
বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা বৈশ্বিক তৈরি পোশাকশিল্পের বাজারে ভারতের জন্য ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এমনটাই মনে করছেন ভারতের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষকেরা। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
চীনের পর বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশকে পাশ কাটাতে হলে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশসহ অন্য অনেকগুলো দেশকে ছাড়িয়ে আসতে হবে।
আমদানি-রপ্তানির তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এক্সিমপিডিয়ার হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বে পোশাকশিল্পের বাজার ছিল ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন বা দেড় লাখ কোটি মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে শীর্ষ স্থানে থাকা চীন একাই বিক্রি করেছে ১৮২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ওই বছর ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত রপ্তানি করেছিল ১৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভিয়েতনাম-তুরস্কের মতো দেশগুলোও ছিল তালিকায় ভারতের ওপরে।
ভারতের অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লালভাই গ্রুপের অরবিন্দ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান কুলীন লালভাই বলেন, ‘ (বাংলাদেশের) পরিস্থিতি ভারতের পোশাক খাতের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল মধ্যমেয়াদি সুযোগ হাজির করেছে। কারণ বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের বাইরে থেকেও বৈচিত্র্য তালাশ করতে পারে।’
দেশটির বিনিয়োগ ব্যাংক আনন্দ রথি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিচালক ভারত বিড়লা বিশ্বাস করেন, যদি বাংলাদেশে এই সংকট চলতে থাকে তাহলে ভারত পোশাক রপ্তানিতে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তি লাভ আশা করতে পারে।
এ ছাড়া, ভারতীয় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গোকুলদাশ এক্সপোর্টস লিমিটেড গত জুন প্রান্তিকে তাদের বিনিয়োগকারীদের এক বৈঠকে জানিয়েছে, বৈশ্বিক ক্রেতারা চীনের বাইরে বিকল্প উৎপাদনকেন্দ্র খুঁজছেন। এটি ভারতের মতো বড় এশীয় সরবরাহকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।
ভারতের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এলারা ক্যাপিটালের টেক্সটাইল ও রিটেল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশ্লেষক প্রেরণা ঝুনঝুনওয়ালার মতে, বৈশ্বিক ক্রেতারা হয়তো বাংলাদেশকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না বা অবিলম্বে কোনো বিকল্প খুঁজে পাবেন না। তবে তারা ‘সংকটে জর্জরিত’ দেশটির সঙ্গে অতিরিক্ত বড় ব্যবসা এড়াতে বিকল্প খুঁজতে পারেন, যা তাদের বাংলাদেশে নির্ভরতা কমাবে।
এ অবস্থায় ভারতের যেসব শহরে টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনের ভালো সক্ষমতা রয়েছে, সেখানে নতুন ক্রয়াদেশ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। বিড়লার মতে, গুজরাটের সুরাট, তামিলনাড়ুর তিরুপুর, কর্ণাটকের ইলকাল এবং মধ্য প্রদেশের চান্দেরির মতো শহরগুলো বিশেষভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ভারতভিত্তিক বহুজাতিক পোশাক বিপণন প্রতিষ্ঠান রেমন্ডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা অমিত আগরওয়াল সম্প্রতি মিন্টকে বলেছিলেন, যখনই (বাংলাদেশে) রাজনৈতিক বা কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তখন মানুষ (ক্রেতারা) আমাদের মতো একটি স্থিতিশীল বাজারে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ভাবে। তিনি বলেন, ‘আগে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো আমাদের কাপড় সেলাইয়ের জন্য বাংলাদেশে পাঠাত। তাই এখন এর একটি অংশ খুব দ্রুত আমাদের কাছে আসতে পারে। তবে এখন প্রশ্ন হলো, বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে (ভারত) কতটা সক্ষম।’
ভারত কী বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে তার পূর্বে অবস্থিত প্রতিবেশীর অস্থিরতার সুবিধা নিতে হলে পোশাক উৎপাদন সক্ষমতা সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করতে হবে। কুলীন লালভাইয়ের মতে, ইউরোপের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং তুলাভিত্তিক পোশাক উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো হলে ভারতের সক্ষমতা সম্প্রসারিত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, নতুন একটি উৎপাদন কারখানা বা অবকাঠামো স্থাপনের জন্য সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগে। এবং এই বিষয়টি বাংলাদেশকে টেক্কা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে কঠিন করে তুলতে পারে। এ ছাড়াও, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাড়তি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বাড়তি বিনিয়োগ উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে সার্বিকভাবে ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের সমস্যা অব্যাহত থাকলে ভারত সক্ষমতা বাড়িয়ে লাভবান হতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদি লাভের সুযোগ তৈরি করে দেবে। কারণ এমন পরিস্থিতি বজায় থাকলে ক্রেতারা বাংলাদেশের পরিবর্তে অন্য কোথাও থেকে পণ্য নেওয়ার জন্য আগ্রহী হতে পারে।
ভারত বিড়লা এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, সরকার ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায় না।’
প্রেরণা ঝুনঝুনওয়ালার মতে, দীর্ঘ মেয়াদে ভারত বৈশ্বিক তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারে অংশীদারত্ব বাড়াতে পারে কারণ বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়। তবে বৈশ্বিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভারতই একমাত্র বিকল্প নয়। ক্রেতারা ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো এশীয় দেশগুলোর পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা ও মেক্সিকোর মতো কাছাকাছি বিকল্পগুলোও খতিয়ে দেখবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা বৈশ্বিক তৈরি পোশাকশিল্পের বাজারে ভারতের জন্য ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এমনটাই মনে করছেন ভারতের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষকেরা। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
চীনের পর বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশকে পাশ কাটাতে হলে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশসহ অন্য অনেকগুলো দেশকে ছাড়িয়ে আসতে হবে।
আমদানি-রপ্তানির তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এক্সিমপিডিয়ার হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বে পোশাকশিল্পের বাজার ছিল ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন বা দেড় লাখ কোটি মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে শীর্ষ স্থানে থাকা চীন একাই বিক্রি করেছে ১৮২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ওই বছর ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত রপ্তানি করেছিল ১৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভিয়েতনাম-তুরস্কের মতো দেশগুলোও ছিল তালিকায় ভারতের ওপরে।
ভারতের অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লালভাই গ্রুপের অরবিন্দ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান কুলীন লালভাই বলেন, ‘ (বাংলাদেশের) পরিস্থিতি ভারতের পোশাক খাতের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল মধ্যমেয়াদি সুযোগ হাজির করেছে। কারণ বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের বাইরে থেকেও বৈচিত্র্য তালাশ করতে পারে।’
দেশটির বিনিয়োগ ব্যাংক আনন্দ রথি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিচালক ভারত বিড়লা বিশ্বাস করেন, যদি বাংলাদেশে এই সংকট চলতে থাকে তাহলে ভারত পোশাক রপ্তানিতে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তি লাভ আশা করতে পারে।
এ ছাড়া, ভারতীয় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গোকুলদাশ এক্সপোর্টস লিমিটেড গত জুন প্রান্তিকে তাদের বিনিয়োগকারীদের এক বৈঠকে জানিয়েছে, বৈশ্বিক ক্রেতারা চীনের বাইরে বিকল্প উৎপাদনকেন্দ্র খুঁজছেন। এটি ভারতের মতো বড় এশীয় সরবরাহকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।
ভারতের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এলারা ক্যাপিটালের টেক্সটাইল ও রিটেল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশ্লেষক প্রেরণা ঝুনঝুনওয়ালার মতে, বৈশ্বিক ক্রেতারা হয়তো বাংলাদেশকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না বা অবিলম্বে কোনো বিকল্প খুঁজে পাবেন না। তবে তারা ‘সংকটে জর্জরিত’ দেশটির সঙ্গে অতিরিক্ত বড় ব্যবসা এড়াতে বিকল্প খুঁজতে পারেন, যা তাদের বাংলাদেশে নির্ভরতা কমাবে।
এ অবস্থায় ভারতের যেসব শহরে টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনের ভালো সক্ষমতা রয়েছে, সেখানে নতুন ক্রয়াদেশ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। বিড়লার মতে, গুজরাটের সুরাট, তামিলনাড়ুর তিরুপুর, কর্ণাটকের ইলকাল এবং মধ্য প্রদেশের চান্দেরির মতো শহরগুলো বিশেষভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ভারতভিত্তিক বহুজাতিক পোশাক বিপণন প্রতিষ্ঠান রেমন্ডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা অমিত আগরওয়াল সম্প্রতি মিন্টকে বলেছিলেন, যখনই (বাংলাদেশে) রাজনৈতিক বা কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তখন মানুষ (ক্রেতারা) আমাদের মতো একটি স্থিতিশীল বাজারে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ভাবে। তিনি বলেন, ‘আগে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো আমাদের কাপড় সেলাইয়ের জন্য বাংলাদেশে পাঠাত। তাই এখন এর একটি অংশ খুব দ্রুত আমাদের কাছে আসতে পারে। তবে এখন প্রশ্ন হলো, বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে (ভারত) কতটা সক্ষম।’
ভারত কী বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে তার পূর্বে অবস্থিত প্রতিবেশীর অস্থিরতার সুবিধা নিতে হলে পোশাক উৎপাদন সক্ষমতা সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করতে হবে। কুলীন লালভাইয়ের মতে, ইউরোপের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং তুলাভিত্তিক পোশাক উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো হলে ভারতের সক্ষমতা সম্প্রসারিত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, নতুন একটি উৎপাদন কারখানা বা অবকাঠামো স্থাপনের জন্য সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগে। এবং এই বিষয়টি বাংলাদেশকে টেক্কা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে কঠিন করে তুলতে পারে। এ ছাড়াও, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাড়তি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বাড়তি বিনিয়োগ উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে সার্বিকভাবে ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের সমস্যা অব্যাহত থাকলে ভারত সক্ষমতা বাড়িয়ে লাভবান হতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদি লাভের সুযোগ তৈরি করে দেবে। কারণ এমন পরিস্থিতি বজায় থাকলে ক্রেতারা বাংলাদেশের পরিবর্তে অন্য কোথাও থেকে পণ্য নেওয়ার জন্য আগ্রহী হতে পারে।
ভারত বিড়লা এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, সরকার ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায় না।’
প্রেরণা ঝুনঝুনওয়ালার মতে, দীর্ঘ মেয়াদে ভারত বৈশ্বিক তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারে অংশীদারত্ব বাড়াতে পারে কারণ বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়। তবে বৈশ্বিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভারতই একমাত্র বিকল্প নয়। ক্রেতারা ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো এশীয় দেশগুলোর পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা ও মেক্সিকোর মতো কাছাকাছি বিকল্পগুলোও খতিয়ে দেখবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা বৈশ্বিক তৈরি পোশাকশিল্পের বাজারে ভারতের জন্য ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এমনটাই মনে করছেন ভারতের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষকেরা। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
চীনের পর বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশকে পাশ কাটাতে হলে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশসহ অন্য অনেকগুলো দেশকে ছাড়িয়ে আসতে হবে।
আমদানি-রপ্তানির তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এক্সিমপিডিয়ার হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বে পোশাকশিল্পের বাজার ছিল ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন বা দেড় লাখ কোটি মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে শীর্ষ স্থানে থাকা চীন একাই বিক্রি করেছে ১৮২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ওই বছর ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত রপ্তানি করেছিল ১৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভিয়েতনাম-তুরস্কের মতো দেশগুলোও ছিল তালিকায় ভারতের ওপরে।
ভারতের অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লালভাই গ্রুপের অরবিন্দ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান কুলীন লালভাই বলেন, ‘ (বাংলাদেশের) পরিস্থিতি ভারতের পোশাক খাতের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল মধ্যমেয়াদি সুযোগ হাজির করেছে। কারণ বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের বাইরে থেকেও বৈচিত্র্য তালাশ করতে পারে।’
দেশটির বিনিয়োগ ব্যাংক আনন্দ রথি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিচালক ভারত বিড়লা বিশ্বাস করেন, যদি বাংলাদেশে এই সংকট চলতে থাকে তাহলে ভারত পোশাক রপ্তানিতে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তি লাভ আশা করতে পারে।
এ ছাড়া, ভারতীয় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গোকুলদাশ এক্সপোর্টস লিমিটেড গত জুন প্রান্তিকে তাদের বিনিয়োগকারীদের এক বৈঠকে জানিয়েছে, বৈশ্বিক ক্রেতারা চীনের বাইরে বিকল্প উৎপাদনকেন্দ্র খুঁজছেন। এটি ভারতের মতো বড় এশীয় সরবরাহকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।
ভারতের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এলারা ক্যাপিটালের টেক্সটাইল ও রিটেল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশ্লেষক প্রেরণা ঝুনঝুনওয়ালার মতে, বৈশ্বিক ক্রেতারা হয়তো বাংলাদেশকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না বা অবিলম্বে কোনো বিকল্প খুঁজে পাবেন না। তবে তারা ‘সংকটে জর্জরিত’ দেশটির সঙ্গে অতিরিক্ত বড় ব্যবসা এড়াতে বিকল্প খুঁজতে পারেন, যা তাদের বাংলাদেশে নির্ভরতা কমাবে।
এ অবস্থায় ভারতের যেসব শহরে টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনের ভালো সক্ষমতা রয়েছে, সেখানে নতুন ক্রয়াদেশ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। বিড়লার মতে, গুজরাটের সুরাট, তামিলনাড়ুর তিরুপুর, কর্ণাটকের ইলকাল এবং মধ্য প্রদেশের চান্দেরির মতো শহরগুলো বিশেষভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ভারতভিত্তিক বহুজাতিক পোশাক বিপণন প্রতিষ্ঠান রেমন্ডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা অমিত আগরওয়াল সম্প্রতি মিন্টকে বলেছিলেন, যখনই (বাংলাদেশে) রাজনৈতিক বা কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তখন মানুষ (ক্রেতারা) আমাদের মতো একটি স্থিতিশীল বাজারে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ভাবে। তিনি বলেন, ‘আগে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো আমাদের কাপড় সেলাইয়ের জন্য বাংলাদেশে পাঠাত। তাই এখন এর একটি অংশ খুব দ্রুত আমাদের কাছে আসতে পারে। তবে এখন প্রশ্ন হলো, বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে (ভারত) কতটা সক্ষম।’
ভারত কী বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে তার পূর্বে অবস্থিত প্রতিবেশীর অস্থিরতার সুবিধা নিতে হলে পোশাক উৎপাদন সক্ষমতা সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করতে হবে। কুলীন লালভাইয়ের মতে, ইউরোপের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং তুলাভিত্তিক পোশাক উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো হলে ভারতের সক্ষমতা সম্প্রসারিত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, নতুন একটি উৎপাদন কারখানা বা অবকাঠামো স্থাপনের জন্য সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগে। এবং এই বিষয়টি বাংলাদেশকে টেক্কা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে কঠিন করে তুলতে পারে। এ ছাড়াও, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাড়তি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বাড়তি বিনিয়োগ উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে সার্বিকভাবে ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের সমস্যা অব্যাহত থাকলে ভারত সক্ষমতা বাড়িয়ে লাভবান হতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদি লাভের সুযোগ তৈরি করে দেবে। কারণ এমন পরিস্থিতি বজায় থাকলে ক্রেতারা বাংলাদেশের পরিবর্তে অন্য কোথাও থেকে পণ্য নেওয়ার জন্য আগ্রহী হতে পারে।
ভারত বিড়লা এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, সরকার ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায় না।’
প্রেরণা ঝুনঝুনওয়ালার মতে, দীর্ঘ মেয়াদে ভারত বৈশ্বিক তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারে অংশীদারত্ব বাড়াতে পারে কারণ বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়। তবে বৈশ্বিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভারতই একমাত্র বিকল্প নয়। ক্রেতারা ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো এশীয় দেশগুলোর পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা ও মেক্সিকোর মতো কাছাকাছি বিকল্পগুলোও খতিয়ে দেখবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা বৈশ্বিক তৈরি পোশাকশিল্পের বাজারে ভারতের জন্য ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এমনটাই মনে করছেন ভারতের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষকেরা। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
চীনের পর বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশকে পাশ কাটাতে হলে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশসহ অন্য অনেকগুলো দেশকে ছাড়িয়ে আসতে হবে।
আমদানি-রপ্তানির তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এক্সিমপিডিয়ার হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বে পোশাকশিল্পের বাজার ছিল ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন বা দেড় লাখ কোটি মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে শীর্ষ স্থানে থাকা চীন একাই বিক্রি করেছে ১৮২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ওই বছর ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত রপ্তানি করেছিল ১৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভিয়েতনাম-তুরস্কের মতো দেশগুলোও ছিল তালিকায় ভারতের ওপরে।
ভারতের অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লালভাই গ্রুপের অরবিন্দ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান কুলীন লালভাই বলেন, ‘ (বাংলাদেশের) পরিস্থিতি ভারতের পোশাক খাতের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল মধ্যমেয়াদি সুযোগ হাজির করেছে। কারণ বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের বাইরে থেকেও বৈচিত্র্য তালাশ করতে পারে।’
দেশটির বিনিয়োগ ব্যাংক আনন্দ রথি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিচালক ভারত বিড়লা বিশ্বাস করেন, যদি বাংলাদেশে এই সংকট চলতে থাকে তাহলে ভারত পোশাক রপ্তানিতে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তি লাভ আশা করতে পারে।
এ ছাড়া, ভারতীয় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গোকুলদাশ এক্সপোর্টস লিমিটেড গত জুন প্রান্তিকে তাদের বিনিয়োগকারীদের এক বৈঠকে জানিয়েছে, বৈশ্বিক ক্রেতারা চীনের বাইরে বিকল্প উৎপাদনকেন্দ্র খুঁজছেন। এটি ভারতের মতো বড় এশীয় সরবরাহকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে।
ভারতের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এলারা ক্যাপিটালের টেক্সটাইল ও রিটেল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশ্লেষক প্রেরণা ঝুনঝুনওয়ালার মতে, বৈশ্বিক ক্রেতারা হয়তো বাংলাদেশকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না বা অবিলম্বে কোনো বিকল্প খুঁজে পাবেন না। তবে তারা ‘সংকটে জর্জরিত’ দেশটির সঙ্গে অতিরিক্ত বড় ব্যবসা এড়াতে বিকল্প খুঁজতে পারেন, যা তাদের বাংলাদেশে নির্ভরতা কমাবে।
এ অবস্থায় ভারতের যেসব শহরে টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনের ভালো সক্ষমতা রয়েছে, সেখানে নতুন ক্রয়াদেশ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। বিড়লার মতে, গুজরাটের সুরাট, তামিলনাড়ুর তিরুপুর, কর্ণাটকের ইলকাল এবং মধ্য প্রদেশের চান্দেরির মতো শহরগুলো বিশেষভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ভারতভিত্তিক বহুজাতিক পোশাক বিপণন প্রতিষ্ঠান রেমন্ডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা অমিত আগরওয়াল সম্প্রতি মিন্টকে বলেছিলেন, যখনই (বাংলাদেশে) রাজনৈতিক বা কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তখন মানুষ (ক্রেতারা) আমাদের মতো একটি স্থিতিশীল বাজারে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ভাবে। তিনি বলেন, ‘আগে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো আমাদের কাপড় সেলাইয়ের জন্য বাংলাদেশে পাঠাত। তাই এখন এর একটি অংশ খুব দ্রুত আমাদের কাছে আসতে পারে। তবে এখন প্রশ্ন হলো, বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে (ভারত) কতটা সক্ষম।’
ভারত কী বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে তার পূর্বে অবস্থিত প্রতিবেশীর অস্থিরতার সুবিধা নিতে হলে পোশাক উৎপাদন সক্ষমতা সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করতে হবে। কুলীন লালভাইয়ের মতে, ইউরোপের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং তুলাভিত্তিক পোশাক উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো হলে ভারতের সক্ষমতা সম্প্রসারিত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, নতুন একটি উৎপাদন কারখানা বা অবকাঠামো স্থাপনের জন্য সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগে। এবং এই বিষয়টি বাংলাদেশকে টেক্কা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে কঠিন করে তুলতে পারে। এ ছাড়াও, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাড়তি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বাড়তি বিনিয়োগ উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে সার্বিকভাবে ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের সমস্যা অব্যাহত থাকলে ভারত সক্ষমতা বাড়িয়ে লাভবান হতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদি লাভের সুযোগ তৈরি করে দেবে। কারণ এমন পরিস্থিতি বজায় থাকলে ক্রেতারা বাংলাদেশের পরিবর্তে অন্য কোথাও থেকে পণ্য নেওয়ার জন্য আগ্রহী হতে পারে।
ভারত বিড়লা এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, সরকার ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায় না।’
প্রেরণা ঝুনঝুনওয়ালার মতে, দীর্ঘ মেয়াদে ভারত বৈশ্বিক তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারে অংশীদারত্ব বাড়াতে পারে কারণ বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়। তবে বৈশ্বিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভারতই একমাত্র বিকল্প নয়। ক্রেতারা ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো এশীয় দেশগুলোর পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা ও মেক্সিকোর মতো কাছাকাছি বিকল্পগুলোও খতিয়ে দেখবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য মিন্ট থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

চীনের পর বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশকে পাশ কাটাতে হলে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশসহ অন্য অনেকগুলো দেশকে ছাড়িয়ে আসতে হবে
১৭ আগস্ট ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

চীনের পর বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশকে পাশ কাটাতে হলে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশসহ অন্য অনেকগুলো দেশকে ছাড়িয়ে আসতে হবে
১৭ আগস্ট ২০২৪
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

চীনের পর বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশকে পাশ কাটাতে হলে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশসহ অন্য অনেকগুলো দেশকে ছাড়িয়ে আসতে হবে
১৭ আগস্ট ২০২৪
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

চীনের পর বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশকে পাশ কাটাতে হলে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশসহ অন্য অনেকগুলো দেশকে ছাড়িয়ে আসতে হবে
১৭ আগস্ট ২০২৪
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ দিন আগে