Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

আমেরিকায় আবেদন শুরু হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকে

আমেরিকায় আবেদন শুরু হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকে
আনিসুল ইসলাম নাঈম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ১০: ২০

সিলেটের মেয়ে শামসি মুমতাহিনা মম। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডেস ইউনিভার্সিটিতে বৃত্তি নিয়ে স্নাতক পড়ছেন। তাঁর পড়ার বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স। এখানেই থেমে নেই মম। তিনি এমআইটিতে পেয়েছেন ফেলোশিপ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম

প্রশ্ন: শৈশব নিয়ে জানতে চাই।
উত্তর: আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানার শাহি ঈদগাহ এলাকায়। তিন ভাই-বোনের মধ্যে আমিই বড়। মা-বাবা দুজনেই সিলেট জজকোর্টের আইনজীবী। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ইচ্ছা ছিল আইনজীবী বা চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে অলিম্পিয়াড দেওয়া শুরু করি। পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতের প্রতি ভালো লাগা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা জাগে। সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাই।

প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডেস ইউনিভার্সিটিতে বৃত্তি নিয়ে পড়ছেন, কেমন লাগছে?
উত্তর: ব্র্যান্ডেসে সুযোগ পাব ভাবিনি। এইচএসসি পরীক্ষা যেদিন শেষ হয়। সেদিনই অফার লেটার পাই। 

প্রশ্ন: বৃত্তি নিয়ে পড়বেন, এই স্বপ্ন দেখলেন কখন থেকে? 
উত্তর: সত্যি বলতে বিদেশে পড়াশোনা করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। করোনা মহামারির সময় ইউটিউব স্ক্রল করতে গিয়ে কিছু ভিডিও চোখে পড়ে। সেই ভিডিওগুলো ছিল আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে। ওই ভিডিও দেখে আমেরিকায় বৃত্তি নিয়ে পড়ার স্বপ্ন জাগে। এরপর আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত জানতে শুরু করি। 

প্রশ্ন: কীভাবে প্রস্তুতি শুরু করলেন?
উত্তর: এইচএসসির প্রথম বর্ষের শেষে স্যুট পরীক্ষা দিই। এরপর কমন অ্যাপে অ্যাপ্লিকেশন করি। সাপ্লিমেন্টারি অ্যাসে লেখা শুরু করি। কলেজ লিস্ট তৈরি করি। লেটার অব রিকমেন্ডেশন, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস, রিজিউমি এবং নির্দিষ্ট কলেজ যেসব ক্রাইটেরিয়া চায়। অলিম্পিয়াড এবং এক্সট্রা আর্ট পোর্টফোলিও—সব গুছিয়ে আমার এইচএসসি পরীক্ষার সময় অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করি। পরীক্ষা চলাকালীন ব্র্যান্ডেস থেকে ইন্টারভিউর ডাক আসে। পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার আগের দিন রাত একটা নাগাদ ইন্টারভিউ হয়। পরের দিন সকাল নয়টায় আমার পরীক্ষা ছিল। ইন্টারভিউর পর পরীক্ষার জন্য রাতে আবার পড়তে হয়েছে। ওই সময়টা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। আমেরিকায় অ্যাপ্লিকেশন এবং এইচএসসি পরীক্ষা—দুটি একসঙ্গে মেইনটেইন করেছি। এইচএসসি পরীক্ষার শেষ দিন রাতে ব্র্যান্ডেস থেকে অফার লেটার পাই।  

প্রশ্ন: নতুনরা কীভাবে প্রস্তুতি নেবে?
উত্তর: আমেরিকায় আবেদন শুরু হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকে। তখন কমন অ্যাপ চালু হয়। এ সময়ের আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখতে হবে। আমেরিকাতে বৃত্তি পেতে স্যুট পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাটের স্কোরের ওপর নম্বর দেওয়া থাকে। অনেকে মনে করেন, বৃত্তি পেতে আইইএলটিএস স্কোর ভালো হলেই হবে। তবে বৃত্তি পেতে আইইএলটিএস তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। স্যাট পরীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বৃত্তি পেতে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস, রিকমেন্ডেশন লেটার, অ্যাসে—এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। নতুনদের অ্যাসে আগে থেকেই লেখা শুরু করতে হবে। কারণ, স্বল্প সময়ে অ্যাসে লেখা সম্ভব হয় না। আবেদন করা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচিত কেউ থাকলে তাঁদের দিয়ে অ্যাসে চেক করানো এবং তাদের থেকে ফিডব্যাক নেওয়া উচিত। 

প্রশ্ন: ব্র্যান্ডেস ইউনিভার্সিটিতে বৃত্তিতে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়?
উত্তর: বৃত্তি পেলে ব্র্যান্ডেস বিশ্ববিদ্যালয় নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে থাকা-খাওয়া, টিউশন ফি, ইনস্যুরেন্স ইত্যাদি রয়েছে। এ ছাড়া এফ-১ ভিসায় শিক্ষার্থীরা ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। লাইব্রেরি বা কোনো অফিসে।

প্রশ্ন: নতুনদের মধ্যে যাঁরা বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে চান, তাঁদের জন্য কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর: নতুনেরা প্রথমে কলেজ লিস্ট দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করবে। কলেজ যে ধরনের ক্রাইটেরিয়া চায়, সে ধরনের যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সব কলেজের ক্রাইটেরিয়া নোট করে রাখতে হবে। এটা প্রোফাইল তৈরি করতে অনেক সাহায্য করে। অনেকে অ্যাসে শেষ সময়ে লেখেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, শেষ সময়ে এসে অ্যাসে শেষ করতে পারেন না। ২-৩ মাস হাতে রেখে গুছিয়ে সুন্দরভাবে অ্যাসে শুরু করতে হবে।

প্রশ্ন: ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) ফেলোশিপ পেয়েছেন। এই সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: সবে আমি প্রথম সেমিস্টার শেষ করেছি। তখনো হায়ার লেভেলে ক্লাস নেওয়া হয়নি, প্রজেক্টও ছিল। প্রথম বর্ষের শেষে এম আইটিতে আবেদন করি। ফেলোশিপও পেয়ে যাই! সবার একটা ধারণা থাকে, নতুনদের নির্বাচন করে না। এ জন্য প্রথম বা দ্বিতীয় সেমিস্টারে কেউ আবেদন করে না। তবে আমি আবেদনে বোঝানোর চেষ্টা করেছি—আমাকে যদি নির্বাচন করা হয়, তাহলে কীভাবে প্রোগ্রামে স্কিলসেট আনব। আমার টেক অভিজ্ঞতা একেবারে শূন্য ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে প্রথম ক্লাসে কোড লিখি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম চার মাসে ক্লাসের বাইরে মেশিন লার্নিং টেকনিক শিখেছিলাম, চেস্টডটকমে একটা হ্যাকাথন আয়োজন করে। সেখানে আমি দ্বিতীয় হই। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটিতে প্রথম আমার আন্ডারে একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করি। সে অনুযায়ী লিডারশিপ অভিজ্ঞতা ছিল। কমিউনিকেশন দক্ষতা উন্নতি হয়, টাস্ক ম্যানেজ করতে পারি—এসব বিষয় আমি এমআইটি ফেলোশিপের আবেদনে তুলে ধরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাবির ‘সি’ ইউনিটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

মো. ফাহিম ফরহাদ
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৬
জাবির ‘সি’ ইউনিটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এখন একেবারে দোরগোড়ায়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর এই শেষ মুহূর্তে সঠিক কৌশল নির্ধারণ করাই পারে একজন শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে। এ সময়ে নতুন করে কিছু পড়ার চেয়ে আগে শেখা বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ধরন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। তাই সামান্য কৌশলগত পরিবর্তনই এনে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।

বাংলা: ‘সি’ ইউনিটে বাংলা থেকে ২০টি প্রশ্ন থাকে। তাই প্রথমেই এইচএসসি বাংলা পাঠ্যবই ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। বিশেষ করে উপন্যাস ও নাটক, গল্প ও কবিতা, শব্দার্থ ও উদ্ধৃতি, লেখক ও পাঠ পরিচিতির দিকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

বাংলা ব্যাকরণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বানান ও উচ্চারণ, সমাস, কারক, ধ্বনি, পুরুষ ও সংখ্যাবাচক শব্দ—এসব বিষয় ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। পাশাপাশি মুখস্থভিত্তিক অংশ যেমন সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, বাগধারা এবং পারিভাষিক শব্দ নিয়মিত রিভিশন দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সাহিত্য ও সাহিত্যযুগ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই এই অংশটি অবহেলা করা যাবে না।

ভর্তি প্রস্তুতির সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছেই প্রশ্নব্যাংক থাকে। প্রতিদিন সেখান থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান করা এবং ব্যাকরণ বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলো ঝালিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। শেষ সময়ে অফলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ না থাকলে অনলাইনে বিভিন্ন অনুশীলনী পরীক্ষা দেওয়া যেতে পারে। এতে নিজের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা সহজ হয়, প্রস্তুতি আরও দৃঢ় হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

ইংরেজি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজিতে ভালো করা অনিবার্য। ইংরেজিতে কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পেলে মোট স্কোর ভালো হলেও অনেক বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায় না। যেমন আইন ও বিচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইংরেজি বিষয়ে ভর্তির জন্য আলাদাভাবে ইংরেজিতে অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর অর্জন করতে হয়। তাই ইংরেজি গ্রামারে—পার্টস অব স্পিচ, ভয়েস, আর্টিকেল, সাবজেক্ট-ভার্ব অ্যাগ্রিমেন্ট এবং রাইট ফরম অব ভার্ব—ভালো দখল থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্য, এনালজি, অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিশন এবং সিনোনিম -অ্যান্টোনিমের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। বাজারে ভর্তি পরীক্ষার উপযোগী ইংরেজির বেশ কিছু ভালো বই রয়েছে, সেগুলো থেকে নিয়মিত প্রশ্ন সমাধান করা উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যেমন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে, গ্রামার থেকে তুলনামূলকভাবে কম প্রশ্ন এসেছে এবং প্যাসেজ থেকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে। সাধারণত এক বা দুটি প্যাসেজ দেওয়া থাকে এবং সেখান থেকেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই প্যাসেজ অনুশীলনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা হওয়ায় শেষ মুহূর্তে ইংরেজিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

সাধারণ জ্ঞান ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সাধারণ জ্ঞান ও বিভাগ-সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ের প্রশ্ন ইংরেজিতে ছিল। সাধারণ জ্ঞানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকের (ইতিহাস, অর্থনীতি, নোবেল পুরস্কার, নদ-নদী, বিশ্বযুদ্ধ, সভ্যতা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, বিভিন্ন জায়গার পূর্বনাম, খেলাধুলা) প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

বিভাগ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ‘সি’ ইউনিটে যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর বিভিন্ন টপিক থেকে প্রশ্ন আসে। সি ইউনিটে বিষয় রয়েছে ৯টি; আইন ও বিচার (বাংলাদেশের সংবিধান, জাতীয় সংসদ, সাংবিধানিক সংস্থা), জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ (বাংলাদেশের গণমাধ্যম, উল্লেখযোগ্য পত্রপত্রিকা, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও কনভেনশন, প্রণালি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেশের পরিচিতি), ইতিহাস (সভ্যতা, বিশ্বের প্রথম, প্রাচীন ও বর্তমান নাম, বিপ্লব, বিশ্বযুদ্ধ, আলোচিত যুদ্ধ), প্রত্নতত্ত্ব (বাংলার দর্শনীয় স্থান-স্থাপত্য, প্রাচীন মসজিদ-মন্দির-দুর্গ, গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল), বাংলা (বাংলা ভাষার ইতিহাস, গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক ও রচনা), দর্শন (বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি, উক্তি-সম্পর্কিত প্রশ্ন), ইংরেজি এবং তুলনামূলক সাহিত্য (ইংরেজি সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য যুগ, সাহিত্যিক পরিভাষা) এসব টপিক থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

সবশেষে বলা যায়, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি হলো সময়, ধৈর্য ও কৌশলের একত্রীকরণ। সঠিক কৌশলে প্রস্তুতি নিলে অপ্রয়োজনীয় ভয় অনেকটাই কমে যায়। শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পুনরায় দেখে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার হলে ঘাবড়ানো নয়, আত্মবিশ্বাসী হওয়ায় পার্থক্য গড়ে তুলবে। শেষ পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হবে, পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না।

শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকে ব্যবহৃত ৮টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-৫)

শিক্ষা ডেস্ক
ব্যাংকে ব্যবহৃত ৮টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-৫)

আজ থাকছে আরও ৮টি প্রয়োজনীয় ইংরেজি বাক্য—

  • Please block my card immediately. দয়া করে আমার কার্ডটি দ্রুত ব্লক করুন।
  • How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি?
  • I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই।
  • I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা আছে।
  • My transaction did not go through. আমার লেনদেন সম্পন্ন হয়নি।
  • The ATM did not dispense cash. এটিএম টাকা দেয়নি।
  • I need help with online banking. অনলাইন ব্যাংকিংয়ে সাহায্য প্রয়োজন।
  • My password is not working. আমার পাসওয়ার্ড কাজ করছে না।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বদলে যাচ্ছে আইইএলটিএস পরীক্ষার নিয়ম, নতুন পদ্ধতিতে যা থাকছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৮
ছবি: ব্রিটিশ কাউন্সিল
ছবি: ব্রিটিশ কাউন্সিল

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।

তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত