নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এখনো অনেক স্থানেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকিতেও বিষয়টি ওঠে এসেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ সংকট রয়েছে। এ সংকট কেটে যেতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হয়েছে ১৯৮-২১০ টাকায়। আর নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৯৮ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল আজ রোববার ১৮০-১৮২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা দুই দিন আগে ছিল ১৮৪-১৮৬ টাকা। অথচ নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৮০ টাকা। তবে পাম তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় বাজারে তা নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকার দোহারের কার্তিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান গতকাল শনিবার ফ্রেশ ব্যান্ডের সয়াবিন তেল এক লিটার সয়াবিন ২০০ টাকায় কেনেন। অথচ বোতলের গায়ে দাম লেখা ১৬০ টাকা। তিনি বলেন, বোতলের গায়ে ১৬০ টাকা লেখা থাকলেও দোকানি ২০০ টাকার কমে বিক্রি করবে না। বাধ্য হয়ে ২০০ টাকাতেই কেনেন।
এ দিকে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকট কাটতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। পাইকারি এবং কিছু খুচরা বিক্রেতার কাছে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ রোববার পর্যন্ত সবার কাছে তেল সরবরাহ হয়নি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স মাহমুদ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাসুদুর রহমান বলেন, বাজারে সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে কিছু বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যান্য কোম্পানির প্রতিনিধিরা অর্ডার নেওয়া শুরু করেছেন। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজারের মুদি দোকানি আবুল কালাম জানান, এই বাজারে কোনো দোকানেই তেল নেই। দু-একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেও কবে নাগাদ তেল সরবরাহ দেওয়া হবে সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি তাঁরা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা, নিউমার্কেট, আজিমপুর, লালবাগ, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেল সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নিউমার্কেটের মুদি দোকানি সারোয়ার আলম জানান, ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তেল সরবরাহ পাওয়া যায়নি।
ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীরা বলছে, তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ঈদের পর। বোতলজাত তেল প্যাকিং করতে বেশি সংখ্যক লোকবলের প্রয়োজন হয়। ঈদের ছুটিতে শ্রমিকেরা বাড়ি চলে গেছেন। ছুটি কাটিয়ে শ্রমিকেরা কেবল কর্মস্থলে আসতে শুরু করেছেন। প্রতিটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে প্যাকেজিংয়ের কাজ পুরোদমে চলছে। সব মিলে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও তিন-চার দিন লাগবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের (বিএওএল) অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা দিদার মো. দবিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত শনিবার কারখানা খোলা হয়েছে। আজ থেকে প্যাকেজিং কাজ শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে শ্রমিকেরা আসতে শুরু করেছে। দুই-চার দিনের মধ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৮২ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৮৪-১৮৬ টাকা। প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৭-১৭০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ১৬৫-১৭০ টাকায়। এক লিটার তেল বিক্রি হয়েছে ১৯৮-২১০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০-১৭০ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ৯৮০-৯৮৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫০-৭৬০ টাকা।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেন, দুদিন ধরে পাইকারি পর্যায়ে খোলা ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এটি হতে আরও দুই-তিন দিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, ‘আগে সেকেন্ডারি মার্কেটে ভোজ্যতেলের বড় একটি অংশ মজুত থাকত। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাজার ওঠানামা করত। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালানোর পর পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা মিলারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এখন বাজারে দাম কম-বেশি হওয়া মূলত মিলারদের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’

এখনো অনেক স্থানেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকিতেও বিষয়টি ওঠে এসেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ সংকট রয়েছে। এ সংকট কেটে যেতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হয়েছে ১৯৮-২১০ টাকায়। আর নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৯৮ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল আজ রোববার ১৮০-১৮২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা দুই দিন আগে ছিল ১৮৪-১৮৬ টাকা। অথচ নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৮০ টাকা। তবে পাম তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় বাজারে তা নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকার দোহারের কার্তিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান গতকাল শনিবার ফ্রেশ ব্যান্ডের সয়াবিন তেল এক লিটার সয়াবিন ২০০ টাকায় কেনেন। অথচ বোতলের গায়ে দাম লেখা ১৬০ টাকা। তিনি বলেন, বোতলের গায়ে ১৬০ টাকা লেখা থাকলেও দোকানি ২০০ টাকার কমে বিক্রি করবে না। বাধ্য হয়ে ২০০ টাকাতেই কেনেন।
এ দিকে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকট কাটতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। পাইকারি এবং কিছু খুচরা বিক্রেতার কাছে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ রোববার পর্যন্ত সবার কাছে তেল সরবরাহ হয়নি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স মাহমুদ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাসুদুর রহমান বলেন, বাজারে সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে কিছু বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যান্য কোম্পানির প্রতিনিধিরা অর্ডার নেওয়া শুরু করেছেন। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজারের মুদি দোকানি আবুল কালাম জানান, এই বাজারে কোনো দোকানেই তেল নেই। দু-একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেও কবে নাগাদ তেল সরবরাহ দেওয়া হবে সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি তাঁরা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা, নিউমার্কেট, আজিমপুর, লালবাগ, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেল সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নিউমার্কেটের মুদি দোকানি সারোয়ার আলম জানান, ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তেল সরবরাহ পাওয়া যায়নি।
ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীরা বলছে, তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ঈদের পর। বোতলজাত তেল প্যাকিং করতে বেশি সংখ্যক লোকবলের প্রয়োজন হয়। ঈদের ছুটিতে শ্রমিকেরা বাড়ি চলে গেছেন। ছুটি কাটিয়ে শ্রমিকেরা কেবল কর্মস্থলে আসতে শুরু করেছেন। প্রতিটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে প্যাকেজিংয়ের কাজ পুরোদমে চলছে। সব মিলে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও তিন-চার দিন লাগবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের (বিএওএল) অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা দিদার মো. দবিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত শনিবার কারখানা খোলা হয়েছে। আজ থেকে প্যাকেজিং কাজ শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে শ্রমিকেরা আসতে শুরু করেছে। দুই-চার দিনের মধ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৮২ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৮৪-১৮৬ টাকা। প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৭-১৭০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ১৬৫-১৭০ টাকায়। এক লিটার তেল বিক্রি হয়েছে ১৯৮-২১০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০-১৭০ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ৯৮০-৯৮৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫০-৭৬০ টাকা।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেন, দুদিন ধরে পাইকারি পর্যায়ে খোলা ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এটি হতে আরও দুই-তিন দিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, ‘আগে সেকেন্ডারি মার্কেটে ভোজ্যতেলের বড় একটি অংশ মজুত থাকত। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাজার ওঠানামা করত। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালানোর পর পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা মিলারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এখন বাজারে দাম কম-বেশি হওয়া মূলত মিলারদের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেআসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকট কাটতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। পাইকারি এবং কিছু খুচরা বিক্রেতার কাছে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ রোববার পর্যন্ত সবার কাছে তেল সরবরাহ হয়নি।
০৮ মে ২০২২
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকট কাটতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। পাইকারি এবং কিছু খুচরা বিক্রেতার কাছে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ রোববার পর্যন্ত সবার কাছে তেল সরবরাহ হয়নি।
০৮ মে ২০২২
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকট কাটতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। পাইকারি এবং কিছু খুচরা বিক্রেতার কাছে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ রোববার পর্যন্ত সবার কাছে তেল সরবরাহ হয়নি।
০৮ মে ২০২২
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকট কাটতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। পাইকারি এবং কিছু খুচরা বিক্রেতার কাছে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ রোববার পর্যন্ত সবার কাছে তেল সরবরাহ হয়নি।
০৮ মে ২০২২
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে