নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবার থেকে বার বার ফিরে আসার কথা বলা হয়েছিল কাকলীকে। কিন্তু স্বামীর ভিটা ছেঁড়ে আসতে নারাজ ছিলেন তিনি। নিজের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাস করতেন যেই ঘর থেকে আজ রোববার সকালে ছেলেসহ তাঁর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দী পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতেরা হলেন— রাজিয়া সুলতানা কাকলী (৪৩) ও তাঁর ছেলে তালহা (৮)।
স্থানীয়রা বলছে, কয়েক বছর আগে কাকলীর স্বামী মারা যান। এরপর থেকে শুধু মা এবং তাঁর ছেলে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে কাকলীর ঘরের দরজা খোলা থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা। কৌতুহলী হয়ে ঘরে ঢুকতেই মা ছেলের মরদেহ পরে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে নিজের মেয়েকে হত্যার খবরে ছুটে এসে আর্তনাদ করছিলেন কাকলীর মা তাসলিমা খন্দকার। নাতি আর মেয়ের শোকে পাগলের মত আচরণ করছেন দিনভর। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার নাতি (তালহা) সারাদিন আমারে নানী, নানী কইয়া ডাকতো। এহন আমারে কেডায় নানী কইয়া ডাকবো? আমার মাইয়াডারে পাষানেরা বাঁচতে দিলো না। জামাই মরনের পর কইসি আমার কাছে আইয়া পরতে। মাইয়ায় জামাইর ভিটা ছাড়ে নাই। এখন তো আর কেউই থাকবো না।’
নিহতের ছোট বোন ফারহানা সুলতানা বলেন, ‘কাকলী অনেক পর্দাশীল ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে এলাকার সবাই অবগত। কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। তার বাড়িতে প্রায়ই অন্যান্য বোনেরা আসা যাওয়া করতো। কিন্তু কিভাবে এত বড় ঘটনা ঘটে গেলো তা কেউই আন্দাজ করতে পারছেন না।’
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মা ও ছেলের মরদেহ একই বিছানায় পড়ে ছিল। আমরা ধারণা করছি, শনিবার রাতে অথবা রোববার মধ্যরাতের কোনো একটা সময় তাদের গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে।’
ওসি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। জড়িত আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। ঘটনার রহস্য উন্মোচনে আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলো সম্ভাব্য সবগুলো বিষয় সামনে রেখে কাজ চালাচ্ছে।’

স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবার থেকে বার বার ফিরে আসার কথা বলা হয়েছিল কাকলীকে। কিন্তু স্বামীর ভিটা ছেঁড়ে আসতে নারাজ ছিলেন তিনি। নিজের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাস করতেন যেই ঘর থেকে আজ রোববার সকালে ছেলেসহ তাঁর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দী পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতেরা হলেন— রাজিয়া সুলতানা কাকলী (৪৩) ও তাঁর ছেলে তালহা (৮)।
স্থানীয়রা বলছে, কয়েক বছর আগে কাকলীর স্বামী মারা যান। এরপর থেকে শুধু মা এবং তাঁর ছেলে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে কাকলীর ঘরের দরজা খোলা থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা। কৌতুহলী হয়ে ঘরে ঢুকতেই মা ছেলের মরদেহ পরে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে নিজের মেয়েকে হত্যার খবরে ছুটে এসে আর্তনাদ করছিলেন কাকলীর মা তাসলিমা খন্দকার। নাতি আর মেয়ের শোকে পাগলের মত আচরণ করছেন দিনভর। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার নাতি (তালহা) সারাদিন আমারে নানী, নানী কইয়া ডাকতো। এহন আমারে কেডায় নানী কইয়া ডাকবো? আমার মাইয়াডারে পাষানেরা বাঁচতে দিলো না। জামাই মরনের পর কইসি আমার কাছে আইয়া পরতে। মাইয়ায় জামাইর ভিটা ছাড়ে নাই। এখন তো আর কেউই থাকবো না।’
নিহতের ছোট বোন ফারহানা সুলতানা বলেন, ‘কাকলী অনেক পর্দাশীল ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে এলাকার সবাই অবগত। কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। তার বাড়িতে প্রায়ই অন্যান্য বোনেরা আসা যাওয়া করতো। কিন্তু কিভাবে এত বড় ঘটনা ঘটে গেলো তা কেউই আন্দাজ করতে পারছেন না।’
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মা ও ছেলের মরদেহ একই বিছানায় পড়ে ছিল। আমরা ধারণা করছি, শনিবার রাতে অথবা রোববার মধ্যরাতের কোনো একটা সময় তাদের গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে।’
ওসি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। জড়িত আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। ঘটনার রহস্য উন্মোচনে আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলো সম্ভাব্য সবগুলো বিষয় সামনে রেখে কাজ চালাচ্ছে।’

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় গত শুক্রবার সকালে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। মাদ্রাসাটি শেখ আল আমিন নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করতেন। যিনি এর আগে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন থানায়
৪ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৭ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৯ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৮ দিন আগে