নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা। ২০২৪ সালে ৪২ বিমা কোম্পানি অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছে, যার পরিমাণ ৮৩৩ কোটি টাকা। এই অতিরিক্ত ব্যয়ের বড় অংশই লোপাট হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ ২০ জীবনবিমা কোম্পানি ১৫৯ কোটি এবং ২২টি সাধারণ বিমা কোম্পানি ৬৭৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে। কমিশন প্রদান, উন্নয়ন সভা, বাড়িভাড়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বিজ্ঞাপন খরচ, কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে ভ্রমণ, গাড়ি কেনা ও মেরামত, জ্বালানি, আপ্যায়ন, ড্রাইভার খরচসহ বিভিন্ন খাতে এ ব্যয় দেখানো হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানির পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলেমিশে লাগামহীন ব্যয় দেখিয়ে প্রিমিয়ামের অর্থ লোপাট করেন। বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) অতিরিক্ত খরচের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তাঁদের দাবি, এ খরচ লোপাট নয়, প্রয়োজনের তাগিদেই কিছু অর্থ বেশি খরচ হয়েছে।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা খাতে ৪৫ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে।
জানতে চাইলে কোম্পানির সিইও কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোম্পানিটিতে জয়েন করেছি কয়েক দিন হলো, তবে শুনেছি এখানে আগে অনিয়ম হয়েছে।’
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা কর্পোরেশন। কোম্পানিটি ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা সীমার অতিরিক্ত খরচ করেছে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১৫ কোটি ৭৫৫ লাখ, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ১১ কোটি ৪২ লাখ এবং সানলাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে।
অন্যদিকে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০২৪ সালের নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ১১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানির সিইও জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরকারনির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছি, যা দেখিয়েছি তা-ই সঠিক। খরচ এর চেয়ে কমানো অসম্ভব ব্যাপার।’ অন্য কোম্পানিগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাঁরা করেছেন তাঁরাই জানেন।
সীমার অতিরিক্ত খরচ করা নন-লাইফ কোম্পানির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কেন্টাইল ইসলামী ইনস্যুরেন্স। কোম্পানিটি গত বছর ৯৩ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স ৯১ কোটি ৫৩ লাখ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ কোটি ৬৯ লাখ এবং দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স ৪৩ কোটি ১ লাখ টাকা বাড়তি ব্যয় করে তালিকায় পর্যায়ক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এবং বিমা বিশেষজ্ঞ এস এম জিয়াউল হক বলেন, ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতার কারণে বিমা কোম্পানিতে এই অনিয়ম হচ্ছে।
প্রায় একই মতামত প্রকাশ করেন অর্থনীতিবিদ, গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে, নিজের স্বার্থেই কোম্পানিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে।
পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের সিইও সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, কোম্পানিতে অডিট সিস্টেম থাকা দরকার, নিয়মিত অডিট হলে এই অবস্থা হতো না।
বিমা আইন, ২০১০ এবং বিমা বিধিমালা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ৩৬ জীবনবিমা কোম্পানি সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে পারত। অথচ কোম্পানিগুলো ব্যয় দেখিয়েছে ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে। তবে একই সময়ে ১৬ কোম্পানি নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা কম খরচ করেছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ একাই ৯০ কোটি টাকা খরচ কম করেছে।
জীবনবিমা কোম্পানির মধ্যে ২০২৪ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুমোদনহীন ব্যয় করেছে। একইভাবে চার্টার্ড লাইফ ৬ কোটি ৮৭ লাখ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ৬ কোটি ১১ লাখ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ৫ কোটি ৫৯ লাখ, গোল্ডেন লাইফ ৪ কোটি ৩৮ লাখ, জেনিথ ৪ কোটি ৩৩ লাখ, যমুনা লাইফ ৪ কোটি ২ লাখ, সান্তা লাইফ ৩ কোটি ৭০ লাখ, ডায়মন্ড লাইফ ৩ কোটি ২৬ লাখ, মেঘনা লাইফ ৩ কোটি ২৫ লাখ, স্বদেশ লাইফ ২ কোটি ৬৫ লাখ, লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব বাংলাদেশ ২ কোটি ২০ লাখ, বায়রা লাইফ ১ কোটি ১৫ লাখ, বেস্ট লাইফ ১ কোটি ৯ লাখ এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১ লাখ টাকা বেশি ব্যয় করে।
২০২৪ সালে ৪৬ সাধারণ বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১ হাজার ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৩ টাকা। এই সময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ১ হাজার ৩১১ কোটি ১৯ লাখ ১১ হাজার ২৩৮ টাকা। অর্থাৎ সার্বিকভাবে ২৬৫ কোটি টাকা কম হয়েছে। ২৪টি কোম্পানি ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে।
অন্যদিকে একই খাতের ২২টি কোম্পানি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের নামে লুটপাট করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স ৩ কোটি ৩৭ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল দশমিক ৮৭ শতাংশ, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ৯১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, দেশ জেনারেল ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ, ঢাকা ইনস্যুরেন্স ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স ১১৫ শতাংশ, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইসলামী ৯৩ দশমিক ৮ শতাংশ, নিটল ইনস্যুরেন্স ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, পিপলস্ ইনস্যুরেন্স ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাইম ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রভাতি ইনস্যুরেন্স ২ দশমিক ৬ শতাংশ, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ, রূপালী ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স দশমিক ৬৬ শতাংশ, সাউথ এশিয়া ইনস্যুরেন্স দশমিক ৮৯ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।
বিমা খাতের স্বার্থেই বিমা কোম্পানিকে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন বিমা মালিক ও সিইওদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এ এস এম নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, বিমা কোম্পানি দাবি পূরণের মাধ্যমে বিমা খাতের ভাবমূর্তি বাড়াতে হবে। এতে কম খরচে ব্যবসা বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম জাহীদ বলেছেন, বিমা খাতে তিনটি বড় সংকট দেখা দিয়েছে—কোম্পানিগুলোর নৈতিক বিপত্তি, তথ্যের ঘাটতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা। অনেক বিমা কোম্পানি অযথা ব্যয় করে গ্রাহকের অর্থ লুটপাট করছে। এ অবস্থায় আইডিআরএর কঠোর নজরদারি ও সীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বিমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ঝুঁকি কমাতে গিয়ে গ্রাহকই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গ্রাহকের আস্থা ভেঙে পড়বে, যা বিমা খাতের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
আইডিআরএর মিডিয়া ও যোগাযোগ পরামর্শক (মুখপাত্র) সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, নিয়ম ভঙ্গ করায় ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। ২০২৪ সালেও যারা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা। ২০২৪ সালে ৪২ বিমা কোম্পানি অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছে, যার পরিমাণ ৮৩৩ কোটি টাকা। এই অতিরিক্ত ব্যয়ের বড় অংশই লোপাট হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ ২০ জীবনবিমা কোম্পানি ১৫৯ কোটি এবং ২২টি সাধারণ বিমা কোম্পানি ৬৭৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে। কমিশন প্রদান, উন্নয়ন সভা, বাড়িভাড়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বিজ্ঞাপন খরচ, কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে ভ্রমণ, গাড়ি কেনা ও মেরামত, জ্বালানি, আপ্যায়ন, ড্রাইভার খরচসহ বিভিন্ন খাতে এ ব্যয় দেখানো হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানির পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলেমিশে লাগামহীন ব্যয় দেখিয়ে প্রিমিয়ামের অর্থ লোপাট করেন। বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) অতিরিক্ত খরচের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তাঁদের দাবি, এ খরচ লোপাট নয়, প্রয়োজনের তাগিদেই কিছু অর্থ বেশি খরচ হয়েছে।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা খাতে ৪৫ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে।
জানতে চাইলে কোম্পানির সিইও কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোম্পানিটিতে জয়েন করেছি কয়েক দিন হলো, তবে শুনেছি এখানে আগে অনিয়ম হয়েছে।’
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা কর্পোরেশন। কোম্পানিটি ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা সীমার অতিরিক্ত খরচ করেছে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১৫ কোটি ৭৫৫ লাখ, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ১১ কোটি ৪২ লাখ এবং সানলাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে।
অন্যদিকে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০২৪ সালের নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ১১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানির সিইও জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরকারনির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছি, যা দেখিয়েছি তা-ই সঠিক। খরচ এর চেয়ে কমানো অসম্ভব ব্যাপার।’ অন্য কোম্পানিগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাঁরা করেছেন তাঁরাই জানেন।
সীমার অতিরিক্ত খরচ করা নন-লাইফ কোম্পানির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কেন্টাইল ইসলামী ইনস্যুরেন্স। কোম্পানিটি গত বছর ৯৩ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স ৯১ কোটি ৫৩ লাখ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ কোটি ৬৯ লাখ এবং দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স ৪৩ কোটি ১ লাখ টাকা বাড়তি ব্যয় করে তালিকায় পর্যায়ক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এবং বিমা বিশেষজ্ঞ এস এম জিয়াউল হক বলেন, ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতার কারণে বিমা কোম্পানিতে এই অনিয়ম হচ্ছে।
প্রায় একই মতামত প্রকাশ করেন অর্থনীতিবিদ, গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে, নিজের স্বার্থেই কোম্পানিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে।
পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের সিইও সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, কোম্পানিতে অডিট সিস্টেম থাকা দরকার, নিয়মিত অডিট হলে এই অবস্থা হতো না।
বিমা আইন, ২০১০ এবং বিমা বিধিমালা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ৩৬ জীবনবিমা কোম্পানি সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে পারত। অথচ কোম্পানিগুলো ব্যয় দেখিয়েছে ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে। তবে একই সময়ে ১৬ কোম্পানি নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা কম খরচ করেছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ একাই ৯০ কোটি টাকা খরচ কম করেছে।
জীবনবিমা কোম্পানির মধ্যে ২০২৪ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুমোদনহীন ব্যয় করেছে। একইভাবে চার্টার্ড লাইফ ৬ কোটি ৮৭ লাখ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ৬ কোটি ১১ লাখ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ৫ কোটি ৫৯ লাখ, গোল্ডেন লাইফ ৪ কোটি ৩৮ লাখ, জেনিথ ৪ কোটি ৩৩ লাখ, যমুনা লাইফ ৪ কোটি ২ লাখ, সান্তা লাইফ ৩ কোটি ৭০ লাখ, ডায়মন্ড লাইফ ৩ কোটি ২৬ লাখ, মেঘনা লাইফ ৩ কোটি ২৫ লাখ, স্বদেশ লাইফ ২ কোটি ৬৫ লাখ, লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব বাংলাদেশ ২ কোটি ২০ লাখ, বায়রা লাইফ ১ কোটি ১৫ লাখ, বেস্ট লাইফ ১ কোটি ৯ লাখ এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১ লাখ টাকা বেশি ব্যয় করে।
২০২৪ সালে ৪৬ সাধারণ বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১ হাজার ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৩ টাকা। এই সময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ১ হাজার ৩১১ কোটি ১৯ লাখ ১১ হাজার ২৩৮ টাকা। অর্থাৎ সার্বিকভাবে ২৬৫ কোটি টাকা কম হয়েছে। ২৪টি কোম্পানি ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে।
অন্যদিকে একই খাতের ২২টি কোম্পানি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের নামে লুটপাট করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স ৩ কোটি ৩৭ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল দশমিক ৮৭ শতাংশ, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ৯১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, দেশ জেনারেল ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ, ঢাকা ইনস্যুরেন্স ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স ১১৫ শতাংশ, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইসলামী ৯৩ দশমিক ৮ শতাংশ, নিটল ইনস্যুরেন্স ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, পিপলস্ ইনস্যুরেন্স ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাইম ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রভাতি ইনস্যুরেন্স ২ দশমিক ৬ শতাংশ, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ, রূপালী ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স দশমিক ৬৬ শতাংশ, সাউথ এশিয়া ইনস্যুরেন্স দশমিক ৮৯ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।
বিমা খাতের স্বার্থেই বিমা কোম্পানিকে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন বিমা মালিক ও সিইওদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এ এস এম নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, বিমা কোম্পানি দাবি পূরণের মাধ্যমে বিমা খাতের ভাবমূর্তি বাড়াতে হবে। এতে কম খরচে ব্যবসা বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম জাহীদ বলেছেন, বিমা খাতে তিনটি বড় সংকট দেখা দিয়েছে—কোম্পানিগুলোর নৈতিক বিপত্তি, তথ্যের ঘাটতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা। অনেক বিমা কোম্পানি অযথা ব্যয় করে গ্রাহকের অর্থ লুটপাট করছে। এ অবস্থায় আইডিআরএর কঠোর নজরদারি ও সীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বিমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ঝুঁকি কমাতে গিয়ে গ্রাহকই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গ্রাহকের আস্থা ভেঙে পড়বে, যা বিমা খাতের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
আইডিআরএর মিডিয়া ও যোগাযোগ পরামর্শক (মুখপাত্র) সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, নিয়ম ভঙ্গ করায় ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। ২০২৪ সালেও যারা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১২ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১২ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১২ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১২ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৩ ঘণ্টা আগে