জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন এক অধ্যায় তৈরি হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে, একক মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালে প্রবাসীরা মোট ২৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা শুধু অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক নয়, সংকটের মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
২০২৩ সালে প্রবাসী আয় ছিল ২১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে এই প্রবাহে যে বিস্ময়কর ঊর্ধ্বগতি ঘটেছে, তা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই নতুন রেকর্ড শুধু একটি আর্থিক পরিসংখ্যান নয়; এটি একটি বড় প্রক্রিয়ার অংশ, যা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে। প্রবাসীরা যখন তাঁদের পরিবারকে রেমিট্যান্স পাঠান, তখন তাঁরা শুধু টাকা পাঠাচ্ছেন না, বরং দেশের উন্নয়নের জন্য একটি শক্তি জোগাচ্ছেন। এই অর্থপ্রবাহ দেশের অগ্রগতির প্রমাণ এবং এটি মানুষকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়ার শক্তি দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাবি করছেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি, দেশের প্রতি প্রবাসীদের অবিচল সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিবেশে বাংলাদেশের কার্যকর নীতি সহায়তা এই রেকর্ড অর্জনে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আগমন। প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগে, ২০২০ সালের জুলাইতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে, তবে বর্তমানে তা অতিক্রম করেছে।
রেমিট্যান্সের উন্নতি: কেন এই হালচাল?
বর্তমান রেমিট্যান্স বৃদ্ধির অন্যতম বড় কারণ হলো সরকারি উদ্যোগ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ফল। ২০২৪ সালে জুলাইয়ে, যখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল, তখন রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল। প্রবাসী আয় এসেছিল মাত্র ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রবাসীরা আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। বিশেষত, সরকারি নীতির প্রতি আস্থার ফলে বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে তাঁদের আয় পাঠাচ্ছেন, যা রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ানোর অন্যতম কারণ।
এর ফলে ২০১৯ সালে যেখানে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২৪ সালে তা থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হুন্ডি বা অবৈধ চ্যানেলের ব্যবহার কমে যাওয়ার ফলে এই প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রবাসীরা এখন আরও বেশি ব্যাংকিংমাধ্যম ব্যবহার করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেছেন, ‘এত দিন দেশের অর্থ পাচারের কারণে রেমিট্যান্স কাঙ্ক্ষিত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পাচারের ওপর সরকারের কঠোর নজরদারি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি এই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। এখন অর্থ পাচার থামানো গেলে রেমিট্যান্স আরও দ্রুত বাড়বে।’
প্রবাসী কর্মীদের সংখ্যা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি রেকর্ড করেছে। ২০২৪ সালের প্রথম ৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কর্মী গেছেন ৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৭ জন। আর ২০২৩ সালে গেছেন ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ কর্মী; যা একটি বিশাল অর্জন। যদিও কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এর সঙ্গে তুলনামূলকভাবে রেমিট্যান্সের প্রবাহে কিছুটা অমিল ছিল। কারণ, অনেক প্রবাসীর রেমিট্যান্স দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসতে পারে না, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির সঙ্গে হুন্ডির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তবে রেমিট্যান্স দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেল এবং সরকারের নীতি শক্তিশালী হওয়ার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আরও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ আরও দ্রুত বেড়ে যায়। সার্বিকভাবে ফাঁকফোকর দূর করা গেলে একটা সময় দেশে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসবে।’
রেমিট্যান্সের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
অর্থনীতির জন্য রেমিট্যান্স এখন শুধু একটি আয় নয়, এটি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে না, বরং নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করছে। প্রবাসী আয় যত বেশি হবে, তত বেশি দেশে অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নত হবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘এখন প্রবাসী আয় আসার প্রবাহ বেড়েছে, এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। রেমিট্যান্সের এই প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতি ও রিজার্ভের উন্নতি ঘটাবে।’

বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন এক অধ্যায় তৈরি হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে, একক মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালে প্রবাসীরা মোট ২৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা শুধু অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক নয়, সংকটের মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
২০২৩ সালে প্রবাসী আয় ছিল ২১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে এই প্রবাহে যে বিস্ময়কর ঊর্ধ্বগতি ঘটেছে, তা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই নতুন রেকর্ড শুধু একটি আর্থিক পরিসংখ্যান নয়; এটি একটি বড় প্রক্রিয়ার অংশ, যা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে। প্রবাসীরা যখন তাঁদের পরিবারকে রেমিট্যান্স পাঠান, তখন তাঁরা শুধু টাকা পাঠাচ্ছেন না, বরং দেশের উন্নয়নের জন্য একটি শক্তি জোগাচ্ছেন। এই অর্থপ্রবাহ দেশের অগ্রগতির প্রমাণ এবং এটি মানুষকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়ার শক্তি দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাবি করছেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি, দেশের প্রতি প্রবাসীদের অবিচল সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিবেশে বাংলাদেশের কার্যকর নীতি সহায়তা এই রেকর্ড অর্জনে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আগমন। প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগে, ২০২০ সালের জুলাইতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে, তবে বর্তমানে তা অতিক্রম করেছে।
রেমিট্যান্সের উন্নতি: কেন এই হালচাল?
বর্তমান রেমিট্যান্স বৃদ্ধির অন্যতম বড় কারণ হলো সরকারি উদ্যোগ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ফল। ২০২৪ সালে জুলাইয়ে, যখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল, তখন রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল। প্রবাসী আয় এসেছিল মাত্র ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রবাসীরা আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। বিশেষত, সরকারি নীতির প্রতি আস্থার ফলে বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে তাঁদের আয় পাঠাচ্ছেন, যা রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ানোর অন্যতম কারণ।
এর ফলে ২০১৯ সালে যেখানে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২৪ সালে তা থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হুন্ডি বা অবৈধ চ্যানেলের ব্যবহার কমে যাওয়ার ফলে এই প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রবাসীরা এখন আরও বেশি ব্যাংকিংমাধ্যম ব্যবহার করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেছেন, ‘এত দিন দেশের অর্থ পাচারের কারণে রেমিট্যান্স কাঙ্ক্ষিত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পাচারের ওপর সরকারের কঠোর নজরদারি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি এই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। এখন অর্থ পাচার থামানো গেলে রেমিট্যান্স আরও দ্রুত বাড়বে।’
প্রবাসী কর্মীদের সংখ্যা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি রেকর্ড করেছে। ২০২৪ সালের প্রথম ৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কর্মী গেছেন ৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৭ জন। আর ২০২৩ সালে গেছেন ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ কর্মী; যা একটি বিশাল অর্জন। যদিও কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এর সঙ্গে তুলনামূলকভাবে রেমিট্যান্সের প্রবাহে কিছুটা অমিল ছিল। কারণ, অনেক প্রবাসীর রেমিট্যান্স দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসতে পারে না, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির সঙ্গে হুন্ডির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তবে রেমিট্যান্স দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেল এবং সরকারের নীতি শক্তিশালী হওয়ার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আরও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ আরও দ্রুত বেড়ে যায়। সার্বিকভাবে ফাঁকফোকর দূর করা গেলে একটা সময় দেশে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসবে।’
রেমিট্যান্সের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
অর্থনীতির জন্য রেমিট্যান্স এখন শুধু একটি আয় নয়, এটি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে না, বরং নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করছে। প্রবাসী আয় যত বেশি হবে, তত বেশি দেশে অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নত হবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘এখন প্রবাসী আয় আসার প্রবাহ বেড়েছে, এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। রেমিট্যান্সের এই প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতি ও রিজার্ভের উন্নতি ঘটাবে।’
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন এক অধ্যায় তৈরি হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে, একক মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালে প্রবাসীরা মোট ২৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা শুধু অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক নয়, সংকটের মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
২০২৩ সালে প্রবাসী আয় ছিল ২১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে এই প্রবাহে যে বিস্ময়কর ঊর্ধ্বগতি ঘটেছে, তা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই নতুন রেকর্ড শুধু একটি আর্থিক পরিসংখ্যান নয়; এটি একটি বড় প্রক্রিয়ার অংশ, যা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে। প্রবাসীরা যখন তাঁদের পরিবারকে রেমিট্যান্স পাঠান, তখন তাঁরা শুধু টাকা পাঠাচ্ছেন না, বরং দেশের উন্নয়নের জন্য একটি শক্তি জোগাচ্ছেন। এই অর্থপ্রবাহ দেশের অগ্রগতির প্রমাণ এবং এটি মানুষকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়ার শক্তি দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাবি করছেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি, দেশের প্রতি প্রবাসীদের অবিচল সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিবেশে বাংলাদেশের কার্যকর নীতি সহায়তা এই রেকর্ড অর্জনে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আগমন। প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগে, ২০২০ সালের জুলাইতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে, তবে বর্তমানে তা অতিক্রম করেছে।
রেমিট্যান্সের উন্নতি: কেন এই হালচাল?
বর্তমান রেমিট্যান্স বৃদ্ধির অন্যতম বড় কারণ হলো সরকারি উদ্যোগ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ফল। ২০২৪ সালে জুলাইয়ে, যখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল, তখন রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল। প্রবাসী আয় এসেছিল মাত্র ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রবাসীরা আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। বিশেষত, সরকারি নীতির প্রতি আস্থার ফলে বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে তাঁদের আয় পাঠাচ্ছেন, যা রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ানোর অন্যতম কারণ।
এর ফলে ২০১৯ সালে যেখানে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২৪ সালে তা থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হুন্ডি বা অবৈধ চ্যানেলের ব্যবহার কমে যাওয়ার ফলে এই প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রবাসীরা এখন আরও বেশি ব্যাংকিংমাধ্যম ব্যবহার করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেছেন, ‘এত দিন দেশের অর্থ পাচারের কারণে রেমিট্যান্স কাঙ্ক্ষিত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পাচারের ওপর সরকারের কঠোর নজরদারি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি এই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। এখন অর্থ পাচার থামানো গেলে রেমিট্যান্স আরও দ্রুত বাড়বে।’
প্রবাসী কর্মীদের সংখ্যা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি রেকর্ড করেছে। ২০২৪ সালের প্রথম ৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কর্মী গেছেন ৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৭ জন। আর ২০২৩ সালে গেছেন ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ কর্মী; যা একটি বিশাল অর্জন। যদিও কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এর সঙ্গে তুলনামূলকভাবে রেমিট্যান্সের প্রবাহে কিছুটা অমিল ছিল। কারণ, অনেক প্রবাসীর রেমিট্যান্স দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসতে পারে না, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির সঙ্গে হুন্ডির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তবে রেমিট্যান্স দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেল এবং সরকারের নীতি শক্তিশালী হওয়ার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আরও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ আরও দ্রুত বেড়ে যায়। সার্বিকভাবে ফাঁকফোকর দূর করা গেলে একটা সময় দেশে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসবে।’
রেমিট্যান্সের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
অর্থনীতির জন্য রেমিট্যান্স এখন শুধু একটি আয় নয়, এটি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে না, বরং নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করছে। প্রবাসী আয় যত বেশি হবে, তত বেশি দেশে অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নত হবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘এখন প্রবাসী আয় আসার প্রবাহ বেড়েছে, এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। রেমিট্যান্সের এই প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতি ও রিজার্ভের উন্নতি ঘটাবে।’

বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন এক অধ্যায় তৈরি হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে, একক মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালে প্রবাসীরা মোট ২৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা শুধু অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক নয়, সংকটের মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
২০২৩ সালে প্রবাসী আয় ছিল ২১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে এই প্রবাহে যে বিস্ময়কর ঊর্ধ্বগতি ঘটেছে, তা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই নতুন রেকর্ড শুধু একটি আর্থিক পরিসংখ্যান নয়; এটি একটি বড় প্রক্রিয়ার অংশ, যা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে। প্রবাসীরা যখন তাঁদের পরিবারকে রেমিট্যান্স পাঠান, তখন তাঁরা শুধু টাকা পাঠাচ্ছেন না, বরং দেশের উন্নয়নের জন্য একটি শক্তি জোগাচ্ছেন। এই অর্থপ্রবাহ দেশের অগ্রগতির প্রমাণ এবং এটি মানুষকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়ার শক্তি দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাবি করছেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি, দেশের প্রতি প্রবাসীদের অবিচল সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিবেশে বাংলাদেশের কার্যকর নীতি সহায়তা এই রেকর্ড অর্জনে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আগমন। প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগে, ২০২০ সালের জুলাইতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে, তবে বর্তমানে তা অতিক্রম করেছে।
রেমিট্যান্সের উন্নতি: কেন এই হালচাল?
বর্তমান রেমিট্যান্স বৃদ্ধির অন্যতম বড় কারণ হলো সরকারি উদ্যোগ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ফল। ২০২৪ সালে জুলাইয়ে, যখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল, তখন রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল। প্রবাসী আয় এসেছিল মাত্র ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রবাসীরা আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। বিশেষত, সরকারি নীতির প্রতি আস্থার ফলে বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে তাঁদের আয় পাঠাচ্ছেন, যা রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ানোর অন্যতম কারণ।
এর ফলে ২০১৯ সালে যেখানে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২৪ সালে তা থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হুন্ডি বা অবৈধ চ্যানেলের ব্যবহার কমে যাওয়ার ফলে এই প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রবাসীরা এখন আরও বেশি ব্যাংকিংমাধ্যম ব্যবহার করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেছেন, ‘এত দিন দেশের অর্থ পাচারের কারণে রেমিট্যান্স কাঙ্ক্ষিত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পাচারের ওপর সরকারের কঠোর নজরদারি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি এই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। এখন অর্থ পাচার থামানো গেলে রেমিট্যান্স আরও দ্রুত বাড়বে।’
প্রবাসী কর্মীদের সংখ্যা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি রেকর্ড করেছে। ২০২৪ সালের প্রথম ৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কর্মী গেছেন ৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৭ জন। আর ২০২৩ সালে গেছেন ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ কর্মী; যা একটি বিশাল অর্জন। যদিও কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এর সঙ্গে তুলনামূলকভাবে রেমিট্যান্সের প্রবাহে কিছুটা অমিল ছিল। কারণ, অনেক প্রবাসীর রেমিট্যান্স দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসতে পারে না, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির সঙ্গে হুন্ডির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তবে রেমিট্যান্স দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেল এবং সরকারের নীতি শক্তিশালী হওয়ার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আরও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ আরও দ্রুত বেড়ে যায়। সার্বিকভাবে ফাঁকফোকর দূর করা গেলে একটা সময় দেশে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসবে।’
রেমিট্যান্সের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
অর্থনীতির জন্য রেমিট্যান্স এখন শুধু একটি আয় নয়, এটি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে না, বরং নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করছে। প্রবাসী আয় যত বেশি হবে, তত বেশি দেশে অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নত হবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘এখন প্রবাসী আয় আসার প্রবাহ বেড়েছে, এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। রেমিট্যান্সের এই প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতি ও রিজার্ভের উন্নতি ঘটাবে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
৭ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেখালেদা জিয়ার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন এক অধ্যায় তৈরি হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে, একক মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালে প্রবাসীরা মোট ২৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা শুধু অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন এক অধ্যায় তৈরি হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে, একক মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালে প্রবাসীরা মোট ২৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা শুধু অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন এক অধ্যায় তৈরি হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে, একক মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালে প্রবাসীরা মোট ২৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা শুধু অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
৭ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন এক অধ্যায় তৈরি হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে, একক মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালে প্রবাসীরা মোট ২৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা শুধু অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
৭ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে