নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম ভেঙে করনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথক করা হচ্ছে। আগামী জুলাই থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘আয়কর আইন, ২০২৩: সংস্কার ও প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান এ তথ্য জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস ট্যাক্সেশন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী।
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, টক অব দ্য কান্ট্রি ট্যাক্স পলিসি এবং কর ব্যবস্থাপনা আলাদা হচ্ছে। এটা এত দিন অনুমান ছিল। এটা বাস্তবে রূপ পাচ্ছে।
আবদুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাকে গতকালও ডেকেছেন এবং বলেছেন ঈদের আগেই পাশ হবে। আর আগামী পয়লা জুলাই থেকেই এটা অপারেশনে যাবে। উনি এটা চাচ্ছেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা অপারেশনে যাই।
বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এর যে কাঠামো, সফটওয়্যার, সেটা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। সেটা যদি আমরা দৌড়ে করতে পারি, তাহলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমরা সেদিকে আগাচ্ছি।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। এখন আমরা আইনের একটা খসড়া করেছি। আইনটাও আমরা অচিরেই উপদেষ্টা পরিষদে উঠবে এবং জারি হবে। সেখানে বিশদভাবে আমরা যে জিনিসটা চাচ্ছি, বা সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা হলো রাজস্ব নীতি একটা বিভাগ হবে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, যেটা আমাদের প্রধান কাজ, আইন প্রয়োগ করা, সেটার জন্য আলাদা একটা বিভাগ হবে। এই দুটো বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কিছু সমন্বয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কিছু বাইরের লোকও থাকবে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরাই এই কাজগুলো করবেন। তার সঙ্গে অন্যান্য লোকও থাকবেন। এভাবে আমরা এটাকে ডিজাইন করেছি। এটা হলে আমরা যাঁরা রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, তাঁরা আইনে যা আছে, তা প্রয়োগের দিকে মনোযোগী হতে পারব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কর কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আমাদের দেশের কর-জিডিপি অনুপাত খুবই কম, যা ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ, আমাদের অনেক বেশি কর অব্যাহতি দিতে হয়। যার কারণে আমাদের করব্যয় অনেক বেশি।’
তিনি আরও বলেন, প্রত্যক্ষ করের গড় হার ১০ শতাংশ অনুমানের ভিত্তিতে আমাদের জিডিপির প্রায় ৭০ শতাংশ প্রত্যক্ষ করের আওতার বাইরে। আমাদের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আধিক্য বেশি, যা জিডিপির প্রায় ৩৭ শতাংশ। আয়কর আহরণে উৎসে করের ওপর নির্ভরশীলতা বেশি।
কর কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ মামুন বলেন, এসব অসংগতি দূর করার জন্য চারটি ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন। এগুলো হলো প্রশাসনিক সংস্কার, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর আয়কর বিভাগ বিনির্মাণের সংস্কার, আইন ও বিধি সংস্কার এবং সকল অংশীজনের দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার প্রয়োজন।
আয়কর আইনের অসংগতির বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কারণ চিহ্নিত করলেও একবারে সমস্যার সমাধান করতে পারব না। কারণ, সমস্যার সমাধান করলে আমাদের যে পরিমাণ রাজস্ব কমবে, তা কাভার করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘যে কথাটি উঠে এসেছে কর-জিডিপির হার অত্যন্ত কম, এটা সত্য কথা। আমাদের জিডিপির হিসাব কষা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। যেহেতু আমরা সরকারি কাজ করি। সরকারের একটা বিভাগের তথ্যের সত্যতা নিয়ে আরেকটা বিভাগের প্রশ্ন উত্থাপন করা ঠিক নয়। আমি নিজে সেগুলো নিয়ে কাজ করিনি। তাই বলতে চাই না। তবে অনেকেই বলেন, জিডিপির হিসাব অতিরঞ্জিত থাকতে পারে। যতই বাড়িয়ে বলা হোক, তারপরও আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত যেটা, সেটা নিয়ে খুশি হওয়ার সুযোগ নেই।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের দেশের জনগণের অনেক চাহিদা। আমাদের জনবহুল দেশে অবকাঠামো নির্মাণের চাহিদা, সাধারণ মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্যে যে পরিমাণ ব্যয় করার কথা, সেই পরিমাণ রাজস্ব আহরণ আমরা করতে পারছি না। এই সত্যটা স্বীকার করে নিতে হবে।’
কর অব্যাহতিকে রাজস্ব কম আহরণের বড় কারণ উল্লেখ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতিটা চর্চা করছি। এখান থেকে আমাদের ধীরে ধীরে বের হতে হবে।’
কর অব্যাহতি দেওয়ার কারণ ছিল জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের নিজেদের তেমন কোনো পুঁজি তৈরি হয়নি। স্বাভাবিকভাবে আমরা বিদেশি পুঁজি আকৃষ্ট করার জন্য নানা রকমভাবে প্রণোদনা দিয়েছি। আমাদের ধারণা ছিল, কর অব্যাহতি দিলেই অনেক পুঁজি বাংলাদেশে চলে আসবে।’
ব্যবসায়ীরা প্রকৃতপক্ষে কর দিতে ভয় পান না বলে প্রশংসাও করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সে (ব্যবসায়ী) যদি ব্যবসা করে, মুনাফা হয়, তার কিছু অংশ সরকারকে দেবে, সেটা হিসাব করেই ব্যবসায় নামে।’
বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বড় না হওয়ার কারণ তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের এফডিআইয়ের যে ফ্লো, তা আমাদের প্রতিযোগিতামূলক দেশের সঙ্গে তুলনাযোগ্য নয়। এর কারণ, এখানে সুশাসনের অভাব। এখানে গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা যদি বলি কর দিতে হবে না। উল্টো আমরা সরকারি কোষাগার থেকে প্রণোদনা দেব, তারপরও এখানে বিনিয়োগ আসবে কি না সন্দেহ। কারণ, তাদের যে ধরনের সেবা প্রয়োজন, সেটা ঠিকমতো দিতে পারি না। এটাই হলো মূল বিষয়। আইনের শাসন একেবারেই অনুপস্থিত। আমাদের যা আইনকানুন আছে, তা প্রয়োগ করতে আমরা অত্যন্ত দুর্বল। সেটা অনিশ্চিত, প্রত্যেক জায়গায়। উন্নত, সভ্য দেশের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য এই জায়গায়।’
দেশের করজাল একেবারেই ছোট নয় জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের যাঁরা করদাতা নন, তাঁরাও কর দেন। গৃহিণী, ছাত্রছাত্রী, তাঁরাও কিন্তু ব্যাংকে টাকা রাখেন। তাঁদের মুনাফা থেকেও আমরা কর নিয়ে নিই। তাঁরা আমাদের নেটের বাইরের কথা। এটা আয়করের কথা। আর যদি পরোক্ষ করের কথা বলি, তাহলে এখনো বাংলাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যা আদায় করে, তার দুই-তৃতীয়াংশ আসে পরোক্ষ কর থেকে। তার মানে এখনো গরিব মানুষেরা বাংলাদেশে কর দেয়। এটাই সত্য।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ৫৩ বছর ধরে ঘাটতি বাজেট করছি। আমাদের প্রচুর ঋণ হয়েছে। সেই ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করা জাতি হিসেবে ইতিমধ্যে আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে সুন্দর জীবন দিতে চাই, তাহলে রাজস্ব বাড়িয়ে আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।’
রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য আইনের প্রয়োগের ওপর জোর দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা বৈষম্যহীনভাবে, সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করতে পারি। যার যতটুকু আয়, ততটুকু আদায় করতে পারতাম, তাহলে আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ত। এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এখানে ফোকাস করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, ব্যবসার পরিধি অনুযায়ী উৎসে কর নির্ধারণ করা হয়। সব ব্যবসার আয় ও মুনাফা একরকম নয়। মুনাফার ভিত্তিতে আমরা উৎসে কর বিভিন্নরকম করেছি। এগুলোর পুনর্বিবেচনা করা হবে।

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম ভেঙে করনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথক করা হচ্ছে। আগামী জুলাই থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘আয়কর আইন, ২০২৩: সংস্কার ও প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান এ তথ্য জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস ট্যাক্সেশন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী।
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, টক অব দ্য কান্ট্রি ট্যাক্স পলিসি এবং কর ব্যবস্থাপনা আলাদা হচ্ছে। এটা এত দিন অনুমান ছিল। এটা বাস্তবে রূপ পাচ্ছে।
আবদুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাকে গতকালও ডেকেছেন এবং বলেছেন ঈদের আগেই পাশ হবে। আর আগামী পয়লা জুলাই থেকেই এটা অপারেশনে যাবে। উনি এটা চাচ্ছেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা অপারেশনে যাই।
বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এর যে কাঠামো, সফটওয়্যার, সেটা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। সেটা যদি আমরা দৌড়ে করতে পারি, তাহলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমরা সেদিকে আগাচ্ছি।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। এখন আমরা আইনের একটা খসড়া করেছি। আইনটাও আমরা অচিরেই উপদেষ্টা পরিষদে উঠবে এবং জারি হবে। সেখানে বিশদভাবে আমরা যে জিনিসটা চাচ্ছি, বা সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা হলো রাজস্ব নীতি একটা বিভাগ হবে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, যেটা আমাদের প্রধান কাজ, আইন প্রয়োগ করা, সেটার জন্য আলাদা একটা বিভাগ হবে। এই দুটো বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কিছু সমন্বয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কিছু বাইরের লোকও থাকবে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরাই এই কাজগুলো করবেন। তার সঙ্গে অন্যান্য লোকও থাকবেন। এভাবে আমরা এটাকে ডিজাইন করেছি। এটা হলে আমরা যাঁরা রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, তাঁরা আইনে যা আছে, তা প্রয়োগের দিকে মনোযোগী হতে পারব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কর কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আমাদের দেশের কর-জিডিপি অনুপাত খুবই কম, যা ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ, আমাদের অনেক বেশি কর অব্যাহতি দিতে হয়। যার কারণে আমাদের করব্যয় অনেক বেশি।’
তিনি আরও বলেন, প্রত্যক্ষ করের গড় হার ১০ শতাংশ অনুমানের ভিত্তিতে আমাদের জিডিপির প্রায় ৭০ শতাংশ প্রত্যক্ষ করের আওতার বাইরে। আমাদের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আধিক্য বেশি, যা জিডিপির প্রায় ৩৭ শতাংশ। আয়কর আহরণে উৎসে করের ওপর নির্ভরশীলতা বেশি।
কর কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ মামুন বলেন, এসব অসংগতি দূর করার জন্য চারটি ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন। এগুলো হলো প্রশাসনিক সংস্কার, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর আয়কর বিভাগ বিনির্মাণের সংস্কার, আইন ও বিধি সংস্কার এবং সকল অংশীজনের দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার প্রয়োজন।
আয়কর আইনের অসংগতির বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কারণ চিহ্নিত করলেও একবারে সমস্যার সমাধান করতে পারব না। কারণ, সমস্যার সমাধান করলে আমাদের যে পরিমাণ রাজস্ব কমবে, তা কাভার করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘যে কথাটি উঠে এসেছে কর-জিডিপির হার অত্যন্ত কম, এটা সত্য কথা। আমাদের জিডিপির হিসাব কষা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। যেহেতু আমরা সরকারি কাজ করি। সরকারের একটা বিভাগের তথ্যের সত্যতা নিয়ে আরেকটা বিভাগের প্রশ্ন উত্থাপন করা ঠিক নয়। আমি নিজে সেগুলো নিয়ে কাজ করিনি। তাই বলতে চাই না। তবে অনেকেই বলেন, জিডিপির হিসাব অতিরঞ্জিত থাকতে পারে। যতই বাড়িয়ে বলা হোক, তারপরও আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত যেটা, সেটা নিয়ে খুশি হওয়ার সুযোগ নেই।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের দেশের জনগণের অনেক চাহিদা। আমাদের জনবহুল দেশে অবকাঠামো নির্মাণের চাহিদা, সাধারণ মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্যে যে পরিমাণ ব্যয় করার কথা, সেই পরিমাণ রাজস্ব আহরণ আমরা করতে পারছি না। এই সত্যটা স্বীকার করে নিতে হবে।’
কর অব্যাহতিকে রাজস্ব কম আহরণের বড় কারণ উল্লেখ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতিটা চর্চা করছি। এখান থেকে আমাদের ধীরে ধীরে বের হতে হবে।’
কর অব্যাহতি দেওয়ার কারণ ছিল জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের নিজেদের তেমন কোনো পুঁজি তৈরি হয়নি। স্বাভাবিকভাবে আমরা বিদেশি পুঁজি আকৃষ্ট করার জন্য নানা রকমভাবে প্রণোদনা দিয়েছি। আমাদের ধারণা ছিল, কর অব্যাহতি দিলেই অনেক পুঁজি বাংলাদেশে চলে আসবে।’
ব্যবসায়ীরা প্রকৃতপক্ষে কর দিতে ভয় পান না বলে প্রশংসাও করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সে (ব্যবসায়ী) যদি ব্যবসা করে, মুনাফা হয়, তার কিছু অংশ সরকারকে দেবে, সেটা হিসাব করেই ব্যবসায় নামে।’
বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বড় না হওয়ার কারণ তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের এফডিআইয়ের যে ফ্লো, তা আমাদের প্রতিযোগিতামূলক দেশের সঙ্গে তুলনাযোগ্য নয়। এর কারণ, এখানে সুশাসনের অভাব। এখানে গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা যদি বলি কর দিতে হবে না। উল্টো আমরা সরকারি কোষাগার থেকে প্রণোদনা দেব, তারপরও এখানে বিনিয়োগ আসবে কি না সন্দেহ। কারণ, তাদের যে ধরনের সেবা প্রয়োজন, সেটা ঠিকমতো দিতে পারি না। এটাই হলো মূল বিষয়। আইনের শাসন একেবারেই অনুপস্থিত। আমাদের যা আইনকানুন আছে, তা প্রয়োগ করতে আমরা অত্যন্ত দুর্বল। সেটা অনিশ্চিত, প্রত্যেক জায়গায়। উন্নত, সভ্য দেশের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য এই জায়গায়।’
দেশের করজাল একেবারেই ছোট নয় জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের যাঁরা করদাতা নন, তাঁরাও কর দেন। গৃহিণী, ছাত্রছাত্রী, তাঁরাও কিন্তু ব্যাংকে টাকা রাখেন। তাঁদের মুনাফা থেকেও আমরা কর নিয়ে নিই। তাঁরা আমাদের নেটের বাইরের কথা। এটা আয়করের কথা। আর যদি পরোক্ষ করের কথা বলি, তাহলে এখনো বাংলাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যা আদায় করে, তার দুই-তৃতীয়াংশ আসে পরোক্ষ কর থেকে। তার মানে এখনো গরিব মানুষেরা বাংলাদেশে কর দেয়। এটাই সত্য।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ৫৩ বছর ধরে ঘাটতি বাজেট করছি। আমাদের প্রচুর ঋণ হয়েছে। সেই ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করা জাতি হিসেবে ইতিমধ্যে আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে সুন্দর জীবন দিতে চাই, তাহলে রাজস্ব বাড়িয়ে আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।’
রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য আইনের প্রয়োগের ওপর জোর দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা বৈষম্যহীনভাবে, সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করতে পারি। যার যতটুকু আয়, ততটুকু আদায় করতে পারতাম, তাহলে আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ত। এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এখানে ফোকাস করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, ব্যবসার পরিধি অনুযায়ী উৎসে কর নির্ধারণ করা হয়। সব ব্যবসার আয় ও মুনাফা একরকম নয়। মুনাফার ভিত্তিতে আমরা উৎসে কর বিভিন্নরকম করেছি। এগুলোর পুনর্বিবেচনা করা হবে।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম ভেঙে করনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথক করা হচ্ছে। আগামী জুলাই থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
১২ মার্চ ২০২৫
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম ভেঙে করনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথক করা হচ্ছে। আগামী জুলাই থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
১২ মার্চ ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম ভেঙে করনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথক করা হচ্ছে। আগামী জুলাই থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
১২ মার্চ ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম ভেঙে করনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথক করা হচ্ছে। আগামী জুলাই থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
১২ মার্চ ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে