Ajker Patrika

ইউরোপ–আমেরিকার বাইরে ১৬ দেশে রপ্তানি বাড়ছে

রোকন উদ্দীন, ঢাকা
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ০৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশ শক্ত অবস্থান তৈরি করছে। এত দিন রপ্তানি মূলত ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো প্রচলিত বাজারেই সীমিত ছিল, তবে এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। নতুন কিছু দেশ ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা হিসেবে যুক্ত হচ্ছে, যেগুলোকে রপ্তানিকারকেরা অপ্রচলিত বাজার হিসেবে বিবেচনা করেন।

এই অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক, ব্রাজিল, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও চিলিসহ ১৬টি দেশ। বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি থেকে মোট আয় হয়েছে ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে এই ১৬ অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানির পরিমাণ ৬.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১৬.৪৬ শতাংশ। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক ও ব্রাজিলের মতো কিছু বাজারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশের বেশি, যা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।

জাপান: বিলিয়ন ডলারের গন্তব্য

অপ্রচলিত বাজারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাপান, যেখানে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ১.১২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। এটি মোট রপ্তানির ২.৯০ শতাংশ এবং অপ্রচলিত বাজারগুলোর রপ্তানির ১৮ শতাংশ। দেশে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় জাপানে রপ্তানি বেড়েছে ৪ শতাংশেরও বেশি। বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশের পোশাকের জন্য জাপান একটি প্রতিশ্রুতিশীল বাজার, কারণ তারা গুণগত মানের পোশাকের ভালো মূল্য প্রদান করে। জাপানের বাজারে আরও প্রবেশ করতে হলে নতুন ডিজাইন, উন্নত মানসম্পন্ন কাপড় এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন পদ্ধতির দিকে নজর দিতে হবে।

তুরস্ক: দ্রুততম প্রবৃদ্ধির বাজার

অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে তুরস্ক। ২০২৪ সালে দেশটিতে পোশাক রপ্তানি ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে ৪২৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তুরস্কের বাজার ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে এবং বাংলাদেশি পোশাকের জন্য এটি একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের পোশাকশিল্প যদি এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে, তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তুরস্কে রপ্তানি আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশটির ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত পোশাক উৎপাদন এবং প্রতিযোগিতামূলক দামে সরবরাহ নিশ্চিত করা হলে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবে।

ব্রাজিল: সম্ভাবনাময় নতুন দিগন্ত

ব্রাজিলের বাজারে এখনো বাংলাদেশি পোশাকের উপস্থিতি সীমিত। বর্তমানে দেশটিতে রপ্তানি করা হচ্ছে ১৫৮ মিলিয়ন ডলারের পোশাক, যা তুলনামূলক কম হলেও বিশাল সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাংলাদেশ-ব্রাজিল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘ব্রাজিলে আমাদের পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের বিশাল সুযোগ রয়েছে। একটু উদ্যোগ নিলেই রপ্তানি বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব।’ ব্রাজিলের বাজারে প্রবেশের জন্য স্থানীয় ভোক্তাদের রুচি এবং পোশাকের ধরন সম্পর্কে বিশদ গবেষণা প্রয়োজন। বিশেষ করে ক্রীড়া ও অবসরকালীন পোশাকের ক্ষেত্রে ব্রাজিলের চাহিদা বেশি। দেশটির ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের পোশাক খাত একটি স্থায়ী বাজার তৈরি করতে পারে।

dsdff

অস্ট্রেলিয়া ও ভারত: ক্রমবর্ধমান বাজার

অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে ২০২৪ সালে ৮৩১ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ বেশি। ভারতেও রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০৬ মিলিয়ন ডলারে, যা ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। ভারতীয় বাজারের সম্ভাবনা দিন দিন বাড়ছে, যা বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। ভারতের মতো বিশাল বাজারে প্রবেশের জন্য শুল্কনীতি এবং বাণিজ্য চুক্তির সুবিধাগুলো কাজে লাগানো জরুরি। এ ছাড়া, ভারতীয় ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড়ের বৈচিত্র্য আনতে হবে। বিশেষত, তুলার তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে ভারত একটি বড় বাজার হতে পারে।

ইউরোপ ও আমেরিকা: প্রচলিত বাজারে আধিপত্য

অপ্রচলিত বাজারগুলোর প্রসার সত্ত্বেও, এখনো পোশাক রপ্তানির বৃহত্তম অংশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে ইইউতে মোট রপ্তানির ৫০.৩৪ শতাংশ বা ১৯.৩৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ ৭.২ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১৮.৭২ শতাংশ, আর যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছে ৪.৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১১.২৫ শতাংশ। ইউরোপ ও আমেরিকার বাজার ধরে রাখতে হলে নতুন ট্রেন্ড ও টেকসই ফ্যাশনের দিকে নজর দিতে হবে। পরিবেশবান্ধব উৎপাদনব্যবস্থা এবং সামাজিক দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মডেল অনুসরণ করেই ভবিষ্যতে এসব বাজারে প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হবে।

দরকার কার্যকর ব্র্যান্ডিং

তথ্য অনুযায়ী, ১০টি অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি ৪ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে নীতি সহায়তা, রপ্তানিকারকদের উদ্যোগ ও কার্যকর ব্র্যান্ডিং জরুরি। সঠিক কৌশল ও বাজার বিশ্লেষণের মাধ্যমে এসব বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন

এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

  • পাঁচ মাসেই ব্যয় কমেছে ৬ হাজার কোটি।
  • শুধু নভেম্বরে ব্যয় কমেছে ৪ হাজার কোটি।
  • সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট।
  • নির্বাচন ইস্যুতে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।

শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।

প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।

গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।  

আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।

ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৬
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।

পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’

১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।

পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনার দাম ভরিতে ১৪৭০ টাকা বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।

এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বিষয়:

দামসোনা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত