নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অর্থনৈতিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এখনো এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ—এমন মত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার, নীতিগত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতির ঘাটতির কারণে উত্তরণের পর দেশ আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ: প্রস্তুতি ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব মত উঠে আসে।
বক্তারা বলেন, এলডিসি উত্তরণ শুধু একটি মর্যাদার বিষয় নয়, এটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে বড় রকমের রদবদলের দরজা খুলে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো কোনো বড় বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে পারেনি, যা এলডিসি সুবিধা হারানোর পর দরকার হবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই ঘাটতির ফলে প্রতিবছর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ রপ্তানি কমতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি, দুর্বল আর্থিক খাত এবং ভুয়া পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভরশীল এক বিকল অর্থনীতির ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়েছে। এই দুর্বল ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এলডিসি উত্তরণ কোনোভাবেই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুশতাক খান বলেন, এলডিসি সুবিধা শুধু আনুষ্ঠানিক নয়, এটি বৈশ্বিক সমর্থনের প্রতিফলন। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা, বিদ্যুৎ খাতে অস্বচ্ছ চুক্তি এবং পোশাকশিল্প ছাড়া রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা হারানোর আশঙ্কা নিয়ে উত্তরণের পথে হাঁটছে। চামড়া ও খাদ্যশিল্পের মতো খাত শুল্ক বাড়ার মুখে পড়তে পারে, যেখানে ভারত ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, উত্তরণ অনিবার্য হলেও তা যেন সুষ্ঠু প্রস্তুতির মাধ্যমে হয়। এ জন্য জাতীয় ঐকমত্য জরুরি, যেখানে রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত থাকবে।
চলমান সংকটের কথা স্বীকার করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সোহেল জানান, তিনটি মূল সূচকের মধ্যে বাংলাদেশ দুটি সূচকে ভালো করছে, তাই সময়ক্ষেপণ না করে প্রস্তুতিতে আরও মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
ইইউ চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারপারসন নুরিয়া লোপেজ বলেন, দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ ছাড়া অন্তত ২৫ লাখ শ্রমিক ঝুঁকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, অহংকার ত্যাগ করে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ, উৎপাদনশীলতা ও গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে।
এএফডির কান্ট্রি ডিরেক্টর সিনথিয়া মেলা বলেন, বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির যে ভাব তৈরি হয়েছে, তা অনেকটাই ভ্রম। উত্তরণের আগে দরকার একটি বাস্তবতাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া রোডম্যাপ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণাপ্রধান ইশতিয়াক বারী। তিনি বলেন, এলডিসি সুবিধা হারালে দেশের ৭১ শতাংশ রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং জাপানে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষ করে পোশাক ও জুতাশিল্পে। একই সঙ্গে জলবায়ু তহবিলের মতো রেয়াতি আন্তর্জাতিক সহায়তাও হারাতে পারে বাংলাদেশ।
ইশতিয়াক বারীর মতে, বাজারবৈচিত্র্য এবং রপ্তানি খাতের সম্প্রসারণ ছাড়া এলডিসি উত্তরণ শুধু একটি চ্যালেঞ্জই নয়, বরং একটি অপ্রস্তুত লাফ, যা বড় ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

অর্থনৈতিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এখনো এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ—এমন মত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার, নীতিগত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতির ঘাটতির কারণে উত্তরণের পর দেশ আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ: প্রস্তুতি ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব মত উঠে আসে।
বক্তারা বলেন, এলডিসি উত্তরণ শুধু একটি মর্যাদার বিষয় নয়, এটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে বড় রকমের রদবদলের দরজা খুলে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো কোনো বড় বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে পারেনি, যা এলডিসি সুবিধা হারানোর পর দরকার হবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই ঘাটতির ফলে প্রতিবছর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ রপ্তানি কমতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি, দুর্বল আর্থিক খাত এবং ভুয়া পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভরশীল এক বিকল অর্থনীতির ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়েছে। এই দুর্বল ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এলডিসি উত্তরণ কোনোভাবেই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুশতাক খান বলেন, এলডিসি সুবিধা শুধু আনুষ্ঠানিক নয়, এটি বৈশ্বিক সমর্থনের প্রতিফলন। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা, বিদ্যুৎ খাতে অস্বচ্ছ চুক্তি এবং পোশাকশিল্প ছাড়া রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা হারানোর আশঙ্কা নিয়ে উত্তরণের পথে হাঁটছে। চামড়া ও খাদ্যশিল্পের মতো খাত শুল্ক বাড়ার মুখে পড়তে পারে, যেখানে ভারত ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, উত্তরণ অনিবার্য হলেও তা যেন সুষ্ঠু প্রস্তুতির মাধ্যমে হয়। এ জন্য জাতীয় ঐকমত্য জরুরি, যেখানে রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত থাকবে।
চলমান সংকটের কথা স্বীকার করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সোহেল জানান, তিনটি মূল সূচকের মধ্যে বাংলাদেশ দুটি সূচকে ভালো করছে, তাই সময়ক্ষেপণ না করে প্রস্তুতিতে আরও মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
ইইউ চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারপারসন নুরিয়া লোপেজ বলেন, দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ ছাড়া অন্তত ২৫ লাখ শ্রমিক ঝুঁকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, অহংকার ত্যাগ করে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ, উৎপাদনশীলতা ও গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে।
এএফডির কান্ট্রি ডিরেক্টর সিনথিয়া মেলা বলেন, বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির যে ভাব তৈরি হয়েছে, তা অনেকটাই ভ্রম। উত্তরণের আগে দরকার একটি বাস্তবতাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া রোডম্যাপ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণাপ্রধান ইশতিয়াক বারী। তিনি বলেন, এলডিসি সুবিধা হারালে দেশের ৭১ শতাংশ রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং জাপানে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষ করে পোশাক ও জুতাশিল্পে। একই সঙ্গে জলবায়ু তহবিলের মতো রেয়াতি আন্তর্জাতিক সহায়তাও হারাতে পারে বাংলাদেশ।
ইশতিয়াক বারীর মতে, বাজারবৈচিত্র্য এবং রপ্তানি খাতের সম্প্রসারণ ছাড়া এলডিসি উত্তরণ শুধু একটি চ্যালেঞ্জই নয়, বরং একটি অপ্রস্তুত লাফ, যা বড় ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

অর্থনৈতিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এখনো এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ—এমন মত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার, নীতিগত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির..
২৪ এপ্রিল ২০২৫
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

অর্থনৈতিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এখনো এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ—এমন মত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার, নীতিগত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির..
২৪ এপ্রিল ২০২৫
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

অর্থনৈতিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এখনো এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ—এমন মত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার, নীতিগত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির..
২৪ এপ্রিল ২০২৫
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিসহ একাধিক ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) থেকে তাঁর চিকিৎসার অর্থ দেওয়া হবে। ওসমান হাদিকে বাইরে পাঠানোর জন্য কাল যখন মেসেজ এল, আমরা বলেছি, টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। উই উইল গিভ অ্যালোকেশন (আমরা বরাদ্দ দেব)।’
ভারত থেকে চাল আমদানি
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদনের অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে ছয়টি প্রস্তাব পাওয়া যায়, যার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৫১ দশমিক ১১ মার্কিন ডলারে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার
সরকার সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৮০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার। এতে দুই দফায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সাবিকের সঙ্গে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির চুক্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাফার গুদাম নির্মাণ
সার সংরক্ষণ ও বিতরণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নওগাঁয় ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বগুড়ায় ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতার গুদাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এসব গুদামে স্টিল স্ট্রাকচার, অফিস কাম গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাক, সাবস্টেশন, জেনারেটর, সোলার সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু
পটুয়াখালীর লেবুখালী–বাউফল–গলাচিপা–আমড়াগাছিয়া সড়কে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জার কাজও থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এলএনজি
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে স্পট মার্কেটের মাধ্যমে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার।

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিসহ একাধিক ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) থেকে তাঁর চিকিৎসার অর্থ দেওয়া হবে। ওসমান হাদিকে বাইরে পাঠানোর জন্য কাল যখন মেসেজ এল, আমরা বলেছি, টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। উই উইল গিভ অ্যালোকেশন (আমরা বরাদ্দ দেব)।’
ভারত থেকে চাল আমদানি
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদনের অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে ছয়টি প্রস্তাব পাওয়া যায়, যার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৫১ দশমিক ১১ মার্কিন ডলারে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার
সরকার সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৮০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার। এতে দুই দফায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সাবিকের সঙ্গে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির চুক্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাফার গুদাম নির্মাণ
সার সংরক্ষণ ও বিতরণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নওগাঁয় ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বগুড়ায় ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতার গুদাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এসব গুদামে স্টিল স্ট্রাকচার, অফিস কাম গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাক, সাবস্টেশন, জেনারেটর, সোলার সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু
পটুয়াখালীর লেবুখালী–বাউফল–গলাচিপা–আমড়াগাছিয়া সড়কে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জার কাজও থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এলএনজি
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে স্পট মার্কেটের মাধ্যমে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার।

অর্থনৈতিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এখনো এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ—এমন মত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার, নীতিগত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির..
২৪ এপ্রিল ২০২৫
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগে