জাতিসংঘে বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের আবদার জাতিসংঘে প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫’-এ গুরুত্ব পায়নি। অর্থাৎ উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সংস্থাটির কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসিকে (ইউএনসিডিপি) পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সরকার এই প্রক্রিয়ায় একধরনের মধ্যবর্তী অবস্থান গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে টেকসই উত্তরণের পথে দৃঢ়ভাবে এগোচ্ছে। দেশের তিনটি মূল মানদণ্ড—মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা—ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে। এসব মানদণ্ড দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রস্তুতির শক্তিশালী অবস্থাকেই প্রতিফলিত করে; যা নিশ্চিত করে, বাংলাদেশ সময়মতো উত্তরণের পথে স্বচ্ছ ও ধারাবাহিক অগ্রগতি অর্জনের সক্ষমতা রাখে।
তবে প্রতিবেদনে সতর্কবার্তাও তুলে ধরা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক চাপ, বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা— এসব চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নীতি-সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বেসরকারি খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি।
অ্যানহ্যান্সড মনিটরিং মেকানিজমের নিয়ম অনুযায়ী, উত্তরণে থাকা সব দেশকে প্রতিবছর এ ধরনের অগ্রগতি প্রতিবেদন জাতিসংঘে পাঠানো বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫ তারই ধারাবাহিকতা। আজ মঙ্গলবার ইউএনসিডিপি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই প্রতিবেদন নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে। এ ছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ইউএনসিডিপির বার্ষিক প্লেনারি সভায় বাংলাদেশের অবস্থার পর্যালোচনা হবে।
ইউএনসিডিপি প্রতি তিন বছর পর এলডিসিগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত স্বীকৃতি আসে ২০২১ সালে। এখন সেগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষার চূড়ান্ত মূল্যায়নের সময়, যার তথ্য-উপাত্ত জানান দিচ্ছে, সব কটি সূচকের মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা রাখে।
তবে দেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ অমূলক নয়। সরকারের অনুরোধে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জাতিসংঘের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কার্যালয়ের (ইউএন-ওএইচআরএলএলএস) একটি প্রতিনিধিদল ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করে স্বাধীন পর্যালোচনা করে। তবে কোনো রিপোর্টেই উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উঠে আসেনি।
ব্যবসায়ী মহলের উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও কান্ট্রি প্রতিবেদনে উত্তরণ পেছানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। বরং দাবি করা হয়েছে, সঠিক প্রস্তুতি ও কার্যকর নীতি প্রয়োগ নিশ্চিত করলে টেকসই অগ্রগতি এবং উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি যেমন সরকারের হাতে নেই, তেমনি এলডিসি থেকে উত্তরণে সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকবে, যদিও সেগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব। কারণ, বাংলাদেশ তিনটি মানদণ্ডে এখনো যোগ্যতার অনেক ওপরে রয়েছে।
প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে বলা হয়, উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা সীমিত হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও কানাডা তিন বছরের জন্য সুবিধা বাড়ালেও দীর্ঘ মেয়াদে শর্ত কঠোর হবে। ট্রিপসের আওতায় ওষুধশিল্পের জন্য সুবিধা শেষ হলে বিনিয়োগ, উৎপাদন এবং গবেষণা-উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তৈরি পোশাক খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা, বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ, রপ্তানি ঝুঁকি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তাপ—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন, প্রশাসনিক পুনর্গঠন, রাজস্ব ঘাটতি এবং বিনিয়োগের ধীরগতি সাময়িক স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি এলিট গোষ্ঠীর আধিপত্য এবং ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের পুঁজি পাচার ব্যাংক খাত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে। তবে সহিংস পটপরিবর্তনের পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।

উত্তরণের সিদ্ধান্ত সরকার একতরফাভাবে নিতে পারে না
ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক
চেয়ারম্যান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের টেকসই উত্তরণের সিদ্ধান্ত সরকার একতরফাভাবে নিতে পারে না; এটি জাতিসংঘের প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ২০২৬ সালের নভেম্বরেই বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হবে।
জাতিসংঘ বর্তমানে বাংলাদেশের অগ্রগতি, প্রস্তুতি ও সক্ষমতা পর্যালোচনা করছে। উত্তরণ-পরবর্তী ঝুঁকি, সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে আগামী জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সরকার প্রয়োজন হলে উত্তরণ-প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবে। সরকারের ভূমিকা মূলত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তি উপস্থাপন, কূটনৈতিক তদবির এবং প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।
তবে অস্বীকারের উপায় নেই, উত্তরণের পর বাংলাদেশ কিছু সুবিধা হারাবে, বিশেষ করে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার-সুবিধা। তাই রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে এবং বাজার বাড়াতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানো অপরিহার্য। পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানোর সুযোগ কাজে লাগানোও জরুরি।
ইউরোপ, আমেরিকা ও অন্যান্য প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) ছাড়া বিকল্প নেই। এসব চুক্তি বাংলাদেশের পণ্য নতুন শুল্ক বাস্তবতায়ও বাজার ধরে রাখবে।
এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতা দূরীকরণে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি কমানো প্রয়োজন, কারণ এগুলো উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। লজিস্টিক খাতের দক্ষতা বাড়ানোও জরুরি, কারণ বন্দরের অকার্যকরতা ও সড়কে জট রপ্তানির খরচ বাড়াচ্ছে। সার্বিকভাবে, এলডিসি থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বীকৃতি হলেও নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। তাই নীতিগত প্রস্তুতি, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বাণিজ্য ও কূটনীতি জোরদার করা এখনই অপরিহার্য।

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের আবদার জাতিসংঘে প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫’-এ গুরুত্ব পায়নি। অর্থাৎ উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সংস্থাটির কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসিকে (ইউএনসিডিপি) পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সরকার এই প্রক্রিয়ায় একধরনের মধ্যবর্তী অবস্থান গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে টেকসই উত্তরণের পথে দৃঢ়ভাবে এগোচ্ছে। দেশের তিনটি মূল মানদণ্ড—মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা—ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে। এসব মানদণ্ড দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রস্তুতির শক্তিশালী অবস্থাকেই প্রতিফলিত করে; যা নিশ্চিত করে, বাংলাদেশ সময়মতো উত্তরণের পথে স্বচ্ছ ও ধারাবাহিক অগ্রগতি অর্জনের সক্ষমতা রাখে।
তবে প্রতিবেদনে সতর্কবার্তাও তুলে ধরা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক চাপ, বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা— এসব চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নীতি-সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বেসরকারি খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি।
অ্যানহ্যান্সড মনিটরিং মেকানিজমের নিয়ম অনুযায়ী, উত্তরণে থাকা সব দেশকে প্রতিবছর এ ধরনের অগ্রগতি প্রতিবেদন জাতিসংঘে পাঠানো বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫ তারই ধারাবাহিকতা। আজ মঙ্গলবার ইউএনসিডিপি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই প্রতিবেদন নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে। এ ছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ইউএনসিডিপির বার্ষিক প্লেনারি সভায় বাংলাদেশের অবস্থার পর্যালোচনা হবে।
ইউএনসিডিপি প্রতি তিন বছর পর এলডিসিগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত স্বীকৃতি আসে ২০২১ সালে। এখন সেগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষার চূড়ান্ত মূল্যায়নের সময়, যার তথ্য-উপাত্ত জানান দিচ্ছে, সব কটি সূচকের মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা রাখে।
তবে দেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ অমূলক নয়। সরকারের অনুরোধে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জাতিসংঘের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কার্যালয়ের (ইউএন-ওএইচআরএলএলএস) একটি প্রতিনিধিদল ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করে স্বাধীন পর্যালোচনা করে। তবে কোনো রিপোর্টেই উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উঠে আসেনি।
ব্যবসায়ী মহলের উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও কান্ট্রি প্রতিবেদনে উত্তরণ পেছানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। বরং দাবি করা হয়েছে, সঠিক প্রস্তুতি ও কার্যকর নীতি প্রয়োগ নিশ্চিত করলে টেকসই অগ্রগতি এবং উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি যেমন সরকারের হাতে নেই, তেমনি এলডিসি থেকে উত্তরণে সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকবে, যদিও সেগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব। কারণ, বাংলাদেশ তিনটি মানদণ্ডে এখনো যোগ্যতার অনেক ওপরে রয়েছে।
প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে বলা হয়, উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা সীমিত হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও কানাডা তিন বছরের জন্য সুবিধা বাড়ালেও দীর্ঘ মেয়াদে শর্ত কঠোর হবে। ট্রিপসের আওতায় ওষুধশিল্পের জন্য সুবিধা শেষ হলে বিনিয়োগ, উৎপাদন এবং গবেষণা-উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তৈরি পোশাক খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা, বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ, রপ্তানি ঝুঁকি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তাপ—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন, প্রশাসনিক পুনর্গঠন, রাজস্ব ঘাটতি এবং বিনিয়োগের ধীরগতি সাময়িক স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি এলিট গোষ্ঠীর আধিপত্য এবং ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের পুঁজি পাচার ব্যাংক খাত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে। তবে সহিংস পটপরিবর্তনের পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।

উত্তরণের সিদ্ধান্ত সরকার একতরফাভাবে নিতে পারে না
ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক
চেয়ারম্যান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের টেকসই উত্তরণের সিদ্ধান্ত সরকার একতরফাভাবে নিতে পারে না; এটি জাতিসংঘের প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ২০২৬ সালের নভেম্বরেই বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হবে।
জাতিসংঘ বর্তমানে বাংলাদেশের অগ্রগতি, প্রস্তুতি ও সক্ষমতা পর্যালোচনা করছে। উত্তরণ-পরবর্তী ঝুঁকি, সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে আগামী জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সরকার প্রয়োজন হলে উত্তরণ-প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবে। সরকারের ভূমিকা মূলত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তি উপস্থাপন, কূটনৈতিক তদবির এবং প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।
তবে অস্বীকারের উপায় নেই, উত্তরণের পর বাংলাদেশ কিছু সুবিধা হারাবে, বিশেষ করে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার-সুবিধা। তাই রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে এবং বাজার বাড়াতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানো অপরিহার্য। পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানোর সুযোগ কাজে লাগানোও জরুরি।
ইউরোপ, আমেরিকা ও অন্যান্য প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) ছাড়া বিকল্প নেই। এসব চুক্তি বাংলাদেশের পণ্য নতুন শুল্ক বাস্তবতায়ও বাজার ধরে রাখবে।
এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতা দূরীকরণে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি কমানো প্রয়োজন, কারণ এগুলো উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। লজিস্টিক খাতের দক্ষতা বাড়ানোও জরুরি, কারণ বন্দরের অকার্যকরতা ও সড়কে জট রপ্তানির খরচ বাড়াচ্ছে। সার্বিকভাবে, এলডিসি থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বীকৃতি হলেও নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। তাই নীতিগত প্রস্তুতি, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বাণিজ্য ও কূটনীতি জোরদার করা এখনই অপরিহার্য।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের আবদার জাতিসংঘে প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫’-এ গুরুত্ব পায়নি। অর্থাৎ উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সংস্থাটির কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসিকে (ইউএনসিডিপি) পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সরকার এই প্রক্রিয়ায় একধরনের মধ্যবর্তী অবস্থান গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে টেকসই উত্তরণের পথে দৃঢ়ভাবে এগোচ্ছে। দেশের তিনটি মূল মানদণ্ড—মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা—ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে। এসব মানদণ্ড দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রস্তুতির শক্তিশালী অবস্থাকেই প্রতিফলিত করে; যা নিশ্চিত করে, বাংলাদেশ সময়মতো উত্তরণের পথে স্বচ্ছ ও ধারাবাহিক অগ্রগতি অর্জনের সক্ষমতা রাখে।
তবে প্রতিবেদনে সতর্কবার্তাও তুলে ধরা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক চাপ, বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা— এসব চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নীতি-সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বেসরকারি খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি।
অ্যানহ্যান্সড মনিটরিং মেকানিজমের নিয়ম অনুযায়ী, উত্তরণে থাকা সব দেশকে প্রতিবছর এ ধরনের অগ্রগতি প্রতিবেদন জাতিসংঘে পাঠানো বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫ তারই ধারাবাহিকতা। আজ মঙ্গলবার ইউএনসিডিপি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই প্রতিবেদন নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে। এ ছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ইউএনসিডিপির বার্ষিক প্লেনারি সভায় বাংলাদেশের অবস্থার পর্যালোচনা হবে।
ইউএনসিডিপি প্রতি তিন বছর পর এলডিসিগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত স্বীকৃতি আসে ২০২১ সালে। এখন সেগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষার চূড়ান্ত মূল্যায়নের সময়, যার তথ্য-উপাত্ত জানান দিচ্ছে, সব কটি সূচকের মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা রাখে।
তবে দেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ অমূলক নয়। সরকারের অনুরোধে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জাতিসংঘের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কার্যালয়ের (ইউএন-ওএইচআরএলএলএস) একটি প্রতিনিধিদল ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করে স্বাধীন পর্যালোচনা করে। তবে কোনো রিপোর্টেই উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উঠে আসেনি।
ব্যবসায়ী মহলের উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও কান্ট্রি প্রতিবেদনে উত্তরণ পেছানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। বরং দাবি করা হয়েছে, সঠিক প্রস্তুতি ও কার্যকর নীতি প্রয়োগ নিশ্চিত করলে টেকসই অগ্রগতি এবং উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি যেমন সরকারের হাতে নেই, তেমনি এলডিসি থেকে উত্তরণে সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকবে, যদিও সেগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব। কারণ, বাংলাদেশ তিনটি মানদণ্ডে এখনো যোগ্যতার অনেক ওপরে রয়েছে।
প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে বলা হয়, উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা সীমিত হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও কানাডা তিন বছরের জন্য সুবিধা বাড়ালেও দীর্ঘ মেয়াদে শর্ত কঠোর হবে। ট্রিপসের আওতায় ওষুধশিল্পের জন্য সুবিধা শেষ হলে বিনিয়োগ, উৎপাদন এবং গবেষণা-উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তৈরি পোশাক খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা, বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ, রপ্তানি ঝুঁকি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তাপ—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন, প্রশাসনিক পুনর্গঠন, রাজস্ব ঘাটতি এবং বিনিয়োগের ধীরগতি সাময়িক স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি এলিট গোষ্ঠীর আধিপত্য এবং ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের পুঁজি পাচার ব্যাংক খাত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে। তবে সহিংস পটপরিবর্তনের পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।

উত্তরণের সিদ্ধান্ত সরকার একতরফাভাবে নিতে পারে না
ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক
চেয়ারম্যান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের টেকসই উত্তরণের সিদ্ধান্ত সরকার একতরফাভাবে নিতে পারে না; এটি জাতিসংঘের প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ২০২৬ সালের নভেম্বরেই বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হবে।
জাতিসংঘ বর্তমানে বাংলাদেশের অগ্রগতি, প্রস্তুতি ও সক্ষমতা পর্যালোচনা করছে। উত্তরণ-পরবর্তী ঝুঁকি, সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে আগামী জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সরকার প্রয়োজন হলে উত্তরণ-প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবে। সরকারের ভূমিকা মূলত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তি উপস্থাপন, কূটনৈতিক তদবির এবং প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।
তবে অস্বীকারের উপায় নেই, উত্তরণের পর বাংলাদেশ কিছু সুবিধা হারাবে, বিশেষ করে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার-সুবিধা। তাই রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে এবং বাজার বাড়াতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানো অপরিহার্য। পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানোর সুযোগ কাজে লাগানোও জরুরি।
ইউরোপ, আমেরিকা ও অন্যান্য প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) ছাড়া বিকল্প নেই। এসব চুক্তি বাংলাদেশের পণ্য নতুন শুল্ক বাস্তবতায়ও বাজার ধরে রাখবে।
এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতা দূরীকরণে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি কমানো প্রয়োজন, কারণ এগুলো উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। লজিস্টিক খাতের দক্ষতা বাড়ানোও জরুরি, কারণ বন্দরের অকার্যকরতা ও সড়কে জট রপ্তানির খরচ বাড়াচ্ছে। সার্বিকভাবে, এলডিসি থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বীকৃতি হলেও নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। তাই নীতিগত প্রস্তুতি, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বাণিজ্য ও কূটনীতি জোরদার করা এখনই অপরিহার্য।

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের আবদার জাতিসংঘে প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫’-এ গুরুত্ব পায়নি। অর্থাৎ উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সংস্থাটির কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসিকে (ইউএনসিডিপি) পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সরকার এই প্রক্রিয়ায় একধরনের মধ্যবর্তী অবস্থান গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে টেকসই উত্তরণের পথে দৃঢ়ভাবে এগোচ্ছে। দেশের তিনটি মূল মানদণ্ড—মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা—ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে। এসব মানদণ্ড দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রস্তুতির শক্তিশালী অবস্থাকেই প্রতিফলিত করে; যা নিশ্চিত করে, বাংলাদেশ সময়মতো উত্তরণের পথে স্বচ্ছ ও ধারাবাহিক অগ্রগতি অর্জনের সক্ষমতা রাখে।
তবে প্রতিবেদনে সতর্কবার্তাও তুলে ধরা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক চাপ, বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা— এসব চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নীতি-সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বেসরকারি খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি।
অ্যানহ্যান্সড মনিটরিং মেকানিজমের নিয়ম অনুযায়ী, উত্তরণে থাকা সব দেশকে প্রতিবছর এ ধরনের অগ্রগতি প্রতিবেদন জাতিসংঘে পাঠানো বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫ তারই ধারাবাহিকতা। আজ মঙ্গলবার ইউএনসিডিপি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই প্রতিবেদন নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে। এ ছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ইউএনসিডিপির বার্ষিক প্লেনারি সভায় বাংলাদেশের অবস্থার পর্যালোচনা হবে।
ইউএনসিডিপি প্রতি তিন বছর পর এলডিসিগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত স্বীকৃতি আসে ২০২১ সালে। এখন সেগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষার চূড়ান্ত মূল্যায়নের সময়, যার তথ্য-উপাত্ত জানান দিচ্ছে, সব কটি সূচকের মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা রাখে।
তবে দেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ অমূলক নয়। সরকারের অনুরোধে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জাতিসংঘের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কার্যালয়ের (ইউএন-ওএইচআরএলএলএস) একটি প্রতিনিধিদল ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করে স্বাধীন পর্যালোচনা করে। তবে কোনো রিপোর্টেই উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উঠে আসেনি।
ব্যবসায়ী মহলের উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও কান্ট্রি প্রতিবেদনে উত্তরণ পেছানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। বরং দাবি করা হয়েছে, সঠিক প্রস্তুতি ও কার্যকর নীতি প্রয়োগ নিশ্চিত করলে টেকসই অগ্রগতি এবং উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি যেমন সরকারের হাতে নেই, তেমনি এলডিসি থেকে উত্তরণে সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকবে, যদিও সেগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব। কারণ, বাংলাদেশ তিনটি মানদণ্ডে এখনো যোগ্যতার অনেক ওপরে রয়েছে।
প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে বলা হয়, উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা সীমিত হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও কানাডা তিন বছরের জন্য সুবিধা বাড়ালেও দীর্ঘ মেয়াদে শর্ত কঠোর হবে। ট্রিপসের আওতায় ওষুধশিল্পের জন্য সুবিধা শেষ হলে বিনিয়োগ, উৎপাদন এবং গবেষণা-উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তৈরি পোশাক খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা, বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ, রপ্তানি ঝুঁকি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তাপ—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন, প্রশাসনিক পুনর্গঠন, রাজস্ব ঘাটতি এবং বিনিয়োগের ধীরগতি সাময়িক স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি এলিট গোষ্ঠীর আধিপত্য এবং ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের পুঁজি পাচার ব্যাংক খাত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে। তবে সহিংস পটপরিবর্তনের পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।

উত্তরণের সিদ্ধান্ত সরকার একতরফাভাবে নিতে পারে না
ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক
চেয়ারম্যান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের টেকসই উত্তরণের সিদ্ধান্ত সরকার একতরফাভাবে নিতে পারে না; এটি জাতিসংঘের প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ২০২৬ সালের নভেম্বরেই বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হবে।
জাতিসংঘ বর্তমানে বাংলাদেশের অগ্রগতি, প্রস্তুতি ও সক্ষমতা পর্যালোচনা করছে। উত্তরণ-পরবর্তী ঝুঁকি, সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে আগামী জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সরকার প্রয়োজন হলে উত্তরণ-প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবে। সরকারের ভূমিকা মূলত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তি উপস্থাপন, কূটনৈতিক তদবির এবং প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।
তবে অস্বীকারের উপায় নেই, উত্তরণের পর বাংলাদেশ কিছু সুবিধা হারাবে, বিশেষ করে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার-সুবিধা। তাই রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে এবং বাজার বাড়াতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানো অপরিহার্য। পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানোর সুযোগ কাজে লাগানোও জরুরি।
ইউরোপ, আমেরিকা ও অন্যান্য প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) ছাড়া বিকল্প নেই। এসব চুক্তি বাংলাদেশের পণ্য নতুন শুল্ক বাস্তবতায়ও বাজার ধরে রাখবে।
এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতা দূরীকরণে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি কমানো প্রয়োজন, কারণ এগুলো উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। লজিস্টিক খাতের দক্ষতা বাড়ানোও জরুরি, কারণ বন্দরের অকার্যকরতা ও সড়কে জট রপ্তানির খরচ বাড়াচ্ছে। সার্বিকভাবে, এলডিসি থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বীকৃতি হলেও নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। তাই নীতিগত প্রস্তুতি, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং বাণিজ্য ও কূটনীতি জোরদার করা এখনই অপরিহার্য।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের আবদার জাতিসংঘে প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫’-এ গুরুত্ব পায়নি। অর্থাৎ উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্
২৫ নভেম্বর ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের আবদার জাতিসংঘে প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫’-এ গুরুত্ব পায়নি। অর্থাৎ উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্
২৫ নভেম্বর ২০২৫
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের আবদার জাতিসংঘে প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫’-এ গুরুত্ব পায়নি। অর্থাৎ উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্
২৫ নভেম্বর ২০২৫
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন—পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুন কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতিন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দর নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাতের। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগতমানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন—পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুন কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতিন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দর নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাতের। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগতমানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের আবদার জাতিসংঘে প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট ২০২৫’-এ গুরুত্ব পায়নি। অর্থাৎ উত্তরণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্
২৫ নভেম্বর ২০২৫
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে