নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সংস্কারের দাবি তুলেছে সংগঠনটির সদস্যদের একাংশের মোর্চা বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ। এ লক্ষ্যে জোটের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ৮টি সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এফবিসিসিআই নির্বাচনের আগে নতুন করে সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচন করা, মনোনীত পরিচালক প্রথা বাতিল, পরিচালনা পর্ষদ ছোট করা ইত্যাদি।
এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ।
গতকাল রোববার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন বৈষম্য-বিরোধী সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক জাকির হোসেন নয়ন।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি ও জোটের সমন্বয়ক আবুল কাসেম হায়দার, সমন্বয়ক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী খোকন ও জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাকির হোসেন নয়ন বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের স্বার্থে সার্বিকভাবে পরিচালিত হয়নি। বরং, অনির্বাচিত, একদলীয় স্বৈরাচারী সরকারের তোষামদি, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলসহ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ছিল।
গত দেড় দশকে এফবিসিসিআইয়ের উদাসীনতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানান জাকির হোসেন নয়ন। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতা এবং ব্যর্থতার কারণে বাজার সিন্ডিকেটের প্রভাবে অনেক নিত্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজারমূল্য দ্বিগুণ বা তিনগুণ বাড়িয়ে একটি মহল রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআইয়ের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং সেল এর দায় এড়াতে পারে না। তারা তখন কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনি। যে কারণে একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন পণ্যের দাম ধাপে ধাপে বাড়িয়ে জনসাধারণের নাগালের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল।
জাকির হোসেন নয়ন আরও বলেন, গণভবনে তোষামোদকারী সুবিধাবাদী চক্র দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর জবাবদিহি ছাড়াই এফবিসিসিআই এবং এর অধীনস্থ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে পকেট সংগঠন হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল।
এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের আগে অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এর কারণ হলো, গত ১৫ বছরে অধিকাংশ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনে সীমাহীন দলীয়করণ করা হয়েছে। অধিকাংশ সংগঠনের নেতারা ছাত্র-গণহত্যার সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামি এবং অনেকেই পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। ফলে বাণিজ্য সংগঠনগুলোতে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে।
মনোনীত পরিচালক প্রথা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এই প্রথার কারণে ১৫ বছরে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে অনেক অ-ব্যবসায়ী, অযোগ্য লোক পরিচালনা পর্ষদে ঢুকে পড়েন। তারা এফবিসিসিআইয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে আদৌ সম্পৃক্ত হন না। বোর্ড মিটিংয়েও অনুপস্থিত থাকেন। সিআপিসহ অন্য সুবিধা গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন।
সভাপতি, সহসভাপতি এবং পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচনের সুপারিশ করে সমন্বয়ক জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় ওই পদে আসীন ব্যক্তিদের সাধারণ পরিষদের কাছে কোনো জবাবদিহিতা বা দায়বদ্ধতা নেই। এতে করে তাঁরা স্বৈরাচারী মনোভাব ধারণ করেন।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ ছোট করতে হবে বলে মনে করে বৈষম্য-বিরোধী সংস্কার পরিষদ। জোটের পক্ষে নয়ন বলেন, ৮০ জন পরিচালক নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ সত্যিকার অর্থেই একটি মাথাভারী প্রশাসন।
সহসভাপতি পদে ৭ জনের পরিবর্তে ৩ জন রাখার সুপারিশ করে সংস্কার জোট। সমন্বয়ক নয়ন বলেন, সহসভাপতির কাজ সভাপতির অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করা। কেবলমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় চাপ সৃষ্টির কারণে অতীতে ৭ জন সহসভাপতি পদ তৈরি করা হয়েছে। সারা বিশ্বে এমন নজির নেই। বিষয়টি হাস্যকরও বটে।
পরিচালনা পর্ষদ ছোট করে চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৫ জন পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৫ জন পরিচালক নির্ধারণের জন্য সুপারিশ করে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা চেম্বারের সদস্য সংখ্যার প্রায় ৫ গুণ। অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া চাঁদার পরিমাণ চেম্বারের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি। সুতরাং, অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ ও চেম্বার গ্রুপ হতে সমান সংখ্যক পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠন করা অযৌক্তিক এবং একটি বিশাল বৈষম্য।
এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ বলছে, একই ব্যক্তি অপকৌশলে একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁরা একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে তরুণ সৎ, শিক্ষিত, যোগ্য ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আসার জন্য বিশাল প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে সাধারণ ভোটারদের কোনো উপহার বা উপঢৌকন প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, উপহার দেওয়া হলে জরিমানাসহ আজীবন সদস্যপদ বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে।
জোটের সম্পর্কে জানতে চাইলে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে এফবিসিসিআইয়ে যে প্রাতিষ্ঠানিক বিপর্যয় হয়েছে, আমরা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছে নেই।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সংস্কারের দাবি তুলেছে সংগঠনটির সদস্যদের একাংশের মোর্চা বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ। এ লক্ষ্যে জোটের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ৮টি সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এফবিসিসিআই নির্বাচনের আগে নতুন করে সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচন করা, মনোনীত পরিচালক প্রথা বাতিল, পরিচালনা পর্ষদ ছোট করা ইত্যাদি।
এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ।
গতকাল রোববার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন বৈষম্য-বিরোধী সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক জাকির হোসেন নয়ন।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি ও জোটের সমন্বয়ক আবুল কাসেম হায়দার, সমন্বয়ক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী খোকন ও জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাকির হোসেন নয়ন বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের স্বার্থে সার্বিকভাবে পরিচালিত হয়নি। বরং, অনির্বাচিত, একদলীয় স্বৈরাচারী সরকারের তোষামদি, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলসহ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ছিল।
গত দেড় দশকে এফবিসিসিআইয়ের উদাসীনতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানান জাকির হোসেন নয়ন। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতা এবং ব্যর্থতার কারণে বাজার সিন্ডিকেটের প্রভাবে অনেক নিত্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজারমূল্য দ্বিগুণ বা তিনগুণ বাড়িয়ে একটি মহল রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআইয়ের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং সেল এর দায় এড়াতে পারে না। তারা তখন কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনি। যে কারণে একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন পণ্যের দাম ধাপে ধাপে বাড়িয়ে জনসাধারণের নাগালের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল।
জাকির হোসেন নয়ন আরও বলেন, গণভবনে তোষামোদকারী সুবিধাবাদী চক্র দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর জবাবদিহি ছাড়াই এফবিসিসিআই এবং এর অধীনস্থ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে পকেট সংগঠন হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল।
এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের আগে অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এর কারণ হলো, গত ১৫ বছরে অধিকাংশ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনে সীমাহীন দলীয়করণ করা হয়েছে। অধিকাংশ সংগঠনের নেতারা ছাত্র-গণহত্যার সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামি এবং অনেকেই পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। ফলে বাণিজ্য সংগঠনগুলোতে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে।
মনোনীত পরিচালক প্রথা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এই প্রথার কারণে ১৫ বছরে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে অনেক অ-ব্যবসায়ী, অযোগ্য লোক পরিচালনা পর্ষদে ঢুকে পড়েন। তারা এফবিসিসিআইয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে আদৌ সম্পৃক্ত হন না। বোর্ড মিটিংয়েও অনুপস্থিত থাকেন। সিআপিসহ অন্য সুবিধা গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন।
সভাপতি, সহসভাপতি এবং পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচনের সুপারিশ করে সমন্বয়ক জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় ওই পদে আসীন ব্যক্তিদের সাধারণ পরিষদের কাছে কোনো জবাবদিহিতা বা দায়বদ্ধতা নেই। এতে করে তাঁরা স্বৈরাচারী মনোভাব ধারণ করেন।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ ছোট করতে হবে বলে মনে করে বৈষম্য-বিরোধী সংস্কার পরিষদ। জোটের পক্ষে নয়ন বলেন, ৮০ জন পরিচালক নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ সত্যিকার অর্থেই একটি মাথাভারী প্রশাসন।
সহসভাপতি পদে ৭ জনের পরিবর্তে ৩ জন রাখার সুপারিশ করে সংস্কার জোট। সমন্বয়ক নয়ন বলেন, সহসভাপতির কাজ সভাপতির অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করা। কেবলমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় চাপ সৃষ্টির কারণে অতীতে ৭ জন সহসভাপতি পদ তৈরি করা হয়েছে। সারা বিশ্বে এমন নজির নেই। বিষয়টি হাস্যকরও বটে।
পরিচালনা পর্ষদ ছোট করে চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৫ জন পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৫ জন পরিচালক নির্ধারণের জন্য সুপারিশ করে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা চেম্বারের সদস্য সংখ্যার প্রায় ৫ গুণ। অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া চাঁদার পরিমাণ চেম্বারের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি। সুতরাং, অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ ও চেম্বার গ্রুপ হতে সমান সংখ্যক পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠন করা অযৌক্তিক এবং একটি বিশাল বৈষম্য।
এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ বলছে, একই ব্যক্তি অপকৌশলে একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁরা একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে তরুণ সৎ, শিক্ষিত, যোগ্য ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আসার জন্য বিশাল প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে সাধারণ ভোটারদের কোনো উপহার বা উপঢৌকন প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, উপহার দেওয়া হলে জরিমানাসহ আজীবন সদস্যপদ বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে।
জোটের সম্পর্কে জানতে চাইলে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে এফবিসিসিআইয়ে যে প্রাতিষ্ঠানিক বিপর্যয় হয়েছে, আমরা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছে নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সংস্কারের দাবি তুলেছে সংগঠনটির সদস্যদের একাংশের মোর্চা বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ। এ লক্ষ্যে জোটের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ৮টি সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এফবিসিসিআই নির্বাচনের আগে নতুন করে সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচন করা, মনোনীত পরিচালক প্রথা বাতিল, পরিচালনা পর্ষদ ছোট করা ইত্যাদি।
এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ।
গতকাল রোববার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন বৈষম্য-বিরোধী সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক জাকির হোসেন নয়ন।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি ও জোটের সমন্বয়ক আবুল কাসেম হায়দার, সমন্বয়ক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী খোকন ও জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাকির হোসেন নয়ন বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের স্বার্থে সার্বিকভাবে পরিচালিত হয়নি। বরং, অনির্বাচিত, একদলীয় স্বৈরাচারী সরকারের তোষামদি, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলসহ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ছিল।
গত দেড় দশকে এফবিসিসিআইয়ের উদাসীনতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানান জাকির হোসেন নয়ন। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতা এবং ব্যর্থতার কারণে বাজার সিন্ডিকেটের প্রভাবে অনেক নিত্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজারমূল্য দ্বিগুণ বা তিনগুণ বাড়িয়ে একটি মহল রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআইয়ের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং সেল এর দায় এড়াতে পারে না। তারা তখন কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনি। যে কারণে একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন পণ্যের দাম ধাপে ধাপে বাড়িয়ে জনসাধারণের নাগালের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল।
জাকির হোসেন নয়ন আরও বলেন, গণভবনে তোষামোদকারী সুবিধাবাদী চক্র দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর জবাবদিহি ছাড়াই এফবিসিসিআই এবং এর অধীনস্থ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে পকেট সংগঠন হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল।
এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের আগে অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এর কারণ হলো, গত ১৫ বছরে অধিকাংশ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনে সীমাহীন দলীয়করণ করা হয়েছে। অধিকাংশ সংগঠনের নেতারা ছাত্র-গণহত্যার সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামি এবং অনেকেই পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। ফলে বাণিজ্য সংগঠনগুলোতে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে।
মনোনীত পরিচালক প্রথা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এই প্রথার কারণে ১৫ বছরে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে অনেক অ-ব্যবসায়ী, অযোগ্য লোক পরিচালনা পর্ষদে ঢুকে পড়েন। তারা এফবিসিসিআইয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে আদৌ সম্পৃক্ত হন না। বোর্ড মিটিংয়েও অনুপস্থিত থাকেন। সিআপিসহ অন্য সুবিধা গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন।
সভাপতি, সহসভাপতি এবং পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচনের সুপারিশ করে সমন্বয়ক জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় ওই পদে আসীন ব্যক্তিদের সাধারণ পরিষদের কাছে কোনো জবাবদিহিতা বা দায়বদ্ধতা নেই। এতে করে তাঁরা স্বৈরাচারী মনোভাব ধারণ করেন।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ ছোট করতে হবে বলে মনে করে বৈষম্য-বিরোধী সংস্কার পরিষদ। জোটের পক্ষে নয়ন বলেন, ৮০ জন পরিচালক নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ সত্যিকার অর্থেই একটি মাথাভারী প্রশাসন।
সহসভাপতি পদে ৭ জনের পরিবর্তে ৩ জন রাখার সুপারিশ করে সংস্কার জোট। সমন্বয়ক নয়ন বলেন, সহসভাপতির কাজ সভাপতির অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করা। কেবলমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় চাপ সৃষ্টির কারণে অতীতে ৭ জন সহসভাপতি পদ তৈরি করা হয়েছে। সারা বিশ্বে এমন নজির নেই। বিষয়টি হাস্যকরও বটে।
পরিচালনা পর্ষদ ছোট করে চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৫ জন পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৫ জন পরিচালক নির্ধারণের জন্য সুপারিশ করে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা চেম্বারের সদস্য সংখ্যার প্রায় ৫ গুণ। অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া চাঁদার পরিমাণ চেম্বারের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি। সুতরাং, অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ ও চেম্বার গ্রুপ হতে সমান সংখ্যক পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠন করা অযৌক্তিক এবং একটি বিশাল বৈষম্য।
এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ বলছে, একই ব্যক্তি অপকৌশলে একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁরা একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে তরুণ সৎ, শিক্ষিত, যোগ্য ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আসার জন্য বিশাল প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে সাধারণ ভোটারদের কোনো উপহার বা উপঢৌকন প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, উপহার দেওয়া হলে জরিমানাসহ আজীবন সদস্যপদ বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে।
জোটের সম্পর্কে জানতে চাইলে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে এফবিসিসিআইয়ে যে প্রাতিষ্ঠানিক বিপর্যয় হয়েছে, আমরা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছে নেই।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সংস্কারের দাবি তুলেছে সংগঠনটির সদস্যদের একাংশের মোর্চা বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ। এ লক্ষ্যে জোটের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ৮টি সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এফবিসিসিআই নির্বাচনের আগে নতুন করে সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচন করা, মনোনীত পরিচালক প্রথা বাতিল, পরিচালনা পর্ষদ ছোট করা ইত্যাদি।
এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ।
গতকাল রোববার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন বৈষম্য-বিরোধী সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক জাকির হোসেন নয়ন।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি ও জোটের সমন্বয়ক আবুল কাসেম হায়দার, সমন্বয়ক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী খোকন ও জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাকির হোসেন নয়ন বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের স্বার্থে সার্বিকভাবে পরিচালিত হয়নি। বরং, অনির্বাচিত, একদলীয় স্বৈরাচারী সরকারের তোষামদি, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলসহ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ছিল।
গত দেড় দশকে এফবিসিসিআইয়ের উদাসীনতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানান জাকির হোসেন নয়ন। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতা এবং ব্যর্থতার কারণে বাজার সিন্ডিকেটের প্রভাবে অনেক নিত্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজারমূল্য দ্বিগুণ বা তিনগুণ বাড়িয়ে একটি মহল রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআইয়ের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং সেল এর দায় এড়াতে পারে না। তারা তখন কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনি। যে কারণে একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন পণ্যের দাম ধাপে ধাপে বাড়িয়ে জনসাধারণের নাগালের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল।
জাকির হোসেন নয়ন আরও বলেন, গণভবনে তোষামোদকারী সুবিধাবাদী চক্র দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর জবাবদিহি ছাড়াই এফবিসিসিআই এবং এর অধীনস্থ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে পকেট সংগঠন হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল।
এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের আগে অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এর কারণ হলো, গত ১৫ বছরে অধিকাংশ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনে সীমাহীন দলীয়করণ করা হয়েছে। অধিকাংশ সংগঠনের নেতারা ছাত্র-গণহত্যার সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামি এবং অনেকেই পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। ফলে বাণিজ্য সংগঠনগুলোতে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে।
মনোনীত পরিচালক প্রথা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, এই প্রথার কারণে ১৫ বছরে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে অনেক অ-ব্যবসায়ী, অযোগ্য লোক পরিচালনা পর্ষদে ঢুকে পড়েন। তারা এফবিসিসিআইয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে আদৌ সম্পৃক্ত হন না। বোর্ড মিটিংয়েও অনুপস্থিত থাকেন। সিআপিসহ অন্য সুবিধা গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন।
সভাপতি, সহসভাপতি এবং পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচনের সুপারিশ করে সমন্বয়ক জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় ওই পদে আসীন ব্যক্তিদের সাধারণ পরিষদের কাছে কোনো জবাবদিহিতা বা দায়বদ্ধতা নেই। এতে করে তাঁরা স্বৈরাচারী মনোভাব ধারণ করেন।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ ছোট করতে হবে বলে মনে করে বৈষম্য-বিরোধী সংস্কার পরিষদ। জোটের পক্ষে নয়ন বলেন, ৮০ জন পরিচালক নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ সত্যিকার অর্থেই একটি মাথাভারী প্রশাসন।
সহসভাপতি পদে ৭ জনের পরিবর্তে ৩ জন রাখার সুপারিশ করে সংস্কার জোট। সমন্বয়ক নয়ন বলেন, সহসভাপতির কাজ সভাপতির অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করা। কেবলমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় চাপ সৃষ্টির কারণে অতীতে ৭ জন সহসভাপতি পদ তৈরি করা হয়েছে। সারা বিশ্বে এমন নজির নেই। বিষয়টি হাস্যকরও বটে।
পরিচালনা পর্ষদ ছোট করে চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৫ জন পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৫ জন পরিচালক নির্ধারণের জন্য সুপারিশ করে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা চেম্বারের সদস্য সংখ্যার প্রায় ৫ গুণ। অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া চাঁদার পরিমাণ চেম্বারের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি। সুতরাং, অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ ও চেম্বার গ্রুপ হতে সমান সংখ্যক পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠন করা অযৌক্তিক এবং একটি বিশাল বৈষম্য।
এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ বলছে, একই ব্যক্তি অপকৌশলে একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁরা একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে তরুণ সৎ, শিক্ষিত, যোগ্য ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আসার জন্য বিশাল প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে সাধারণ ভোটারদের কোনো উপহার বা উপঢৌকন প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, উপহার দেওয়া হলে জরিমানাসহ আজীবন সদস্যপদ বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে।
জোটের সম্পর্কে জানতে চাইলে জাকির হোসেন নয়ন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে এফবিসিসিআইয়ে যে প্রাতিষ্ঠানিক বিপর্যয় হয়েছে, আমরা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছে নেই।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ বলছে, একই ব্যক্তি অপকৌশলে একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁরা একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে তরুণ সৎ, শিক্ষিত, যোগ্য ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আসার জন্য
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ বলছে, একই ব্যক্তি অপকৌশলে একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁরা একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে তরুণ সৎ, শিক্ষিত, যোগ্য ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আসার জন্য
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ বলছে, একই ব্যক্তি অপকৌশলে একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁরা একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে তরুণ সৎ, শিক্ষিত, যোগ্য ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আসার জন্য
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৮ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

এফবিসিসিআইয়ের সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণের নিয়ম করার তাগিদ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ বলছে, একই ব্যক্তি অপকৌশলে একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁরা একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে তরুণ সৎ, শিক্ষিত, যোগ্য ও মেধাবীদের নেতৃত্বে আসার জন্য
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে