Ajker Patrika

বিসিএস নমুনা ভাইভা: ইউরোপে শ্রমিক পাঠাচ্ছি না কেন?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১২: ৩৭
বিসিএস নমুনা ভাইভা: ইউরোপে শ্রমিক পাঠাচ্ছি না কেন?

‘বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতির প্রধান সোপান হলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। আমাকে অ্যাম্বাসেডর করা হলে আমি চেষ্টা করব দূতাবাসে তাঁদের কাজগুলো সহজে ও দ্রুত করে দেওয়ার জন্য। তাঁরা যেখানে কাজ করবেন, সেখানের কর্মপরিবেশ এবং যথাযথ মজুরি পাচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করব। প্রবাসীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে ইমার্জেন্সি হেল্পলাইনব্যবস্থা করব, সে দেশের বিভিন্ন আইনি সহায়তা ও নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব।’

এভাবেই (আপনাকে যদি অ্যাম্বাসেডর করা হয়, প্রবাসীদের নিয়ে আপনি কী কী কাজ করবেন?) বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর করেছেন ৪০তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষায় (সুপারিশ প্রাপ্ত) প্রথম স্থান অধিকারী (ইংরেজি) নূর ইসরাত জাহান তাজিন। নিজের ভাইভা অভিজ্ঞতার আলোকে একটি নমুনা ভাইভা তুলে ধরেছেন তিনি।   

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: (প্রবেশ করে) আসসালামু আলাইকুম।

চেয়ারম্যান: কোথায় পড়াশোনা করেছেন?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: স্যার, আমি বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছি।

চেয়ারম্যান: এখন কী করেন, গ্রামের বাড়ি কোথায়?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: আপাতত কিছু করছি না। আমার গ্রামের বাড়ি জামালপুর।

চেয়ারম্যান: আপনার বাবা কী করেন?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: আব্বু কৃষিভিত্তিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। (চেয়ারম্যান স্যার এ বিষয়ে ডিটেলস জানতে চেয়েছেন)

চেয়ারম্যান: আপনার চয়েজ লিস্ট বলুন?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: বিসিএস পররাষ্ট্র, বিসিএস প্রশাসন, বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাব...

চেয়ারম্যান: শিক্ষা নেই? কোন সাবজেক্টে পড়াশোনা করেছেন?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: জি স্যার, আছে। ইংরেজি।

এক্সামিনার-১: Why foreign affairs is your first choice?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: Sir, the opportunity of being an official representative of our country in other countries is an honour. I want to work in different locations around the world and represent Bangladesh. Besides, if I can join in foreign service, I will be able to meet prominent personalities, like diplomats, high level officials, politicians, national and global leaders. I also be able to understand varied culture around the world and participate in making and developing foreign relations. Several diplomatic traing from the service like regional and liguistic expertise, leadership fitness will help me to flourish my individual self.

এক্সামিনার-১: What is the difference between Ambassador and High Commissioner?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: The ambassador is the head of the embassy, and it is the official representation in the capital. High commissioner is the head of High Commission. Sir, High commission is simply an embassy and it is the diplomatic representation among British Commonwealth countries.

এক্সমিনার-২: Who are the Commonwealth countries?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: The countries which are the former territories of the British Empire, called Commonwealth countries.

এক্সামিনার-১: ব্রিটিশরা কি বাংলাদেশে এসেছিল? কত সালে?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: জি স্যার, এসেছিল। সঠিক সাল মনে নেই। তবে, আঠারো শ শতকে এসেছিল।

এক্সামিনার-১: কমনওয়েলথ দেশ কয়টি?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: স্যার, ৫৪টি।

এক্সামিনার-১: You know, recently there is a crisis around the world. Can you tell us about the problem?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: Sure sir, recently there arises a crisis between Russia and Ukraine regarding the issues when Ukraine declared that she will join NATO which is not acceptable to Russia. As Russia thinks that it will be a threat to her nationational security. Russia warns Ukraine that if Ukraine join NATO, Russia will attack on them. On the other hand, USA declared to impose several sanctions upon Russia, if Russia invade Ukraine. USA officals are trying to resolve the current deadlock in negotiations.

এক্সামিনার-১: আপনাকে যদি অ্যাম্বাসাডর করা হয়, প্রবাসীদের নিয়ে আপনি কী কী কাজ করবেন?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতির প্রধান সোপান হলো রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। আমাকে অ্যাম্বাসাডর করা হলে আমি চেষ্টা করব, দূতাবাসে তাঁদের কাজগুলো সহজে ও দ্রুত করে দেওয়ার জন্য। তাঁরা যেখানে কাজ করবেন, সেখানের কর্মপরিবেশ এবং যথাযথ মজুরি পাচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করব। প্রবাসীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে ইমার্জেন্সি হেল্প লাইনব্যবস্থা প্রদান, সে দেশের বিভিন্ন আইনি সহায়তা ও নাগরিক সুবিধা লাভে সাহায্য করা। তা ছাড়া বিদেশে গমনের সময় প্রবাসীরা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হন; বিশেষ করে অসাধু চক্রের পাল্লায় পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হন। তাঁরা যেন প্রপার চ্যানেল ফলো করে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে যেতে পারেন, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কর্মশালার আয়োজন করব। এ ছাড়া বিভিন্ন রিক্রুটিং কোম্পানির সঙ্গে অথবা সে দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অধিক হারে দক্ষ কর্মী পাঠানোর নতুন শ্রমবাজার তৈরির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব।

চেয়ারম্যান: মধ্যপ্রাচ্যে যে আমরা নারী শ্রমিক পাঠাচ্ছি, আপনি কি এ বিষয়টা সাপোর্ট করেন? 

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: জি স্যার, আমি এ বিষয়টাকে সাপোর্ট করি। কেননা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পুরুষের পাশাপাশি নারী প্রবাসীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

চেয়ারম্যান: কিন্তু তাঁরা তো ওখানে খুব নির্যাতিত হচ্ছেন, তারপরও কেন পাঠাব? 

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: স্যার, এটা ঠিক যে কিছু কিছু নারী প্রবাসী শ্রমিক, বিশেষ করে গৃহকর্মী হিসেবে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরা নির্যাতিত হচ্ছেন। কিন্তু আমার জানা মতে, এর সংখ্যা খুবই কম। যথাযথ মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হলে, এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

চেয়ারম্যান: আমাদের মিনিস্ট্রিতে কিন্তু মনিটরিং উইং আছে, তারপরও তো হচ্ছে না।

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: স্যার, এ ক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারি, যেহেতু এ জন্য দায়ভার তাদেরই। তাতেও যদি সমাধান না হয় তাহলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন জাতিসংঘ, আইএলও; এ ছাড়া যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যেই এ সমস্যা বেশি, তাই ওআইসির মাধ্যমে আমরা সেসব দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি। পাশাপাশি আমাদের কর্মীদেরও সচেতন করতে পারি। যাতে তাঁরা এ রকম বিরূপ পরিস্থিতিতে কীভাবে সাহায্য পেতে পারেন। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো সোচ্চার ভূমিকা রাখতে পারে।

চেয়ারম্যান: ইউরোপে কেন আমরা শ্রমিক পাঠাচ্ছি না? ওসব দেশে তো এ সমস্যা নেই। 

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: স্যার, ইউরোপেও আমরা শ্রমিক পাঠাচ্ছি, তবে অপেক্ষাকৃত কম।

এক্সামিনার-১: টোংগায় কী ঘটেছিল?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: স্যার, গত সপ্তাহে টোংগার উপকূলে আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর ফলে টোংগায় সুনামি সতর্কতা জারি হয়।

এক্সামিনার-১: টোংগা কোথায়?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: প্রশান্ত মহাসাগরে। 

এক্সামিনার-১: প্রশান্ত কি সাগর না মহাসাগর?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: স্যার, মহাসাগর।

এক্সামিনার-২: What is the difference between ocean and Sea?

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: Sir, Seas and oceans are both large bodies of water, but their most obvious difference is their size. Ocean are larger by both area and depth than seas. 

এক্সামিনার-২: What is Bering strait? 

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: The Bering strait is a strait between the Pacific and Arctic Ocean that separated Russia and America. 

এক্সামিনার-২: What is chancery? 

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: It's a diplomatic office which is subordinate to the state's main representation in the capital. It's located in the major cities normally. (ভুল উত্তর, সঠিক উত্তর-Chancery is an office attatched to an embassy or consulate.) 

এক্সামিনার-২: Do you know about COP-26? 

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: Yes sir, COP-26 is the 26 th United Nations climate change conference which was held in Glasgow, Scotland from 31 October to 23 November 2021. On that occasion, countries of the world decide to accelerate action towards the goals of the Paris Agreement. Our Honourable Prime Minister, Sheikh Hasina there accalimed as best deal maker for her negotiating quality regarding 
climate issues. 

এক্সামিনার-২: What are the proposals of Prime Minister? 

নূর ইসরাত জাহান তাজিন: Our Honourable Prime Minister has present four proposals. The first of these was that the major emitters industrialised countries must submit ambitious new NDC's for upgrade climate action. 

Secondly, to mobilize the promise of USD 100 billion annually in climate finance to developing countries. She reiterated the CVF's demands that the finance should be split 50: 50 between mitigation and adaptation. 

(চেয়ারম্যান স্যার এরপর থামিয়ে দিয়ে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন এবং শুভকামনা জানান।)

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: কাল ভোট, নিরাপত্তা জোরদার

  • ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ।
  • ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি।
  • মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন।
  • কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রার্থী ১৮৭।
সোহানুর রহমান, জবি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’

নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।

ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’

ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’

জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’

লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’

নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর বুটেক্সে প্রথম সমাবর্তন

শেফাক মাহমুদ, বুটেক্স
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"

হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধ্য জানুয়ারির আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ বই পৌঁছাবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।

আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।

এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’

নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’

বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।

বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সমুদ্রের বাতাসে স্বাস্থ্যের বার্তা

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৫
সমুদ্রের বাতাসে স্বাস্থ্যের বার্তা

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।

ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।

ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’

ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত