নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি

সুনসান পাহাড়ের গায়ে এবার যেন বাজছে নতুন আশার বাঁশি। আম চাষের পর খাগড়াছড়িতে যেটি এখন সবচেয়ে আলোচিত, সেটি হলো ঝাড়ু ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের কারবার। মাটিরাঙ্গা থেকে মহালছড়ি, পানছড়ি থেকে দীঘিনালা—সর্বত্রই এখন ঝাড়ু ফুলের বুনো সুবাস। শুধু পাহাড়ি বনে নয়, ফলের বাগানেও এখন জায়গা করে নিচ্ছে এই নির্জন ফুল, যা বছরের পর বছর অবহেলিত থেকেও এখন হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতীক। তার প্রমাণও মিলেছে। জেলাতে এখন এক মৌসুমেই ৩৬ কোটি টাকার ঝাড়ু ফুলের বাণিজ্য হচ্ছে; যা অচিরেই বৈদেশিক মুদ্রার জোগান আনতে ক্রমশ পরিণত হতে যাচ্ছে টেকসই রপ্তানি শিল্পে।
ঝাড়ু ফুলের বৈশিষ্ট্য ও উৎপাদনকাল
ঝাড়ু ফুল বা ফুলঝাড়ু তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে উলু ফুল। দেশের প্রায় সব এলাকায় পাওয়া গেলেও সাধারণত চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল থেকে বেশি সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত শীতকালে এ ফুল ফোটে। মার্চ মাসে গাছে ফুল আসে। এরপর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ করে শুকানোর পর তা বিক্রি করা হয়।
ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঝাড়ু ফুল সংগ্রহের মৌসুম। এ ফুলের বিশেষ যত্ন বা পরিচর্যার দরকার হয় না, পানি দিতে হয় না, এমনকি কীটনাশকেরও প্রয়োজন নেই। একেবারে প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মে এবং বেড়ে ওঠে। সহজে শিকড় তোলা যায় এবং অন্যত্র রোপণ করা যায়, তাই পাহাড়িদের নিজস্ব বাগান ছাড়াও দুর্গম পাহাড়ে গিয়ে সংগ্রহের প্রবণতাও বাড়ছে। এক আঁটি ঝাড়ু ফুলে ১৮-২০টি ফুল থাকে; যা বিক্রি হয় স্থানীয় হাটে, ১৮-২০ টাকা দরে।
চোখে দেখা দৃশ্য: শ্রম আর সূর্যের মিতালি
সম্প্রতি সদরের কলেজপাড়া ও টার্মিনাল এলাকায় গেলে দেখা মেলে ভিন্ন এক ব্যস্ততা। খোলা আকাশের নিচে নারী-পুরুষ শ্রমিকেরা সূর্যের তাপে ঝাড়ু ফুল শুকাচ্ছেন। কেউ ফুল বেঁধে রাখছেন, কেউবা ট্রাকে তুলছেন। গায়ে ঘাম, চোখে প্রত্যয়। এখান থেকেই ফুলের ঝাড়ু যাচ্ছে সারা দেশে।
বাগান থেকে বাজার: পাহাড়ের হৃদয় কথা বলে
মাটিরাঙ্গা উপজেলার হৃদয়মেম্বারপাড়া গ্রামের রতন ত্রিপুরা ও আপন ত্রিপুরা বলেন, ‘শিকড় তুলে অন্য জায়গায় সহজে ঝাড়ু ফুল লাগানো যায়। কোনো খরচ নেই বলেই বাগান বাড়ছে। যাদের পাহাড় আছে, তারা এখন ফলের বাগানের পাশাপাশি ঝাড়ু ফুলের বাগান করছে।’ এখন শুধু পাহাড় নয়, সমতলেও চলছে ঝাড়ু ফুল চাষের উদ্যোগ। কারণ, এতে ঝুঁকি নেই বললেই চলে, কিন্তু লাভের অঙ্কটা বেশ বড়।
বাজারে প্রতিযোগিতা ও ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ
তবে সবই যেন এতটা সরল নয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারত, নেপাল ও মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ঝাড়ু ফুলের কারণে বাজারে দাম কিছুটা কমে গেছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারতের কিছু সীমান্ত দিয়ে মাল আসে, এতে আমাদের ফুলের দাম পড়ে যাচ্ছে। সরকার চোরাই পথ বন্ধ করলে আমরা পাহাড় থেকে আরও বেশি ফুল তুলে বাজারে দিতে পারব।’
ব্যবসার বিস্তার ও শ্রমবাজার
খাগড়াছড়ি সদরের স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মানিক ও মো. আব্দুল মোতালেব বললেন, ‘১৮টি ঝাড়ু বাঁধতে খরচ পড়ে ২৪ টাকা। এই বছর বাজার বেশ ভালো। বাইরের ব্যবসায়ীরা এসে কিনে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, সিলেটে নিয়ে যান। প্রতিদিন ১৫-২০ জন শ্রমিক এই মাঠে কাজ করেন। চলতি মৌসুমে এখান থেকে ২০ ট্রাক মাল যাবে।’
ঢাকার ব্যবসায়ী মো. শহীদ, মো. জসিম ও বরিশালের মো. বেলায়েত বলেন, ‘এক ট্রাক ঝাড়ু ফুলে খরচ পড়ে ৬ লাখ টাকা। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু থেকেও মাল কেনা হয়। মৌসুমে অন্তত ২০ ট্রাক মাল সারা দেশে পাঠানো হয়। দুই মাসের ব্যবসায় অনেক লাভ হয়।’
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া সম্ভাবনার উৎস
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মালেক বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ঝাড়ু ফুল প্রাকৃতিকভাবেই জন্মায়। ভালো লাভ হয় বলে গত কয়েক বছরে বাণিজ্যিক চাষ বেড়েছে। পানি লাগে না, পরিচর্যারও প্রয়োজন নেই; শুধু মাটিতে রোপণ করলেই হচ্ছে।’
খাগড়াছড়ি বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা বলেন, ‘ফুলঝাড়ু একসময় অবহেলিত ছিল, এখন দেশজুড়ে প্রচুর চাহিদা। ঢাকাসহ সারা দেশে এর কদর বাড়ছে। বনজ দ্রব্য হিসেবেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ লাখ ১৬ হাজার এবং চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত ১৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। আমরা আশা করছি, মৌসুম শেষে এই অঙ্ক ১৮ লাখে পৌঁছাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি ফুলঝাড়ুর বাগান করতে চায়, আমরা সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। বিদেশেও রপ্তানি করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।’
সমবায়ের সাফল্য ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন
খাগড়াছড়ি ঝাড়ু ফুল সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার নয়টি উপজেলা থেকে বছরে ছয় শ ট্রাক ঝাড়ু ফুল যায় সারা দেশে। প্রতিটি ট্রাকে খরচ ছয় লাখ টাকা, অর্থাৎ মোট বাণিজ্যিক মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। প্রতিবছর এই শিল্প আরও বড় হচ্ছে। কয়েক হাজার শ্রমিক এর সঙ্গে জড়িত। তাঁদের পরিবার এখন ভালোভাবে চলছে।’
তবে একটি দুর্ভাবনাও তাঁর কণ্ঠে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘গত বছর থেকে ঝাড়ু ফুলের ওপর রাজস্ব বাড়ানো হয়েছে, এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আগের নিয়মে রাজস্ব আদায়ের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই।’
এক সম্ভাবনার নাম ঝাড়ু ফুল
এই নিঃশব্দ ফুল যেন হয়ে উঠেছে পাহাড়ের গর্ব। সরকার সঠিকভাবে নজর দিলে, স্থানীয় জনগণ যথাযথভাবে আগুন ও জুমচাষে পাহাড় ধ্বংস না করলে এবং বাজারের চোরাচালান বন্ধ করা গেলে ঝাড়ু ফুল শুধু পাহাড় নয়, পুরো দেশের অর্থনীতির জন্যও আশীর্বাদ হতে পারে। আগামী দিনে এটি হতে পারে নতুন এক রপ্তানি পণ্য, এক অনন্য সম্ভাবনার প্রতীক।

সুনসান পাহাড়ের গায়ে এবার যেন বাজছে নতুন আশার বাঁশি। আম চাষের পর খাগড়াছড়িতে যেটি এখন সবচেয়ে আলোচিত, সেটি হলো ঝাড়ু ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের কারবার। মাটিরাঙ্গা থেকে মহালছড়ি, পানছড়ি থেকে দীঘিনালা—সর্বত্রই এখন ঝাড়ু ফুলের বুনো সুবাস। শুধু পাহাড়ি বনে নয়, ফলের বাগানেও এখন জায়গা করে নিচ্ছে এই নির্জন ফুল, যা বছরের পর বছর অবহেলিত থেকেও এখন হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতীক। তার প্রমাণও মিলেছে। জেলাতে এখন এক মৌসুমেই ৩৬ কোটি টাকার ঝাড়ু ফুলের বাণিজ্য হচ্ছে; যা অচিরেই বৈদেশিক মুদ্রার জোগান আনতে ক্রমশ পরিণত হতে যাচ্ছে টেকসই রপ্তানি শিল্পে।
ঝাড়ু ফুলের বৈশিষ্ট্য ও উৎপাদনকাল
ঝাড়ু ফুল বা ফুলঝাড়ু তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে উলু ফুল। দেশের প্রায় সব এলাকায় পাওয়া গেলেও সাধারণত চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল থেকে বেশি সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত শীতকালে এ ফুল ফোটে। মার্চ মাসে গাছে ফুল আসে। এরপর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ করে শুকানোর পর তা বিক্রি করা হয়।
ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঝাড়ু ফুল সংগ্রহের মৌসুম। এ ফুলের বিশেষ যত্ন বা পরিচর্যার দরকার হয় না, পানি দিতে হয় না, এমনকি কীটনাশকেরও প্রয়োজন নেই। একেবারে প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মে এবং বেড়ে ওঠে। সহজে শিকড় তোলা যায় এবং অন্যত্র রোপণ করা যায়, তাই পাহাড়িদের নিজস্ব বাগান ছাড়াও দুর্গম পাহাড়ে গিয়ে সংগ্রহের প্রবণতাও বাড়ছে। এক আঁটি ঝাড়ু ফুলে ১৮-২০টি ফুল থাকে; যা বিক্রি হয় স্থানীয় হাটে, ১৮-২০ টাকা দরে।
চোখে দেখা দৃশ্য: শ্রম আর সূর্যের মিতালি
সম্প্রতি সদরের কলেজপাড়া ও টার্মিনাল এলাকায় গেলে দেখা মেলে ভিন্ন এক ব্যস্ততা। খোলা আকাশের নিচে নারী-পুরুষ শ্রমিকেরা সূর্যের তাপে ঝাড়ু ফুল শুকাচ্ছেন। কেউ ফুল বেঁধে রাখছেন, কেউবা ট্রাকে তুলছেন। গায়ে ঘাম, চোখে প্রত্যয়। এখান থেকেই ফুলের ঝাড়ু যাচ্ছে সারা দেশে।
বাগান থেকে বাজার: পাহাড়ের হৃদয় কথা বলে
মাটিরাঙ্গা উপজেলার হৃদয়মেম্বারপাড়া গ্রামের রতন ত্রিপুরা ও আপন ত্রিপুরা বলেন, ‘শিকড় তুলে অন্য জায়গায় সহজে ঝাড়ু ফুল লাগানো যায়। কোনো খরচ নেই বলেই বাগান বাড়ছে। যাদের পাহাড় আছে, তারা এখন ফলের বাগানের পাশাপাশি ঝাড়ু ফুলের বাগান করছে।’ এখন শুধু পাহাড় নয়, সমতলেও চলছে ঝাড়ু ফুল চাষের উদ্যোগ। কারণ, এতে ঝুঁকি নেই বললেই চলে, কিন্তু লাভের অঙ্কটা বেশ বড়।
বাজারে প্রতিযোগিতা ও ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ
তবে সবই যেন এতটা সরল নয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারত, নেপাল ও মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ঝাড়ু ফুলের কারণে বাজারে দাম কিছুটা কমে গেছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারতের কিছু সীমান্ত দিয়ে মাল আসে, এতে আমাদের ফুলের দাম পড়ে যাচ্ছে। সরকার চোরাই পথ বন্ধ করলে আমরা পাহাড় থেকে আরও বেশি ফুল তুলে বাজারে দিতে পারব।’
ব্যবসার বিস্তার ও শ্রমবাজার
খাগড়াছড়ি সদরের স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মানিক ও মো. আব্দুল মোতালেব বললেন, ‘১৮টি ঝাড়ু বাঁধতে খরচ পড়ে ২৪ টাকা। এই বছর বাজার বেশ ভালো। বাইরের ব্যবসায়ীরা এসে কিনে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, সিলেটে নিয়ে যান। প্রতিদিন ১৫-২০ জন শ্রমিক এই মাঠে কাজ করেন। চলতি মৌসুমে এখান থেকে ২০ ট্রাক মাল যাবে।’
ঢাকার ব্যবসায়ী মো. শহীদ, মো. জসিম ও বরিশালের মো. বেলায়েত বলেন, ‘এক ট্রাক ঝাড়ু ফুলে খরচ পড়ে ৬ লাখ টাকা। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু থেকেও মাল কেনা হয়। মৌসুমে অন্তত ২০ ট্রাক মাল সারা দেশে পাঠানো হয়। দুই মাসের ব্যবসায় অনেক লাভ হয়।’
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া সম্ভাবনার উৎস
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মালেক বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ঝাড়ু ফুল প্রাকৃতিকভাবেই জন্মায়। ভালো লাভ হয় বলে গত কয়েক বছরে বাণিজ্যিক চাষ বেড়েছে। পানি লাগে না, পরিচর্যারও প্রয়োজন নেই; শুধু মাটিতে রোপণ করলেই হচ্ছে।’
খাগড়াছড়ি বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা বলেন, ‘ফুলঝাড়ু একসময় অবহেলিত ছিল, এখন দেশজুড়ে প্রচুর চাহিদা। ঢাকাসহ সারা দেশে এর কদর বাড়ছে। বনজ দ্রব্য হিসেবেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ লাখ ১৬ হাজার এবং চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত ১৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। আমরা আশা করছি, মৌসুম শেষে এই অঙ্ক ১৮ লাখে পৌঁছাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি ফুলঝাড়ুর বাগান করতে চায়, আমরা সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। বিদেশেও রপ্তানি করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।’
সমবায়ের সাফল্য ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন
খাগড়াছড়ি ঝাড়ু ফুল সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার নয়টি উপজেলা থেকে বছরে ছয় শ ট্রাক ঝাড়ু ফুল যায় সারা দেশে। প্রতিটি ট্রাকে খরচ ছয় লাখ টাকা, অর্থাৎ মোট বাণিজ্যিক মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। প্রতিবছর এই শিল্প আরও বড় হচ্ছে। কয়েক হাজার শ্রমিক এর সঙ্গে জড়িত। তাঁদের পরিবার এখন ভালোভাবে চলছে।’
তবে একটি দুর্ভাবনাও তাঁর কণ্ঠে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘গত বছর থেকে ঝাড়ু ফুলের ওপর রাজস্ব বাড়ানো হয়েছে, এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আগের নিয়মে রাজস্ব আদায়ের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই।’
এক সম্ভাবনার নাম ঝাড়ু ফুল
এই নিঃশব্দ ফুল যেন হয়ে উঠেছে পাহাড়ের গর্ব। সরকার সঠিকভাবে নজর দিলে, স্থানীয় জনগণ যথাযথভাবে আগুন ও জুমচাষে পাহাড় ধ্বংস না করলে এবং বাজারের চোরাচালান বন্ধ করা গেলে ঝাড়ু ফুল শুধু পাহাড় নয়, পুরো দেশের অর্থনীতির জন্যও আশীর্বাদ হতে পারে। আগামী দিনে এটি হতে পারে নতুন এক রপ্তানি পণ্য, এক অনন্য সম্ভাবনার প্রতীক।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
২ ঘণ্টা আগে
নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

সুনসান পাহাড়ের গায়ে এবার যেন বাজছে নতুন আশার বাঁশি। আম চাষের পর খাগড়াছড়িতে যেটি এখন সবচেয়ে আলোচিত, সেটি হলো ঝাড়ু ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের কারবার। মাটিরাঙ্গা থেকে মহালছড়ি, পানছড়ি থেকে দীঘিনালা—সর্বত্রই এখন ঝাড়ু ফুলের বুনো সুবাস।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
২ ঘণ্টা আগে
নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

সুনসান পাহাড়ের গায়ে এবার যেন বাজছে নতুন আশার বাঁশি। আম চাষের পর খাগড়াছড়িতে যেটি এখন সবচেয়ে আলোচিত, সেটি হলো ঝাড়ু ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের কারবার। মাটিরাঙ্গা থেকে মহালছড়ি, পানছড়ি থেকে দীঘিনালা—সর্বত্রই এখন ঝাড়ু ফুলের বুনো সুবাস।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
২ ঘণ্টা আগে
নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিসহ একাধিক ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) থেকে তাঁর চিকিৎসার অর্থ দেওয়া হবে। ওসমান হাদিকে বাইরে পাঠানোর জন্য কাল যখন মেসেজ এল, আমরা বলেছি, টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। উই উইল গিভ অ্যালোকেশন (আমরা বরাদ্দ দেব)।’
ভারত থেকে চাল আমদানি
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদনের অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে ছয়টি প্রস্তাব পাওয়া যায়, যার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৫১ দশমিক ১১ মার্কিন ডলারে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার
সরকার সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৮০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার। এতে দুই দফায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সাবিকের সঙ্গে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির চুক্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাফার গুদাম নির্মাণ
সার সংরক্ষণ ও বিতরণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নওগাঁয় ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বগুড়ায় ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতার গুদাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এসব গুদামে স্টিল স্ট্রাকচার, অফিস কাম গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাক, সাবস্টেশন, জেনারেটর, সোলার সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু
পটুয়াখালীর লেবুখালী–বাউফল–গলাচিপা–আমড়াগাছিয়া সড়কে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জার কাজও থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এলএনজি
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে স্পট মার্কেটের মাধ্যমে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার।

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিসহ একাধিক ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) থেকে তাঁর চিকিৎসার অর্থ দেওয়া হবে। ওসমান হাদিকে বাইরে পাঠানোর জন্য কাল যখন মেসেজ এল, আমরা বলেছি, টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। উই উইল গিভ অ্যালোকেশন (আমরা বরাদ্দ দেব)।’
ভারত থেকে চাল আমদানি
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদনের অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে ছয়টি প্রস্তাব পাওয়া যায়, যার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৫১ দশমিক ১১ মার্কিন ডলারে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার
সরকার সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৮০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার। এতে দুই দফায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সাবিকের সঙ্গে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির চুক্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাফার গুদাম নির্মাণ
সার সংরক্ষণ ও বিতরণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নওগাঁয় ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বগুড়ায় ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতার গুদাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এসব গুদামে স্টিল স্ট্রাকচার, অফিস কাম গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাক, সাবস্টেশন, জেনারেটর, সোলার সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু
পটুয়াখালীর লেবুখালী–বাউফল–গলাচিপা–আমড়াগাছিয়া সড়কে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জার কাজও থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এলএনজি
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে স্পট মার্কেটের মাধ্যমে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার।

সুনসান পাহাড়ের গায়ে এবার যেন বাজছে নতুন আশার বাঁশি। আম চাষের পর খাগড়াছড়িতে যেটি এখন সবচেয়ে আলোচিত, সেটি হলো ঝাড়ু ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের কারবার। মাটিরাঙ্গা থেকে মহালছড়ি, পানছড়ি থেকে দীঘিনালা—সর্বত্রই এখন ঝাড়ু ফুলের বুনো সুবাস।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১ ঘণ্টা আগে
নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে নগদ জানিয়েছে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ওয়েবসাইটে থাকা লিংকে গিয়ে কার্ড রিচার্জ করা যাবে। মেট্রোরেলের র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস দুই ধরনের কার্ডেই করা যাবে রিচার্জ। নগদের মাধ্যমে যাত্রীরা এই দুই ধরনের কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
মেট্রোরেলে কার্ড রিচার্জ করতে যাত্রীদের প্রথমে র্যাপিড পাস-এর ওয়েবসাইট (www.rapidpass.com.bd) বা অ্যাপে যেতে হবে। র্যাপিড পাস ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা না থাকলে কার্ড রেজিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। এরপর গ্রাহকের কার্ডটির তথ্য দিয়ে কার্ডটি নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
নিবন্ধনের পর সাইন ইন করতে হবে। সাইন ইন সম্পন্ন হলে যাত্রীরা তাঁদের প্রয়োজনীয় কার্ড নির্বাচন করে রিচার্জের অঙ্ক নির্বাচন করবেন। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং অপশনে ক্লিক করে নগদ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে আবারও রিচার্জের জন্য নগদ গ্রাহকেরা নগদ ওয়ালেট নম্বরটি সেভ করে রাখতে পারবেন। ফলে বারবার আর নম্বর দিতে হবে না। অপশন নির্বাচনের পর নগদ নম্বর প্রদান করতে হবে এবং মেসেজে পাওয়া ওটিপি প্রদান করে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড প্রদান করলে কার্ড রিচার্জ সম্পন্ন হবে।
অনলাইন রিচার্জের পর স্টেশনে থাকা অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম)-এ কার্ডটি ট্যাপ করে রিচার্জকৃত ব্যালেন্স যুক্ত করতে হবে। রিচার্জ সফল হলে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস চলে যাবে। একটি কার্ডে একবারে ১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।

নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে নগদ জানিয়েছে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ওয়েবসাইটে থাকা লিংকে গিয়ে কার্ড রিচার্জ করা যাবে। মেট্রোরেলের র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস দুই ধরনের কার্ডেই করা যাবে রিচার্জ। নগদের মাধ্যমে যাত্রীরা এই দুই ধরনের কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
মেট্রোরেলে কার্ড রিচার্জ করতে যাত্রীদের প্রথমে র্যাপিড পাস-এর ওয়েবসাইট (www.rapidpass.com.bd) বা অ্যাপে যেতে হবে। র্যাপিড পাস ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা না থাকলে কার্ড রেজিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। এরপর গ্রাহকের কার্ডটির তথ্য দিয়ে কার্ডটি নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
নিবন্ধনের পর সাইন ইন করতে হবে। সাইন ইন সম্পন্ন হলে যাত্রীরা তাঁদের প্রয়োজনীয় কার্ড নির্বাচন করে রিচার্জের অঙ্ক নির্বাচন করবেন। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং অপশনে ক্লিক করে নগদ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে আবারও রিচার্জের জন্য নগদ গ্রাহকেরা নগদ ওয়ালেট নম্বরটি সেভ করে রাখতে পারবেন। ফলে বারবার আর নম্বর দিতে হবে না। অপশন নির্বাচনের পর নগদ নম্বর প্রদান করতে হবে এবং মেসেজে পাওয়া ওটিপি প্রদান করে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড প্রদান করলে কার্ড রিচার্জ সম্পন্ন হবে।
অনলাইন রিচার্জের পর স্টেশনে থাকা অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম)-এ কার্ডটি ট্যাপ করে রিচার্জকৃত ব্যালেন্স যুক্ত করতে হবে। রিচার্জ সফল হলে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস চলে যাবে। একটি কার্ডে একবারে ১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।

সুনসান পাহাড়ের গায়ে এবার যেন বাজছে নতুন আশার বাঁশি। আম চাষের পর খাগড়াছড়িতে যেটি এখন সবচেয়ে আলোচিত, সেটি হলো ঝাড়ু ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের কারবার। মাটিরাঙ্গা থেকে মহালছড়ি, পানছড়ি থেকে দীঘিনালা—সর্বত্রই এখন ঝাড়ু ফুলের বুনো সুবাস।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
২ ঘণ্টা আগে