মন্টি বৈষ্ণব

তাহমিনা আহমেদের ‘মিনার ক্ষেতখামার’ নাম শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়। ‘মিনার ক্ষেতখামার’ একটি উদ্যোগের নাম, যার স্বত্বাধিকারী তাহমিনা।
করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। ‘মিনার ক্ষেতখামার’ কাজ করছে বিভিন্ন অরগানিক খাদ্যপণ্য নিয়ে। এটি নিরাপদ খাদ্য বিপণনের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
কৃষি তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠার অনুষঙ্গ হলেও এই উদ্যোগ গ্রহণের আগে তিনি কখনো এমন কিছু নিয়ে কাজ করার কথা ভাবেনওনি। তবে, একজন সচেতন মানুষ হিসেবে সব সময়ই ভেজাল ও বিষক্রিয়া এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ে সজাগ থাকার চেষ্টা করেছেন। কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা তাহমিনার এই সচেতনতা শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে গেছে এই উদ্যোগের দিকে।
তাহমিনার জন্ম টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীতে। বেড়ে উঠেছেন কৃষিনির্ভর একটি যৌথ পরিবারে। যেখানে প্রতিদিন ৫০-৬০ জনের রান্না হতো এক হাঁড়িতে। এসএসসি পাস করেছেন ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন থেকে। কলেজ—ঢাকার বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ। এর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিলেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পেয়েছিলেন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। এসএসসি পরীক্ষায় তাঁর ফলাফল ছিল নিজ উপজেলায় বেশ আলোচিত।
পেশাজীবনে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন। কিন্তু এই করোনাকাল মিনার জীবনকে বলা যায় একেবারে পাল্টে দিয়েছে। একমাত্র সন্তানের জন্য তাঁর প্রতিনিয়ত চিন্তা তাঁকে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে ফেলেছিল। তাই করোনাকালেই শুরু করেন ক্ষেতখামার নামে একটি নিরাপদ খাদ্যের অনলাইন বিপণন কার্যক্রম। পরে এর নাম দেওয়া হয় ‘মিনার ক্ষেতখামার।
তাহমিনা আহমেদের কাছ থেকেই শোনা যাক ‘মিনার ক্ষেতখামার’ শুরুর গল্পটা—‘পড়াশোনা শেষে আমি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে ৫ বছর চাকরি করেছি। গর্ভকালীন জটিলতার কারণে চাকরিটা ছেড়ে দিই। এরই মধ্যে সংসার ও সন্তানের দেখভাল করে কেটে যায় লম্বা সময়। চাকরির সুযোগ ছিল। কিন্তু মন থেকে চাকরির প্রতি অতটা আগ্রহ বোধ করিনি। তাই প্রথমে উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৭ সালে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করি। নানা কারণে সেটা বেশি দূর এগোয়নি। এর পর ভাবছিলাম কী করা যায়। কিছু একটা করার তাড়না সব সময় অনুভব করতাম। তার পর এই করোনাকালে নানা সংকটের কারণে একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার। খাবারে ভেজাল জিনিসটা মন থেকে কখনোই মানতে পারিনি। ভেজালমুক্ত খাবার মানুষের কাছে পৌঁছানো সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।’
তাহমিনা ব্যবসা শুরুর প্রথম থেকেই ভেবেছেন, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদকদের সঙ্গে ভোক্তাদের সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করবেন। আর তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেজালমুক্ত খাদ্য সংগ্রহ করে তা মানুষের কাছে পৌঁছানোই ছিল মিনার ক্ষেতখামারের মূল লক্ষ্য।
শুরুতে তাহমিনা ব্যবসা শুরু করেন খাঁটি ঘি আর মধু নিয়ে। এর পর যুক্ত হয় রোদে শুকানো দেশি মাছের শুঁটকি, গুঁড়া মসলা, দেশি মুরগি, প্রক্রিয়াজাত দেশি হাঁস, ঘানি ভাঙা সরিষার তেল, টাঙ্গাইলে উৎপাদিত তিন ধরনের চাল (লাল গাঞ্জিয়া, চিকন পাইজাম, সুগন্ধি ক্ষিরষাপদ), দেশি গরুর দুধ, ডালের বড়ি, কিশোরগঞ্জের চ্যাপা শুঁটকি, কালিগঞ্জ-ঝিনাইদহের খেজুর গুড়, রাজশাহীর আম, আতপ চালের গুঁড়া। এ তালিকায় প্রতিনিয়তই তিনি যুক্ত করছেন নতুন নতুন পণ্য।
অর্থনীতির শিক্ষার্থী হিসেবে তাহমিনা স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার। সে স্বপ্নের পথে তিনি অনেকটাই এগিয়েছেন। প্রথম পদক্ষেপটি নেওয়া হয়ে গেছে। এখন তাঁর ইচ্ছা—মিনার ক্ষেতখামারকে অনেক মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার। তিনি বিশ্বাস করেন—সকলে মিলেই ভালো থাকতে হয়। তাঁর এই ছোট উদ্যোগের সঙ্গে এরই মধ্যে অনেক মানুষ যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের আয়ের কিছু পথ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আরও অসংখ্য মানুষকে তিনি তাঁর স্বপ্নযাত্রার সঙ্গী করতে চান।
তাহমিনা কৃষক পরিবারের সন্তান। এই বৃহৎ পরিবারের কেউ কেউ এখনো কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। মিনার বাবা এখনো আংশিকভাবে কৃষিনির্ভর। চাচাতো ভাইয়েরা কৃষিকাজ ও নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। মিনার ক্ষেতখামারের পণ্যাদির একটা বড় অংশও আসে সেখান থেকে।
গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে এ ধরনের কাজ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমি যেহেতু খুব স্বাধীনচেতা ছিলাম, তাই বরাবরই ভাবতাম নিজে কিছু করব। আর একজন নারী হিসেবে নিজে স্বাধীনভাবে কিছু একটা করার মধ্যে একটা বড় আনন্দ লুকিয়ে আছে। আমার এই কাজ শুরুর পর থেকে অনেকভাবে মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি এখন পর্যন্ত হইনি। তবে প্রতিটি কাজই খুব চ্যালেঞ্জের। আমি “পাছে লোকে কিছু বলবে” জেনেই কাজ শুরু করেছি। কৃষির সঙ্গে যুক্ত কাজে শিক্ষিত নারীদের অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমার কাছে মনে হয় মানুষের আস্থা অর্জনের জায়গাটা। সেই লক্ষ্যে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
মিনা ভবিষ্যতে তাঁর প্রতিষ্ঠানকে আরও বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রামীণ নারী ও পরিবারকে হাঁস-মুরগি, গরু পালনে সম্পৃক্ত করেছেন। ভবিষ্যতে আরও প্রান্তিক পর্যায়ে নারীদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানালেন, যাতে তাঁরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। তাহমিনা বিশ্বাস করেন এ দেশের নারীরা নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
কৃষির প্রতি তাহমিনার এই যে আগ্রহ, তার মূলে রয়েছেন আরেক নারী। তিনি তাঁর মা। বললেন, ‘আমার বাবা স্থানীয় একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন; আর মা গৃহিণী। কিন্তু মায়ের কথা আলাদা করে বলতে হয়। আমাদের মা একজন সফল কৃষক। কারণ, আমার মায়ের হাতেই প্রতি বছর ফলে অসংখ্য শাক, সবজি ও ফল। আমরা চার ভাইবোন। বড় বোন চিকিৎসক। ছোট এক ভাই ঢাকায় পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, যার সহযোগিতা বরাবরই আমার কাজকে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আরেক ভাই ওমানের একটি স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত।’
বিয়ে করেছেন। আছে একটি ছেলে সন্তানও। স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত; কবিতাও লেখেন। উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে বরাবরই পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানালেন। বললেন, ‘প্রথম সহযোগিতা পরিবার থেকে পেয়েছি। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজন সবার কাছ থেকেই সহযোগিতা, পরামর্শ, অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এখনো পাচ্ছি। এ ছাড়া আমার সকল গ্রাহক, তাঁরাও আমার আরেকটি পরিবার। সবার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। শুরুতে আমি নিজেও ভাবিনি এতটা সাড়া পাব।’
যারা উদ্যোক্তা হতে চান, তাঁদের প্রতি তাহমিনার একটাই কথা—শুরুটা করতে হবে। সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে সাফল্য আসবে বলেই আমার বিশ্বাস। বললেন, ‘জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আত্মবিশ্বাস শব্দটা জীবন থেকে মুছেই গিয়েছিল প্রায়। কতটুকু কী করতে পেরেছি বা পারছি, তা জানি না। শুধু এটুকু জানি, আমি নিজেকে ফিরে পেয়েছি। এখন মনে হয় আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে।’
তাহমিনার এই প্রত্যয় মনে করিয়ে দেয়, এ দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের বঞ্চনার কথা। আর এ সঙ্গে সঙ্গে মাথায় আসে একজন নারীর জন্য এই প্রেক্ষাপটে টিকে থাকতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কতটা জরুরি। তাহমিনা সেই জরুরি কাজটি করেছেন। যত সময় যাচ্ছে তাঁর পাশে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে সম্ভাবনাও। তিনি শুধু নিজে নন, পথ দেখাচ্ছেন আরও অনেক নারীকে। তাহমিনারা ছড়িয়ে যাক সারা দেশে, সবখানে।

তাহমিনা আহমেদের ‘মিনার ক্ষেতখামার’ নাম শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়। ‘মিনার ক্ষেতখামার’ একটি উদ্যোগের নাম, যার স্বত্বাধিকারী তাহমিনা।
করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। ‘মিনার ক্ষেতখামার’ কাজ করছে বিভিন্ন অরগানিক খাদ্যপণ্য নিয়ে। এটি নিরাপদ খাদ্য বিপণনের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
কৃষি তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠার অনুষঙ্গ হলেও এই উদ্যোগ গ্রহণের আগে তিনি কখনো এমন কিছু নিয়ে কাজ করার কথা ভাবেনওনি। তবে, একজন সচেতন মানুষ হিসেবে সব সময়ই ভেজাল ও বিষক্রিয়া এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ে সজাগ থাকার চেষ্টা করেছেন। কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা তাহমিনার এই সচেতনতা শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে গেছে এই উদ্যোগের দিকে।
তাহমিনার জন্ম টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীতে। বেড়ে উঠেছেন কৃষিনির্ভর একটি যৌথ পরিবারে। যেখানে প্রতিদিন ৫০-৬০ জনের রান্না হতো এক হাঁড়িতে। এসএসসি পাস করেছেন ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন থেকে। কলেজ—ঢাকার বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ। এর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিলেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পেয়েছিলেন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। এসএসসি পরীক্ষায় তাঁর ফলাফল ছিল নিজ উপজেলায় বেশ আলোচিত।
পেশাজীবনে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন। কিন্তু এই করোনাকাল মিনার জীবনকে বলা যায় একেবারে পাল্টে দিয়েছে। একমাত্র সন্তানের জন্য তাঁর প্রতিনিয়ত চিন্তা তাঁকে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে ফেলেছিল। তাই করোনাকালেই শুরু করেন ক্ষেতখামার নামে একটি নিরাপদ খাদ্যের অনলাইন বিপণন কার্যক্রম। পরে এর নাম দেওয়া হয় ‘মিনার ক্ষেতখামার।
তাহমিনা আহমেদের কাছ থেকেই শোনা যাক ‘মিনার ক্ষেতখামার’ শুরুর গল্পটা—‘পড়াশোনা শেষে আমি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে ৫ বছর চাকরি করেছি। গর্ভকালীন জটিলতার কারণে চাকরিটা ছেড়ে দিই। এরই মধ্যে সংসার ও সন্তানের দেখভাল করে কেটে যায় লম্বা সময়। চাকরির সুযোগ ছিল। কিন্তু মন থেকে চাকরির প্রতি অতটা আগ্রহ বোধ করিনি। তাই প্রথমে উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৭ সালে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করি। নানা কারণে সেটা বেশি দূর এগোয়নি। এর পর ভাবছিলাম কী করা যায়। কিছু একটা করার তাড়না সব সময় অনুভব করতাম। তার পর এই করোনাকালে নানা সংকটের কারণে একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার। খাবারে ভেজাল জিনিসটা মন থেকে কখনোই মানতে পারিনি। ভেজালমুক্ত খাবার মানুষের কাছে পৌঁছানো সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।’
তাহমিনা ব্যবসা শুরুর প্রথম থেকেই ভেবেছেন, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদকদের সঙ্গে ভোক্তাদের সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করবেন। আর তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেজালমুক্ত খাদ্য সংগ্রহ করে তা মানুষের কাছে পৌঁছানোই ছিল মিনার ক্ষেতখামারের মূল লক্ষ্য।
শুরুতে তাহমিনা ব্যবসা শুরু করেন খাঁটি ঘি আর মধু নিয়ে। এর পর যুক্ত হয় রোদে শুকানো দেশি মাছের শুঁটকি, গুঁড়া মসলা, দেশি মুরগি, প্রক্রিয়াজাত দেশি হাঁস, ঘানি ভাঙা সরিষার তেল, টাঙ্গাইলে উৎপাদিত তিন ধরনের চাল (লাল গাঞ্জিয়া, চিকন পাইজাম, সুগন্ধি ক্ষিরষাপদ), দেশি গরুর দুধ, ডালের বড়ি, কিশোরগঞ্জের চ্যাপা শুঁটকি, কালিগঞ্জ-ঝিনাইদহের খেজুর গুড়, রাজশাহীর আম, আতপ চালের গুঁড়া। এ তালিকায় প্রতিনিয়তই তিনি যুক্ত করছেন নতুন নতুন পণ্য।
অর্থনীতির শিক্ষার্থী হিসেবে তাহমিনা স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার। সে স্বপ্নের পথে তিনি অনেকটাই এগিয়েছেন। প্রথম পদক্ষেপটি নেওয়া হয়ে গেছে। এখন তাঁর ইচ্ছা—মিনার ক্ষেতখামারকে অনেক মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার। তিনি বিশ্বাস করেন—সকলে মিলেই ভালো থাকতে হয়। তাঁর এই ছোট উদ্যোগের সঙ্গে এরই মধ্যে অনেক মানুষ যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের আয়ের কিছু পথ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আরও অসংখ্য মানুষকে তিনি তাঁর স্বপ্নযাত্রার সঙ্গী করতে চান।
তাহমিনা কৃষক পরিবারের সন্তান। এই বৃহৎ পরিবারের কেউ কেউ এখনো কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। মিনার বাবা এখনো আংশিকভাবে কৃষিনির্ভর। চাচাতো ভাইয়েরা কৃষিকাজ ও নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। মিনার ক্ষেতখামারের পণ্যাদির একটা বড় অংশও আসে সেখান থেকে।
গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে এ ধরনের কাজ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমি যেহেতু খুব স্বাধীনচেতা ছিলাম, তাই বরাবরই ভাবতাম নিজে কিছু করব। আর একজন নারী হিসেবে নিজে স্বাধীনভাবে কিছু একটা করার মধ্যে একটা বড় আনন্দ লুকিয়ে আছে। আমার এই কাজ শুরুর পর থেকে অনেকভাবে মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি এখন পর্যন্ত হইনি। তবে প্রতিটি কাজই খুব চ্যালেঞ্জের। আমি “পাছে লোকে কিছু বলবে” জেনেই কাজ শুরু করেছি। কৃষির সঙ্গে যুক্ত কাজে শিক্ষিত নারীদের অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমার কাছে মনে হয় মানুষের আস্থা অর্জনের জায়গাটা। সেই লক্ষ্যে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
মিনা ভবিষ্যতে তাঁর প্রতিষ্ঠানকে আরও বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রামীণ নারী ও পরিবারকে হাঁস-মুরগি, গরু পালনে সম্পৃক্ত করেছেন। ভবিষ্যতে আরও প্রান্তিক পর্যায়ে নারীদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানালেন, যাতে তাঁরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। তাহমিনা বিশ্বাস করেন এ দেশের নারীরা নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
কৃষির প্রতি তাহমিনার এই যে আগ্রহ, তার মূলে রয়েছেন আরেক নারী। তিনি তাঁর মা। বললেন, ‘আমার বাবা স্থানীয় একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন; আর মা গৃহিণী। কিন্তু মায়ের কথা আলাদা করে বলতে হয়। আমাদের মা একজন সফল কৃষক। কারণ, আমার মায়ের হাতেই প্রতি বছর ফলে অসংখ্য শাক, সবজি ও ফল। আমরা চার ভাইবোন। বড় বোন চিকিৎসক। ছোট এক ভাই ঢাকায় পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, যার সহযোগিতা বরাবরই আমার কাজকে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আরেক ভাই ওমানের একটি স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত।’
বিয়ে করেছেন। আছে একটি ছেলে সন্তানও। স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত; কবিতাও লেখেন। উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে বরাবরই পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানালেন। বললেন, ‘প্রথম সহযোগিতা পরিবার থেকে পেয়েছি। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজন সবার কাছ থেকেই সহযোগিতা, পরামর্শ, অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এখনো পাচ্ছি। এ ছাড়া আমার সকল গ্রাহক, তাঁরাও আমার আরেকটি পরিবার। সবার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। শুরুতে আমি নিজেও ভাবিনি এতটা সাড়া পাব।’
যারা উদ্যোক্তা হতে চান, তাঁদের প্রতি তাহমিনার একটাই কথা—শুরুটা করতে হবে। সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে সাফল্য আসবে বলেই আমার বিশ্বাস। বললেন, ‘জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আত্মবিশ্বাস শব্দটা জীবন থেকে মুছেই গিয়েছিল প্রায়। কতটুকু কী করতে পেরেছি বা পারছি, তা জানি না। শুধু এটুকু জানি, আমি নিজেকে ফিরে পেয়েছি। এখন মনে হয় আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে।’
তাহমিনার এই প্রত্যয় মনে করিয়ে দেয়, এ দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের বঞ্চনার কথা। আর এ সঙ্গে সঙ্গে মাথায় আসে একজন নারীর জন্য এই প্রেক্ষাপটে টিকে থাকতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কতটা জরুরি। তাহমিনা সেই জরুরি কাজটি করেছেন। যত সময় যাচ্ছে তাঁর পাশে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে সম্ভাবনাও। তিনি শুধু নিজে নন, পথ দেখাচ্ছেন আরও অনেক নারীকে। তাহমিনারা ছড়িয়ে যাক সারা দেশে, সবখানে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। জন্ম দিয়েছেন মিনার ক্ষেতখামারের। নামটি শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। জন্ম দিয়েছেন মিনার ক্ষেতখামারের। নামটি শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১১ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। জন্ম দিয়েছেন মিনার ক্ষেতখামারের। নামটি শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। জন্ম দিয়েছেন মিনার ক্ষেতখামারের। নামটি শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে