আশিকুর রিমেল, ঢাকা

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে গত ২৮ জুলাই। ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণার দিন থেকেই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা–উদ্বেগ ভর করে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ইদানীংকালে এই উদ্বেগটা মনে হয় একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। আজ থেকে দুই দশক আগেও পরীক্ষায় ফেল করে আত্মহত্যার খবর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন জিপিএ-৫ না পাওয়ায় কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বয়ঃসন্ধিতে থাকা ছেলে–মেয়ের আত্মহত্যা নানা মাত্রায় সামাজিক অস্থিরতা–অসংগতির ইঙ্গিত দিলেও পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে গড়ে ৮০ শতাংশ নম্বর না পাওয়ায় আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া সম্ভবত অন্য কিছুরও ইঙ্গিত দেয়, যেটি আমরা উপেক্ষা করে যাচ্ছি।
এ বছর ২৯ হাজার ৭১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। এ বছর পাস ও জিপিএ–৫ দুটির হারই কমেছে।
পাসের হার কমেছে নাকি বেড়েছে, জিপিএ-৫ কমেছে নাকি বেড়েছে সেটি আজকের আলোচনার বিষয় নয়। বরং অপ্রিয় হলেও সত্য ৪ লাখ ৪৫০ জন পরীক্ষায় ফেল করেছে।
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের দিন ঢাকায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ দেশের মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। এর মধ্যে মোটা দাগে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, জিপিএ-৫, পাস-ফেলের হার কেমন, কমল নাকি বাড়ল, কারা এগিয়ে, কোন বোর্ড এগিয়ে গেল, কোন বোর্ড পেছাল নানান দিক থেকে বিশ্লেষণমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমগুলো। এরই মধ্যে ‘জিপিএ-৫ না পাওয়ায় আত্মহত্যা’র অন্তত তিনটি খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত দুজন কিশোরীর আত্মহত্যার প্রসঙ্গেই বলা যাক।
শিক্ষার্থী দুজন হলো—ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি গার্লস স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিষ্টি রায় (১৬) ও নাটোর লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মম (১৬)। দুজনই পরিবারের কাছে বলেছিল, তাদের প্রত্যাশা জিপিএ-৫ পাবে। কিন্তু মিষ্টি রায় পেয়েছে জিপিএ ৪.২৮ ও মম পেয়েছে জিপিএ-৩.৮০।
গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজলেই মিলবে—পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে জিপিএ-৫ না পাওয়া। আমাদের জন্য ‘অশনিসংকেত’ হলো প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা।
গত কয়েক বছরে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিনে পরীক্ষার্থীদের আত্মহত্যার একটি হিসাব তুলে ধরা যাক—এ বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে ছয়জন শিক্ষার্থী আশানুরূপ ফল না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে গেছে অন্তত দুজন। ২০১৮ সালে ফল প্রকাশের সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২২ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে ১০ জন মারা যায়। ২০২০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২১ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার করে যাদের মধ্যে ১৯ জনই ছিল কিশোরী।
গ্রেডিং বা জিপিএ পদ্ধতি চালুর প্রথম বছর (২০০১) এসএসসিতে জিপিএ-৫–এর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭৬ জন। সে সময় কলেজে ভর্তির জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি চালু ছিল। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে জিপিএ-৫–এর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়তে শুরু করে। আর গত দুই দশকে এ সংখ্যা বেড়েছে কয়েক শ গুণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিষ্টি রায় যে বিদ্যালয়ে পড়ত সেখান থেকে কোনো শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পায়নি। সেখানে অকৃতকার্য হয়েছে ২০ জন। আর লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্থাৎ মম যে বিদ্যালয়ে পড়ত সেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ২৯ জন।
ওই দিনের পরিস্থিতি জানতে মিষ্টি রায়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন। মিষ্টি রায়ের বাবা প্রেমানন্দ রায় তাঁকে জানিয়েছেন, বান্ধবীরা তার চেয়ে ভালো ফল করেছে। এ নিয়ে সে খুব বিষণ্ন হয়ে পড়েছিল। শ্রেণিশিক্ষক জানিয়েছেন, ক্লাসে মিষ্টি রায় ছিল প্রথম। ‘আত্মসম্মানে’ আঘাত লাগায় হয়তো সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
এখন প্রশ্ন ওঠে তাহলে সমাজে বা বন্ধু-বান্ধবীদের কাছে যেতে অস্বস্তি বা লজ্জাই কি প্রভাব ফেলেছে মিষ্টির ওপর?
মমর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার লালপুর প্রতিনিধি ইমাম হাসান মুক্তি। মমর বাবা মহসিন আলী তাঁকে জানিয়েছেন, ফলাফল নিয়ে মমকে কোনো চাপ বা বকাঝকা করা হয়নি। আত্মীয়স্বজনেরা কল দিয়ে জানতে চাইলে তার মা মন খারাপ করে ফলাফল জানাচ্ছিলেন। মেয়ের ফলাফল নিয়ে মাও বেশ কয়েকবার কেঁদেছেন। এর মধ্যেই মম সবার অলক্ষ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাহলে পরিবারে একটা পরোক্ষ চাপ বা প্রকাশিত অসন্তোষের প্রভাব কি পড়েছিল মমর ওপর?
আমরা ওই বয়সী শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক সংকটের বিষয়ে জানতে কথা বলেছিলাম সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনারের কাউন্সিলর অধ্যাপক সানজিদা শাহরিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রথমত পরিবার, দ্বিতীয়ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বৃহৎ পরিসরে সমাজের প্রভাবে কিশোর-কিশোরীরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষার্থীরা বয়ঃসন্ধিতে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। এ সময় বিশেষ করে অভিভাবক, শিক্ষকেরা তাদের পরিস্থিতি অনুধাবন না করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের ওপর প্রতিযোগিতার মানদণ্ড ঠিক করে দেন। পরবর্তীতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলে শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’
কাউন্সেলর হিসেবে নিজের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এ মনোচিকিৎসক বলেন, ‘আমার কাছে অনেক অভিভাবকই সন্তানদের কাউন্সেলিং করানোর জন্য আসেন। সেখানে মূলত অভিভাবকেরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমার কাছ থেকে পরামর্শ দাবি করেন। সেখানে ওই কিশোর-কিশোরীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা আগ্রহ প্রকাশের সুযোগ খুব কম থাকে। ফলে ওই কিশোর-কিশোরীর “ব্যক্তি সত্তার” সঙ্গে পরিচয় ও বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় না। আমরা আসলে কখনোই সন্তানদের মন বুঝতে চাই না।’
শিক্ষণ পদ্ধতি ও শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিক্ষক, পরিবারের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের কার্যকর নীতি প্রণয়নে দুর্বলতার কারণেও শিক্ষার্থীদের অসুস্থ প্রতিযোগিতার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের চেয়ে সনদ বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলে অভিভাবকেরা সন্তানের ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতে টাকা ঢালছেন। অপরদিকে শিক্ষকেরাও সহজ ও ‘শর্টকাট’ পথে হাঁটছেন। মুখস্থবিদ্যার ওপর ভর করে শিক্ষাজীবন পার করছে ছেলে–মেয়েরা। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাণিজ্য।
দেশের বাস্তবতা হলো কোচিং কিংবা প্রাইভেট টিউটর কেন্দ্রিক শিক্ষা। স্কুল-কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন কোচিং কিংবা প্রাইভেটে শিক্ষকেরা যতটা যত্নশীল, শ্রেণিকক্ষে ওই শিক্ষকেরাই ততটা উদাসীন। কোনো বিষয়ে না বুঝতে পারলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যতটা সংকুচিত, কোচিং কিংবা প্রাইভেটে ওই শিক্ষার্থীরাই তত বেশি অকপট।
এ ছাড়া দেশের প্রসিদ্ধ, খ্যাতনামা অনেক কলেজে ভর্তির জন্য এখন ন্যূনতম যোগ্যতা ধরা হচ্ছে জিপিএ-৫।
এদিকেই ইঙ্গিত করছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ও শিক্ষা বার্তার সম্পাদক এএন রাশেদা। তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ই শিক্ষা ব্যবস্থার, সরকার এবং রাষ্ট্রের। শুধু বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালেই হবে না। সারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতীয়করণ আর সরকারিকরণের পার্থক্যটা আলাদা করতে জানতে হবে। শিক্ষকদের যদি সঠিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া না যায়, তবে শিক্ষার্থীদের কী পড়াবে কী শেখাবে তাঁরা? কারণ এর সঙ্গে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটও দায়ী।’
এমন পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন একটা অবস্থায় নিয়ে গেছি, যেখানে আমরা জিপিএ-৫ দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে মূল্যায়ন করছি। অথচ আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক চর্চা যেমন নাচ গান খেলাধুলা থাকা বাধ্যতামূলক। তাহলে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধার বিকাশটা ঘটবে। শিক্ষাজীবনে আনন্দের বিষয়গুলো থাকলে আর এমনটা ঘটত না। অথচ শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়া, গলাধঃকরণ করা, আর জিপিএ-৫ পাওয়াটাই যেন এখন শিক্ষা হয়ে গেছে। আর এই চর্চাটা পরিবার পর্যন্ত ঢুকে গেছে।’
এ থেকে তাহলে উত্তরণের পথ কী? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভাগের অধ্যাপক শিক্ষাবিদ হাফিজুর রহমান বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ এখন সময়ের দাবি। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতনতার ওপরও জোর দেন তিনি।
মনোচিকিৎসক সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সর্বোপরি সমাজে এর বিরুদ্ধে সচেতনতাই পারে আমাদের এ সংকট থেকে উতরে যেতে। সেই সঙ্গে অবশ্যই আমাদের পরিবারগুলোকে সন্তানদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা ও মন বোঝার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
সেই সঙ্গে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁদের সম্মানী বাড়ানোর জন্যও সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদ এএন রাশেদা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। তা বাড়িয়ে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি করে দিলেই হবে না, শিক্ষকদের মান নিশ্চিত করতে হবে। আর শিক্ষা ব্যবস্থার আমলা নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবেই ছাত্র–ছাত্রীরা ভালো কিছু শিখবে, এভাবে হতাশ হবে না, আত্মহত্যার মত পথও বেঁচে নেবে না।’

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে গত ২৮ জুলাই। ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণার দিন থেকেই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা–উদ্বেগ ভর করে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ইদানীংকালে এই উদ্বেগটা মনে হয় একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। আজ থেকে দুই দশক আগেও পরীক্ষায় ফেল করে আত্মহত্যার খবর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন জিপিএ-৫ না পাওয়ায় কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বয়ঃসন্ধিতে থাকা ছেলে–মেয়ের আত্মহত্যা নানা মাত্রায় সামাজিক অস্থিরতা–অসংগতির ইঙ্গিত দিলেও পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে গড়ে ৮০ শতাংশ নম্বর না পাওয়ায় আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া সম্ভবত অন্য কিছুরও ইঙ্গিত দেয়, যেটি আমরা উপেক্ষা করে যাচ্ছি।
এ বছর ২৯ হাজার ৭১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। এ বছর পাস ও জিপিএ–৫ দুটির হারই কমেছে।
পাসের হার কমেছে নাকি বেড়েছে, জিপিএ-৫ কমেছে নাকি বেড়েছে সেটি আজকের আলোচনার বিষয় নয়। বরং অপ্রিয় হলেও সত্য ৪ লাখ ৪৫০ জন পরীক্ষায় ফেল করেছে।
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের দিন ঢাকায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ দেশের মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। এর মধ্যে মোটা দাগে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, জিপিএ-৫, পাস-ফেলের হার কেমন, কমল নাকি বাড়ল, কারা এগিয়ে, কোন বোর্ড এগিয়ে গেল, কোন বোর্ড পেছাল নানান দিক থেকে বিশ্লেষণমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমগুলো। এরই মধ্যে ‘জিপিএ-৫ না পাওয়ায় আত্মহত্যা’র অন্তত তিনটি খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত দুজন কিশোরীর আত্মহত্যার প্রসঙ্গেই বলা যাক।
শিক্ষার্থী দুজন হলো—ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি গার্লস স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিষ্টি রায় (১৬) ও নাটোর লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মম (১৬)। দুজনই পরিবারের কাছে বলেছিল, তাদের প্রত্যাশা জিপিএ-৫ পাবে। কিন্তু মিষ্টি রায় পেয়েছে জিপিএ ৪.২৮ ও মম পেয়েছে জিপিএ-৩.৮০।
গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজলেই মিলবে—পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে জিপিএ-৫ না পাওয়া। আমাদের জন্য ‘অশনিসংকেত’ হলো প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা।
গত কয়েক বছরে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিনে পরীক্ষার্থীদের আত্মহত্যার একটি হিসাব তুলে ধরা যাক—এ বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে ছয়জন শিক্ষার্থী আশানুরূপ ফল না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে গেছে অন্তত দুজন। ২০১৮ সালে ফল প্রকাশের সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২২ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে ১০ জন মারা যায়। ২০২০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২১ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার করে যাদের মধ্যে ১৯ জনই ছিল কিশোরী।
গ্রেডিং বা জিপিএ পদ্ধতি চালুর প্রথম বছর (২০০১) এসএসসিতে জিপিএ-৫–এর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭৬ জন। সে সময় কলেজে ভর্তির জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি চালু ছিল। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে জিপিএ-৫–এর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়তে শুরু করে। আর গত দুই দশকে এ সংখ্যা বেড়েছে কয়েক শ গুণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিষ্টি রায় যে বিদ্যালয়ে পড়ত সেখান থেকে কোনো শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পায়নি। সেখানে অকৃতকার্য হয়েছে ২০ জন। আর লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্থাৎ মম যে বিদ্যালয়ে পড়ত সেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ২৯ জন।
ওই দিনের পরিস্থিতি জানতে মিষ্টি রায়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন। মিষ্টি রায়ের বাবা প্রেমানন্দ রায় তাঁকে জানিয়েছেন, বান্ধবীরা তার চেয়ে ভালো ফল করেছে। এ নিয়ে সে খুব বিষণ্ন হয়ে পড়েছিল। শ্রেণিশিক্ষক জানিয়েছেন, ক্লাসে মিষ্টি রায় ছিল প্রথম। ‘আত্মসম্মানে’ আঘাত লাগায় হয়তো সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
এখন প্রশ্ন ওঠে তাহলে সমাজে বা বন্ধু-বান্ধবীদের কাছে যেতে অস্বস্তি বা লজ্জাই কি প্রভাব ফেলেছে মিষ্টির ওপর?
মমর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার লালপুর প্রতিনিধি ইমাম হাসান মুক্তি। মমর বাবা মহসিন আলী তাঁকে জানিয়েছেন, ফলাফল নিয়ে মমকে কোনো চাপ বা বকাঝকা করা হয়নি। আত্মীয়স্বজনেরা কল দিয়ে জানতে চাইলে তার মা মন খারাপ করে ফলাফল জানাচ্ছিলেন। মেয়ের ফলাফল নিয়ে মাও বেশ কয়েকবার কেঁদেছেন। এর মধ্যেই মম সবার অলক্ষ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাহলে পরিবারে একটা পরোক্ষ চাপ বা প্রকাশিত অসন্তোষের প্রভাব কি পড়েছিল মমর ওপর?
আমরা ওই বয়সী শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক সংকটের বিষয়ে জানতে কথা বলেছিলাম সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনারের কাউন্সিলর অধ্যাপক সানজিদা শাহরিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রথমত পরিবার, দ্বিতীয়ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বৃহৎ পরিসরে সমাজের প্রভাবে কিশোর-কিশোরীরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষার্থীরা বয়ঃসন্ধিতে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। এ সময় বিশেষ করে অভিভাবক, শিক্ষকেরা তাদের পরিস্থিতি অনুধাবন না করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের ওপর প্রতিযোগিতার মানদণ্ড ঠিক করে দেন। পরবর্তীতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলে শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’
কাউন্সেলর হিসেবে নিজের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এ মনোচিকিৎসক বলেন, ‘আমার কাছে অনেক অভিভাবকই সন্তানদের কাউন্সেলিং করানোর জন্য আসেন। সেখানে মূলত অভিভাবকেরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমার কাছ থেকে পরামর্শ দাবি করেন। সেখানে ওই কিশোর-কিশোরীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা আগ্রহ প্রকাশের সুযোগ খুব কম থাকে। ফলে ওই কিশোর-কিশোরীর “ব্যক্তি সত্তার” সঙ্গে পরিচয় ও বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় না। আমরা আসলে কখনোই সন্তানদের মন বুঝতে চাই না।’
শিক্ষণ পদ্ধতি ও শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিক্ষক, পরিবারের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের কার্যকর নীতি প্রণয়নে দুর্বলতার কারণেও শিক্ষার্থীদের অসুস্থ প্রতিযোগিতার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের চেয়ে সনদ বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলে অভিভাবকেরা সন্তানের ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতে টাকা ঢালছেন। অপরদিকে শিক্ষকেরাও সহজ ও ‘শর্টকাট’ পথে হাঁটছেন। মুখস্থবিদ্যার ওপর ভর করে শিক্ষাজীবন পার করছে ছেলে–মেয়েরা। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাণিজ্য।
দেশের বাস্তবতা হলো কোচিং কিংবা প্রাইভেট টিউটর কেন্দ্রিক শিক্ষা। স্কুল-কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন কোচিং কিংবা প্রাইভেটে শিক্ষকেরা যতটা যত্নশীল, শ্রেণিকক্ষে ওই শিক্ষকেরাই ততটা উদাসীন। কোনো বিষয়ে না বুঝতে পারলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যতটা সংকুচিত, কোচিং কিংবা প্রাইভেটে ওই শিক্ষার্থীরাই তত বেশি অকপট।
এ ছাড়া দেশের প্রসিদ্ধ, খ্যাতনামা অনেক কলেজে ভর্তির জন্য এখন ন্যূনতম যোগ্যতা ধরা হচ্ছে জিপিএ-৫।
এদিকেই ইঙ্গিত করছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ও শিক্ষা বার্তার সম্পাদক এএন রাশেদা। তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ই শিক্ষা ব্যবস্থার, সরকার এবং রাষ্ট্রের। শুধু বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালেই হবে না। সারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতীয়করণ আর সরকারিকরণের পার্থক্যটা আলাদা করতে জানতে হবে। শিক্ষকদের যদি সঠিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া না যায়, তবে শিক্ষার্থীদের কী পড়াবে কী শেখাবে তাঁরা? কারণ এর সঙ্গে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটও দায়ী।’
এমন পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন একটা অবস্থায় নিয়ে গেছি, যেখানে আমরা জিপিএ-৫ দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে মূল্যায়ন করছি। অথচ আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক চর্চা যেমন নাচ গান খেলাধুলা থাকা বাধ্যতামূলক। তাহলে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধার বিকাশটা ঘটবে। শিক্ষাজীবনে আনন্দের বিষয়গুলো থাকলে আর এমনটা ঘটত না। অথচ শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়া, গলাধঃকরণ করা, আর জিপিএ-৫ পাওয়াটাই যেন এখন শিক্ষা হয়ে গেছে। আর এই চর্চাটা পরিবার পর্যন্ত ঢুকে গেছে।’
এ থেকে তাহলে উত্তরণের পথ কী? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভাগের অধ্যাপক শিক্ষাবিদ হাফিজুর রহমান বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ এখন সময়ের দাবি। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতনতার ওপরও জোর দেন তিনি।
মনোচিকিৎসক সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সর্বোপরি সমাজে এর বিরুদ্ধে সচেতনতাই পারে আমাদের এ সংকট থেকে উতরে যেতে। সেই সঙ্গে অবশ্যই আমাদের পরিবারগুলোকে সন্তানদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা ও মন বোঝার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
সেই সঙ্গে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁদের সম্মানী বাড়ানোর জন্যও সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদ এএন রাশেদা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। তা বাড়িয়ে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি করে দিলেই হবে না, শিক্ষকদের মান নিশ্চিত করতে হবে। আর শিক্ষা ব্যবস্থার আমলা নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবেই ছাত্র–ছাত্রীরা ভালো কিছু শিখবে, এভাবে হতাশ হবে না, আত্মহত্যার মত পথও বেঁচে নেবে না।’

প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৫ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজলেই মিলবে—পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে জিপিএ-৫ না পাওয়া। আমাদের জন্য ‘অশনিসংকেত’ হলো প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা।
০২ আগস্ট ২০২৩
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজলেই মিলবে—পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে জিপিএ-৫ না পাওয়া। আমাদের জন্য ‘অশনিসংকেত’ হলো প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা।
০২ আগস্ট ২০২৩
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজলেই মিলবে—পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে জিপিএ-৫ না পাওয়া। আমাদের জন্য ‘অশনিসংকেত’ হলো প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা।
০২ আগস্ট ২০২৩
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৫ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজলেই মিলবে—পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে জিপিএ-৫ না পাওয়া। আমাদের জন্য ‘অশনিসংকেত’ হলো প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা।
০২ আগস্ট ২০২৩
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৫ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে