Ajker Patrika

এনবিআরের অনুসন্ধান

সামিট পাওয়ারের ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকার কর ফাঁকি

আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩: ১০
রাজধানী ঢাকার অদূরে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের আশুলিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানী ঢাকার অদূরে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের আশুলিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের কর ফাঁকির তথ্য পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। লভ্যাংশের ওপর উৎসে কর ফাঁকি এবং এর ফলে আরোপিত জরিমানার অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) অনুসন্ধানে এই কর ফাঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ৬৩ দশমিক ১৯ শতাংশ মালিকানা রয়েছে সামিট করপোরেশন লিমিটেডের কাছে। বাকি ৩৬ দশমিক ৮১ শতাংশ মালিকানা রয়েছে অন্য কোম্পানি এবং সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে।

আয়কর আইন, ২০২৩-এর ১১৭ ধারামতে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোনো কোম্পানি বা অন্য কোনো কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানের সময় উৎসে কর কাটার নিয়ম রয়েছে। সামিট পাওয়ার লিমিটেড লভ্যাংশ দেওয়ার সময় সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডারদের থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে নিয়েছে। কিন্তু একই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সামিট করপোরেশন লিমিটেডকে লভ্যাংশ দেওয়ার সময় উৎসে কর কাটেনি। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানই সামিট পাওয়ারের সর্বোচ্চ শেয়ারধারী। এর মানে সবচেয়ে বেশি কর ফাঁকি দিয়ে মুনাফা নিয়েছে।

এনবিআর আর্থিক প্রতিবেদন যাচাই করে দেখিয়েছে, সামিট পাওয়ার লিমিটেড ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ২৮ হাজার ৯২১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে শেয়ারহোল্ডারদের। এর বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে উৎসে করের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৯৫ কোটি ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৪ টাকা। তবে কোম্পানি কেবল ৩৬ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ারধারীর কাছ থেকে উৎসে কর কেটেছে ৭৬ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৩ টাকা। কিন্তু ৬৩ শতাংশের বেশি শেয়ারধারী সামিট করপোরেশন লিমিটেডের ৩১৮ কোটি ৩৪ লাখ ৫ হাজার ২৩১ টাকা উৎসে কর কাটা হয়নি।

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৫৭ ধারা এবং আয়কর আইন, ২০২৩ এর ১৪৩ ধারায় নির্দিষ্ট উৎসে কর না কাটার অপরাধে কোম্পানিকে নতুন করে ১৪৬ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৪ টাকা জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ, শুধু উৎসে কর না কেটে নেওয়ায় সামিট পাওয়ারকে ৪৬৫ কোটি ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৫ টাকা সরকারকে দিতে হবে।

শুধু সামিট পাওয়ার নয়, একই গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান সামিট করপোরেশনও কর ফাঁকি দিয়েছে। এনবিআর সূত্র জানায়, সামিট করপোরেশনের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। তিনটি কোম্পানিই সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরভিত্তিক অনিবাসী কোম্পানি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের প্রধান কার্যালয় রাজস্ব ভবন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের প্রধান কার্যালয় রাজস্ব ভবন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১৮(৩) এবং আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৭(ঘ) অনুযায়ী, বাংলাদেশের কোনো কোম্পানি থেকে দেশের বাইরে পরিশোধ করা কোনো লভ্যাংশ বাংলাদেশে অর্জিত বলে গণ্য হবে।

এনবিআর সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি (ডিটিএএ) রয়েছে। এই চুক্তির অনুচ্ছেদ-১১ এর প্যারাগ্রাফ ১ ও ২ অনুসারে লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর কেটে নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে সামিট করপোরেশন লিমিটেড থেকে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে দেওয়া লভ্যাংশের ক্ষেত্রে উৎসে কর কাটা হয়নি। এনবিআরের অনুসন্ধানে দেখানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত সামিট করপোরেশন লভ্যাংশ দিয়েছে ২ হাজার ৯১৭ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ৩৭৪ টাকা। এর প্রায় সবটাই পেয়েছে সামিট ইন্টার‍ন্যাশনাল। কারণ, ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ মালিকানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির হাতে; যাতে ৪৩৭ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫৬ টাকা উৎসে কর ফাঁকি দিয়েছে কোম্পানিটি।

আয়কর অধ্যাদেশ ও আয়কর আইন অনুযায়ী, কর ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে ২১০ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩১ টাকা জরিমানা দিতে হবে কোম্পানিকে। এ ক্ষেত্রে জরিমানাসহ কোম্পানির কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৪৭ কোটি ৭৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৭ টাকা।

সিআইসির প্রতিবেদন অনুসারে, এই কোম্পানির লভ্যাংশের ওপর মোট উৎসে কর ফাঁকির পরিমাণ ১ হাজার ১১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে গতকাল সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল ওয়াদুদের নম্বরে ফোন করে বন্ধ পাওয়া গেছে। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। কোম্পানি সচিব স্বপন কুমার পালের নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, সামিট পাওয়ারের ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বা প্ল্যান্ট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বর্তমানে ৫টি কেন্দ্রই বন্ধ। কেবল ১০টি চালু রয়েছে। বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলো হলো জাঙ্গালিয়া (গ্যাসভিত্তিক, ৩৩ মেগাওয়াট), মদনগঞ্জ (এইচএফও-ভিত্তিক, ১০২ মেগাওয়াট), আশুলিয়া (গ্যাসভিত্তিক, ১১ মেগাওয়াট), মাধবদী (ইউনিট-১, গ্যাসভিত্তিক, ১১ মেগাওয়াট) এবং চান্দিনা (ইউনিট-১, গ্যাসভিত্তিক, ১১ মেগাওয়াট)।

প্ল্যান্টগুলো বন্ধের কারণ হিসেবে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্যাসস্বল্পতা, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চাহিদা না পাওয়ার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বন্ধ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নভেম্বরে কমেছে অর্থনীতির গতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নভেম্বরে কমেছে অর্থনীতির গতি

গত ১৫ মাসে অর্থনীতি স্থির হতে পারেনি। চাপ বাড়লে কখনো পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেছে, আবার কিছুটা সামলে ওঠার ইঙ্গিতও এসেছে। কিন্তু ঠিক যখনই পথ পরিষ্কার মনে হয়েছে, তখনই নতুন সমস্যা আঘাত করেছে। ফলে পুরোনো সংকট আবার মাথা তোলে, আর অগ্রগতি থেমে যায়। এগোতে যতটা পারে, তার চেয়ে বেশি পিছিয়ে পড়তে হয়। এই ওঠানামা আর ঘন ঘন ধাক্কাতেই উন্নতির গতি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, আর ক্ষতির চক্রও বারবার ফিরে আসছে।

চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণের গতিপ্রবাহ নিয়ে আজ রোববার প্রকাশ করা ‘বাংলাদেশ পারচেজিং ম্যানেজার্স’ ইনডেক্স (পিএমআই)–নভেম্বরের প্রতিবেদনে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে।

পিএমআই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে দেশের অর্থনীতি যে হারে সম্প্রসারণ হয়েছিল, নভেম্বরে তার গতিবিধি অগ্রসরমুখী না হয়ে বরং বাঁকবদলে অনেকটাই নিম্নমুখী হয়েছে। এ সময় কৃষি, নির্মাণ, সেবা ও শিল্প—এই চার প্রধান খাতগুলোতেই সম্প্রসারণের গতি কমেছে। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নভেম্বরে পিএমআই সূচক আগের মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবরে পিএমআই সূচক ছিল ৬১ দশমিক ৮ পয়েন্ট।

তবে এ সময় সবচেয়ে খারাপ অবস্থান দেখা গেছে সেবা খাতের। কমেছে ১০ পয়েন্ট। এ ছাড়া শিল্প বা উৎপাদন খাতের গতি ৮ পয়েন্ট কমেছে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যৎ ব্যবসা সূচকে, কৃষি, নির্মাণ ও সেবা খাতে গতি সম্প্রসারণের আশা করা হলেও উৎপাদন খাতের গতি সহসাই বাড়বে না বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

কৃষি, নির্মাণ, উৎপাদন ও সেবা—অর্থনীতির এই অন্যতম প্রধান চার খাতের ৪০০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের মতামতের ভিত্তিতে পিএমআই প্রকাশ করা হয়। সূচক তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাঁচামাল ক্রয়, পণ্যের ক্রয়াদেশ, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়। মূলত পিএমআই শূন্য থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে পরিমাপ করা হয়। সূচকের মান ৫০-এর বেশি হলে অর্থনীতির সম্প্রসারণ এবং ৫০-এর নিচে হলে সংকোচন বোঝায়। আর মান ৫০ থাকলে বুঝতে হবে সংশ্লিষ্ট খাতে ওই মাসে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের অন্যতম সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (এমসিসিআই) ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশ যৌথভাবে পিএমআই প্রণয়ন করছে। সূচকটি প্রণয়নে সহযোগিতা দিয়ে থাকে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কার্যালয় (এফসিডিও) ও সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্ট (এসআইপিএমএম)।

চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে পিএমআই মান আগের মাসের তুলনায় বেড়ে ৬১ দশমিক ৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়। কিন্তু আগস্টেই তা কমে ৫৮ দশমিক ৩ পয়েন্টে নামে। এরপর সেপ্টেম্বরে দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৫৯ দশমিক ১ পয়েন্টে উঠেছে। অক্টোবরেও কিছুটা বেড়ে ৬১ দশমিক ৮ পয়েন্টে উঠে আসে। সে হিসেবে টানা দুই মাস দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি সম্প্রসারণের গতি বেড়েছে। তবে নভেম্বরে তার ধারাবাহিক গতিতে ছেদ পড়ে, উল্টো ৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট হ্রাস পায়।

পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘নভেম্বর মাসের পিএমআই থেকে বোঝা যায়, অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের গতি দুর্বল হয়ে এসেছে, যা বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়া ও রপ্তানি প্রতিযোগিতা হ্রাসের কারণে রপ্তানি খাতে চাপ, অভ্যন্তরীণ চাহিদার পতন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে ব্যবসাগুলোর বিনিয়োগ স্থগিত রাখার প্রবণতার ফল। বার্ষিক রপ্তানি কমে গেলেও মাসওয়ারি বৃদ্ধি এবং কৃষি ফসল কাটার ধারাবাহিকতা সামগ্রিক সম্প্রসারণ বজায় রাখতে সহায়তা করেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, উৎপাদন খাত ছাড়া অন্যান্য সব খাতে ভবিষ্যৎ ব্যবসা সূচকের দ্রুততর সম্প্রসারণ লক্ষণীয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফিকির নতুন সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রুপালী হক চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
রুপালী হক চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী।

এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল আবেইউক্রেমা এবং সহসভাপতি হয়েছেন লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আজ রোববার হোটেল লো মেরিডিয়েন ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফিকির ৬২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আগামী মেয়াদের জন্য ১৫ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদের নাম ঘোষণা করা হয়। বর্তমান সভাপতি জাভেদ আখতারের স্থলাভিষিক্ত হবেন রুপালী হক চৌধুরী। ১৫ সদস্যের নতুন বোর্ড ১ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমান বোর্ডের কার্যকাল শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রিটার্ন দাখিল থেকে রেলওয়েকে অব্যাহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রিটার্ন দাখিল থেকে রেলওয়েকে অব্যাহতি

বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (পিএসআর) প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেলওয়ে করযোগ্য সত্তা নয়, এমন বিবেচনায় এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ রোববার এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও করযোগ্য সত্তা না বিধায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ২৬৪-এর উপধারা (৪)-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (পিএসআর) উপস্থাপন করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান করযোগ্য আয়ের আওতায় পড়ে না, তাদের বেলায় রিটার্ন দাখিল বা পিএসআর প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য নয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে যেহেতু সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন এবং এর আয়-ব্যয় রাষ্ট্রীয় তহবিলের আওতায় পরিচালিত হয়, তাই পিএসআর প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা ছিল একটি আনুষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতামাত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সরকারের আপত্তিতে ভোজ্যতেলের দাম ৩ টাকা কমানোর ঘোষণা ব্যবসায়ীদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সরকারের আপত্তির পর ভোজ্যতেলের বর্ধিত দাম থেকে লিটারপ্রতি তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিলমালিকেরা। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এর আগে সন্ধ্যায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করে তারা। সেখানেই নতুন দাম নির্ধারণ হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। নতুন দাম আগামীকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পূর্বঘোষণা ছাড়াই গত সপ্তাহের শেষ দিকে এককভাবে মিলমালিকেরা ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করেছিলেন। সে সময় লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। ওই সময় বোতলজাত প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৯৬৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৯ টাকা ও প্রতি লিটার পাম তেল ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তবে এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেনে নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছিলেন, সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন ব্যবস্থা নেবে। পরে গত বৃহস্পতিবার ও আজ দুই দফা বৈঠক করে আবার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।

আজকের নতুন দাম অনুসারে এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম হবে ১৯৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলের দাম হবে ৯৫৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৭৬ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম প্রতি লিটার ১৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সে হিসাবে সয়াবিনের বোতলজাত প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা থেকে কমিয়ে ১৯৫ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯৬৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৯৫৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পাম তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৬৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৩ আগস্ট সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে নির্ধারিত দাম ছিল প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা, পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৯২২ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৯ টাকা ও পাম তেলের দাম ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত এই দামেই তেল বিক্রি হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত