Ajker Patrika

জিম্যাট কী, কেন দেবেন (পর্ব–১)

মুসাররাত আবির
জিম্যাট কী, কেন দেবেন (পর্ব–১)

জিম্যাটের (GMAT) পূর্ণ রূপ হচ্ছে Graduate Management Admission Test। এটি একটি পরীক্ষা। এর স্কোর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিজনেস অ্যান্ড কমার্স বিষয়ে মাস্টার্সে আবেদনের জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনার মতো অন্য কিছু দেশেও এমবিএতে পড়ালেখার জন্য জিম্যাট স্কোরের প্রয়োজন পড়ে। এটি কম্পিউটারভিত্তিক একটি অনলাইন পরীক্ষা। এটি নেওয়া হয় Computer Adaptive Test বা CAT পদ্ধতিতে। 

জিম্যাট কেন দেবেন
আপনার যদি ইচ্ছা থাকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইউরোপের কোনো দেশে এমবিএ বা ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করার, তাহলে আপনাকে জিম্যাট দিতে হবে। প্রায় ৫০ বছর ধরে বিজনেস স্কুলগুলোতে আবেদনের মাপকাঠি হিসেবে জিম্যাট স্কোর গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কেবল জিম্যাট স্কোর ভালো হলেই যে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা আপনার জন্য খুলে যাবে, তা কিন্তু নয়। আপনার জিম্যাট স্কোরের পাশাপাশি স্নাতকের ফল কেমন ছিল, ব্যক্তিগত রচনা, রেকমেন্ডেশন লেটার, চাকরির অভিজ্ঞতা, রিসার্চ পেপার—সব মিলিয়ে আপনার আবেদনপত্র যাচাই করা হবে। তবে ভালো জিম্যাট স্কোর আপনাকে অবশ্যই অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে।

সিলেবাস ও প্রশ্নের ধরন
জিম্যাটের মাধ্যমে আপনার বিশ্লেষণ দক্ষতা ও গাণিতিক দক্ষতার পাশাপাশি আপনি কত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে পারেন, সেটা যাচাই করা হয়।  

ধাপ: মোট ৩টি ধাপে পরীক্ষা হয়। সেগুলো হলো: ভার্বাল রিজনিং, কোয়ান্টিটিভ রিজনিং ও ডেটা ইনসাইট।

সময়: মোট সময় ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। প্রতিটি ধাপের জন্য ৪৫ মিনিট করে সময় বরাদ্দ আছে। মাঝে ১০ মিনিটের বিরতি।

মানবণ্টন: মোট ৬৪টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকে। যার মধ্যে ভার্বাল সেকশনে ২১টি, কোয়ান্টিটিভে ২৩টি ও ডেটা ইনসাইটে ২০টি করে প্রশ্ন থাকে।

প্রশ্নের ধরন
কোয়ান্টিটিভ: ভগ্নাংশ, শতাংশ, বীজগণিত, সংখ্যাতত্ত্ব, লগারিদম, লাভ-ক্ষতি, পরিসংখ্যান, সম্ভাবনা ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন এসে থাকে।
ভার্বাল: ক্রিটিক্যাল/অ্যানালিটিক্যাল থিংকিং, কম্প্রেহেনশন, ইনফেরেন্স।

এই ধাপে পরীক্ষার্থীর যুক্তিবিদ্যা কেমন সেটা যাচাই করা হয়। এক ধরনের পরিস্থিতি দিয়ে সেখান থেকে কিছু প্রশ্ন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থী সেই পরিস্থিতির পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো কিছু বিশ্লেষণ করতে পারবে। এ ছাড়া এই ধাপে কোনো একটা বিষয়ে শর্ট ও লং প্যাসেজ থাকে। যার মাধ্যমে রিডিং দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়। এখানে ব্যবসা, সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ইত্যাদি সম্পর্কিত প্যাসেজ থাকতে পারে।

ডেটা ইনসাইট: এই ধাপে গ্রাফ ছবি বা টেবিল থেকে তথ্য নিয়ে সেটি বিশ্লেষণ করতে হয়। যেমন এই প্রশ্নের উত্তর বের করার জন্য কোন ডেটা ব্যবহার করতে হবে, কোন ডেটা জরুরি, গ্রাফ দেখে কোন ডেটার সঙ্গে কী সম্পর্কে আছে, তা বের করা ইত্যাদি।

পরীক্ষার নম্বর: ৮০০
নম্বর বণ্টনের ধরন
জিম্যাটের স্কোরকে ২০০-৮০০ নম্বরের মধ্যে রাখা হয়। জিম্যাটের প্রশ্নগুলোর কোনো নির্ধারিত নম্বর নেই। ধরা যাক, আপনি কোয়ান্টিটিভ সেকশনের ৮টি সহজ প্রশ্ন ভুল করেছেন বা উত্তর দেননি। তাহলে সেখানে আপনার নম্বর ৬০-৭০-এর মধ্যে হবে। কিন্তু যদি ৮টি কঠিন প্রশ্ন ভুল করেন, তাহলে আপনি ৮০ বা এর চেয়ে বেশিও পেতে পারেন।

তাই বলা যায়, জিম্যাটের স্কোর আপনি কতটা প্রশ্ন ভুল করেছেন, তার ওপর নির্ভর করে না। বরং আপনি কোন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না, সেটার ওপর নির্ভর করে। যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে ন্যূনতম ৬৬০ মার্কস থাকতে হবে। আর প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য ৭১০-এর বেশি স্কোর করতে হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চান, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখলেই তারা কত স্কোর চাচ্ছে, সেটা দেখতে পারবেন। 

জিম্যাট কত কঠিন
জিম্যাট তুলনামূলক কঠিন। যেহেতু এই পরীক্ষা কম্পিউটার অ্যাডাপটিভ ফরম্যাটে নেওয়া হয়, তাই কোনো প্রশ্নের উত্তর বাদ দেওয়া কিংবা কয়েকটা প্রশ্ন সমাধান করে আগের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগটা নেই। অর্থাৎ আপনার সামনে এখন যে প্রশ্নটা আসছে, সেটার উত্তর এখনই দিতে হবে। পরে দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই এটা এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষাও বটে। আর যত ধাপ অতিক্রম করবেন, প্রশ্ন তত কঠিন মনে হবে। যেহেতু জিম্যাট একটি সময় নির্ভর পরীক্ষা, তাই আপনাকে দ্রুততার সঙ্গে সব প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।

কখন জিম্যাট দেওয়া যায়
জিম্যাট বছরের যেকোনো সময়ই দেওয়া যায়। অনলাইনে আবেদন করে নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। আপনি আপনার এক জিম্যাট স্কোর দিয়ে ৫ বছর পর্যন্ত যেকোনো জায়গায় আবেদন করতে পারবেন। জিম্যাটের আবেদন ফি ২৫০ মার্কিন ডলার। জিম্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: https://www.mba.com/exams

সূত্র: জিম্যাট নিঞ্জা, শিক্ষা ডটকম, এমবিএ ডটকম, কাপলান টেস্ট প্রেপ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪ দফা দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৪
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা। ‎

‎এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ ‎বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’ ‎

‎সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’ ‎

এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা। ‎

‎শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ ‎

‎চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: জকসু নির্বাচন পিছিয়ে ৬ জানুয়ারি

জবি প্রতিনিধি‎
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‎‎আজ ‎মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎

‎তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

‎শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।

সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫০
খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’

পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।

বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।

এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন স্থগিত, ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‎আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।

‎গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

‎সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি। ‎

‎এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।

‎‎তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত