রেজাউর রহিম, ঢাকা

উন্নত দেশ জাপান, কানাডা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করছে সরকার। এই দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় এফটিএ দ্রুত সম্পাদন করতে এরই মধ্যে জাপান, কানাডা ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের প্রথম দিকেই এই দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ সই হবে।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে বেশ আগে থেকেই জাপান, কানাডা ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ সম্পাদনের আলোচনা চলছিল। সম্প্রতি এই দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই দেশগুলোর সঙ্গে আগামী বছরের প্রথম দিকেই এফটিএ চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। চুক্তি সম্পন্ন হলে এসব দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া এই চুক্তির মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি অনেকাংশে দূর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র জাপান গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়ার পরই বৈদেশিক বিনিয়োগের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ জাপান। পাশাপাশি জাপান বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম রপ্তানি বাজারও। এ ছাড়া মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পেও জাপান বাংলাদেশকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। আর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রায় ১ হাজার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে শ্রম তুলামূলক সস্তা হওয়ায় অনেক জাপানি বিনিয়োগকারী তাদের বৈদেশিক শাখা চীন, ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ জাপানে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র, চামড়াজাত পণ্য ও চিংড়ি রপ্তানি করে। অন্যদিকে জাপান থেকে বাংলাদেশ মোটর গাড়ি, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানি করে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান।
এদিকে স্বাধীনতার পর থেকেই সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী। দেশটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের বাজার রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের কৃষি খাত, ফুড প্রসেসিং, আইটি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে। আর উত্তর আমেরিকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ কানাডা থেকে বাংলাদেশ মূলত খাদ্যশস্য গম, তেলবীজ ও ডাল আমদানি করে। দেশটি থেকে ২০২০ সালে ১১২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বিভিন্ন খাদ্যশস্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। আর কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, জুতাসহ বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্য ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়। তবে উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই হলে এই দেশগুলোতে শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এত রপ্তানি বাড়বে, যা বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখবে।
এই দেশগুলো ছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। দেশগুলো হলো—দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট মারকোসুরভুক্ত ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ফিলিস্তিন, চীন, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের ১৯৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। এর মধ্যে ৭১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। মূলত বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া আরও ৪৩টি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনা করছে সরকার। পরে এসব দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ করা যায় কি না, সেই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ শাখাকে শক্তিশালী করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

উন্নত দেশ জাপান, কানাডা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করছে সরকার। এই দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় এফটিএ দ্রুত সম্পাদন করতে এরই মধ্যে জাপান, কানাডা ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের প্রথম দিকেই এই দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ সই হবে।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে বেশ আগে থেকেই জাপান, কানাডা ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ সম্পাদনের আলোচনা চলছিল। সম্প্রতি এই দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই দেশগুলোর সঙ্গে আগামী বছরের প্রথম দিকেই এফটিএ চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। চুক্তি সম্পন্ন হলে এসব দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া এই চুক্তির মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি অনেকাংশে দূর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র জাপান গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়ার পরই বৈদেশিক বিনিয়োগের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ জাপান। পাশাপাশি জাপান বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম রপ্তানি বাজারও। এ ছাড়া মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পেও জাপান বাংলাদেশকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। আর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রায় ১ হাজার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে শ্রম তুলামূলক সস্তা হওয়ায় অনেক জাপানি বিনিয়োগকারী তাদের বৈদেশিক শাখা চীন, ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ জাপানে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র, চামড়াজাত পণ্য ও চিংড়ি রপ্তানি করে। অন্যদিকে জাপান থেকে বাংলাদেশ মোটর গাড়ি, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানি করে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান।
এদিকে স্বাধীনতার পর থেকেই সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী। দেশটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের বাজার রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের কৃষি খাত, ফুড প্রসেসিং, আইটি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে। আর উত্তর আমেরিকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ কানাডা থেকে বাংলাদেশ মূলত খাদ্যশস্য গম, তেলবীজ ও ডাল আমদানি করে। দেশটি থেকে ২০২০ সালে ১১২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বিভিন্ন খাদ্যশস্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। আর কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, জুতাসহ বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্য ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়। তবে উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই হলে এই দেশগুলোতে শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এত রপ্তানি বাড়বে, যা বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখবে।
এই দেশগুলো ছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। দেশগুলো হলো—দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট মারকোসুরভুক্ত ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ফিলিস্তিন, চীন, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের ১৯৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। এর মধ্যে ৭১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। মূলত বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া আরও ৪৩টি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনা করছে সরকার। পরে এসব দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ করা যায় কি না, সেই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ শাখাকে শক্তিশালী করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
রেজাউর রহিম, ঢাকা

উন্নত দেশ জাপান, কানাডা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করছে সরকার। এই দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় এফটিএ দ্রুত সম্পাদন করতে এরই মধ্যে জাপান, কানাডা ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের প্রথম দিকেই এই দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ সই হবে।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে বেশ আগে থেকেই জাপান, কানাডা ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ সম্পাদনের আলোচনা চলছিল। সম্প্রতি এই দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই দেশগুলোর সঙ্গে আগামী বছরের প্রথম দিকেই এফটিএ চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। চুক্তি সম্পন্ন হলে এসব দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া এই চুক্তির মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি অনেকাংশে দূর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র জাপান গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়ার পরই বৈদেশিক বিনিয়োগের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ জাপান। পাশাপাশি জাপান বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম রপ্তানি বাজারও। এ ছাড়া মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পেও জাপান বাংলাদেশকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। আর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রায় ১ হাজার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে শ্রম তুলামূলক সস্তা হওয়ায় অনেক জাপানি বিনিয়োগকারী তাদের বৈদেশিক শাখা চীন, ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ জাপানে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র, চামড়াজাত পণ্য ও চিংড়ি রপ্তানি করে। অন্যদিকে জাপান থেকে বাংলাদেশ মোটর গাড়ি, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানি করে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান।
এদিকে স্বাধীনতার পর থেকেই সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী। দেশটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের বাজার রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের কৃষি খাত, ফুড প্রসেসিং, আইটি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে। আর উত্তর আমেরিকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ কানাডা থেকে বাংলাদেশ মূলত খাদ্যশস্য গম, তেলবীজ ও ডাল আমদানি করে। দেশটি থেকে ২০২০ সালে ১১২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বিভিন্ন খাদ্যশস্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। আর কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, জুতাসহ বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্য ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়। তবে উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই হলে এই দেশগুলোতে শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এত রপ্তানি বাড়বে, যা বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখবে।
এই দেশগুলো ছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। দেশগুলো হলো—দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট মারকোসুরভুক্ত ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ফিলিস্তিন, চীন, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের ১৯৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। এর মধ্যে ৭১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। মূলত বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া আরও ৪৩টি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনা করছে সরকার। পরে এসব দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ করা যায় কি না, সেই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ শাখাকে শক্তিশালী করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

উন্নত দেশ জাপান, কানাডা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করছে সরকার। এই দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় এফটিএ দ্রুত সম্পাদন করতে এরই মধ্যে জাপান, কানাডা ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের প্রথম দিকেই এই দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ সই হবে।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে বেশ আগে থেকেই জাপান, কানাডা ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ সম্পাদনের আলোচনা চলছিল। সম্প্রতি এই দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই দেশগুলোর সঙ্গে আগামী বছরের প্রথম দিকেই এফটিএ চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। চুক্তি সম্পন্ন হলে এসব দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া এই চুক্তির মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি অনেকাংশে দূর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র জাপান গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়ার পরই বৈদেশিক বিনিয়োগের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ জাপান। পাশাপাশি জাপান বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম রপ্তানি বাজারও। এ ছাড়া মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পেও জাপান বাংলাদেশকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। আর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রায় ১ হাজার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে শ্রম তুলামূলক সস্তা হওয়ায় অনেক জাপানি বিনিয়োগকারী তাদের বৈদেশিক শাখা চীন, ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ জাপানে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র, চামড়াজাত পণ্য ও চিংড়ি রপ্তানি করে। অন্যদিকে জাপান থেকে বাংলাদেশ মোটর গাড়ি, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানি করে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান।
এদিকে স্বাধীনতার পর থেকেই সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী। দেশটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের বাজার রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের কৃষি খাত, ফুড প্রসেসিং, আইটি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে। আর উত্তর আমেরিকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ কানাডা থেকে বাংলাদেশ মূলত খাদ্যশস্য গম, তেলবীজ ও ডাল আমদানি করে। দেশটি থেকে ২০২০ সালে ১১২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বিভিন্ন খাদ্যশস্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। আর কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, জুতাসহ বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্য ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়। তবে উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই হলে এই দেশগুলোতে শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এত রপ্তানি বাড়বে, যা বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখবে।
এই দেশগুলো ছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। দেশগুলো হলো—দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট মারকোসুরভুক্ত ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ফিলিস্তিন, চীন, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের ১৯৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। এর মধ্যে ৭১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। মূলত বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া আরও ৪৩টি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনা করছে সরকার। পরে এসব দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ করা যায় কি না, সেই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ শাখাকে শক্তিশালী করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৪ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উন্নত দেশ জাপান, কানাডা এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করছে সরকার। এ দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে
২৫ নভেম্বর ২০২১
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৪ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

উন্নত দেশ জাপান, কানাডা এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করছে সরকার। এ দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে
২৫ নভেম্বর ২০২১
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

উন্নত দেশ জাপান, কানাডা এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করছে সরকার। এ দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে
২৫ নভেম্বর ২০২১
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৪ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

উন্নত দেশ জাপান, কানাডা এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করছে সরকার। এ দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ সম্পাদনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে
২৫ নভেম্বর ২০২১
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৪ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগে