Ajker Patrika

‘শিক্ষকদের যেন ক্ষুধা নেই, সংসার নেই, সন্তান নেই’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সোমবার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষকেরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ের সরকার নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউই তা পূরণ করেনি। এখনো একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

আজ সোমবার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা একধরনের বঞ্চনার মধ্যে আছি। আমাদের অনেক সহকর্মী প্রভাষক হিসেবেই অবসর নিয়েছেন। আজও সেই একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। কেউ কথা রাখেনি। আমাদের প্রাথমিকের শিক্ষকেরা একজন ক্লার্ক বা অ্যাকাউন্ট্যান্টের চেয়ে কম বেতন পান।’

ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের যেন ক্ষুধা নেই, সংসার নেই, সন্তান নেই। তিনি মহাপুরুষ, তাই তাঁর কিছুই লাগবে না—এ ধারণাই আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। আমাদেরকে ‘ফ্রিজ’ করে রাখা হয়েছে। প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকেরা বৈষম্যের শিকার।’

শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি এক হয়ে দাঁড়াই, তাহলে কেউ আমাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করতে পারবে না। সরিষার মধ্যে যদি ভূত না থাকে, তাহলে সেই ভূত তাড়াতে সময় লাগবে না। আমরা পাকা সরিষা, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তবে ভূত পালাবে। আসুন, আমরা আমাদের অধিকারের প্রশ্নে সচেতন ও সক্রিয় হই।’

সভায় বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তামান্না বেগম বলেন, শিক্ষকদের কিছু দিতে গেলেই রাষ্ট্র যেন দরিদ্র হয়ে পড়ে। এমন ধারণা বদলানো দরকার। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও শিক্ষকেরা এখনো প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত।

তামান্না বেগম আরও বলেন, ‘যাঁরা বিসিএসের মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন, তাঁদের অনেকে ১২ বছরেও প্রমোশন (পদোন্নতি) পান না। আমরা রাষ্ট্রের কাঠামোয় “ক্যাডার” হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও মর্যাদা বা সুযোগের দিক থেকে বঞ্চিত।’

তামান্না বেগম বলেন, শিক্ষকতা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অবমূল্যায়িত পেশা। সীমিত সম্মান, সীমিত বেতন ও সুযোগের মধ্যেও শিক্ষকেরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব ড. মো. মাসুদ রানা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল। সভায় দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অধ্যাপকসহ শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে গ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করেন।

সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম শামসুল আলম লিটন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জুলাই আন্দোলনের আত্মত্যাগ নতুন বাংলাদেশের পথ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব জ্ঞানচর্চা ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়া, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সম্ভব।

সমাবর্তন বক্তা ড. মিলন নব-গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ নয়, বরং নতুন যাত্রার শুরু। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা, অধ্যবসায় ও মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন জরুরি।

ইউজিসি সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, অতীশ দীপঙ্করের আদর্শ অনুসরণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতের উপযোগী নাগরিক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম কারিকুলামের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৪০ লাখ হলেও অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় যুগোপযোগী শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এসডিআই) প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা ও ভোকেশনাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এবারের সমাবর্তনে মোট ২ হাজার ৩২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছয়জন চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড, পাঁচজন বিওটি চেয়ারম্যানস অ্যাওয়ার্ড এবং ১৬ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ভাইস চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড। ইউজিসির চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট ও মেডেল তুলে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্বামীর পর স্ত্রীও পেলেন আচার্য স্বর্ণপদক

ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৮
আচার্য স্বর্ণপদক জয়ী উম্মে জান্নাত তাপসী ও তাঁর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার
আচার্য স্বর্ণপদক জয়ী উম্মে জান্নাত তাপসী ও তাঁর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার

একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং একই সর্বোচ্চ সম্মান– স্বামী-স্ত্রী দুজনের হাতেই এখন আচার্য স্বর্ণপদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন কীর্তি এবারই প্রথম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৭তম সমাবর্তনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ পেয়ে আচার্য স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন উম্মে জান্নাত তাপসী। এর আগে ২০২৩ সালের ১৫তম সমাবর্তনে একই পদক পেয়েছিলেন তাঁর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার। বর্তমানে দুজনই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারে তাপসীর স্নাতকোত্তরের যাত্রা শুরু হয়। কোনো বিরতি না নিয়ে দুই বছরের কোর্স দেড় বছরের মধ্যেই শেষ করেন তিনি। প্রতিটি সেমিস্টারে তাঁর সিজিপিএ ছিল ৪-এর মধ্যে ৪। বেশির ভাগ কোর্সে ৯৫-এর ওপরে নম্বর তুলেছেন। পুরো স্নাতকোত্তর করেছেন শতভাগ বৃত্তি নিয়ে।

সময়ের আগে ডিগ্রি সম্পন্ন করতে প্রতি সেমিস্টারে তাঁকে বেশি কোর্স নিতে হয়েছে। প্রথম সেমিস্টার থেকে থিসিসের কাজ শুরু করেন। একসঙ্গে কোর্সওয়ার্ক, থিসিস এবং চাকরির চাপ সামলেছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়েছেন। নিজের স্নাতকোত্তরের ক্লাস করেছেন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা ও কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। সেই দিনগুলো পার করা মোটেও সহজ ছিল না। তবে সময় ব্যবস্থাপনাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি। সপ্তাহের প্রতিদিন ক্লাস, পড়াশোনা ও অফিসের কাজ– সবকিছুই ছিল তাঁর নির্দিষ্ট সময়সূচিতে বাঁধা।

তাপসী কখনো ক্লাস মিস করেননি। ক্লাসে শেখা বিষয়গুলো দ্রুত নিজের মতো করে পড়ে নিতেন। অফিসের ফাঁকে ফাঁকেও পড়াশোনা করতেন। অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করে বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে বুঝতেন। প্রতিদিনের সময় সর্বোচ্চ কাজে লাগানোই ছিল তাঁর মূল কৌশল।

তাপসীর ভাষায়, সিএসই বিভাগের শিক্ষকেরা অত্যন্ত সহায়ক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব। যেকোনো সমস্যায় তাঁরা তাৎক্ষণিক সাহায্য করেছেন। পরিবারও ছিল তাঁর শক্তির জায়গা। বিশেষ করে স্বামী তৌহিদ আনোয়ার ছিলেন সবচেয়ে বড় ভরসা। পরীক্ষার আগে তিনি যেন নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন, সেই পরিবেশ তৈরি করেছেন তিনি। মানসিকভাবেও সব সময় সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বাবা-মা ও ছোট বোনের সমর্থনও তাঁকে শক্তি জুগিয়েছে।

আচার্য স্বর্ণপদক পাওয়ার ই-মেইল পেয়ে তাপসী প্রথমে জানান তাঁর স্বামীকে। পরদিন ই-মেইলটি প্রিন্ট করে বাবা-মা ও ছোট বোনকে পড়ে শোনান। ছোট বোন তো আনন্দে কেঁদেই ফেলেন। তাপসী জানান, পরিবারকে আনন্দ দিতে পারাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।

তাপসী
তাপসী

তাপসীর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি একই বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ভালো ফলের কারণে ২০১৯ সালে ব্র্যাকে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালে স্নাতকোত্তর শুরু করে দুই বছরে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ২০২৩ সালে ১৫তম সমাবর্তনে পান আচার্য স্বর্ণপদক এবং ছিলেন ভ্যালেডিক্টোরিয়ানও (স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান বিদায়ী বক্তা)।

উম্মে জান্নাত তাপসীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। প্রতি বছর পরিবারসহ সেখানে বেড়াতে যান। দাদার বাড়ির প্রতি তাঁর রয়েছে আলাদা টান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। দুটোতেই পেয়েছেন জিপিএ–৫। বাবা মো. শফিকুল ইসলাম ব্যবসায়ী, মা তাইয়েবা বেগম গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়।

২০২০ সালের ব্র্যাকের সিএসই বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন। ২০২৩ সালের ফল সেমিস্টারে ৩.৯৬ সিজিপিএ নিয়ে সর্বোচ্চ সম্মানসহ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। তখনো পড়াশোনা করেছেন বৃত্তি নিয়ে। আকর্ষণীয় ফলাফলের কারণে তাপসী সিএসই বিভাগেই লেকচারার হওয়ার সুযোগ পান।

IMG_7326

ছোটবেলায় তাঁর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীববিজ্ঞানে আগ্রহ কমে যায়। অন্যদিকে গণিতে ভালো করা এবং প্রযুক্তির প্রতি কৌতূহল তাঁকে সিএসইতে টেনে নেয়। স্নাতকোত্তর শেষের পর তাঁর লক্ষ্য এখন পিএইচডি করা। গবেষণায় নিজের ভবিষ্যৎ দেখছেন তিনি।

তাপসীর মতে, দেশে সিএসই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সুযোগ অনেক। সফটওয়্যার খাতে অগ্রগতি চোখে পড়লেও হার্ডওয়্যার খাত এখনো পিছিয়ে। শিক্ষার্থীরা যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষ থেকেই নিজের আগ্রহের ক্ষেত্র ঠিক করে স্কিল ডেভেলপ করতে পারে, তাহলে চাকরির বাজারে তাঁরা এগিয়ে থাকবেন।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাপসী বলেন, শুরু থেকে প্রোগ্রামিংয়ের বুনিয়াদ শক্ত করতে হবে। নিয়মিত কোডিং অনুশীলন করতে হবে। সমসাময়িক প্রযুক্তির সঙ্গে আপডেট থাকতে হবে। আগ্রহের ক্ষেত্র ঠিক করে দুই-তিনটি নতুন টুলসে দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দিতে হবে। এরপর দক্ষতা প্রয়োগের কাজ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৯
প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গে শাহনীরা আলম স্বজনী
প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গে শাহনীরা আলম স্বজনী

মধ্য ইউরোপের একটি দেশ অস্ট্রিয়া। পাহাড়, নদী, বন ও প্রকৃতির মিশ্রণের এ দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বমানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন, কালচার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন বাংলাদেশের মেয়ে শাহনীরা আলম স্বজনী।

দেশে শাহনীরা আলম স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরে প্রায় সাত বছর দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যম পেশায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে কাজের বেশ অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন আর ভ্রমণে আগ্রহের কারণেই তিনি অস্ট্রিয়াকে বেছে নেন।

পছন্দের বিষয়ের খোঁজখবর

বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো টিউশন ফি। শাহনীরারও তা ছিল। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খোঁজ নেওয়ার পর তিনি দেখেন, ফি অনেক সময় পড়াশোনার পথে বড় বাধা। তাই তিনি খোঁজখবর নেওয়ার একপর্যায়ে জানতে পারেন, অস্ট্রিয়ার প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি নেই। শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপের বাইরের কিছু দেশও এই সুবিধা পাচ্ছে। এরপর তিনি নিজের পছন্দের বিষয় খুঁজতে থাকেন এবং ভর্তি হন।

আবেদনপ্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র

অস্ট্রিয়ার আবেদনপ্রক্রিয়া কিছুটা আলাদা। সাধারণত বাংলাদেশে সার্টিফিকেট বা ট্রান্সক্রিপ্ট সত্যায়িত করলেই চলে। কিন্তু অস্ট্রিয়ার ক্ষেত্রে, স্নাতকের সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্টকে অস্ট্রিয়ার এম্বাসি থেকে সত্যায়িত করতে হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রিয়ার কনসুলেট অফিসে এই কাজ করা যায়। খরচ প্রায় ৭৫ হাজার টাকা এবং সময় লাগে আড়াই থেকে তিন মাস।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • পাসপোর্টের কপি
  • অস্ট্রিয়া থেকে সত্যায়িত সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
  • ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ
  • মোটিভেশন লেটার
  • রিকমেন্ডেশন লেটার

অস্ট্রিয়ার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ইনটেক থাকে—সামার ও উইন্টার। স্নাতকোত্তরে পড়তে চাইলে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.৫ থাকা আবশ্যক। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ৭ পর্যন্ত স্কোর চায়। আবেদন সাধারণত অনলাইনে করা যায়, কিছু ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট কুরিয়ারে পাঠাতে হয়।

শাহনীরার বিষয়

দেশে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করায় তিনি এই বিষয়ে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গে যখন বিষয়টি দেখি এবং তাদের কারিকুলাম পর্যালোচনা করি, তখন থেকে আমার আগ্রহ তৈরি হয়। অস্ট্রিয়ায় মাস্টার্স সম্পন্ন করতে হলে ব্যাচেলরের বিষয় সম্পর্কিত থাকা জরুরি।’

ভাষা দক্ষতায় গুরুত্ব

অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রভাষা জার্মান। দীর্ঘ মেয়াদে এখানে অবস্থান করতে হলে জার্মান ভাষায় দক্ষ হওয়া অপরিহার্য। তবে ইংরেজি দক্ষতা থাকলেও দৈনন্দিন জীবন এবং চাকরির ক্ষেত্রে সেটি পর্যাপ্ত নয়।

বাসাভাড়া ও দৈনন্দিন খরচ

শাহনীরা জানালেন, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ নির্ভর করে আপনি কোন শহরে থাকেন, তার ওপর। সালজবুর্গে গড়ে বাসাভাড়া ২৫০ থেকে ৩৫০ ইউরো; ইনস্যুরেন্স ৮০ ইউরো; পরিবহন ২৫ থেকে ৩৫ ইউরো; খাবার খরচ ৫০ থেকে ১০০ ইউরো।

পার্টটাইম কাজের সুযোগ

শিক্ষার্থীদের এখানে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে জার্মান ভাষায় যদি আপনি দক্ষ হন, তাহলে কাজের সুযোগ আরও ভালো। রেস্টুরেন্ট বা অন্যান্য দক্ষতা থাকলেও কাজ পাওয়া সম্ভব।

পড়াশোনার পর কাজ ও স্থায়ী বসবাস

শাহনীরা আলম স্বজনী বলেন, অস্ট্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময় থাকার পর কিছু শর্ত পূরণ করে স্থায়ী বসবাস বা নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।

শাহনীরা আলমের পরামর্শ হলো, বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অস্ট্রিয়ায় স্নাতকোত্তর করা সম্ভব নয়। তাই প্রথমে দেখুন আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদন করার সুযোগ আছে কি না। যাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে কাজ কিংবা বসবাস করতে চান, তাঁদের জার্মান ভাষায় অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শান্তর লেন্সে প্রাণপ্রকৃতি

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান 
শান্তর লেন্সে প্রাণপ্রকৃতি

ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি তাঁকে মুগ্ধ করত। নদী, খাল, গাছগাছালি আর গ্রামের জীবন তাঁকে বারবার টেনে নিত। সেই টানই তাঁকে ফটোগ্রাফির পথে নিয়ে যায়। শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত বর্তমানে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি জামালপুর সদরে। একান্নবর্তী পরিবারে বসবাস। তবে পরিবারের কেউই ফটোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত নন।

ফেসবুকে ফটোগ্রাফারের ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হন শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত। প্রথমে ছবি তুলতেন নকিয়া বাটন ফোন দিয়ে। পরে হাতে আসে নকিয়া লুমিয়া। নিজের কাজ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেন।

কওমি মাদ্রাসায় পড়ার সময় ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। তাই ছবি তুলতে হতো গোপনে। পরিবারের কেউ ছবি তোলা পছন্দ করতেন না; কিন্তু শাহরিয়ার থেমে থাকেননি। ধৈর্য ধরে এগিয়ে গেছেন। এখন তাঁর ছবির প্রশংসা করা হয়। এক্সিবিশনে ডাক পান। প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও জেতেন।

রাঙামাটি, কক্সবাজার, সিলেট, পাবনাসহ দেশের অনেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে ছবি তুলেছেন তিনি। শাহরিয়ার গ্রাম, প্রকৃতি, নদী ও মানুষের জীবনকে বেশি তুলে ধরেন। তিনি এখন ছবি তোলেন পোকো এক্স থ্রি দিয়ে। এর আগে নকিয়া লুমিয়া, আইফোন৪, রেডমি নোট, ভিভো এস১ প্রো দিয়ে ছবি তুলেছেন। ক্যামেরা কেনার চেষ্টা করেছিলেন; যদিও অর্থের অভাবে তা পারেননি। মাঝেমধ্যে অন্য ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরা বা ড্রোন ব্যবহার করে ছবি তুলেছেন।

শান্ত মূলত নিজ অধ্যয়নেই ফটোগ্রাফি শিখেছেন। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিন দিনের একটি বেসিক কোর্সও সম্পন্ন করেছেন তিনি।

তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘ঘর যেমনই হোক শিক্ষার আলো ঘরকে আলোকিত করবেই’ (ফেব্রুয়ারি ২০২১)। এই ছবি তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন ও আনওয়াইন্ড মাইন্ড এক্সিবিশনে প্রথম পুরস্কার পান। ভাঙা ঘরে শিশু পড়ছে—মুহূর্তটি ধারণ করতে তিনি গাছে উঠেও ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেননি। ‘অন দ্য ওয়ে টু সেলিং ডার্কনেস’ (২৯ অক্টোবর ২০২১)। ছবিটি ২০২৪ সালে ইরানের কাফ ফটো কনটেস্টে ফাইনালিস্ট হয়। প্রচণ্ড রোদে উত্তপ্ত বালুচরে দাঁড়িয়ে তিনি নদীর পারের গ্রামের অনন্য দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন।

আবার-আসিবো-ফিরে-ধানসিঁড়িটির-তীরে-min

ফটোগ্রাফির পথে নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। মাদ্রাসায় সীমিত সময়ে ছবি তুলতে হতো। একবার পুলিশ তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করতে চাইলে তিনি পরিচয় দিয়ে রক্ষা পান। অনেক সময় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার হেঁটে কোনো ছবি না পেয়ে ফিরতে হয়েছে; কিন্তু এসব কষ্ট কখনো তাঁকে দমাতে পারেনি।

উঁকি-min

২০২০-২৫ পর্যন্ত তিনি ৭০টির বেশি পুরস্কার জিতেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অনারেবল ম্যানশন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিবিশন ২০২৫; ফাইনালিস্ট, কাফ ফটো কনটেস্ট, ইরান ২০২৪; উইনার, আনওয়াইন্ড মাইন্ড ফটোগ্রাফি অ্যান্ড আর্ট এক্সিবিশন ২০২৪; উইনার, সামার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০২৪, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; উইনার, ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফটো কনটেস্ট ২০২৩, ভারত।

হ্রদের-নিস্তব্ধতা,-শান্ত-শ্যামলের-শোভা!_বহমান-নৌকো,-বইছে-অনিন্দ্য-শৈশবে..

ছবি বিক্রির অর্থ দিয়ে তিনি বন্যাদুর্গত মানুষকেও সহায়তা করেছেন। গত বছর ফেনীর বন্যায় ফেসবুকে ছবি বিক্রি করে পুরো টাকাই দান করে দিয়েছেন।

বসন্তের-বিকেলে-min

শাহরিয়ারের লক্ষ্য, যে পেশাতেই যান, ফটোগ্রাফি যেন তাঁর সঙ্গী থাকে। এখনো পড়াশোনার চাপ থাকায় ভ্রমণ কম। ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি জেলা ঘুরে ছবি তোলার ইচ্ছা। সুযোগ হলে বিদেশেও যেতে চান। মানুষের সামনে প্রকৃতি, মানুষ ও জীবনের সৌন্দর্য তুলে ধরাই তাঁর স্বপ্ন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত