এসএমই খাত
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের মাধ্যমে শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই অর্জন করছেন না; বরং দেশীয় প্রবৃদ্ধি, লৈঙ্গিক সমতা ও সামাজিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রতিকূল আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, পারিবারিক চাপে কিংবা ধর্মীয় কুসংস্কার ছাপিয়ে নারী উদ্যোক্তারা যে সাহস ও দৃঢ়তায় ব্যবসায় এগিয়ে চলেছেন, তা দেশীয় অর্থনীতির গতিপথে নতুন মাত্রা যুক্ত করছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬.৪৭ শতাংশ নারীদের মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা সৃষ্টির হারে নারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬.৬৭ শতাংশই নারী, যাঁদের বড় অংশ জড়িত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা কার্যক্রমে। এই অবদানের স্বীকৃতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পর্যালোচনা জরিপে। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ দরিদ্র হলেও এ সময়ে একজন নারীও নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় পড়েননি। বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধির ধারা।
পোশাকশিল্প থেকে শুরু করে হ্যান্ডিক্রাফটস, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ব্যাংকিং, টেলিকম—প্রায় সব খাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে সৌন্দর্যশিল্পে নারীদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি—এ খাতে প্রায় ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তাই নারী এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রেও নারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ ছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক নারী উদ্যোক্তা ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাঁশ ও মাটির তৈজসপত্র তৈরি, ব্লক ও বুটিকের মতো হস্তশিল্পে নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নতুন উদ্যোক্তার ৬০ শতাংশই নারী। ফাউন্ডেশনটি ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা সাপ্লায়ার প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, করপোরেট বায়ারের সঙ্গে সংযোগ তৈরি এবং ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ—এসব উদ্যোগ নারীদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
সমাজ বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ দক্ষতা ও সক্ষমতা তাঁদেরকে শুধু অর্থনৈতিকভাবেই সচ্ছলতা এনে দিচ্ছে না, পাশাপাশি সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব প্রদানের পথও তৈরি হচ্ছে। এভাবে তাঁরা ক্রমেই পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারও অর্জন করছেন। এ সক্ষমতা নারীর মর্যাদাকে যেমন আরও সুদৃঢ় করেছে, বিশেষ করে পরিবার ও সমাজের কাঠামোগত ব্যবস্থায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নারীরা কেবল মতপ্রকাশেই সক্রিয় নন; বরং তাঁদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্তর্দৃষ্টি অনেককে অনুপ্রাণিত করে, যা সমষ্টিগত কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে নারী নেতৃত্ব সমাজে এক নতুন মানবিক ও সমতানির্ভর দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটাতে সহায়ক হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে জানান, আসন্ন বাজেটে নারীদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে একটি বিশেষ তহবিল গঠনের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের পণ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজারজাত করতে ফাউন্ডেশন সব ধরনের সহায়তা করছে। তাঁদের স্বার্থে আমরা সরকারের কাছে আরও নীতিসহায়তা চেয়েছি। এমনকি নারী এসএমইদের ৫০ শতাংশ পণ্য সরকারকে কেনারও প্রস্তাব দিয়েছি। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে দ্রুত নারী উদ্যোক্তা আরও বাড়বে’—আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে বাস্তবতায় নানা প্রতিবন্ধকতা এখনো রয়ে গেছে। রাজশাহী উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজেটি নাজনীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক ঋণ না পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। সঠিক যোগাযোগ ছাড়া এখনো ব্যাংক থেকে সহায়তা পাওয়া যায় না।’ তিনি অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা না হওয়া পর্যন্ত পেছনে থেকে সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য ফাউন্ডেশনকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
নারী উদ্যোক্তা বিলকিছ ওয়াজি ঝিনুক তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘এ্যাপোনিয়া’র অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এসএমই ফান্ডে বরাদ্দ থাকলেও অনেক সময়ই সহায়তা পাওয়া যায় না। আবার এসএমইর সংজ্ঞা একেক মন্ত্রণালয়ে একেক রকম হওয়ায় সুবিধা পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার নীতিগত সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে, যা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি জানান, নারী উদ্যোক্তারা যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সহজে ঋণসুবিধা পান, সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংককে ঋণ বিতরণের মোট পরিমাণের অন্তত ২৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখতে বলা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ নির্ধারিত রয়েছে এসএমই খাতের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য। এই বরাদ্দের বাস্তবায়ন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং প্রতি মাসেই ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও ই-কমার্স খাতেও নারীরা উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে অনলাইন উদ্যোক্তাদের প্রায় অর্ধেকই নারী, যাঁরা ঘরে বসেই মাসে হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ প্রসঙ্গে সিপিডির বিশেষ ফেলো ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যুগের পরিবর্তনে নারীরা এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারছেন। সরকারের উচিত ইন্টারনেট সেবা আরও সহজলভ্য করা।’
এসব উদ্যোগ ও সহায়তার ফলেই ‘মাস্টারকার্ড ইনডেক্স অব উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউরস ২০২৩’-এ বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৪টি স্বল্প আয়ের দেশের মধ্যে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। দেশে বর্তমানে উদ্যোক্তার ৩১.৬ শতাংশই নারী, যা একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়।
নারীর নেতৃত্বে যে আর্থসামাজিক রূপান্তর ঘটছে, তার পেছনে এসএমই খাত একটি নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে। এখাতের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা, নীতিগত সমন্বয় এবং প্রযুক্তি সহায়তা নিশ্চিত করা গেলে, বাংলাদেশের অর্থনীতি কেবল সমৃদ্ধই হবে না; বরং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের মাধ্যমে শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই অর্জন করছেন না; বরং দেশীয় প্রবৃদ্ধি, লৈঙ্গিক সমতা ও সামাজিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রতিকূল আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, পারিবারিক চাপে কিংবা ধর্মীয় কুসংস্কার ছাপিয়ে নারী উদ্যোক্তারা যে সাহস ও দৃঢ়তায় ব্যবসায় এগিয়ে চলেছেন, তা দেশীয় অর্থনীতির গতিপথে নতুন মাত্রা যুক্ত করছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬.৪৭ শতাংশ নারীদের মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা সৃষ্টির হারে নারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬.৬৭ শতাংশই নারী, যাঁদের বড় অংশ জড়িত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা কার্যক্রমে। এই অবদানের স্বীকৃতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পর্যালোচনা জরিপে। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ দরিদ্র হলেও এ সময়ে একজন নারীও নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় পড়েননি। বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধির ধারা।
পোশাকশিল্প থেকে শুরু করে হ্যান্ডিক্রাফটস, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ব্যাংকিং, টেলিকম—প্রায় সব খাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে সৌন্দর্যশিল্পে নারীদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি—এ খাতে প্রায় ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তাই নারী এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রেও নারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ ছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক নারী উদ্যোক্তা ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাঁশ ও মাটির তৈজসপত্র তৈরি, ব্লক ও বুটিকের মতো হস্তশিল্পে নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নতুন উদ্যোক্তার ৬০ শতাংশই নারী। ফাউন্ডেশনটি ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা সাপ্লায়ার প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, করপোরেট বায়ারের সঙ্গে সংযোগ তৈরি এবং ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ—এসব উদ্যোগ নারীদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
সমাজ বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ দক্ষতা ও সক্ষমতা তাঁদেরকে শুধু অর্থনৈতিকভাবেই সচ্ছলতা এনে দিচ্ছে না, পাশাপাশি সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব প্রদানের পথও তৈরি হচ্ছে। এভাবে তাঁরা ক্রমেই পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারও অর্জন করছেন। এ সক্ষমতা নারীর মর্যাদাকে যেমন আরও সুদৃঢ় করেছে, বিশেষ করে পরিবার ও সমাজের কাঠামোগত ব্যবস্থায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নারীরা কেবল মতপ্রকাশেই সক্রিয় নন; বরং তাঁদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্তর্দৃষ্টি অনেককে অনুপ্রাণিত করে, যা সমষ্টিগত কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে নারী নেতৃত্ব সমাজে এক নতুন মানবিক ও সমতানির্ভর দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটাতে সহায়ক হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে জানান, আসন্ন বাজেটে নারীদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে একটি বিশেষ তহবিল গঠনের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের পণ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজারজাত করতে ফাউন্ডেশন সব ধরনের সহায়তা করছে। তাঁদের স্বার্থে আমরা সরকারের কাছে আরও নীতিসহায়তা চেয়েছি। এমনকি নারী এসএমইদের ৫০ শতাংশ পণ্য সরকারকে কেনারও প্রস্তাব দিয়েছি। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে দ্রুত নারী উদ্যোক্তা আরও বাড়বে’—আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে বাস্তবতায় নানা প্রতিবন্ধকতা এখনো রয়ে গেছে। রাজশাহী উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজেটি নাজনীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক ঋণ না পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। সঠিক যোগাযোগ ছাড়া এখনো ব্যাংক থেকে সহায়তা পাওয়া যায় না।’ তিনি অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা না হওয়া পর্যন্ত পেছনে থেকে সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য ফাউন্ডেশনকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
নারী উদ্যোক্তা বিলকিছ ওয়াজি ঝিনুক তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘এ্যাপোনিয়া’র অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এসএমই ফান্ডে বরাদ্দ থাকলেও অনেক সময়ই সহায়তা পাওয়া যায় না। আবার এসএমইর সংজ্ঞা একেক মন্ত্রণালয়ে একেক রকম হওয়ায় সুবিধা পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার নীতিগত সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে, যা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি জানান, নারী উদ্যোক্তারা যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সহজে ঋণসুবিধা পান, সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংককে ঋণ বিতরণের মোট পরিমাণের অন্তত ২৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখতে বলা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ নির্ধারিত রয়েছে এসএমই খাতের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য। এই বরাদ্দের বাস্তবায়ন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং প্রতি মাসেই ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও ই-কমার্স খাতেও নারীরা উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে অনলাইন উদ্যোক্তাদের প্রায় অর্ধেকই নারী, যাঁরা ঘরে বসেই মাসে হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ প্রসঙ্গে সিপিডির বিশেষ ফেলো ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যুগের পরিবর্তনে নারীরা এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারছেন। সরকারের উচিত ইন্টারনেট সেবা আরও সহজলভ্য করা।’
এসব উদ্যোগ ও সহায়তার ফলেই ‘মাস্টারকার্ড ইনডেক্স অব উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউরস ২০২৩’-এ বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৪টি স্বল্প আয়ের দেশের মধ্যে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। দেশে বর্তমানে উদ্যোক্তার ৩১.৬ শতাংশই নারী, যা একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়।
নারীর নেতৃত্বে যে আর্থসামাজিক রূপান্তর ঘটছে, তার পেছনে এসএমই খাত একটি নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে। এখাতের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা, নীতিগত সমন্বয় এবং প্রযুক্তি সহায়তা নিশ্চিত করা গেলে, বাংলাদেশের অর্থনীতি কেবল সমৃদ্ধই হবে না; বরং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে।
এসএমই খাত
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের মাধ্যমে শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই অর্জন করছেন না; বরং দেশীয় প্রবৃদ্ধি, লৈঙ্গিক সমতা ও সামাজিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রতিকূল আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, পারিবারিক চাপে কিংবা ধর্মীয় কুসংস্কার ছাপিয়ে নারী উদ্যোক্তারা যে সাহস ও দৃঢ়তায় ব্যবসায় এগিয়ে চলেছেন, তা দেশীয় অর্থনীতির গতিপথে নতুন মাত্রা যুক্ত করছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬.৪৭ শতাংশ নারীদের মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা সৃষ্টির হারে নারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬.৬৭ শতাংশই নারী, যাঁদের বড় অংশ জড়িত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা কার্যক্রমে। এই অবদানের স্বীকৃতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পর্যালোচনা জরিপে। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ দরিদ্র হলেও এ সময়ে একজন নারীও নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় পড়েননি। বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধির ধারা।
পোশাকশিল্প থেকে শুরু করে হ্যান্ডিক্রাফটস, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ব্যাংকিং, টেলিকম—প্রায় সব খাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে সৌন্দর্যশিল্পে নারীদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি—এ খাতে প্রায় ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তাই নারী এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রেও নারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ ছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক নারী উদ্যোক্তা ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাঁশ ও মাটির তৈজসপত্র তৈরি, ব্লক ও বুটিকের মতো হস্তশিল্পে নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নতুন উদ্যোক্তার ৬০ শতাংশই নারী। ফাউন্ডেশনটি ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা সাপ্লায়ার প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, করপোরেট বায়ারের সঙ্গে সংযোগ তৈরি এবং ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ—এসব উদ্যোগ নারীদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
সমাজ বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ দক্ষতা ও সক্ষমতা তাঁদেরকে শুধু অর্থনৈতিকভাবেই সচ্ছলতা এনে দিচ্ছে না, পাশাপাশি সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব প্রদানের পথও তৈরি হচ্ছে। এভাবে তাঁরা ক্রমেই পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারও অর্জন করছেন। এ সক্ষমতা নারীর মর্যাদাকে যেমন আরও সুদৃঢ় করেছে, বিশেষ করে পরিবার ও সমাজের কাঠামোগত ব্যবস্থায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নারীরা কেবল মতপ্রকাশেই সক্রিয় নন; বরং তাঁদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্তর্দৃষ্টি অনেককে অনুপ্রাণিত করে, যা সমষ্টিগত কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে নারী নেতৃত্ব সমাজে এক নতুন মানবিক ও সমতানির্ভর দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটাতে সহায়ক হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে জানান, আসন্ন বাজেটে নারীদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে একটি বিশেষ তহবিল গঠনের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের পণ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজারজাত করতে ফাউন্ডেশন সব ধরনের সহায়তা করছে। তাঁদের স্বার্থে আমরা সরকারের কাছে আরও নীতিসহায়তা চেয়েছি। এমনকি নারী এসএমইদের ৫০ শতাংশ পণ্য সরকারকে কেনারও প্রস্তাব দিয়েছি। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে দ্রুত নারী উদ্যোক্তা আরও বাড়বে’—আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে বাস্তবতায় নানা প্রতিবন্ধকতা এখনো রয়ে গেছে। রাজশাহী উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজেটি নাজনীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক ঋণ না পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। সঠিক যোগাযোগ ছাড়া এখনো ব্যাংক থেকে সহায়তা পাওয়া যায় না।’ তিনি অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা না হওয়া পর্যন্ত পেছনে থেকে সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য ফাউন্ডেশনকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
নারী উদ্যোক্তা বিলকিছ ওয়াজি ঝিনুক তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘এ্যাপোনিয়া’র অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এসএমই ফান্ডে বরাদ্দ থাকলেও অনেক সময়ই সহায়তা পাওয়া যায় না। আবার এসএমইর সংজ্ঞা একেক মন্ত্রণালয়ে একেক রকম হওয়ায় সুবিধা পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার নীতিগত সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে, যা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি জানান, নারী উদ্যোক্তারা যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সহজে ঋণসুবিধা পান, সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংককে ঋণ বিতরণের মোট পরিমাণের অন্তত ২৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখতে বলা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ নির্ধারিত রয়েছে এসএমই খাতের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য। এই বরাদ্দের বাস্তবায়ন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং প্রতি মাসেই ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও ই-কমার্স খাতেও নারীরা উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে অনলাইন উদ্যোক্তাদের প্রায় অর্ধেকই নারী, যাঁরা ঘরে বসেই মাসে হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ প্রসঙ্গে সিপিডির বিশেষ ফেলো ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যুগের পরিবর্তনে নারীরা এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারছেন। সরকারের উচিত ইন্টারনেট সেবা আরও সহজলভ্য করা।’
এসব উদ্যোগ ও সহায়তার ফলেই ‘মাস্টারকার্ড ইনডেক্স অব উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউরস ২০২৩’-এ বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৪টি স্বল্প আয়ের দেশের মধ্যে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। দেশে বর্তমানে উদ্যোক্তার ৩১.৬ শতাংশই নারী, যা একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়।
নারীর নেতৃত্বে যে আর্থসামাজিক রূপান্তর ঘটছে, তার পেছনে এসএমই খাত একটি নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে। এখাতের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা, নীতিগত সমন্বয় এবং প্রযুক্তি সহায়তা নিশ্চিত করা গেলে, বাংলাদেশের অর্থনীতি কেবল সমৃদ্ধই হবে না; বরং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের মাধ্যমে শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই অর্জন করছেন না; বরং দেশীয় প্রবৃদ্ধি, লৈঙ্গিক সমতা ও সামাজিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রতিকূল আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, পারিবারিক চাপে কিংবা ধর্মীয় কুসংস্কার ছাপিয়ে নারী উদ্যোক্তারা যে সাহস ও দৃঢ়তায় ব্যবসায় এগিয়ে চলেছেন, তা দেশীয় অর্থনীতির গতিপথে নতুন মাত্রা যুক্ত করছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬.৪৭ শতাংশ নারীদের মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা সৃষ্টির হারে নারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬.৬৭ শতাংশই নারী, যাঁদের বড় অংশ জড়িত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা কার্যক্রমে। এই অবদানের স্বীকৃতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পর্যালোচনা জরিপে। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ দরিদ্র হলেও এ সময়ে একজন নারীও নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় পড়েননি। বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধির ধারা।
পোশাকশিল্প থেকে শুরু করে হ্যান্ডিক্রাফটস, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ব্যাংকিং, টেলিকম—প্রায় সব খাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে সৌন্দর্যশিল্পে নারীদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি—এ খাতে প্রায় ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তাই নারী এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রেও নারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ ছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক নারী উদ্যোক্তা ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাঁশ ও মাটির তৈজসপত্র তৈরি, ব্লক ও বুটিকের মতো হস্তশিল্পে নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নতুন উদ্যোক্তার ৬০ শতাংশই নারী। ফাউন্ডেশনটি ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা সাপ্লায়ার প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, করপোরেট বায়ারের সঙ্গে সংযোগ তৈরি এবং ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ—এসব উদ্যোগ নারীদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
সমাজ বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ দক্ষতা ও সক্ষমতা তাঁদেরকে শুধু অর্থনৈতিকভাবেই সচ্ছলতা এনে দিচ্ছে না, পাশাপাশি সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব প্রদানের পথও তৈরি হচ্ছে। এভাবে তাঁরা ক্রমেই পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারও অর্জন করছেন। এ সক্ষমতা নারীর মর্যাদাকে যেমন আরও সুদৃঢ় করেছে, বিশেষ করে পরিবার ও সমাজের কাঠামোগত ব্যবস্থায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নারীরা কেবল মতপ্রকাশেই সক্রিয় নন; বরং তাঁদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্তর্দৃষ্টি অনেককে অনুপ্রাণিত করে, যা সমষ্টিগত কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে নারী নেতৃত্ব সমাজে এক নতুন মানবিক ও সমতানির্ভর দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটাতে সহায়ক হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে জানান, আসন্ন বাজেটে নারীদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে একটি বিশেষ তহবিল গঠনের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের পণ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজারজাত করতে ফাউন্ডেশন সব ধরনের সহায়তা করছে। তাঁদের স্বার্থে আমরা সরকারের কাছে আরও নীতিসহায়তা চেয়েছি। এমনকি নারী এসএমইদের ৫০ শতাংশ পণ্য সরকারকে কেনারও প্রস্তাব দিয়েছি। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে দ্রুত নারী উদ্যোক্তা আরও বাড়বে’—আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে বাস্তবতায় নানা প্রতিবন্ধকতা এখনো রয়ে গেছে। রাজশাহী উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজেটি নাজনীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক ঋণ না পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। সঠিক যোগাযোগ ছাড়া এখনো ব্যাংক থেকে সহায়তা পাওয়া যায় না।’ তিনি অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা না হওয়া পর্যন্ত পেছনে থেকে সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য ফাউন্ডেশনকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
নারী উদ্যোক্তা বিলকিছ ওয়াজি ঝিনুক তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘এ্যাপোনিয়া’র অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এসএমই ফান্ডে বরাদ্দ থাকলেও অনেক সময়ই সহায়তা পাওয়া যায় না। আবার এসএমইর সংজ্ঞা একেক মন্ত্রণালয়ে একেক রকম হওয়ায় সুবিধা পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার নীতিগত সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে, যা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি জানান, নারী উদ্যোক্তারা যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সহজে ঋণসুবিধা পান, সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংককে ঋণ বিতরণের মোট পরিমাণের অন্তত ২৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখতে বলা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ নির্ধারিত রয়েছে এসএমই খাতের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য। এই বরাদ্দের বাস্তবায়ন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং প্রতি মাসেই ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও ই-কমার্স খাতেও নারীরা উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে অনলাইন উদ্যোক্তাদের প্রায় অর্ধেকই নারী, যাঁরা ঘরে বসেই মাসে হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ প্রসঙ্গে সিপিডির বিশেষ ফেলো ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যুগের পরিবর্তনে নারীরা এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারছেন। সরকারের উচিত ইন্টারনেট সেবা আরও সহজলভ্য করা।’
এসব উদ্যোগ ও সহায়তার ফলেই ‘মাস্টারকার্ড ইনডেক্স অব উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউরস ২০২৩’-এ বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৪টি স্বল্প আয়ের দেশের মধ্যে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। দেশে বর্তমানে উদ্যোক্তার ৩১.৬ শতাংশই নারী, যা একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়।
নারীর নেতৃত্বে যে আর্থসামাজিক রূপান্তর ঘটছে, তার পেছনে এসএমই খাত একটি নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে। এখাতের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা, নীতিগত সমন্বয় এবং প্রযুক্তি সহায়তা নিশ্চিত করা গেলে, বাংলাদেশের অর্থনীতি কেবল সমৃদ্ধই হবে না; বরং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের মাধ্যমে শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই অর্জন করছেন না; বরং দেশীয় প্রবৃদ্ধি, লৈঙ্গিক সমতা ও সামাজিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রতিকূল আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, পারিবারিক চাপে কিংবা ধর্মীয় কুসংস্কার ছাপিয়ে নারী উদ্যোক্তারা...
২৮ মে ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের মাধ্যমে শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই অর্জন করছেন না; বরং দেশীয় প্রবৃদ্ধি, লৈঙ্গিক সমতা ও সামাজিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রতিকূল আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, পারিবারিক চাপে কিংবা ধর্মীয় কুসংস্কার ছাপিয়ে নারী উদ্যোক্তারা...
২৮ মে ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের মাধ্যমে শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই অর্জন করছেন না; বরং দেশীয় প্রবৃদ্ধি, লৈঙ্গিক সমতা ও সামাজিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রতিকূল আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, পারিবারিক চাপে কিংবা ধর্মীয় কুসংস্কার ছাপিয়ে নারী উদ্যোক্তারা...
২৮ মে ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের মাধ্যমে শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই অর্জন করছেন না; বরং দেশীয় প্রবৃদ্ধি, লৈঙ্গিক সমতা ও সামাজিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রতিকূল আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, পারিবারিক চাপে কিংবা ধর্মীয় কুসংস্কার ছাপিয়ে নারী উদ্যোক্তারা...
২৮ মে ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৩ ঘণ্টা আগে