Ajker Patrika

বিজিএমইএ প্রশাসকের সঙ্গে নেদারল্যান্ডস রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, টেকসই পরিবেশ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাৎ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সাপোর্ট কমিটির সদস্যরা।

বৈঠকে তাঁরা পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন-সার্কুলার ফ্যাশন, রিসাইক্লিং, জ্বালানি দক্ষতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পকে সহায়তা করার জন্য সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ প্রশাসক আলোচনায় পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তেলা এবং সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে শিল্পের অগ্রগতিগুলো তুলে ধরেন।

তিনি ডাচ রাষ্ট্রদূতকে বিজিএমইএ এর টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, পোশাক শিল্পের জন্য একটি টেকসই এবং উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ উদ্ভাবন উৎসাহিতকরণ, পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণ এবং আরও উৎপাদনশীলতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে টেকসই রাখার প্রচেষ্টার পাশাপাশি সামাজিক, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি নিয়ে কাজ করছে।

আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে টেক্সটাইল টেকনোলজি বিজনেস সেন্টার (টিটিবিসি) কে সহায়তা করার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

বিজিএমইএ প্রশাসক বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যেন আরও জ্বালানি ও সম্পদ সাশ্রয়ী হয়ে উঠতে পারে, রিসাইক্লিং ও অন্যান্য পরিবেশগত ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষতা অর্জন করতে পারে, সে জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং তহবিল বরাদ্দ দিয়ে শিল্পকে আরও সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান।

তিনি শীর্ষস্থানীয় ডাচ ফ্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউটগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের টেক্সটাইল, পোশাক, ফ্যাশন, ডিজাইন এবং ব্যবসা প্রভৃতি বিষয়গুলোতে আরও জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের বিষয়ে নেদারল্যান্ডস এর সহযোগিতা কামনা করেন।

নেদারল্যান্ডস এর রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় নেদারল্যান্ডস সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। নেদারল্যান্ডস সরকার পোশাক শিল্পসহ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন: কোটিপতি হিসাব বাড়ছেই

  • জুন প্রান্তিকে বৃদ্ধি ৫,৯৭৪টি।
  • সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বেড়েছে ৭৩৪টি।
  • হিসাবে জমা কমেছে ৫৯,২০৯ কোটি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এক প্রান্তিক থেকে আরেক প্রান্তিকে এই গ্রাহকের হিসাব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ-জুনে কোটিপতি গ্রাহক বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি। এরপর ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হওয়া, আমানত তোলার হিড়িক এবং আস্থার ঘাটতির পরিবেশ তৈরি হলেও এই বৃদ্ধির ধারা থেমে যায়নি। গতি কিছুটা কমলেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জুন-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকেও ব্যাংক খাতে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে আরও ৭৩৪টি।

তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে মোট কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি, যা সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। এর আগে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারী ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি, যা জুন প্রান্তিকে দাঁড়ায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খাতের এ হিসাবই বলে দিচ্ছে, দেশে বড় রকমের আয় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে; যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বৈষম্য না কমলে অর্থনীতির গতি বাধাগ্রস্ত হবে।

এদিকে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বাড়লেও আগের তুলনায় কমেছে ওই সব হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের জুন শেষে কোটি টাকার হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে এসব হিসাবে জমা কমেছে ৫৯ হাজার ২০৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ, ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০টি। অর্থাৎ

তিন মাসে ব্যাংক খাতের মোট হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৯টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয় বাড়ছে। ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে। এসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তো কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। এমন প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ভালো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পেঁয়াজ আমদানি: রাতারাতি পাইকারিতে দাম কমেছে কেজিতে ২৫ টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।

গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শনিবার বিকেলেও ছিল ১৩০ টাকা। ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, যেখানে আগের দিন ছিল ১১৫-১২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দাম সামান্য কমেছে। গতকাল বিভিন্ন খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যেখানে শনিবার ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।

বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, আমদানির সঙ্গে সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এতে দাম দ্রুতই কমে যাবে। গতকাল দিনভর শ্যামবাজারে পাইকারিতে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে সকালে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও বিকেলে কমে ৬৫ টাকা কেজিতে নেমে আসে, যা শনিবার ৭৫-৯০ টাকা ছিল।

শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই হুজুগনির্ভর। এলসির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি, হয়তো রাতে আসবে। তবে আমদানির খবর পেয়েই পাইকাররা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ আসাও দাম কমার বড় কারণ।

এদিকে দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে গতকাল। বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের হিলি দিয়ে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ এসেছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিলির কাঁচাবাজারেও দাম কমেছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১০০, আর শুকনো মানের দেশি পেঁয়াজ কমেছে ২০ টাকা। বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, যেখানে আগের দিন দাম ছিল ১৩০ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেক্সিমকো সুকুক: মূলধন ফেরত অনিশ্চিত, মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ আইসিবির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বেক্সিমকো সুকুক: মূলধন ফেরত অনিশ্চিত, মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ আইসিবির

বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

২০২১ সালে শরিয়াহভিত্তিক এই সুকুকের মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল বেক্সিমকো। অর্থায়নের লক্ষ্য ছিল তিস্তা (২০০ মেগাওয়াট) ও করতোয়া (৩০ মেগাওয়াট) সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণ এবং টেক্সটাইল ইউনিট সম্প্রসারণ। কিন্তু একাধিক বাধায় প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট এখনো চালু হয়নি, আর ব্যয় বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে; ফলে নির্ধারিত সময়ে সুকুকের দায় শোধ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আইসিবি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ডলারের রেট ছিল ৮৬ টাকা; পরে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে এবং তহবিল ঘাটতি তৈরি হয়। এর ফলে কাজ পিছিয়েছে। এখন নতুন বিনিয়োগকারী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে সুকুকধারীদের প্রতি ছয় মাসে ১২৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয় বেক্সিমকোর। আয় হচ্ছে মূলত তিস্তা সোলার প্ল্যান্ট থেকে, যেখানে বিপিডিবি মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দেয়। করতোয়া প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় প্রত্যাশিত আয় পাওয়া যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে আইসিবির কাছে সংশোধিত নিষ্পত্তি পরিকল্পনা চায়। সমস্যা সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ২০৩১ সাল বা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে তা ২০৩২ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে আইসিবির গঠিত ২১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি। গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপারিশে দুটি সময়সীমার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট দ্রুত চালু হলে সুকুকের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে ২০৩১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর যদি প্রকল্পে আরও দেরি হয়, তাহলে মেয়াদ নিতে হবে ২০৩২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এ বিষয়ে আইসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কমিটির প্রধান মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ, দ্বিগুণ হলো পরিশোধের চাপ

  • পাঁচ বছরে সুদাসল পরিশোধ প্রায় দ্বিগুণ।
  • চাপ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দেশের তালিকায় দেশ।
  • বিদেশি ঋণছাড়ের অঙ্ক তেমন বাড়েনি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশকে ঋণ ব্যবস্থাপনায় চাপ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলারে। পাঁচ বছর আগে এটি ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প—পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বিমানবন্দরের টার্মিনালসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ায় ক্রমেই চাপ বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশকে ২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৭৩ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ পাঁচ বছরেই অঙ্কটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

তবে বিদেশি ঋণছাড়ের অঙ্ক তেমন বাড়েনি। ২০২৪ সালে ঋণছাড় হয়েছে ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার, যা ২০২০ সালের ১ হাজার ২২ কোটি ডলার থেকে সামান্য বেশি।

অর্থনীতিবিদেরা বলেন, করোনার পর থেকে বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ও ঋণ পরিশোধের চাপ—দুটোই বাড়ছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, উন্নয়ন-সহযোগীদের দেওয়া নতুন ঋণে আগের তুলনায় গ্রেস পিরিয়ড কমছে, সুদের হার বাড়ছে আর অন্যান্য শর্তও কঠিন হচ্ছে। ফলে ঋণের দায় অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। চাপ কমাতে রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সহায়তা করবে—বিদেশি ঋণের অর্থ এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে রপ্তানির তুলনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯২ শতাংশ। একই বছরে মোট ঋণ পরিষেবার পরিমাণ রপ্তানির ১৬ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ পায়। আইডিএর মোট ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশ যায় বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানে।

বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ২৬ শতাংশই এসেছে বিশ্বব্যাংক থেকে। বড় ঋণদাতা হিসেবে এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত