মন্টি বৈষ্ণব

তাহমিনা আহমেদের ‘মিনার ক্ষেতখামার’ নাম শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়। ‘মিনার ক্ষেতখামার’ একটি উদ্যোগের নাম, যার স্বত্বাধিকারী তাহমিনা।
করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। ‘মিনার ক্ষেতখামার’ কাজ করছে বিভিন্ন অরগানিক খাদ্যপণ্য নিয়ে। এটি নিরাপদ খাদ্য বিপণনের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
কৃষি তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠার অনুষঙ্গ হলেও এই উদ্যোগ গ্রহণের আগে তিনি কখনো এমন কিছু নিয়ে কাজ করার কথা ভাবেনওনি। তবে, একজন সচেতন মানুষ হিসেবে সব সময়ই ভেজাল ও বিষক্রিয়া এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ে সজাগ থাকার চেষ্টা করেছেন। কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা তাহমিনার এই সচেতনতা শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে গেছে এই উদ্যোগের দিকে।
তাহমিনার জন্ম টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীতে। বেড়ে উঠেছেন কৃষিনির্ভর একটি যৌথ পরিবারে। যেখানে প্রতিদিন ৫০-৬০ জনের রান্না হতো এক হাঁড়িতে। এসএসসি পাস করেছেন ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন থেকে। কলেজ—ঢাকার বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ। এর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিলেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পেয়েছিলেন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। এসএসসি পরীক্ষায় তাঁর ফলাফল ছিল নিজ উপজেলায় বেশ আলোচিত।
পেশাজীবনে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন। কিন্তু এই করোনাকাল মিনার জীবনকে বলা যায় একেবারে পাল্টে দিয়েছে। একমাত্র সন্তানের জন্য তাঁর প্রতিনিয়ত চিন্তা তাঁকে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে ফেলেছিল। তাই করোনাকালেই শুরু করেন ক্ষেতখামার নামে একটি নিরাপদ খাদ্যের অনলাইন বিপণন কার্যক্রম। পরে এর নাম দেওয়া হয় ‘মিনার ক্ষেতখামার।
তাহমিনা আহমেদের কাছ থেকেই শোনা যাক ‘মিনার ক্ষেতখামার’ শুরুর গল্পটা—‘পড়াশোনা শেষে আমি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে ৫ বছর চাকরি করেছি। গর্ভকালীন জটিলতার কারণে চাকরিটা ছেড়ে দিই। এরই মধ্যে সংসার ও সন্তানের দেখভাল করে কেটে যায় লম্বা সময়। চাকরির সুযোগ ছিল। কিন্তু মন থেকে চাকরির প্রতি অতটা আগ্রহ বোধ করিনি। তাই প্রথমে উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৭ সালে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করি। নানা কারণে সেটা বেশি দূর এগোয়নি। এর পর ভাবছিলাম কী করা যায়। কিছু একটা করার তাড়না সব সময় অনুভব করতাম। তার পর এই করোনাকালে নানা সংকটের কারণে একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার। খাবারে ভেজাল জিনিসটা মন থেকে কখনোই মানতে পারিনি। ভেজালমুক্ত খাবার মানুষের কাছে পৌঁছানো সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।’
তাহমিনা ব্যবসা শুরুর প্রথম থেকেই ভেবেছেন, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদকদের সঙ্গে ভোক্তাদের সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করবেন। আর তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেজালমুক্ত খাদ্য সংগ্রহ করে তা মানুষের কাছে পৌঁছানোই ছিল মিনার ক্ষেতখামারের মূল লক্ষ্য।
শুরুতে তাহমিনা ব্যবসা শুরু করেন খাঁটি ঘি আর মধু নিয়ে। এর পর যুক্ত হয় রোদে শুকানো দেশি মাছের শুঁটকি, গুঁড়া মসলা, দেশি মুরগি, প্রক্রিয়াজাত দেশি হাঁস, ঘানি ভাঙা সরিষার তেল, টাঙ্গাইলে উৎপাদিত তিন ধরনের চাল (লাল গাঞ্জিয়া, চিকন পাইজাম, সুগন্ধি ক্ষিরষাপদ), দেশি গরুর দুধ, ডালের বড়ি, কিশোরগঞ্জের চ্যাপা শুঁটকি, কালিগঞ্জ-ঝিনাইদহের খেজুর গুড়, রাজশাহীর আম, আতপ চালের গুঁড়া। এ তালিকায় প্রতিনিয়তই তিনি যুক্ত করছেন নতুন নতুন পণ্য।
অর্থনীতির শিক্ষার্থী হিসেবে তাহমিনা স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার। সে স্বপ্নের পথে তিনি অনেকটাই এগিয়েছেন। প্রথম পদক্ষেপটি নেওয়া হয়ে গেছে। এখন তাঁর ইচ্ছা—মিনার ক্ষেতখামারকে অনেক মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার। তিনি বিশ্বাস করেন—সকলে মিলেই ভালো থাকতে হয়। তাঁর এই ছোট উদ্যোগের সঙ্গে এরই মধ্যে অনেক মানুষ যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের আয়ের কিছু পথ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আরও অসংখ্য মানুষকে তিনি তাঁর স্বপ্নযাত্রার সঙ্গী করতে চান।
তাহমিনা কৃষক পরিবারের সন্তান। এই বৃহৎ পরিবারের কেউ কেউ এখনো কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। মিনার বাবা এখনো আংশিকভাবে কৃষিনির্ভর। চাচাতো ভাইয়েরা কৃষিকাজ ও নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। মিনার ক্ষেতখামারের পণ্যাদির একটা বড় অংশও আসে সেখান থেকে।
গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে এ ধরনের কাজ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমি যেহেতু খুব স্বাধীনচেতা ছিলাম, তাই বরাবরই ভাবতাম নিজে কিছু করব। আর একজন নারী হিসেবে নিজে স্বাধীনভাবে কিছু একটা করার মধ্যে একটা বড় আনন্দ লুকিয়ে আছে। আমার এই কাজ শুরুর পর থেকে অনেকভাবে মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি এখন পর্যন্ত হইনি। তবে প্রতিটি কাজই খুব চ্যালেঞ্জের। আমি “পাছে লোকে কিছু বলবে” জেনেই কাজ শুরু করেছি। কৃষির সঙ্গে যুক্ত কাজে শিক্ষিত নারীদের অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমার কাছে মনে হয় মানুষের আস্থা অর্জনের জায়গাটা। সেই লক্ষ্যে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
মিনা ভবিষ্যতে তাঁর প্রতিষ্ঠানকে আরও বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রামীণ নারী ও পরিবারকে হাঁস-মুরগি, গরু পালনে সম্পৃক্ত করেছেন। ভবিষ্যতে আরও প্রান্তিক পর্যায়ে নারীদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানালেন, যাতে তাঁরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। তাহমিনা বিশ্বাস করেন এ দেশের নারীরা নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
কৃষির প্রতি তাহমিনার এই যে আগ্রহ, তার মূলে রয়েছেন আরেক নারী। তিনি তাঁর মা। বললেন, ‘আমার বাবা স্থানীয় একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন; আর মা গৃহিণী। কিন্তু মায়ের কথা আলাদা করে বলতে হয়। আমাদের মা একজন সফল কৃষক। কারণ, আমার মায়ের হাতেই প্রতি বছর ফলে অসংখ্য শাক, সবজি ও ফল। আমরা চার ভাইবোন। বড় বোন চিকিৎসক। ছোট এক ভাই ঢাকায় পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, যার সহযোগিতা বরাবরই আমার কাজকে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আরেক ভাই ওমানের একটি স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত।’
বিয়ে করেছেন। আছে একটি ছেলে সন্তানও। স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত; কবিতাও লেখেন। উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে বরাবরই পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানালেন। বললেন, ‘প্রথম সহযোগিতা পরিবার থেকে পেয়েছি। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজন সবার কাছ থেকেই সহযোগিতা, পরামর্শ, অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এখনো পাচ্ছি। এ ছাড়া আমার সকল গ্রাহক, তাঁরাও আমার আরেকটি পরিবার। সবার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। শুরুতে আমি নিজেও ভাবিনি এতটা সাড়া পাব।’
যারা উদ্যোক্তা হতে চান, তাঁদের প্রতি তাহমিনার একটাই কথা—শুরুটা করতে হবে। সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে সাফল্য আসবে বলেই আমার বিশ্বাস। বললেন, ‘জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আত্মবিশ্বাস শব্দটা জীবন থেকে মুছেই গিয়েছিল প্রায়। কতটুকু কী করতে পেরেছি বা পারছি, তা জানি না। শুধু এটুকু জানি, আমি নিজেকে ফিরে পেয়েছি। এখন মনে হয় আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে।’
তাহমিনার এই প্রত্যয় মনে করিয়ে দেয়, এ দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের বঞ্চনার কথা। আর এ সঙ্গে সঙ্গে মাথায় আসে একজন নারীর জন্য এই প্রেক্ষাপটে টিকে থাকতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কতটা জরুরি। তাহমিনা সেই জরুরি কাজটি করেছেন। যত সময় যাচ্ছে তাঁর পাশে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে সম্ভাবনাও। তিনি শুধু নিজে নন, পথ দেখাচ্ছেন আরও অনেক নারীকে। তাহমিনারা ছড়িয়ে যাক সারা দেশে, সবখানে।

তাহমিনা আহমেদের ‘মিনার ক্ষেতখামার’ নাম শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়। ‘মিনার ক্ষেতখামার’ একটি উদ্যোগের নাম, যার স্বত্বাধিকারী তাহমিনা।
করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। ‘মিনার ক্ষেতখামার’ কাজ করছে বিভিন্ন অরগানিক খাদ্যপণ্য নিয়ে। এটি নিরাপদ খাদ্য বিপণনের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
কৃষি তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠার অনুষঙ্গ হলেও এই উদ্যোগ গ্রহণের আগে তিনি কখনো এমন কিছু নিয়ে কাজ করার কথা ভাবেনওনি। তবে, একজন সচেতন মানুষ হিসেবে সব সময়ই ভেজাল ও বিষক্রিয়া এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ে সজাগ থাকার চেষ্টা করেছেন। কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা তাহমিনার এই সচেতনতা শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে গেছে এই উদ্যোগের দিকে।
তাহমিনার জন্ম টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীতে। বেড়ে উঠেছেন কৃষিনির্ভর একটি যৌথ পরিবারে। যেখানে প্রতিদিন ৫০-৬০ জনের রান্না হতো এক হাঁড়িতে। এসএসসি পাস করেছেন ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন থেকে। কলেজ—ঢাকার বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ। এর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিলেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পেয়েছিলেন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। এসএসসি পরীক্ষায় তাঁর ফলাফল ছিল নিজ উপজেলায় বেশ আলোচিত।
পেশাজীবনে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন। কিন্তু এই করোনাকাল মিনার জীবনকে বলা যায় একেবারে পাল্টে দিয়েছে। একমাত্র সন্তানের জন্য তাঁর প্রতিনিয়ত চিন্তা তাঁকে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে ফেলেছিল। তাই করোনাকালেই শুরু করেন ক্ষেতখামার নামে একটি নিরাপদ খাদ্যের অনলাইন বিপণন কার্যক্রম। পরে এর নাম দেওয়া হয় ‘মিনার ক্ষেতখামার।
তাহমিনা আহমেদের কাছ থেকেই শোনা যাক ‘মিনার ক্ষেতখামার’ শুরুর গল্পটা—‘পড়াশোনা শেষে আমি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে ৫ বছর চাকরি করেছি। গর্ভকালীন জটিলতার কারণে চাকরিটা ছেড়ে দিই। এরই মধ্যে সংসার ও সন্তানের দেখভাল করে কেটে যায় লম্বা সময়। চাকরির সুযোগ ছিল। কিন্তু মন থেকে চাকরির প্রতি অতটা আগ্রহ বোধ করিনি। তাই প্রথমে উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৭ সালে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করি। নানা কারণে সেটা বেশি দূর এগোয়নি। এর পর ভাবছিলাম কী করা যায়। কিছু একটা করার তাড়না সব সময় অনুভব করতাম। তার পর এই করোনাকালে নানা সংকটের কারণে একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার। খাবারে ভেজাল জিনিসটা মন থেকে কখনোই মানতে পারিনি। ভেজালমুক্ত খাবার মানুষের কাছে পৌঁছানো সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।’
তাহমিনা ব্যবসা শুরুর প্রথম থেকেই ভেবেছেন, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদকদের সঙ্গে ভোক্তাদের সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করবেন। আর তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেজালমুক্ত খাদ্য সংগ্রহ করে তা মানুষের কাছে পৌঁছানোই ছিল মিনার ক্ষেতখামারের মূল লক্ষ্য।
শুরুতে তাহমিনা ব্যবসা শুরু করেন খাঁটি ঘি আর মধু নিয়ে। এর পর যুক্ত হয় রোদে শুকানো দেশি মাছের শুঁটকি, গুঁড়া মসলা, দেশি মুরগি, প্রক্রিয়াজাত দেশি হাঁস, ঘানি ভাঙা সরিষার তেল, টাঙ্গাইলে উৎপাদিত তিন ধরনের চাল (লাল গাঞ্জিয়া, চিকন পাইজাম, সুগন্ধি ক্ষিরষাপদ), দেশি গরুর দুধ, ডালের বড়ি, কিশোরগঞ্জের চ্যাপা শুঁটকি, কালিগঞ্জ-ঝিনাইদহের খেজুর গুড়, রাজশাহীর আম, আতপ চালের গুঁড়া। এ তালিকায় প্রতিনিয়তই তিনি যুক্ত করছেন নতুন নতুন পণ্য।
অর্থনীতির শিক্ষার্থী হিসেবে তাহমিনা স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার। সে স্বপ্নের পথে তিনি অনেকটাই এগিয়েছেন। প্রথম পদক্ষেপটি নেওয়া হয়ে গেছে। এখন তাঁর ইচ্ছা—মিনার ক্ষেতখামারকে অনেক মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার। তিনি বিশ্বাস করেন—সকলে মিলেই ভালো থাকতে হয়। তাঁর এই ছোট উদ্যোগের সঙ্গে এরই মধ্যে অনেক মানুষ যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের আয়ের কিছু পথ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আরও অসংখ্য মানুষকে তিনি তাঁর স্বপ্নযাত্রার সঙ্গী করতে চান।
তাহমিনা কৃষক পরিবারের সন্তান। এই বৃহৎ পরিবারের কেউ কেউ এখনো কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। মিনার বাবা এখনো আংশিকভাবে কৃষিনির্ভর। চাচাতো ভাইয়েরা কৃষিকাজ ও নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। মিনার ক্ষেতখামারের পণ্যাদির একটা বড় অংশও আসে সেখান থেকে।
গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে এ ধরনের কাজ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমি যেহেতু খুব স্বাধীনচেতা ছিলাম, তাই বরাবরই ভাবতাম নিজে কিছু করব। আর একজন নারী হিসেবে নিজে স্বাধীনভাবে কিছু একটা করার মধ্যে একটা বড় আনন্দ লুকিয়ে আছে। আমার এই কাজ শুরুর পর থেকে অনেকভাবে মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি এখন পর্যন্ত হইনি। তবে প্রতিটি কাজই খুব চ্যালেঞ্জের। আমি “পাছে লোকে কিছু বলবে” জেনেই কাজ শুরু করেছি। কৃষির সঙ্গে যুক্ত কাজে শিক্ষিত নারীদের অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমার কাছে মনে হয় মানুষের আস্থা অর্জনের জায়গাটা। সেই লক্ষ্যে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
মিনা ভবিষ্যতে তাঁর প্রতিষ্ঠানকে আরও বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রামীণ নারী ও পরিবারকে হাঁস-মুরগি, গরু পালনে সম্পৃক্ত করেছেন। ভবিষ্যতে আরও প্রান্তিক পর্যায়ে নারীদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানালেন, যাতে তাঁরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। তাহমিনা বিশ্বাস করেন এ দেশের নারীরা নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
কৃষির প্রতি তাহমিনার এই যে আগ্রহ, তার মূলে রয়েছেন আরেক নারী। তিনি তাঁর মা। বললেন, ‘আমার বাবা স্থানীয় একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন; আর মা গৃহিণী। কিন্তু মায়ের কথা আলাদা করে বলতে হয়। আমাদের মা একজন সফল কৃষক। কারণ, আমার মায়ের হাতেই প্রতি বছর ফলে অসংখ্য শাক, সবজি ও ফল। আমরা চার ভাইবোন। বড় বোন চিকিৎসক। ছোট এক ভাই ঢাকায় পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, যার সহযোগিতা বরাবরই আমার কাজকে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আরেক ভাই ওমানের একটি স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত।’
বিয়ে করেছেন। আছে একটি ছেলে সন্তানও। স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত; কবিতাও লেখেন। উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে বরাবরই পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানালেন। বললেন, ‘প্রথম সহযোগিতা পরিবার থেকে পেয়েছি। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজন সবার কাছ থেকেই সহযোগিতা, পরামর্শ, অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এখনো পাচ্ছি। এ ছাড়া আমার সকল গ্রাহক, তাঁরাও আমার আরেকটি পরিবার। সবার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। শুরুতে আমি নিজেও ভাবিনি এতটা সাড়া পাব।’
যারা উদ্যোক্তা হতে চান, তাঁদের প্রতি তাহমিনার একটাই কথা—শুরুটা করতে হবে। সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে সাফল্য আসবে বলেই আমার বিশ্বাস। বললেন, ‘জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আত্মবিশ্বাস শব্দটা জীবন থেকে মুছেই গিয়েছিল প্রায়। কতটুকু কী করতে পেরেছি বা পারছি, তা জানি না। শুধু এটুকু জানি, আমি নিজেকে ফিরে পেয়েছি। এখন মনে হয় আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে।’
তাহমিনার এই প্রত্যয় মনে করিয়ে দেয়, এ দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের বঞ্চনার কথা। আর এ সঙ্গে সঙ্গে মাথায় আসে একজন নারীর জন্য এই প্রেক্ষাপটে টিকে থাকতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কতটা জরুরি। তাহমিনা সেই জরুরি কাজটি করেছেন। যত সময় যাচ্ছে তাঁর পাশে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে সম্ভাবনাও। তিনি শুধু নিজে নন, পথ দেখাচ্ছেন আরও অনেক নারীকে। তাহমিনারা ছড়িয়ে যাক সারা দেশে, সবখানে।

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগে
র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই অংশীদারত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা পাবেন, যা তাঁদের দেশের প্রিমিয়াম রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আরও সহজলভ্য করবে।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেটস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. বেলায়েত হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের লাইফস্টাইলভিত্তিক মানসম্পন্ন সেবা ও আর্থিক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা গ্রাহকদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই অংশীদারত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা পাবেন, যা তাঁদের দেশের প্রিমিয়াম রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আরও সহজলভ্য করবে।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেটস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. বেলায়েত হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের লাইফস্টাইলভিত্তিক মানসম্পন্ন সেবা ও আর্থিক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা গ্রাহকদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। জন্ম দিয়েছেন মিনার ক্ষেতখামারের। নামটি শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগে
র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
গত ২৫ নভেম্বর বিটিএমএর গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিএমএ।
এতে বলা হয়, বিটিএমএর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. শামীম ইসলাম, ফ্যাব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. আবুল কালাম ও টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসের ক্যাটাগরি থেকে শফিকুল ইসলাম সরকার।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
গত ২৫ নভেম্বর বিটিএমএর গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিএমএ।
এতে বলা হয়, বিটিএমএর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. শামীম ইসলাম, ফ্যাব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. আবুল কালাম ও টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসের ক্যাটাগরি থেকে শফিকুল ইসলাম সরকার।

করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। জন্ম দিয়েছেন মিনার ক্ষেতখামারের। নামটি শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগে
র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
অথচ গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ দর ছিল ১২৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ, মাত্র একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কমপক্ষে ১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ, ব্যাংকের নির্ধারিত দরের (১২২ টাকা ৩০ পয়সা) তুলনায় খোলাবাজারে ডলারের দাম এখন ৩ টাকা ৭০ পয়সা বেশি।
সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খোলাবাজারে নগদ ডলারের সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও মূলত চাহিদার চাপে দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মানি চেঞ্জারগুলো প্রতি ডলার কিনেছিল ১২৩ টাকা ৮০ পয়সায়, বিক্রি করেছে ১২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। কিন্তু গতকাল খোলাবাজারে ঘোষিত দর হিসাবে ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা ২০ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ছিল ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। শনিবার ছুটির দিন থাকায় নতুন দর আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বছর শেষে মানুষ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি বিদেশে যায়। ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। এবার ভারত, ভুটান ও মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। এতে করে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু এসব দেশের বাইরে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে যাচ্ছেন অনেকে। এই দেশগুলোতে ভারতের তুলনায় বেশি ডলার খরচ হয়। অনেকে ব্যাংক থেকে ডলার না পেয়ে খোলাবাজার থেকে কিনছেন। পাশাপাশি একটা গোষ্ঠী নগদ ডলার কিনে হাতে রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে খোলাবাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। মূলত এর ফলে দাম বেড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ টাকা থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গৌতম দে বলেন, ‘ভারতসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। অনেকে বিকল্প হিসেবে অন্য দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন। এতে খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকবাবে ১২৫ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করছি। এর বেশি কেউ নিচ্ছে বলে জানা নেই। আর নতুন ঘোষিত দর রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করা হবে।’

বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
অথচ গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ দর ছিল ১২৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ, মাত্র একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কমপক্ষে ১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ, ব্যাংকের নির্ধারিত দরের (১২২ টাকা ৩০ পয়সা) তুলনায় খোলাবাজারে ডলারের দাম এখন ৩ টাকা ৭০ পয়সা বেশি।
সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খোলাবাজারে নগদ ডলারের সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও মূলত চাহিদার চাপে দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মানি চেঞ্জারগুলো প্রতি ডলার কিনেছিল ১২৩ টাকা ৮০ পয়সায়, বিক্রি করেছে ১২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। কিন্তু গতকাল খোলাবাজারে ঘোষিত দর হিসাবে ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা ২০ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ছিল ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। শনিবার ছুটির দিন থাকায় নতুন দর আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বছর শেষে মানুষ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি বিদেশে যায়। ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। এবার ভারত, ভুটান ও মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। এতে করে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু এসব দেশের বাইরে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে যাচ্ছেন অনেকে। এই দেশগুলোতে ভারতের তুলনায় বেশি ডলার খরচ হয়। অনেকে ব্যাংক থেকে ডলার না পেয়ে খোলাবাজার থেকে কিনছেন। পাশাপাশি একটা গোষ্ঠী নগদ ডলার কিনে হাতে রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে খোলাবাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। মূলত এর ফলে দাম বেড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ টাকা থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গৌতম দে বলেন, ‘ভারতসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। অনেকে বিকল্প হিসেবে অন্য দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন। এতে খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকবাবে ১২৫ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করছি। এর বেশি কেউ নিচ্ছে বলে জানা নেই। আর নতুন ঘোষিত দর রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করা হবে।’

করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। জন্ম দিয়েছেন মিনার ক্ষেতখামারের। নামটি শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের পক্ষে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার জানে আলম এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের পক্ষে ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার ডুকো এভারেন ডি ভ্রিস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এন এম মনজুরুল হক মজুমদার, র্যাংগস গ্রুপ অব কোম্পানিজের অ্যাডভাইজর মেজর (অব.) মোহাম্মদ সোলায়মান তালুকদার এবং র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের হেড অব পিআর অ্যান্ড এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স রাহেল রাব্বি।
এ ছাড়া র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের ডিরেক্টর অব ফিন্যান্স শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মনফুজা মাসুদ চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব সেলস শামীম আল মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের সেবাগ্রহীতারা বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা উপভোগ করবেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বিভিন্ন করপোরেট ও সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।
সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি, কার্যকর ও ফলপ্রসূ অংশীদারত্ব গড়ে উঠবে।

র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের পক্ষে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার জানে আলম এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের পক্ষে ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার ডুকো এভারেন ডি ভ্রিস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এন এম মনজুরুল হক মজুমদার, র্যাংগস গ্রুপ অব কোম্পানিজের অ্যাডভাইজর মেজর (অব.) মোহাম্মদ সোলায়মান তালুকদার এবং র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের হেড অব পিআর অ্যান্ড এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স রাহেল রাব্বি।
এ ছাড়া র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের ডিরেক্টর অব ফিন্যান্স শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মনফুজা মাসুদ চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব সেলস শামীম আল মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের সেবাগ্রহীতারা বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা উপভোগ করবেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বিভিন্ন করপোরেট ও সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।
সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি, কার্যকর ও ফলপ্রসূ অংশীদারত্ব গড়ে উঠবে।

করোনা অনেকের জীবনের মতো তাহমিনার জীবনেও সংকট হিসেবেই এসেছিল। কিন্তু তাহমিনা হচ্ছেন সেই প্রাণময় ব্যক্তিদের একজন, যিনি সংকটকেই সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করেছেন। জন্ম দিয়েছেন মিনার ক্ষেতখামারের। নামটি শুনলেই সবার হয়তো মিনা কার্টুনের কথা মনে পড়বে। কিন্তু তা নয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগে