নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন আলোচনায় অংশ নিয়ে মোবাইল, সিগারেট, বিড়িশিল্পের মতো বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে। এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকোর হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাবাব চৌধুরী বলেন, সিগারেটের ওপর কর ও দাম বাড়ালে অপরাধীরা সুযোগ নেয়। চোরাকারবারের সুযোগ বাড়ে। এতে সরকার রাজস্ববঞ্চিত হয়।
শাবাব চৌধুরী বলেন, ‘রাজস্বের ৮৮ ভাগ আমাদের। আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করা উচিত। দাম আর বাড়াইয়েন না, করও বাড়াইয়েন না। ভোক্তাকে স্থির হতে দেন। নইলে চোরাচালান বাড়বে।’
বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন বলেন, এ শিল্পে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১৮ লক্ষাধিক শ্রমিক জড়িত। বিশেষ করে, দেশের সুবিধাবঞ্চিত, অসহায়, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, শারীরিক প্রতিবন্ধী, গরিব, হতদরিদ্র, দিনমজুর, নদীভাঙন ও চর এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষের জীবিকা বিড়িশিল্পের ওপর নির্ভর করে।
শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক ও কর বাড়ানোর ফলে এই শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। তাই বিড়িশিল্প ও শ্রমিকদের রক্ষার্থে চলতি বাজেটেও এ শিল্পের ওপর আরোপিত শুল্ক না বাড়ানোর আহ্বান জানাই।’
বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি বলছে, শুধু বিড়ির করহার ১০ শতাংশ, যা বর্তমানে সমন্বয়যোগ্য নয়। অন্যদিকে ধারা-১৫২ অনুযায়ী সিগারেটের ওপর করহার ৩ শতাংশ, যা সমন্বয়যোগ্য। এ ক্ষেত্রে সিগারেটের সঙ্গে বিড়ির ক্ষেত্রেও ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করছি। এতে উভয় খাতের বিদ্যমান করবৈষম্য দূর হবে। এ ছাড়া বিড়ির ট্যারিফ মূল্য কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
দেশে সিগারেটের চেয়ে বিড়ির ট্যাক্স কম উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নকল বিড়ির উৎপাদন বন্ধ না করলে বিড়ি মালিক শিল্প সমিতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবদুর রহমান খান বলেন, ভ্যাট থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আসার কথা, তা আসে না। ভোক্তা ভ্যাট দিয়ে রিসিট না নিলে রাজস্ব বাড়বে না। যাঁরা ভ্যাট দিয়ে রিসিট নেবেন, তাঁদের লটারির মাধ্যমে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, ‘একটি জরুরি সেবা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মোবাইল শিল্পকে খাতওয়ারি কর দিতে হয় এবং বৈশ্বিক বিবেচনায় আমরা সবচেয়ে বেশি কর দিই। সরকার প্রায় প্রতিবছর এই খাতে কর বাড়িয়ে আসছে, যার বিরূপ প্রভাব গ্রাহকদের ওপর পড়ছে।’
মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, কর বাড়ানোর কারণে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল সিমের ওপর ধার্য করা ৩০০ টাকার ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে এমটব। মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, সিম সরবরাহের ওপর হতে মূল্য সংযোজন কর অপসারণ করা হলে গ্রামাঞ্চলে মোবাইল সম্প্রসারণে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, কার্যত যা সরকারের সমগ্র বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
দ্বৈতকর এড়ানোর বিষয়ে এমটবের মহাসচিব বলেন, ‘রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (পিএসআর) দাখিলে ব্যর্থ হলে আয়কর আইন অনুযায়ী ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান রয়েছে। এতে একই খরচের ওপরে দ্বৈতকর আরোপ করা হয়, যা আয়কর আইনের মূলনীতি পরিপন্থী। এই নীতি পরিহার করার অনুরোধ করছি।’
মোবাইল খাতের করপোরেট কর অনেক বেশি উল্লেখ করে জুলফিকার বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটরদের করপোরেট করহার ৪০ শতাংশ ও তালিকা না হওয়া কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ। কিন্তু অন্য খাতের কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি যথাক্রমে সাড়ে ২৭ ও ২০ শতাংশ। মোবাইল অপারেটরদের পৃথক শ্রেণিভুক্ত না করে অন্যান্য কোম্পানির সারিতে পুনর্বিন্যস্ত করা হোক। আর তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর কমানোর প্রস্তাব করছি।’
লিখিত প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ ঔষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমদানি করা পণ্যের এইচএস কোড নির্ধারণে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমদানিকারকদের ২০০-৪০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হয়ে থাকে। বিনা জরিমানায় এইচএস কোড নির্ধারণে কাস্টমস আইনের সংশোধন প্রয়োজন।’
আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘কেমিস্টদের বিক্রি করা টাকা দিনশেষে কোনো ব্যাংকিং ও নগদ অর্থের নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় তা কোম্পানিগুলোকে নগদে নিতে বাধ্য করে থাকে। তাই ঔষধশিল্পের ব্যবসার প্রকৃতি বিবেচনা নিয়ে প্রত্যেক আয়বর্ষে সব প্রকার আয় ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’
ঔষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘ঔষধশিল্পের প্রকৃতির কারণে প্রত্যেক একক লেনদেন ৫ লাখ টাকার অধিক ও বার্ষিক সর্বমোট ৩৬ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে সব প্রকার ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। তাই এই শিল্প খাতের ব্যয়ের ক্ষেত্রে মোট ব্যয়ের ২০ শতাংশ নগদ লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ক্লিংকারের ওপর কাস্টমস ডিউটি (সিডি) কমিয়ে প্রতি টনে ২০০ টাকা করার সুপারিশ করেছে। শুল্ক কমানোর যুক্তি হিসেবে সংগঠনটি বলছে, কোনো শিল্পের প্রধান কাঁচামালের ওপর কাস্টমস ডিউটি সাধারণত আমদানিমূল্যের ওপর প্রায় ৫ শতাংশ হয়, কিন্তু ক্লিংকারের ওপর প্রতি টনে ৭০০ টাকা আদায় করার ফলে কাস্টমস ডিউটি দাঁড়ায় আমদানিমূল্যের প্রায় ১৫ শতাংশ।
বিষয়টি সিমেন্ট শিল্পমালিকদের কাছে অসামঞ্জস্য বলে মনে হচ্ছে উল্লেখ করে বিসিএমএ বলছে, এর ক্ষতিকর প্রভাব সিমেন্টের বাজারে ভোক্তাসাধারণের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। সার্বিক নির্মাণ কার্যক্রমে গতি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
বর্তমানে কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর ৩ শতাংশ ন্যূনতম কর আরোপিত রয়েছে, যা কমিয়ে দশমিক ৬ শতাংশ করার আহ্বান খাতসংশ্লিষ্টদের। এ ছাড়া এ খাতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও মিনারেল ওয়াটারে সম্পূর্ণ শুল্ক অব্যাহতির দাবি জানানো হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবির জবাবে ব্যবসাবান্ধব করব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে চান বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় বাধা তৈরি করে ও খরচ বাড়ায়, এমন বিধান সংশোধন করা হবে। কমিয়ে আনা হবে অযৌক্তিক উৎসে করের চাপ। আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে চাই।’
আবদুর রহমান আরও বলেন, ‘এখন অনেক ক্ষেত্রে করের হার অনেক বেশি। আমরা এটা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে চাই।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবারের বাজেটে আপনারা এর একটি প্রতিফলন দেখতে পাবেন।’
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়া আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের নীতি শাখার সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন আলোচনায় অংশ নিয়ে মোবাইল, সিগারেট, বিড়িশিল্পের মতো বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে। এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকোর হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাবাব চৌধুরী বলেন, সিগারেটের ওপর কর ও দাম বাড়ালে অপরাধীরা সুযোগ নেয়। চোরাকারবারের সুযোগ বাড়ে। এতে সরকার রাজস্ববঞ্চিত হয়।
শাবাব চৌধুরী বলেন, ‘রাজস্বের ৮৮ ভাগ আমাদের। আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করা উচিত। দাম আর বাড়াইয়েন না, করও বাড়াইয়েন না। ভোক্তাকে স্থির হতে দেন। নইলে চোরাচালান বাড়বে।’
বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন বলেন, এ শিল্পে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১৮ লক্ষাধিক শ্রমিক জড়িত। বিশেষ করে, দেশের সুবিধাবঞ্চিত, অসহায়, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, শারীরিক প্রতিবন্ধী, গরিব, হতদরিদ্র, দিনমজুর, নদীভাঙন ও চর এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষের জীবিকা বিড়িশিল্পের ওপর নির্ভর করে।
শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক ও কর বাড়ানোর ফলে এই শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। তাই বিড়িশিল্প ও শ্রমিকদের রক্ষার্থে চলতি বাজেটেও এ শিল্পের ওপর আরোপিত শুল্ক না বাড়ানোর আহ্বান জানাই।’
বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি বলছে, শুধু বিড়ির করহার ১০ শতাংশ, যা বর্তমানে সমন্বয়যোগ্য নয়। অন্যদিকে ধারা-১৫২ অনুযায়ী সিগারেটের ওপর করহার ৩ শতাংশ, যা সমন্বয়যোগ্য। এ ক্ষেত্রে সিগারেটের সঙ্গে বিড়ির ক্ষেত্রেও ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করছি। এতে উভয় খাতের বিদ্যমান করবৈষম্য দূর হবে। এ ছাড়া বিড়ির ট্যারিফ মূল্য কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
দেশে সিগারেটের চেয়ে বিড়ির ট্যাক্স কম উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নকল বিড়ির উৎপাদন বন্ধ না করলে বিড়ি মালিক শিল্প সমিতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবদুর রহমান খান বলেন, ভ্যাট থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আসার কথা, তা আসে না। ভোক্তা ভ্যাট দিয়ে রিসিট না নিলে রাজস্ব বাড়বে না। যাঁরা ভ্যাট দিয়ে রিসিট নেবেন, তাঁদের লটারির মাধ্যমে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, ‘একটি জরুরি সেবা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মোবাইল শিল্পকে খাতওয়ারি কর দিতে হয় এবং বৈশ্বিক বিবেচনায় আমরা সবচেয়ে বেশি কর দিই। সরকার প্রায় প্রতিবছর এই খাতে কর বাড়িয়ে আসছে, যার বিরূপ প্রভাব গ্রাহকদের ওপর পড়ছে।’
মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, কর বাড়ানোর কারণে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল সিমের ওপর ধার্য করা ৩০০ টাকার ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে এমটব। মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, সিম সরবরাহের ওপর হতে মূল্য সংযোজন কর অপসারণ করা হলে গ্রামাঞ্চলে মোবাইল সম্প্রসারণে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, কার্যত যা সরকারের সমগ্র বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
দ্বৈতকর এড়ানোর বিষয়ে এমটবের মহাসচিব বলেন, ‘রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (পিএসআর) দাখিলে ব্যর্থ হলে আয়কর আইন অনুযায়ী ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান রয়েছে। এতে একই খরচের ওপরে দ্বৈতকর আরোপ করা হয়, যা আয়কর আইনের মূলনীতি পরিপন্থী। এই নীতি পরিহার করার অনুরোধ করছি।’
মোবাইল খাতের করপোরেট কর অনেক বেশি উল্লেখ করে জুলফিকার বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটরদের করপোরেট করহার ৪০ শতাংশ ও তালিকা না হওয়া কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ। কিন্তু অন্য খাতের কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি যথাক্রমে সাড়ে ২৭ ও ২০ শতাংশ। মোবাইল অপারেটরদের পৃথক শ্রেণিভুক্ত না করে অন্যান্য কোম্পানির সারিতে পুনর্বিন্যস্ত করা হোক। আর তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর কমানোর প্রস্তাব করছি।’
লিখিত প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ ঔষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমদানি করা পণ্যের এইচএস কোড নির্ধারণে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমদানিকারকদের ২০০-৪০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হয়ে থাকে। বিনা জরিমানায় এইচএস কোড নির্ধারণে কাস্টমস আইনের সংশোধন প্রয়োজন।’
আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘কেমিস্টদের বিক্রি করা টাকা দিনশেষে কোনো ব্যাংকিং ও নগদ অর্থের নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় তা কোম্পানিগুলোকে নগদে নিতে বাধ্য করে থাকে। তাই ঔষধশিল্পের ব্যবসার প্রকৃতি বিবেচনা নিয়ে প্রত্যেক আয়বর্ষে সব প্রকার আয় ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’
ঔষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘ঔষধশিল্পের প্রকৃতির কারণে প্রত্যেক একক লেনদেন ৫ লাখ টাকার অধিক ও বার্ষিক সর্বমোট ৩৬ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে সব প্রকার ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। তাই এই শিল্প খাতের ব্যয়ের ক্ষেত্রে মোট ব্যয়ের ২০ শতাংশ নগদ লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ক্লিংকারের ওপর কাস্টমস ডিউটি (সিডি) কমিয়ে প্রতি টনে ২০০ টাকা করার সুপারিশ করেছে। শুল্ক কমানোর যুক্তি হিসেবে সংগঠনটি বলছে, কোনো শিল্পের প্রধান কাঁচামালের ওপর কাস্টমস ডিউটি সাধারণত আমদানিমূল্যের ওপর প্রায় ৫ শতাংশ হয়, কিন্তু ক্লিংকারের ওপর প্রতি টনে ৭০০ টাকা আদায় করার ফলে কাস্টমস ডিউটি দাঁড়ায় আমদানিমূল্যের প্রায় ১৫ শতাংশ।
বিষয়টি সিমেন্ট শিল্পমালিকদের কাছে অসামঞ্জস্য বলে মনে হচ্ছে উল্লেখ করে বিসিএমএ বলছে, এর ক্ষতিকর প্রভাব সিমেন্টের বাজারে ভোক্তাসাধারণের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। সার্বিক নির্মাণ কার্যক্রমে গতি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
বর্তমানে কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর ৩ শতাংশ ন্যূনতম কর আরোপিত রয়েছে, যা কমিয়ে দশমিক ৬ শতাংশ করার আহ্বান খাতসংশ্লিষ্টদের। এ ছাড়া এ খাতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও মিনারেল ওয়াটারে সম্পূর্ণ শুল্ক অব্যাহতির দাবি জানানো হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবির জবাবে ব্যবসাবান্ধব করব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে চান বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় বাধা তৈরি করে ও খরচ বাড়ায়, এমন বিধান সংশোধন করা হবে। কমিয়ে আনা হবে অযৌক্তিক উৎসে করের চাপ। আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে চাই।’
আবদুর রহমান আরও বলেন, ‘এখন অনেক ক্ষেত্রে করের হার অনেক বেশি। আমরা এটা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে চাই।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবারের বাজেটে আপনারা এর একটি প্রতিফলন দেখতে পাবেন।’
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়া আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের নীতি শাখার সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন আলোচনায় অংশ নিয়ে মোবাইল, সিগারেট, বিড়িশিল্পের মতো বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে। এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকোর হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাবাব চৌধুরী বলেন, সিগারেটের ওপর কর ও দাম বাড়ালে অপরাধীরা সুযোগ নেয়। চোরাকারবারের সুযোগ বাড়ে। এতে সরকার রাজস্ববঞ্চিত হয়।
শাবাব চৌধুরী বলেন, ‘রাজস্বের ৮৮ ভাগ আমাদের। আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করা উচিত। দাম আর বাড়াইয়েন না, করও বাড়াইয়েন না। ভোক্তাকে স্থির হতে দেন। নইলে চোরাচালান বাড়বে।’
বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন বলেন, এ শিল্পে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১৮ লক্ষাধিক শ্রমিক জড়িত। বিশেষ করে, দেশের সুবিধাবঞ্চিত, অসহায়, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, শারীরিক প্রতিবন্ধী, গরিব, হতদরিদ্র, দিনমজুর, নদীভাঙন ও চর এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষের জীবিকা বিড়িশিল্পের ওপর নির্ভর করে।
শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক ও কর বাড়ানোর ফলে এই শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। তাই বিড়িশিল্প ও শ্রমিকদের রক্ষার্থে চলতি বাজেটেও এ শিল্পের ওপর আরোপিত শুল্ক না বাড়ানোর আহ্বান জানাই।’
বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি বলছে, শুধু বিড়ির করহার ১০ শতাংশ, যা বর্তমানে সমন্বয়যোগ্য নয়। অন্যদিকে ধারা-১৫২ অনুযায়ী সিগারেটের ওপর করহার ৩ শতাংশ, যা সমন্বয়যোগ্য। এ ক্ষেত্রে সিগারেটের সঙ্গে বিড়ির ক্ষেত্রেও ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করছি। এতে উভয় খাতের বিদ্যমান করবৈষম্য দূর হবে। এ ছাড়া বিড়ির ট্যারিফ মূল্য কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
দেশে সিগারেটের চেয়ে বিড়ির ট্যাক্স কম উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নকল বিড়ির উৎপাদন বন্ধ না করলে বিড়ি মালিক শিল্প সমিতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবদুর রহমান খান বলেন, ভ্যাট থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আসার কথা, তা আসে না। ভোক্তা ভ্যাট দিয়ে রিসিট না নিলে রাজস্ব বাড়বে না। যাঁরা ভ্যাট দিয়ে রিসিট নেবেন, তাঁদের লটারির মাধ্যমে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, ‘একটি জরুরি সেবা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মোবাইল শিল্পকে খাতওয়ারি কর দিতে হয় এবং বৈশ্বিক বিবেচনায় আমরা সবচেয়ে বেশি কর দিই। সরকার প্রায় প্রতিবছর এই খাতে কর বাড়িয়ে আসছে, যার বিরূপ প্রভাব গ্রাহকদের ওপর পড়ছে।’
মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, কর বাড়ানোর কারণে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল সিমের ওপর ধার্য করা ৩০০ টাকার ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে এমটব। মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, সিম সরবরাহের ওপর হতে মূল্য সংযোজন কর অপসারণ করা হলে গ্রামাঞ্চলে মোবাইল সম্প্রসারণে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, কার্যত যা সরকারের সমগ্র বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
দ্বৈতকর এড়ানোর বিষয়ে এমটবের মহাসচিব বলেন, ‘রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (পিএসআর) দাখিলে ব্যর্থ হলে আয়কর আইন অনুযায়ী ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান রয়েছে। এতে একই খরচের ওপরে দ্বৈতকর আরোপ করা হয়, যা আয়কর আইনের মূলনীতি পরিপন্থী। এই নীতি পরিহার করার অনুরোধ করছি।’
মোবাইল খাতের করপোরেট কর অনেক বেশি উল্লেখ করে জুলফিকার বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটরদের করপোরেট করহার ৪০ শতাংশ ও তালিকা না হওয়া কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ। কিন্তু অন্য খাতের কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি যথাক্রমে সাড়ে ২৭ ও ২০ শতাংশ। মোবাইল অপারেটরদের পৃথক শ্রেণিভুক্ত না করে অন্যান্য কোম্পানির সারিতে পুনর্বিন্যস্ত করা হোক। আর তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর কমানোর প্রস্তাব করছি।’
লিখিত প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ ঔষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমদানি করা পণ্যের এইচএস কোড নির্ধারণে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমদানিকারকদের ২০০-৪০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হয়ে থাকে। বিনা জরিমানায় এইচএস কোড নির্ধারণে কাস্টমস আইনের সংশোধন প্রয়োজন।’
আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘কেমিস্টদের বিক্রি করা টাকা দিনশেষে কোনো ব্যাংকিং ও নগদ অর্থের নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় তা কোম্পানিগুলোকে নগদে নিতে বাধ্য করে থাকে। তাই ঔষধশিল্পের ব্যবসার প্রকৃতি বিবেচনা নিয়ে প্রত্যেক আয়বর্ষে সব প্রকার আয় ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’
ঔষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘ঔষধশিল্পের প্রকৃতির কারণে প্রত্যেক একক লেনদেন ৫ লাখ টাকার অধিক ও বার্ষিক সর্বমোট ৩৬ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে সব প্রকার ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। তাই এই শিল্প খাতের ব্যয়ের ক্ষেত্রে মোট ব্যয়ের ২০ শতাংশ নগদ লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ক্লিংকারের ওপর কাস্টমস ডিউটি (সিডি) কমিয়ে প্রতি টনে ২০০ টাকা করার সুপারিশ করেছে। শুল্ক কমানোর যুক্তি হিসেবে সংগঠনটি বলছে, কোনো শিল্পের প্রধান কাঁচামালের ওপর কাস্টমস ডিউটি সাধারণত আমদানিমূল্যের ওপর প্রায় ৫ শতাংশ হয়, কিন্তু ক্লিংকারের ওপর প্রতি টনে ৭০০ টাকা আদায় করার ফলে কাস্টমস ডিউটি দাঁড়ায় আমদানিমূল্যের প্রায় ১৫ শতাংশ।
বিষয়টি সিমেন্ট শিল্পমালিকদের কাছে অসামঞ্জস্য বলে মনে হচ্ছে উল্লেখ করে বিসিএমএ বলছে, এর ক্ষতিকর প্রভাব সিমেন্টের বাজারে ভোক্তাসাধারণের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। সার্বিক নির্মাণ কার্যক্রমে গতি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
বর্তমানে কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর ৩ শতাংশ ন্যূনতম কর আরোপিত রয়েছে, যা কমিয়ে দশমিক ৬ শতাংশ করার আহ্বান খাতসংশ্লিষ্টদের। এ ছাড়া এ খাতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও মিনারেল ওয়াটারে সম্পূর্ণ শুল্ক অব্যাহতির দাবি জানানো হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবির জবাবে ব্যবসাবান্ধব করব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে চান বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় বাধা তৈরি করে ও খরচ বাড়ায়, এমন বিধান সংশোধন করা হবে। কমিয়ে আনা হবে অযৌক্তিক উৎসে করের চাপ। আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে চাই।’
আবদুর রহমান আরও বলেন, ‘এখন অনেক ক্ষেত্রে করের হার অনেক বেশি। আমরা এটা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে চাই।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবারের বাজেটে আপনারা এর একটি প্রতিফলন দেখতে পাবেন।’
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়া আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের নীতি শাখার সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন আলোচনায় অংশ নিয়ে মোবাইল, সিগারেট, বিড়িশিল্পের মতো বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে। এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকোর হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাবাব চৌধুরী বলেন, সিগারেটের ওপর কর ও দাম বাড়ালে অপরাধীরা সুযোগ নেয়। চোরাকারবারের সুযোগ বাড়ে। এতে সরকার রাজস্ববঞ্চিত হয়।
শাবাব চৌধুরী বলেন, ‘রাজস্বের ৮৮ ভাগ আমাদের। আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করা উচিত। দাম আর বাড়াইয়েন না, করও বাড়াইয়েন না। ভোক্তাকে স্থির হতে দেন। নইলে চোরাচালান বাড়বে।’
বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন বলেন, এ শিল্পে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১৮ লক্ষাধিক শ্রমিক জড়িত। বিশেষ করে, দেশের সুবিধাবঞ্চিত, অসহায়, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, শারীরিক প্রতিবন্ধী, গরিব, হতদরিদ্র, দিনমজুর, নদীভাঙন ও চর এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষের জীবিকা বিড়িশিল্পের ওপর নির্ভর করে।
শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক ও কর বাড়ানোর ফলে এই শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। তাই বিড়িশিল্প ও শ্রমিকদের রক্ষার্থে চলতি বাজেটেও এ শিল্পের ওপর আরোপিত শুল্ক না বাড়ানোর আহ্বান জানাই।’
বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি বলছে, শুধু বিড়ির করহার ১০ শতাংশ, যা বর্তমানে সমন্বয়যোগ্য নয়। অন্যদিকে ধারা-১৫২ অনুযায়ী সিগারেটের ওপর করহার ৩ শতাংশ, যা সমন্বয়যোগ্য। এ ক্ষেত্রে সিগারেটের সঙ্গে বিড়ির ক্ষেত্রেও ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করছি। এতে উভয় খাতের বিদ্যমান করবৈষম্য দূর হবে। এ ছাড়া বিড়ির ট্যারিফ মূল্য কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
দেশে সিগারেটের চেয়ে বিড়ির ট্যাক্স কম উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নকল বিড়ির উৎপাদন বন্ধ না করলে বিড়ি মালিক শিল্প সমিতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবদুর রহমান খান বলেন, ভ্যাট থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আসার কথা, তা আসে না। ভোক্তা ভ্যাট দিয়ে রিসিট না নিলে রাজস্ব বাড়বে না। যাঁরা ভ্যাট দিয়ে রিসিট নেবেন, তাঁদের লটারির মাধ্যমে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, ‘একটি জরুরি সেবা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মোবাইল শিল্পকে খাতওয়ারি কর দিতে হয় এবং বৈশ্বিক বিবেচনায় আমরা সবচেয়ে বেশি কর দিই। সরকার প্রায় প্রতিবছর এই খাতে কর বাড়িয়ে আসছে, যার বিরূপ প্রভাব গ্রাহকদের ওপর পড়ছে।’
মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, কর বাড়ানোর কারণে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল সিমের ওপর ধার্য করা ৩০০ টাকার ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে এমটব। মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, সিম সরবরাহের ওপর হতে মূল্য সংযোজন কর অপসারণ করা হলে গ্রামাঞ্চলে মোবাইল সম্প্রসারণে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, কার্যত যা সরকারের সমগ্র বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
দ্বৈতকর এড়ানোর বিষয়ে এমটবের মহাসচিব বলেন, ‘রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (পিএসআর) দাখিলে ব্যর্থ হলে আয়কর আইন অনুযায়ী ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান রয়েছে। এতে একই খরচের ওপরে দ্বৈতকর আরোপ করা হয়, যা আয়কর আইনের মূলনীতি পরিপন্থী। এই নীতি পরিহার করার অনুরোধ করছি।’
মোবাইল খাতের করপোরেট কর অনেক বেশি উল্লেখ করে জুলফিকার বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটরদের করপোরেট করহার ৪০ শতাংশ ও তালিকা না হওয়া কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ। কিন্তু অন্য খাতের কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি যথাক্রমে সাড়ে ২৭ ও ২০ শতাংশ। মোবাইল অপারেটরদের পৃথক শ্রেণিভুক্ত না করে অন্যান্য কোম্পানির সারিতে পুনর্বিন্যস্ত করা হোক। আর তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর কমানোর প্রস্তাব করছি।’
লিখিত প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ ঔষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমদানি করা পণ্যের এইচএস কোড নির্ধারণে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমদানিকারকদের ২০০-৪০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হয়ে থাকে। বিনা জরিমানায় এইচএস কোড নির্ধারণে কাস্টমস আইনের সংশোধন প্রয়োজন।’
আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘কেমিস্টদের বিক্রি করা টাকা দিনশেষে কোনো ব্যাংকিং ও নগদ অর্থের নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় তা কোম্পানিগুলোকে নগদে নিতে বাধ্য করে থাকে। তাই ঔষধশিল্পের ব্যবসার প্রকৃতি বিবেচনা নিয়ে প্রত্যেক আয়বর্ষে সব প্রকার আয় ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’
ঔষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘ঔষধশিল্পের প্রকৃতির কারণে প্রত্যেক একক লেনদেন ৫ লাখ টাকার অধিক ও বার্ষিক সর্বমোট ৩৬ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে সব প্রকার ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। তাই এই শিল্প খাতের ব্যয়ের ক্ষেত্রে মোট ব্যয়ের ২০ শতাংশ নগদ লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ক্লিংকারের ওপর কাস্টমস ডিউটি (সিডি) কমিয়ে প্রতি টনে ২০০ টাকা করার সুপারিশ করেছে। শুল্ক কমানোর যুক্তি হিসেবে সংগঠনটি বলছে, কোনো শিল্পের প্রধান কাঁচামালের ওপর কাস্টমস ডিউটি সাধারণত আমদানিমূল্যের ওপর প্রায় ৫ শতাংশ হয়, কিন্তু ক্লিংকারের ওপর প্রতি টনে ৭০০ টাকা আদায় করার ফলে কাস্টমস ডিউটি দাঁড়ায় আমদানিমূল্যের প্রায় ১৫ শতাংশ।
বিষয়টি সিমেন্ট শিল্পমালিকদের কাছে অসামঞ্জস্য বলে মনে হচ্ছে উল্লেখ করে বিসিএমএ বলছে, এর ক্ষতিকর প্রভাব সিমেন্টের বাজারে ভোক্তাসাধারণের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। সার্বিক নির্মাণ কার্যক্রমে গতি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
বর্তমানে কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর ৩ শতাংশ ন্যূনতম কর আরোপিত রয়েছে, যা কমিয়ে দশমিক ৬ শতাংশ করার আহ্বান খাতসংশ্লিষ্টদের। এ ছাড়া এ খাতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও মিনারেল ওয়াটারে সম্পূর্ণ শুল্ক অব্যাহতির দাবি জানানো হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবির জবাবে ব্যবসাবান্ধব করব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে চান বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় বাধা তৈরি করে ও খরচ বাড়ায়, এমন বিধান সংশোধন করা হবে। কমিয়ে আনা হবে অযৌক্তিক উৎসে করের চাপ। আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে চাই।’
আবদুর রহমান আরও বলেন, ‘এখন অনেক ক্ষেত্রে করের হার অনেক বেশি। আমরা এটা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে চাই।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবারের বাজেটে আপনারা এর একটি প্রতিফলন দেখতে পাবেন।’
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়া আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের নীতি শাখার সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর আর কর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে