Ajker Patrika

দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কর আদায়ের পরামর্শ তরুণদের

দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কর আদায়ের পরামর্শ তরুণদের

বর্তমানে সরকারি আয়ের জোগান বাড়াতে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবছর বাজেটে একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এরপর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আয় কতটা আদায় হলো, তার মূল্যায়ন হচ্ছে ঘোষিত অর্থবছর শেষে। তবে এ ধরনের কর সংস্কৃতির পরিবর্তন দেখতে চান দেশের তরুণ নেতৃত্ব। কেমন দেখতে চান, বলে দিয়েছেন তার উপায়ও। বলেছেন, বর্তমান করকাঠামোর ব্যাপক সংস্কার আনার পাশাপাশি বছর শেষে কর আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতিও বদলাতে হবে। প্রয়োজনে দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কর আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

গতকাল সোমবার সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়নে ‘তরুণ নেতৃত্বের ভাবনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তরুণ নেতৃত্ব ভাবনা থেকে এ অভিমত উঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল প্রোগ্রাম টু এনাবেল সার্ভিস ডেলিভারি (এসপিএফএমএস), অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রায় ৬০ তরুণ নেতৃত্ব অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে তরুণ বক্তারা টেকসই ও জনবান্ধব আর্থিক সংস্কার কার্যক্রমে ‘বাজেটপূর্ব’ আলোচনা বিষয়টি কৌশলপত্রে যুক্ত করার আহ্বান জানান। পরামর্শ দেন কর আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতির ব্যাপক সংস্কারের। প্রয়োজনে বছর শেষে কর আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতি পরিহার করে প্রয়োজনে দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিক কর আদায়ে যাওয়ার পক্ষেও মত দেন তরুণ নেতৃত্ব।

অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়, মেগা প্রকল্পের চাপেই দেশ এখন বৈদেশিক ঋণে পড়েছে। এই বাস্তবতায় লোকদেখানো উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প গ্রহণ এবং তাতে সরকারি অর্থের অপব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, ভবিষ্যতে নেওয়া সরকারি প্রকল্পগুলো হওয়া উচিত জনমুখী এবং অপেক্ষাকৃত ব্যয়সাশ্রয়ী। যেখানে বিতর্ক এড়াতে এ ধরনের আর্থিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের কাজে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। অনুষ্ঠানে ‘ভবিষ্যতের সরকার: অতীতের সরকার থেকে আগামীর সরকার’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের লিড গর্ভন্যান্স স্পেশালিস্ট ও টাকস্ টিম লিডার সুরাইয়া জান্নাত। সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার বিষয়ে ‘তরুণ নেতৃবৃন্দের ভাবনা’ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামি মোহাম্মদ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) ও জাতীয় কর্মসূচি পরিচালক (এসপিএফএমএস) বিলকিস জাহান রিমি। সভাপতির বক্তব্যে অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়ন করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন প্রজন্ম কী চায়, তারা কীভাবে দেশ গড়তে চায়, তা বিবেচনায় এনে আর্থিক সংষ্কার করা হলে আর্থিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

যুব ও ক্রীড়াসচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সহায়তার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্মমুখী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, অর্থ বিভাগ বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় তৃতীয় সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। এর আগে সরকার ২০০৭-২০১২ এবং ২০১৬-২০২১ সালের জন্য দুটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে।

পিএফএম সংস্কারকৌশল অংশীজনদের পরামর্শ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে টেকসই, স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি শক্তিশালী পিএফএম-ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হচ্ছে সম্পদ ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানো এবং মানসম্মত সেবা প্রদান করা।

সেই সঙ্গে মধ্যমেয়াদি বাজেটিং এবং ম্যাক্রোইকোনমিক পূর্বাভাসের প্রবর্তন করার পাশাপাশি আইবাস++ (একীভূত বাজেট এবং হিসাবব্যবস্থা)-এর মতো ই-সিস্টেমের মাধ্যমে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন করা। পাশাপাশি জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অটোমেশন, পেনশন আধুনিকীকরণ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পরিচালনায়  সংস্কার করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল যেন গুদামঘর

আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
বিশেষ ট্রাইব্যুনাল যেন গুদামঘর

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।

মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।

তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।

এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’

এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’

তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে এমজিআইয়ের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৭
কক্সবাজারে এমজিআইয়ের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজারে এমজিআইয়ের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ষষ্ঠবারের মতো এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ডিবিএল গ্রুপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।

এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।

ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’

বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরও কমেছে পেঁয়াজ আলু ও সবজির দাম

  • পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম নামল ৪২ টাকা কেজি
  • ডিম, মুরগি ও ডালের দাম আগের মতোই
  • চালের দাম কমলেও আশানুরূপ নয়, বলছেন ক্রেতা
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ০৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।

তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।

সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।

শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।

পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।

বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।

রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।

বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।

বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।

বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।

শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।

কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।

সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।

বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।

ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।

বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।

মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত