Ajker Patrika

বর্তমান ক্রিকেটারদের আগ্রাসনের অভাব দেখছেন শোয়েব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০১
বর্তমান ক্রিকেটাররা তাঁর প্রজন্মের মতো আগ্রাসী নন বলে জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। ছবি: এএফপি
বর্তমান ক্রিকেটাররা তাঁর প্রজন্মের মতো আগ্রাসী নন বলে জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। ছবি: এএফপি

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।

পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। কখনো ব্যাটারদের হেলমেটে, কখনোবা তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে হাঁটু-কব্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেতেন ব্যাটাররা। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। তরুণ প্রজন্মের অনেক পেসারই আদর্শ মনে করেন পাকিস্তানি এই গতিতারকাকে। কিন্তু তাঁর সময়ের যে পেসারদের আগ্রাসন, সেটা এখন খুব একটা দেখা যায় না বলে আজ শেরাটনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চাই না। তাঁদের জন্ম এই টি-টোয়েন্টি যুগে। অনেক ভ্রমণ করতে হয়।’

ব্যাঙের ছাতার মতো টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের অনেকবার টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এমনকি চোটে পড়ে অনেক সময় ম্যাচও মিস করেন তাঁরা। এ কারণে বর্তমানের ক্রিকেটাররা অতটা আগ্রাহী হয়ে উঠতে পারেন না। ঢাকার শেরাটনে আজ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি গতিতারকা বলেন, ‘ম্যাচ খেলে পরদিন সকালে আবার খেলতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বোলিং করতে দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার সময় নেই। তবে ছয় মাস বিশ্রাম নিতে পারলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারত। যে মাত্রায় আগ্রাসন দেখতে চাই, সেটা এখন দেখতে পাই না।’

ঢাকা ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবে ২০২৬ বিপিএলে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ঢাকার শেরাটন হোটেলে আজ যখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন, তাঁর পাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। ক্যারিয়ার, পছন্দের ক্রিকেটার, বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য—এসব ব্যাপার নিয়েই শেরাটনে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বেশি। শোয়েব আখতারও যে এই সংবাদ সম্মেলন উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা গেছে। মজার ছলে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমার প্রিয় তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা হলো ব্রায়ান লারার ঘাড়ে আঘাত করা। তিন নাম্বারটা হলো গ্যারি কারস্টেনের বুকে আঘাত করা। আরে না না। মজা করেছি আমি। আমার সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে— ২০০২ সালে শচীন ও কলম্বোতে গিলক্রিস্টকে ইয়র্কারে আউট করা। তিন-চার নম্বরটা হলো টেস্টে দ্রুত গতির ডেলিভারিতে জ্যাক ক্যালিসের উইকেট নেওয়া।’

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে চাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন, সেটা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে পেসাররা আগ্রাসী হতে গেলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সিরাজরা আইসিসির থেকে তিরস্কারের পাশাপাশি জরিমানাও গুনেছেন। এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ১২তম বিপিএল। সিলেটে হবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরেবাংলায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ