Ajker Patrika

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশ

মো. মোস্তফা জামান
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশ

৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আসন্ন। পরীক্ষার্থীদের মাঝে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। পরীক্ষা যত ঘনিয়ে আসে পড়ার চাপ ততই বাড়তে থাকে। বিশেষ করে যারা প্রথমবার পরীক্ষা দেবেন তাদের মানসিক চাপটা একটু বেশিই। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০০ নম্বরের হয়ে থাকে। এর মধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশ থেকে ৩৫ নম্বরের প্রশ্ন হয়ে থাকে। আজকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কীভাবে ভালো করা যায়— অভিজ্ঞতার আলোকে সেই পরামর্শ তুলে ধরছি।

প্রথমে আমাদের সিলেবাসটা ভালো করে বুঝতে হবে। যেকোনো পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হলে আগে সেটার সিলেবাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। বিগত সালের প্রশ্নগুলো যাচাইয়ের মাধ্যমে বুঝতে হবে সিলেবাসের কোন অংশ থেকে বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে এবং কোন অংশ থেকে কম প্রশ্ন হয়। যে অংশ থেকে প্রতিবার প্রশ্ন হয় বা বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে সেই অংশগুলো এই শেষ সময়ে এসে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। 

নির্ধারিত কবি ও সাহিত্যিক
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশে ৩৫ নম্বরের মধ্যে বাংলা ভাষা থেকে ১৫ এবং সাহিত্য অংশ থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন হয়ে থাকে। সাহিত্য অংশের ২০ নম্বরের মধ্য থেকে প্রাচীন এবং মধ্যযুগ থেকে ৫টি প্রশ্ন হয় এবং আধুনিক যুগ থেকে প্রশ্ন থাকে ১৫টি। এই আধুনিক যুগের মধ্যে আবার কিছু ভাগ আছে। আমরা জানি বাংলা সাহিত্য অংশের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ১১ জন কবি ও সাহিত্যিকের তালিকা আছে। এই ১১ জন থেকে প্রতিবারই অন্তত ৮-১০টি প্রশ্ন হয়ে থাকে। বাকি প্রশ্ন সমগ্র সাহিত্য অংশ থেকে হয়। তাই এই ১১ জন কবি সাহিত্যিক সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নিচে ১১ জন কবি ও সাহিত্যিকের নাম দেওয়া হলো-

১. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ২. মাইকেল মধুসূদন দত্ত ৩. দীনবন্ধু মিত্র ৪. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৫. মীর মশাররফ হোসেন ৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭. কায়কোবাদ ৮. বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ৯. কাজী নজরুল ইসলাম ১০. জসীমউদদীন ও ১১. ফররুখ আহমদ। 

বাছাইকৃত কবি ও সাহিত্যিক
বাছাইকৃত আর ৩০-৪০ জন কবি ও সাহিত্যিক সম্পর্কে ধারণা রাখলে ভালো করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শওকত ওসমান, মুনীর চৌধুরী, জহির রায়হান, সেলিনা হোসেন, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, প্রমথ চৌধুরী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, হুমায়ূন আহমেদ, আহসান হাবিব, সুকান্ত ভট্টাচার্য, আল মাহমুদ, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুণ, আহমদ ছফা। এ ক্ষেত্রে ড. সৌমিত্র শেখর রচিত ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বইটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হতে পারে। আমরা সাহিত্য অংশ প্রিলিমিনারির জন্য যা পড়ব পরবর্তীকালে লিখিত পরীক্ষায় সেগুলো কাজে লাগানো সম্ভব। তাই একটু বিস্তারিত পড়লে উপকৃত হবেন। এ ছাড়া কবি ও সাহিত্যিকের বাইরেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাংলা পত্রিকা, প্রতিষ্ঠান (যেগুলো বাংলা সাহিত্যের প্রসারে কাজ করেছে। যেমন- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ইত্যাদি) থেকে দুই-একটি প্রশ্ন হয়ে থাকে। 

বাংলা ভাষা বা ব্যাকরণ অংশ
বাংলা ভাষা বা ব্যাকরণ অংশ থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন হলেও এটা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা ভীতি কাজ করে। কারণ, ব্যাকরণ না বুঝে পড়লে পরীক্ষার হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সাহিত্য অংশ মুখস্থ করলেও তাই ব্যাকরণ অংশে বুঝে এবং একটু কৌশল অবলম্বন করে পড়া উচিত। বাংলা ভাষা অংশের সিলেবাস লক্ষ করলে আমরা দেখতে পাই, এখানে অনেকগুলো অধ্যায় আছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো ধ্বনি ও বর্ণ, ধ্বনির পরিবর্তন, বানান শুদ্ধিকরণ, বাক্য শুদ্ধিকরণ, শব্দ, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, সমাস, সন্ধি, প্রকৃতি-প্রত্যয়, পরিভাষা, উপসর্গ, পদ, লিঙ্গ, সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ।

এর মধ্য থেকে প্রতি বছরই সমাস, সন্ধি, প্রকৃতি-প্রত্যয়, পরিভাষা, বানান ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, পরিভাষা, ধ্বনির পরিবর্তন প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে। ভাষা বা ব্যাকরণ অংশের প্রস্তুতির জন্য ড. হায়াৎ মামুদের ‘ভাষা-শিক্ষা’ বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই বইয়ের পাশাপাশি নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইটিও দেখতে পারেন। নতুন বইয়ে ব্যাকরণের কিছু কিছু অধ্যায়ে সংস্কার বা পরিমার্জন করা হয়েছে। এগুলো খেয়াল রাখবেন। এই ধরনের অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হলে সর্বশেষ সংস্করণ অনুযায়ী উত্তর করবেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অনেকে বারবার পরীক্ষা দেওয়ার পরও ব্যর্থ হন। বাংলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খারাপ করার কারণে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান না। এর অন্যতম কারণ হলো পড়াশোনায় ধারাবাহিকতার অভাব। অন্য একদল পরীক্ষার্থী ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও প্রচুর ভুল উত্তর করেন এবং নেগেটিভ মার্কিংয়ের কারণে বাদ পড়ে যান।

মো. মোস্তফা জামান, ৪০তম সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার। 

অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত