক্ষার মূল ভিত্তি। তাই ডিআইইউ নিয়মিতভাবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার কাজ করছে। নতুন কারিকুলামের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদনপ্রক্রিয়া চলমান থাকলেও বর্তমানে চালু পাঠ্যক্রম আন্তর্জাতিক জ্ঞান এবং কর্মবাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিচালিত হচ্ছে।

গবেষণা, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা মনোভাব গড়ে তুলতে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?

আধুনিক উচ্চশিক্ষা শুধু ডিগ্রি অর্জনে সীমাবদ্ধ নয়; গবেষণা, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা মানসিকতা তৈরি করাই এর মূল লক্ষ্য। সে উদ্দেশ্যে ডিআইইউ শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তাকে উৎসাহিত করছে।

স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা কার্যক্রমে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য দিকনির্দেশনা, প্রশিক্ষণ ও সহায়তা কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে তারা নিজেদের ধারণাকে বাস্তব রূপ দিতে পারে।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও মানসিক সহায়তা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা কী?

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা ডিআইইউ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখে। ক্যাম্পাসজুড়ে সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে এবং একাডেমিক ভবনগুলো নিয়মিত নজরদারির আওতায় থাকে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তায় কাউন্সেলিং কার্যক্রম চালু রয়েছে। একটি নিরাপদ, মানবিক ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ডিআইইউ শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

নতুন বছরে শিক্ষার্থী উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং বাড়াতে কী উদ্যোগ নিয়েছে?

শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, নেতৃত্বগুণ ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ডিআইইউ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর প্রস্তুতি। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান শক্তিশালী করতেও নেওয়া হয়েছে কার্যকর পদক্ষেপ। প্রথমবারের মতো কিউএস র‍্যাঙ্কিং অর্জনের লক্ষ্যে ৩০টি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে ডিআইইউ ১০০০–১১০০ র‌্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে অবস্থান করছে।

শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা এবং টিউশন ফি ছাড়ের ক্ষেত্রে কী নীতি অনুসরণ করে?

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব নীতিতে বিশ্বাসী। উচ্চশিক্ষা যেন আর্থিক অক্ষমতার কারণে থেমে না যায়, এই দর্শনকে কেন্দ্র করে বৃত্তি এবং আর্থিক সহায়তার কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। ভর্তির পর শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফল, আর্থিক অবস্থা ও বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন স্তরের টিউশন ফি ছাড় দেওয়া হয়। ডিআইইউ মনে করে, উচ্চশিক্ষা কোনো বিশেষ শ্রেণির জন্য নয়, এটি সবার অধিকার।

শিক্ষক নিয়োগ ও মূল্যায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?

শিক্ষক নিয়োগ এবং মূল্যায়নে স্বচ্ছতা বজায় রাখা আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ইউজিসির নীতিমালা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। যোগ্যতা, দক্ষতা এবং পেশাগত সততা যাচাই করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আপস করা হয় না। আমাদের লক্ষ্য এমন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া, যাঁরা কেবল পাঠদানেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না; বরং শিক্ষার্থীদের চিন্তা, গবেষণা ও সক্ষমতা বিকাশে ভূমিকা রাখবেন।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং এমওইউর মাধ্যমে ডিআইইউ কীভাবে বৈশ্বিক সংযোগ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে?

বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করতে ডিআইইউ দেশি ও বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২৮টি এমওইউ সম্পন্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই আন্তর্জাতিক সংযোগ শিক্ষার্থীদের গবেষণা, উদ্ভাবনী সক্ষমতা এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম, ছাত্র-উন্নয়ন ও নেতৃত্ব গঠনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ধরনের উদ্যোগ নেয়?

ডিআইইউ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উন্নয়নের পাশাপাশি নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্ব দেয়। সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহ দেওয়া হয় এবং নিয়মিত পরীক্ষা হল পরিদর্শনের মাধ্যমে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয়। এখানে শিক্ষাজীবন শুধু পাঠ্যসূচিতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দায়িত্বশীল ও নেতৃত্বগুণসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার পরিবেশ রয়েছে।

প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে ডিআইইউ শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

চাকরির বাজারে জ্ঞানের পাশাপাশি দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। ডিআইইউ সেই বাস্তবতার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করছে। একাডেমিক জ্ঞান, গবেষণা অভিজ্ঞতা, বাস্তব দক্ষতা ও নৈতিকতার সমন্বয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

আপনার দায়িত্ব নেওয়ার পর চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ কী?

ডিআইইউ আজ যে অবস্থানে, তা দীর্ঘ ও পরিকল্পিত প্রচেষ্টার ফল। দায়িত্ব গ্রহণের সময় কাঠামোগত, প্রশাসনিক ও একাডেমিক নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। ধারাবাহিক উদ্যোগের মাধ্যমে সেগুলোর বড় অংশের সমাধান হয়েছে। ভবিষ্যৎ রোডম্যাপের মধ্যে রয়েছে একাডেমিক মান উন্নয়ন; আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা সম্প্রসারণ; শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কল্যাণ; আধুনিক প্রযুক্তি ও ল্যাব সুবিধা বৃদ্ধি; বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করা ইত্যাদি।

ডিআইইউর নবম সমাবর্তন কবে অনুষ্ঠিত হবে?

বহুল প্রত্যাশিত নবম সমাবর্তনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৬ সালের জুলাই-আগস্টে নিজস্ব ক্যাম্পাসে সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিজস্ব উপযুক্ত অবকাঠামো গড়ে ওঠায় এবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং স্মরণীয় সমাবর্তন আয়োজন করা সম্ভব হবে।

দেশের উচ্চশিক্ষা নীতিতে কেমন সংস্কার জরুরি?

পাঠ্যক্রম আধুনিকায়ন, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা জোরদার করা প্রয়োজন।

আগামী ১০ বছরে ডিআইইউকে আপনি কোথায় দেখতে চান?

এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শীর্ষস্থানীয় ৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতে জায়গা করে নেবে। গবেষণা, আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের ধারাবাহিক অগ্রগতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার উপযোগী করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত