আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পুঁজিবাজারের নারী বিনিয়োগকারী রোকসানা আমজাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কারসাজির (সিরিজ ট্রেডিং) মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক চিকিৎসক মো. আমজাদ হোসেন ফকির। তিনিও একজন শেয়ার ব্যবসায়ী।
সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি করার অপরাধ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের সহযোগীদের ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
তথ্যমতে, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির ঘটনাটি ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি বিএসইসির নজরে আসলে ১৫ জুন ঢাকা স্টক স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) তদন্ত কমিটি গঠন করা নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএসই এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করে।
তদন্ত প্রতিবেদনে, রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীরা ওই সময়ে কারসাজির মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন করে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯ টাকা অর্জিত মুনাফা তুলে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের শুনানিতে তলব করে বিএসইসি। শুনানি কার্যক্রমে অভিযুক্তদের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে না হওয়ায় কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি।
বিগত সরকারের আমলে শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আমজাদ হোসেন ফকির, রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীদের নাম উঠলেও কারও বিরুদ্ধে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, বিএসইসির শুনানিতে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উপস্থাপিত অভিযোগসমূহ সঠিক এবং উপযুক্ত কর্মকাণ্ডের ফলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নের পরিপন্থী। এ ক্ষেত্রে রোকসানা আমজাদ এবং তাঁর সহযোগীদের ব্যাখ্যা কমিশনের নিকট গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। যেহেতু রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের উপযুক্ত কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ এর (সি) (৫) লঙ্ঘন করেছে, যা সিকিউরিটিজ আইনের পরিপন্থী।
আদেশে বলা হয়, রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের উপর্যুক্ত কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কমিশনের বিবেচনায়, সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি-বিধান পরিপালনে আলোচ্য ব্যর্থতার জন্য, পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা এবং জনস্বার্থে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের জরিমানা করা প্রয়োজন ও সমীচীন। অতএব, কমিশন উল্লিখিত বিষয় বিবেচনাপূর্বক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ধার্য করল। এ আদেশের জারি করার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় সিকিউরিটিজ আইন মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্য বলছে, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীরা পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, এনএলআই সিকিউরিটিজ এবং এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে শেয়ার লেনদেন করেন। আমজাদ হোসেন ফকির এবং তার সহযোগী (রোকসানা আমজাদ) বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ এবং এনএলআই সিকিউরিটিজে ৪টি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজে আমজাদ হোসেন ফকির ও রোকসানা আমজাদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৩২০০১ ও বিও আইডি-১২০৫৬৭০০২৮৪০৯৪৭৬) রয়েছে। একই ব্রোকারেজ হাউসে আমজাদ হোসেন ফকিরের একক বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৩২০০৬ ও বিও আইডি- ১২০৫৬৭০০২৩৪৯৩৪৯১) রয়েছে। এ ছাড়া বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজে রোকসানা আমজাদের একক বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৪৩১৩ ও বিও আইডি-১২০৫৬৭০০৬২১৯৫৬৫৭) রয়েছে। আর এনএলআই সিকিউরিটিজে আমজাদ হোসেন ফকির এবং রোকসানা আমজাদের বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-০১৭৬১ ও বিও আইডি-১২০৫৭২০০২৮৪০৯৪) রয়েছে।
বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, এনএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমজাদ হোসেন ফকির ও তাঁর সহযোগী (রোকসানা আমজাদ) ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সময়ে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪০টি শেয়ার কিনেছেন। আর ওই সময়ের মধ্যে তাদের হাতে থাকা মোট ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৩৫টি শেয়ার বিক্রি করেছেন। কারসাজির ওই সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের মোট লেনদেনের মধ্যে তাঁরা সম্মিলিতভাবে ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ লেনদেন করেছেন। এ লেনদেনের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা করে তারা ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯ টাকা বা ৫৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ অর্জিত মুনাফা তুলে নিয়েছেন, যা সিকিউরিটিজ আইন পরিপন্থী নয়। আর ওই সময়ে চক্রটির অনর্জিত মুনাফা ছিল ২ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৫৩ টাকা।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭-এ উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো শেয়ার বিক্রি বা ক্রয় করতে প্ররোচিত, প্রত্যাখ্যান, প্রভাব, প্রতিরোধ বা কোনো উপায়ে তার সুবিধাকে প্রভাবিত বা পরিবর্তন করতে পারবে না।
অরডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (৫)-এ উল্লেখ রয়েছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেকোনো শেয়ারের একটি সিরিজ লেনদেন প্রভাবিত করে তাতে সক্রিয় ভূমিকা তৈরি করে অথবা অন্যের দ্বারা শেয়ারটি ক্রয়ে প্ররোচিত করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করা বা অন্যদের দ্বারা এটির বিক্রয়ে প্ররোচিত করা র জন্য মূল্য হ্রাস করা যাবে না।
কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগী (আমজাদ হোসেন ফকির) গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারগুলোতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লেনদেনের একটি সিরিজ লেনদেন করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (৫) লঙ্ঘন করেছেন।
শুনানিতে রোকসানা আমজাদ ও আমজাদ হোসেন ফকিরের ব্যাখ্যা
এদিকে বিএসইসির শুনানিতে রোকসানা আমজাদ ও আমজাদ হোসেন ফকির দুজনই পুঁজিবাজারে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিনিয়োগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁরা বলেন, খণ্ডকালীন বিনিয়োগকারী হিসেবে তাঁরা কমিশনের সমস্ত আইন, বিধি, প্রবিধান এবং নির্দেশনা মেনে বিনিয়োগ করেছেন। রোকসানা আমজাদের অ্যাকাউন্টটি স্বামী আমজাদ হোসেন ফকির পরিচালনা করেছেন। তাঁর একটি একক এবং ২টি যৌথ বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর আমজাদ হোসেন ফকিরের ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট (একক এবং যৌথ) রয়েছে। তাঁরা দুজনেই দুর্ভাগ্যবশত, কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে মোট রিয়েলাইজড গেইন (মুনাফা) কত হচ্ছিল তা বুঝতে পারেননি। এ জন্য ভবিষ্যতে, আরও সতর্ক থাকবেন এবং এ ধরনের ভুল আর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত করে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ তাদের আইন অনুযায়ী জরিমানা করেছে। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী তাদের কাজ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে।’

পুঁজিবাজারের নারী বিনিয়োগকারী রোকসানা আমজাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কারসাজির (সিরিজ ট্রেডিং) মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক চিকিৎসক মো. আমজাদ হোসেন ফকির। তিনিও একজন শেয়ার ব্যবসায়ী।
সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি করার অপরাধ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের সহযোগীদের ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
তথ্যমতে, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির ঘটনাটি ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি বিএসইসির নজরে আসলে ১৫ জুন ঢাকা স্টক স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) তদন্ত কমিটি গঠন করা নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএসই এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করে।
তদন্ত প্রতিবেদনে, রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীরা ওই সময়ে কারসাজির মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন করে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯ টাকা অর্জিত মুনাফা তুলে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের শুনানিতে তলব করে বিএসইসি। শুনানি কার্যক্রমে অভিযুক্তদের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে না হওয়ায় কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি।
বিগত সরকারের আমলে শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আমজাদ হোসেন ফকির, রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীদের নাম উঠলেও কারও বিরুদ্ধে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, বিএসইসির শুনানিতে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উপস্থাপিত অভিযোগসমূহ সঠিক এবং উপযুক্ত কর্মকাণ্ডের ফলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নের পরিপন্থী। এ ক্ষেত্রে রোকসানা আমজাদ এবং তাঁর সহযোগীদের ব্যাখ্যা কমিশনের নিকট গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। যেহেতু রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের উপযুক্ত কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ এর (সি) (৫) লঙ্ঘন করেছে, যা সিকিউরিটিজ আইনের পরিপন্থী।
আদেশে বলা হয়, রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের উপর্যুক্ত কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কমিশনের বিবেচনায়, সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি-বিধান পরিপালনে আলোচ্য ব্যর্থতার জন্য, পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা এবং জনস্বার্থে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের জরিমানা করা প্রয়োজন ও সমীচীন। অতএব, কমিশন উল্লিখিত বিষয় বিবেচনাপূর্বক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ধার্য করল। এ আদেশের জারি করার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় সিকিউরিটিজ আইন মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্য বলছে, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীরা পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, এনএলআই সিকিউরিটিজ এবং এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে শেয়ার লেনদেন করেন। আমজাদ হোসেন ফকির এবং তার সহযোগী (রোকসানা আমজাদ) বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ এবং এনএলআই সিকিউরিটিজে ৪টি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজে আমজাদ হোসেন ফকির ও রোকসানা আমজাদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৩২০০১ ও বিও আইডি-১২০৫৬৭০০২৮৪০৯৪৭৬) রয়েছে। একই ব্রোকারেজ হাউসে আমজাদ হোসেন ফকিরের একক বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৩২০০৬ ও বিও আইডি- ১২০৫৬৭০০২৩৪৯৩৪৯১) রয়েছে। এ ছাড়া বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজে রোকসানা আমজাদের একক বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৪৩১৩ ও বিও আইডি-১২০৫৬৭০০৬২১৯৫৬৫৭) রয়েছে। আর এনএলআই সিকিউরিটিজে আমজাদ হোসেন ফকির এবং রোকসানা আমজাদের বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-০১৭৬১ ও বিও আইডি-১২০৫৭২০০২৮৪০৯৪) রয়েছে।
বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, এনএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমজাদ হোসেন ফকির ও তাঁর সহযোগী (রোকসানা আমজাদ) ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সময়ে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪০টি শেয়ার কিনেছেন। আর ওই সময়ের মধ্যে তাদের হাতে থাকা মোট ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৩৫টি শেয়ার বিক্রি করেছেন। কারসাজির ওই সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের মোট লেনদেনের মধ্যে তাঁরা সম্মিলিতভাবে ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ লেনদেন করেছেন। এ লেনদেনের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা করে তারা ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯ টাকা বা ৫৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ অর্জিত মুনাফা তুলে নিয়েছেন, যা সিকিউরিটিজ আইন পরিপন্থী নয়। আর ওই সময়ে চক্রটির অনর্জিত মুনাফা ছিল ২ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৫৩ টাকা।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭-এ উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো শেয়ার বিক্রি বা ক্রয় করতে প্ররোচিত, প্রত্যাখ্যান, প্রভাব, প্রতিরোধ বা কোনো উপায়ে তার সুবিধাকে প্রভাবিত বা পরিবর্তন করতে পারবে না।
অরডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (৫)-এ উল্লেখ রয়েছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেকোনো শেয়ারের একটি সিরিজ লেনদেন প্রভাবিত করে তাতে সক্রিয় ভূমিকা তৈরি করে অথবা অন্যের দ্বারা শেয়ারটি ক্রয়ে প্ররোচিত করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করা বা অন্যদের দ্বারা এটির বিক্রয়ে প্ররোচিত করা র জন্য মূল্য হ্রাস করা যাবে না।
কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগী (আমজাদ হোসেন ফকির) গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারগুলোতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লেনদেনের একটি সিরিজ লেনদেন করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (৫) লঙ্ঘন করেছেন।
শুনানিতে রোকসানা আমজাদ ও আমজাদ হোসেন ফকিরের ব্যাখ্যা
এদিকে বিএসইসির শুনানিতে রোকসানা আমজাদ ও আমজাদ হোসেন ফকির দুজনই পুঁজিবাজারে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিনিয়োগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁরা বলেন, খণ্ডকালীন বিনিয়োগকারী হিসেবে তাঁরা কমিশনের সমস্ত আইন, বিধি, প্রবিধান এবং নির্দেশনা মেনে বিনিয়োগ করেছেন। রোকসানা আমজাদের অ্যাকাউন্টটি স্বামী আমজাদ হোসেন ফকির পরিচালনা করেছেন। তাঁর একটি একক এবং ২টি যৌথ বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর আমজাদ হোসেন ফকিরের ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট (একক এবং যৌথ) রয়েছে। তাঁরা দুজনেই দুর্ভাগ্যবশত, কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে মোট রিয়েলাইজড গেইন (মুনাফা) কত হচ্ছিল তা বুঝতে পারেননি। এ জন্য ভবিষ্যতে, আরও সতর্ক থাকবেন এবং এ ধরনের ভুল আর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত করে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ তাদের আইন অনুযায়ী জরিমানা করেছে। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী তাদের কাজ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পুঁজিবাজারের নারী বিনিয়োগকারী রোকসানা আমজাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কারসাজির (সিরিজ ট্রেডিং) মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক চিকিৎসক মো. আমজাদ হোসেন ফকির। তিনিও একজন শেয়ার ব্যবসায়ী।
সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি করার অপরাধ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের সহযোগীদের ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
তথ্যমতে, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির ঘটনাটি ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি বিএসইসির নজরে আসলে ১৫ জুন ঢাকা স্টক স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) তদন্ত কমিটি গঠন করা নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএসই এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করে।
তদন্ত প্রতিবেদনে, রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীরা ওই সময়ে কারসাজির মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন করে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯ টাকা অর্জিত মুনাফা তুলে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের শুনানিতে তলব করে বিএসইসি। শুনানি কার্যক্রমে অভিযুক্তদের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে না হওয়ায় কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি।
বিগত সরকারের আমলে শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আমজাদ হোসেন ফকির, রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীদের নাম উঠলেও কারও বিরুদ্ধে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, বিএসইসির শুনানিতে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উপস্থাপিত অভিযোগসমূহ সঠিক এবং উপযুক্ত কর্মকাণ্ডের ফলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নের পরিপন্থী। এ ক্ষেত্রে রোকসানা আমজাদ এবং তাঁর সহযোগীদের ব্যাখ্যা কমিশনের নিকট গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। যেহেতু রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের উপযুক্ত কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ এর (সি) (৫) লঙ্ঘন করেছে, যা সিকিউরিটিজ আইনের পরিপন্থী।
আদেশে বলা হয়, রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের উপর্যুক্ত কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কমিশনের বিবেচনায়, সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি-বিধান পরিপালনে আলোচ্য ব্যর্থতার জন্য, পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা এবং জনস্বার্থে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের জরিমানা করা প্রয়োজন ও সমীচীন। অতএব, কমিশন উল্লিখিত বিষয় বিবেচনাপূর্বক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ধার্য করল। এ আদেশের জারি করার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় সিকিউরিটিজ আইন মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্য বলছে, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীরা পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, এনএলআই সিকিউরিটিজ এবং এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে শেয়ার লেনদেন করেন। আমজাদ হোসেন ফকির এবং তার সহযোগী (রোকসানা আমজাদ) বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ এবং এনএলআই সিকিউরিটিজে ৪টি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজে আমজাদ হোসেন ফকির ও রোকসানা আমজাদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৩২০০১ ও বিও আইডি-১২০৫৬৭০০২৮৪০৯৪৭৬) রয়েছে। একই ব্রোকারেজ হাউসে আমজাদ হোসেন ফকিরের একক বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৩২০০৬ ও বিও আইডি- ১২০৫৬৭০০২৩৪৯৩৪৯১) রয়েছে। এ ছাড়া বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজে রোকসানা আমজাদের একক বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৪৩১৩ ও বিও আইডি-১২০৫৬৭০০৬২১৯৫৬৫৭) রয়েছে। আর এনএলআই সিকিউরিটিজে আমজাদ হোসেন ফকির এবং রোকসানা আমজাদের বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-০১৭৬১ ও বিও আইডি-১২০৫৭২০০২৮৪০৯৪) রয়েছে।
বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, এনএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমজাদ হোসেন ফকির ও তাঁর সহযোগী (রোকসানা আমজাদ) ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সময়ে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪০টি শেয়ার কিনেছেন। আর ওই সময়ের মধ্যে তাদের হাতে থাকা মোট ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৩৫টি শেয়ার বিক্রি করেছেন। কারসাজির ওই সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের মোট লেনদেনের মধ্যে তাঁরা সম্মিলিতভাবে ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ লেনদেন করেছেন। এ লেনদেনের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা করে তারা ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯ টাকা বা ৫৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ অর্জিত মুনাফা তুলে নিয়েছেন, যা সিকিউরিটিজ আইন পরিপন্থী নয়। আর ওই সময়ে চক্রটির অনর্জিত মুনাফা ছিল ২ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৫৩ টাকা।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭-এ উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো শেয়ার বিক্রি বা ক্রয় করতে প্ররোচিত, প্রত্যাখ্যান, প্রভাব, প্রতিরোধ বা কোনো উপায়ে তার সুবিধাকে প্রভাবিত বা পরিবর্তন করতে পারবে না।
অরডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (৫)-এ উল্লেখ রয়েছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেকোনো শেয়ারের একটি সিরিজ লেনদেন প্রভাবিত করে তাতে সক্রিয় ভূমিকা তৈরি করে অথবা অন্যের দ্বারা শেয়ারটি ক্রয়ে প্ররোচিত করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করা বা অন্যদের দ্বারা এটির বিক্রয়ে প্ররোচিত করা র জন্য মূল্য হ্রাস করা যাবে না।
কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগী (আমজাদ হোসেন ফকির) গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারগুলোতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লেনদেনের একটি সিরিজ লেনদেন করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (৫) লঙ্ঘন করেছেন।
শুনানিতে রোকসানা আমজাদ ও আমজাদ হোসেন ফকিরের ব্যাখ্যা
এদিকে বিএসইসির শুনানিতে রোকসানা আমজাদ ও আমজাদ হোসেন ফকির দুজনই পুঁজিবাজারে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিনিয়োগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁরা বলেন, খণ্ডকালীন বিনিয়োগকারী হিসেবে তাঁরা কমিশনের সমস্ত আইন, বিধি, প্রবিধান এবং নির্দেশনা মেনে বিনিয়োগ করেছেন। রোকসানা আমজাদের অ্যাকাউন্টটি স্বামী আমজাদ হোসেন ফকির পরিচালনা করেছেন। তাঁর একটি একক এবং ২টি যৌথ বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর আমজাদ হোসেন ফকিরের ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট (একক এবং যৌথ) রয়েছে। তাঁরা দুজনেই দুর্ভাগ্যবশত, কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে মোট রিয়েলাইজড গেইন (মুনাফা) কত হচ্ছিল তা বুঝতে পারেননি। এ জন্য ভবিষ্যতে, আরও সতর্ক থাকবেন এবং এ ধরনের ভুল আর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত করে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ তাদের আইন অনুযায়ী জরিমানা করেছে। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী তাদের কাজ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে।’

পুঁজিবাজারের নারী বিনিয়োগকারী রোকসানা আমজাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কারসাজির (সিরিজ ট্রেডিং) মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক চিকিৎসক মো. আমজাদ হোসেন ফকির। তিনিও একজন শেয়ার ব্যবসায়ী।
সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি করার অপরাধ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের সহযোগীদের ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
তথ্যমতে, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির ঘটনাটি ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি বিএসইসির নজরে আসলে ১৫ জুন ঢাকা স্টক স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) তদন্ত কমিটি গঠন করা নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএসই এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করে।
তদন্ত প্রতিবেদনে, রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীরা ওই সময়ে কারসাজির মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন করে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯ টাকা অর্জিত মুনাফা তুলে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের শুনানিতে তলব করে বিএসইসি। শুনানি কার্যক্রমে অভিযুক্তদের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে না হওয়ায় কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি।
বিগত সরকারের আমলে শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আমজাদ হোসেন ফকির, রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীদের নাম উঠলেও কারও বিরুদ্ধে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, বিএসইসির শুনানিতে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উপস্থাপিত অভিযোগসমূহ সঠিক এবং উপযুক্ত কর্মকাণ্ডের ফলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নের পরিপন্থী। এ ক্ষেত্রে রোকসানা আমজাদ এবং তাঁর সহযোগীদের ব্যাখ্যা কমিশনের নিকট গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। যেহেতু রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের উপযুক্ত কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ এর (সি) (৫) লঙ্ঘন করেছে, যা সিকিউরিটিজ আইনের পরিপন্থী।
আদেশে বলা হয়, রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের উপর্যুক্ত কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কমিশনের বিবেচনায়, সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি-বিধান পরিপালনে আলোচ্য ব্যর্থতার জন্য, পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা এবং জনস্বার্থে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের জরিমানা করা প্রয়োজন ও সমীচীন। অতএব, কমিশন উল্লিখিত বিষয় বিবেচনাপূর্বক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগীদের ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ধার্য করল। এ আদেশের জারি করার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় সিকিউরিটিজ আইন মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্য বলছে, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে রোকসানা আমজাদ ও তার সহযোগীরা পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, এনএলআই সিকিউরিটিজ এবং এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে শেয়ার লেনদেন করেন। আমজাদ হোসেন ফকির এবং তার সহযোগী (রোকসানা আমজাদ) বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ এবং এনএলআই সিকিউরিটিজে ৪টি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজে আমজাদ হোসেন ফকির ও রোকসানা আমজাদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৩২০০১ ও বিও আইডি-১২০৫৬৭০০২৮৪০৯৪৭৬) রয়েছে। একই ব্রোকারেজ হাউসে আমজাদ হোসেন ফকিরের একক বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৩২০০৬ ও বিও আইডি- ১২০৫৬৭০০২৩৪৯৩৪৯১) রয়েছে। এ ছাড়া বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজে রোকসানা আমজাদের একক বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-৪৩১৩ ও বিও আইডি-১২০৫৬৭০০৬২১৯৫৬৫৭) রয়েছে। আর এনএলআই সিকিউরিটিজে আমজাদ হোসেন ফকির এবং রোকসানা আমজাদের বিও অ্যাকাউন্ট (ক্লায়েন্ট কোড-০১৭৬১ ও বিও আইডি-১২০৫৭২০০২৮৪০৯৪) রয়েছে।
বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, এনএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমজাদ হোসেন ফকির ও তাঁর সহযোগী (রোকসানা আমজাদ) ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সময়ে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪০টি শেয়ার কিনেছেন। আর ওই সময়ের মধ্যে তাদের হাতে থাকা মোট ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৩৫টি শেয়ার বিক্রি করেছেন। কারসাজির ওই সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের মোট লেনদেনের মধ্যে তাঁরা সম্মিলিতভাবে ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ লেনদেন করেছেন। এ লেনদেনের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা করে তারা ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯ টাকা বা ৫৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ অর্জিত মুনাফা তুলে নিয়েছেন, যা সিকিউরিটিজ আইন পরিপন্থী নয়। আর ওই সময়ে চক্রটির অনর্জিত মুনাফা ছিল ২ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৫৩ টাকা।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭-এ উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো শেয়ার বিক্রি বা ক্রয় করতে প্ররোচিত, প্রত্যাখ্যান, প্রভাব, প্রতিরোধ বা কোনো উপায়ে তার সুবিধাকে প্রভাবিত বা পরিবর্তন করতে পারবে না।
অরডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (৫)-এ উল্লেখ রয়েছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেকোনো শেয়ারের একটি সিরিজ লেনদেন প্রভাবিত করে তাতে সক্রিয় ভূমিকা তৈরি করে অথবা অন্যের দ্বারা শেয়ারটি ক্রয়ে প্ররোচিত করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করা বা অন্যদের দ্বারা এটির বিক্রয়ে প্ররোচিত করা র জন্য মূল্য হ্রাস করা যাবে না।
কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রোকসানা আমজাদ এবং তার সহযোগী (আমজাদ হোসেন ফকির) গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারগুলোতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লেনদেনের একটি সিরিজ লেনদেন করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) (৫) লঙ্ঘন করেছেন।
শুনানিতে রোকসানা আমজাদ ও আমজাদ হোসেন ফকিরের ব্যাখ্যা
এদিকে বিএসইসির শুনানিতে রোকসানা আমজাদ ও আমজাদ হোসেন ফকির দুজনই পুঁজিবাজারে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিনিয়োগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁরা বলেন, খণ্ডকালীন বিনিয়োগকারী হিসেবে তাঁরা কমিশনের সমস্ত আইন, বিধি, প্রবিধান এবং নির্দেশনা মেনে বিনিয়োগ করেছেন। রোকসানা আমজাদের অ্যাকাউন্টটি স্বামী আমজাদ হোসেন ফকির পরিচালনা করেছেন। তাঁর একটি একক এবং ২টি যৌথ বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর আমজাদ হোসেন ফকিরের ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট (একক এবং যৌথ) রয়েছে। তাঁরা দুজনেই দুর্ভাগ্যবশত, কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে মোট রিয়েলাইজড গেইন (মুনাফা) কত হচ্ছিল তা বুঝতে পারেননি। এ জন্য ভবিষ্যতে, আরও সতর্ক থাকবেন এবং এ ধরনের ভুল আর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত করে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ তাদের আইন অনুযায়ী জরিমানা করেছে। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী তাদের কাজ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে।’

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১৭ মিনিট আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
২১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

পুঁজিবাজারের নারী বিনিয়োগকারী রোকসানা আমজাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কারসাজির (সিরিজ ট্রেডিং) মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক চিকিৎসক মো. আমজাদ হোসেন ফকির। তিনিও একজন
০৯ নভেম্বর ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
২১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

পুঁজিবাজারের নারী বিনিয়োগকারী রোকসানা আমজাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কারসাজির (সিরিজ ট্রেডিং) মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক চিকিৎসক মো. আমজাদ হোসেন ফকির। তিনিও একজন
০৯ নভেম্বর ২০২৪
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১৭ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

পুঁজিবাজারের নারী বিনিয়োগকারী রোকসানা আমজাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কারসাজির (সিরিজ ট্রেডিং) মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক চিকিৎসক মো. আমজাদ হোসেন ফকির। তিনিও একজন
০৯ নভেম্বর ২০২৪
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১৭ মিনিট আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
২১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

পুঁজিবাজারের নারী বিনিয়োগকারী রোকসানা আমজাদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কারসাজির (সিরিজ ট্রেডিং) মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক চিকিৎসক মো. আমজাদ হোসেন ফকির। তিনিও একজন
০৯ নভেম্বর ২০২৪
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১৭ মিনিট আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
২১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে