গাজী মিজানুর রহমান

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৫ ধাপে শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আর মাত্র ১৭ দিন হাতে আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো–
আমিও একজন হব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদগুলোর বিপরীতে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি ২৯ জনের মধ্যে ১ জন চাকরি পাবেন। আপনি ভুলে যান কতজন এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। আপনি কেবল নিজের ওপর এই আত্মবিশ্বাস রাখুন যে ৪৫ হাজারের মধ্যে আমিও একজন হব। পরীক্ষা হবে ৬০ মিনিটে ৮০টি এমসিকিউ প্রশ্নের ওপর। ৮০টি প্রশ্নের জন্য ৮০ মার্কস। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মার্কস থেকে ০.২৫ করে কাটা যাবে।
যেভাবে নেবেন প্রস্তুতি
যেহেতু সময় কম তাই সব না পড়ে কেবল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ুন। এখন প্রশ্ন হলো আপনি কীভাবে বুঝবেন কোন কোন টপিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ? আপনি যদি বিগত বছরের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ভালোভাবে খেয়াল করেন, তাহলে দেখতে পাবেন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে; বিশেষ করে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন। আপনার হাতে এত সময় না থাকলে শুধু ‘প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ Analysis’ বইটির সাজেশনটি ফলো করতে পারেন।
বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য
বাংলা অংশে বাংলা ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন বেশি আসে এবং সাহিত্য থেকে কম। দেখা গেছে যে বাংলা অংশে ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ব্যাকরণ থেকে ১৮-১৯টির মতো প্রশ্ন এসেছে এবং বাকি ১-২টি প্রশ্ন আসে সাহিত্য থেকে এসেছে। তাই এখন বাংলা সাহিত্য না পড়ে আগে ব্যাকরণ অংশ ভালোভাবে জোর দিয়ে পড়ুন। বাংলা ব্যাকরণ অংশে প্রথমে কারক-বিভক্তি ভালো করে পড়ুন। এখান থেকে ২-৪টি প্রশ্ন আসতে পারে। তারপর এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, সমাস, সন্ধি, শব্দ ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ টপিকগুলো পড়ে ফেলুন। বাংলা সাহিত্য থেকে যেহেতু প্রশ্ন অনেক কম আসে, তাই বাংলা সাহিত্য না পড়লেও পারেন। একান্তই পড়তে চাইলে শুধু প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্নের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, জহির রায়হান, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও জসীমউদদীন পড়ুন।
ইংরেজি গ্রামার ও সাহিত্য
ইংরেজি পার্টে ইংরেজি গ্রামার থেকে প্রশ্ন থাকে ১৯-২০টি। অর্থাৎ ইংরেজি সাহিত্য থেকে মাঝেমধ্যে একটি প্রশ্ন থাকে। যেমন সর্বশেষ ২০১৯ সালে চার ধাপে ৯ সেটে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল ইংরেজি সাহিত্য থেকে। আর সেটি ছিল দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায়। অর্থাৎ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৯ সেটে মোট ৭২০টি এমসিকিউ প্রশ্নের মাঝে কেবল ১টি প্রশ্ন ছিল ইংরেজি সাহিত্য থেকে! তাই অল্প সময়ের প্রস্তুতির জন্য ইংরেজি সাহিত্য বাদ দিতে পারেন। আর একান্ত পড়তে চাইলে শুধু প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্ন + William Shakespeare, John Milton এবং G. B. Shaw-এর রচিত গ্রন্থের নামগুলো পড়তে পারেন। English Grammar-এর ক্ষেত্রে আগে Vocabulary না পড়ে থাকলে নতুন করে না পড়াই ভালো। বেশি জোর দিন Parts of Speech, Tense। এই দুটি টপিক থেকে ৪-৫টা প্রশ্ন থাকতে পারে। তারপর Preposition, Correct Spelling, Right form of Verbs, Subject Verb Agreement, Voice Change, Narration, Sentence Correction পড়তে পারেন।
সঙ্গে Conditional Sentence পড়ে ফেলুন।
গাজী মিজানুর রহমান, ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার লেখক, মোটিভেশনাল স্পিকার ও ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট
শিক্ষা সম্পর্কিত পড়ুন:

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৫ ধাপে শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আর মাত্র ১৭ দিন হাতে আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো–
আমিও একজন হব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদগুলোর বিপরীতে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি ২৯ জনের মধ্যে ১ জন চাকরি পাবেন। আপনি ভুলে যান কতজন এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। আপনি কেবল নিজের ওপর এই আত্মবিশ্বাস রাখুন যে ৪৫ হাজারের মধ্যে আমিও একজন হব। পরীক্ষা হবে ৬০ মিনিটে ৮০টি এমসিকিউ প্রশ্নের ওপর। ৮০টি প্রশ্নের জন্য ৮০ মার্কস। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মার্কস থেকে ০.২৫ করে কাটা যাবে।
যেভাবে নেবেন প্রস্তুতি
যেহেতু সময় কম তাই সব না পড়ে কেবল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ুন। এখন প্রশ্ন হলো আপনি কীভাবে বুঝবেন কোন কোন টপিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ? আপনি যদি বিগত বছরের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ভালোভাবে খেয়াল করেন, তাহলে দেখতে পাবেন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে; বিশেষ করে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন। আপনার হাতে এত সময় না থাকলে শুধু ‘প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ Analysis’ বইটির সাজেশনটি ফলো করতে পারেন।
বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য
বাংলা অংশে বাংলা ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন বেশি আসে এবং সাহিত্য থেকে কম। দেখা গেছে যে বাংলা অংশে ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ব্যাকরণ থেকে ১৮-১৯টির মতো প্রশ্ন এসেছে এবং বাকি ১-২টি প্রশ্ন আসে সাহিত্য থেকে এসেছে। তাই এখন বাংলা সাহিত্য না পড়ে আগে ব্যাকরণ অংশ ভালোভাবে জোর দিয়ে পড়ুন। বাংলা ব্যাকরণ অংশে প্রথমে কারক-বিভক্তি ভালো করে পড়ুন। এখান থেকে ২-৪টি প্রশ্ন আসতে পারে। তারপর এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, সমাস, সন্ধি, শব্দ ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ টপিকগুলো পড়ে ফেলুন। বাংলা সাহিত্য থেকে যেহেতু প্রশ্ন অনেক কম আসে, তাই বাংলা সাহিত্য না পড়লেও পারেন। একান্তই পড়তে চাইলে শুধু প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্নের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, জহির রায়হান, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও জসীমউদদীন পড়ুন।
ইংরেজি গ্রামার ও সাহিত্য
ইংরেজি পার্টে ইংরেজি গ্রামার থেকে প্রশ্ন থাকে ১৯-২০টি। অর্থাৎ ইংরেজি সাহিত্য থেকে মাঝেমধ্যে একটি প্রশ্ন থাকে। যেমন সর্বশেষ ২০১৯ সালে চার ধাপে ৯ সেটে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল ইংরেজি সাহিত্য থেকে। আর সেটি ছিল দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায়। অর্থাৎ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৯ সেটে মোট ৭২০টি এমসিকিউ প্রশ্নের মাঝে কেবল ১টি প্রশ্ন ছিল ইংরেজি সাহিত্য থেকে! তাই অল্প সময়ের প্রস্তুতির জন্য ইংরেজি সাহিত্য বাদ দিতে পারেন। আর একান্ত পড়তে চাইলে শুধু প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্ন + William Shakespeare, John Milton এবং G. B. Shaw-এর রচিত গ্রন্থের নামগুলো পড়তে পারেন। English Grammar-এর ক্ষেত্রে আগে Vocabulary না পড়ে থাকলে নতুন করে না পড়াই ভালো। বেশি জোর দিন Parts of Speech, Tense। এই দুটি টপিক থেকে ৪-৫টা প্রশ্ন থাকতে পারে। তারপর Preposition, Correct Spelling, Right form of Verbs, Subject Verb Agreement, Voice Change, Narration, Sentence Correction পড়তে পারেন।
সঙ্গে Conditional Sentence পড়ে ফেলুন।
গাজী মিজানুর রহমান, ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার লেখক, মোটিভেশনাল স্পিকার ও ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট
শিক্ষা সম্পর্কিত পড়ুন:
গাজী মিজানুর রহমান

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৫ ধাপে শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আর মাত্র ১৭ দিন হাতে আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো–
আমিও একজন হব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদগুলোর বিপরীতে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি ২৯ জনের মধ্যে ১ জন চাকরি পাবেন। আপনি ভুলে যান কতজন এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। আপনি কেবল নিজের ওপর এই আত্মবিশ্বাস রাখুন যে ৪৫ হাজারের মধ্যে আমিও একজন হব। পরীক্ষা হবে ৬০ মিনিটে ৮০টি এমসিকিউ প্রশ্নের ওপর। ৮০টি প্রশ্নের জন্য ৮০ মার্কস। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মার্কস থেকে ০.২৫ করে কাটা যাবে।
যেভাবে নেবেন প্রস্তুতি
যেহেতু সময় কম তাই সব না পড়ে কেবল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ুন। এখন প্রশ্ন হলো আপনি কীভাবে বুঝবেন কোন কোন টপিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ? আপনি যদি বিগত বছরের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ভালোভাবে খেয়াল করেন, তাহলে দেখতে পাবেন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে; বিশেষ করে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন। আপনার হাতে এত সময় না থাকলে শুধু ‘প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ Analysis’ বইটির সাজেশনটি ফলো করতে পারেন।
বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য
বাংলা অংশে বাংলা ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন বেশি আসে এবং সাহিত্য থেকে কম। দেখা গেছে যে বাংলা অংশে ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ব্যাকরণ থেকে ১৮-১৯টির মতো প্রশ্ন এসেছে এবং বাকি ১-২টি প্রশ্ন আসে সাহিত্য থেকে এসেছে। তাই এখন বাংলা সাহিত্য না পড়ে আগে ব্যাকরণ অংশ ভালোভাবে জোর দিয়ে পড়ুন। বাংলা ব্যাকরণ অংশে প্রথমে কারক-বিভক্তি ভালো করে পড়ুন। এখান থেকে ২-৪টি প্রশ্ন আসতে পারে। তারপর এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, সমাস, সন্ধি, শব্দ ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ টপিকগুলো পড়ে ফেলুন। বাংলা সাহিত্য থেকে যেহেতু প্রশ্ন অনেক কম আসে, তাই বাংলা সাহিত্য না পড়লেও পারেন। একান্তই পড়তে চাইলে শুধু প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্নের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, জহির রায়হান, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও জসীমউদদীন পড়ুন।
ইংরেজি গ্রামার ও সাহিত্য
ইংরেজি পার্টে ইংরেজি গ্রামার থেকে প্রশ্ন থাকে ১৯-২০টি। অর্থাৎ ইংরেজি সাহিত্য থেকে মাঝেমধ্যে একটি প্রশ্ন থাকে। যেমন সর্বশেষ ২০১৯ সালে চার ধাপে ৯ সেটে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল ইংরেজি সাহিত্য থেকে। আর সেটি ছিল দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায়। অর্থাৎ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৯ সেটে মোট ৭২০টি এমসিকিউ প্রশ্নের মাঝে কেবল ১টি প্রশ্ন ছিল ইংরেজি সাহিত্য থেকে! তাই অল্প সময়ের প্রস্তুতির জন্য ইংরেজি সাহিত্য বাদ দিতে পারেন। আর একান্ত পড়তে চাইলে শুধু প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্ন + William Shakespeare, John Milton এবং G. B. Shaw-এর রচিত গ্রন্থের নামগুলো পড়তে পারেন। English Grammar-এর ক্ষেত্রে আগে Vocabulary না পড়ে থাকলে নতুন করে না পড়াই ভালো। বেশি জোর দিন Parts of Speech, Tense। এই দুটি টপিক থেকে ৪-৫টা প্রশ্ন থাকতে পারে। তারপর Preposition, Correct Spelling, Right form of Verbs, Subject Verb Agreement, Voice Change, Narration, Sentence Correction পড়তে পারেন।
সঙ্গে Conditional Sentence পড়ে ফেলুন।
গাজী মিজানুর রহমান, ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার লেখক, মোটিভেশনাল স্পিকার ও ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট
শিক্ষা সম্পর্কিত পড়ুন:

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৫ ধাপে শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আর মাত্র ১৭ দিন হাতে আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো–
আমিও একজন হব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদগুলোর বিপরীতে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি ২৯ জনের মধ্যে ১ জন চাকরি পাবেন। আপনি ভুলে যান কতজন এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। আপনি কেবল নিজের ওপর এই আত্মবিশ্বাস রাখুন যে ৪৫ হাজারের মধ্যে আমিও একজন হব। পরীক্ষা হবে ৬০ মিনিটে ৮০টি এমসিকিউ প্রশ্নের ওপর। ৮০টি প্রশ্নের জন্য ৮০ মার্কস। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মার্কস থেকে ০.২৫ করে কাটা যাবে।
যেভাবে নেবেন প্রস্তুতি
যেহেতু সময় কম তাই সব না পড়ে কেবল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ুন। এখন প্রশ্ন হলো আপনি কীভাবে বুঝবেন কোন কোন টপিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ? আপনি যদি বিগত বছরের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ভালোভাবে খেয়াল করেন, তাহলে দেখতে পাবেন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে; বিশেষ করে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন। আপনার হাতে এত সময় না থাকলে শুধু ‘প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ Analysis’ বইটির সাজেশনটি ফলো করতে পারেন।
বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য
বাংলা অংশে বাংলা ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন বেশি আসে এবং সাহিত্য থেকে কম। দেখা গেছে যে বাংলা অংশে ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ব্যাকরণ থেকে ১৮-১৯টির মতো প্রশ্ন এসেছে এবং বাকি ১-২টি প্রশ্ন আসে সাহিত্য থেকে এসেছে। তাই এখন বাংলা সাহিত্য না পড়ে আগে ব্যাকরণ অংশ ভালোভাবে জোর দিয়ে পড়ুন। বাংলা ব্যাকরণ অংশে প্রথমে কারক-বিভক্তি ভালো করে পড়ুন। এখান থেকে ২-৪টি প্রশ্ন আসতে পারে। তারপর এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, সমাস, সন্ধি, শব্দ ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ টপিকগুলো পড়ে ফেলুন। বাংলা সাহিত্য থেকে যেহেতু প্রশ্ন অনেক কম আসে, তাই বাংলা সাহিত্য না পড়লেও পারেন। একান্তই পড়তে চাইলে শুধু প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্নের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, জহির রায়হান, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও জসীমউদদীন পড়ুন।
ইংরেজি গ্রামার ও সাহিত্য
ইংরেজি পার্টে ইংরেজি গ্রামার থেকে প্রশ্ন থাকে ১৯-২০টি। অর্থাৎ ইংরেজি সাহিত্য থেকে মাঝেমধ্যে একটি প্রশ্ন থাকে। যেমন সর্বশেষ ২০১৯ সালে চার ধাপে ৯ সেটে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল ইংরেজি সাহিত্য থেকে। আর সেটি ছিল দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায়। অর্থাৎ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৯ সেটে মোট ৭২০টি এমসিকিউ প্রশ্নের মাঝে কেবল ১টি প্রশ্ন ছিল ইংরেজি সাহিত্য থেকে! তাই অল্প সময়ের প্রস্তুতির জন্য ইংরেজি সাহিত্য বাদ দিতে পারেন। আর একান্ত পড়তে চাইলে শুধু প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্ন + William Shakespeare, John Milton এবং G. B. Shaw-এর রচিত গ্রন্থের নামগুলো পড়তে পারেন। English Grammar-এর ক্ষেত্রে আগে Vocabulary না পড়ে থাকলে নতুন করে না পড়াই ভালো। বেশি জোর দিন Parts of Speech, Tense। এই দুটি টপিক থেকে ৪-৫টা প্রশ্ন থাকতে পারে। তারপর Preposition, Correct Spelling, Right form of Verbs, Subject Verb Agreement, Voice Change, Narration, Sentence Correction পড়তে পারেন।
সঙ্গে Conditional Sentence পড়ে ফেলুন।
গাজী মিজানুর রহমান, ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার লেখক, মোটিভেশনাল স্পিকার ও ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট
শিক্ষা সম্পর্কিত পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১৬ মিনিট আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৮ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
২১ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য ও ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালেই বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। কেবল প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য ও ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালেই বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। কেবল প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৫ ধাপে শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আর মাত্র ১৭ দিন হাতে আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো–
১৪ মার্চ ২০২২
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৮ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
২১ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো।
(ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২।
(খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস।
(গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২
(ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।
এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো।
(ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২।
(খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস।
(গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২
(ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।
এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৫ ধাপে শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আর মাত্র ১৭ দিন হাতে আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো–
১৪ মার্চ ২০২২
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১৬ মিনিট আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
২১ ঘণ্টা আগেশাহ বিলিয়া জুলফিকার

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। শুদ্ধ উচ্চারণের অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টির মাধ্যমে আবৃত্তি শিশুদের সার্বিক ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবৃত্তির এই প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর আরিফ হাসান। গ্রন্থনা করেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
আবৃত্তির মূল ভিত্তি হলো শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ। একটি কবিতার সঠিক ভাব ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠ করতে হলে স্বর, বর্ণ ও শব্দের যথাযথ উচ্চারণ অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে আবৃত্তিচর্চা করলে শিশুরা ধীরে ধীরে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাটিয়ে প্রমিত বাচনভঙ্গির অধিকারী হয়। এটি কেবল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এবং শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও জড়তা দূরীকরণ
জনসমক্ষে নির্ভয়ে ও সুন্দরভাবে কথা বলার সক্ষমতা একজন সফল মানুষের অন্যতম প্রধান গুণ। আবৃত্তি শিশুদের মনের ভেতরের ভয় ও জড়তা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মঞ্চে বা সবার সামনে আবৃত্তি পরিবেশন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজেদের ভাব প্রকাশের এই চর্চা লাজুকতা দূর করে এবং ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও সাবলীল।
শব্দভান্ডার সমৃদ্ধি
কবিতা বা ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাক্যগঠন ও সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় দিক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ফলে তাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি জন্ম নেয় গভীর অনুরাগ। কবিতার ভাব, ছন্দ ও অলংকার অনুধাবনের মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ
একটি কবিতা মুখস্থ করে তা যথাযথ আবেগ ও ভাবসহ উপস্থাপন করা স্মৃতিশক্তির জন্য একটি কার্যকর অনুশীলন। আবৃত্তিচর্চার জন্য কবিতার বিষয়বস্তু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হয়, যা শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অনুশীলন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শেখার ক্ষমতা জোরদার করে।
মানবিক মূল্যবোধের চর্চা
সাহিত্য; বিশেষ করে কবিতা—মানবজীবন, দেশপ্রেম, মানবতা ও প্রকৃতিপ্রেমের গভীর বার্তা বহন করে। আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা এসব মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ভালো কবিতার ভাবধারা শিশুদের কোমল মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।
আবৃত্তি ও মেডিকেল সায়েন্স
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবৃত্তিকে একধরনের থেরাপি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তাঁদের মতে, আবৃত্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি
আবৃত্তির জন্য কবিতা বোঝা, মনে রাখা এবং সঠিক আবেগসহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও স্মৃতিসংশ্লিষ্ট অংশ সক্রিয় হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক সংজ্ঞানাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
স্নায়বিক সংযোগ শক্তিশালীকরণ
নিয়মিত কবিতা মুখস্থ করা ও আবৃত্তি করার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ আরও দৃঢ় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি হ্রাস
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখস্থ করার অনুশীলন যেমন কবিতা বা ধর্মীয় স্তোত্র আবৃত্তি মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়
আবৃত্তির সময় সুর, ছন্দ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হয়, যা ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো প্রভাব ফেলে। এতে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।
কবিতা মানুষের গভীর অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে। আবৃত্তির মাধ্যমে সেই আবেগ প্রকাশ বা অনুভব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে স্থিতিশীলতা বাড়ায়। মনোরোগ চিকিৎসায় ‘পোয়েট্রি থেরাপি’ বা ‘গ্রন্থ চিকিৎসা’ একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবৃত্তির সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘সুখের হরমোন’ নিঃসৃত হতে পারে, যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। শুদ্ধ উচ্চারণের অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টির মাধ্যমে আবৃত্তি শিশুদের সার্বিক ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবৃত্তির এই প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর আরিফ হাসান। গ্রন্থনা করেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
আবৃত্তির মূল ভিত্তি হলো শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ। একটি কবিতার সঠিক ভাব ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠ করতে হলে স্বর, বর্ণ ও শব্দের যথাযথ উচ্চারণ অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে আবৃত্তিচর্চা করলে শিশুরা ধীরে ধীরে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাটিয়ে প্রমিত বাচনভঙ্গির অধিকারী হয়। এটি কেবল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এবং শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও জড়তা দূরীকরণ
জনসমক্ষে নির্ভয়ে ও সুন্দরভাবে কথা বলার সক্ষমতা একজন সফল মানুষের অন্যতম প্রধান গুণ। আবৃত্তি শিশুদের মনের ভেতরের ভয় ও জড়তা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মঞ্চে বা সবার সামনে আবৃত্তি পরিবেশন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজেদের ভাব প্রকাশের এই চর্চা লাজুকতা দূর করে এবং ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও সাবলীল।
শব্দভান্ডার সমৃদ্ধি
কবিতা বা ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাক্যগঠন ও সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় দিক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ফলে তাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি জন্ম নেয় গভীর অনুরাগ। কবিতার ভাব, ছন্দ ও অলংকার অনুধাবনের মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ
একটি কবিতা মুখস্থ করে তা যথাযথ আবেগ ও ভাবসহ উপস্থাপন করা স্মৃতিশক্তির জন্য একটি কার্যকর অনুশীলন। আবৃত্তিচর্চার জন্য কবিতার বিষয়বস্তু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হয়, যা শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অনুশীলন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শেখার ক্ষমতা জোরদার করে।
মানবিক মূল্যবোধের চর্চা
সাহিত্য; বিশেষ করে কবিতা—মানবজীবন, দেশপ্রেম, মানবতা ও প্রকৃতিপ্রেমের গভীর বার্তা বহন করে। আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা এসব মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ভালো কবিতার ভাবধারা শিশুদের কোমল মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।
আবৃত্তি ও মেডিকেল সায়েন্স
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবৃত্তিকে একধরনের থেরাপি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তাঁদের মতে, আবৃত্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি
আবৃত্তির জন্য কবিতা বোঝা, মনে রাখা এবং সঠিক আবেগসহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও স্মৃতিসংশ্লিষ্ট অংশ সক্রিয় হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক সংজ্ঞানাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
স্নায়বিক সংযোগ শক্তিশালীকরণ
নিয়মিত কবিতা মুখস্থ করা ও আবৃত্তি করার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ আরও দৃঢ় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি হ্রাস
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখস্থ করার অনুশীলন যেমন কবিতা বা ধর্মীয় স্তোত্র আবৃত্তি মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়
আবৃত্তির সময় সুর, ছন্দ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হয়, যা ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো প্রভাব ফেলে। এতে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।
কবিতা মানুষের গভীর অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে। আবৃত্তির মাধ্যমে সেই আবেগ প্রকাশ বা অনুভব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে স্থিতিশীলতা বাড়ায়। মনোরোগ চিকিৎসায় ‘পোয়েট্রি থেরাপি’ বা ‘গ্রন্থ চিকিৎসা’ একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবৃত্তির সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘সুখের হরমোন’ নিঃসৃত হতে পারে, যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৫ ধাপে শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আর মাত্র ১৭ দিন হাতে আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো–
১৪ মার্চ ২০২২
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১৬ মিনিট আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
২১ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৫ ধাপে শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আর মাত্র ১৭ দিন হাতে আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো–
১৪ মার্চ ২০২২
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১৬ মিনিট আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৮ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১৪ ঘণ্টা আগে