
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। আগে এ কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর কলেজগুলোর অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় ঢাবি। এমন বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত কলেজগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। এ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস। গত মে মাসে তিনি প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। অধ্যাপক ইলিয়াসের নতুন দায়িত্ব গ্রহণ এবং সাত কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
ইলিয়াস শান্ত

প্রশ্ন: আপনাকে একসঙ্গে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হবে, দুটি প্রধান দায়িত্ব পালনে কোনো জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন?
অধ্যাপক ইলিয়াস: না, কোনো জটিলতা হবে বলে মনে করি না। কারণ, আমি এর আগেও বেশ কিছুদিন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছি। নতুন মেয়াদে সে অভিজ্ঞতা আমাকে কাজে দেবে। এ ছাড়া সাত কলেজের বাকি কলেজগুলোতে যেসব সম্মানিত অধ্যক্ষরা রয়েছেন—আমরা সবাই প্রায় কাছাকাছি সময়ে নিয়োগ পেয়েছি। আমাদের সবার সঙ্গে সবার পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই আন্তরিক। নতুন যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের এ সম্পর্ক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। এখানে কোনো কলেজকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। প্রত্যেক কলেজের শিক্ষার্থীদের আমরা নিজেদের শিক্ষার্থী বলে মনে করি। কলেজগুলোতে হেল্প ডেস্কের কার্যক্রম শুরু হলে আমাদের কার্যক্রমগুলো আরও সহজ ও গতিশীল হবে। নতুন প্রশাসনের কাজকে আরও কীভাবে সহজ ও গতিশীল করা যায়, সে লক্ষ্যে ঈদের পর থেকে ইউজিসির সমন্বয়ে আমরা ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাব। এসব আলোচনার আউটপুট আমরা প্রতিনিয়ত শেয়ার করব। এতে নতুন যে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, সেটা সম্পর্কে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধারণা আরও স্বচ্ছ হবে।
প্রশ্ন: সাত কলেজের নতুন প্রশাসনের গঠন কেমন হবে? এ প্রশাসনের ক্ষমতা ও কার্যাবলি কী কী থাকবে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে যে কাঠামো পাস হয়েছে, সেটাই আমাদের কার্যক্রমের মূল চালিকাশক্তি। নতুন প্রশাসনে ইউজিসির একজন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন প্রতিনিধি রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষসহ সাত কলেজের বাকি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের সমন্বয়ে এই প্রশাসন গঠিত হয়েছে। নতুন এই কাঠামোর অধীনে ভবিষ্যতে সাত কলেজের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন প্রশাসন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারলে সাত কলেজে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
প্রশ্ন: নবগঠিত প্রশাসন পরিচালনায় পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে কি?
অধ্যাপক ইলিয়াস: কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই জনবলের প্রয়োজন হবে। অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে নতুন প্রশাসন ঢাকা কলেজ থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভবিষ্যতে নতুন প্রশাসনের যে কার্যক্রমগুলো হবে, সেগুলো এখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা-নেওয়া অথবা ঢাকা কলেজ থেকে অন্য কলেজগুলোতে পাঠানোর ক্ষেত্রে যাতে কোনো বিড়ম্বনা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আমাদের অতিরিক্ত জনবল প্রয়োজন হতে পারে। সেটা আমাদের ভাবনায় রয়েছে। কী পরিমাণ জনবল লাগতে পারে, সেটা আমরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
প্রশ্ন: এ প্রশাসনের মেয়াদ কত দিন হবে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: অধ্যক্ষ পদে দুই বছরের যে মেয়াদের উল্লেখ রয়েছে, আপাতত সেটাই এ প্রশাসকের মেয়াদ। এটা এখানে কমবেশি হতে পারে। তবে এখানে যেহেতু দুই বছরের একটা লিমিটেশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে এখনই সেটি দুই বছরের বেশি করার সুযোগ নেই। তার আগেই যদি প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শেষ করা যায়, তাহলে হয়তো এ পদের প্রয়োজন আর নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার যেটা ভালো মনে করবে, তারা সে ব্যবস্থা নেবে। তার আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কার্যক্রম, সেটার অগ্রগতির ওপর নির্ভর করবে এ প্রশাসনের মেয়াদ।
প্রশ্ন: প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কবে থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারে, এ বিষয়ে কোনো বার্তা পেয়েছেন কি?
অধ্যাপক ইলিয়াস: কার্যক্রমের দুইটা ধারা রয়েছে। একটা হলো আমাদের যে চলমান কাঠামো আছে, সেটাকে চালিয়ে নেওয়া। অপরটি হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য যে আইনগত কার্যক্রম, সেটাকে ত্বরান্বিত করা। এই দুটি কাজ আমাদের একসঙ্গে করতে হবে। যাতে একটির জন্য অপরটি আটকে না থাকে অথবা বাধাগ্রস্ত না হয়। এ ছাড়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের নির্দেশনায় ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। তাদের কাজ শেষ হওয়ার পর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনগত ভিত্তি তৈরি হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
প্রশ্ন: সাত কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েশন শেষে ঢাবির সনদ চান না। তাঁরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন...
অধ্যাপক ইলিয়াস: এ বিষয়ে আমাদের কিছুটা সময় দিতে হবে। আমাদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাস হলেই কেবল শিক্ষার্থীদের এ দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারব। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়, তখন নিয়মিত শিক্ষার্থীরা কীভাবে সনদ পেয়েছে, সেটা আমাদের দেখতে হবে। তখন যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েটদের সনদ দিতে পারে, আমার মনে হয়, এখন দিতেও কোনো সমস্যা হবে না। এ জন্য সবার আগে প্রয়োজন প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনগত ভিত্তি তৈরি করা। সেটা যত দ্রুত সম্ভব হবে, শিক্ষার্থীদের এ-সংক্রান্ত দাবিগুলো বাস্তবায়ন তত সহজ হবে। এ বিষয়ে আমি শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন না হতে অনুরোধ করব।
প্রশ্ন: প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে, এ বিষয়ে কিছু বলবেন কিনা?
অধ্যাপক ইলিয়াস: সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যে কার্যক্রমটা ঘটছে, সেটা দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে ঘটছে। এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউজিসির সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। আপনি জানেন, ফায়েজ স্যারের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস রয়েছে। এ রকম মানুষের ওপর আস্থা রেখেই আমরা কাজ করছি। চেয়ারম্যান স্যার সাত কলেজের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্পষ্ট বলেছেন, প্রত্যেক কলেজের স্বকীয়তা বজায় থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর হলেও বর্তমান শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে আমরা ইউজিসি থেকে আশ্বাস পেয়েছি। সুতরাং আমি আশঙ্কার বিষয়ে বলব, সেটা অমূলক। একই সঙ্গে কলেজগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির যে পাঠদান চলছে, সেটাও থাকবে। অর্থাৎ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় কারও কোনো কিছু হারানোর শঙ্কা নেই। দুটি বিষয়ে উইন উইন সিচুয়েশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রশ্ন: সাত কলেজের যে দুটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক নেই, নতুন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে কলেজগুলোতেও উচ্চমাধ্যমিক যুক্ত করা হবে বলে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে আপনি জানেন কিনা?
অধ্যাপক ইলিয়াস: এখন পর্যন্ত আমাদের যে মিটিংগুলো হয়েছে, সেখানে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত—কোনো কিছুই হয়নি।
প্রশ্ন: ঈদের আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো-মডেল প্রকাশের কথা আমরা শুনেছি। কবে এগুলো প্রকাশ হতে পারে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: আমিও সংবাদমাধ্যমের বরাতে শুনেছি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির নেতাদের সঙ্গে আমার পৃথক কোনো আলোচনা হয়নি। তবে এটুকু বলতে পারি, কার্যক্রমের একটি ধারাবাহিকতা আছে। সে ক্ষেত্রে হয়তো কমিটি কোনটা আগে কোনটা পরে প্রকাশ করা যেতে পারে, সে বিষয়ে একটা ধারণা দিয়েছে। এখন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর হচ্ছে, এটার জন্য সর্বোচ্চ সমাধান হলো বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন করা। এটা আমি আগেও বলেছি, যে অধ্যাদেশটা হবে সেটা না হওয়ার আগপর্যন্ত যা কিছু প্রকাশ করি না কেন, সেটা বাস্তবসম্মত নয়। বাস্তবতা হলো আগে আইনটা হওয়া। এটা কত দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে শেষ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা ইউজিসিকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছি।
প্রশ্ন: অধিভুক্ত থাকাকালে ঢাবি সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেছে। এখন ইউজিসি, ঢাবি ও নবগঠিত প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করবে। তিনটি বডির সঙ্গে এ সমন্বয়টা কীভাবে করবেন?
অধ্যাপক ইলিয়াস: নতুন প্রশাসনের সমন্বয় কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ইউজিসির সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান। সাত কলেজের অধ্যক্ষরাও এ কমিটিতে আছেন। এর সঙ্গে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস, রেজিস্ট্রার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (শিক্ষা)। এর বাইরে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক যিনি হবেন, তিনি এ কমিটিতে যুক্ত থাকবেন। আমরা সব বডির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। প্রতি সপ্তাহে হয়তো সম্ভব হবে না, মাসে অন্তত একটা হলেও মিটিং করে নতুন যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। এটা আমরা যথাযথভাবে করতে পারলে আমাদের সব কাজ সময়ের আগেই শেষ করা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে যেসব বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে ছিলেন, এসব সমস্যা সমাধানে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: এখানে আপনাকে একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আমাদের চলমান যে শিক্ষাবর্ষ আছে, এসবের ফাইনাল পরীক্ষার ডেটলাইন অলরেডি দিয়ে দিয়েছি। প্রতিটি কলেজের বিভাগগুলো যদি এ সময়ের মধ্যে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শেষ করতে পারে, তাহলে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই ইয়ার কার্যক্রম শেষ করতে পারব। নিকট অতীতে বিভিন্ন কারণে ইয়ার শেষ করতে আমাদের কিছুটা বেশি সময় লেগেছিল। সেটা নিয়েও আমাদের রিকোভারি প্ল্যান রয়েছে। আমরা এখন ১২ মাসের শিক্ষাবর্ষ ৮ মাসে শেষ করছি। চলতি শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে প্রথমে আমরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে ঢাবি সেটা কার্যকরে সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। এভাবে শিক্ষার্থীদের আরও অন্য যেসব সমস্যা আছে, সব সমস্যা ধরে ধরে সমাধান করা হবে।

প্রশ্ন: অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন কি?
অধ্যাপক ইলিয়াস: শিক্ষার্থীদের এ দাবির বিষয়ে আমরা অবগত আছি। ইতিমধ্যে ফাইনাল ইয়ারের পদার্থবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ের যেসব শিক্ষার্থীরা অধিক মাত্রায় অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁদের অতি দ্রুত আরেকটি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজির একটি কোর্স ও পদার্থবিজ্ঞানের একাধিক কোর্সের শিক্ষার্থী রয়েছেন।
প্রশ্ন: সাত কলেজের প্রশ্ন প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি, খাতা মূল্যায়ন, ফল প্রকাশ—এসব বিষয়গুলোতে এখন কেমন পরিবর্তন আসছে? এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফি সহনীয় পর্যায়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন...
অধ্যাপক ইলিয়াস: আগে যেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করত, এখন সেটা অন্তর্বর্তী প্রশাসন করবে। এর মাধ্যমে আমাদের কাজগুলোতে আরও অনেক বেশি গতিশীলতা আসবে। আমরা মাস্টার্স ও ডিগ্রির বিশেষ পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ করেছি। দ্রুত এসব কোর্সের ফল প্রকাশিত হবে। ফল প্রকাশের বিষয়ে যদি বলি, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর খাতা বিতরণে আমরা নতুন একটা উদ্যোগ নিয়েছি। সেটা কার্যকর করা গেলে আরও দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। আরেকটা হলো, আমরা যদি অটোমেশনে যাই, তাহলে ফলটা আরও দ্রুত প্রকাশ করতে পারব। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফি কমানোর বিষয়টিও আমরা পর্যালোচনা করছি।
প্রশ্ন: সাত কলেজের প্রতিটি ক্যাম্পাসে ‘হেল্প ডেস্ক’ স্থাপনের বিষয়ে একটি প্রস্তাব ছিল। এটার কার্যক্রম কবে থেকে দৃশ্যমান হবে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: হেল্প ডেস্ক স্থাপনের বিষয়ে ইতিমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে প্রতিটি কলেজের হেল্প ডেস্ক মনিটর করা শুরু হবে। এ ডেস্কের কার্যক্রম যেন যথাযথভাবে চালু থাকে, সে জন্য আমরা এটাতে নজর রাখব। হেল্প ডেস্ক চালু হলে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি উপকৃত হবেন। তাঁরা আগে নিজেদের যেসব সমস্যা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শেষ করতেন, সেটা এই ডেস্কের সহায়তা নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করতে পারবেন। প্রতিটি কলেজে হেল্প ডেস্ক পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা গেলে শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য নিজ ক্যাম্পাস থেকে আর বাইরে আসতে হবে না।
প্রশ্ন: ঢাবির অধীনে সাত কলেজের একটি কলেজ অন্য কলেজে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখন থেকে নিজের কলেজে পরীক্ষায় বসতে চান। শিক্ষার্থীদের এ দাবি বিবেচনা করবেন কিনা?
অধ্যাপক ইলিয়াস: আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার এ বিষয়ে শুনেছি। এখানে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই, এটা সমন্বিত সিদ্ধান্তের বিষয়। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আপনি যেটি বলেছেন, সেটা আমরা আমলে নিচ্ছি। আমাদের ফোরামে এ বিষয়ে আলোচনা হলে তখন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানাতে পারব। ব্যক্তিগতভাবে যদি বলি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে আমাদের সেদিকেই যেতে হবে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাই করছে।
প্রশ্ন: চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম কবে থেকে শুরু হবে, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখবেন কিনা, এসব শিক্ষার্থীরা কোন সিলেবাসের অধীনে ভর্তি হবেন?
অধ্যাপক ইলিয়াস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শুরু হওয়া সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রায় ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। স্থগিত হওয়া ভর্তি আবেদন চলতি মাসের মধ্যে আবার শুরু হবে। ঈদের ছুটি শেষে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা পূর্বের সিলেবাসে ভর্তি হবেন। ইতিপূর্বে যাঁরা ভর্তি আবেদন করেছেন, তাঁদের আর আবেদন করতে হবে না। সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের সুযোগ রাখতে চাই। এ বিষয়ে আমাদের একটা প্রস্তাবনা আছে।
প্রশ্ন: সাত কলেজের কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেছেন, অন্য কলেজের চেয়ে ঢাকা কলেজের প্রতি আপনার বেশি আগ্রহ থাকবে। আপনার দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে অন্য কলেজের চেয়ে ঢাকা কলেজ বেশি সুবিধা পাবে। এ বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যা জানতে চাই।
অধ্যাপক ইলিয়াস: আমি সবার উদ্দেশে বলব, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আমার দায়িত্ব এখান পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কিন্তু যখন আমি প্রশাসক, তখন আমার কাছে সব কলেজের শিক্ষার্থীরা সমান মর্যাদা পাবেন। আমি এটা শুধু দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই না, এটা কার্যকর করতে চাই। অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা যখন কোনো বিষয়ে ঢাকা কলেজে আসবেন, তখন আমি আগে তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। পরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলব। এসব ক্ষেত্রে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের চেয়ে অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবেন। অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আমি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, এ বিষয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বাকিটা কাজে বাস্তবায়ন করব।
প্রশ্ন: আপনাকে একসঙ্গে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হবে, দুটি প্রধান দায়িত্ব পালনে কোনো জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন?
অধ্যাপক ইলিয়াস: না, কোনো জটিলতা হবে বলে মনে করি না। কারণ, আমি এর আগেও বেশ কিছুদিন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছি। নতুন মেয়াদে সে অভিজ্ঞতা আমাকে কাজে দেবে। এ ছাড়া সাত কলেজের বাকি কলেজগুলোতে যেসব সম্মানিত অধ্যক্ষরা রয়েছেন—আমরা সবাই প্রায় কাছাকাছি সময়ে নিয়োগ পেয়েছি। আমাদের সবার সঙ্গে সবার পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই আন্তরিক। নতুন যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের এ সম্পর্ক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। এখানে কোনো কলেজকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। প্রত্যেক কলেজের শিক্ষার্থীদের আমরা নিজেদের শিক্ষার্থী বলে মনে করি। কলেজগুলোতে হেল্প ডেস্কের কার্যক্রম শুরু হলে আমাদের কার্যক্রমগুলো আরও সহজ ও গতিশীল হবে। নতুন প্রশাসনের কাজকে আরও কীভাবে সহজ ও গতিশীল করা যায়, সে লক্ষ্যে ঈদের পর থেকে ইউজিসির সমন্বয়ে আমরা ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাব। এসব আলোচনার আউটপুট আমরা প্রতিনিয়ত শেয়ার করব। এতে নতুন যে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, সেটা সম্পর্কে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধারণা আরও স্বচ্ছ হবে।
প্রশ্ন: সাত কলেজের নতুন প্রশাসনের গঠন কেমন হবে? এ প্রশাসনের ক্ষমতা ও কার্যাবলি কী কী থাকবে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে যে কাঠামো পাস হয়েছে, সেটাই আমাদের কার্যক্রমের মূল চালিকাশক্তি। নতুন প্রশাসনে ইউজিসির একজন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন প্রতিনিধি রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষসহ সাত কলেজের বাকি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের সমন্বয়ে এই প্রশাসন গঠিত হয়েছে। নতুন এই কাঠামোর অধীনে ভবিষ্যতে সাত কলেজের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন প্রশাসন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারলে সাত কলেজে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
প্রশ্ন: নবগঠিত প্রশাসন পরিচালনায় পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে কি?
অধ্যাপক ইলিয়াস: কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই জনবলের প্রয়োজন হবে। অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে নতুন প্রশাসন ঢাকা কলেজ থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভবিষ্যতে নতুন প্রশাসনের যে কার্যক্রমগুলো হবে, সেগুলো এখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা-নেওয়া অথবা ঢাকা কলেজ থেকে অন্য কলেজগুলোতে পাঠানোর ক্ষেত্রে যাতে কোনো বিড়ম্বনা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আমাদের অতিরিক্ত জনবল প্রয়োজন হতে পারে। সেটা আমাদের ভাবনায় রয়েছে। কী পরিমাণ জনবল লাগতে পারে, সেটা আমরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
প্রশ্ন: এ প্রশাসনের মেয়াদ কত দিন হবে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: অধ্যক্ষ পদে দুই বছরের যে মেয়াদের উল্লেখ রয়েছে, আপাতত সেটাই এ প্রশাসকের মেয়াদ। এটা এখানে কমবেশি হতে পারে। তবে এখানে যেহেতু দুই বছরের একটা লিমিটেশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে এখনই সেটি দুই বছরের বেশি করার সুযোগ নেই। তার আগেই যদি প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শেষ করা যায়, তাহলে হয়তো এ পদের প্রয়োজন আর নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার যেটা ভালো মনে করবে, তারা সে ব্যবস্থা নেবে। তার আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কার্যক্রম, সেটার অগ্রগতির ওপর নির্ভর করবে এ প্রশাসনের মেয়াদ।
প্রশ্ন: প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কবে থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারে, এ বিষয়ে কোনো বার্তা পেয়েছেন কি?
অধ্যাপক ইলিয়াস: কার্যক্রমের দুইটা ধারা রয়েছে। একটা হলো আমাদের যে চলমান কাঠামো আছে, সেটাকে চালিয়ে নেওয়া। অপরটি হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য যে আইনগত কার্যক্রম, সেটাকে ত্বরান্বিত করা। এই দুটি কাজ আমাদের একসঙ্গে করতে হবে। যাতে একটির জন্য অপরটি আটকে না থাকে অথবা বাধাগ্রস্ত না হয়। এ ছাড়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের নির্দেশনায় ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। তাদের কাজ শেষ হওয়ার পর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনগত ভিত্তি তৈরি হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
প্রশ্ন: সাত কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েশন শেষে ঢাবির সনদ চান না। তাঁরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন...
অধ্যাপক ইলিয়াস: এ বিষয়ে আমাদের কিছুটা সময় দিতে হবে। আমাদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাস হলেই কেবল শিক্ষার্থীদের এ দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারব। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়, তখন নিয়মিত শিক্ষার্থীরা কীভাবে সনদ পেয়েছে, সেটা আমাদের দেখতে হবে। তখন যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েটদের সনদ দিতে পারে, আমার মনে হয়, এখন দিতেও কোনো সমস্যা হবে না। এ জন্য সবার আগে প্রয়োজন প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনগত ভিত্তি তৈরি করা। সেটা যত দ্রুত সম্ভব হবে, শিক্ষার্থীদের এ-সংক্রান্ত দাবিগুলো বাস্তবায়ন তত সহজ হবে। এ বিষয়ে আমি শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন না হতে অনুরোধ করব।
প্রশ্ন: প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে, এ বিষয়ে কিছু বলবেন কিনা?
অধ্যাপক ইলিয়াস: সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যে কার্যক্রমটা ঘটছে, সেটা দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে ঘটছে। এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউজিসির সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। আপনি জানেন, ফায়েজ স্যারের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ইতিহাস রয়েছে। এ রকম মানুষের ওপর আস্থা রেখেই আমরা কাজ করছি। চেয়ারম্যান স্যার সাত কলেজের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্পষ্ট বলেছেন, প্রত্যেক কলেজের স্বকীয়তা বজায় থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর হলেও বর্তমান শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে আমরা ইউজিসি থেকে আশ্বাস পেয়েছি। সুতরাং আমি আশঙ্কার বিষয়ে বলব, সেটা অমূলক। একই সঙ্গে কলেজগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির যে পাঠদান চলছে, সেটাও থাকবে। অর্থাৎ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় কারও কোনো কিছু হারানোর শঙ্কা নেই। দুটি বিষয়ে উইন উইন সিচুয়েশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রশ্ন: সাত কলেজের যে দুটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক নেই, নতুন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে কলেজগুলোতেও উচ্চমাধ্যমিক যুক্ত করা হবে বলে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে আপনি জানেন কিনা?
অধ্যাপক ইলিয়াস: এখন পর্যন্ত আমাদের যে মিটিংগুলো হয়েছে, সেখানে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত—কোনো কিছুই হয়নি।
প্রশ্ন: ঈদের আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো-মডেল প্রকাশের কথা আমরা শুনেছি। কবে এগুলো প্রকাশ হতে পারে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: আমিও সংবাদমাধ্যমের বরাতে শুনেছি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির নেতাদের সঙ্গে আমার পৃথক কোনো আলোচনা হয়নি। তবে এটুকু বলতে পারি, কার্যক্রমের একটি ধারাবাহিকতা আছে। সে ক্ষেত্রে হয়তো কমিটি কোনটা আগে কোনটা পরে প্রকাশ করা যেতে পারে, সে বিষয়ে একটা ধারণা দিয়েছে। এখন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর হচ্ছে, এটার জন্য সর্বোচ্চ সমাধান হলো বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন করা। এটা আমি আগেও বলেছি, যে অধ্যাদেশটা হবে সেটা না হওয়ার আগপর্যন্ত যা কিছু প্রকাশ করি না কেন, সেটা বাস্তবসম্মত নয়। বাস্তবতা হলো আগে আইনটা হওয়া। এটা কত দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে শেষ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা ইউজিসিকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছি।
প্রশ্ন: অধিভুক্ত থাকাকালে ঢাবি সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেছে। এখন ইউজিসি, ঢাবি ও নবগঠিত প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করবে। তিনটি বডির সঙ্গে এ সমন্বয়টা কীভাবে করবেন?
অধ্যাপক ইলিয়াস: নতুন প্রশাসনের সমন্বয় কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ইউজিসির সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান। সাত কলেজের অধ্যক্ষরাও এ কমিটিতে আছেন। এর সঙ্গে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস, রেজিস্ট্রার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (শিক্ষা)। এর বাইরে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক যিনি হবেন, তিনি এ কমিটিতে যুক্ত থাকবেন। আমরা সব বডির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। প্রতি সপ্তাহে হয়তো সম্ভব হবে না, মাসে অন্তত একটা হলেও মিটিং করে নতুন যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। এটা আমরা যথাযথভাবে করতে পারলে আমাদের সব কাজ সময়ের আগেই শেষ করা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে যেসব বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে ছিলেন, এসব সমস্যা সমাধানে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: এখানে আপনাকে একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আমাদের চলমান যে শিক্ষাবর্ষ আছে, এসবের ফাইনাল পরীক্ষার ডেটলাইন অলরেডি দিয়ে দিয়েছি। প্রতিটি কলেজের বিভাগগুলো যদি এ সময়ের মধ্যে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শেষ করতে পারে, তাহলে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই ইয়ার কার্যক্রম শেষ করতে পারব। নিকট অতীতে বিভিন্ন কারণে ইয়ার শেষ করতে আমাদের কিছুটা বেশি সময় লেগেছিল। সেটা নিয়েও আমাদের রিকোভারি প্ল্যান রয়েছে। আমরা এখন ১২ মাসের শিক্ষাবর্ষ ৮ মাসে শেষ করছি। চলতি শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে প্রথমে আমরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে ঢাবি সেটা কার্যকরে সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। এভাবে শিক্ষার্থীদের আরও অন্য যেসব সমস্যা আছে, সব সমস্যা ধরে ধরে সমাধান করা হবে।

প্রশ্ন: অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন কি?
অধ্যাপক ইলিয়াস: শিক্ষার্থীদের এ দাবির বিষয়ে আমরা অবগত আছি। ইতিমধ্যে ফাইনাল ইয়ারের পদার্থবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ের যেসব শিক্ষার্থীরা অধিক মাত্রায় অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁদের অতি দ্রুত আরেকটি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজির একটি কোর্স ও পদার্থবিজ্ঞানের একাধিক কোর্সের শিক্ষার্থী রয়েছেন।
প্রশ্ন: সাত কলেজের প্রশ্ন প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি, খাতা মূল্যায়ন, ফল প্রকাশ—এসব বিষয়গুলোতে এখন কেমন পরিবর্তন আসছে? এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফি সহনীয় পর্যায়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন...
অধ্যাপক ইলিয়াস: আগে যেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করত, এখন সেটা অন্তর্বর্তী প্রশাসন করবে। এর মাধ্যমে আমাদের কাজগুলোতে আরও অনেক বেশি গতিশীলতা আসবে। আমরা মাস্টার্স ও ডিগ্রির বিশেষ পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ করেছি। দ্রুত এসব কোর্সের ফল প্রকাশিত হবে। ফল প্রকাশের বিষয়ে যদি বলি, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর খাতা বিতরণে আমরা নতুন একটা উদ্যোগ নিয়েছি। সেটা কার্যকর করা গেলে আরও দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। আরেকটা হলো, আমরা যদি অটোমেশনে যাই, তাহলে ফলটা আরও দ্রুত প্রকাশ করতে পারব। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফি কমানোর বিষয়টিও আমরা পর্যালোচনা করছি।
প্রশ্ন: সাত কলেজের প্রতিটি ক্যাম্পাসে ‘হেল্প ডেস্ক’ স্থাপনের বিষয়ে একটি প্রস্তাব ছিল। এটার কার্যক্রম কবে থেকে দৃশ্যমান হবে?
অধ্যাপক ইলিয়াস: হেল্প ডেস্ক স্থাপনের বিষয়ে ইতিমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে প্রতিটি কলেজের হেল্প ডেস্ক মনিটর করা শুরু হবে। এ ডেস্কের কার্যক্রম যেন যথাযথভাবে চালু থাকে, সে জন্য আমরা এটাতে নজর রাখব। হেল্প ডেস্ক চালু হলে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি উপকৃত হবেন। তাঁরা আগে নিজেদের যেসব সমস্যা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শেষ করতেন, সেটা এই ডেস্কের সহায়তা নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করতে পারবেন। প্রতিটি কলেজে হেল্প ডেস্ক পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা গেলে শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য নিজ ক্যাম্পাস থেকে আর বাইরে আসতে হবে না।
প্রশ্ন: ঢাবির অধীনে সাত কলেজের একটি কলেজ অন্য কলেজে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখন থেকে নিজের কলেজে পরীক্ষায় বসতে চান। শিক্ষার্থীদের এ দাবি বিবেচনা করবেন কিনা?
অধ্যাপক ইলিয়াস: আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার এ বিষয়ে শুনেছি। এখানে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই, এটা সমন্বিত সিদ্ধান্তের বিষয়। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আপনি যেটি বলেছেন, সেটা আমরা আমলে নিচ্ছি। আমাদের ফোরামে এ বিষয়ে আলোচনা হলে তখন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানাতে পারব। ব্যক্তিগতভাবে যদি বলি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে আমাদের সেদিকেই যেতে হবে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাই করছে।
প্রশ্ন: চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম কবে থেকে শুরু হবে, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখবেন কিনা, এসব শিক্ষার্থীরা কোন সিলেবাসের অধীনে ভর্তি হবেন?
অধ্যাপক ইলিয়াস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শুরু হওয়া সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রায় ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। স্থগিত হওয়া ভর্তি আবেদন চলতি মাসের মধ্যে আবার শুরু হবে। ঈদের ছুটি শেষে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা পূর্বের সিলেবাসে ভর্তি হবেন। ইতিপূর্বে যাঁরা ভর্তি আবেদন করেছেন, তাঁদের আর আবেদন করতে হবে না। সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের সুযোগ রাখতে চাই। এ বিষয়ে আমাদের একটা প্রস্তাবনা আছে।
প্রশ্ন: সাত কলেজের কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেছেন, অন্য কলেজের চেয়ে ঢাকা কলেজের প্রতি আপনার বেশি আগ্রহ থাকবে। আপনার দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে অন্য কলেজের চেয়ে ঢাকা কলেজ বেশি সুবিধা পাবে। এ বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যা জানতে চাই।
অধ্যাপক ইলিয়াস: আমি সবার উদ্দেশে বলব, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আমার দায়িত্ব এখান পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কিন্তু যখন আমি প্রশাসক, তখন আমার কাছে সব কলেজের শিক্ষার্থীরা সমান মর্যাদা পাবেন। আমি এটা শুধু দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই না, এটা কার্যকর করতে চাই। অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা যখন কোনো বিষয়ে ঢাকা কলেজে আসবেন, তখন আমি আগে তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। পরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলব। এসব ক্ষেত্রে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের চেয়ে অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবেন। অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আমি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, এ বিষয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বাকিটা কাজে বাস্তবায়ন করব।

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে গত তিন যুগ ছিল পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের সময়। এই সময়ে শিক্ষা শুধু শহরকেন্দ্রিক থেকে বেড়ে ধীরে ধীরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
৯ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

আপনাকে একসঙ্গে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হবে, দুটি প্রধান দায়িত্ব পালনে কোনো জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন?
১৫ জুন ২০২৫
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে গত তিন যুগ ছিল পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের সময়। এই সময়ে শিক্ষা শুধু শহরকেন্দ্রিক থেকে বেড়ে ধীরে ধীরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
৯ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খান, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিশেষ সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক এবং বিশেষ সহকারী মো. মাজেদ-উল-হক এবং প্রভাষক ও বিশেষ সহকারী এস এম আবদুল্লাহ শাফি।
অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত ও প্রতিযোগিতামূলক গেমিং অঙ্গনে। পাবজি মোবাইল প্রতিযোগিতার অনলাইন কোয়ালিফায়ার পর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ৩২টি দল সেমিফাইনালে এবং পরবর্তী সময়ে ১৬টি দল ক্যাম্পাস ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত দিনে অনুষ্ঠিত চারটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ভ্যালোরান্ট বিভাগে অনলাইন লোয়ার-ব্র্যাকেট পর্ব ও ক্যাম্পাসে ল্যান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। লোয়ার-ব্র্যাকেট থেকে উঠে এসে অলস্টারস দল গ্র্যান্ড ফাইনালে ন্যাক্সআর ই-স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়। তিন ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ পর্যন্ত অলস্টারস চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে।
এ ছাড়া উৎসবে মোবাইল লেজেন্ডস: ব্যাঙ ব্যাঙ (এমএলবিবি), এফসি ২৫ এবং ই-ফুটবল প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এমএলবিবি বিভাগে ভাইপার স্ট্রাইকার্স, এফসি ২৫ বিভাগে নিও, ই-ফুটবল একক বিভাগে শাওন শান্ত এবং দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। বক্তারা আয়োজনের ব্যাপ্তি, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তিনজন সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, এআইইউবি ই-স্পোর্টস ক্লাব ও এআইইউবি পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খান, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিশেষ সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক এবং বিশেষ সহকারী মো. মাজেদ-উল-হক এবং প্রভাষক ও বিশেষ সহকারী এস এম আবদুল্লাহ শাফি।
অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত ও প্রতিযোগিতামূলক গেমিং অঙ্গনে। পাবজি মোবাইল প্রতিযোগিতার অনলাইন কোয়ালিফায়ার পর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ৩২টি দল সেমিফাইনালে এবং পরবর্তী সময়ে ১৬টি দল ক্যাম্পাস ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত দিনে অনুষ্ঠিত চারটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ভ্যালোরান্ট বিভাগে অনলাইন লোয়ার-ব্র্যাকেট পর্ব ও ক্যাম্পাসে ল্যান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। লোয়ার-ব্র্যাকেট থেকে উঠে এসে অলস্টারস দল গ্র্যান্ড ফাইনালে ন্যাক্সআর ই-স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়। তিন ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ পর্যন্ত অলস্টারস চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে।
এ ছাড়া উৎসবে মোবাইল লেজেন্ডস: ব্যাঙ ব্যাঙ (এমএলবিবি), এফসি ২৫ এবং ই-ফুটবল প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এমএলবিবি বিভাগে ভাইপার স্ট্রাইকার্স, এফসি ২৫ বিভাগে নিও, ই-ফুটবল একক বিভাগে শাওন শান্ত এবং দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। বক্তারা আয়োজনের ব্যাপ্তি, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তিনজন সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, এআইইউবি ই-স্পোর্টস ক্লাব ও এআইইউবি পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

আপনাকে একসঙ্গে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হবে, দুটি প্রধান দায়িত্ব পালনে কোনো জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন?
১৫ জুন ২০২৫
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে গত তিন যুগ ছিল পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের সময়। এই সময়ে শিক্ষা শুধু শহরকেন্দ্রিক থেকে বেড়ে ধীরে ধীরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক


নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। একদিকে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ, অন্যদিকে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার দৃঢ়সংকল্প। বাস্তবতা ও স্বপ্নের এ মিশ্রণই নতুন বছরে তাঁদের প্রত্যাশাকে করে তোলে গভীর ও অর্থবহ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেই ভাবনা ও প্রত্যাশার কথাই তুলে ধরছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব আল হাসান।

ক্যাম্পাস হোক রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত
মো. আশিক মাহমুদ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর আমার কাছে শুধু সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের সুযোগ। আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা হবে রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত; যেখানে জ্ঞানচর্চাই হবে মুখ্য। ক্লাসরুমে ফিরে আসুক শিক্ষার প্রকৃত জৌলুশ ও গুণগত মান। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতে, যেন যোগ্যতার ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত কর্মজীবনের পথে এগোতে পারি। একই সঙ্গে জাগতিক সাফল্যের ভিড়ে হারিয়ে না গিয়ে মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠাই হোক নতুন বছরের লক্ষ্য।

সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক
রাইসা আমিন, শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর মানে আমার কাছে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ। আমি প্রত্যাশা করি, শিক্ষাঙ্গন হবে আরও প্রাণবন্ত, গবেষণামুখী এবং সহমর্মিতায় পরিপূর্ণ। পড়াশোনার পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা বাড়ুক। মতের ভিন্নতা থাকলেও পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় থাকুক—মতভেদ হোক, কিন্তু বিভেদ নয়। সহপাঠীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। ব্যক্তিগত জীবনে সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং লক্ষ্যভিত্তিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চাই।

তরুণ প্রজন্মের অন্তরে এক অদম্য আশার স্রোত
মো. মাহামুদুল হাসান, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছরের সূচনায় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অন্তরে জেগে উঠেছে এক অদম্য আশার স্রোত। আর্থসামাজিক অস্থিরতা, বেকারত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রযুক্তির অগ্রগতি; বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইনের মতো ক্ষেত্র—আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। প্রতিহিংসা নয়, বরং ন্যায়ভিত্তিক ও স্বনির্ভর সমাজ গঠনের স্বপ্নই আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ যুবশক্তির হাত ধরে বাংলাদেশ পৌঁছাবে নতুন উচ্চতায়।

গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাক
মেহরাজ হোসেন, শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর একদিকে যেমন বিদায়ের বার্তা দেয়, অন্যদিকে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দেয়। সাম্প্রতিক আন্দোলনের ইতিবাচক প্রভাবে ক্যাম্পাসগুলোতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন, র্যাগিং ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান—সবই শিক্ষার্থীদের সচেতনতার প্রতিফলন। নতুন বছরে প্রত্যাশা, ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও এগিয়ে যাবে জ্ঞান ও গবেষণায়। গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে আন্তর্জাতিক পরিসরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করাই হোক আমাদের যৌথ লক্ষ্য।

নিজেকে মানবিক ও সচেতন করে গড়ে তুলতে চাই
সমাপ্তি খান, শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর আমাদের কাছে নতুন স্বপ্নের পাশাপাশি নতুন দায়বদ্ধতার সময়। এটি শুধু ক্যালেন্ডারের পরিবর্তন নয়; বরং নিজের সঙ্গে নতুন করে অঙ্গীকার করার মুহূর্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি চাই নিজেকে আরও দায়িত্বশীল, মানবিক এবং সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা, দক্ষতা অর্জন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা জরুরি বলে আমি মনে করি। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও আমরা স্বপ্ন দেখতে ছাড়িনি। আমাদের প্রত্যাশা, একটি কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা, নিরাপদ ক্যাম্পাসজীবন এবং ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যৎ। নতুন বছর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাহস জোগাক।

নবসূর্যের নিঃশব্দ প্রতিশ্রুতি
উম্মে হাবিবা নিশাত, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ
নতুন বছর আমার কাছে নিঃশব্দ এক প্রতিশ্রুতি—ধীরে বাঁচার সাহস ও গভীরভাবে অনুভব করার শক্তি। চাই সম্পর্কগুলো হোক বোঝাপড়ার জায়গা, নীরবতাগুলো হোক হৃদয়ের ভাষা। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপে ধৈর্য ও কোমলতা বজায় রাখতে চাই। অল্পতেই সুখ খুঁজে পাওয়ার প্রজ্ঞা এবং নিজের ভেতরের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে নতুনভাবে জেগে ওঠার প্রত্যয়—এই হোক নতুন বছরের সঙ্গী। নবসূর্যের মতো নীরব অথচ উজ্জ্বল হোক আগামীর দিনগুলো।


নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। একদিকে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ, অন্যদিকে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার দৃঢ়সংকল্প। বাস্তবতা ও স্বপ্নের এ মিশ্রণই নতুন বছরে তাঁদের প্রত্যাশাকে করে তোলে গভীর ও অর্থবহ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেই ভাবনা ও প্রত্যাশার কথাই তুলে ধরছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব আল হাসান।

ক্যাম্পাস হোক রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত
মো. আশিক মাহমুদ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর আমার কাছে শুধু সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের সুযোগ। আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা হবে রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত; যেখানে জ্ঞানচর্চাই হবে মুখ্য। ক্লাসরুমে ফিরে আসুক শিক্ষার প্রকৃত জৌলুশ ও গুণগত মান। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতে, যেন যোগ্যতার ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত কর্মজীবনের পথে এগোতে পারি। একই সঙ্গে জাগতিক সাফল্যের ভিড়ে হারিয়ে না গিয়ে মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠাই হোক নতুন বছরের লক্ষ্য।

সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক
রাইসা আমিন, শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর মানে আমার কাছে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ। আমি প্রত্যাশা করি, শিক্ষাঙ্গন হবে আরও প্রাণবন্ত, গবেষণামুখী এবং সহমর্মিতায় পরিপূর্ণ। পড়াশোনার পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা বাড়ুক। মতের ভিন্নতা থাকলেও পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় থাকুক—মতভেদ হোক, কিন্তু বিভেদ নয়। সহপাঠীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। ব্যক্তিগত জীবনে সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং লক্ষ্যভিত্তিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চাই।

তরুণ প্রজন্মের অন্তরে এক অদম্য আশার স্রোত
মো. মাহামুদুল হাসান, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছরের সূচনায় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অন্তরে জেগে উঠেছে এক অদম্য আশার স্রোত। আর্থসামাজিক অস্থিরতা, বেকারত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রযুক্তির অগ্রগতি; বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইনের মতো ক্ষেত্র—আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। প্রতিহিংসা নয়, বরং ন্যায়ভিত্তিক ও স্বনির্ভর সমাজ গঠনের স্বপ্নই আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ যুবশক্তির হাত ধরে বাংলাদেশ পৌঁছাবে নতুন উচ্চতায়।

গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাক
মেহরাজ হোসেন, শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর একদিকে যেমন বিদায়ের বার্তা দেয়, অন্যদিকে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দেয়। সাম্প্রতিক আন্দোলনের ইতিবাচক প্রভাবে ক্যাম্পাসগুলোতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন, র্যাগিং ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান—সবই শিক্ষার্থীদের সচেতনতার প্রতিফলন। নতুন বছরে প্রত্যাশা, ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও এগিয়ে যাবে জ্ঞান ও গবেষণায়। গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে আন্তর্জাতিক পরিসরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করাই হোক আমাদের যৌথ লক্ষ্য।

নিজেকে মানবিক ও সচেতন করে গড়ে তুলতে চাই
সমাপ্তি খান, শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর আমাদের কাছে নতুন স্বপ্নের পাশাপাশি নতুন দায়বদ্ধতার সময়। এটি শুধু ক্যালেন্ডারের পরিবর্তন নয়; বরং নিজের সঙ্গে নতুন করে অঙ্গীকার করার মুহূর্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি চাই নিজেকে আরও দায়িত্বশীল, মানবিক এবং সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা, দক্ষতা অর্জন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা জরুরি বলে আমি মনে করি। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও আমরা স্বপ্ন দেখতে ছাড়িনি। আমাদের প্রত্যাশা, একটি কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা, নিরাপদ ক্যাম্পাসজীবন এবং ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যৎ। নতুন বছর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাহস জোগাক।

নবসূর্যের নিঃশব্দ প্রতিশ্রুতি
উম্মে হাবিবা নিশাত, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ
নতুন বছর আমার কাছে নিঃশব্দ এক প্রতিশ্রুতি—ধীরে বাঁচার সাহস ও গভীরভাবে অনুভব করার শক্তি। চাই সম্পর্কগুলো হোক বোঝাপড়ার জায়গা, নীরবতাগুলো হোক হৃদয়ের ভাষা। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপে ধৈর্য ও কোমলতা বজায় রাখতে চাই। অল্পতেই সুখ খুঁজে পাওয়ার প্রজ্ঞা এবং নিজের ভেতরের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে নতুনভাবে জেগে ওঠার প্রত্যয়—এই হোক নতুন বছরের সঙ্গী। নবসূর্যের মতো নীরব অথচ উজ্জ্বল হোক আগামীর দিনগুলো।

আপনাকে একসঙ্গে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হবে, দুটি প্রধান দায়িত্ব পালনে কোনো জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন?
১৫ জুন ২০২৫
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে গত তিন যুগ ছিল পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের সময়। এই সময়ে শিক্ষা শুধু শহরকেন্দ্রিক থেকে বেড়ে ধীরে ধীরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
৯ ঘণ্টা আগেমিজানুর রহমান ভূঁইয়া

দেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে গত তিন যুগ ছিল পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের সময়। এই সময়ে শিক্ষা শুধু শহরকেন্দ্রিক থেকে বেড়ে ধীরে ধীরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিকতা, গুণগত মান ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সমন্বয়ে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এইউবি) সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি তিন দশকে পদার্পণ করছে। মাত্র ২৯৫ শিক্ষার্থী নিয়েযাত্রা শুরু হয়। এইউবি আজ দেশের সুপরিচিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আশুলিয়ার টংগাবাড়িতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে দেশি-বিদেশি কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিকোণ
সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রবিউল আলম বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডে পিএইচডি রিসার্চার। তিনি বলেন, ‘৩০ বছর মানে শুধু সময় পার হওয়া নয়, বরং সময়টা চিন্তার ধারাবাহিকতাও। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি অর্জনে নয়; প্রশ্ন করতে, নিজস্ব বাস্তবতা বুঝতে এবং জ্ঞানকে নতুনভাবে ভাবতে উৎসাহ দিয়েছে। এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত শক্তি।’
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামসুন্নাহার পিংকি বলেন, ‘এইউবি আমাদের স্বপ্ন গড়ার জায়গা। এখানে শিক্ষকেরা শুধু বইয়ের জ্ঞান দেন না, ভালো মানুষ হতে শেখান। তাঁদের আন্তরিকতা, ধৈর্য ও সহযোগিতা আমাদের প্রতিদিন এগিয়ে যেতে সাহস জোগায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আশা করি, আগামীর দিনগুলোতেও এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবে।’
এক স্বপ্নদ্রষ্টার উদ্যোগ
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আবুল হাসান এম সাদেক একজন অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর কানাডায় পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বিদেশে কর্মজীবনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দেশে ফিরে আসেন। এরপর তিনি ব্যক্তিগত সঞ্চয়, অভিজ্ঞতা এবং শ্রম বিনিয়োগ করার মধ্য
দিয়ে ১৯৯৬ সালে এইউবি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সীমিত। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা স্বল্প খরচে শিক্ষাদান করছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে কাজ করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের; আইসিটি, স্মার্ট ক্লাসরুম, অনলাইন লার্নিং এবং আধুনিক কারিকুলাম চালু রয়েছে।’
শিক্ষা দর্শন ও একাডেমিক পরিবেশ
এইউবির শিক্ষা দর্শনের মূল ভিত্তি নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধ। এখানে শিক্ষা শুধু সনদ অর্জনে সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিত্ব ও দায়িত্ববোধ গঠনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আধুনিক ও কর্মবাজারমুখী পাঠ্যক্রম, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও গবেষকদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি স্থিতিশীল একাডেমিক পরিবেশ তৈরি করেছে। গবেষণা, সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী ও সৃজনশীল চিন্তায় উৎসাহ দেওয়া হয়।
গ্র্যাজুয়েটদের অবস্থান
দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং, করপোরেট খাত, শিক্ষা, গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রশাসন, গণমাধ্যম ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে তাঁরা কর্মরত। পেশাদারি ও নৈতিক আচরণে সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
মান নিশ্চয়তা ও অবকাঠামো
শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়টি গঠন করেছে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)। ১০ একর জমির স্থায়ী ক্যাম্পাসে রয়েছে ১০ তলা একাডেমিক ভবন, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, সেমিনার কক্ষ, দুটি খেলার মাঠ, সাতটি কম্পিউটার ল্যাব এবং লাখো বইয়ের লাইব্রেরি ও জার্নাল। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে হোস্টেল সুবিধা ও বিনা মূল্যের পরিবহনব্যবস্থা।
সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুযোগ
স্বল্প ফি কাঠামোর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষাকে সহজলভ্য করা এইউবির লক্ষ্য। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য পূর্ণ বৃত্তি এবং মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে। নারী শিক্ষা, সহশিক্ষা কার্যক্রম, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক আয়োজন, খেলাধুলা ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে সহায়ক।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য
তিন দশকের অভিজ্ঞতায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এখন একটি স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গবেষণা, ডিজিটাল লার্নিং, উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে।

দেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে গত তিন যুগ ছিল পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের সময়। এই সময়ে শিক্ষা শুধু শহরকেন্দ্রিক থেকে বেড়ে ধীরে ধীরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিকতা, গুণগত মান ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সমন্বয়ে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এইউবি) সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি তিন দশকে পদার্পণ করছে। মাত্র ২৯৫ শিক্ষার্থী নিয়েযাত্রা শুরু হয়। এইউবি আজ দেশের সুপরিচিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আশুলিয়ার টংগাবাড়িতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে দেশি-বিদেশি কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিকোণ
সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রবিউল আলম বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডে পিএইচডি রিসার্চার। তিনি বলেন, ‘৩০ বছর মানে শুধু সময় পার হওয়া নয়, বরং সময়টা চিন্তার ধারাবাহিকতাও। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি অর্জনে নয়; প্রশ্ন করতে, নিজস্ব বাস্তবতা বুঝতে এবং জ্ঞানকে নতুনভাবে ভাবতে উৎসাহ দিয়েছে। এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত শক্তি।’
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামসুন্নাহার পিংকি বলেন, ‘এইউবি আমাদের স্বপ্ন গড়ার জায়গা। এখানে শিক্ষকেরা শুধু বইয়ের জ্ঞান দেন না, ভালো মানুষ হতে শেখান। তাঁদের আন্তরিকতা, ধৈর্য ও সহযোগিতা আমাদের প্রতিদিন এগিয়ে যেতে সাহস জোগায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আশা করি, আগামীর দিনগুলোতেও এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবে।’
এক স্বপ্নদ্রষ্টার উদ্যোগ
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আবুল হাসান এম সাদেক একজন অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর কানাডায় পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বিদেশে কর্মজীবনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দেশে ফিরে আসেন। এরপর তিনি ব্যক্তিগত সঞ্চয়, অভিজ্ঞতা এবং শ্রম বিনিয়োগ করার মধ্য
দিয়ে ১৯৯৬ সালে এইউবি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সীমিত। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা স্বল্প খরচে শিক্ষাদান করছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে কাজ করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের; আইসিটি, স্মার্ট ক্লাসরুম, অনলাইন লার্নিং এবং আধুনিক কারিকুলাম চালু রয়েছে।’
শিক্ষা দর্শন ও একাডেমিক পরিবেশ
এইউবির শিক্ষা দর্শনের মূল ভিত্তি নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধ। এখানে শিক্ষা শুধু সনদ অর্জনে সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিত্ব ও দায়িত্ববোধ গঠনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আধুনিক ও কর্মবাজারমুখী পাঠ্যক্রম, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও গবেষকদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি স্থিতিশীল একাডেমিক পরিবেশ তৈরি করেছে। গবেষণা, সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী ও সৃজনশীল চিন্তায় উৎসাহ দেওয়া হয়।
গ্র্যাজুয়েটদের অবস্থান
দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং, করপোরেট খাত, শিক্ষা, গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রশাসন, গণমাধ্যম ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে তাঁরা কর্মরত। পেশাদারি ও নৈতিক আচরণে সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
মান নিশ্চয়তা ও অবকাঠামো
শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়টি গঠন করেছে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)। ১০ একর জমির স্থায়ী ক্যাম্পাসে রয়েছে ১০ তলা একাডেমিক ভবন, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, সেমিনার কক্ষ, দুটি খেলার মাঠ, সাতটি কম্পিউটার ল্যাব এবং লাখো বইয়ের লাইব্রেরি ও জার্নাল। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে হোস্টেল সুবিধা ও বিনা মূল্যের পরিবহনব্যবস্থা।
সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুযোগ
স্বল্প ফি কাঠামোর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষাকে সহজলভ্য করা এইউবির লক্ষ্য। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য পূর্ণ বৃত্তি এবং মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে। নারী শিক্ষা, সহশিক্ষা কার্যক্রম, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক আয়োজন, খেলাধুলা ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে সহায়ক।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য
তিন দশকের অভিজ্ঞতায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এখন একটি স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গবেষণা, ডিজিটাল লার্নিং, উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আপনাকে একসঙ্গে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হবে, দুটি প্রধান দায়িত্ব পালনে কোনো জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন?
১৫ জুন ২০২৫
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে।
৬ ঘণ্টা আগে