আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোকসভায় বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্কিমচন্দ্রকে চারবার ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন, তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত, আনন্দমঠের পৃষ্ঠভূমি মনে রাখলে বন্দে মাতরম মুসলিমদের ইরিটেট করতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বন্দে মাতরমকে টুকরো করা হলো। বন্দে মাতরম এত মহান হওয়া সত্ত্বেও কেন তার প্রতি অন্যায় করা হলো, কেন বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো, কোন শক্তি যার ইচ্ছা পূজ্য বাপুর ভাবনাকেও বাতিল করে দিল। কংগ্রেস বন্দে মাতরমকে বাতিল করে দিল। তুষ্টীকরণের রাজনীতি করল। তাই কংগ্রেসকে ভারতের বিভাজনও মেনে নিতে হয়েছে। কংগ্রেসের নীতি সে রকমই আছে, আজও কংগ্রেস বন্দে মাতরমের বিরোধ করে যাচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বার চারেক বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিমদা যখন বন্দে মাতরম লিখলেন, তখন তা দেশের স্বর হয়ে উঠল।’ একাধিকবার বঙ্কিমদা বলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় বলেন, ‘অন্ততপক্ষে বঙ্কিমবাবু বলুন।’ মোদি বলেন, ‘আমি আপনার ভাবনাকে সমর্থন করি। বঙ্কিমবাবু বলছি।’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে তো দাদা বলি। সেটা বলব তো। নাকি তাতেও আপনি আপত্তি করবেন?’
বঙ্কিমচন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অভ্র ঘোষ বলেছেন, ‘এমন ধৃষ্টতা কেমন করে হয়? বঙ্কিমচন্দ্রকে কেউ কখনো বঙ্কিমদা বলেছেন বলে শুনিনি। শ্রীঅরবিন্দ ১৯০৫ সালে প্রথমে বলেন ঋষি বঙ্কিম। তার পর থেকে অনেকেই তাঁকে ঋষি বঙ্কিম বলেন, বঙ্কিমদা কেউ বলেননি।’ প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেছেন, ‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী একটু বেশি বাঙালি হতে চেয়েছেন।’
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘বন্দে মাতরমের ১৫০ বছরের যাত্রা অনেক পর্বের মধ্যে দিয়ে গেছে। এই গান যখন লেখা হয়, তখন দেশ পরাধীন ছিল। এই গান লেখার ১০০ বছর যখন পূর্ণ হলো, তখন দেশ জরুরি অবস্থার শিকলে বন্দী ছিল। তখন সংবিধানের গলা চেপে ধরা হয়েছিল। দেশভক্তির জন্য যাঁরা বাঁচতেন, মারা যেতেন, তাঁদের জেলে বন্দী করি হলো। দুর্ভাগ্য, বন্দে মাতরমের ১০০ বছরে এই কালখণ্ডও ইতিহাসে ঢুকে গেল।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে মাতরম কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল না, তার থেকে আরও বেশি কিছু ছিল। দেশবাসীর গর্ব হওয়া উচিত।’ তাঁর ভাষ্য, ‘জওহরলাল নেহরুর উচিত ছিল, জিন্নার আধারহীন বক্তব্যের কঠোর জবাব দেওয়া, নিন্দা করা। কিন্তু তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত হলেন। কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে হাঁটু মুড়ে বসল।’ মোদির দাবি, ‘বন্দে মাতরম রাস্তা তৈরি করেছে, তাই আমরা এখানে এসেছি। বন্দে মাতরম আমাদের প্রেরণা।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র প্রশ্ন করেন, ‘আজ এই বিতর্কের প্রয়োজন কী? বন্দে মাতরম তো দেশের সর্বত্র মানুষের মনে আছে। আমাদের জাতীয় গান নিয়ে কিসের বিতর্ক? তা-ও এ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তার প্রথম কারণ, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ভূমিকা পালন করতে চান। দ্বিতীয় কারণ, একটা পুরোনো উদ্দেশ্য, যারা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে, তাদের বদনাম করা। দেশের জ্বলন্ত সমস্যার থেকে মানুষের নজর ঘোরানো।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহাপুরুষদের অপমান করেছেন। সংবিধান সভাকে অপমান করেছেন। তিনি যত দিন প্রধানমন্ত্রী আছেন, তত দিন নেহরু জেলে ছিলেন। এরপর ১৭ বছর ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেহরু দেশের জন্য বেঁচেছেন, দেশের সেবা করতে করতে মৃত্যু হয়েছে। এর থেকে ভালো হবে, স্পিকার সময় ঠিক করে দিন। যতক্ষণ তিনি শান্ত না হচ্ছেন, আমরা কথা বলব। নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, পরিবারবাদ নিয়ে তাঁর যা বলার একবারে বলে দিন। তারপর বিষয়টি ক্লোজ করুন। তারপর বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলুন। নারীদের অবস্থা নিয়ে কথা বলুন।’
তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘যখন বেকারি ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ ৮০০ ছাড়িয়েছে, বিরোধী রাজ্যগুলোতে ১০০ দিনের কাজ, গরিবদের জন্য বাড়ি ও জলের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, যখন লাখ লাখ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিরোধীরা সংসদে জাতীয় বিষয়গুলো তুলতে পারছে না, তখন সরকার কেন বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা এতটা জরুরি ও এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করল। দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যসভার বুলেটিন বলেছে, বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ ও অন্য স্লোগান দেওয়া যাবে না। সরকার মনে করছে বন্দে মাতরম স্লোগানও নন সিরিয়াস।’

বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোকসভায় বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্কিমচন্দ্রকে চারবার ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন, তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত, আনন্দমঠের পৃষ্ঠভূমি মনে রাখলে বন্দে মাতরম মুসলিমদের ইরিটেট করতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বন্দে মাতরমকে টুকরো করা হলো। বন্দে মাতরম এত মহান হওয়া সত্ত্বেও কেন তার প্রতি অন্যায় করা হলো, কেন বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো, কোন শক্তি যার ইচ্ছা পূজ্য বাপুর ভাবনাকেও বাতিল করে দিল। কংগ্রেস বন্দে মাতরমকে বাতিল করে দিল। তুষ্টীকরণের রাজনীতি করল। তাই কংগ্রেসকে ভারতের বিভাজনও মেনে নিতে হয়েছে। কংগ্রেসের নীতি সে রকমই আছে, আজও কংগ্রেস বন্দে মাতরমের বিরোধ করে যাচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বার চারেক বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিমদা যখন বন্দে মাতরম লিখলেন, তখন তা দেশের স্বর হয়ে উঠল।’ একাধিকবার বঙ্কিমদা বলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় বলেন, ‘অন্ততপক্ষে বঙ্কিমবাবু বলুন।’ মোদি বলেন, ‘আমি আপনার ভাবনাকে সমর্থন করি। বঙ্কিমবাবু বলছি।’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে তো দাদা বলি। সেটা বলব তো। নাকি তাতেও আপনি আপত্তি করবেন?’
বঙ্কিমচন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অভ্র ঘোষ বলেছেন, ‘এমন ধৃষ্টতা কেমন করে হয়? বঙ্কিমচন্দ্রকে কেউ কখনো বঙ্কিমদা বলেছেন বলে শুনিনি। শ্রীঅরবিন্দ ১৯০৫ সালে প্রথমে বলেন ঋষি বঙ্কিম। তার পর থেকে অনেকেই তাঁকে ঋষি বঙ্কিম বলেন, বঙ্কিমদা কেউ বলেননি।’ প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেছেন, ‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী একটু বেশি বাঙালি হতে চেয়েছেন।’
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘বন্দে মাতরমের ১৫০ বছরের যাত্রা অনেক পর্বের মধ্যে দিয়ে গেছে। এই গান যখন লেখা হয়, তখন দেশ পরাধীন ছিল। এই গান লেখার ১০০ বছর যখন পূর্ণ হলো, তখন দেশ জরুরি অবস্থার শিকলে বন্দী ছিল। তখন সংবিধানের গলা চেপে ধরা হয়েছিল। দেশভক্তির জন্য যাঁরা বাঁচতেন, মারা যেতেন, তাঁদের জেলে বন্দী করি হলো। দুর্ভাগ্য, বন্দে মাতরমের ১০০ বছরে এই কালখণ্ডও ইতিহাসে ঢুকে গেল।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে মাতরম কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল না, তার থেকে আরও বেশি কিছু ছিল। দেশবাসীর গর্ব হওয়া উচিত।’ তাঁর ভাষ্য, ‘জওহরলাল নেহরুর উচিত ছিল, জিন্নার আধারহীন বক্তব্যের কঠোর জবাব দেওয়া, নিন্দা করা। কিন্তু তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত হলেন। কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে হাঁটু মুড়ে বসল।’ মোদির দাবি, ‘বন্দে মাতরম রাস্তা তৈরি করেছে, তাই আমরা এখানে এসেছি। বন্দে মাতরম আমাদের প্রেরণা।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র প্রশ্ন করেন, ‘আজ এই বিতর্কের প্রয়োজন কী? বন্দে মাতরম তো দেশের সর্বত্র মানুষের মনে আছে। আমাদের জাতীয় গান নিয়ে কিসের বিতর্ক? তা-ও এ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তার প্রথম কারণ, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ভূমিকা পালন করতে চান। দ্বিতীয় কারণ, একটা পুরোনো উদ্দেশ্য, যারা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে, তাদের বদনাম করা। দেশের জ্বলন্ত সমস্যার থেকে মানুষের নজর ঘোরানো।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহাপুরুষদের অপমান করেছেন। সংবিধান সভাকে অপমান করেছেন। তিনি যত দিন প্রধানমন্ত্রী আছেন, তত দিন নেহরু জেলে ছিলেন। এরপর ১৭ বছর ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেহরু দেশের জন্য বেঁচেছেন, দেশের সেবা করতে করতে মৃত্যু হয়েছে। এর থেকে ভালো হবে, স্পিকার সময় ঠিক করে দিন। যতক্ষণ তিনি শান্ত না হচ্ছেন, আমরা কথা বলব। নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, পরিবারবাদ নিয়ে তাঁর যা বলার একবারে বলে দিন। তারপর বিষয়টি ক্লোজ করুন। তারপর বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলুন। নারীদের অবস্থা নিয়ে কথা বলুন।’
তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘যখন বেকারি ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ ৮০০ ছাড়িয়েছে, বিরোধী রাজ্যগুলোতে ১০০ দিনের কাজ, গরিবদের জন্য বাড়ি ও জলের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, যখন লাখ লাখ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিরোধীরা সংসদে জাতীয় বিষয়গুলো তুলতে পারছে না, তখন সরকার কেন বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা এতটা জরুরি ও এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করল। দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যসভার বুলেটিন বলেছে, বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ ও অন্য স্লোগান দেওয়া যাবে না। সরকার মনে করছে বন্দে মাতরম স্লোগানও নন সিরিয়াস।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোকসভায় বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্কিমচন্দ্রকে চারবার ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন, তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত, আনন্দমঠের পৃষ্ঠভূমি মনে রাখলে বন্দে মাতরম মুসলিমদের ইরিটেট করতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বন্দে মাতরমকে টুকরো করা হলো। বন্দে মাতরম এত মহান হওয়া সত্ত্বেও কেন তার প্রতি অন্যায় করা হলো, কেন বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো, কোন শক্তি যার ইচ্ছা পূজ্য বাপুর ভাবনাকেও বাতিল করে দিল। কংগ্রেস বন্দে মাতরমকে বাতিল করে দিল। তুষ্টীকরণের রাজনীতি করল। তাই কংগ্রেসকে ভারতের বিভাজনও মেনে নিতে হয়েছে। কংগ্রেসের নীতি সে রকমই আছে, আজও কংগ্রেস বন্দে মাতরমের বিরোধ করে যাচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বার চারেক বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিমদা যখন বন্দে মাতরম লিখলেন, তখন তা দেশের স্বর হয়ে উঠল।’ একাধিকবার বঙ্কিমদা বলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় বলেন, ‘অন্ততপক্ষে বঙ্কিমবাবু বলুন।’ মোদি বলেন, ‘আমি আপনার ভাবনাকে সমর্থন করি। বঙ্কিমবাবু বলছি।’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে তো দাদা বলি। সেটা বলব তো। নাকি তাতেও আপনি আপত্তি করবেন?’
বঙ্কিমচন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অভ্র ঘোষ বলেছেন, ‘এমন ধৃষ্টতা কেমন করে হয়? বঙ্কিমচন্দ্রকে কেউ কখনো বঙ্কিমদা বলেছেন বলে শুনিনি। শ্রীঅরবিন্দ ১৯০৫ সালে প্রথমে বলেন ঋষি বঙ্কিম। তার পর থেকে অনেকেই তাঁকে ঋষি বঙ্কিম বলেন, বঙ্কিমদা কেউ বলেননি।’ প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেছেন, ‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী একটু বেশি বাঙালি হতে চেয়েছেন।’
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘বন্দে মাতরমের ১৫০ বছরের যাত্রা অনেক পর্বের মধ্যে দিয়ে গেছে। এই গান যখন লেখা হয়, তখন দেশ পরাধীন ছিল। এই গান লেখার ১০০ বছর যখন পূর্ণ হলো, তখন দেশ জরুরি অবস্থার শিকলে বন্দী ছিল। তখন সংবিধানের গলা চেপে ধরা হয়েছিল। দেশভক্তির জন্য যাঁরা বাঁচতেন, মারা যেতেন, তাঁদের জেলে বন্দী করি হলো। দুর্ভাগ্য, বন্দে মাতরমের ১০০ বছরে এই কালখণ্ডও ইতিহাসে ঢুকে গেল।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে মাতরম কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল না, তার থেকে আরও বেশি কিছু ছিল। দেশবাসীর গর্ব হওয়া উচিত।’ তাঁর ভাষ্য, ‘জওহরলাল নেহরুর উচিত ছিল, জিন্নার আধারহীন বক্তব্যের কঠোর জবাব দেওয়া, নিন্দা করা। কিন্তু তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত হলেন। কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে হাঁটু মুড়ে বসল।’ মোদির দাবি, ‘বন্দে মাতরম রাস্তা তৈরি করেছে, তাই আমরা এখানে এসেছি। বন্দে মাতরম আমাদের প্রেরণা।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র প্রশ্ন করেন, ‘আজ এই বিতর্কের প্রয়োজন কী? বন্দে মাতরম তো দেশের সর্বত্র মানুষের মনে আছে। আমাদের জাতীয় গান নিয়ে কিসের বিতর্ক? তা-ও এ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তার প্রথম কারণ, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ভূমিকা পালন করতে চান। দ্বিতীয় কারণ, একটা পুরোনো উদ্দেশ্য, যারা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে, তাদের বদনাম করা। দেশের জ্বলন্ত সমস্যার থেকে মানুষের নজর ঘোরানো।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহাপুরুষদের অপমান করেছেন। সংবিধান সভাকে অপমান করেছেন। তিনি যত দিন প্রধানমন্ত্রী আছেন, তত দিন নেহরু জেলে ছিলেন। এরপর ১৭ বছর ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেহরু দেশের জন্য বেঁচেছেন, দেশের সেবা করতে করতে মৃত্যু হয়েছে। এর থেকে ভালো হবে, স্পিকার সময় ঠিক করে দিন। যতক্ষণ তিনি শান্ত না হচ্ছেন, আমরা কথা বলব। নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, পরিবারবাদ নিয়ে তাঁর যা বলার একবারে বলে দিন। তারপর বিষয়টি ক্লোজ করুন। তারপর বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলুন। নারীদের অবস্থা নিয়ে কথা বলুন।’
তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘যখন বেকারি ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ ৮০০ ছাড়িয়েছে, বিরোধী রাজ্যগুলোতে ১০০ দিনের কাজ, গরিবদের জন্য বাড়ি ও জলের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, যখন লাখ লাখ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিরোধীরা সংসদে জাতীয় বিষয়গুলো তুলতে পারছে না, তখন সরকার কেন বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা এতটা জরুরি ও এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করল। দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যসভার বুলেটিন বলেছে, বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ ও অন্য স্লোগান দেওয়া যাবে না। সরকার মনে করছে বন্দে মাতরম স্লোগানও নন সিরিয়াস।’

বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোকসভায় বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্কিমচন্দ্রকে চারবার ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন, তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত, আনন্দমঠের পৃষ্ঠভূমি মনে রাখলে বন্দে মাতরম মুসলিমদের ইরিটেট করতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বন্দে মাতরমকে টুকরো করা হলো। বন্দে মাতরম এত মহান হওয়া সত্ত্বেও কেন তার প্রতি অন্যায় করা হলো, কেন বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো, কোন শক্তি যার ইচ্ছা পূজ্য বাপুর ভাবনাকেও বাতিল করে দিল। কংগ্রেস বন্দে মাতরমকে বাতিল করে দিল। তুষ্টীকরণের রাজনীতি করল। তাই কংগ্রেসকে ভারতের বিভাজনও মেনে নিতে হয়েছে। কংগ্রেসের নীতি সে রকমই আছে, আজও কংগ্রেস বন্দে মাতরমের বিরোধ করে যাচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বার চারেক বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিমদা যখন বন্দে মাতরম লিখলেন, তখন তা দেশের স্বর হয়ে উঠল।’ একাধিকবার বঙ্কিমদা বলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় বলেন, ‘অন্ততপক্ষে বঙ্কিমবাবু বলুন।’ মোদি বলেন, ‘আমি আপনার ভাবনাকে সমর্থন করি। বঙ্কিমবাবু বলছি।’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে তো দাদা বলি। সেটা বলব তো। নাকি তাতেও আপনি আপত্তি করবেন?’
বঙ্কিমচন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অভ্র ঘোষ বলেছেন, ‘এমন ধৃষ্টতা কেমন করে হয়? বঙ্কিমচন্দ্রকে কেউ কখনো বঙ্কিমদা বলেছেন বলে শুনিনি। শ্রীঅরবিন্দ ১৯০৫ সালে প্রথমে বলেন ঋষি বঙ্কিম। তার পর থেকে অনেকেই তাঁকে ঋষি বঙ্কিম বলেন, বঙ্কিমদা কেউ বলেননি।’ প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেছেন, ‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী একটু বেশি বাঙালি হতে চেয়েছেন।’
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘বন্দে মাতরমের ১৫০ বছরের যাত্রা অনেক পর্বের মধ্যে দিয়ে গেছে। এই গান যখন লেখা হয়, তখন দেশ পরাধীন ছিল। এই গান লেখার ১০০ বছর যখন পূর্ণ হলো, তখন দেশ জরুরি অবস্থার শিকলে বন্দী ছিল। তখন সংবিধানের গলা চেপে ধরা হয়েছিল। দেশভক্তির জন্য যাঁরা বাঁচতেন, মারা যেতেন, তাঁদের জেলে বন্দী করি হলো। দুর্ভাগ্য, বন্দে মাতরমের ১০০ বছরে এই কালখণ্ডও ইতিহাসে ঢুকে গেল।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে মাতরম কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল না, তার থেকে আরও বেশি কিছু ছিল। দেশবাসীর গর্ব হওয়া উচিত।’ তাঁর ভাষ্য, ‘জওহরলাল নেহরুর উচিত ছিল, জিন্নার আধারহীন বক্তব্যের কঠোর জবাব দেওয়া, নিন্দা করা। কিন্তু তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত হলেন। কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে হাঁটু মুড়ে বসল।’ মোদির দাবি, ‘বন্দে মাতরম রাস্তা তৈরি করেছে, তাই আমরা এখানে এসেছি। বন্দে মাতরম আমাদের প্রেরণা।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র প্রশ্ন করেন, ‘আজ এই বিতর্কের প্রয়োজন কী? বন্দে মাতরম তো দেশের সর্বত্র মানুষের মনে আছে। আমাদের জাতীয় গান নিয়ে কিসের বিতর্ক? তা-ও এ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তার প্রথম কারণ, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ভূমিকা পালন করতে চান। দ্বিতীয় কারণ, একটা পুরোনো উদ্দেশ্য, যারা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে, তাদের বদনাম করা। দেশের জ্বলন্ত সমস্যার থেকে মানুষের নজর ঘোরানো।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহাপুরুষদের অপমান করেছেন। সংবিধান সভাকে অপমান করেছেন। তিনি যত দিন প্রধানমন্ত্রী আছেন, তত দিন নেহরু জেলে ছিলেন। এরপর ১৭ বছর ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেহরু দেশের জন্য বেঁচেছেন, দেশের সেবা করতে করতে মৃত্যু হয়েছে। এর থেকে ভালো হবে, স্পিকার সময় ঠিক করে দিন। যতক্ষণ তিনি শান্ত না হচ্ছেন, আমরা কথা বলব। নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, পরিবারবাদ নিয়ে তাঁর যা বলার একবারে বলে দিন। তারপর বিষয়টি ক্লোজ করুন। তারপর বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলুন। নারীদের অবস্থা নিয়ে কথা বলুন।’
তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘যখন বেকারি ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ ৮০০ ছাড়িয়েছে, বিরোধী রাজ্যগুলোতে ১০০ দিনের কাজ, গরিবদের জন্য বাড়ি ও জলের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, যখন লাখ লাখ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিরোধীরা সংসদে জাতীয় বিষয়গুলো তুলতে পারছে না, তখন সরকার কেন বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা এতটা জরুরি ও এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করল। দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যসভার বুলেটিন বলেছে, বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ ও অন্য স্লোগান দেওয়া যাবে না। সরকার মনে করছে বন্দে মাতরম স্লোগানও নন সিরিয়াস।’

দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’
১৯ মিনিট আগে
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৪ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’ বা সরাসরি ‘পাগলাটে’ আখ্যা দিয়েছে। সমালোচনার ঝড় ওঠার পর ওহ সুং-গিওল জানান, প্রশ্ন প্রণয়নের প্রক্রিয়া বহুবার সম্পাদনার মধ্য দিয়ে গেলেও উপযুক্ত মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, এবারের ইংরেজি অংশে দর্শন, গেমিং তত্ত্ব ও বিমূর্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে জটিল অনুচ্ছেদ থেকে বাক্য বসানোর মতো প্রশ্ন করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রশ্নে ইমানুয়েল কান্টের আইনদর্শন নিয়ে দীর্ঘ পাঠ্য বিশ্লেষণ করতে হয়, আরেকটিতে ভিডিও গেমের বাস্তবতার ধারণা ব্যাখ্যা করে অনুচ্ছেদের সঠিক স্থানে বাক্যটি বসাতে বলা হয়। মাত্র তিন নম্বরের সেই প্রশ্নটি অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছে অতি-দুর্বোধ্য বলে মনে হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশ্নের ভাষা এতটাই জটিল ছিল যে একে কার্যকর শিক্ষার উপযোগী বলা কঠিন।
ইংরেজি পরীক্ষায় ৪৫টি প্রশ্ন সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের ৭০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। গত বছর এই পরীক্ষায় যেখানে ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছিল, সেখানে এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ শতাংশের কিছু বেশি। হানইয়ং হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ইম না-হিয়ে জানান, বহু প্রশ্ন বুঝতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এমনকি সম্ভাব্য উত্তরগুলো পরস্পরের সঙ্গে এত মিল ছিল যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা দ্বিধায় ছিলেন।
প্রতি বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সুনুং দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অনুষ্ঠান। প্রায় আট ঘণ্টার এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরি, এমনকি সামাজিক অবস্থান পর্যন্ত নির্ধারণ করে। পরীক্ষার দিনে দেশজুড়ে নির্মাণকাজ স্থগিত থাকে, বিমান ওঠানামা সীমিত হয় এবং সামরিক প্রশিক্ষণও বন্ধ থাকে যেন পরীক্ষার পরিবেশ নিখুঁত হয়।
১৯৯৩ সালে এই পরীক্ষা শুরুর পর থেকে ১২ জন সুনুং প্রধান কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র চারজন পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন। তবে ওহ সুং-গিওলই প্রথম যিনি প্রশ্ন কঠিন করার জন্য সরে দাঁড়ালেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’ বা সরাসরি ‘পাগলাটে’ আখ্যা দিয়েছে। সমালোচনার ঝড় ওঠার পর ওহ সুং-গিওল জানান, প্রশ্ন প্রণয়নের প্রক্রিয়া বহুবার সম্পাদনার মধ্য দিয়ে গেলেও উপযুক্ত মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, এবারের ইংরেজি অংশে দর্শন, গেমিং তত্ত্ব ও বিমূর্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে জটিল অনুচ্ছেদ থেকে বাক্য বসানোর মতো প্রশ্ন করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রশ্নে ইমানুয়েল কান্টের আইনদর্শন নিয়ে দীর্ঘ পাঠ্য বিশ্লেষণ করতে হয়, আরেকটিতে ভিডিও গেমের বাস্তবতার ধারণা ব্যাখ্যা করে অনুচ্ছেদের সঠিক স্থানে বাক্যটি বসাতে বলা হয়। মাত্র তিন নম্বরের সেই প্রশ্নটি অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছে অতি-দুর্বোধ্য বলে মনে হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশ্নের ভাষা এতটাই জটিল ছিল যে একে কার্যকর শিক্ষার উপযোগী বলা কঠিন।
ইংরেজি পরীক্ষায় ৪৫টি প্রশ্ন সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের ৭০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। গত বছর এই পরীক্ষায় যেখানে ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছিল, সেখানে এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ শতাংশের কিছু বেশি। হানইয়ং হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ইম না-হিয়ে জানান, বহু প্রশ্ন বুঝতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এমনকি সম্ভাব্য উত্তরগুলো পরস্পরের সঙ্গে এত মিল ছিল যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা দ্বিধায় ছিলেন।
প্রতি বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সুনুং দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অনুষ্ঠান। প্রায় আট ঘণ্টার এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরি, এমনকি সামাজিক অবস্থান পর্যন্ত নির্ধারণ করে। পরীক্ষার দিনে দেশজুড়ে নির্মাণকাজ স্থগিত থাকে, বিমান ওঠানামা সীমিত হয় এবং সামরিক প্রশিক্ষণও বন্ধ থাকে যেন পরীক্ষার পরিবেশ নিখুঁত হয়।
১৯৯৩ সালে এই পরীক্ষা শুরুর পর থেকে ১২ জন সুনুং প্রধান কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র চারজন পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন। তবে ওহ সুং-গিওলই প্রথম যিনি প্রশ্ন কঠিন করার জন্য সরে দাঁড়ালেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
৩ দিন আগে
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৪ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ কয়েক বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার পর ১৯৯৯ সালে ন্যান্সি কারিপার শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ে। তখন তিনি সবেমাত্র তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
এ মাসে পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে এক এইডস সচেতনতা অনুষ্ঠানে ৫০-এর কোঠার কারিপা বলেন, ‘সেটি ছিল আমার জীবনের এক সন্ধিক্ষণ। মনের ভেতর লোকলজ্জা আর অস্বীকার করার ভয় থাকলেও চিকিৎসার পথ বেছে নিয়েছিলাম আমি।’
কারিপা ও তাঁর সন্তান দুজনেই সঠিক চিকিৎসা পান। সন্তানটি এখন পুরোপুরি সুস্থ।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর পাপুয়া নিউগিনির ইস্ট সেপিক অঞ্চলের বাসিন্দা কারিপা নিজের অভিজ্ঞতা এভাবেই সবার সামনে তুলে ধরেন, যা দেশটিতে খুব একটা দেখা যায় না। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে এই রোগ নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও লোকলজ্জা অত্যন্ত প্রকট। তবে এখন এ বিষয়ে মুখ খোলা আগের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি বছর পাপুয়া নিউগিনি এইচআইভিকে ‘জাতীয় সংকট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
দেশটিতে ২০১০ সালের পর নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং ধারণা করা হয়, যাদের শরীরে ভাইরাস রয়েছে তাদের মাত্র ৫৯ শতাংশ জানেন, তারা এইচআইভি পজিটিভ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ইউএনএইডস।
পাপুয়া নিউগিনিতে ইউএনএইডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানোয়েলা মানোভা বলেন, মা থেকে সন্তানের মধ্যে (এইচআইভি) সংক্রমণের হার পাপুয়া নিউগিনিতে অত্যন্ত বেশি।
এইচআইভি প্রতিরোধ ও সহায়তা খাতে অর্থায়নে পরিবর্তন আসায় দেশটি আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্তে শত শত ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে ইউএনএইডসের তহবিলে বড় ধরনের ঘাটতি স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ফলে পাপুয়া নিউগিনি সরকারকে এই খাতে আরও বেশি ভূমিকা রাখার দাবি জোরালো হচ্ছে।
মানোভা জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা কমে গেছে এবং বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, ‘মানুষ মনে করছে এই মহামারির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।’
তাঁর মতে, জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক মহলে—উভয় ক্ষেত্রেই এখন এমন ধারণা তৈরি হয়েছে।
প্রায় এক কোটি মানুষের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে অপর্যাপ্ত পরীক্ষা ও সচেতনতার অভাবে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
ইউএনএইডসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে দেশটিতে আনুমানিক ১১ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ে, যার অর্ধেকই শিশু এবং ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণ।
২০২৪ সালে পাপুয়া নিউগিনিতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিশু এইচআইভি আক্রান্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়েরা নিজেরা আক্রান্ত কি না—তা জানতেন না। ফলে তাঁরা প্রয়োজনীয় ‘অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি)’ গ্রহণ করতে পারেননি, যা শিশুর শরীরে সংক্রমণ ঠেকাতে পারত।
মানোভা বলেন, অনেকেই তাঁদের শারীরিক অবস্থা জানেন না। অথচ এই মহামারি মোকাবিলায় প্রথম পদক্ষেপ হলো পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার আওতায় আসা।

দীর্ঘ কয়েক বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার পর ১৯৯৯ সালে ন্যান্সি কারিপার শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ে। তখন তিনি সবেমাত্র তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
এ মাসে পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে এক এইডস সচেতনতা অনুষ্ঠানে ৫০-এর কোঠার কারিপা বলেন, ‘সেটি ছিল আমার জীবনের এক সন্ধিক্ষণ। মনের ভেতর লোকলজ্জা আর অস্বীকার করার ভয় থাকলেও চিকিৎসার পথ বেছে নিয়েছিলাম আমি।’
কারিপা ও তাঁর সন্তান দুজনেই সঠিক চিকিৎসা পান। সন্তানটি এখন পুরোপুরি সুস্থ।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর পাপুয়া নিউগিনির ইস্ট সেপিক অঞ্চলের বাসিন্দা কারিপা নিজের অভিজ্ঞতা এভাবেই সবার সামনে তুলে ধরেন, যা দেশটিতে খুব একটা দেখা যায় না। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে এই রোগ নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও লোকলজ্জা অত্যন্ত প্রকট। তবে এখন এ বিষয়ে মুখ খোলা আগের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি বছর পাপুয়া নিউগিনি এইচআইভিকে ‘জাতীয় সংকট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
দেশটিতে ২০১০ সালের পর নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং ধারণা করা হয়, যাদের শরীরে ভাইরাস রয়েছে তাদের মাত্র ৫৯ শতাংশ জানেন, তারা এইচআইভি পজিটিভ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ইউএনএইডস।
পাপুয়া নিউগিনিতে ইউএনএইডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানোয়েলা মানোভা বলেন, মা থেকে সন্তানের মধ্যে (এইচআইভি) সংক্রমণের হার পাপুয়া নিউগিনিতে অত্যন্ত বেশি।
এইচআইভি প্রতিরোধ ও সহায়তা খাতে অর্থায়নে পরিবর্তন আসায় দেশটি আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্তে শত শত ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে ইউএনএইডসের তহবিলে বড় ধরনের ঘাটতি স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ফলে পাপুয়া নিউগিনি সরকারকে এই খাতে আরও বেশি ভূমিকা রাখার দাবি জোরালো হচ্ছে।
মানোভা জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা কমে গেছে এবং বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, ‘মানুষ মনে করছে এই মহামারির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।’
তাঁর মতে, জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক মহলে—উভয় ক্ষেত্রেই এখন এমন ধারণা তৈরি হয়েছে।
প্রায় এক কোটি মানুষের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে অপর্যাপ্ত পরীক্ষা ও সচেতনতার অভাবে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
ইউএনএইডসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে দেশটিতে আনুমানিক ১১ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ে, যার অর্ধেকই শিশু এবং ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণ।
২০২৪ সালে পাপুয়া নিউগিনিতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিশু এইচআইভি আক্রান্ত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়েরা নিজেরা আক্রান্ত কি না—তা জানতেন না। ফলে তাঁরা প্রয়োজনীয় ‘অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি)’ গ্রহণ করতে পারেননি, যা শিশুর শরীরে সংক্রমণ ঠেকাতে পারত।
মানোভা বলেন, অনেকেই তাঁদের শারীরিক অবস্থা জানেন না। অথচ এই মহামারি মোকাবিলায় প্রথম পদক্ষেপ হলো পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার আওতায় আসা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
৩ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’
১৯ মিনিট আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৪ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চাপ বাড়াতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ। এতে মাদুরোর বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মাদুরো গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পকে ফোনে জানিয়েছিলেন, পরিবারসহ তাঁকে যদি পূর্ণ আইনি দায়মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছাড়তে প্রস্তুত।
এ প্রেক্ষাপটে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হেসুস রাফায়েল সালাজার ভেলাজকুয়েজের সঙ্গে গত ১৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন।
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
লুকাশেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল বেলটা জানায়, তিনি ভেলাজকুয়েজকে মনে করিয়ে দেন, প্রথম বৈঠকে তাঁরা মাদুরোর সঙ্গে ‘কিছু বিষয় সমন্বয় করার’ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছিলাম যে কিছু বিষয় সমাধানের পর আপনি (রাষ্ট্রদূত) আবারও আমার সঙ্গে দেখা করবেন, যাতে আমরা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে একটি যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। প্রয়োজনে আমরা তখন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকেও এর সঙ্গে যুক্ত করব।’
রয়টার্স লুকাশেঙ্কোর দপ্তরের কাছে এসব বৈঠকের তাৎপর্য এবং মাদুরো পদত্যাগ করলে বেলারুশ তাঁকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী হবে কি না—এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছিল। তবে কোনো সাড়া পায়নি বার্তা সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল মাদুরোকে ফোন করে ভেনেজুয়েলার ওপর বাড়তে থাকা বহিরাগত চাপের মুখে ‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাদুরো সরকারের নীতিকে’ পুনরায় সমর্থন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চাপ বাড়াতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ। এতে মাদুরোর বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মাদুরো গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পকে ফোনে জানিয়েছিলেন, পরিবারসহ তাঁকে যদি পূর্ণ আইনি দায়মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছাড়তে প্রস্তুত।
এ প্রেক্ষাপটে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হেসুস রাফায়েল সালাজার ভেলাজকুয়েজের সঙ্গে গত ১৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন।
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
লুকাশেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল বেলটা জানায়, তিনি ভেলাজকুয়েজকে মনে করিয়ে দেন, প্রথম বৈঠকে তাঁরা মাদুরোর সঙ্গে ‘কিছু বিষয় সমন্বয় করার’ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছিলাম যে কিছু বিষয় সমাধানের পর আপনি (রাষ্ট্রদূত) আবারও আমার সঙ্গে দেখা করবেন, যাতে আমরা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে একটি যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। প্রয়োজনে আমরা তখন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকেও এর সঙ্গে যুক্ত করব।’
রয়টার্স লুকাশেঙ্কোর দপ্তরের কাছে এসব বৈঠকের তাৎপর্য এবং মাদুরো পদত্যাগ করলে বেলারুশ তাঁকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী হবে কি না—এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছিল। তবে কোনো সাড়া পায়নি বার্তা সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল মাদুরোকে ফোন করে ভেনেজুয়েলার ওপর বাড়তে থাকা বহিরাগত চাপের মুখে ‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাদুরো সরকারের নীতিকে’ পুনরায় সমর্থন জানিয়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
৩ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’
১৯ মিনিট আগে
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি। এ মন্তব্যে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে ভারতীয় পেশাজীবীদের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং ভারতীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মিশেল লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কখনো কিছু এভাবে চাইনি। বড় বড় করপোরেশনকে ডি-ইন্ডিয়ানাইজ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন করপোরেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমি।’
কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় পেশাজীবীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন রর্যাসমুসেন রিপোর্টসের প্রধান জরিপকারী মিশেল।
৮ ডিসেম্বর প্রচারিত ‘দ্য ওয়্যার রুম’ নামে ওই পডকাস্টে স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে আলোচনায় মিশেল এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে ভারতীয়দের প্রাধান্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন সিনিয়র এইচ-১বি ডেভেলপারকে দেশে ফেরানো অর্থনৈতিকভাবে ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে বহিষ্কারের সমান।
মিশেল বলেন, ‘অ্যাপলে থাকা প্রতিটি এইচ-১বি সিনিয়র ডেভেলপারকে যদি আমরা ফেরত পাঠাই, সেটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্ভবত ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে দেশছাড়া করার সমান হবে। তাই এটা আমরা এখনো কেন করিনি, বুঝতে পারছি না। আর হ্যাঁ, অনেকেই এন্ট্রি লেভেলের, কিন্তু অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করছে।’
এসব কারণে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন প্রযুক্তিকর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন বলে দাবি এই মার্কিন জরিপকারীর। তিনি মনে করেন, ‘বিদেশি শ্রমশক্তি’ সিলিকন ভ্যালিকে ‘ইন্ডিফাই’ বা ‘ভারতীয়করণ’ করেছে।
মিশেল আরও বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে দেশের সবচেয়ে দামি রিয়েল এস্টেট রয়েছে। আর সেখানে কর্মশক্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশে জন্ম নেওয়া। ওয়ালমার্টের ভবনগুলোতে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা এসব স্বর্ণসুযোগের পথ ধরে এসে চাকরিগুলো দখল করে নিচ্ছেন।
মিশেল আরও অভিযোগ করেন, শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচের অভিবাসী শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে। তাঁর দাবি, কোম্পানিগুলো সিনিয়র মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারদের এড়িয়ে যাচ্ছে, কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে ‘তৃতীয় বিশ্বের তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের এক অন্তহীন ভান্ডার’।
মিশেল আরও বলেন, ‘আমার মতো যাদের পরিবার আছে, যাদের কিছুটা বেশি বেতন দিতে হয়, তাদের হয়তো দু-একবার বেতন বেড়েছে। আমার স্বাস্থ্যবিমার খরচও একটু বেশি। আমাদের খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় আর আমাকে দিয়েই আমার বিকল্পজনকে প্রশিক্ষণ করানো যায়।’
মিশেল বলেন, ‘একজন এইচ-১বি ডেভেলপার, যিনি ৯০ হাজার ডলার আয় করেন, তাঁকে আনা মানে ঘণ্টায় ৯ ডলার করে আয় করা ১০জন আনডকুমেন্টেড শ্রমিককে আমদানি করার সমান।’
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৬৬ শতাংশ কর্মী বিদেশি। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভারতীয় এবং ১৮ শতাংশ চীনা। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিশেল এ মন্তব্য করেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মিশেলের ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ মন্তব্য। তিনি ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন।
এক্সে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আপনি যদি বলতেন, বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে “ডি-জিউ” করতে চান, তবে আপনার কোনো ক্যারিয়ারই থাকত না। কিন্তু মার্কিন রক্ষণশীল মহলে একটি “মডেল মাইনরিটি”র বিরুদ্ধে সরাসরি বর্ণবাদী হওয়া যেন স্বাভাবিক।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘খেয়াল করুন, এই মানুষটি এইচ–১বি থেকে সরাসরি “ইন্ডিয়ানস”-এ চলে গেছেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়–আমেরিকানদেরও তিনি বঞ্চিত করতে চান।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাবুন তো, অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কেউ এমন কথা বললে কী হতো। তাই হয়তো আপনার চাকরির সুযোগ এত সীমিত।’

বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি। এ মন্তব্যে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে ভারতীয় পেশাজীবীদের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং ভারতীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মিশেল লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কখনো কিছু এভাবে চাইনি। বড় বড় করপোরেশনকে ডি-ইন্ডিয়ানাইজ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন করপোরেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমি।’
কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় পেশাজীবীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন রর্যাসমুসেন রিপোর্টসের প্রধান জরিপকারী মিশেল।
৮ ডিসেম্বর প্রচারিত ‘দ্য ওয়্যার রুম’ নামে ওই পডকাস্টে স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে আলোচনায় মিশেল এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে ভারতীয়দের প্রাধান্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন সিনিয়র এইচ-১বি ডেভেলপারকে দেশে ফেরানো অর্থনৈতিকভাবে ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে বহিষ্কারের সমান।
মিশেল বলেন, ‘অ্যাপলে থাকা প্রতিটি এইচ-১বি সিনিয়র ডেভেলপারকে যদি আমরা ফেরত পাঠাই, সেটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্ভবত ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে দেশছাড়া করার সমান হবে। তাই এটা আমরা এখনো কেন করিনি, বুঝতে পারছি না। আর হ্যাঁ, অনেকেই এন্ট্রি লেভেলের, কিন্তু অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করছে।’
এসব কারণে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন প্রযুক্তিকর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন বলে দাবি এই মার্কিন জরিপকারীর। তিনি মনে করেন, ‘বিদেশি শ্রমশক্তি’ সিলিকন ভ্যালিকে ‘ইন্ডিফাই’ বা ‘ভারতীয়করণ’ করেছে।
মিশেল আরও বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে দেশের সবচেয়ে দামি রিয়েল এস্টেট রয়েছে। আর সেখানে কর্মশক্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশে জন্ম নেওয়া। ওয়ালমার্টের ভবনগুলোতে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা এসব স্বর্ণসুযোগের পথ ধরে এসে চাকরিগুলো দখল করে নিচ্ছেন।
মিশেল আরও অভিযোগ করেন, শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচের অভিবাসী শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে। তাঁর দাবি, কোম্পানিগুলো সিনিয়র মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারদের এড়িয়ে যাচ্ছে, কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে ‘তৃতীয় বিশ্বের তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের এক অন্তহীন ভান্ডার’।
মিশেল আরও বলেন, ‘আমার মতো যাদের পরিবার আছে, যাদের কিছুটা বেশি বেতন দিতে হয়, তাদের হয়তো দু-একবার বেতন বেড়েছে। আমার স্বাস্থ্যবিমার খরচও একটু বেশি। আমাদের খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় আর আমাকে দিয়েই আমার বিকল্পজনকে প্রশিক্ষণ করানো যায়।’
মিশেল বলেন, ‘একজন এইচ-১বি ডেভেলপার, যিনি ৯০ হাজার ডলার আয় করেন, তাঁকে আনা মানে ঘণ্টায় ৯ ডলার করে আয় করা ১০জন আনডকুমেন্টেড শ্রমিককে আমদানি করার সমান।’
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৬৬ শতাংশ কর্মী বিদেশি। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভারতীয় এবং ১৮ শতাংশ চীনা। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিশেল এ মন্তব্য করেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মিশেলের ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ মন্তব্য। তিনি ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন।
এক্সে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আপনি যদি বলতেন, বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে “ডি-জিউ” করতে চান, তবে আপনার কোনো ক্যারিয়ারই থাকত না। কিন্তু মার্কিন রক্ষণশীল মহলে একটি “মডেল মাইনরিটি”র বিরুদ্ধে সরাসরি বর্ণবাদী হওয়া যেন স্বাভাবিক।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘খেয়াল করুন, এই মানুষটি এইচ–১বি থেকে সরাসরি “ইন্ডিয়ানস”-এ চলে গেছেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়–আমেরিকানদেরও তিনি বঞ্চিত করতে চান।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাবুন তো, অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কেউ এমন কথা বললে কী হতো। তাই হয়তো আপনার চাকরির সুযোগ এত সীমিত।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
৩ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ‘সুনুং’-এর ইংরেজি অংশ নিয়ে এবার ব্যাপক সমালোচনার জেরে পরীক্ষার প্রধান কর্মকর্তা ওহ সুং-গিওল পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবছর কঠিন প্রশ্নের জন্য পরিচিত এই পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এবার এমন মাত্রায় জটিল হয়ে ওঠে যে অনেক শিক্ষার্থী একে ‘প্রাচীন লিপি উদ্ধার করার মতো’
১৯ মিনিট আগে
জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস বলছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিতেও এইচআইভি সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেলটা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো সেই রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, মাদুরো বেলারুশে সব সময় স্বাগত এবং এখন তাঁর সফরের উপযুক্ত সময়।
৪ ঘণ্টা আগে