Ajker Patrika

কালিয়াকৈরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, হামলায় বনকর্মী আহত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা
চন্দ্রা রেঞ্জের আওতাধীন সিনাবহ ও বাগাম্বর এলাকায় বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চন্দ্রা রেঞ্জের আওতাধীন সিনাবহ ও বাগাম্বর এলাকায় বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বন বিভাগের জমি উদ্ধার করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আজ রোববার দিনব্যাপী চলা এ অভিযানে সিনাবহ ও বাগাম্বর এলাকায় শতাধিক কাঁচা-পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঈদের আগের দিন এমন অভিযান চালানোয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের বাধার মুখে পড়েন বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা বন বিভাগের কর্মী মিনহাজের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঢাকা বন বিভাগ ও কালিয়াকৈর উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন, সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) সামসুল আলম আরিফিন, সহকারী বন সংরক্ষক ও রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহিদুল হাসান শাকিলসহ স্থানীয় প্রশাসন ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।

বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, চন্দ্রা রেঞ্জের আওতাধীন সিনাবহ ও বাগাম্বর এলাকায় কয়েক বছর ধরে অনেকে বাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় এ দখলবাজি চলছিল। অবৈধ দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দিয়ে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু এতে তারা কর্ণপাত না করায় আজ বেলা ১১টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান শুরুর দিকে লোকজন বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বনকর্মীরা কয়েকজনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা কালাম বলেন, ‘অনেক বছর ধরে আমরা এখানে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছি। আজকে ঈদের আগের দিন হঠাৎ করে বন বিভাগের লোকজন নির্মমভাবে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। আমরা এখন যাব কোথায়?’

চন্দ্রা রেঞ্জের আওতাধীন সিনাবহ ও বাগাম্বর এলাকায় বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চন্দ্রা রেঞ্জের আওতাধীন সিনাবহ ও বাগাম্বর এলাকায় বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘আমরা বন বিভাগের লোকদের সঙ্গে আলোচনা করেই ঘর তৈরি করেছিলাম। আজকে হঠাৎ আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে ঈদের আনন্দ কেড়ে নিল।’

এ বিষয়ে এসিএফ সামসুল জানান, সিনাবহ ও বাগাম্বর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগের জমি দখল করে বসবাস ও ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছিল। বারবার সতর্ক করা হলেও দখলদারেরা স্থান ত্যাগ করেননি। ফলে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে শতাধিক দোকান, বসতবাড়ি ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এসিএফ সামসুল বলেন, ‘অবৈধ দখলদারদের সরাতে গেলে কিছু লোক বাধা দেয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান সম্পন্ন করি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে বন বিভাগের জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই জমি পুনরায় দখল না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে পুনরায় দখল রোধ করতে সীমানা নির্ধারণসহ নজরদারি বাড়ানো হবে। পাশাপাশি দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন বিভাগের জমি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। জনস্বার্থে সরকারি জমি দখলমুক্ত রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় টানা ৫ দিন পর দেখা মিলল সূর্যের

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা পাঁচ দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে গাইবান্ধায় সূর্যের আলো দেখা গেছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রোদের উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষ বিশেষত কৃষক ও শ্রমজীবীরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।

গত পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়ে গাইবান্ধার জনজীবন। বিশেষ করে, সকালে কাজে বেরিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় কষ্টে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় খেটে খাওয়া এসব মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে। এ ছাড়া ঠান্ডা ও কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন কৃষকেরা। গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকারপাড়া এলাকার কৃষক সাদেক মিয়া বলেন, ‘টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় অনেকটা চিন্তায় ছিলাম। বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছি।’ বোয়ালী ইউনিয়নের কৃষক হাকিম আলী বলেন, ‘সূর্য না ওঠায় গরু-ছাগলসহ ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তায় পড়ে ছিলাম। আবহাওয়া আজ ভালো হওয়ার কারণে খুশি লাগছে।’ আরেক কৃষক কেরামত বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।

গাইবান্ধা শহরের রিকশাচালক হুমায়ন বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন একটা বের হয়নি। আজ সূর্য ওঠায় রাস্তাঘাটে লোকজন বের হয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। তবে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বাড়লেও রাতের বেলায় তা কমবে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরোর বীজতলা নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে।’ আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এবং মহাখালী এলাকায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

সাতরাস্তায় ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং মেয়ে তানজিলার (১২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ছেলে নুর ইসলাম (১৪)। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ ভোর ৫টার দিকে চারজনকে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে বাবা-মেয়ে ও অজ্ঞাত যুবককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত নুর ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

মৃত রফিকুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রাকিব বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জটিয়াবো গ্রামে। বর্তমানে তাঁরা মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় থাকতেন। আহত নুর ইসলাম ও নিহত তানজিলা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। তাঁদের বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম ওই এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

আব্দুর রাকিব আরও জানান, রাতে তাঁর চাচা রফিকুল ইসলাম দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। মগবাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। জানতে পারি, সাতরাস্তা এলাকায় আসলে একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। রিকশা থেকে ছিটকে পরে তিনজন আহত হয়। পরে পথচারীরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ জানান, বুধবার ভোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় বাবা-মেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবক মারা গেছে।

এসআই আরও জানান, সাতরাস্তা এলাকায় বাবা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন। তখন একটি ট্রাক রিকশাটিকে চাপা দেয়। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাবা ও মেয়ে মারা যায়। আহত ছেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। ট্রাকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এসআই আব্দুল হামিদ আরও জানান, মহাখালী এলাকায় মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। যানবাহন শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, চালক নিহত

বগুড়া প্রতিনিধি
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় আরেকটি ট্রাক।
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় আরেকটি ট্রাক।

বগুড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়ে আরেক ট্রাকের চালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে বগুড়া শহরতলির তেলিপুকুর এলাকায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ট্রাকচালকের নাম সেলিম হোসেন (৪০)। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং চালক সেলিম গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জের সেই মাদ্রাসার পাশে ফের বিস্ফোরণ, আহত ১

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার পাশের জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসাটিতে আগেরবার ঘটা বিস্ফোরণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পাশের বাড়িটি পরিষ্কার করতে গেলে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এতে রাজু (৩০) নামের এক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পাশের বাড়িটি পরিষ্কার করতে গেলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় আহত শ্রমিককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে এ বিস্ফোরণ হয়।   

উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসাটির একতলা ভবনের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনের দুটি কক্ষ ভেঙে যায়, ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পাশের একটি বিল্ডিং, গ্যারেজের ও ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিন, তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম ও তাঁদের দুই ছেলে এবং পাশের একটি সিএনজি গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫) আহত হন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিন পলাতক রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত