
আজকের পত্রিকা: ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে আপনিই দেশে প্রথম কথা বলেছেন। অবশেষে ডিজিটাল ব্যাংক বাস্তবতা পেতে যাচ্ছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
তানভীর এ মিশুক: আমরা একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অন্য সব খাত আগালেও দুঃখজনকভাবে আর্থিক খাত পিছিয়ে ছিল। অথচ আর্থিক লেনদেন স্মার্ট করা ছাড়া দেশ এগোবে না। আমি কেবল সময়ের দাবি নিয়ে কথা বলেছি। আমি কৃতজ্ঞ যে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সময়ের আওয়াজটা শুনেছেন। এ জন্য বাড়তি ভালো লাগা আছে আমার।
আজকের পত্রিকা: ডিজিটাল ব্যাংক কীভাবে সামনের দিনে গুরুত্বপূর্ণ হবে?
তানভীর এ মিশুক: ডিজিটালের পরিক্রমা পেরিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছি। অথচ আমাদের লেনদেনগুলো স্মার্ট নয়। আমাদের টাকার গতি কম, চলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। সে কারণেই ডিজিটাল ব্যাংকের কোনো বিকল্প নেই। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি না বাড়ালে কোনোভাবেই আমরা স্মার্ট সমাজ তৈরি করতে পারব না। যাঁরা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ে অংশ নেননি, সেই অংশকে আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনতে চাই এবং আমাদের পরিকল্পনা সেভাবেই সাজানো।
আজকের পত্রিকা: প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ব্যাংকের ভূমিকা কী হবে?
তানভীর এ মিশুক: প্রথমে আমরা শহরে শুরু করলেও আমাদের গুরুত্বের জায়গা হলো প্রত্যন্ত গ্রাম। যেখানে এখনো মানুষ বালিশের নিচে টাকা রেখে ঘুমায়। এখনো হাতে হাতে টাকার লেনদেন হয়। ফলে সামষ্টিক আর্থনীতি ততটা গতিশীল নয়। টাকার লেনদেন দ্রুত করতে পারলে একই টাকা দিয়ে একই সময়ে অনেক কাজ করা যায়—এটা অর্থনীতির সাধারণ সূত্র। আবার গ্রামের ওই মানুষগুলোকে আপনি জোর করে ব্যাংকেও ঢোকাতে পারবেন না। ফলে তাঁর ঘরে নিয়ে যেতে হবে ব্যাংককে।
আজকের পত্রিকা: কীভাবে ব্যাংককে মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?
তানভীর এ মিশুক: সহজ সমাধান হলো প্রযুক্তি। দেশে ১৮ থেকে ১৯ কোটি মোবাইল সংযোগ আছে। এই ফোনেই যদি ব্যাংকের লেনদেন, ঋণ আবেদন থেকে ব্যাংকিংয়ের সব কাজ করা যায়, গ্রাহক কেন আর নগদ টাকা নিয়ে ঘুরবেন। মানুষ নিজের প্রয়োজনেই ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা নেবেন।
আজকের পত্রিকা: লেনদেনকে ক্যাশলেস করতে ডিজিটাল ব্যাংকের ভূমিকা কেমন হবে?
তানভীর এ মিশুক: লেনদেন ক্যাশলেস করতে ডিজিটাল ব্যাংকই হবে প্রধান নিয়ামক। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিটি লেনদেন করবে ছাপা টাকা ছাড়াই। ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশ ক্যাশলেস করতে সরকারের যে লক্ষ্য, সেটি একমাত্র ডিজিটাল ব্যাংকই অর্জন করতে পারবে।
আজকের পত্রিকা: মোবাইল ব্যাংকিং তো আছেই, তারপরও কি ডিজিটাল ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল?
তানভীর এ মিশুক: প্রচলিত মোবাইল লেনদেনকে আমি ছোট করছি না। আমরা নগদ থেকেও এ সেবাই দিচ্ছি। তবে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি, প্রযুক্তি এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এমএফএসের পক্ষে অনেক লেনদেন করা অসম্ভব। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এমএফএসের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই করা হয়েছে। এখানে নগদই নেতৃত্ব দিয়েছে; কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এমএফএস লেনদেনের যেমন সীমা আছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও আছে। সেটা দিয়ে আপনি একজন ব্যবসায়ীর প্রয়োজন মেটাতে পারবেন না। ঋণ দেওয়া বা বড় অঙ্কের লেনদেনও করতে পারবেন না। এটা করতে পারে ডিজিটাল ব্যাংক। এমএফএসকে আমি বলি ‘হাত-পা কাটা’ আর্থিক সেবা, যা দিয়ে আসলে সামান্য কাজই করা যায়। আমি হলফ করে বলতে পারি, এমএফএস সামনের দিনে মারা পড়বে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকের ঋণ পাওয়া তো খুব কঠিন। ডিজিটাল ব্যাংকে জামানতহীন বা ঋণ পাওয়া কতটা সহজ হবে?
তানভীর এ মিশুক: ডিজিটাল ব্যাংকের অন্যতম শক্তির জায়গা হবে সঞ্চয় এবং ঋণ বিতরণ। এ দুটি কাজের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে না পারলে সেবা এগোবে না, অর্থনীতিও বড় হবে না। আমরা এমনভাবে এগোচ্ছি, যেখানে মানুষের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়াটা হবে স্রেফ মোবাইলের কয়েকটা বাটন চাপার পরিশ্রম। ঋণের দরকার হলে মোবাইলেই আবেদন করতে হবে এবং আবেদন যাচাই করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। গ্রাহকের আগের লেনদেনের ধরন, আয়—এসব বিবেচনা করে মেশিনই ঠিক করবে, তিনি কতটা ঋণ পাওয়ার যোগ্য। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আবেদনের মীমাংসা হয়ে যাবে। আর এ মানুষগুলোর তো আসলে দেখানোর মতো জামানত নেই বলেই তাঁরা ব্যাংকে যেতে পারেন না এবং প্রয়োজন হলেও ঋণ পান না। বাধ্য হয়েই তাঁরা মহাজনের কাছ থেকে ৩০-৪০ শতাংশ সুদে ঋণ নেন। এই দাদন চক্র থেকে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে বের করতে না পারলে অর্থনৈতিক কাঠামো কখনোই শক্তিশালী হবে না। আমি মনে করি না, এই ঋণ দেওয়া ঝুঁকির কিছু হবে।
আজকের পত্রিকা: কিন্তু সিঙ্গেল ডিজিট সুদে কীভাবে ঋণ দেওয়া সম্ভব?
তানভীর এ মিশুক: অবশ্যই সম্ভব। সনাতনী ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় অনেক বেশি। আর আমাদের পরিচালন ব্যয় হবে শূন্যের কাছাকাছি। একেকটা ব্যাংক বছরে শতকোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামো এবং বিশাল লোকবলের পেছনে। ডিজিটাল ব্যাংকের একটা প্রধান অফিস ছাড়া আর কোনো অফিসই থাকবে না। নেই লোকবলের বিশাল খরচ। ফলে এই বিশাল সাশ্রয় করে ডিজিটাল ব্যাংকই পারবে ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে রাখতে।
আজকের পত্রিকা: ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে আপনিই দেশে প্রথম কথা বলেছেন। অবশেষে ডিজিটাল ব্যাংক বাস্তবতা পেতে যাচ্ছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
তানভীর এ মিশুক: আমরা একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অন্য সব খাত আগালেও দুঃখজনকভাবে আর্থিক খাত পিছিয়ে ছিল। অথচ আর্থিক লেনদেন স্মার্ট করা ছাড়া দেশ এগোবে না। আমি কেবল সময়ের দাবি নিয়ে কথা বলেছি। আমি কৃতজ্ঞ যে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সময়ের আওয়াজটা শুনেছেন। এ জন্য বাড়তি ভালো লাগা আছে আমার।
আজকের পত্রিকা: ডিজিটাল ব্যাংক কীভাবে সামনের দিনে গুরুত্বপূর্ণ হবে?
তানভীর এ মিশুক: ডিজিটালের পরিক্রমা পেরিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছি। অথচ আমাদের লেনদেনগুলো স্মার্ট নয়। আমাদের টাকার গতি কম, চলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। সে কারণেই ডিজিটাল ব্যাংকের কোনো বিকল্প নেই। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি না বাড়ালে কোনোভাবেই আমরা স্মার্ট সমাজ তৈরি করতে পারব না। যাঁরা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ে অংশ নেননি, সেই অংশকে আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনতে চাই এবং আমাদের পরিকল্পনা সেভাবেই সাজানো।
আজকের পত্রিকা: প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ব্যাংকের ভূমিকা কী হবে?
তানভীর এ মিশুক: প্রথমে আমরা শহরে শুরু করলেও আমাদের গুরুত্বের জায়গা হলো প্রত্যন্ত গ্রাম। যেখানে এখনো মানুষ বালিশের নিচে টাকা রেখে ঘুমায়। এখনো হাতে হাতে টাকার লেনদেন হয়। ফলে সামষ্টিক আর্থনীতি ততটা গতিশীল নয়। টাকার লেনদেন দ্রুত করতে পারলে একই টাকা দিয়ে একই সময়ে অনেক কাজ করা যায়—এটা অর্থনীতির সাধারণ সূত্র। আবার গ্রামের ওই মানুষগুলোকে আপনি জোর করে ব্যাংকেও ঢোকাতে পারবেন না। ফলে তাঁর ঘরে নিয়ে যেতে হবে ব্যাংককে।
আজকের পত্রিকা: কীভাবে ব্যাংককে মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?
তানভীর এ মিশুক: সহজ সমাধান হলো প্রযুক্তি। দেশে ১৮ থেকে ১৯ কোটি মোবাইল সংযোগ আছে। এই ফোনেই যদি ব্যাংকের লেনদেন, ঋণ আবেদন থেকে ব্যাংকিংয়ের সব কাজ করা যায়, গ্রাহক কেন আর নগদ টাকা নিয়ে ঘুরবেন। মানুষ নিজের প্রয়োজনেই ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা নেবেন।
আজকের পত্রিকা: লেনদেনকে ক্যাশলেস করতে ডিজিটাল ব্যাংকের ভূমিকা কেমন হবে?
তানভীর এ মিশুক: লেনদেন ক্যাশলেস করতে ডিজিটাল ব্যাংকই হবে প্রধান নিয়ামক। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিটি লেনদেন করবে ছাপা টাকা ছাড়াই। ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশ ক্যাশলেস করতে সরকারের যে লক্ষ্য, সেটি একমাত্র ডিজিটাল ব্যাংকই অর্জন করতে পারবে।
আজকের পত্রিকা: মোবাইল ব্যাংকিং তো আছেই, তারপরও কি ডিজিটাল ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল?
তানভীর এ মিশুক: প্রচলিত মোবাইল লেনদেনকে আমি ছোট করছি না। আমরা নগদ থেকেও এ সেবাই দিচ্ছি। তবে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি, প্রযুক্তি এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এমএফএসের পক্ষে অনেক লেনদেন করা অসম্ভব। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এমএফএসের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই করা হয়েছে। এখানে নগদই নেতৃত্ব দিয়েছে; কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এমএফএস লেনদেনের যেমন সীমা আছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও আছে। সেটা দিয়ে আপনি একজন ব্যবসায়ীর প্রয়োজন মেটাতে পারবেন না। ঋণ দেওয়া বা বড় অঙ্কের লেনদেনও করতে পারবেন না। এটা করতে পারে ডিজিটাল ব্যাংক। এমএফএসকে আমি বলি ‘হাত-পা কাটা’ আর্থিক সেবা, যা দিয়ে আসলে সামান্য কাজই করা যায়। আমি হলফ করে বলতে পারি, এমএফএস সামনের দিনে মারা পড়বে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকের ঋণ পাওয়া তো খুব কঠিন। ডিজিটাল ব্যাংকে জামানতহীন বা ঋণ পাওয়া কতটা সহজ হবে?
তানভীর এ মিশুক: ডিজিটাল ব্যাংকের অন্যতম শক্তির জায়গা হবে সঞ্চয় এবং ঋণ বিতরণ। এ দুটি কাজের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে না পারলে সেবা এগোবে না, অর্থনীতিও বড় হবে না। আমরা এমনভাবে এগোচ্ছি, যেখানে মানুষের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়াটা হবে স্রেফ মোবাইলের কয়েকটা বাটন চাপার পরিশ্রম। ঋণের দরকার হলে মোবাইলেই আবেদন করতে হবে এবং আবেদন যাচাই করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। গ্রাহকের আগের লেনদেনের ধরন, আয়—এসব বিবেচনা করে মেশিনই ঠিক করবে, তিনি কতটা ঋণ পাওয়ার যোগ্য। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আবেদনের মীমাংসা হয়ে যাবে। আর এ মানুষগুলোর তো আসলে দেখানোর মতো জামানত নেই বলেই তাঁরা ব্যাংকে যেতে পারেন না এবং প্রয়োজন হলেও ঋণ পান না। বাধ্য হয়েই তাঁরা মহাজনের কাছ থেকে ৩০-৪০ শতাংশ সুদে ঋণ নেন। এই দাদন চক্র থেকে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে বের করতে না পারলে অর্থনৈতিক কাঠামো কখনোই শক্তিশালী হবে না। আমি মনে করি না, এই ঋণ দেওয়া ঝুঁকির কিছু হবে।
আজকের পত্রিকা: কিন্তু সিঙ্গেল ডিজিট সুদে কীভাবে ঋণ দেওয়া সম্ভব?
তানভীর এ মিশুক: অবশ্যই সম্ভব। সনাতনী ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় অনেক বেশি। আর আমাদের পরিচালন ব্যয় হবে শূন্যের কাছাকাছি। একেকটা ব্যাংক বছরে শতকোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামো এবং বিশাল লোকবলের পেছনে। ডিজিটাল ব্যাংকের একটা প্রধান অফিস ছাড়া আর কোনো অফিসই থাকবে না। নেই লোকবলের বিশাল খরচ। ফলে এই বিশাল সাশ্রয় করে ডিজিটাল ব্যাংকই পারবে ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে রাখতে।

আজকের পত্রিকা: ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে আপনিই দেশে প্রথম কথা বলেছেন। অবশেষে ডিজিটাল ব্যাংক বাস্তবতা পেতে যাচ্ছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
তানভীর এ মিশুক: আমরা একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অন্য সব খাত আগালেও দুঃখজনকভাবে আর্থিক খাত পিছিয়ে ছিল। অথচ আর্থিক লেনদেন স্মার্ট করা ছাড়া দেশ এগোবে না। আমি কেবল সময়ের দাবি নিয়ে কথা বলেছি। আমি কৃতজ্ঞ যে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সময়ের আওয়াজটা শুনেছেন। এ জন্য বাড়তি ভালো লাগা আছে আমার।
আজকের পত্রিকা: ডিজিটাল ব্যাংক কীভাবে সামনের দিনে গুরুত্বপূর্ণ হবে?
তানভীর এ মিশুক: ডিজিটালের পরিক্রমা পেরিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছি। অথচ আমাদের লেনদেনগুলো স্মার্ট নয়। আমাদের টাকার গতি কম, চলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। সে কারণেই ডিজিটাল ব্যাংকের কোনো বিকল্প নেই। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি না বাড়ালে কোনোভাবেই আমরা স্মার্ট সমাজ তৈরি করতে পারব না। যাঁরা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ে অংশ নেননি, সেই অংশকে আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনতে চাই এবং আমাদের পরিকল্পনা সেভাবেই সাজানো।
আজকের পত্রিকা: প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ব্যাংকের ভূমিকা কী হবে?
তানভীর এ মিশুক: প্রথমে আমরা শহরে শুরু করলেও আমাদের গুরুত্বের জায়গা হলো প্রত্যন্ত গ্রাম। যেখানে এখনো মানুষ বালিশের নিচে টাকা রেখে ঘুমায়। এখনো হাতে হাতে টাকার লেনদেন হয়। ফলে সামষ্টিক আর্থনীতি ততটা গতিশীল নয়। টাকার লেনদেন দ্রুত করতে পারলে একই টাকা দিয়ে একই সময়ে অনেক কাজ করা যায়—এটা অর্থনীতির সাধারণ সূত্র। আবার গ্রামের ওই মানুষগুলোকে আপনি জোর করে ব্যাংকেও ঢোকাতে পারবেন না। ফলে তাঁর ঘরে নিয়ে যেতে হবে ব্যাংককে।
আজকের পত্রিকা: কীভাবে ব্যাংককে মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?
তানভীর এ মিশুক: সহজ সমাধান হলো প্রযুক্তি। দেশে ১৮ থেকে ১৯ কোটি মোবাইল সংযোগ আছে। এই ফোনেই যদি ব্যাংকের লেনদেন, ঋণ আবেদন থেকে ব্যাংকিংয়ের সব কাজ করা যায়, গ্রাহক কেন আর নগদ টাকা নিয়ে ঘুরবেন। মানুষ নিজের প্রয়োজনেই ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা নেবেন।
আজকের পত্রিকা: লেনদেনকে ক্যাশলেস করতে ডিজিটাল ব্যাংকের ভূমিকা কেমন হবে?
তানভীর এ মিশুক: লেনদেন ক্যাশলেস করতে ডিজিটাল ব্যাংকই হবে প্রধান নিয়ামক। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিটি লেনদেন করবে ছাপা টাকা ছাড়াই। ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশ ক্যাশলেস করতে সরকারের যে লক্ষ্য, সেটি একমাত্র ডিজিটাল ব্যাংকই অর্জন করতে পারবে।
আজকের পত্রিকা: মোবাইল ব্যাংকিং তো আছেই, তারপরও কি ডিজিটাল ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল?
তানভীর এ মিশুক: প্রচলিত মোবাইল লেনদেনকে আমি ছোট করছি না। আমরা নগদ থেকেও এ সেবাই দিচ্ছি। তবে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি, প্রযুক্তি এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এমএফএসের পক্ষে অনেক লেনদেন করা অসম্ভব। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এমএফএসের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই করা হয়েছে। এখানে নগদই নেতৃত্ব দিয়েছে; কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এমএফএস লেনদেনের যেমন সীমা আছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও আছে। সেটা দিয়ে আপনি একজন ব্যবসায়ীর প্রয়োজন মেটাতে পারবেন না। ঋণ দেওয়া বা বড় অঙ্কের লেনদেনও করতে পারবেন না। এটা করতে পারে ডিজিটাল ব্যাংক। এমএফএসকে আমি বলি ‘হাত-পা কাটা’ আর্থিক সেবা, যা দিয়ে আসলে সামান্য কাজই করা যায়। আমি হলফ করে বলতে পারি, এমএফএস সামনের দিনে মারা পড়বে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকের ঋণ পাওয়া তো খুব কঠিন। ডিজিটাল ব্যাংকে জামানতহীন বা ঋণ পাওয়া কতটা সহজ হবে?
তানভীর এ মিশুক: ডিজিটাল ব্যাংকের অন্যতম শক্তির জায়গা হবে সঞ্চয় এবং ঋণ বিতরণ। এ দুটি কাজের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে না পারলে সেবা এগোবে না, অর্থনীতিও বড় হবে না। আমরা এমনভাবে এগোচ্ছি, যেখানে মানুষের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়াটা হবে স্রেফ মোবাইলের কয়েকটা বাটন চাপার পরিশ্রম। ঋণের দরকার হলে মোবাইলেই আবেদন করতে হবে এবং আবেদন যাচাই করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। গ্রাহকের আগের লেনদেনের ধরন, আয়—এসব বিবেচনা করে মেশিনই ঠিক করবে, তিনি কতটা ঋণ পাওয়ার যোগ্য। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আবেদনের মীমাংসা হয়ে যাবে। আর এ মানুষগুলোর তো আসলে দেখানোর মতো জামানত নেই বলেই তাঁরা ব্যাংকে যেতে পারেন না এবং প্রয়োজন হলেও ঋণ পান না। বাধ্য হয়েই তাঁরা মহাজনের কাছ থেকে ৩০-৪০ শতাংশ সুদে ঋণ নেন। এই দাদন চক্র থেকে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে বের করতে না পারলে অর্থনৈতিক কাঠামো কখনোই শক্তিশালী হবে না। আমি মনে করি না, এই ঋণ দেওয়া ঝুঁকির কিছু হবে।
আজকের পত্রিকা: কিন্তু সিঙ্গেল ডিজিট সুদে কীভাবে ঋণ দেওয়া সম্ভব?
তানভীর এ মিশুক: অবশ্যই সম্ভব। সনাতনী ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় অনেক বেশি। আর আমাদের পরিচালন ব্যয় হবে শূন্যের কাছাকাছি। একেকটা ব্যাংক বছরে শতকোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামো এবং বিশাল লোকবলের পেছনে। ডিজিটাল ব্যাংকের একটা প্রধান অফিস ছাড়া আর কোনো অফিসই থাকবে না। নেই লোকবলের বিশাল খরচ। ফলে এই বিশাল সাশ্রয় করে ডিজিটাল ব্যাংকই পারবে ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে রাখতে।
আজকের পত্রিকা: ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে আপনিই দেশে প্রথম কথা বলেছেন। অবশেষে ডিজিটাল ব্যাংক বাস্তবতা পেতে যাচ্ছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
তানভীর এ মিশুক: আমরা একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অন্য সব খাত আগালেও দুঃখজনকভাবে আর্থিক খাত পিছিয়ে ছিল। অথচ আর্থিক লেনদেন স্মার্ট করা ছাড়া দেশ এগোবে না। আমি কেবল সময়ের দাবি নিয়ে কথা বলেছি। আমি কৃতজ্ঞ যে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সময়ের আওয়াজটা শুনেছেন। এ জন্য বাড়তি ভালো লাগা আছে আমার।
আজকের পত্রিকা: ডিজিটাল ব্যাংক কীভাবে সামনের দিনে গুরুত্বপূর্ণ হবে?
তানভীর এ মিশুক: ডিজিটালের পরিক্রমা পেরিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছি। অথচ আমাদের লেনদেনগুলো স্মার্ট নয়। আমাদের টাকার গতি কম, চলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। সে কারণেই ডিজিটাল ব্যাংকের কোনো বিকল্প নেই। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি না বাড়ালে কোনোভাবেই আমরা স্মার্ট সমাজ তৈরি করতে পারব না। যাঁরা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ে অংশ নেননি, সেই অংশকে আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনতে চাই এবং আমাদের পরিকল্পনা সেভাবেই সাজানো।
আজকের পত্রিকা: প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ব্যাংকের ভূমিকা কী হবে?
তানভীর এ মিশুক: প্রথমে আমরা শহরে শুরু করলেও আমাদের গুরুত্বের জায়গা হলো প্রত্যন্ত গ্রাম। যেখানে এখনো মানুষ বালিশের নিচে টাকা রেখে ঘুমায়। এখনো হাতে হাতে টাকার লেনদেন হয়। ফলে সামষ্টিক আর্থনীতি ততটা গতিশীল নয়। টাকার লেনদেন দ্রুত করতে পারলে একই টাকা দিয়ে একই সময়ে অনেক কাজ করা যায়—এটা অর্থনীতির সাধারণ সূত্র। আবার গ্রামের ওই মানুষগুলোকে আপনি জোর করে ব্যাংকেও ঢোকাতে পারবেন না। ফলে তাঁর ঘরে নিয়ে যেতে হবে ব্যাংককে।
আজকের পত্রিকা: কীভাবে ব্যাংককে মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?
তানভীর এ মিশুক: সহজ সমাধান হলো প্রযুক্তি। দেশে ১৮ থেকে ১৯ কোটি মোবাইল সংযোগ আছে। এই ফোনেই যদি ব্যাংকের লেনদেন, ঋণ আবেদন থেকে ব্যাংকিংয়ের সব কাজ করা যায়, গ্রাহক কেন আর নগদ টাকা নিয়ে ঘুরবেন। মানুষ নিজের প্রয়োজনেই ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা নেবেন।
আজকের পত্রিকা: লেনদেনকে ক্যাশলেস করতে ডিজিটাল ব্যাংকের ভূমিকা কেমন হবে?
তানভীর এ মিশুক: লেনদেন ক্যাশলেস করতে ডিজিটাল ব্যাংকই হবে প্রধান নিয়ামক। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিটি লেনদেন করবে ছাপা টাকা ছাড়াই। ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশ ক্যাশলেস করতে সরকারের যে লক্ষ্য, সেটি একমাত্র ডিজিটাল ব্যাংকই অর্জন করতে পারবে।
আজকের পত্রিকা: মোবাইল ব্যাংকিং তো আছেই, তারপরও কি ডিজিটাল ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল?
তানভীর এ মিশুক: প্রচলিত মোবাইল লেনদেনকে আমি ছোট করছি না। আমরা নগদ থেকেও এ সেবাই দিচ্ছি। তবে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি, প্রযুক্তি এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এমএফএসের পক্ষে অনেক লেনদেন করা অসম্ভব। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এমএফএসের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই করা হয়েছে। এখানে নগদই নেতৃত্ব দিয়েছে; কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এমএফএস লেনদেনের যেমন সীমা আছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও আছে। সেটা দিয়ে আপনি একজন ব্যবসায়ীর প্রয়োজন মেটাতে পারবেন না। ঋণ দেওয়া বা বড় অঙ্কের লেনদেনও করতে পারবেন না। এটা করতে পারে ডিজিটাল ব্যাংক। এমএফএসকে আমি বলি ‘হাত-পা কাটা’ আর্থিক সেবা, যা দিয়ে আসলে সামান্য কাজই করা যায়। আমি হলফ করে বলতে পারি, এমএফএস সামনের দিনে মারা পড়বে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকের ঋণ পাওয়া তো খুব কঠিন। ডিজিটাল ব্যাংকে জামানতহীন বা ঋণ পাওয়া কতটা সহজ হবে?
তানভীর এ মিশুক: ডিজিটাল ব্যাংকের অন্যতম শক্তির জায়গা হবে সঞ্চয় এবং ঋণ বিতরণ। এ দুটি কাজের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে না পারলে সেবা এগোবে না, অর্থনীতিও বড় হবে না। আমরা এমনভাবে এগোচ্ছি, যেখানে মানুষের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়াটা হবে স্রেফ মোবাইলের কয়েকটা বাটন চাপার পরিশ্রম। ঋণের দরকার হলে মোবাইলেই আবেদন করতে হবে এবং আবেদন যাচাই করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। গ্রাহকের আগের লেনদেনের ধরন, আয়—এসব বিবেচনা করে মেশিনই ঠিক করবে, তিনি কতটা ঋণ পাওয়ার যোগ্য। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আবেদনের মীমাংসা হয়ে যাবে। আর এ মানুষগুলোর তো আসলে দেখানোর মতো জামানত নেই বলেই তাঁরা ব্যাংকে যেতে পারেন না এবং প্রয়োজন হলেও ঋণ পান না। বাধ্য হয়েই তাঁরা মহাজনের কাছ থেকে ৩০-৪০ শতাংশ সুদে ঋণ নেন। এই দাদন চক্র থেকে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে বের করতে না পারলে অর্থনৈতিক কাঠামো কখনোই শক্তিশালী হবে না। আমি মনে করি না, এই ঋণ দেওয়া ঝুঁকির কিছু হবে।
আজকের পত্রিকা: কিন্তু সিঙ্গেল ডিজিট সুদে কীভাবে ঋণ দেওয়া সম্ভব?
তানভীর এ মিশুক: অবশ্যই সম্ভব। সনাতনী ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় অনেক বেশি। আর আমাদের পরিচালন ব্যয় হবে শূন্যের কাছাকাছি। একেকটা ব্যাংক বছরে শতকোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামো এবং বিশাল লোকবলের পেছনে। ডিজিটাল ব্যাংকের একটা প্রধান অফিস ছাড়া আর কোনো অফিসই থাকবে না। নেই লোকবলের বিশাল খরচ। ফলে এই বিশাল সাশ্রয় করে ডিজিটাল ব্যাংকই পারবে ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে রাখতে।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২০ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

প্রযুক্তি এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এমএফএসের পক্ষে অনেক লেনদেন করা অসম্ভব। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এমএফএসের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই করা হয়েছে। এখানে নগদই নেতৃত্ব দিয়েছে; কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এমএফএস লেনদেনের যেমন সীমা আছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও আছে।
২১ মার্চ ২০২৪
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২০ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রযুক্তি এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এমএফএসের পক্ষে অনেক লেনদেন করা অসম্ভব। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এমএফএসের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই করা হয়েছে। এখানে নগদই নেতৃত্ব দিয়েছে; কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এমএফএস লেনদেনের যেমন সীমা আছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও আছে।
২১ মার্চ ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২০ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

প্রযুক্তি এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এমএফএসের পক্ষে অনেক লেনদেন করা অসম্ভব। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এমএফএসের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই করা হয়েছে। এখানে নগদই নেতৃত্ব দিয়েছে; কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এমএফএস লেনদেনের যেমন সীমা আছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও আছে।
২১ মার্চ ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৯ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

প্রযুক্তি এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এমএফএসের পক্ষে অনেক লেনদেন করা অসম্ভব। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এমএফএসের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই করা হয়েছে। এখানে নগদই নেতৃত্ব দিয়েছে; কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। এমএফএস লেনদেনের যেমন সীমা আছে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও আছে।
২১ মার্চ ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২০ ঘণ্টা আগে