Ajker Patrika

মাত্র দেড় হাজার টাকায় শুরু হয়েছিল ‘কইন্যা’

মন্টি বৈষ্ণব
মাত্র দেড় হাজার টাকায় শুরু হয়েছিল ‘কইন্যা’

পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান তাসমিনা নিশাত। স্বাভাবিকভাবে ছোটবেলা থেকে পরিবারের সবার আদর ও স্নেহে বেড়ে উঠেছেন। ছোটবেলা থেকেই নিশাত নিজের কাজগুলো নিজেই করার চেষ্টা করতেন। পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, স্বতন্ত্রভাবে নিজের মতো করে কিছু করতে চেয়েছেন সব সময়ই। আর সেই অদম্য আগ্রহ ও স্বাধীন চিন্তা থেকেই অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘কইন্যা’-এর যাত্রা শুরু করেন।

নিশাতের জন্ম, বেড়ে ওঠা, স্কুল, কলেজ ঢাকাতেই। স্কুল মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। আর কলেজ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। স্কুল কলেজের পাট চুকিয়ে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে। সেখানেই অনার্স-মাস্টার্স সমাপ্ত করেন। 

ছোটবেলা থেকে নিশাতের গৎবাঁধা জীবন ভালো লাগত না। তিনি এমন কিছু করতে চাইতেন, যেখানে তাঁর চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে, ভাবনাগুলোকে নিজের মতো প্রকাশ করতে পারবেন। সেই চিন্তাই তাঁর নতুন কিছু করার উৎস। পরিবারের সবাই চাকরিজীবী হলেও নিশাত বেছে নেন ব্যতিক্রমী এ পেশা। শুরু হয় স্বপ্ন ‘কইন্যা’-এর যাত্রা।

নিশাতের ব্যবসার শুরুতে ছিল না বিশাল কোনো পুঁজি। নিজের সামান্য সঞ্চয় মাত্র ১৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন কাজ। একটা শাড়ি বানিয়ে সেটা বিক্রি করেন। আবার সেই টাকা দিয়ে শুরু করেন আরেকটা নতুন কাজ। এভাবে দীর্ঘদিন যায়। নিশাতের ব্যবসার শুরুতে পরিবারের তেমন কারও সহযোগিতা না থাকলেও ধীরে ধীরে সেই আস্থাটাও অর্জন করতে সক্ষম হন।

উদ্যোক্তা হিসেবে শুরুর গল্পটা শুনতে চাইলে নিশাত বলেন, ‘কইন্যা’-এর শুরুর গল্পে বলতে হলে, ফিরে যেতে হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়টাতে। আমি আর আমার বন্ধু বাঁধন মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের শেষ দিকে চিন্তা করি কিছু একটা করব। সেই কিছু একটা থেকে শুরু হয় আমাদের উদ্যোগ, ‘দ্বৈত’। ২০১৪ সালে দ্বৈত ছিল আমাদের প্রথম উদ্যোগ। সেখানে আমরা নিজেরা মালা বানাতাম। প্রত্যেকটা পুঁতি বুনতাম আমরা একটা মালাতে। এভাবেই মালা, হাতের ব্রেসলেট, হাতের রিং। হাতের রিংটা আমরা বানাতাম বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে। রিং এর সঙ্গে ঝালাই করে কয়েনগুলো জোড়া লাগানো হতো। এই রিংগুলো সবাই খুব পছন্দ করেছিল। সঙ্গে মালাগুলো তো আছেই। এ ছাড়া কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়াও করেছিলাম আমরা। এভাবে সময় চলে যেতে থাকে, বাড়তে থাকে মানুষের ভালোবাসা। আমাদের মাস্টার্স শেষ হয়ে যায়। আমাকে হল ছেড়ে দিতে হয়। চলে আসি ঢাকায়। আর বাঁধন থেকে যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ইসলামনগরে। যেহেতু দুজনের দূরত্ব বেড়ে যায়, কাজ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। তখন আমরা চিন্তা করলাম তাঁতের শাড়ি নিয়ে কাজ করব। সেই ভাবনা থেকেই ‘কইন্যা’র যাত্রা।

নিশাত ও বাঁধন প্রথম দিকে কইন্যাতে শুধু ট্রেডিং করতেন। সহজ কথায় বলতে গেলে সোর্সিং করতেন। নিজেরা ছবি তুলে ফেসবুক পেজে দিতেন। এভাবে দুবছর কাটার পর মনে হলো একদম নিজেদের কিছু করতে হবে। যেই ভাবনা সেই কাজ। তাঁতিদের দিয়ে নিজেরা রং পছন্দ করে বুনতে শুরু করেন হাফসিল্ক শাড়ি। মানিকগঞ্জে কাজ শুরু হলো। সেই শাড়ির ওপর বসালেন নিজেদের নকশা করা ছাপ। সাড়াও পাওয়া গেল। জনপ্রিয়তা বাড়ায় কারখানা পত্তনের দরকার হয়ে পড়ে। নিশাত বলছেন, ‘আস্তে আস্তে কারখানা নিলাম। সেখানে ব্লকের পাশাপাশি স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ শুরু করলাম। তার পাশাপাশি শুরু হলো সেলাইয়ের কাজ। রেডি টপ্স, ম্যাটারনিটি ওয়্যার, কামিজ; এখন সবই করার চেষ্টা করছি। এভাবেই দ্বৈত থেকে কইন্যার যাত্রা শুরু হয়।’ 

নিশাত আর বাঁধনের প্রথম কাজ শুরু হয় তাঁতের সুতি শাড়ি ও হাফ সিল্ক শাড়ি দিয়ে। পরে সেই হাফসিল্ক প্রিন্টে যুক্ত করেন কাঠের ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট। হাফ সিল্কের মধ্যে পুঁতির কাজ, এমনকি তাঁতে মসলিন ও বুননের চেষ্টা করেছেন নিশাত ও বাঁধন। দেখা গেছে, ক্রেতারা সেগুলো পছন্দও করেছেন। শাড়ির পাশাপাশি তাঁরা আরও তৈরি করছেন আনস্টিচড-স্টিচড কুরতি, শাল (সিজনাল), এমব্রয়ডারি শাড়ি, ডেনিম (সিজনাল), ম্যাটারনিটি ওয়্যার, পালাজ্জো, টু-পিস, ব্লাউজ পিস, রেডি টপ্স, স্যান্ডেল, লেদারের ফুটওয়্যার ইত্যাদি। বর্তমানে নিশাত ও বাঁধনের অক্লান্ত চেষ্টায় ভিন্নতা ফুটে উঠেছে ‘কইন্যা’র সার্বিক কাজে।

নারী উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে কারও সহযোগিতা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে নিশাত ফিরে যান তাঁর মায়ের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার মা। মা আমাকে সব সময় মানসিকভাবে সাহস জুগিয়েছেন। কাজ শুরু করার সময় অভয় দিয়ে বলেছিলেন, “ব্যবসায় ওঠা-নামা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। ওঠাটা যদি তুমি মেনে নিতে পারো, নামাটাও মানতেই হবে। তবে পিছপা হওয়া যাবে না”-মায়ের এই কথাগুলো তখন অনেক অনুপ্রাণিত করেছিল, এখনো করে। আরেকজনের কথা না বললেই নয়, সে হলো আমার বন্ধু বাঁধন। সে শুধু আমার ব্যবসায়িক পার্টনার না, আমার জীবনেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ। শতভাগ সাপোর্ট তার থেকে আমি সব সময় পেয়ে এসেছি। আমার পরিবার এখন অনেক অনেক বড়। আমি, আমার স্বামী বাঁধন ও আমাদের ২ বছরের সন্তান নির্বাণ। আর আমরা তিন বোন ও এক ভাই।’

নিশাত কইন্যাকে এমন এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যেতে চান, যেখানে ভোক্তারা তাঁদের সকল চাহিদা এক জায়গায় পূরণ করতে পারবেন। শিক্ষার্থী বা কর্মক্ষেত্রের জন্য যেসব নারীদের বেশ কিছু পোশাকের প্রয়োজন তাদের চাহিদা ও পছন্দ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন নিশাত। পাশাপাশি আরামদায়ক ও টেকসই কাপড় ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে 'কইন্যা' বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া ম্যাটারনিটি ওয়্যার সেকশনটি নিয়েও বড় পরিকল্পনা আছে তাঁদের। শুধু ম্যাটারনিটি ওয়্যার নয়, মাতৃত্বকালে যে জিনিসগুলো দরকার বেশি, সেসব নিয়েও কাজ করছে 'কইন্যা'।

তাঁতিদের দিয়ে নানা নকশার পোশাকের পসরা রয়েছে কইন্যার অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মেবর্তমানে এ দেশের নারী উদ্যোক্তারা নতুন করে নিজেদের মতো করে ভাবতে শিখেছে। নিজের ব্যবসার সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারছেন। এটা আমাদের এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের জন্য একটা চ্যালেঞ্জও বটে। নারীরা ব্যবসার প্রয়োজনে ছুটে চলেছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। নারীদের এই অদম্য সাহসিকতার বিষয়টি কেমন লাগে জানতে চাইলে 'কইন্যা' স্বত্বাধিকারী তাসমিনা নিশাত বলেন, ‘বর্তমানে এ দেশের নারীদের নিজেদের চার দেয়ালে আটকে রাখার মন-মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে। এই বিষয়টা আমার ভীষণ ভালো লাগে। নারীদের স্বাবলম্বী হতে চাওয়ার ব্যাপারটা খুবই ইতিবাচক। এটি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দুই দিক দিকেই গুরুত্বপূর্ণ। 
তবে যারা নারী উদ্যোক্তা হতে চাইছেন বা নতুন কিছু করতে চাইছেন তাঁদের বলব, আপনি যে উদ্দেশ্যে ব্যবসা শুরু করবেন, সে বিষয়ে আগে একটা স্বচ্ছ ধারণা নিন। কাজটা সত্যি করবেন কিনা, কাজের পুঁজি, শ্রম, সময় বিষয়ে নিজের একটা পরিষ্কার ধারণা রাখুন। ব্যবসার শুরুতে নিজের প্ল্যানের একটা খসড়া করুন। আপনার উদ্যোগটাকে কোথায় নিয়ে যেতে চান, সেটা ভাবুন। পাশাপাশি উদ্যোগের ধরন অনুযায়ী ভোক্তা ও বাজারের বিষয়টাও মাথায় রাখুন। এর পর কাজ শুরু করুন। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক ব্যবসায়িক বিষয়ে জ্ঞান রাখাটা জরুরি। এর জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করাও জরুরি।’

ব্যবসার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন নিশাত ও বাঁধন। তাঁদের ব্যবসার উৎপাদন ও আনুষঙ্গিক কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, সব কর্মীদের উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখছেন তাঁরা। জোর দিয়েছেন কর্মসংস্থান তৈরিতে। ২০১৭ সালে ‘কইন্যা’ তাদের নিজেদের কারখানায় কাজ শুরু করে। সেখানে প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক মানুষের। বর্তমানে সব মিলিয়ে ‘কইন্যা’র সার্বিক কাজে যুক্ত আছেন ১৬ জন। এই করোনা মহামারির সংকটকালেও কইন্যা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে তাদের কর্মীদের সার্বিক দেখভালের। নিশাত ও বাঁধন বিশ্বাস করেন শুধুমাত্র নিজেরা নয়, বরং সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত।

নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ‘কইন্যা’ স্বত্বাধিকারী তাসমিনা নিশাত এটা বুঝতে পেরেছেন যে, ব্যবসায় দিন শেষে ক্রেতাই সব। তাই ক্রেতার ভালো লাগা, মন্দ লাগাকে সবার আগে গুরুত্ব দেন তাঁরা। আর এ কারণে ‘কইন্যা’ আজ বহু মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। নিশাতের ভাষ্যমতে, চলার পথে মানুষের জীবনে অনেক রকমের প্রতিবন্ধকতা আসবে। চ্যালেঞ্জকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করতে শিখেছি। আশা করি সামনের দিনে আমরা আরও বড় পরিসরে ‘কইন্যা’কে নিয়ে যেতে পারব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরও কমেছে পেঁয়াজ আলু ও সবজির দাম

  • পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম নামল ৪২ টাকা কেজি
  • ডিম, মুরগি ও ডালের দাম আগের মতোই
  • চালের দাম কমলেও আশানুরূপ নয়, বলছেন ক্রেতা
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ০৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।

তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।

সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।

শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।

পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।

বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।

রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।

বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।

বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।

বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।

শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।

কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।

সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।

বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।

ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।

বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।

মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের ই-রিটার্ন দাখিলে এনবিআরের হেল্প ডেস্ক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।

রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আকাশপথে পণ্য পরিবহনে অফডক চান ব্যবসায়ীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ১০
গ্রাফিকস: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিকস: আজকের পত্রিকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।

অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।

অফডক দরকার কেন

সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।

তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।

ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।

ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।

এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।

বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।

এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।

কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।

এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।

আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত