Ajker Patrika

ভালো মেন্টরের অধীনে থাকা জরুরি

নাদিম মজিদ
ভালো মেন্টরের অধীনে থাকা জরুরি

ড. রউফুল আলম। যুক্তরাষ্ট্রের দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার অগ্রদূত প্রতিষ্ঠান পিটিসি থেরাপিউটিকসে সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করেছেন সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটি থেকে। পোস্ট ডক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায়। সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ

প্রশ্ন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আপনার মতে, তাদের কোন পর্যায়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়া উচিত?
ড. রউফুল আলম: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বিদেশে পিএইচডি করার জন্য যাওয়া সম্ভবত ফলপ্রসূ দুটি কারণে। প্রথমত, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের সংখ্যা কম থাকে।

দ্বিতীয়ত, বাইরের দেশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর একটি বিষয় থাকে। আঠারো বছর বয়সে একজন শিক্ষার্থীর টিনএজ বয়স শেষ হয় না। দেশের বাইরে একদম নতুন পরিবেশে তার খাপ খাওয়ানো কঠিন হয়। সে তুলনায় তেইশ-চব্বিশ বছর বয়সে একজন উচ্চশিক্ষা নিতে দেশের বাইরে গেলে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। তবে চলমান সময়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে অনেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করছে বিদেশে। এবং অনেক ভালো করছে। কে কখন যাবে বিষয়টা নির্ভর করে ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপটের ওপর।

প্রশ্ন: একজন ভালো গবেষক হওয়ার জন্য একজন ভালো মেন্টরের অধীনে থাকা বেশ জরুরি। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
ড. রউফুল আলম: বর্তমান সময়ে ভালো গবেষক হতে চাইলে ভালো পিএইচডি থাকা প্রয়োজন। একজন ভালো গবেষক হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন ভালো মেন্টরের অধীনে থাকতে হয়। আমরা যদি পদার্থবিজ্ঞানী এবং নোবেল বিজয়ী রাদারফোর্ডের কথা চিন্তা করি। তাঁর মেন্টর ছিলেন স্যার জে জে থমসন। তিনি ইলেকট্রন, আইসোটোপ এবং ভর বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনিও ছিলেন নোবেল লরিয়েট। আবার নিলস বোর, সেসিল ফ্র্যাঙ্কওয়েলেরে মতো বিজ্ঞানীরা কাজ করেছিলেন বিজ্ঞানী রাদারফোর্ডের অধীনে। তাঁরা ভালো গবেষক হিসেবে তৈরি হয়েছেন; কারণ, তাঁদের মেন্টররা ভালো ছিলেন। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। ভালো গবেষক হওয়ার জন্য পিএইচডি গুরুত্বপূর্ণ না হলেও পিএইচডি করলে একজন ব্যক্তি গবেষক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ধাপগুলো হাতেকলমে শিখতে পারেন।

প্রশ্ন: বিদেশে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য কি গ্র্যাজুয়েশনের ফলাফলে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হতে হয়?
ড. রউফুল আলম: এমন কোনো বিষয় নেই। আমি নিজেও স্নাতক পর্যায়ের ফলাফলে প্রথম দিককার শিক্ষার্থী ছিলাম না। মাস্টার্সে প্রথম হয়েছিলাম। সত্যি কথা হলো, বিদেশের প্রফেসররা মাস্টার্স বা পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীর একাডেমিক ফলাফলে শীর্ষ পর্যায়ের শিক্ষার্থী খোঁজেন না। তাঁরা খোঁজেন এমন শিক্ষার্থী, যে তাঁর ল্যাবে বা প্রকল্পে যোগদান করলে তাঁর গবেষণা কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশ্বমানের গবেষণা হয় না। এ দেশে বিশ্বমানের গবেষণা তৈরি করার জন্য সরকারের কী করণীয় বলে আপনি মনে করেন।
ড. রউফুল আলম: এ ক্ষেত্রে আমি সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দিতে পারি। একসময় সৌদি আরব অর্থ এবং তেলসম্পদে এগিয়ে থাকলেও দেখল, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো কোনো গবেষণা হচ্ছে না। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারা ভালো কোনো গবেষক পাচ্ছে না। ভালো গবেষক তৈরির জন্য তারা ১০ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক ফান্ড নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য এবং শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে থাকল বিশ্বের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং ল্যাবের প্রফেসরদের। তাদের বর্তমান প্রেসিডেন্টও হংকং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট টনি এফ চ্যান। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ভালো ল্যাব তৈরি করে দিল। এখন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের গবেষণা হচ্ছে। জ্ঞানভিত্তিক জাতি হিসেবে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশেও একই কাজ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে, পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি উচ্চশিক্ষা প্রকল্প নিতে হবে। শিক্ষক হিসেবে থাকবেন বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ল্যাবের গবেষক। বাংলাদেশের ভালো শিক্ষার্থীদের সেখানে সুযোগ দিতে হবে। একজন ভালো গবেষক হিসেবে তৈরি হলে তাঁকে স্বীকৃতি দিতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।
আমাদের সরকার যদি এভাবে চিন্তা করে, তাহলে এ দেশ থেকে ভালো ভালো গবেষক তৈরি হবে।

প্রশ্ন: আপনি নিজে রসায়নে পড়াশোনা করেছেন। বাংলাদেশে রসায়নে পড়ুয়াদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা কতটুকু দেখছেন?
ড. রউফুল আলম: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিষয় হিসেবে রসায়ন বেশ পুরোনো। যুগের সঙ্গে চাহিদা মিলিয়ে এ বিষয়ের ওপর উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। তবে আশার বিষয় হলো, আমাদের দেশ ওষুধ উৎপাদনে শতভাগের কাছাকাছি। কিন্তু ওষুধ তৈরির কাঁচামালের জন্য আমরা চীন, ভারতসহ বেশ কিছু দেশের ওপর নির্ভরশীল। এ নির্ভরশীলতা দূর করতে বর্তমানে মুন্সিগঞ্জে একটি (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস) এপিআই পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি রসায়ন পড়ুয়াদের জন্য একটি বড় ধরনের সুখবর। বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধের বাজার ৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এ বাজার পুরোপুরি নিজেদের দেশে রাখতে হলে দরকার পার্ক তৈরির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জনশক্তিও প্রস্তুত রাখা। না হয় পার্ক বাংলাদেশে থাকবে, কিন্তু পার্কের কর্তাব্যক্তিরা গার্মেন্টস শিল্পের মতো বাইরের দেশ থেকে আসবেন। এ বিষয়ে এখন থেকেই সরকারের কাজ করা প্রয়োজন।

এ ধরনের বিশেষ বিশেষ সেক্টরকে নিয়ে আলাদা করে সরকার ও উদ্যোক্তাদের কাজ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত