রেজাউর রহিম, ঢাকা

আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে সরকার। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের চাহিদা আছে—এমন দেশের দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলে রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র।
দক্ষিণ আমেরিকার বড় দেশ ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিপুল চাহিদা আছে। এ ছাড়া দেশটিতে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, জুতা, মাছসহ বেশ কিছু বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে। তবে অত্যধিক শুল্কের কারণে দেশটিতে বাংলাদেশ সেভাবে পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না। এদিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় রপ্তানি বাড়াতে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর বাণিজ্য জোট মারকোসুরের যৌথ কাস্টমস ইউনিয়ন।
ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর বাণিজ্য জোট ‘মারকোসুর’ এর সদস্য। এ জোটের যৌথ কাস্টমস ইউনিয়নের মাধ্যমে ব্রাজিলের বৈদেশিক বাণিজ্যের একটি বড় অংশ পরিচালিত হয়। এই কাস্টমস ইউনিয়নের কারণে ব্রাজিলের সঙ্গে এককভাবে বাণিজ্য চুক্তি করার সুযোগ অপেক্ষাকৃত কঠিন। এই জোটের পূর্ণ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যা প্রায় ৩০ কেটি। দেশগুলোর গড় মাথাপিছু আয় প্রায় ১০ হাজার ডলার।
তবে মারকোসুর জোটের সঙ্গে কোনো চুক্তি করা সম্ভব হলে ব্রাজিলের পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে জোটের অন্য সদস্য—আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতেও রপ্তানি সম্প্রসারণ সম্ভব হবে। এ ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু ও সুরিনাম এ জোটের সহযোগী সদস্য।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী। তবে ব্রাজিল তাদের দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সে দেশ থেকে গরুর মাংস, পোলট্রিসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানির শর্ত দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে আমাদের দেশের গরু পালন এবং পোলট্রি শিল্পের স্বার্থের বিষয় জড়িত। এসব বিষয় নিয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট মারকোসুরের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর যৌথ কাস্টমস ইউনিয়নের কারণে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা রয়েছে। তিনি বলেন, এ জন্য আমরা ‘মারকোসুর’-এর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য বেশ আগে থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে মহামারি করোনার কারণে বিষয়টি বিলম্বিত হয়েছে। এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা কমে আসায় আমরা এ বিষয়ে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি।
জানা গেছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্রাজিলে ১৭৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ১৫২০ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ হতে পারে বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনাময় বড় বাজার। আর ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য বৃদ্ধির বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। তবে উচ্চ শুল্কহারের কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আশানুরূপভাবে রপ্তানি হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে, তা সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
এদিকে সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়া তাবাজারা ডি ওলিভেরিয়া জুনিয়র পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁর দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে চায় বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে তাঁর দেশের ব্যবসায়ী-আমদানিকারকদের আগ্রহের কথাও জানান তিনি।
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকেরা জানান, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং রপ্তানিতে বড় বাধা উচ্চ হারের শুল্ক। বর্তমানে ব্রাজিলে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এই উচ্চ শুল্কহার কমানো হলে দেশটিতে রপ্তানি বাড়বে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ব্রাজিলের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদেরও আগ্রহ রয়েছে বলে জানান তাঁরা। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-রপ্তানিকারকদের দিক থেকে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
এদিকে ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও ‘অ্যাপারেলস ডিপ্লোমেসি’ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রপ্তানিকারকেরা। ব্রাজিলের ব্যাপারে রপ্তানিকারকদের আগ্রহ বেশি। তবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে দুই দেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। রপ্তানির পাশাপাশি ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করানো সম্ভব হলে রপ্তানি ও কর্মসংস্থান বাড়বে, যা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতের ক্ষেত্রে ইতিবাচক হবে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে আমরা বেশ আগে থেকেই লাতিন আমেরিকার ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকোসহ বিভিন্ন দেশের আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তবে শুল্কজনিত বাধা এবং অতিরিক্ত শুল্কের কারণে এসব দেশে রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।’
ব্রাজিলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সহসভাপতি আরও বলেন, ‘ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের বাণিজ্য জোট মারকোসুরের যৌথ কাস্টমস ইউনিয়নের একটি বড় বাধা রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে এ বাধা অতিক্রমের জন্য “অ্যাপারেলস ডিপ্লোমেসি” চালানো হচ্ছে। তবে বিষয়টিতে সরকারের জরুরি কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এই বাজারও বিশেষ সুবিধার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। অবশ্য এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি (অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা) সুবিধা বন্ধ রেখেছে। আর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে জিএসপি সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বহাল থাকলেও তার পর থেকে এসব দেশে পণ্য রপ্তানিতে সুবিধা পেতে হলে বাংলাদেশকে ‘জিএসপি প্লাস’-এর বেশ কিছু কঠিন শর্ত পরিপালন করতে হবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে সরকার। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের চাহিদা আছে—এমন দেশের দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলে রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র।
দক্ষিণ আমেরিকার বড় দেশ ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিপুল চাহিদা আছে। এ ছাড়া দেশটিতে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, জুতা, মাছসহ বেশ কিছু বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে। তবে অত্যধিক শুল্কের কারণে দেশটিতে বাংলাদেশ সেভাবে পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না। এদিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় রপ্তানি বাড়াতে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর বাণিজ্য জোট মারকোসুরের যৌথ কাস্টমস ইউনিয়ন।
ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর বাণিজ্য জোট ‘মারকোসুর’ এর সদস্য। এ জোটের যৌথ কাস্টমস ইউনিয়নের মাধ্যমে ব্রাজিলের বৈদেশিক বাণিজ্যের একটি বড় অংশ পরিচালিত হয়। এই কাস্টমস ইউনিয়নের কারণে ব্রাজিলের সঙ্গে এককভাবে বাণিজ্য চুক্তি করার সুযোগ অপেক্ষাকৃত কঠিন। এই জোটের পূর্ণ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যা প্রায় ৩০ কেটি। দেশগুলোর গড় মাথাপিছু আয় প্রায় ১০ হাজার ডলার।
তবে মারকোসুর জোটের সঙ্গে কোনো চুক্তি করা সম্ভব হলে ব্রাজিলের পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে জোটের অন্য সদস্য—আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতেও রপ্তানি সম্প্রসারণ সম্ভব হবে। এ ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু ও সুরিনাম এ জোটের সহযোগী সদস্য।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী। তবে ব্রাজিল তাদের দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সে দেশ থেকে গরুর মাংস, পোলট্রিসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানির শর্ত দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে আমাদের দেশের গরু পালন এবং পোলট্রি শিল্পের স্বার্থের বিষয় জড়িত। এসব বিষয় নিয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট মারকোসুরের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর যৌথ কাস্টমস ইউনিয়নের কারণে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা রয়েছে। তিনি বলেন, এ জন্য আমরা ‘মারকোসুর’-এর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য বেশ আগে থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে মহামারি করোনার কারণে বিষয়টি বিলম্বিত হয়েছে। এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা কমে আসায় আমরা এ বিষয়ে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি।
জানা গেছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্রাজিলে ১৭৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ১৫২০ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ হতে পারে বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনাময় বড় বাজার। আর ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য বৃদ্ধির বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। তবে উচ্চ শুল্কহারের কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আশানুরূপভাবে রপ্তানি হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে, তা সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
এদিকে সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়া তাবাজারা ডি ওলিভেরিয়া জুনিয়র পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁর দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে চায় বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে তাঁর দেশের ব্যবসায়ী-আমদানিকারকদের আগ্রহের কথাও জানান তিনি।
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকেরা জানান, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং রপ্তানিতে বড় বাধা উচ্চ হারের শুল্ক। বর্তমানে ব্রাজিলে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এই উচ্চ শুল্কহার কমানো হলে দেশটিতে রপ্তানি বাড়বে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ব্রাজিলের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদেরও আগ্রহ রয়েছে বলে জানান তাঁরা। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-রপ্তানিকারকদের দিক থেকে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
এদিকে ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও ‘অ্যাপারেলস ডিপ্লোমেসি’ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রপ্তানিকারকেরা। ব্রাজিলের ব্যাপারে রপ্তানিকারকদের আগ্রহ বেশি। তবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে দুই দেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। রপ্তানির পাশাপাশি ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করানো সম্ভব হলে রপ্তানি ও কর্মসংস্থান বাড়বে, যা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতের ক্ষেত্রে ইতিবাচক হবে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে আমরা বেশ আগে থেকেই লাতিন আমেরিকার ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকোসহ বিভিন্ন দেশের আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তবে শুল্কজনিত বাধা এবং অতিরিক্ত শুল্কের কারণে এসব দেশে রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।’
ব্রাজিলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সহসভাপতি আরও বলেন, ‘ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের বাণিজ্য জোট মারকোসুরের যৌথ কাস্টমস ইউনিয়নের একটি বড় বাধা রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে এ বাধা অতিক্রমের জন্য “অ্যাপারেলস ডিপ্লোমেসি” চালানো হচ্ছে। তবে বিষয়টিতে সরকারের জরুরি কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এই বাজারও বিশেষ সুবিধার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। অবশ্য এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি (অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা) সুবিধা বন্ধ রেখেছে। আর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে জিএসপি সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বহাল থাকলেও তার পর থেকে এসব দেশে পণ্য রপ্তানিতে সুবিধা পেতে হলে বাংলাদেশকে ‘জিএসপি প্লাস’-এর বেশ কিছু কঠিন শর্ত পরিপালন করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে সরকার। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের চাহিদা আছে—এমন দেশের দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলে রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ ন
০৩ ডিসেম্বর ২০২১
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে সরকার। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের চাহিদা আছে—এমন দেশের দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলে রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ ন
০৩ ডিসেম্বর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে সরকার। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের চাহিদা আছে—এমন দেশের দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলে রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ ন
০৩ ডিসেম্বর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে সরকার। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের চাহিদা আছে—এমন দেশের দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে লাতিন আমেরিকার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলে রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ ন
০৩ ডিসেম্বর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগে