Ajker Patrika

ফিউচার পোর্ট ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডস জয় করল ‘নির্ভয়া’

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
ফিউচার পোর্ট ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী দুই সদস্য। ছবি: সংগৃহীত
ফিউচার পোর্ট ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী দুই সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে অনুষ্ঠিত ফিউচার পোর্ট ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকদের দল ‘নির্ভয়া’ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে উদ্ভাবন এবং সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের সামাজিক-প্রযুক্তিগত প্রকল্পটি বিশ্বজুড়ে জমা পড়া প্রকল্পের মধ্য থেকে সেরা তিনে নির্বাচিত হয়।

ইউরোপের প্রভাবশালী জেন-জেড প্রযুক্তি সম্মেলন ফিউচার পোর্ট ইয়ুথ প্রতিবছর এমন উদ্ভাবনকে সম্মাননা দেয়। এটি প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখে। এবার আয়োজনে ২২২টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রকল্প প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এগুলোর মধ্যে ‘নির্ভয়া’ তাদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ বিচারকদের রায়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।

‘নির্ভয়া’র প্রকল্পটি দেশের নারীদের ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামনে রেখে তৈরি করা হয়। বিশেষত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং চা-বাগানের সুবিধাবঞ্চিত নারী শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতার ঘাটতি, কুসংস্কার এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে তারা প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান ও ধারাবাহিক কর্মসূচি পরিচালনা করছে।

দলটির সদস্যরা হলেন মো. তায়েব মৃধা, মারিয়া মারজানা ও শহীদুল জিসান। প্রাগের নোভাস্পিরালা কনফারেন্স সেন্টারের মূল মঞ্চে বিজয় ঘোষণায় ‘নির্ভয়া’র সহপ্রতিষ্ঠাতা মো. তায়েব মৃধা বলেন, ‘মাসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে সংকটে থাকা জনগোষ্ঠীর বাস্তবতা বিশ্বদরবারে তুলে ধরাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। ফিউচার পোর্ট ইয়ুথ সে সুযোগ দিয়েছে। প্রযুক্তি ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সমন্বয়ে স্থানীয় সমস্যার বৈশ্বিকভাবে প্রশংসিত সমাধান তৈরি করা সম্ভব, আমরা তা প্রমাণ করতে পেরেছি।’

চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পেটার পাভেল এবং দেশটির শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই সম্মেলনে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, মহাকাশ গবেষক ও ফুড ফিউচারিস্টরা। আমেরিকা ও গ্রিসের বিজয়ী দলের পাশাপাশি দেশের ‘নির্ভয়া’র উপস্থিতি প্রমাণ করে, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিচ্ছে।

দলের সদস্য মারিয়া বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পটি নারী স্বাস্থ্য, মর্যাদা ও নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে তৈরি। বিশ্বসেরা উদ্ভাবকদের মধ্যে প্রাগে আমাদের উদ্যোগ উপস্থাপন করা ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এই স্বীকৃতি তাঁদের প্রকল্পকে আরও বৃহৎ পরিসরে বিস্তৃত করতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ