নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাড়াতে শক্তিশালী আঞ্চলিক সংযোগ, সহযোগিতা এবং বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য আস্থাহীনতা কাটিয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
আজ শনিবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত দুদিন ব্যাপী ‘১৪ তম দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন (এসএইএস ১৪)’–এ বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই অঞ্চলের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য প্রবাহে পারস্পরিক আস্থাহীনতার কারণে সেই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এক দেশের পরিবহন যাতে অবাধে অন্য দেশে যেতে পারে, এক দেশের শ্রমিক যাতে অন্য দেশে কাজ করার সুযোগ পায় এবং অবাধ সীমান্ত নিশ্চিত হয়, সে জন্য সব ব্যবস্থা করতে হবে। এভাবেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আসিয়ান বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গড়ে তোলা যায়।’
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে। এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অবাধ বিনিয়োগ নীতি গ্রহণের মাধ্যমে একটি ডায়নামিক সাউথ এশিয়া গড়া সম্ভব।’
দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি যে বিশ্বের মোট অর্থনীতির ৮ শতাংশ, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি সীমান্তে অশেষ সুযোগ থাকলেও আমরা সেই সুযোগ নিতে পারছি না। অবিশ্বাসের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে পারলে এ অঞ্চলে অশেষ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার গভর্নর পি নন্দলাল বিরাসিংহ, নেপালের সাবেক গভর্নর ও অর্থমন্ত্রী যুবরাজ খাতিবাদা, পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর ইশরাত হোসাইন এবং ভারতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরআইএস-এর মহা পরিচালক শচীন চতুর্বেদীসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাড়াতে শক্তিশালী আঞ্চলিক সংযোগ, সহযোগিতা এবং বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য আস্থাহীনতা কাটিয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
আজ শনিবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত দুদিন ব্যাপী ‘১৪ তম দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন (এসএইএস ১৪)’–এ বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই অঞ্চলের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য প্রবাহে পারস্পরিক আস্থাহীনতার কারণে সেই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এক দেশের পরিবহন যাতে অবাধে অন্য দেশে যেতে পারে, এক দেশের শ্রমিক যাতে অন্য দেশে কাজ করার সুযোগ পায় এবং অবাধ সীমান্ত নিশ্চিত হয়, সে জন্য সব ব্যবস্থা করতে হবে। এভাবেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আসিয়ান বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গড়ে তোলা যায়।’
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে। এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অবাধ বিনিয়োগ নীতি গ্রহণের মাধ্যমে একটি ডায়নামিক সাউথ এশিয়া গড়া সম্ভব।’
দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি যে বিশ্বের মোট অর্থনীতির ৮ শতাংশ, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি সীমান্তে অশেষ সুযোগ থাকলেও আমরা সেই সুযোগ নিতে পারছি না। অবিশ্বাসের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে পারলে এ অঞ্চলে অশেষ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার গভর্নর পি নন্দলাল বিরাসিংহ, নেপালের সাবেক গভর্নর ও অর্থমন্ত্রী যুবরাজ খাতিবাদা, পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর ইশরাত হোসাইন এবং ভারতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরআইএস-এর মহা পরিচালক শচীন চতুর্বেদীসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
২ মিনিট আগে
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ মিনিট আগে
বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি এনে দিল বাংলাদেশ। আজ রোববার থেকে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়ানোর পর সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শনিবার বিকেলেও ছিল ১৩০ টাকা। ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, যেখানে আগের দিন ছিল ১১৫-১২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দাম সামান্য কমেছে। গতকাল বিভিন্ন খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যেখানে শনিবার ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।
বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, আমদানির সঙ্গে সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এতে দাম দ্রুতই কমে যাবে। গতকাল দিনভর শ্যামবাজারে পাইকারিতে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে সকালে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও বিকেলে কমে ৬৫ টাকা কেজিতে নেমে আসে, যা শনিবার ৭৫-৯০ টাকা ছিল।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই হুজুগনির্ভর। এলসির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি, হয়তো রাতে আসবে। তবে আমদানির খবর পেয়েই পাইকাররা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ আসাও দাম কমার বড় কারণ।
এদিকে দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে গতকাল। বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের হিলি দিয়ে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ এসেছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিলির কাঁচাবাজারেও দাম কমেছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১০০, আর শুকনো মানের দেশি পেঁয়াজ কমেছে ২০ টাকা। বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, যেখানে আগের দিন দাম ছিল ১৩০ টাকা।

দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শনিবার বিকেলেও ছিল ১৩০ টাকা। ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, যেখানে আগের দিন ছিল ১১৫-১২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দাম সামান্য কমেছে। গতকাল বিভিন্ন খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যেখানে শনিবার ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।
বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, আমদানির সঙ্গে সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এতে দাম দ্রুতই কমে যাবে। গতকাল দিনভর শ্যামবাজারে পাইকারিতে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে সকালে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও বিকেলে কমে ৬৫ টাকা কেজিতে নেমে আসে, যা শনিবার ৭৫-৯০ টাকা ছিল।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই হুজুগনির্ভর। এলসির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি, হয়তো রাতে আসবে। তবে আমদানির খবর পেয়েই পাইকাররা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ আসাও দাম কমার বড় কারণ।
এদিকে দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে গতকাল। বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের হিলি দিয়ে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ এসেছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিলির কাঁচাবাজারেও দাম কমেছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১০০, আর শুকনো মানের দেশি পেঁয়াজ কমেছে ২০ টাকা। বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, যেখানে আগের দিন দাম ছিল ১৩০ টাকা।

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাড়াতে শক্তিশালী আঞ্চলিক সংযোগ, সহযোগিতা এবং বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য আস্থাহীনতা কাটিয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
০৪ নভেম্বর ২০২৩
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ মিনিট আগে
বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি এনে দিল বাংলাদেশ। আজ রোববার থেকে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়ানোর পর সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০২১ সালে শরিয়াহভিত্তিক এই সুকুকের মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল বেক্সিমকো। অর্থায়নের লক্ষ্য ছিল তিস্তা (২০০ মেগাওয়াট) ও করতোয়া (৩০ মেগাওয়াট) সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণ এবং টেক্সটাইল ইউনিট সম্প্রসারণ। কিন্তু একাধিক বাধায় প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট এখনো চালু হয়নি, আর ব্যয় বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে; ফলে নির্ধারিত সময়ে সুকুকের দায় শোধ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আইসিবি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ডলারের রেট ছিল ৮৬ টাকা; পরে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে এবং তহবিল ঘাটতি তৈরি হয়। এর ফলে কাজ পিছিয়েছে। এখন নতুন বিনিয়োগকারী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সুকুকধারীদের প্রতি ছয় মাসে ১২৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয় বেক্সিমকোর। আয় হচ্ছে মূলত তিস্তা সোলার প্ল্যান্ট থেকে, যেখানে বিপিডিবি মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দেয়। করতোয়া প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় প্রত্যাশিত আয় পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে আইসিবির কাছে সংশোধিত নিষ্পত্তি পরিকল্পনা চায়। সমস্যা সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ২০৩১ সাল বা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে তা ২০৩২ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে আইসিবির গঠিত ২১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি। গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপারিশে দুটি সময়সীমার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট দ্রুত চালু হলে সুকুকের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে ২০৩১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর যদি প্রকল্পে আরও দেরি হয়, তাহলে মেয়াদ নিতে হবে ২০৩২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ বিষয়ে আইসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কমিটির প্রধান মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক নেবে।’

বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০২১ সালে শরিয়াহভিত্তিক এই সুকুকের মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল বেক্সিমকো। অর্থায়নের লক্ষ্য ছিল তিস্তা (২০০ মেগাওয়াট) ও করতোয়া (৩০ মেগাওয়াট) সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণ এবং টেক্সটাইল ইউনিট সম্প্রসারণ। কিন্তু একাধিক বাধায় প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট এখনো চালু হয়নি, আর ব্যয় বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে; ফলে নির্ধারিত সময়ে সুকুকের দায় শোধ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আইসিবি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ডলারের রেট ছিল ৮৬ টাকা; পরে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে এবং তহবিল ঘাটতি তৈরি হয়। এর ফলে কাজ পিছিয়েছে। এখন নতুন বিনিয়োগকারী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সুকুকধারীদের প্রতি ছয় মাসে ১২৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয় বেক্সিমকোর। আয় হচ্ছে মূলত তিস্তা সোলার প্ল্যান্ট থেকে, যেখানে বিপিডিবি মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দেয়। করতোয়া প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় প্রত্যাশিত আয় পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে আইসিবির কাছে সংশোধিত নিষ্পত্তি পরিকল্পনা চায়। সমস্যা সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ২০৩১ সাল বা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে তা ২০৩২ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে আইসিবির গঠিত ২১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি। গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপারিশে দুটি সময়সীমার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট দ্রুত চালু হলে সুকুকের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে ২০৩১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর যদি প্রকল্পে আরও দেরি হয়, তাহলে মেয়াদ নিতে হবে ২০৩২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ বিষয়ে আইসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কমিটির প্রধান মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক নেবে।’

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাড়াতে শক্তিশালী আঞ্চলিক সংযোগ, সহযোগিতা এবং বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য আস্থাহীনতা কাটিয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
০৪ নভেম্বর ২০২৩
দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
২ মিনিট আগে
বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি এনে দিল বাংলাদেশ। আজ রোববার থেকে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়ানোর পর সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশকে ঋণ ব্যবস্থাপনায় চাপ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলারে। পাঁচ বছর আগে এটি ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প—পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বিমানবন্দরের টার্মিনালসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ায় ক্রমেই চাপ বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশকে ২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৭৩ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ পাঁচ বছরেই অঙ্কটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
তবে বিদেশি ঋণছাড়ের অঙ্ক তেমন বাড়েনি। ২০২৪ সালে ঋণছাড় হয়েছে ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার, যা ২০২০ সালের ১ হাজার ২২ কোটি ডলার থেকে সামান্য বেশি।
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, করোনার পর থেকে বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ও ঋণ পরিশোধের চাপ—দুটোই বাড়ছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, উন্নয়ন-সহযোগীদের দেওয়া নতুন ঋণে আগের তুলনায় গ্রেস পিরিয়ড কমছে, সুদের হার বাড়ছে আর অন্যান্য শর্তও কঠিন হচ্ছে। ফলে ঋণের দায় অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। চাপ কমাতে রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সহায়তা করবে—বিদেশি ঋণের অর্থ এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে রপ্তানির তুলনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯২ শতাংশ। একই বছরে মোট ঋণ পরিষেবার পরিমাণ রপ্তানির ১৬ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ পায়। আইডিএর মোট ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশ যায় বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানে।
বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ২৬ শতাংশই এসেছে বিশ্বব্যাংক থেকে। বড় ঋণদাতা হিসেবে এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান।

বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশকে ঋণ ব্যবস্থাপনায় চাপ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলারে। পাঁচ বছর আগে এটি ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প—পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বিমানবন্দরের টার্মিনালসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ায় ক্রমেই চাপ বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশকে ২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৭৩ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ পাঁচ বছরেই অঙ্কটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
তবে বিদেশি ঋণছাড়ের অঙ্ক তেমন বাড়েনি। ২০২৪ সালে ঋণছাড় হয়েছে ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার, যা ২০২০ সালের ১ হাজার ২২ কোটি ডলার থেকে সামান্য বেশি।
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, করোনার পর থেকে বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ও ঋণ পরিশোধের চাপ—দুটোই বাড়ছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, উন্নয়ন-সহযোগীদের দেওয়া নতুন ঋণে আগের তুলনায় গ্রেস পিরিয়ড কমছে, সুদের হার বাড়ছে আর অন্যান্য শর্তও কঠিন হচ্ছে। ফলে ঋণের দায় অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। চাপ কমাতে রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সহায়তা করবে—বিদেশি ঋণের অর্থ এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে রপ্তানির তুলনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯২ শতাংশ। একই বছরে মোট ঋণ পরিষেবার পরিমাণ রপ্তানির ১৬ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ পায়। আইডিএর মোট ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশ যায় বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানে।
বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ২৬ শতাংশই এসেছে বিশ্বব্যাংক থেকে। বড় ঋণদাতা হিসেবে এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান।

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাড়াতে শক্তিশালী আঞ্চলিক সংযোগ, সহযোগিতা এবং বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য আস্থাহীনতা কাটিয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
০৪ নভেম্বর ২০২৩
দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
২ মিনিট আগে
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ মিনিট আগে
ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি এনে দিল বাংলাদেশ। আজ রোববার থেকে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়ানোর পর সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি এনে দিল বাংলাদেশ। আজ রোববার থেকে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়ানোর পর সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) গতকাল শনিবার জানান, প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৫০ আমদানিকারককে আইপি দেওয়া হবে। আইপির মেয়াদ রাখা হয়েছে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। একজন আমদানিকারক কেবল একবার আইপি পাবেন।
গত ১ আগস্ট থেকে যাঁরা আইপির জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁরাই এ সুযোগ পেয়েছেন। সংস্থাটির সার্ভারভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় আগে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকেই ৫০ জনকে বাছাই করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৫০০টি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অন্তত ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ পচে গেছে বলে খবর বের হয়েছে। ক্ষতি পোষাতে এসব পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে মাত্র ২ রুপি দরেও বিক্রি করতে হচ্ছে। হাজার কোটি রুপির বেশি ক্ষতির মুখে পড়া ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশের আমদানি বড় স্বস্তি।
স্থলবন্দরে আমদানি শুরু, দাম কমতে শুরু করেছে
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আজ সকাল থেকে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে বলে হিলি আমদানিকারক–রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিলপি জানান।
হিলি স্থলবন্দর কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, ১ আগস্ট থেকে যেসব ব্যবসায়ী আবেদন করেছেন, তাঁরাই আমদানির সুযোগ পাচ্ছেন এবং প্রত্যেকেই মাত্র একবার আবেদন করতে পারবেন। তাঁর হিসাবে, আজ ৫০ জন আমদানিকারকের মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে হিলি পাইকারি বাজারে ইতিমধ্যে দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আমদানির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ১২০ টাকা থেকে নেমে ১০০ টাকায় এসেছে। আরেক ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র রায় বলেন, আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম দিন মোট ৬০ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে মেসার্স গৌড় ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়েলকাম ট্রেডার্স ৩০ টন করে পেঁয়াজ এনেছে।
বানামা পোর্টের ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম জানান, ট্রাকগুলো কোনো জটিলতা ছাড়াই প্রবেশ করেছে এবং দ্রুত খালাস চলছে।
৩০ হাজার টন পেঁয়াজ পচে ক্ষতির মুখে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা
গত কয়েক সপ্তাহে ভারতের সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলে অন্তত ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ পচে গেছে। বাংলাদেশের আমদানি বন্ধ থাকায় এসব পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে মাত্র ২ রুপি কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মহদীপুর–সোনামসজিদ সীমান্তে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ রুপিতে। ৫০ কেজির বস্তা পাওয়া গেছে মাত্র ১০০ রুপিতে। নাসিক ও ইন্দোর থেকে ১৬ রুপি কেজি দরে কেনা পেঁয়াজ পরিবহনসহ খরচ দাঁড়ায় ২২ রুপি। এখন সেই পেঁয়াজই প্রায় বিনা মূল্যে বিক্রি করতে হয় ব্যবসায়ীদের।
মালদার খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০–২২ রুপি হলেও সীমান্ত থেকে ৭ কিলোমিটার দূরেই মহদীপুর সীমান্তে এর দাম ২ রুপি, যা সম্পূর্ণই বাংলাদেশের আমদানি স্থগিতের কারণে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা।
রপ্তানিকারকেরা জানান, বাংলাদেশের কয়েকজন আমদানিকারক তাঁদের মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন যে দ্রুতই আমদানি খুলে দেওয়া হবে। সেই আশা নিয়েই নাসিক–ইন্দোর থেকে ১৪–১৬ চাকার লরিতে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ এনে গুদামজাত করেন তাঁরা। ভারতের ঘোজাডাঙ্গা, পেট্রাপোল, মহদীপুর ও হিলি সীমান্তে ৩০ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ মজুত ছিল।
ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদেরও স্বস্তি দিচ্ছে। কারণ, ভারত এ বছর পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে ১ হাজার ১০০ কোটি রুপির বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বাংলাদেশ আমদানি বন্ধ করার পাশাপাশি সরকারের রপ্তানি শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিযোগিতাও ভারতের রপ্তানিতে ধস এনেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি রুপি আয় করলেও ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৩ হাজার ১০০ কোটি রুপিতে। এর মধ্যে বাংলাদেশ একাই ১ হাজার ৭০০ কোটি রুপির পেঁয়াজের বাজার, যা গত বছর পুরোপুরি হারায় ভারত।
লাসালগাঁওয়ের কৃষকেরা জানান, বর্তমানে মাঠে পেঁয়াজের দাম কুইন্টালপ্রতি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপি, যা উৎপাদন খরচের অনেক কম।
পেঁয়াজ রপ্তানিকারক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিকাশ সিং বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোয় রপ্তানি কমেছে। গত তিন বছরে আমাদের আন্তর্জাতিক বাজার ১৫ লাখ টন কমেছে।’
বিকাশ সিং আরও বলেন, পাকিস্তান ২০২৫–২৬ মৌসুমে ২৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন পেঁয়াজ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে, যা ভারতের প্রতিযোগিতাকে আরও কঠিন করবে।

ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি এনে দিল বাংলাদেশ। আজ রোববার থেকে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়ানোর পর সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) গতকাল শনিবার জানান, প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৫০ আমদানিকারককে আইপি দেওয়া হবে। আইপির মেয়াদ রাখা হয়েছে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। একজন আমদানিকারক কেবল একবার আইপি পাবেন।
গত ১ আগস্ট থেকে যাঁরা আইপির জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁরাই এ সুযোগ পেয়েছেন। সংস্থাটির সার্ভারভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় আগে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকেই ৫০ জনকে বাছাই করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৫০০টি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অন্তত ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ পচে গেছে বলে খবর বের হয়েছে। ক্ষতি পোষাতে এসব পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে মাত্র ২ রুপি দরেও বিক্রি করতে হচ্ছে। হাজার কোটি রুপির বেশি ক্ষতির মুখে পড়া ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশের আমদানি বড় স্বস্তি।
স্থলবন্দরে আমদানি শুরু, দাম কমতে শুরু করেছে
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আজ সকাল থেকে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে বলে হিলি আমদানিকারক–রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিলপি জানান।
হিলি স্থলবন্দর কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, ১ আগস্ট থেকে যেসব ব্যবসায়ী আবেদন করেছেন, তাঁরাই আমদানির সুযোগ পাচ্ছেন এবং প্রত্যেকেই মাত্র একবার আবেদন করতে পারবেন। তাঁর হিসাবে, আজ ৫০ জন আমদানিকারকের মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে হিলি পাইকারি বাজারে ইতিমধ্যে দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আমদানির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ১২০ টাকা থেকে নেমে ১০০ টাকায় এসেছে। আরেক ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র রায় বলেন, আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম দিন মোট ৬০ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে মেসার্স গৌড় ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়েলকাম ট্রেডার্স ৩০ টন করে পেঁয়াজ এনেছে।
বানামা পোর্টের ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম জানান, ট্রাকগুলো কোনো জটিলতা ছাড়াই প্রবেশ করেছে এবং দ্রুত খালাস চলছে।
৩০ হাজার টন পেঁয়াজ পচে ক্ষতির মুখে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা
গত কয়েক সপ্তাহে ভারতের সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলে অন্তত ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ পচে গেছে। বাংলাদেশের আমদানি বন্ধ থাকায় এসব পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে মাত্র ২ রুপি কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মহদীপুর–সোনামসজিদ সীমান্তে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ রুপিতে। ৫০ কেজির বস্তা পাওয়া গেছে মাত্র ১০০ রুপিতে। নাসিক ও ইন্দোর থেকে ১৬ রুপি কেজি দরে কেনা পেঁয়াজ পরিবহনসহ খরচ দাঁড়ায় ২২ রুপি। এখন সেই পেঁয়াজই প্রায় বিনা মূল্যে বিক্রি করতে হয় ব্যবসায়ীদের।
মালদার খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০–২২ রুপি হলেও সীমান্ত থেকে ৭ কিলোমিটার দূরেই মহদীপুর সীমান্তে এর দাম ২ রুপি, যা সম্পূর্ণই বাংলাদেশের আমদানি স্থগিতের কারণে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা।
রপ্তানিকারকেরা জানান, বাংলাদেশের কয়েকজন আমদানিকারক তাঁদের মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন যে দ্রুতই আমদানি খুলে দেওয়া হবে। সেই আশা নিয়েই নাসিক–ইন্দোর থেকে ১৪–১৬ চাকার লরিতে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ এনে গুদামজাত করেন তাঁরা। ভারতের ঘোজাডাঙ্গা, পেট্রাপোল, মহদীপুর ও হিলি সীমান্তে ৩০ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ মজুত ছিল।
ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত ভারতের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদেরও স্বস্তি দিচ্ছে। কারণ, ভারত এ বছর পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে ১ হাজার ১০০ কোটি রুপির বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বাংলাদেশ আমদানি বন্ধ করার পাশাপাশি সরকারের রপ্তানি শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিযোগিতাও ভারতের রপ্তানিতে ধস এনেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি রুপি আয় করলেও ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৩ হাজার ১০০ কোটি রুপিতে। এর মধ্যে বাংলাদেশ একাই ১ হাজার ৭০০ কোটি রুপির পেঁয়াজের বাজার, যা গত বছর পুরোপুরি হারায় ভারত।
লাসালগাঁওয়ের কৃষকেরা জানান, বর্তমানে মাঠে পেঁয়াজের দাম কুইন্টালপ্রতি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপি, যা উৎপাদন খরচের অনেক কম।
পেঁয়াজ রপ্তানিকারক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিকাশ সিং বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোয় রপ্তানি কমেছে। গত তিন বছরে আমাদের আন্তর্জাতিক বাজার ১৫ লাখ টন কমেছে।’
বিকাশ সিং আরও বলেন, পাকিস্তান ২০২৫–২৬ মৌসুমে ২৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন পেঁয়াজ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে, যা ভারতের প্রতিযোগিতাকে আরও কঠিন করবে।

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাড়াতে শক্তিশালী আঞ্চলিক সংযোগ, সহযোগিতা এবং বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য আস্থাহীনতা কাটিয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
০৪ নভেম্বর ২০২৩
দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
২ মিনিট আগে
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ মিনিট আগে
বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে