Ajker Patrika

মাগুরায় সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

মাগুরা প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ৫৮
মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনজীবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৭ এপ্রিল।

আজ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত চার আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও ভাশুরের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ অন্য আইনজীবীরা।

মামলাটিকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজর (অ্যাটর্নি জেনারেল সমমর্যাদার সুবিধাপ্রাপ্ত) এহসানুল হক সমাজীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে তিনিও অংশ নেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯-এর-২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), স্বামী ও ভাশুরকে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং শাশুড়িকে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

শুনানি শেষে এহসানুল হক সাংবাদিকদের জানান, মামলার অভিযোগপত্র, মূল আসামির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিসহ অন্যান্য নথির ওপর ভিত্তি করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এহসানুল হক বলেন, ‘এই মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতের স্বার্থে বিচারক আসামিদের অবিহিত করেন যে তাঁরা চাইলে নিজেদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। আইনজীবী নিয়োগ করতে হলে কারাবিধি অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া আসামিরা এ ঘটনার দায় স্বীকার করছেন কি না, বিচারক জানতে চাইলে তাঁরা অপরাধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।’

প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে ৮ বছর বয়সী শিশুটি ৬ মার্চ ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। পরে তাঁকে মাগুরা সদর হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে এতে হত্যার বিষয়টি যুক্ত হয়। মামলায় আসামি করা হয় শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও তাঁদের দুই ছেলেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুরগি মারার অভিযোগে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৩
মুরগি। ছবি: সংগৃহীত
মুরগি। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর বদলগাছীতে চালে বিষ মিশিয়ে প্রতিবেশীর মুরগি মারার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে থানায় এই মামলা করা হয়। মুরগিগুলো মারা যায় গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর)।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

বদলগাছী উপজেলার কটকবাড়ী গ্রামের গৃহবধূ শাপলা বেগম জানান, মুরগিগুলোই ছিল সংসারের আয়ের অন্যতম ভরসা। মুরগি ও ডিম বিক্রি করে চলত তাঁর সংসারের খরচ। দীর্ঘদিন প্রতিবেশী আনিছুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে চালে বিষ মিশিয়ে উঠানে রাখেন আনিছুর। ওই চাল খেয়ে মুরগিগুলো মারা যায়। তিনি বলেন, ‘মানুষে-মানুষে শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু মুরগিগুলো কী অপরাধ করেছে। আমার স্বামী একজন কৃষক। আমি ছাগল ও হাঁস-মুরগি লালন-পালন করি। আমার এই ক্ষতির জন্য বিচার চাই।’

শাপলার জা কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘আমার ও শাপলার মিলে প্রায় ১৮টি মুরগি বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে আনিছুর রহমান। সে আমাদের প্রতিবেশী। তার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে, তাই বলে সে আমার বাড়ির উঠানে খাবারের সঙ্গে বিষ ছিটিয়ে মুরগি মেরে ফেলবে। আমি এর বিচার দাবি করছি।’

আনিছুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য মুরগিগুলো মেরে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা রিপা রাণী বলেন, মরা মুরগিগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সার্বিক বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৪

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রোহিতপুর ইউনিয়নের পুরাতন সোনাকান্দা মোল্লাবাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান (৩৪), মিজানুর রহমান (৩০), বদিউর রহমান (৪০) ও মামুন হোসেন (৩৪। অভিযানের সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্য ডাকাতেরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে রড, চাপাতি, কাটার, দড়ি, স্কচটেপ, মুখ বাঁধার কাপড়সহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাঁরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এবং পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস হোসেন জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি বিশেষ টহল দল রোহিতপুর, শাক্তা, জিনজিরা, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। দায়িত্ব পালনকালে রোহিতপুরের সোনাকান্দা মোল্লাবাড়ির তিন রাস্তার মোড়ে একটি নীল রঙের গাড়িকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে থামানোর সংকেত দেয়। এ সময় গাড়িটি সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আনুমানিক ২০০ গজ সামনে গিয়ে ব্যারিকেডের মাধ্যমে গাড়িটি আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধভাবে মহাসড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকের কোমরপুর পলাশবাড়ী শাখা থেকে চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ককটেল উদ্ধারের বিষয়টি আজ বুধবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ থানা–পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কোমরপুর এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে ককটেলসদৃশ চারটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ও র‍্যাব-১৩ রংপুরের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ককটেলগুলো উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

র‍্যাব-১৩ রংপুর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের বোমা নিষ্ক্রিয় দলের সিনিয়র এএসপি তরিকুল ইসলাম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুরে বিজয় দিবসে ছাদ থেকে পতাকা নামাতে গিয়ে পড়ে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরে মহান বিজয় দিবসে ছাদ থেকে জাতীয় পতাকা নামাতে গিয়ে পড়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানার এক নিরাপত্তাকর্মী মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর ইসলামপুর রোড এলাকায় অবস্থিত টার্গেট ডেনিম অ্যান্ড ক্যাজুয়াল ওয়্যার লিমিটেড কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন-অর-রশিদ।

নিহত ব্যক্তির নাম জাহিদুল ইসলাম। বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার কর্মধা গ্রামে। তিনি মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন কবিরাজের বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

টার্গেট ডেনিম অ্যান্ড ক্যাজুয়াল ওয়্যার কারখানার পরিচালক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল কারখানা বন্ধ ছিল। পতাকা নামাতে গিয়ে পড়ে কর্মীর মৃত্যুর বিষয়টি পরে শুনেছি।’

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ওসি মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, খবর পেয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বাসন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত