কনটেইনার পরিবহন হ্রাস
আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথে কনটেইনার পরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এই রুটে জাহাজ চলাচল আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে পানগাঁও বন্দরের ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালে (আইসিটি) কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ভাটা পড়েছে। একসময় যে রুটকে বিকল্প সমাধান হিসেবে দেখা হয়েছিল, এখন তা প্রায় নিষ্ক্রিয়। এই নৌপথকে চাঙা করতে একের পর এক বৈঠক, সিদ্ধান্ত, উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল আসছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, উচ্চ ভাড়া, ভুল টার্মিনাল নির্বাচনের কারণে আমদানিকারকেরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। অন্যদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটমুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে চাইছে। তাহলে কি এই রুট ফের সচল হবে, নাকি আরও অচলাবস্থার দিকে যাবে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
সংকটের যে প্রভাব
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পানগাঁও বন্দরের অবস্থানগত সমস্যা, কনটেইনার ভাড়ার উচ্চ হার এবং কাস্টমস জটিলতার কারণে আমদানিকারকেরা এই রুটে আগ্রহ হারাচ্ছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুটে কনটেইনার পরিবহনের ভাড়া রেল ও সড়কপথের তুলনায় বেশি, যা ব্যবসায়ীদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালে এই রুটে ১৪৭টি জাহাজ চলাচল করলেও ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ১৬টি জাহাজ চলেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে একটিও চলেনি। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে পানগাঁও বন্দরে ৩ হাজার ৩৪ টিইইউস (ট্রেন্টি-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হলেও ২০২৪ সালের জুন মাসে তা কমে মাত্র ১৪৯ টিইইউসে দাঁড়িয়েছে।
সংকট নিরসনে বৈঠক ও সিদ্ধান্ত
গত ২৬ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুট সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের নির্ধারিত ভাড়ার সার্কুলার প্রত্যাহার করে প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ফলে জাহাজমালিকেরা দর-কষাকষির মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণের সুযোগ পাবেন, যা ব্যয় কমাবে এবং সেবার মান বাড়াবে।
বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল এ প্রসঙ্গে বলেন, ভাড়াসংক্রান্ত আগের সার্কুলার বাতিল হওয়ায় এখন প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া নির্ধারণ করা যাবে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক হবে।
মূল সমস্যাগুলো
ব্যবসায়ীদের দাবি, রুটটির মূল সমস্যা হলো—পানগাঁও টার্মিনাল কেরানীগঞ্জে হওয়ায় ঢাকার উত্তরাঞ্চলের শিল্পকারখানার সঙ্গে এর সংযোগ দুর্বল। এতে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ে পড়েন। নদীপথের কনটেইনার পরিবহন খরচ সড়ক ও রেলপথের তুলনায় বেশি, যা আমদানিকারকদের নিরুৎসাহিত করছে। ২০ ফুট সাইজের একটি কনটেইনার পরিবহনের ভাড়া ২০০-২৫০ ডলার। কাস্টমস কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত হয়রানির অভিযোগ রয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের পণ্য খালাসে অনীহা সৃষ্টি করছে।
ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া
গত বছরের ৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর এই পথে পণ্য পরিবহনে আরও ধস নামে। মায়ের্কস লাইন, যাদের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে পানগাঁও রুটে প্রায় অর্ধেক পণ্য পরিবহন হয়, তাদের কার্গো পরিবহনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। একসময় প্রতি মাসে ৪০০ টিইইউস কনটেইনার পরিবহন করা হলেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৩০ টিইইউসে।
শিপিং কোম্পানি সি গ্লোরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন জুয়েল বলেন, শুধু জাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনা নয়, বরং কাস্টমসের হয়রানি ও উচ্চ ভাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরা বিকল্প পথ খুঁজছেন।
পানগাঁও কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. সাখাওয়াত আলী সাদি স্বীকার করেন, কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমার দুটি প্রধান কারণ রয়েছে—উচ্চ ভাড়া এবং জাহাজ চলাচলের নির্দিষ্ট কোনো সূচি না থাকা। তিনি জানান, এ সমস্যা সমাধানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সমাধানের উদ্যোগ
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংকট নিরসনে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পানগাঁও বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বাড়াতে ৬ দফা সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে স্টেকহোল্ডার মিটিংয়ে কাস্টমস ও ট্যারিফ-সংক্রান্ত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুটে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক করতে সরকার প্রতিযোগিতামূলক ভাড়াব্যবস্থা চালু, কাস্টমস জটিলতা নিরসন এবং পানগাঁও বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে এই রুট আবারও লাভজনক হয়ে উঠবে।

চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথে কনটেইনার পরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এই রুটে জাহাজ চলাচল আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে পানগাঁও বন্দরের ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালে (আইসিটি) কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ভাটা পড়েছে। একসময় যে রুটকে বিকল্প সমাধান হিসেবে দেখা হয়েছিল, এখন তা প্রায় নিষ্ক্রিয়। এই নৌপথকে চাঙা করতে একের পর এক বৈঠক, সিদ্ধান্ত, উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল আসছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, উচ্চ ভাড়া, ভুল টার্মিনাল নির্বাচনের কারণে আমদানিকারকেরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। অন্যদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটমুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে চাইছে। তাহলে কি এই রুট ফের সচল হবে, নাকি আরও অচলাবস্থার দিকে যাবে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
সংকটের যে প্রভাব
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পানগাঁও বন্দরের অবস্থানগত সমস্যা, কনটেইনার ভাড়ার উচ্চ হার এবং কাস্টমস জটিলতার কারণে আমদানিকারকেরা এই রুটে আগ্রহ হারাচ্ছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুটে কনটেইনার পরিবহনের ভাড়া রেল ও সড়কপথের তুলনায় বেশি, যা ব্যবসায়ীদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালে এই রুটে ১৪৭টি জাহাজ চলাচল করলেও ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ১৬টি জাহাজ চলেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে একটিও চলেনি। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে পানগাঁও বন্দরে ৩ হাজার ৩৪ টিইইউস (ট্রেন্টি-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হলেও ২০২৪ সালের জুন মাসে তা কমে মাত্র ১৪৯ টিইইউসে দাঁড়িয়েছে।
সংকট নিরসনে বৈঠক ও সিদ্ধান্ত
গত ২৬ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুট সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের নির্ধারিত ভাড়ার সার্কুলার প্রত্যাহার করে প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ফলে জাহাজমালিকেরা দর-কষাকষির মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণের সুযোগ পাবেন, যা ব্যয় কমাবে এবং সেবার মান বাড়াবে।
বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল এ প্রসঙ্গে বলেন, ভাড়াসংক্রান্ত আগের সার্কুলার বাতিল হওয়ায় এখন প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া নির্ধারণ করা যাবে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক হবে।
মূল সমস্যাগুলো
ব্যবসায়ীদের দাবি, রুটটির মূল সমস্যা হলো—পানগাঁও টার্মিনাল কেরানীগঞ্জে হওয়ায় ঢাকার উত্তরাঞ্চলের শিল্পকারখানার সঙ্গে এর সংযোগ দুর্বল। এতে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ে পড়েন। নদীপথের কনটেইনার পরিবহন খরচ সড়ক ও রেলপথের তুলনায় বেশি, যা আমদানিকারকদের নিরুৎসাহিত করছে। ২০ ফুট সাইজের একটি কনটেইনার পরিবহনের ভাড়া ২০০-২৫০ ডলার। কাস্টমস কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত হয়রানির অভিযোগ রয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের পণ্য খালাসে অনীহা সৃষ্টি করছে।
ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া
গত বছরের ৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর এই পথে পণ্য পরিবহনে আরও ধস নামে। মায়ের্কস লাইন, যাদের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে পানগাঁও রুটে প্রায় অর্ধেক পণ্য পরিবহন হয়, তাদের কার্গো পরিবহনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। একসময় প্রতি মাসে ৪০০ টিইইউস কনটেইনার পরিবহন করা হলেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৩০ টিইইউসে।
শিপিং কোম্পানি সি গ্লোরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন জুয়েল বলেন, শুধু জাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনা নয়, বরং কাস্টমসের হয়রানি ও উচ্চ ভাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরা বিকল্প পথ খুঁজছেন।
পানগাঁও কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. সাখাওয়াত আলী সাদি স্বীকার করেন, কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমার দুটি প্রধান কারণ রয়েছে—উচ্চ ভাড়া এবং জাহাজ চলাচলের নির্দিষ্ট কোনো সূচি না থাকা। তিনি জানান, এ সমস্যা সমাধানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সমাধানের উদ্যোগ
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংকট নিরসনে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পানগাঁও বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বাড়াতে ৬ দফা সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে স্টেকহোল্ডার মিটিংয়ে কাস্টমস ও ট্যারিফ-সংক্রান্ত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুটে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক করতে সরকার প্রতিযোগিতামূলক ভাড়াব্যবস্থা চালু, কাস্টমস জটিলতা নিরসন এবং পানগাঁও বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে এই রুট আবারও লাভজনক হয়ে উঠবে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৩ মিনিট আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথে কনটেইনার পরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এই রুটে জাহাজ চলাচল আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে পানগাঁও বন্দরের ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালে (আইসিটি) কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ভাটা পড়েছে। একসময় যে রুটকে বিকল্প সমাধান হিসেবে দেখা হয়েছিল, এখন
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথে কনটেইনার পরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এই রুটে জাহাজ চলাচল আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে পানগাঁও বন্দরের ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালে (আইসিটি) কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ভাটা পড়েছে। একসময় যে রুটকে বিকল্প সমাধান হিসেবে দেখা হয়েছিল, এখন
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৩ মিনিট আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথে কনটেইনার পরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এই রুটে জাহাজ চলাচল আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে পানগাঁও বন্দরের ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালে (আইসিটি) কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ভাটা পড়েছে। একসময় যে রুটকে বিকল্প সমাধান হিসেবে দেখা হয়েছিল, এখন
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৩ মিনিট আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথে কনটেইনার পরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এই রুটে জাহাজ চলাচল আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে পানগাঁও বন্দরের ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালে (আইসিটি) কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ভাটা পড়েছে। একসময় যে রুটকে বিকল্প সমাধান হিসেবে দেখা হয়েছিল, এখন
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৩ মিনিট আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে