
বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। এই দেশের পোশাক শ্রমিকদের হাতে তৈরি পোশাক না পেলে এইচঅ্যান্ডএম, গ্যাপ ও জারার মতো বিশ্বসেরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর শো-রুম ভরে না। সস্তা শ্রমের কারণে দ্রুত বিকশিত এই তৈরি পোশাক শিল্পের কল্যাণেই বাংলাদেশ তিন দশকের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত আগস্টের শুরুতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলমান অস্থিরতা ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিক্ষোভের সময় সময় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে রপ্তানিকারকরা যখন সংকটের মধ্যে ছিলেন, তখন অন্তত ৪টি কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। এমন প্রেক্ষাপটে ডিজনি, ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান পরবর্তী মৌসুমের জন্য অন্য বিকল্প রপ্তানিকারক দেশের খোঁজ করছে।
এমন সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের অব্যাহত উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মজুরিসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ঢাকার আশপাশে গত তিন দিন ধর পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। গতকাল বুধবার গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার নাগাদ ঢাকার বাইরে অন্তত ৬০টি কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বিবিসির ধারণা।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিবিসিকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাবে। এবং সম্ভবত তারা (ক্রেতারা) অন্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথাও ভাবতে পারে।’
এই ক্ষেত্রে আমদানির বিকল্প উৎস ব্র্যান্ডগুলো স্বভাবতই ভিয়েতনামকে বিবেচনা করতে পারেন বলেও তিনি মনে করেন।
একই ধরনের কথা বলছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী কিয়াও সেইন থাই। তাঁর মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের ফাস্ট ফ্যাশন পণ্যের রপ্তানি ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তো যে দেশের ৮০ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে এই খাত থেকে সেখানে এই পরিমাণ রপ্তানি কমে যাওয়া মোটেও সুখকর বিষয় নয়।
তবে শেখ হাসিনার পতনের আগেও যে এই খাতের পরিস্থিতি ভালো ছিল তা নয়। সামগ্রিকভাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে ছিল না। শিশু শ্রম কেলেঙ্কারি, ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং কোভিড-১৯ শাটডাউনের কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে। এরই মধ্যে কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতির কারণে উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যায়। এই বিষয়গুলো তাও মানা যায়, কিন্তু ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাওয়া মানে রপ্তানি কমে যাওয়া। এটি বাংলাদেশের মতো রপ্তানিমুখী দেশের জন্য খুবই খারাপ। কারণ, রপ্তানি থেকে আয় কমলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাবে।
এসবের বাইরেও অন্যান্য সমস্যা আছে। বিশেষ করে লোক দেখানো বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় সরকারি তহবিলকে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাপক স্বজনপ্রীতি দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সম্পর্ক থাকায় অনেকেই ঋণ পরিশোধ করেননি।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ‘এটি কোনো নির্দোষ অবহেলা নয় বরং অর্থব্যবস্থায় পরিকল্পিত ডাকাতি।’ তিনি বলেন, এই বিষয়টি ঠিক করাকেই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে এবং আইএমএফের ঋণসহ আরও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কঠিন একটা অবস্থায় আছি এবং আমরা আমাদের বৈদেশিক দাতাদের দেওয়া ঋণের শর্তাবলি মেনে চলতে চাই। তবে আপাতত আমাদের একটু মুক্তভাবে নড়াচড়ার জায়গা প্রয়োজন।’
সোনিয়া গ্রুপের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার বিষয়টি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে আমরা ভারত ও চীন থেকে সুতা আমদানির জন্য কীভাবে অর্থ প্রদান করব তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স না পাওয়ার কারণে নতুন অর্ডার দেওয়ার জন্য আর বাংলাদেশে আসতে পারছেন না।’
বাংলাদেশের সামনে একটি বড় সমস্যা আছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন মূলত শুরুই হয়েছিল ভালো বেতনের চাকরি এবং সুযোগের অভাবে হতাশ তরুণ-যুবাদের দ্বারা। যদিও পোশাক কারখানাগুলো লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, তবে সেখানে ভালো বেতন দেওয়া হয় না। কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা মজুরি দেশের জাতীয় ন্যূনতম মজুরির অর্ধেক। ফলে তারা তাদের সন্তানদের ভরণ-পোষণের জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হন।
এই শ্রমিকদের অনেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মূলত ভালো মজুরি ও অন্যান্য সুবিধার আশায়। এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী মারিয়া বলেন, ‘আমাদের মজুরি দ্বিগুণ বাড়ানো না হলে অন্য কিছুতেই আমরা মানব না। মজুরিতে আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিফলিত হতে হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের কয়েকজন হলেন—আবু তাহির, মোহাম্মদ জামান, মোহাম্মদ জাইদুল এবং সরদার আরমান। তাদের প্রায় সবাই বিগত ২ থেকে ৫ বছর ধরে বেকার। তাঁরা জানান, তাঁরা বেসরকারি খাতেও কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু যেসব কাজ পাওয়া যায়, তা তাদের যোগ্যতার বাইরে।
জাইদুল বলেন, ‘ (আমার বাবা-মা) বুঝতেই চান যে, দেশের চাকরির বাজার কতটা প্রতিযোগিতামূলক। আমার বেকারত্ব আমার পরিবারের জন্য একটি বাড়তি চাপ। আমরা শুধু ডিগ্রি পাই, কোনো ধরনের সঠিক দক্ষতা আমরা অর্জন করতে পারি না।’ ড. ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন উপদেষ্টা নিজেও একজন উদ্যোক্তা, তাই আমরা সবাই আশাবাদী যে তিনি এই বিষয়ে কিছু করবেন।’
বাংলাদেশি থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে ড. ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, শিক্ষিত তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুক্তি দেন, এতে অর্থনীতির জন্য খারাপ কিছু হবে না। তিনি বলেন, ‘কেবল একটি খাতের ওপর ভিত্তি করে কোনো দেশ দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না। এটা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট বিন্দু পর্যন্ত নিয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার কথা বলা হয়েছে, তবে সেটা কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।’
রাজধানী ঢাকার বাইরে অব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি পার্ক এর প্রমাণ। ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল উচ্চ বেতনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পোশাক রপ্তানির ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে একটি দেশব্যাপী উদ্যোগের অংশ হিসেবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ কাজে আসেনি। পার্কটি এখন পড়ে আছে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতার নমুনা হয়ে।
সফটওয়্যার উদ্যোক্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘এই শিল্পে কী প্রয়োজন এবং সরকার যা দিয়েছে তার মধ্যে ব্যবধানের এটি নিখুঁত উদাহরণ এটি।’ তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি যে, আমাদের এই পার্কগুলোর প্রয়োজন আছে কি না। বাংলাদেশ ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে, কিন্তু মানবিক অবকাঠামোতে আমরা কতটা বিনিয়োগ করেছি? অথচ, এটাই এই শিল্পের কাঁচামাল।’
আগামী দিনে করণীয় কি এই বিষয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, নতুন সরকারকে যা করতে হবে তা হলো—বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে দুর্নীতি ও লাল ফিতার বাধা দূর করা। ড. ইউনূস দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কার আনার অঙ্গীকার করেছেন এবং গত কয়েক বছরে ‘পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস’ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার কথা বলেছেন। তবে তাঁর সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে—অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া এবং সরকারের নীতিনির্ধারণকে স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া থেকে বিরত রাখা।
এসবের বাইরে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস পাওয়া, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়-বন্যার প্রকোপ মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জগুলোও ড. ইউনূসের সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ হয়তো অনেক কঠিন কিন্তু ড. ইউনূসের ওপর দেশের মানুষের যে আশা তা আরও অনেক বেশি।
অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। এই দেশের পোশাক শ্রমিকদের হাতে তৈরি পোশাক না পেলে এইচঅ্যান্ডএম, গ্যাপ ও জারার মতো বিশ্বসেরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর শো-রুম ভরে না। সস্তা শ্রমের কারণে দ্রুত বিকশিত এই তৈরি পোশাক শিল্পের কল্যাণেই বাংলাদেশ তিন দশকের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত আগস্টের শুরুতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলমান অস্থিরতা ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিক্ষোভের সময় সময় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে রপ্তানিকারকরা যখন সংকটের মধ্যে ছিলেন, তখন অন্তত ৪টি কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। এমন প্রেক্ষাপটে ডিজনি, ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান পরবর্তী মৌসুমের জন্য অন্য বিকল্প রপ্তানিকারক দেশের খোঁজ করছে।
এমন সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের অব্যাহত উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মজুরিসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ঢাকার আশপাশে গত তিন দিন ধর পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। গতকাল বুধবার গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার নাগাদ ঢাকার বাইরে অন্তত ৬০টি কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বিবিসির ধারণা।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিবিসিকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাবে। এবং সম্ভবত তারা (ক্রেতারা) অন্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথাও ভাবতে পারে।’
এই ক্ষেত্রে আমদানির বিকল্প উৎস ব্র্যান্ডগুলো স্বভাবতই ভিয়েতনামকে বিবেচনা করতে পারেন বলেও তিনি মনে করেন।
একই ধরনের কথা বলছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী কিয়াও সেইন থাই। তাঁর মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের ফাস্ট ফ্যাশন পণ্যের রপ্তানি ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তো যে দেশের ৮০ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে এই খাত থেকে সেখানে এই পরিমাণ রপ্তানি কমে যাওয়া মোটেও সুখকর বিষয় নয়।
তবে শেখ হাসিনার পতনের আগেও যে এই খাতের পরিস্থিতি ভালো ছিল তা নয়। সামগ্রিকভাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে ছিল না। শিশু শ্রম কেলেঙ্কারি, ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং কোভিড-১৯ শাটডাউনের কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে। এরই মধ্যে কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতির কারণে উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যায়। এই বিষয়গুলো তাও মানা যায়, কিন্তু ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাওয়া মানে রপ্তানি কমে যাওয়া। এটি বাংলাদেশের মতো রপ্তানিমুখী দেশের জন্য খুবই খারাপ। কারণ, রপ্তানি থেকে আয় কমলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাবে।
এসবের বাইরেও অন্যান্য সমস্যা আছে। বিশেষ করে লোক দেখানো বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় সরকারি তহবিলকে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাপক স্বজনপ্রীতি দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সম্পর্ক থাকায় অনেকেই ঋণ পরিশোধ করেননি।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ‘এটি কোনো নির্দোষ অবহেলা নয় বরং অর্থব্যবস্থায় পরিকল্পিত ডাকাতি।’ তিনি বলেন, এই বিষয়টি ঠিক করাকেই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে এবং আইএমএফের ঋণসহ আরও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কঠিন একটা অবস্থায় আছি এবং আমরা আমাদের বৈদেশিক দাতাদের দেওয়া ঋণের শর্তাবলি মেনে চলতে চাই। তবে আপাতত আমাদের একটু মুক্তভাবে নড়াচড়ার জায়গা প্রয়োজন।’
সোনিয়া গ্রুপের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার বিষয়টি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে আমরা ভারত ও চীন থেকে সুতা আমদানির জন্য কীভাবে অর্থ প্রদান করব তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স না পাওয়ার কারণে নতুন অর্ডার দেওয়ার জন্য আর বাংলাদেশে আসতে পারছেন না।’
বাংলাদেশের সামনে একটি বড় সমস্যা আছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন মূলত শুরুই হয়েছিল ভালো বেতনের চাকরি এবং সুযোগের অভাবে হতাশ তরুণ-যুবাদের দ্বারা। যদিও পোশাক কারখানাগুলো লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, তবে সেখানে ভালো বেতন দেওয়া হয় না। কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা মজুরি দেশের জাতীয় ন্যূনতম মজুরির অর্ধেক। ফলে তারা তাদের সন্তানদের ভরণ-পোষণের জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হন।
এই শ্রমিকদের অনেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মূলত ভালো মজুরি ও অন্যান্য সুবিধার আশায়। এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী মারিয়া বলেন, ‘আমাদের মজুরি দ্বিগুণ বাড়ানো না হলে অন্য কিছুতেই আমরা মানব না। মজুরিতে আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিফলিত হতে হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের কয়েকজন হলেন—আবু তাহির, মোহাম্মদ জামান, মোহাম্মদ জাইদুল এবং সরদার আরমান। তাদের প্রায় সবাই বিগত ২ থেকে ৫ বছর ধরে বেকার। তাঁরা জানান, তাঁরা বেসরকারি খাতেও কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু যেসব কাজ পাওয়া যায়, তা তাদের যোগ্যতার বাইরে।
জাইদুল বলেন, ‘ (আমার বাবা-মা) বুঝতেই চান যে, দেশের চাকরির বাজার কতটা প্রতিযোগিতামূলক। আমার বেকারত্ব আমার পরিবারের জন্য একটি বাড়তি চাপ। আমরা শুধু ডিগ্রি পাই, কোনো ধরনের সঠিক দক্ষতা আমরা অর্জন করতে পারি না।’ ড. ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন উপদেষ্টা নিজেও একজন উদ্যোক্তা, তাই আমরা সবাই আশাবাদী যে তিনি এই বিষয়ে কিছু করবেন।’
বাংলাদেশি থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে ড. ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, শিক্ষিত তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুক্তি দেন, এতে অর্থনীতির জন্য খারাপ কিছু হবে না। তিনি বলেন, ‘কেবল একটি খাতের ওপর ভিত্তি করে কোনো দেশ দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না। এটা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট বিন্দু পর্যন্ত নিয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার কথা বলা হয়েছে, তবে সেটা কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।’
রাজধানী ঢাকার বাইরে অব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি পার্ক এর প্রমাণ। ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল উচ্চ বেতনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পোশাক রপ্তানির ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে একটি দেশব্যাপী উদ্যোগের অংশ হিসেবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ কাজে আসেনি। পার্কটি এখন পড়ে আছে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতার নমুনা হয়ে।
সফটওয়্যার উদ্যোক্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘এই শিল্পে কী প্রয়োজন এবং সরকার যা দিয়েছে তার মধ্যে ব্যবধানের এটি নিখুঁত উদাহরণ এটি।’ তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি যে, আমাদের এই পার্কগুলোর প্রয়োজন আছে কি না। বাংলাদেশ ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে, কিন্তু মানবিক অবকাঠামোতে আমরা কতটা বিনিয়োগ করেছি? অথচ, এটাই এই শিল্পের কাঁচামাল।’
আগামী দিনে করণীয় কি এই বিষয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, নতুন সরকারকে যা করতে হবে তা হলো—বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে দুর্নীতি ও লাল ফিতার বাধা দূর করা। ড. ইউনূস দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কার আনার অঙ্গীকার করেছেন এবং গত কয়েক বছরে ‘পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস’ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার কথা বলেছেন। তবে তাঁর সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে—অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া এবং সরকারের নীতিনির্ধারণকে স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া থেকে বিরত রাখা।
এসবের বাইরে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস পাওয়া, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়-বন্যার প্রকোপ মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জগুলোও ড. ইউনূসের সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ হয়তো অনেক কঠিন কিন্তু ড. ইউনূসের ওপর দেশের মানুষের যে আশা তা আরও অনেক বেশি।
অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৮ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১০ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৮ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
১০ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৮ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১০ ঘণ্টা আগে