Ajker Patrika

জিপিএ-৫ না পাওয়ায় আত্মহত্যা, শিক্ষাব্যবস্থার দায় কতখানি

আশিকুর রিমেল, ঢাকা
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩, ১২: ০৯
জিপিএ-৫ না পাওয়ায় আত্মহত্যা, শিক্ষাব্যবস্থার দায় কতখানি

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে গত ২৮ জুলাই। ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণার দিন থেকেই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা–উদ্বেগ ভর করে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ইদানীংকালে এই উদ্বেগটা মনে হয় একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। আজ থেকে দুই দশক আগেও পরীক্ষায় ফেল করে আত্মহত্যার খবর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন জিপিএ-৫ না পাওয়ায় কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বয়ঃসন্ধিতে থাকা ছেলে–মেয়ের আত্মহত্যা নানা মাত্রায় সামাজিক অস্থিরতা–অসংগতির ইঙ্গিত দিলেও পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে গড়ে ৮০ শতাংশ নম্বর না পাওয়ায় আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া সম্ভবত অন্য কিছুরও ইঙ্গিত দেয়, যেটি আমরা উপেক্ষা করে যাচ্ছি।

এ বছর ২৯ হাজার ৭১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। এ বছর পাস ও জিপিএ–৫ দুটির হারই কমেছে।

পাসের হার কমেছে নাকি বেড়েছে, জিপিএ-৫ কমেছে নাকি বেড়েছে সেটি আজকের আলোচনার বিষয় নয়। বরং অপ্রিয় হলেও সত্য ৪ লাখ ৪৫০ জন পরীক্ষায় ফেল করেছে।

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের দিন ঢাকায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ দেশের মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। এর মধ্যে মোটা দাগে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, জিপিএ-৫, পাস-ফেলের হার কেমন, কমল নাকি বাড়ল, কারা এগিয়ে, কোন বোর্ড এগিয়ে গেল, কোন বোর্ড পেছাল নানান দিক থেকে বিশ্লেষণমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমগুলো। এরই মধ্যে ‘জিপিএ-৫ না পাওয়ায় আত্মহত্যা’র অন্তত তিনটি খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে।

আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত দুজন কিশোরীর আত্মহত্যার প্রসঙ্গেই বলা যাক।

শিক্ষার্থী দুজন হলো—ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি গার্লস স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিষ্টি রায় (১৬) ও নাটোর লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মম (১৬)। দুজনই পরিবারের কাছে বলেছিল, তাদের প্রত্যাশা জিপিএ-৫ পাবে। কিন্তু মিষ্টি রায় পেয়েছে জিপিএ ৪.২৮ ও মম পেয়েছে জিপিএ-৩.৮০। 

গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজলেই মিলবে—পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে জিপিএ-৫ না পাওয়া। আমাদের জন্য ‘অশনিসংকেত’ হলো প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা। 

গত কয়েক বছরে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিনে পরীক্ষার্থীদের আত্মহত্যার একটি হিসাব তুলে ধরা যাক—এ বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে ছয়জন শিক্ষার্থী আশানুরূপ ফল না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে গেছে অন্তত দুজন। ২০১৮ সালে ফল প্রকাশের সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২২ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে ১০ জন মারা যায়। ২০২০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২১ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার করে যাদের মধ্যে ১৯ জনই ছিল কিশোরী। 

গ্রেডিং বা জিপিএ পদ্ধতি চালুর প্রথম বছর (২০০১) এসএসসিতে জিপিএ-৫–এর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭৬ জন। সে সময় কলেজে ভর্তির জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি চালু ছিল। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে জিপিএ-৫–এর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়তে শুরু করে। আর গত দুই দশকে এ সংখ্যা বেড়েছে কয়েক শ গুণ। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিষ্টি রায় যে বিদ্যালয়ে পড়ত সেখান থেকে কোনো শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পায়নি। সেখানে অকৃতকার্য হয়েছে ২০ জন। আর লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্থাৎ মম যে বিদ্যালয়ে পড়ত সেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ২৯ জন। 

ওই দিনের পরিস্থিতি জানতে মিষ্টি রায়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন। মিষ্টি রায়ের বাবা প্রেমানন্দ রায় তাঁকে জানিয়েছেন,  বান্ধবীরা তার চেয়ে ভালো ফল করেছে। এ নিয়ে সে খুব বিষণ্ন হয়ে পড়েছিল। শ্রেণিশিক্ষক জানিয়েছেন, ক্লাসে মিষ্টি রায় ছিল প্রথম। ‘আত্মসম্মানে’ আঘাত লাগায় হয়তো সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। 

এখন প্রশ্ন ওঠে তাহলে সমাজে বা বন্ধু-বান্ধবীদের কাছে যেতে অস্বস্তি বা লজ্জাই কি প্রভাব ফেলেছে মিষ্টির ওপর?

মমর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার লালপুর প্রতিনিধি ইমাম হাসান মুক্তি। মমর বাবা মহসিন আলী তাঁকে জানিয়েছেন, ফলাফল নিয়ে মমকে কোনো চাপ বা বকাঝকা করা হয়নি। আত্মীয়স্বজনেরা কল দিয়ে জানতে চাইলে তার মা মন খারাপ করে ফলাফল জানাচ্ছিলেন। মেয়ের ফলাফল নিয়ে মাও বেশ কয়েকবার কেঁদেছেন। এর মধ্যেই মম সবার অলক্ষ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাহলে পরিবারে একটা পরোক্ষ চাপ বা প্রকাশিত অসন্তোষের প্রভাব কি পড়েছিল মমর ওপর? 

আমরা ওই বয়সী শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক সংকটের বিষয়ে জানতে কথা বলেছিলাম সাইকোথেরাপি প্র‍্যাকটিশনারের কাউন্সিলর অধ্যাপক সানজিদা শাহরিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রথমত পরিবার, দ্বিতীয়ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বৃহৎ পরিসরে সমাজের প্রভাবে কিশোর-কিশোরীরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষার্থীরা বয়ঃসন্ধিতে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। এ সময় বিশেষ করে অভিভাবক, শিক্ষকেরা তাদের পরিস্থিতি অনুধাবন না করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের ওপর প্রতিযোগিতার মানদণ্ড ঠিক করে দেন। পরবর্তীতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলে শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’

কাউন্সেলর হিসেবে নিজের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এ মনোচিকিৎসক বলেন, ‘আমার কাছে অনেক অভিভাবকই সন্তানদের কাউন্সেলিং করানোর জন্য আসেন। সেখানে মূলত অভিভাবকেরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমার কাছ থেকে পরামর্শ দাবি করেন। সেখানে ওই কিশোর-কিশোরীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা আগ্রহ প্রকাশের সুযোগ খুব কম থাকে। ফলে ওই কিশোর-কিশোরীর “ব্যক্তি সত্তার” সঙ্গে পরিচয় ও বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় না। আমরা আসলে কখনোই সন্তানদের মন বুঝতে চাই না।’

শিক্ষণ পদ্ধতি ও শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিক্ষক, পরিবারের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের কার্যকর নীতি প্রণয়নে দুর্বলতার কারণেও শিক্ষার্থীদের অসুস্থ প্রতিযোগিতার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের চেয়ে সনদ বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলে অভিভাবকেরা সন্তানের ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতে টাকা ঢালছেন। অপরদিকে শিক্ষকেরাও সহজ ও ‘শর্টকাট’ পথে হাঁটছেন। মুখস্থবিদ্যার ওপর ভর করে শিক্ষাজীবন পার করছে ছেলে–মেয়েরা। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাণিজ্য।

দেশের বাস্তবতা হলো কোচিং কিংবা প্রাইভেট টিউটর কেন্দ্রিক শিক্ষা। স্কুল-কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন কোচিং কিংবা প্রাইভেটে শিক্ষকেরা যতটা যত্নশীল, শ্রেণিকক্ষে ওই শিক্ষকেরাই ততটা উদাসীন। কোনো বিষয়ে না বুঝতে পারলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যতটা সংকুচিত, কোচিং কিংবা প্রাইভেটে ওই শিক্ষার্থীরাই তত বেশি অকপট। 

এ ছাড়া দেশের প্রসিদ্ধ, খ্যাতনামা অনেক কলেজে ভর্তির জন্য এখন ন্যূনতম যোগ্যতা ধরা হচ্ছে জিপিএ-৫।

এদিকেই ইঙ্গিত করছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ও শিক্ষা বার্তার সম্পাদক এএন রাশেদা। তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ই শিক্ষা ব্যবস্থার, সরকার এবং রাষ্ট্রের। শুধু বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালেই হবে না। সারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতীয়করণ আর সরকারিকরণের পার্থক্যটা আলাদা করতে জানতে হবে। শিক্ষকদের যদি সঠিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া না যায়, তবে শিক্ষার্থীদের কী পড়াবে কী শেখাবে তাঁরা? কারণ এর সঙ্গে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটও দায়ী।’ 

এমন পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন একটা অবস্থায় নিয়ে গেছি, যেখানে আমরা জিপিএ-৫ দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে মূল্যায়ন করছি। অথচ আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক চর্চা যেমন নাচ গান খেলাধুলা থাকা বাধ্যতামূলক। তাহলে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধার বিকাশটা ঘটবে। শিক্ষাজীবনে আনন্দের বিষয়গুলো থাকলে আর এমনটা ঘটত না। অথচ শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়া, গলাধঃকরণ করা, আর জিপিএ-৫ পাওয়াটাই যেন এখন শিক্ষা হয়ে গেছে। আর এই চর্চাটা পরিবার পর্যন্ত ঢুকে গেছে।’ 

এ থেকে তাহলে উত্তরণের পথ কী? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভাগের অধ্যাপক শিক্ষাবিদ হাফিজুর রহমান বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ এখন সময়ের দাবি। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতনতার ওপরও জোর দেন তিনি।

মনোচিকিৎসক সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সর্বোপরি সমাজে এর বিরুদ্ধে সচেতনতাই পারে আমাদের এ সংকট থেকে উতরে যেতে। সেই সঙ্গে অবশ্যই আমাদের পরিবারগুলোকে সন্তানদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা ও মন বোঝার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।’

সেই সঙ্গে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁদের সম্মানী বাড়ানোর জন্যও সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদ এএন রাশেদা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। তা বাড়িয়ে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি করে দিলেই হবে না, শিক্ষকদের মান নিশ্চিত করতে হবে। আর শিক্ষা ব্যবস্থার আমলা নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবেই ছাত্র–ছাত্রীরা ভালো কিছু শিখবে, এভাবে হতাশ হবে না, আত্মহত্যার মত পথও বেঁচে নেবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

শিক্ষা ডেস্ক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।

[গতকালের পর]

ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)

১. Synonyms & Antonyms:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।

২. Spelling Correction:

Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

৩. Idioms & Phrases:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।

ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)

যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় লেখক:

William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।

প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।

ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।

বৃত্তির ধরন

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।

সুযোগ-সুবিধা

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত